Tag: Bengali news

Bengali news

  • Arvind Kejriwal: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    Arvind Kejriwal: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের রাজা নন। নিছক জমিদারও নন। ভারতের একটা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এখন অবশ্য সেই কুর্সিটাও নেই। তবে রয়ে গিয়েছে তাঁর সাধের শিশমহল (Sheesh Mahal)। যে মহলের অন্দরে উঁকি দিলে মানসপটে ভেসে উঠতে বাধ্য রাজতন্ত্রের জমকালো ছবি। যাঁর বাসভবন নিয়ে এত ধানাই পানাই তাঁর দলের নামের গায়ে মাটির গন্ধ – আম আদমি পার্টি। সেই দলের নেতার বাসভবন দেখলে মনে হয় না, তাঁর দল সত্যিকারেরই আম আদমির। কারণ বাড়িটার প্রতিটি ইটে, কড়ি বর্গায়ও বড়লোকি গন্ধ।

    কেজরিওয়ালের কীর্তি ফাঁস

    দিল্লির ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডে বাড়িটার নামই শিশমহল। গত ৯ বছর ধরে এখানেই বাস করছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন কেজরি। তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে অতিশি মারলেনাকে। স্বাভাবিকভাবেই তার আগে রাজ্যের পূর্ত দফতর ওই মহলের আসবাবপত্রের একটা তালিকা প্রকাশ করেছে। যা দেখে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) প্রথমবার নজরে আসেন ২০২৩ সালের মে মাসে, যখন সংবাদমাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত বিলাসিতায় করদাতাদের অর্থ অপচয়ের বিবরণ ফাঁস হয়ে যায়।

    বিজেপির নিশানা আপ সুপ্রিমোকে (Arvind Kejriwal)

    পিডব্লুডির তালিকা দেখার পরে আপ সুপ্রিমোকে নিশানা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, “এই হচ্ছে বৈদ্যুতিক নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী এবং গ্যাজেটসের তালিকা, যেগুলো ইনস্টল করা হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শিশমহলে (Sheesh Mahal)।” মালব্য আরও লিখেছেন, “বিস্ময়ের আরও আছে। সেন্সর-সজ্জিত পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় টোটো স্মার্ট টয়লেট রয়েছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেটা খোলা-বন্ধ হয়। রয়েছে হিটেড সিট, ওয়্যারলেস রিমোট ডিওডোরাইজার এবং অটোমেটিক ফ্ল্যাশিং। এই জাতীয় টয়লেট সিটের দাম ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।”

    আরও পড়ুন: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    শিশমহলের (Sheesh Mahal) অন্দরে

    একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক শিশমহলের অন্দরে। ১৬টা ভয়েস কন্ট্রোলড আল্ট্রা স্লিম স্মার্ট ৪কে টিভি রয়েছে, দাম ৬৪ লাখ টাকা। সাড়ে ১৯ লাখের স্মার্ট এলইডি-ও রয়েছে। ফ্রিস্ট্যান্ডিং লুমিনেয়ার রয়েছে, মূল্য ৯.২ লাখ। ৪ লাখ টাকা দামের ওএসএডিএ ফুল বডি ম্যাসেজ চেয়ারও রয়েছে। রয়েছে ১০ লাখ টাকা দামের রিক্লাইনার সোফা, ৮টি মোটোরাইজড রিক্লাইনার সোফা রয়েছে ১০ লাখ টাকা দামের, বোস লাউডস্পিকার রয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দামের। দুটো স্মার্ট রেফ্রিজারেটর রয়েছে ৯ লাখ টাকা দামের। এই রেফ্রিজারেটরের মধ্যেই রয়েছে ইনবিল্ট টিভি এবং এআই ভিশন স্ক্রিন। ৯ লাখ টাকা দামের ৭৩ লিটারের স্টিম ওভেনও রয়েছে শিশমহলে (Sheesh Mahal)।

    দামি গ্যাজেটসে সাজানো অন্দর

    কেজরিওয়ালের বাংলোতে (Arvind Kejriwal) ৫০ লিটারের মাইক্রোওয়েভ ওভেন রয়েছে, যার দাম ৬ লাখ টাকা। ৬ লাখ টাকা দামের দুটো মাউন্টেড হুডস ১৪০ সেমি স্টেনলেস স্টিল চিমনিও রয়েছে। বিওএসসিএইচ সিরিজের ৮ বিল্ট ইন কফি মেশিন রয়েছে, মূল্য আড়াই লাখ টাকা। তিনটে হট ওয়াটার জেনেরেটর রয়েছে, মূল্য সাড়ে ২২ লাখ টাকা। ১৫ কোটি টাকা মূল্যের সুপিরিয়র ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটারি ইনস্টলেশনও রয়েছে। ২.১ লাখ টাকা দামের এলজির ১২ কেজি ফ্রন্ট লোড অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনও রয়েছে শিশমহলে (Sheesh Mahal)। এসএস রেলিং, স্টিয়ারকেস কভারিং রয়েছে ১.২ কোটি টাকা মূল্যের। রয়েছে ২০টি গ্র্যান্ড এজেড ব্রাশ এন্ট্রাস স্কোনস আউটডোর লাইট, মূল্য ১০ লাখ টাকা। উডেন ও গ্লাসডোর উইথ অটোমেটিক স্লাইডিং সেন্সর রয়েছে ৭০ লাখ টাকা দামের। ২৪টি ডেকোরেটিভ পিলার রয়েছে, যার মূল্য ৩৬ লাখ টাকা। জানালার পর্দা রয়েছে ৮০টি, মূল্য ৪ থেকে ৫.৬ কোটি টাকা। সুপিরিয়র ওয়াটার সাপ্লাই রয়েছে ১৫ কোটি টাকার।

    আপ সুপ্রিমোর চমক!

    ২০১৩ সালে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেছিলেন তিনি ও তাঁর দলের মন্ত্রীরা সরকারি বাংলো ব্যবহার করবেন না। তার পরিবর্তে তাঁরা ব্যবহার করবেন ছোট ছোট সরকারি ফ্ল্যাট। আপ সুপ্রিমোর সেই প্রতিশ্রুতি যে নিছকই চমক, তাঁর বাংলোর ছবিই তার প্রমাণ। ১৩ হাজার স্কোয়ার ফিট এলাকজুড়ে রয়েছে শিশমহল (Sheesh Mahal)। এর মধ্যে লন রয়েছে ৩৯৯ স্কোয়ার ফিট। সমস্ত ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা মেলে সেখানে।

    ‘অপারেশন শিশমহল’ নাম দিয়ে একটি খবর প্রকাশ করে ‘টাইমস নাও’-ও। সেখানেও দেখানো হয় শিশমহলের (Sheesh Mahal) অন্দরের সাজসজ্জা। যে অন্দরসজ্জা দেখলে হয়তো হাত কামড়াতেন রাজা-রাজড়ারাও। কারণ রাজার ঘরে যে ধন আছে…।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলোর উৎসবে মাততে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যবাসী। এই আবহের মধ্যে রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। ২৩ তারিখ শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) তৈরি হবে। ২৪ তারিখ সকালে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি চলে আসবে (Cyclone Alert) ।

    কীভাবে হয় ঝড়ের নামকরণ? (Cyclone Dana)

    সাগরে নিম্নচাপের সময় বাতাসের প্রচণ্ড ঘূর্ণায়মান গতির ফলে সংঘটিত বায়ুমণ্ডলীয় উত্তাল অবস্থাকে সংক্ষেপে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। বাতাসের এই একটানা ঘূর্ণায়মান গতি যখন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছায়, তখনই এর নামকরণ করা হয়। আটলান্টিক মহাসাগর ও এর আশপাশের অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারে উঠে গেলে নিম্নচাপ ঝড়ে পরিণত হয়। আর এ সময়ই ঘূর্ণিঝড়টিকে একটি নাম দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। Q, U, X, Y ও Z- ইংরেজি বর্ণমালার এই ৫টি অক্ষর বাদ দিয়ে বাকি ২১টি অক্ষর ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। এগুলো সাধারণত এক বছরের জন্য পর্যায়ক্রমিকভাবে করা হয়। তবে, কোনও বছর যদি ২১টির বেশি ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, তবে নামগুলির সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালা যুক্ত করা হয়। নামকরণের পদ্ধতি অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয় (Cyclone Dana)।

    আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল পোস্ট, চলছে তদন্ত

    ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে কারা?

    বিশ্ব আবহাওয়া (Cyclone Alert) সংস্থা আঞ্চলিক কমিটির অধীনে মোট ৫টি আঞ্চলিক সংস্থা তাদের স্ব-অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে। এগুলি হলো- ইএসসিএপি (ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক) বা ডব্লিউএমও (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা) টাইফুন কমিটি, ডব্লিউএমও বা ইএসসিএপি প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন, আরএ (রেজিওনাল অ্যাসোসিয়েশন) ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি, আরএ-৪ হারিকেন কমিটি, আরএ-৫ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলির (Cyclone Dana) নামকরণ করে ১৩টি দেশ। সেগুলি হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়নমার, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ওমান, ইরান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিশাহি ও কাতার। ডব্লিউএমওর অংশ হিসেবে উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে থাকে- আরএসএমসি, ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সিস্টেমস (টিসিডব্লিউএস) ও ভারতের আবহাওয়া দফতর(আই.এমডি)। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে- ‘দানা’ (Cyclone Dana)। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে কাতার। এই ‘দানা’ (শব্দভেদে ডানা)-নামের অর্থ মুক্ত (Free)।

    কেন নামকরণ?

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) নামকরণের পিছনে মূল কারণ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জনসাধারণের সতর্কতা। এই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে বাতাসের গতিবিধি ও আসন্ন দুর্যোগ নিয়ে গবেষণা করা হয়ে থাকে। এই গবেষণায় ঝড়ের তীব্রতা এবং একাধিক ঝড়ের মধ্যে তুলনামুলক বিশ্লেষণে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে এগুলোর নামকরণ। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ তারিখ উপকূল এর হাওয়ার গতিবেগ থাকবে সম্ভাব্য ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সেটা বেড়ে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়ও হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছতে পারে ১৩৫ কিমিতে (Cyclone Alert) ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Eye Infections: বহু শিশুই চোখে সংক্রমণ, ঝাপসা দেখার মতো সমস্যায় ভুগছে! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Eye Infections: বহু শিশুই চোখে সংক্রমণ, ঝাপসা দেখার মতো সমস্যায় ভুগছে! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কম বয়স থেকেই বাড়ছে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা। স্কুলের চৌকাঠে প্রবেশ করার আগেই অনেক শিশুর একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের চোখের সমস্যা বাড়তি উদ্বেগজনক। শিশুদের অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি শেখানোর মতো প্রথম থেকেই চোখের যত্নের (Eye Infections) বিষয়ে সজাগ করা জরুরি। কীভাবে চোখ ভালো থাকবে, দৃষ্টিশক্তি বজায় থাকবে, এসব নিয়ে সচেতনতা জরুরি। অক্টোবর মাসে ‘ওয়ার্ল্ড সাইট অ্যাওয়ারনেস’ পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব জুড়ে চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের দৃষ্টিশক্তি বাড়তি উদ্বেগজনক। তাই অন্ধত্ব,‌ দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা নিয়ে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি।

    কেন শিশুদের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা বাড়তি উদ্বেগজনক? (Eye Infections)

    সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় রিপোর্ট দেশ জুড়ে শিশুদের চোখ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর ৩০ হাজার শিশু নতুন করে চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরা একাধিকবার চোখের নানান সংক্রমণের শিকার হচ্ছে। যা তাদের কর্নিয়ায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বিশেষত বারবার চোখের কনজাংটিভাইটিস জাতীয় সংক্রমণ একদিকে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে, আরেকদিকে চোখের ক্ষতি করছে। এর নিরিখে ভারতে চোখের নিয়মিত পরীক্ষা করার সচেতনতা খুবই কম। দেশ জুড়ে মাত্র ৪৬ শতাংশ শিশুর নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা হয়। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ড্রাই আই জাতীয় রোগের প্রকোপ বাড়ছে। যার ফলে চোখের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, অধিকাংশ শিশুর চোখের মারাত্মক সমস্যা হওয়ার আগে কিছু বোঝাই যায় না। ফলে দৃষ্টিশক্তির বড় ক্ষতি আটকানো আরও কঠিন হয়ে উঠছে। তাই শিশুদের চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

    সন্তানের চোখের বাড়তি যত্ন নেবেন কীভাবে?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শিশুর চোখ ভালো রাখার প্রথম ও প্রধান শর্ত ‘স্ক্রিন টাইম’-এ রাশ টানা। খুব কম বয়স থেকেই এখন সকলে মোবাইল, ট্যাবলেট, ল্যাপটপে অভ্যস্ত। কিন্তু এই অভ্যাস চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই শিশু কতক্ষণ মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকবে, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি। ছোট থেকে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য মোবাইল দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে একাধিক শারীরিক সমস্যা (Eye Infections) তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের চোখে ড্রাই আই সহ নানান সংক্রমণ হতে পারে‌‌।
    দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে (Blurred vision) সবুজ সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন,‌ দিনে অন্তত একটা লেবু এবং বেরি জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি।‌ পাশাপাশি কমলালেবু, অ্যাপ্রিকট, স্ট্রবেরি কিংবা মাল্টা, যে কোনও একটা ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত। তাহলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। তবে এর পাশপাশি পালং শাক, ঝিঙে, পটলের মতো সবুজ সব্জি নিয়মিত খাওয়া জরুরি।‌ কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। এগুলো চোখের জন্য খুবই উপকারী। 
    পাশপাশি কম বয়সি শিশুরা এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের ডায়াবেটিস চোখের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে (Eye Infections)। ভারতীয় শিশুদের চোখের সমস্যার অন্যতম কারণ ডায়াবেটিস। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ছোট থেকেই খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। যাতে শিশু ডায়াবেটিসের‌ মতো রোগে আক্রান্ত না‌ হয়। শিশু যাতে অতিরিক্তি মিষ্টি খাওয়া এবং বাইরের চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত না হয় সেদিকেও‌ খেয়াল‌ রাখা জরুরি। তবেই চোখের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ‌ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Azad Hind Fauj: আজ আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস, নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অমিত শাহের

    Azad Hind Fauj: আজ আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস, নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fauj) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose)। সোমবার এই ঐতিহাসিক দিবসের বার্ষিকীতে নেতাজিকে স্মরণ করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পরাধীন ভারতে নেতাজির গঠিত প্রথম স্বাধীন আজাদ হিন্দ সরকারের কথাও উল্লেখ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, এই পদক্ষেপ ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এদিন এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করেন অমিত শাহ। নিজের পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘‘ঐতিহাসিক এই পদক্ষেপেই ব্রিটিশদের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিতে পেরেছিলেন নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose)। এদিন আজাদ হিন্দ ফৌজের বীর সৈন্যদের শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। স্মরণ করেন ‘দিল্লি চলো’ স্লোগানকেও। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আজাদ হিন্দ ফৌজের (Azad Hind Fauj) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ‘দিল্লি চলো’ স্লোগান ভারতবর্ষের আপামর যুব সমাজকে আন্দোলিত করেছিল বলেও লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    নেতাজি (Netaji Subhas) ছিলেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী, রেঙ্গুন ও সিঙ্গাপুরে ছিল সদর দফতর

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose) নেতৃত্বে তৈরি হয়, আজাদ হিন্দ ফৌজ। সেদিনই অস্থায়ী সরকার তৈরির ঘোষণা করেন নেতাজি। যে সরকারের নাম দেন আজাদ হিন্দ সরকার। আজাদ হিন্দ সরকারের (Azad Hind Fauj) প্রধানমন্ত্রী, যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন নেতাজি নিজেই। আজাদ হিন্দ সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্যই ছিল, বিদেশি শাসন মুক্ত ভারত তৈরি করা এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের এই আপসহীন সংগ্রামে উজ্জীবিত হয়ে সারা ভারত আন্দোলিত হয়েছিল সেসময়। অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকারকে স্বীকৃতি দেয় সে সময় ব্রিটিশ বিরোধী অক্ষশক্তির জোট, জাপান, জার্মানি ও ইতালি সমেত মোট ৮টি দেশ। আজাদ হিন্দ সরকারের সদর দফতর স্থাপিত হয় মায়ানমারের রেঙ্গুন ও সিঙ্গাপুর-দুই জায়গাতেই। এখান থেকেই পরিকল্পনামাফিক চলত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।

    ছিল নিজস্ব নারী বাহিনীও

    আজাদ হিন্দ ফৌজকে (Azad Hind Fauj) তিনটি ব্রিগেডে সাজিয়েছিলেন নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose)। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধীর নামে তৈরি হয় গান্ধীজী ব্রিগেড। এছাড়া আরও দুটি ব্রিগেডের নাম ছিল, আজাদ ব্রিগেড এবং নেহরু ব্রিগেড। এর পাশাপাশি সে সময়ে নারীদেরও যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ করান নেতাজি। তৈরি হয় রানি ঝাঁসির ব্রিগেড। এর দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সাইগলকে। নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈন্যরা সাহস এবং সংকল্পের আদর্শ হয়ে রয়েছেন আজও আপামর ভারতবাসীর কাছে।

    ভারতের মাটিতে প্রবেশ করেছিল আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fauj)

    ১৯৪৪ সালে ভারতের কোহিমা ও ইম্ফলের কাছে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল নেতাজির (Netaji Subhas Chandra Bose) সেনাদল। এরপর জাপানের কাছ থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকার আজাদ হিন্দ সরকার অর্জন করেছিল। মণিপুরে ভারতের মাটিতে জাতীয় পতাকা ওড়াতে সক্ষম হয় আজাহ হিন্দ সরকার। ১৯৪৫ সালে আজাদ হিন্দ বাহিনীর (Azad Hind Fauj) প্রভাব ব্যাপক ভাবে পড়ে ভারতে। দেশজুড়ে আন্দোলনে নড়ে যায় ব্রিটিশ সরকারর ভিত। ১৯৪৬ সালের নৌ বিদ্রোহকে ভারতের স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ কারণ মনে করা হয়। আর এই নৌ বিদ্রোহের মূলেই ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের তিন সেনানায়ক পিকে সায়গল, শাহনওয়াজ খান এবং গুরুবক্স সিং ধীলনের বিচারের নামে চলা প্রহসন। লালকেল্লায় আজাদ হিন্দ ফৌজের তিন সেনানায়কের বিচার শুরু হলে বিদ্রোহ শুরু হয় নৌবাহিনীতে।

    ক্লিমেন্ট অ্যাটলি ও মহাত্মা গান্ধীর বয়ান 

    ভারতের স্বাধীনতা লাভের প্রধান কারণ নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose) এবং তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ, একথা বলেছিলেন ভারতের স্বাধীনতার সময়ে থাকা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি। জানা যায়, বাংলায় এসে ১৯৫৬ সালে তৎকালীন রাজ্যপাল ফণীভূষণ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাজভবনে একথা বলেন এটলি। জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীও আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। গান্ধীজী বলেছিলেন, “যদিও আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fauj) নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি, তথাপি তাঁরা এমন অনেক কিছু করেছেন, যে জন্য গর্ববোধ করা যায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঝড়ের গতিবেগ ১৩৫ কিমি! কালীপুজোর আগে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘দানা’

    Weather Update: ঝড়ের গতিবেগ ১৩৫ কিমি! কালীপুজোর আগে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘দানা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর আগেই রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়! সমুদ্রে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে! হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের ওপর নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) নাম রাখা হয়েছে ‘দানা’। এই নামটি দিয়েছে কাতার। এর জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের আবহবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আন্দামান সাগরের কাছে যে ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা নিম্নচাপে পরিণত হবে। অবস্থান পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরের কাছে। এরপর এই ঘূর্ণাবর্তটি আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। ২২ অক্টোবর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর ২৩ অক্টোবর তা শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। এর অভিমুখ থাকবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। ২৪ অক্টোবর সকালে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং ওড়িশা উপকূলে কাছে আসবে ঘূর্ণিঝড়টি।’’ সোমবার থেকেই মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল পোস্ট, চলছে তদন্ত

    ঝড়ের গতিবেগ কত?

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপ পরিস্থিতির কারণে ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো আবহাওয়া থাকবে। হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে গেলে বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার বেগ উঠতে পারে ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ওই সময়ে সমুদ্র উত্তাল থাকবে উপকূলের কাছে। আগামী ২৪ তারিখ উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার সাম্ভাব্য গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

    দক্ষিণবঙ্গে কেমন প্রভাব?

    রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update) বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বুধবার, ২৩ অক্টোবর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এর প্রভাব বেশি থাকবে। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে উপকূলের জেলাগুলিতে। এই জেলাগুলিতেভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়াঅফিস। বৃহস্পতিবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারও ভারী বৃষ্টিপাত হবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে। কলকাতাতে ২৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি

    উত্তরবঙ্গেও (Weather Update) বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গের উপর সেভাবে নেই। তবে, ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের নির্দিষ্ট স্থান এবং সময় এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল পোস্ট, চলছে তদন্ত 

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল পোস্ট, চলছে তদন্ত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে সিআরপিএফ স্কুলের সামনে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) তদন্তে নয়া মোড়। ঘটনায় খালিস্তানি যোগ নিয়ে ক্রমশই ঘনাচ্ছে রহস্য, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। বিস্ফোরণের কারণ জানতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা একত্রিত তদন্ত চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, খালিস্তান (Khalistani) ইস্যুতে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে একাধিক বিমান বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার উড়ো হুমকিও এসেছে। দিল্লির বিস্ফোরণে (Delhi Blast) খালিস্তানি যোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।

    ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ জলছাপ দেওয়া পোস্ট ভাইরাল (Delhi Blast)

    প্রসঙ্গত, দিল্লির বিস্ফোরণের পরই সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দাবি করা হয়েছে খালিস্তানিদের (Khalistani)  বিরুদ্ধে ভারতীয় এজেন্টদের অপারেশনের প্রতিশোধ নিতে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্টে  ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ জলছাপ রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘যদি ভারতের এজেন্সি মনে করে যে তারা গুন্ডা পাঠিয়ে আমাদের সদস্যদের চুপ করাতে পারবে, তাহলে তারা মূর্খের জগতে বাস করছে। আমরা যে কোনও সময় হামলা চালাতে পারি।’’

    দিল্লির বিস্ফোরণকে ‘ডায়রেকশনাল ব্লাস্ট’ বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা

    প্রসঙ্গত, দিল্লির বিস্ফোরণকে (Delhi Blast) ‘ডায়রেকশনাল ব্লাস্ট’ বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। অর্থাৎ বিস্ফোরণের প্রভাব যাতে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, সেই কৌশলই ব্যবহার করেছে আততায়ীরা। বিস্ফোরণের আওয়াজ ২ কিমি দূর থেকেও শোনা গিয়েছে বলে খবর। তদন্তকারীদের মতে, বিস্ফোরকে ‘রিফ্লেকটিভ প্রেসারের’ মাধ্যমে বিশাল এলাকা জুড়ে কম্পন সৃষ্টির কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল। এতে কঠিন এবং তরল পদার্থের মধ্যে উচ্চচাপ সৃষ্টি করে গ্যাসে পরিণত করা হয়। বিস্ফোরণের পর সেই গ্যাস খুব জলদি আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরেই শক্তিশালী একটি কম্পন অনুভূত হয়।

    রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    দিল্লির রোহিনী জেলার প্রশান্ত বিহার এলাকায় অবস্থিত সিআরপিএফ-এর এক স্কুলের কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটে রবিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ব্লাস্টের পরেই বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকানঘরের দেওয়াল এবং গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পাশাপাশি সিআরপিএফ স্কুলের দেওয়ালেও ফাটল ধরে যায়। ইতিমধ্যেই বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ। বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), সিআরপিএফ, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) এবং ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)।  কে বা কারা ওই বিস্ফোরক রেখেছিল, তাদের শনাক্ত করতে বিস্ফোরণস্থলের আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশের রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctors: মুখ্যমন্ত্রীর শর্ত না মেনেই নবান্নের বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা, সরকারকে দিলেন হুঙ্কার

    Junior Doctors: মুখ্যমন্ত্রীর শর্ত না মেনেই নবান্নের বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা, সরকারকে দিলেন হুঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors)। তার আগে গতকাল রবিবারই ধর্মতলায় হল চিৎকার সমাবেশ। সেখানে অজস্র সাধারণ মানুষকে ভিড় করতে দেখা গেল। জুনিয়র ডাক্তাররা এখান থেকে ফের একবার ‘হুঙ্কার’ দিলেন। তাঁরা বললেন, “নবান্ন (Nabanna) থেকে দাবি ছিনিয়ে আনতে পারবই।” মমতা সরকারের প্রতি বার্তা দিয়ে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, মৌখিক আশ্বাসে তাঁরা কোনওভাবেই অনশন তুলবেন না। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছিলেন, অনশন তুললে তবেই হবে বৈঠক। তবে সে শর্ত মানছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা অনশন তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই।

    কী বলছেন দেবাশিস হালদার?

    গতকাল চিৎকার সমাবেশ (Junior Doctors) থেকে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, “ন্যায়বিচারের দাবির চিৎকার যাতে মুখ্যমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছয়, সেজন্য এই মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সহযোদ্ধাদের অনশন আর আপনাদের প্রত্যেকের যে সমর্থন, তা সরকারের কানে পৌঁছাতে পারব। আর আমাদের যে ন্যায়বিচারের দাবি, সেটা ছিনিয়ে আনতে পারবই।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আপনাদের জোরে চলছি। আমাদের শরীর আর দিচ্ছে না।” সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “নবান্নে (Nabanna) যাব। লিখিত নির্দেশ ছিনিয়ে আনব।”

    সোমবার বৈঠক নবান্নে

    সোমবার বিকেলে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) সময় দেন মমতা। মুখ্যসচিব এরপরে তাঁদের ইমেলে জানিয়ে দেন, সোমবার বিকেল ৫টায় নবান্নে বৈঠক হবে। এরজন্য ৪৫ মিনিট সময় দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকাল সাড়ে ৪টের মধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ জন প্রতিনিধিকে নবান্নে পৌঁছে যেতে হবে। কারা যাবেন, সেই ১০ প্রতিনিধির নাম আগে ইমেল করে জানাতে বলা হয়। মুখ্যসচিবের এই ইমেলে ‘শর্ত’ দেওয়া হয়। বলা হয়, অনশন তুলে নিলে তবেই সোমবার মমতা ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ইমেলের জবাব দেওয়ার আগে দীর্ঘ বৈঠক করেন ডাক্তাররা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, অনশন তোলার পরে আলোচনা হবে না, বরং নবান্নে বৈঠকের পরেই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত (Junior Doctors) নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 21 october 2024: চিকিৎসার জন্য প্রচুর ব্যয় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 21 october 2024: চিকিৎসার জন্য প্রচুর ব্যয় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ২) পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ২) মাত্রাছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে বিবাদে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ২) আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও উঁচু স্থান থেকে পড়ে যেতে পারেন।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) বাড়তি খরচের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে।

    ২) দাঁতের রোগ বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) দুপুরের পরে দিনটি ভালো কাটলেও মানসিক চাপ থাকবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ২) চিকিৎসার জন্য প্রচুর ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে কাজের চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) সংযমী হতে হবে। ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    মকর

    ১) কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন চঞ্চল থাকবে।

    ২) সামাজিক সম্মান পাবেন।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) নিজের প্রতিভা প্রকাশের বিশেষ দিন।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে। 

    ২) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ দেখা।

    ৩) ভালোই কাটবে দিন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Zeeshan Siddique: “আমার শিরায় বইছে সিংহের রক্ত”, বলছেন জিশান সিদ্দিকি

    Zeeshan Siddique: “আমার শিরায় বইছে সিংহের রক্ত”, বলছেন জিশান সিদ্দিকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যুদ্ধ শেষ হয়নি। আমার শরীরের শিরায় শিরায় বইছে সিংহের রক্ত।” রবিবার এমনই মন্তব্য করলেন বাবা সিদ্দিকির (Baba Siddique) ছেলে কংগ্রেস নেতা জিশান সিদ্দিকি (Zeeshan Siddique)। এক্স হ্যান্ডেলে জিশান লিখেছেন, “তারা আমার বাবাকে চুপ করিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে, তিনি একজন সিংহ ছিলেন- এবং আমি সেই গর্জন বহন করি, তাঁর লড়াই আমার শিরায়। তিনি ন্যায়ের পক্ষে ছিলেন, পরিবর্তনের জন্য লড়াই করেছেন, অদম্য সাহস ছিল তাঁর। তাঁকে যারা লাশ বানিয়ে ছেড়েছে, আমি তাদের বলতে চাই, আমার শিরায় শিরায় বইছে সিংহের রক্ত।”

    আমি ভীত নই (Zeeshan Siddique)

    জিশান কংগ্রেস বিধায়ক। বলেন, “বাবাকে খুন করায় আমি ভীত নই, ভেঙেও পড়িনি। আমি এখনও এখানেই রয়েছি। তারা একজনের প্রাণ কেড়েছে। তাঁর জায়গায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি আমি। এই যুদ্ধের ঢের বাকি। আজ আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছি, যেখানে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি বেঁচে রয়েছি, নিরলস এবং প্রস্তুত।” ওই পোস্টেই তিনি (Zeeshan Siddique) লিখেছেন, “অজ্ঞ দরিদ্র মানুষের জীবন এবং ঘরবাড়ি বাঁচানোর লড়াই লড়তে গিয়ে আমার বাবাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আজ আমার পরিবারটা ভেঙে গিয়েছে। আমি বিচার প্রয়োজন, আমার পরিবারেরও বিচারের প্রয়োজন।”

    বাবা সিদ্দিকি খুনে ধৃত

    মুম্বইয়ের বান্দ্রায় জিশানের দফতরের সামনেই গুলি করে খুন করা হয় বাবা সিদ্দিকিকে। ১২ অক্টোবরের ওই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়। এক সময় কংগ্রেস করলেও, মাস কয়েক আগে বাবা সিদ্দিকি যোগ দেন এনসিপির অজিত গোষ্ঠীতে। ওই ঘটনায় সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। রায়গড়ের পানভেল ও কারজাট এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে শনিবার সিদ্দিকির  নিরাপত্তায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে সাসেপেন্ড করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    সিদ্দিকি হত্যার নেপথ্যে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে দাবি মুম্বই পুলিশের। বাবা সিদ্দিকি খুনে নিয়োগ করা হয়েছিল (Baba Siddique) ভাড়াটে খুনি। ঘটনার পরে পরেই দুই আততায়ীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় আরও সাতজনকে (Zeeshan Siddique)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    BJP: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে উপনির্বাচন। রাজ্যের পাঁচ জেলার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে হবে নির্বাচন। তার ঠিক আগে আগেই আবাস যোজনার (Awas Yojana) সমীক্ষার শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সমীক্ষার কাজ হওয়ার কথা ২১ অক্টোবর, চলবে এ মাসেরই ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এহেন পরিস্থিতিতে যে পাঁচ জেলায় নির্বাচন, সেই জেলাগুলিতে আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিল বিজেপি (BJP )।

    দুয়ারে উপনির্বাচন (BJP)

    প্রকল্পের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। অভিযোগ, সেই প্রকল্পেরই নাম বদলে বাংলা আবাস যোজনা করেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। সোমবার, ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এই যোজনায় সমীক্ষার কাজ। রাজ্যের প্রতিটি জেলায়ই সমীক্ষা করবেন সমীক্ষকরা। অথচ ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন রয়েছে রাজ্যের পাঁচ জেলার ছটি বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রগুলি হল নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, মাদারিহাট এবং সিতাই। এই ছয় কেন্দ্র যে জেলাগুলির মধ্যে পড়ে সেগুলি হল, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার।

    অকাল নির্বাচন

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই ছয় কেন্দ্রের বিধায়কই লোকসভায় প্রার্থী হন এবং জয়ী হয়ে সাংসদ হন। সেই কারণেই অকাল নির্বাচনের আয়োজন। লোকসভা নির্বাচনের পর এতদিন হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও, উপনির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই রাজ্য সরকার আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ শুরু করছে বলে অভিযোগ (BJP)। ওই পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ আপাতত বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। পদ্ম পার্টির সাফ কথা, এই সমীক্ষার সময় বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সরাসরি ভোটারদের প্রলোভিত করা যাবে। ভোটাররাও প্রলোভিত হবেন। তাই নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে এই সমীক্ষা বন্ধ রাখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিক কমিশন।    

    আরও পড়ুন: ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ মেলা, প্রয়াগরাজে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    কী বলছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    সমীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনামা এবং বিজেপির দাবি সম্বলিত চিঠি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। পাল্টা চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকারও। তাদের আর্জি, ওই পাঁচ জেলায় সমীক্ষার কাজ নির্বাচনী বিধি থেকে ছাড় দেওয়া হোক। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই পাঁচ জেলায় সমীক্ষার কাজ আপাতত বন্ধ রাখতে চিঠি দেওয়া হয়েছে কমিশনে। এটি সরাসরি মডেল কোড অফ কন্ডাক্টকে ভায়োলেট করছে। লক্ষাধিক টাকার বাড়ি দেব এই মর্মে সার্ভে (Awas Yojana) করা মানে ভোটারদের প্রভাবিত করা (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share