Tag: Bengali news

Bengali news

  • Junior Doctor: মঞ্চের ফ্যান, লাইট খুলে সাগর দত্তে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন বানচালের চেষ্টা

    Junior Doctor: মঞ্চের ফ্যান, লাইট খুলে সাগর দত্তে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন বানচালের চেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটি সাগরদত্ত মেডিক্যাল (Sagar Dutta Medical) কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলন ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সোমবার আচমকাই বিকেলে ডেকোরেটর্সের লোকজন এসে আন্দোলন মঞ্চ থেকে ফ্যান, লাইট, সাউন্ড বক্স খুলতে থাকে। সেগুলো গাড়িতেও তুলে নেওয়া হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে ডেকোরেটর্সের লোকজন পিছু হটতে বাধ্য হন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Junior Doctor)

    সাগর দত্তে চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) আন্দোলন শুরু করেছেন। এদিন সেই আন্দোলন চতুর্থ দিনে পড়ল। এদিন বিকেলে ডেকোরেটর্সের লোকজন এসে আন্দোলন মঞ্চ থেকে ফ্যান, লাইট, সাউন্ড বক্স খুলতে থাকে। খুলে সেগুলো গাড়িতেও তুলে নেওয়া হয়। শেষে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থান মঞ্চ থেকে নেমে রাস্তাতেই ওই গাড়ির সামনে ও পিছনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁরা গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সন্ধ্যায় বাধ্য হয়ে খুলে ফেলা ফ্যান, লাইট নতুন করে ইনস্টল করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার পিছনে চক্রান্ত দেখছেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, ডেকোরেটর্স সংস্থার মালিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “না জানিয়ে ফ্যান, লাইট খোলা ভুল হয়েছে। আমার ভাই ইমরান খুলতে এসেছিল। আসলে আমাদের অন্য জায়গায় অর্ডার নেওয়া রয়েছে। সেজন্যই তা খোলা হয়েছিল, কারও কোনও চাপে নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    এদিনের ঘটনার সঙ্গে কয়েক দিন আগে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলন মঞ্চ থেকে সমস্ত ফ্যান, লাইট খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার মিল পাচ্ছেন সাগর দত্তের আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবে আমাদের আন্দোলন ভাঙতেই এসব চক্রান্ত করা হচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। বরং, এই ধরনের চেষ্টা যত করা হবে, আমাদের আন্দোলনের ঝাঁঝ তত বাড়বে। হাসপাতালের সুপার সুজয় মিস্ত্রি বলেন, “যদি কেউ কিছু ভাড়ায় দেয় তা আচমকা খোলা যায় নাকি? আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা আমার কাছে এসেছিলেন। আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখার জন্য আমি কামারহাটি থানার পুলিশকে অনুরোধ করি। পরে, আবার ফ্যান, লাইট ইনস্টল করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বঙ্কিমচন্দ্রের দৃষ্টিতে দেবী দুর্গা হলেন স্বদেশমাতা বঙ্গভূমি জননীভূমি

    Durga Puja 2024: বঙ্কিমচন্দ্রের দৃষ্টিতে দেবী দুর্গা হলেন স্বদেশমাতা বঙ্গভূমি জননীভূমি

    ড. সুমন চন্দ্র দাস

    বঙ্গদেশে দুর্গোৎসব (Durga Puja 2024) মাতৃ আরাধনা হল দেশমাতৃকার পুজো। এই দুর্গাদেবী দেশমাতৃকা হলেন বাঙালি সন্তানের প্রসূতি মাতা বঙ্গভূমি বঙ্গপ্রতিমা। এই স্বদেশ দুর্গাদেবী মাতৃকা শুধু বঙ্গদেশের মাতৃভূমি নন, সমগ্র ভারতবর্ষের মাতৃসাধনার প্রকৃত আরাধ্য দেবী এবং শক্তির প্রকাশ। তাই তো বঙ্গভূমি তথা ভারতবর্ষ শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড নয়, এটি ভারতীয় জাতি সম্প্রদায়ের মাতৃভূমি (Bangabhumi Jananibhumi)। দেবীদুর্গা হলেন স্বদেশমাতা তথা ভারতমাতা। ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্রের কাছে দেবী দুর্গার স্বরূপ কেমন ছিল? এই বিষয়ে আলোচ্য প্রবন্ধে মতামত তুলে ধরার চেষ্টা করব। পরাধীন ভারতে দুর্গোৎসবের স্বরূপ কেমন ছিল, তাই এখানে আলোচ্য বিষয়।

    সন্তানপালিনি, দুর্গতি নাশিনি দুর্গা(Durga Puja 2024)

    বঙ্কিমচন্দ্র ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ প্রবন্ধ সংকলনে ‘আমার দুর্গোৎসব’ (Durga Puja 2024) নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। এই প্রবন্ধে কমলাকান্ত আফিম খেয়ে নেশা করে প্রলাপ করলেও মূলত বঙ্গভূমির স্বরূপকে আরাধ্য মৃন্ময়ী দুর্গার চিন্ময়ী বঙ্গজগদ্ধাত্রীকেই সন্ধান করেছেন। কার্যত কমলাকান্ত ভট্টাচার্য আফিম খেলেও সপ্তমীর শারদীয়ায় স্বদেশ মাতৃকার বন্দনাকে পরাধীন ভারতবর্ষের সম্মুখে দ্বেষকদলিনী, সন্তানপালিনি, দুর্গতি নাশিনী, পাপতাপভয়শোকনাশিনী মাতৃশক্তিকে অত্যন্ত ভক্তি দিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ঋষি বঙ্কিমের এই স্বদেশ বঙ্গভূমিতে বঙ্গপ্রতিমার রূপকে শুধু তাঁর সময়ে সীমাবদ্ধ রাখেননি, স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষ তথা একবিংশ শতকের ভারতবর্ষের জন্য এখনও কীভাবে প্রাসঙ্গিক, সেই কথাই তুলে ধরেছেন।

    সাম্রাজ্যের আগ্রাসনে নিমজ্জিত মৃন্ময়ী

    বঙ্গে ধর্ম দর্শন সংস্কৃতি প্রবাহের মধ্যে শাক্ত মত একটি অতি প্রাচীন ধর্মপন্থা। কমলাকান্ত সপ্তমী পুজোর (Durga Puja 2024) দিন প্রতিমা কেন দেখতে গেলেন, এই কথা বলে বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমার স্বরূপ আত্মচৈতন্যকে মন্থন করেছেন। মাকে অন্বেষণ করতে গিয়ে বঙ্গভূমিতে নিজের অস্তিত্ব স্বরূপ বলেন, “কালের স্রোতে দিগন্ত ব্যাপিয়া প্রবলবেগে ছুটিতেছে-আমি ভেলায় চড়িয়া ভাসিয়া যাইতেছি।” এই কালস্রোত হল অনন্ত অকূল অন্ধকার এবং কালসমুদ্রে নিতান্ত একা মাতৃহীন কমলাকান্ত, বঙ্গজননীকে আত্মানুসন্ধান করতে এসেছেন। কিন্তু এই মা কমলাকান্তের কাছে, “আমার জননী জন্মভূমি-এই মৃন্ময়ী মৃত্তিকারূপিনী-অনন্তর-ভূষিতা-এক্ষণে কালগর্ভে নিহিতা।” পরাধীন বঙ্গদেশের বঙ্গপ্রতিমাকে শুধু রাজনৈতিক ভাবে ব্রিটিশ পরাধীনতাকে বিশ্লেষণ করতে অন্ধকার সমুদ্রের কালস্রোতে নিহিত থাকা জননী বঙ্গভূমির কথা বলেননি, বঙ্গভূমিতে বিদেশী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক-ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যের আগ্রাসনে নিমজ্জিত মৃন্ময়ী মৃত্তিকারূপিনী অনন্তরত্নে ভূষিতা প্রতিমাকে স্মরণ করেছেন। কমলাকান্ত সেই বঙ্গদেশের বঙ্গ জননীকে চিনতে চাইছেন, যে মা বিদেশী ধর্ম-সংস্কৃতির রাজনৈতিক শাসনের কবলে বঙ্গদেশরই কালগর্ভে অন্তর্লীন হয়ে আছেন। অন্তর্লীন মা শক্তিকে জাগ্রত করে কালগর্ভ থেকে তুলে এনে বঙ্গজননীকে (Bangabhumi Jananibhumi) প্রতিষ্ঠা করাই হল তাঁর আসল উদ্দেশ্য।

    সুবর্ণময়ী বঙ্গপ্রতিমা

    দুর্গোৎসবের (Durga Puja 2024) এই মা হলেন দশভূজা, তাঁর পদতলে শত্রু নিস্পিড়ীনে নিযুক্ত। এই মূর্তি নানা প্রহরণপ্রহারিণী শত্রু মদ্দিনী, বীরেন্দ্রপৃষ্ঠবিহারিনী, দক্ষিণে লক্ষ্মী বামে বিদ্যাজ্ঞানমূর্তিময়ী সঙ্গে বলরূপী কার্তিক এবং কার্যসিদ্ধিরূপী গনেশ উপস্থিত। এই দেবীর স্বরূপ হল, সুবর্ণময়ী বঙ্গপ্রতিমা। উল্লেখ্য এই বঙ্গপ্রতিমার স্বরূপ হল মৃন্ময়ী মৃত্তিকারূপিনী দেবী দুর্গা মা। এই শক্তি রূপী সর্ব মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে হলেন সপ্তমী পুজোর দুর্গা এবং একই সঙ্গে বঙ্গদেশের জননী জন্মভূমি। তাই বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর সমকালে বাঙালি দুর্গোৎসবের দুর্গা মায়ের স্বরূপের স্পষ্ট রূপটিকে ভারতীয়দের মননের অনন্তজলমগ্ন থেকে বিশ্ব-বিমোহিনী মূর্তি জগতের সামনে প্রকাশ করেছেন। দেবী দুর্গার এই হল যথার্থ রূপ। দুর্গোৎসবের দুর্গা মা হলেন বঙ্গ জননীকে স্বদেশ মাতৃকা। বঙ্কিমচন্দ্রের কমলাকান্ত মায়ের দেখা এই রূপ এখনকার পশ্চিমবঙ্গের জন্য ভীষণ ভাবে প্রাসঙ্গিক। বঙ্গদেশের ছয় কোটি বঙ্গ সন্তানের দ্বাদশ কোটি জোড় হাতে নবরাগঙ্গিনি নববল ধারিনি নবদর্পে দর্পিণি নব স্বপ্নদর্শিনি মাকে গৃহে ডাকছেন। এই মা হলেন স্বদেশ চেতনার বিশেষ চৈতন্য।

    মায়ের প্রকাশই বঙ্গভূমি

    এই মাকে বঙ্গদেশের সন্তানরা মা প্রসূতি রূপে ডাকবেন এবং ধাত্রি ধরিত্রি ধনধান্য দায়িকেও ডাকবেন। এই দেবী সিন্ধু পূজিত সিন্ধু-মথনকারিনি, শত্রু বধে দশভূজে দশ প্রহরণ-ধারণি এবং অনন্ত শ্রী কালস্থায়িনি। আবার মাকে বলেছেন, তুমি অনন্ত শক্তি প্রদায়িনি মাতা শক্তি দাও তোমার সন্তানদের। এই শক্তি আরাধনা ও আত্মানুসন্ধান শুধু পরাধীন ভারতবর্ষের চিন্তা চৈতন্যের কালসীমার মধ্যে আবদ্ধ নয়, পাঁচশ বছরের মুসলমান শাসন, দুইশ বছরের ইংরেজ শাসন, চৌত্রিশ বছরের বামপন্থী শাসন এবং তের বছরের তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনের পরও পশ্চিমবঙ্গে প্রাসঙ্গিক। বঙ্গভূমি বঙ্গপ্রতিমা জননীকে উত্থান করতে হবে। বাংলাদেশে উগ্র মুসলমান ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে দুর্গাপুজো প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। তাই বঙ্কিমের বঙ্গের স্বরূপ কতটা সুরক্ষিত সেটাও প্রাসঙ্গিক।  

    না হয় ডুবিব মাতৃহীনের জীবনে কাজ কি?

    সাংস্কৃতিক সামাজিক ধর্মীয় রাজনৈতিক পরাধীনতা থেকে বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমাকে মুক্ত করতে তাই দেবী দুর্গার শক্তি সাধনা হল স্বদেশ বঙ্গভূমি দেশমাতৃকার সাধনা। এই সপ্তমীতে শারদীয়া দেবী শক্তির আরাধনা হল স্বদেশ বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমার সাধনা। এই সাধনাই যথার্থ সাধনা। তাই বলেছেন “না হয় ডুবিব মাতৃহীনের জীবনে কাজ কি? আইস, প্রতিমা তুলিয়া আনি..।” এই উক্তি নিছক শুধুমাত্র মাতৃ আরাধনার শক্তি নয়, এটি হল এক রাষ্ট্র ভাবনার স্বদেশ মাতার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভাবনা। মাতৃভূমির স্বাধীনতা জাতীয়তাববোধ সার্বভৌমত্ব আত্ম অভিমান এবং স্বদেশ গৌরবের প্রতীক স্বরূপ বঙ্গদেশ তথা অখন্ড ভারত রাষ্ট্রের কল্পনা এই দুর্গোৎসবের দেবী আরাধনায় লুকিয়ে আছে। এই দেবী দুর্গার মাতৃসাধনা (Durga Puja 2024) পরবর্তী কালে দেশমাতৃকার বন্দনা স্বরূপ সারা ভারতবর্ষে বন্দেমাতরম্ ধ্বনিতে মুখরিত হয়। আজকের পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের জাতীয়তাবাদী ঐক্যের মূলমন্ত্র দেবী দুর্গার বন্দনা।

    স্বধর্মকে বঙ্গদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে

    বঙ্কিমচন্দ্রের সময়কার শুধু পরাধীন ভারতবর্ষেই নয়, স্বাধীনতা উত্তর পচাত্তর বছর পরেও জাতীয়তাবাদী দেশমাতৃকার আরাধনা-বন্দনা এখনও প্রাসঙ্গিক। বঙ্গদেশ অর্থাৎ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে দেশমাতৃকার আরাধনায় দশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী (Durga Puja 2024) শক্তিকে করা দরকার। তাই বঙ্কিমের লেখা আজও প্রাসঙ্গিক। সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ কমিউনিস্ট রাজনীতি এই দেবী দুর্গার শক্তি সাধনার রূপকে বিকৃত করেছে। হিন্দু পূজাচারকে ‘শুভ শারদীয়া’ নামকরণ করেছে। স্বদেশমাতা বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমাকে জননী না বলার অপচেষ্টা বঙ্গভূমি তথা ভারতভূমির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই বিষয় আজ থেকে ১৮০ বছর আগেই বঙ্কিমচন্দ্র স্বয়ং বুঝতে পেরেছিলেন। তাই বঙ্গের বাঙালি সমাজকে দেবী শক্তির উপাসনা ও বঙ্গজননীর সাধনাই একমাত্র সঠিক পথ। তাই এই বঙ্গভূমির সংস্কৃতি ধর্ম ও দর্শনকে কালের সমুদ্রে ডুবে থাকা পাঁক থেকে উদ্ধার করতে বঙ্কিমচন্দ্রের ভাবনায় উজ্জীবিত হতে হবে। দেবী দুর্গার চিন্ময়ীরূপকে বঙ্গভূমির স্বদেশ জননীর বন্দনার দ্বারাই পূর্ণতা আসবে। বাঙালি সমাজ সংস্কৃতি ও স্বধর্মকে বঙ্গদেশে (Bangabhumi Jananibhumi) পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আর এই বঙ্গদেশর বঙ্গভূমিতে বঙ্গপ্রতিমা হল স্বদেশ ভারত মাতা। দেবী দুর্গার আহ্বানে সকল অশুভ শক্তির পরাজয় ঘটুক শুভ শক্তির উদয় ঘটুক। 

    বন্দে মাতরম্‌

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘নির্যাতিতার চোখে আঘাত কী করে হল’? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

    Supreme Court: ‘নির্যাতিতার চোখে আঘাত কী করে হল’? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানিতে উঠে এল নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের প্রসঙ্গ। এদিন সিবিআই দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল। সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্টে নির্যাতিতার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তা দেখে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন।

    শুনানিতে ২০০ জন আইনজীবী (Supreme Court)

    এদিন দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার চতুর্থ শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ ফের ওই ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। শুনানিতে ৪২টি পক্ষের ২০০-র বেশি আইনজীবী অংশ নেন। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় ওঠে আদালতে। দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তা দেখেই নির্যাতিতার চোখের আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে এটি হল?

    সোমবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ স্টেটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে জানিয়েছে, তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে সিবিআই। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, ‘সিবিআই তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তারা তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাক। ‘তবে এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, চশমার কারণে চোখে জখম হয়েছে। কিন্তু সে সময় কি তিনি চশমা পরে ছিলেন?” সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। তুষার জানান, ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে চশমা ভাঙা অবস্থায় পড়েছিল পাশে।

    প্রভাবশালীদের সাসপেন্ড করার আর্জি

    এরপরই জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “দেবাশিস সোমের ভূমিকা কী ছিল সেটা দেখা হয়নি। উনি উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ এবং মলয় চট্টোপাধ্যায় এবং কলেজের প্রধানের ঘনিষ্ঠ।” তুষার মেহেতা বলেন, “দেবাশিস সোমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে।” প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “কে দেবাশিস সোম?” এডুলজি জানান, আরজি কর নির্যাতিতার ফরেন্সিক টিমের অন্যতম ডাক্তার দেবাশিস সোম। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং বলেন, “পুলিশ আসারও আগে ৪ জন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁদের কয়েকজন মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য। যাঁদের আসার কোনও কারণ ছিল না সেখানে। আমরা বলতে চাই এটা শুধু ধর্ষণ এবং খুন নয়। এমনকী রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য পৌঁছে যান।” আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, “যাঁরা ওখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখনও ক্ষমতার জায়গায় রয়েছেন। সেখান থেকেই থ্রেট কালচারের কথা আসছে। ওই ব্যক্তিদের কি তদন্ত চলা পর্যন্ত সাসপেন্ড করা যায়?”

    কী নির্দেশ দিল কোর্ট?

    প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, এবং ক্ষমতাসীন থেকে যাঁরা তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। তবে সিবিআই রাজ্যকে সহযোগিতা করবে, এরকম কোনও ব্যক্তির তথ্য তারা পেলে।”রাজ্যের তরফেও আদালতে আশ্বস্ত করা হয়, তদন্তকারী সংস্থা নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, কেউ যত প্রভাবশালীই হোন, সিবিআই তাঁদের নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিসিটিভি বসানোর কাজে কতদূর এগিয়েছে রাজ্য। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এই তথ্যই জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এদিন আরজি করকাণ্ড (RG Kar case) মামলার শুনানি হচ্ছিল শীর্ষ আদালতে। সেখানেই সিসিটিভি ইনস্টলেশনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

    রাজ্যের জবাব (Supreme Court)

    শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, যা প্রস্তাব ছিল, তার ২৬ পারসেন্ট সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে বাকিটা লাগানো হবে। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্যই যে কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে, এদিন তাও জানান রাজ্যের আইনজীবী। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশ ছিল, রাজ্য সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী টেন্ডার বেরনোর ১৪দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।

    কাজ শেষের আশ্বাস

    এদিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ২৮টি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো ও শৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ হয়ে যাবে। প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) নির্দেশ, রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার জন্য কাজ শেষ করতে সময় লাগছে।” তিনি আরও বলেন, “৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলব।” রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, আরজি কর হাসপাতালের ডিউটি রুমের টেন্ডার হওয়ার পরেও কাজ আটকে রয়েছে। সিবিআই ছাড়পত্র দিলেই কাজ শুরু করা যাবে। সিবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ঘটনার পরে পাঁচ দিন কাজ হয়েছে। তাই এখন আর তাদের কোনও আপত্তি নেই।

    আরও পড়ুন: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    এদিকে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে দিন দুই আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে ওই হাসপাতালের কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরেই (RG Kar case) সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হয় (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shashanka: বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম হিন্দু রাজা শশাঙ্ক, তাঁর রাজ্যাভিষেক থেকেই বাংলা সাল গণনা শুরু

    Shashanka: বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম হিন্দু রাজা শশাঙ্ক, তাঁর রাজ্যাভিষেক থেকেই বাংলা সাল গণনা শুরু

    বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম হিন্দু রাজা শশাঙ্ক

    ড. সুমনচন্দ্র দাস

    বৃহৎ বঙ্গদেশের প্রথম সার্বভৌম বাঙালি রাজা হলেন শশাঙ্ক (Shashanka)। তবে তাঁর সম্পর্কে ঐতিহাসিকরা স্বল্পবিস্তর তথ্য সন্ধান করতে পেরেছিলেন। প্রাচীন রোহিতাশ্বরের গিরিগাত্রে ‘শ্রীমহাসামন্ত শশাঙ্ক’ এই নাম খোদাই করা আছে। তিনি ছিলেন শৈবভক্ত হিন্দু রাজা এবং গৌড়ের নরপতি (Hindu king of Bengal)। এই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকেই বঙ্গের প্রথম মহাসামন্ত হিসেবে উল্লেখ করা যায়। তাঁর সময়কাল আনুমানিক মনে করা হয় খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতকের শেষ। তাঁর রাজ্যাভিষেকের দিন থেকেই হিন্দুশাস্ত্র মতে সৌর মাসের শকাব্দ গণনা শুরু হয়। পরবর্তীতে বাংলা সনের বঙ্গাব্দ ক্যালেন্ডার ও গণনার কালানুক্রম ধরা হয়। কিন্তু তাঁকে বীর বাঙালি রাজা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় উপেক্ষা করা হয়েছে।

    উত্তরে কামরূপ থেকে দক্ষিণে উৎকল পর্যন্ত সাম্রাজ্য (Shashanka)

    খুব স্পষ্ট করে বলা যায়, অনুমানিক ৬০৬ খ্রিষ্টাব্দে নিজের স্বাধীন সাম্রাজ্যের অধিপতি হন এই হিন্দু রাজা। তাঁর রাজধানী ছিল বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার কর্ণসুবর্ণ নামক জায়গায়। এই জায়গাটি এখনও প্রাচীন সাম্রাজ্যের ইতিহাস বহন করে চলেছে। রাজ্য বিস্তারে তিনিও বিরাট কীর্তিমান ছিলেন। তাঁর রাজ্য দক্ষিণে বর্তমান মেদিনীপুর জেলার দন্ডভুক্তি, উৎকল, গঞ্জাম, কোঙ্গোদ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। আবার পশ্চিমে বারাণসী পর্যন্ত আধিপত্য ছিল। একাধিক তাম্র শাসন থেকে জানা যায়, উত্তরের কামরূপ রাজ্যের সুস্থিত বর্মণের মৃত্যুর পর তাঁর দুই পুত্র সুপ্রতিষ্ঠিত বর্মণ এবং ভাস্কর বর্মণ গৌড়ের সৈন্যদের হাতে বন্দি হয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দিন পরেই আবার তাঁদের মুক্ত করে দেন এই গৌড়ের রাজা। তবে এই সম্পর্কে ইতিহাসকারেরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি। কিন্তু অনুমানকে আশ্রয় করা হলেও মহাসেনগুপ্তের সামন্ত হিসেবে যে শশাঙ্কের (Shashanka) কথা পাওয়া যায়, তাতে তিনিই প্রথম বাঙালি রাজা ছিলেন। তিনি উত্তর থেকে দক্ষিণে এত বড় সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন। আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প মতে, মাত্র ১৭ বছর রাজত্ব করেছিলেন তিনি। এই তথ্য ঠিক নয়, কারণ হিউ-এন-সাং ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দের আগেই মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। কিন্তু শশাঙ্কের প্রচলিত তাম্রশাসন যে পাওয়া গিয়েছিল, তাতে ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। ফলে তাঁর জীবনকাল নিয়ে ঠিক করে আরও গবেষণা প্রয়োজন। 

    ইতিহাসে মিথ্যা কথন

    আর্যাবর্তে বাঙালির সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রথম নায়ক রাজা শশাঙ্ক (Shashanka)। রাজা শশাঙ্ক সম্পর্কে হিউ-এন-সাং বর্ণিত তথ্যে রয়েছে, তিনি কুশিনগর বৌদ্ধ বিহার থেকে বৌদ্ধদের বিতাড়িত করেন, পাটলিপুত্রের বুদ্ধের পদচিহ্ন অঙ্কিত প্রস্তরখণ্ড জলে ফলে দেন এবং গয়ার বোধিবৃক্ষ ছেদন করে আগুন দেন। এমনকী বলা হয়, বুদ্ধদেবের মূর্তি ভাঙার সময় শরীরে ক্ষত হলে পরবর্তী কালে মারা যান সেই রোগেই। এখন প্রশ্ন হল, এই শৈব রাজা যদি সম্পূর্ণভাবে এতটাই বৌদ্ধ বিদ্বেষী হতেন, তাহলে নিজের কর্ণসুবর্ণ রাজধানীর কাছে বিরাট রত্নমৃত্তিকা বৌদ্ধ মহাবিহার কেন অক্ষত ছিল? সেই সঙ্গে আরও ১০টি মহাবিহারের কীভাবে অস্তিত্ব ছিল? অপর দিকে বাণভট্ট নিজের কাব্যে এই শৈব রাজাকে একাধিকবার গৌড়াধম, গৌড়ভূজঙ্গ বিশেষণে মন্তব্য করেছেন। তাই রাজ্যবর্ধনের হত্যা প্রসঙ্গে যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি ইতিহাসের পাতায়। শশাঙ্ক (Hindu king of Bengal) সম্পর্কে আরও নিবিড় পাঠের প্রয়োজন।

    ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মত

    বানভট্ট ‘হর্ষচরিত’-এ এবং চৈনিক পর্যটক হিউ-এন-সাং রাজা শশাঙ্কের (Hindu king of Bengal) সম্পর্কে যেসব কথার উল্লেখ করেছেন, তাতে তাঁর সম্পর্কে কলঙ্ক লেপন হয়েছে মাত্র। তাই ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার, “বাংলাদেশের ইতিহাস”-বইতে বলেছেন, “বাণভট্টের মত চরিত লেখক অথবা হিউ-এন-সাংয়ের মতো সুহৃদ লেখক থাকলে হর্ষবর্ধনের মতো তাঁহার খ্যাতিও চতুর্দিকে বিস্তৃত হতো। কিন্তু অদৃষ্টের নিদারুণ বিড়ম্বনা তিনি স্বদেশে অখ্যাত ও অজ্ঞাত এবং শত্রুর কলঙ্ক-কালিমাই তাঁহাকে জগতে পরিচিত করিয়াছে।”

    তাম্রশাসনের শিলালিপি

    রাজা শশাঙ্কের (Shashanka) জারি করা তিনটি তাম্রলিপি পাওয়া গিয়েছে। মেদিনীপুর থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল এই উপাদনগুলি। এগরা এবং খড়গপুরের কাছে এই তাম্রশাসন পাওয়া গিয়েছিল। একই ভাবে বর্তমান মেদিনীপুরে অবস্থিত শরশঙ্কা নামে একটি বিশাল দিঘি আবিস্কার হয়েছে। মূলত জলের সঙ্কট দূর করতে প্রজাদের কল্যাণের জন্য এই জলাধার তৈরি করেছলেন রাজা শশাঙ্ক। মোট জমির মাপ ছিল ১৪০ একরের বেশি। এর মধ্যেই হিন্দু বাস্তুশাস্ত্র, কারিগরি বিদ্যা, স্থাপত্য এবং নান্দনিকতার স্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিখ্যাত ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় শশাঙ্ককে নিয়ে একটি  ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনাও করেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ১৯১৪ সালে। আদতে বাঙালির রাজা কতটা সুশাসক ছিলেন, সেই দিকেই আলোকপাত করেছেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিচয় ফাঁস! নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিচয় ফাঁস! নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ড (RG Kar) নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহের মধ্যে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হল আরজি কর-কাণ্ডের শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এদিন শুনানি হয়।

    কী ঘটেছে সুপ্রিম কোর্টে?(RG Kar)

    এদিন আরজি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) উঠতেই নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার শীর্ষ আদালতকে জানান, এই ঘটনা নিয়ে একটি শর্ট ফিল্ম মুক্তি পেতে চলেছে। তাতে প্রধান বিচারপতি স্পষ্টই জানিয়ে দেন, তাঁরা এই ছবির মুক্তি আটকাতে চাইলে যেন আইনি পদক্ষেপ করা হয়। মিনিস্ট্রি অফ ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেকনোলজির অফিসারের মাধ্যমে সেই কাজ করার কথাও ওঠে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    কেন্দ্রকে নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ

    আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্টকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, আমরা আগেই এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিলাম। এখন আইন কার্যকর করার দায়িত্ব যাদের, তারা সেই কাজ করবে। আইনজীবী এর জবাবে বলেন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতিতার নাম-ছবি দিয়ে পোস্ট করা চলছে। এ ব্যাপারে কি একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা যায়! কৌঁসুলি করুণা নন্দী বলেন, হিন্দি গানের সঙ্গে রিলস তৈরি চলছে। এর জবাবে কেন্দ্রকে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

    সমাজ মাধ্যমে নির্যাতিতার ছবির প্রসঙ্গ

    বৃন্দা গ্রোভার বলেন, “চিঠি নিয়ে সিবিআই পদক্ষেপ করেছে। নির্যাতিতার ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউটিউব মুভিতেও এই কাণ্ড উঠে এসেছে। আগামিকাল তা মুক্তি পাবে। যেখানে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার জীবনের ওপর আধারিত এই ছবি।” সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “নির্যাতিতাকে (RG Kar) এভাবে অপমান করার অবসান হোক।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমস্ত মিডিয়া পোস্টের ব্যাপারে যোগাযোগ করুক।”  

    ছবি মুক্তি পিছিয়ে গেল!

    আগামী বুধবার অর্থাৎ ২ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার কথা রাজন্যা হালদার এবং প্রান্তিক চক্রবর্তীর ওই শর্ট ফিল্মের। কিন্তু এদিন আরজি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠতেই সেটা নিয়ে চর্চা হয়। এদিনই ছবির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রান্তিকরা। এত কিছুর মধ্যে প্রান্তিক চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, তাঁরা এখনই এই ছবির মুক্তি দিচ্ছেন না। বরং পিছিয়ে যাচ্ছে আগমনী: তিলোত্তমাদের ছবির মুক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    ED: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির (ED) জালে পড়ে জেল ঘুরে এসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার জালে পড়ে গারদে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। এবার কী কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী (Karnataka CM) কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়ার পালা? উঠছে প্রশ্ন। কারণ সিদ্দারামাইয়া ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের (মানি লন্ডারিং) মামলা দায়ের করতে চলেছে ইডি।

    মামলা দায়ের করতে চলেছে ইডি (ED)

    গত ১৬ অগাস্ট কর্নাটকের গভর্নর থাওয়ারচাঁদ গেহলট মাইসুরু আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (মুডা) সাইট বরাদ্দ কেলেঙ্কারির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিচারের জন্য অনুমোদন দেন। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। সূত্রের খবর, আজ, সোমবার কিংবা মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইসিআইআর দায়ের করতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই কর্নাটকের লোকায়ুক্ত পুলিশে দায়ের হয়েছে এফআইআর। ইডির এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “পিএমএলএতে মামলা দায়ের হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ফর্মালিটিজ পূরণ করার পর দায়ের হবে মামলা।” ইডি মামলা দায়ের করলে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তি অ্যাটাচও করা হতে পারে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হতে পারে। এদিকে সিবিআইকে দেওয়া সম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার।

    কেজরি, সোরেন…

    ইডির (ED) জালে পড়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেলে থাকলেও, মুখ্যমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পান কেজরি। তার পরেই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেনও। জামিনে বন্দিদশা ঘুঁচেছে তাঁরও। ফিরেই ফের দখল করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। তা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে কম জলঘোলা হয়নি।

    আরও পড়ুন: ভোটপর্বে বদলিদের ফেরানো হয়নি এখনও! ‘পুলিশি আন্দোলন’-এর উত্তাপ ভবানী ভবনে

    প্রসঙ্গত, কর্নাটক লোকায়ুক্ত পুলিশ সম্প্রতি সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী বিএম পার্বতী, তাঁর ভগ্নিপতি মল্লিকার্জুন স্বামী ও পূর্বতন জমির মালিক দেবরাজুকে দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। অভিযোগগুলি ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর নামে ১৪টি মুডা আবাসন প্লট বরাদ্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রসঙ্গত, সমাজকর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণার দায়ের করা (Karnataka CM) অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত (ED)।

    সিদ্দারামাইয়ার জেলযাত্রা কী স্রেফ সময়ের অপেক্ষা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajasthan: থর মরুভূমির বুকে ৮০ মিটার উঁচু, ৯৯টি বুরুজের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে সোনার কেল্লা!

    Rajasthan: থর মরুভূমির বুকে ৮০ মিটার উঁচু, ৯৯টি বুরুজের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে সোনার কেল্লা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের থর মরুভূমির বুকে এক সোনালি শহর জয়সলমের (Rajasthan)। কথিত আছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যে কোনও সময় যাদবকুলের কোনও এক বংশধর এখানে এই ত্রিকূট পাহাড়ের ওপর তাঁর রাজধানী স্থাপন করবেন। পরবর্তী কালে যাদব বংশীয়া রাজপুত রাজা রাওয়াল জয়সওয়াল তাঁর প্রাচীন লোদাবার দূর্গ পরিত্যাগ করে এখানে ত্রিকুট পাহাড়ের ওপর রাজধানী নির্মাণ করেন। এই জয়সওয়াল নাম থেকেই স্থানের নাম হয়েছে জয়সলমের। তৎকালীন সময়ে এই কেল্লার নাম ছিল জয়সলমের কেল্লা। বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি ‘সোনার কেল্লা’-র পরেই এই কেল্লা ‘সোনার কেল্লা’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

    বাস করেন রাজ পরিবারের সদস্যরা (Rajasthan)

    বালিপাথরে তৈরি বলেই দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় কেল্লার দেওয়াল সহ অন্যান্য অংশ সোনার মতো উজ্জ্বল দেখায়। তাই এর নাম হয়েছে সোনার কেল্লা। কেল্লাটি ৮০ মিটার উঁচু, ৯৯টি বুরুজের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। কেল্লায় প্রবেশের জন্য চারটি প্রকাণ্ড প্রবেশপথ আছে (Jaisalmer)। সেগুলি হল ১) অক্ষয় পোল ২) গণেশ পোল ৩) হাওয়া পোল এবং ৪) সুরজ পোল। রাজ পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে বাস করেন বাদল মহল, রানা মহল, গজবিলাস এবং মোতি মহলে। বাদল মহল থেকেই দেখা যায় এক সুন্দর পাথরের স্তম্ভ। এখানে রয়েছে প্রাচীন এবং বর্ণাঢ্য তাজিয়া। এছাড়াও দেখে নেওয়া যায় ৩০০ বছরের প্রাচীন মহারাজ রাওয়াল গজ সিংয়ের মন্ত্রী সেলিম সিং-এর হাভেলি, পাটোয়া কি হাভেলি প্রভৃতি।

    স্যাম স্যান্ড ডিউনস

    ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে ঘুরে নেওয়া যায় জয়সলমের (Rajasthan) থেকে প্রায় ৪২ কিমি দূরে একেবারে থর মরুভূমির বুকে স্যাম স্যান্ড ডিউনস থেকেও। উটের পিঠে চড়ে এসে এই স্যামে টেন্টে থেকে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় আঞ্চলিক নৃত্যগীতের অনুষ্ঠান দেখতে আনন্দ অনুভব করবেনই।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    যাতায়াত –কলকাতা থেকে সরাসরি জয়সলমের যাচ্ছে হাওড়া-জয়সলমের (Rajasthan) এক্সপ্রেস। এছাড়াও বাস আসছে ২৮৫ কিমি দূরের যোধপুর, ৩৩৩ কিমি দূরের বিকানীর থেকেও। থাকা খাওয়া-জয়সলমেরে আছে আরটিডিসি (R.T.D.C)-র দুটি হোটেল, ১) হোটেল মুনাল, ফোন-০২৯৯২-২৫২৩৯২, ০৯৪৬৮৫৫৬৩৩৪ এবং ২) হোটেল শ্যামধানী (ফোন ০৯৪৬৮৫৫৬৩৩৪)। এছাড়াও রয়েছে সত্যজিৎ রায়, জে পি দত্ত সহ বলিউড, টলিউড এবং দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র জগতের বহু বিখ্যাত মানুষের পদধূলিধন্য হোটেল প্রিন্স (Hotel Prince)। এদের সম্পূর্ণ বাঙালি পরিচালিত রেস্তোরাঁ এবং স্যামে থাকার জন্য টেন্ট আছে। যোগাযোগ-০৯৪১৪১৪৯১০৫, ০৭০১৪৩৯৭০০৯, ০৯৯২৮২৭৩০৩০), কিলা ভবন (০২৯৯২২৫১২০৮), হোটেল অশোক (০৩৯৯২২৫৬০২১)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ

  • Siraj Mohammed Khan: “মুসলমান হওয়ায় ভারতে কখনও অপমানিত হইনি”, অকপট পাকিস্তানির ভারতীয় স্ত্রী

    Siraj Mohammed Khan: “মুসলমান হওয়ায় ভারতে কখনও অপমানিত হইনি”, অকপট পাকিস্তানির ভারতীয় স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুসলমান হওয়ার জন্য ভারতে কোনও দিন অপমানিত হয়নি।” অকপটে কথাগুলো বললেন সিরাজ মহম্মদ খানের (Siraj Mohammed Khan) স্ত্রী। বাইশ বছর ধরে ভারতে রয়েছেন সিরাজ (Pakistan)। স্বদেশে তাঁকে ‘কাফের’ (বিধর্মী) বলে দেগে দেওয়া হয়েছে। ভারতে দিব্যি ছিলেন তিনি।

    ভুল করে ভারতে আসা (Siraj Mohammed Khan)

    সিরাজের বয়স ৩৮। ছোটবেলায় ভুল করে ভারতে ঢুকে পড়েন তিনি। দিল্লিগামী সমঝোতা এক্সপ্রেসে করে ১৯৯৬ সালে ভারতে চলে আসেন। খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলের বাসিন্দা সিরাজ করাচি দেখবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। ভুল করে চড়ে পড়েন ভারতগামী ট্রেনে। তার পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সিরাজ ঘুরে বেড়িয়েছেন দিল্লি, মুম্বই এবং আমেদাবাদ। জীবনের ২২টা বছর সিরাজ কাটিয়েছেন মুম্বইয়ে। বিয়ে করেছেন এক ভারতীয়কে। স্ত্রীর নাম সাজিদা। তার পর ভারতকে ভালোবেসে ‘ভারতীয়’ই হয়ে গিয়েছেন সিরাজ।

    পাকিস্তানে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা

    স্বদেশে ফিরে তাঁর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে ভেবেছিলেন সিরাজ। গিয়েওছিলেন ২০১৮ সালে। সেখানে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তিনদিন লাগাতার জেরা করার পর সিরাজকে মনসেরায় তাঁর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে যেতে দেওয়া হয়। সিরাজ জানান, আত্মীয়-স্বজন তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেন। তাঁকে কাফের, হিন্দু মায় ভারতীয় চরের তকমাও দেন তাঁর আত্মীয়-স্বজন। পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ নিতে এসেছেন বলে অভিযোগ করতে শুরু করেন সিরাজের (Siraj Mohammed Khan) নিজের ভাই।

    আরও পড়ুন: ভয়েই মৃত্যু নাসরাল্লার! ইজরায়েলি হানায় নিহত হিজবুল্লা প্রধানের দেহ উদ্ধার

    ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন সিরাজের স্ত্রী। ভারতীয় বলে সিরাজের বাড়ির লোক তাঁদের বাসনকোসন ব্যবহার করতে দেননি তাঁদের। সিরাজ যাতে তাঁকে তালাক দেন, সেজন্য ব্রেনওয়াশও করা হতে থাকে। সাজিদা বলেন, “ওঁরা আমার গায়ের রং নিয়েও কটূক্তি করেন।” তিনি বলেন, “আমাদের বলা হয় মুসলমানদের জন্য নিরাপদ নয় ভারত। তবে পাকিস্তানে নিজের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে যে ঘৃণা আমরা পেয়েছি, ভারতে তা কল্পনাও করতে পারিনি।” ভারতীয় হওয়ায় সিরাজের ছেলেমেয়েদের সে দেশের স্কুলে ভর্তি নেওয়া হয়নি। স্ত্রী, ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভারতেই ফিরতে চান সিরাজ। কিন্তু সেজন্য মোটা টাকা ঘুষ চাওয়া হয়েছে। অগত্যা পাকিস্তানেই (Pakistan) কষ্টে দিন কাটছে ভারতীয় সিরাজের (Siraj Mohammed Khan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘‘সাংসদকে খুঁজেই পাচ্ছেন না মানুষ’’, বন্যা-কবলিত ঘাটালে গিয়ে দেবকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘সাংসদকে খুঁজেই পাচ্ছেন না মানুষ’’, বন্যা-কবলিত ঘাটালে গিয়ে দেবকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি আর জলাধারের ছাড়া জলে বন্যা বিধ্বস্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘাটাল সাব ডিভিশন। বন্যা দুর্গতদের মানুষের কাছে পৌঁচ্ছে ত্রাণ বিলি করলেন বিজেপির বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি, তৃণমূল সাংসদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দেবের এলাকায় গিয়ে কটাক্ষও করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

    তৃণমূল সাংসদকে কটাক্ষ (Sukanta Majumdar)

    বন্যা (Flood) বিধ্বস্ত মানুষদের মধ্যে ত্রিপল, শুকনো খাবার বিলি করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। ঘুরে দেখলেন এলাকাও। পরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘাটালের সাংসদকে এলাকার মানুষ খুঁজেই পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আমরা এখানে চাল, ডাল, শুকনো খাবার এবং ত্রিপল পলিথিন দিতে এসেছি।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যেখানে খোদ আইএএস অফিসারের স্ত্রী সুরক্ষিত নন, সেখানে রাজ্যের সাধারণ মহিলারা কীভাবে রয়েছেন তা আপনারা বুঝতেই পারছেন।’’ ঘাটালের পাশাপাশি হুগলির আরামবাগের খানাকুল ২ ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ধান্যগোড়ি ও মাড়োখানা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে এখনও বন্যার জল পুরোপুরি নামেনি। বাকি পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে জগৎপুর, রাজহাটি ১, পলাশপাই ১ ও চিংড়া পঞ্চায়েত এলাকার দু’তিনটি মৌজাতেও জল রয়েছে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    রাজ্যকে তোপ সুকান্তর

    দুর্গতদের ত্রাণ দিতে এসে বন্যা পরিস্থিতির জন্য রাজ্যকেই দুষলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘গত এক বছরে রাজ্যের কোথাও বাঁধ মেরামতি হয়নি। এক বছর আগেও বন্যাকে মুখ্যমন্ত্রী ‘ম্যান মেড’ বলেছেন, এ বারও বলছেন। কিন্তু সেই ‘ম্যান মেড’ বন্যা আটকাতে কী কাজ করেছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না।’’ রাজ্যের নিজস্ব জলাধারগুলি থেকেও গত ১০ বছরে কোথাও পলি তোলা হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।

    তৃণমূলকে আক্রমণ

    আরামবাগের মায়াপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দলীয় মঞ্চ থেকে কয়েকশো মানুষকে ত্রিপল ও শুকনো খাবার বিলি করেন সুকান্ত। সেখান থেকে খানাকুলের বন্যাবিধ্বস্ত তালিত গ্রামে যান (Sukanta Majumdar)। সুকান্ত বলেন, ‘‘টাকা-পয়সার বিনিময়ে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের মদতেই এ সব হয়েছে। আমপানের ক্ষতিপূরণের জন্য পাঠানো হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের সঙ্গে কী রকম সম্পর্ক রাখবেন, আগে সেটা ঠিক করুন।”  তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি পলাশ রায়ের দাবি, “রাজ্য নদী সংস্কার করেছে, পলি তুলেছে, বাঁধেরও সংস্কার করেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share