Tag: Bengali news

Bengali news

  • Murshidabad: নবাবিয়ানার সাক্ষ্য ও ঐতিহ্য়! মুর্শিদাবাদ যেন ইতিহাস ও শিল্পশৈলীর মেলবন্ধন

    Murshidabad: নবাবিয়ানার সাক্ষ্য ও ঐতিহ্য়! মুর্শিদাবাদ যেন ইতিহাস ও শিল্পশৈলীর মেলবন্ধন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা-বিহার-ওড়িশার শেষ স্বাধীন রাজধানী মুর্শিদাবাদ। ৫৪ বছরের নবাবিয়ানার সাক্ষ্য ও ঐতিহ্য বহন করে চলা এই মুর্শিদাবাদের প্রতিটি ধূলিকণায় মিশে রয়েছে সেই অতীত দিনের ইতিহাসের গন্ধ। মুর্শিদাবাদের প্রধান দ্রষ্টব্য হাজারদুয়ারি। ১৮৩৭ সালে বৃটিশ স্থপতি স্যার ডানকান ম্যাকলয়েডের নকশায় নগদ সাড়ে ষোল লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সুরম্য প্রাসাদটি গড়ে তোলেন নবাব নাজিম হুমায়ূন জা। গথিক শিল্পশৈলীতে গড়া প্রাসাদটির ১০০০টি দরজা থাকার জন্য এর নাম হয়েছে হাজারদুয়ারি। তবে এই হাজারটি দরজার মধ্যে ৯০০টি দরজাই নকল। আসল দরজা কিন্ত ১০০টি। প্রাসাদের অভ্যন্তরে রয়েছে মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে নবাব, আমির-ওমরাহদের ব্যবহৃত পালঙ্ক, তৈজসপত্র, পোশাক প্রভৃতি। এখানকার আর্ট গ্যালারিতে রয়েছে মার্শাল, টিটো প্রমুখ বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা অসাধারণ সব ছবি। হাজারদুয়ারি প্যালেস মিউজিয়ামের অন্যতম সেরা আকর্ষণ এখানকার অস্ত্রাগারটি। সেই সময় ব্যবহৃত ২৯০০০-এরও বেশি অস্ত্রশস্ত্র এখানে প্রদর্শিত হয়েছে।

    মদিনা, ঘণ্টা মিনার এবং বাচ্চেওয়ালি তোপ

    ১৩০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৬১ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট এই প্যালেসটির ২৪ মিটার উঁচু পঙ্খের কাজ করা গম্বুজটিও আকর্ষণীয়। হাজারদুয়ারি প্রাসাদের বিপরীত দিকেই রয়েছে ইমামবাড়া। পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ এই ইমামবাড়াটি ১৮৪৭ সালে নগদ ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন নবাব নাজিম ফেরাদুন জা। হাজারদুয়ারির প্রাঙ্গণেই রয়েছে সিরাজের তৈরি মদিনা, ঘন্টা মিনার এবং বাচ্চেওয়ালি তোপ। সুবিশাল এই কামানটি ১৬৪৭ সালে ঢাকার বিশিষ্ট লৌহ শিল্পী জনার্দন কর্মকার তৈরি করেন। কামানটির ওজন ৭৭০০ কেজি, দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট। এটি একবার দাগতে বারুদ লাগত ১৮ সের। কাছেই জাফরাগঞ্জ মকবারায় রয়েছে নবাব মীরজাফর সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের মোট ১১০০ সমাধি। ২ কিমি দূরে মহিমাপুরে রয়েছে আজিমুন্নেসা বেগমের সমাধি। সামান্য দূরত্বে নসীপুরে দেবী সিং-এর রাজবাড়ি। এখানেও আছে মিউজিয়াম। আছে ফাঁসিঘর, নাটমঞ্চ, নবগ্রহের মন্দির প্রভৃতি।

    কাটরা মসজিদ

    মুর্শিদাবাদের পরবর্তী আকর্ষণ কাঠগোলা বাগান। ধনকুবের লক্ষ্মীপত সিং দুগ্গর এই বাগান ও প্রাসাদ, মন্দির নির্মাণ করেন। কাজেই জগৎ শেঠের বাড়ি ও মিউজিয়াম। মুর্শিদাবাদের অন্যতম সেরা দ্রষ্টব্য কাটরা মসজিদ। এখানে রয়েছে নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ-র সমাধি। এর কাছেই তোপখানায় রয়েছে জাহানকোষা কামান। একই সঙ্গে দেখে নেওয়া যায় মোতিঝিল, আখড়া প্রভৃতিও। 
    ভাগীরথীর পশ্চিম তীরে রয়েছে খোশবাগ। এখানেই চির নিদ্রায় শায়িত রয়েছেন নবাব আলীবর্দী খাঁ, বাংলা-বিহার-ওড়িশার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী লুৎফান্নেসা। এপাড়েই রয়েছে একান্ন সতীপীঠের অন্যতম কিরীটেশ্বরী মন্দির, ডাহাপাড়া জগদ্বন্ধু ধাম, বড়নগরে রানী ভবানীর ১৮ শতকে তৈরি মন্দিরগুলি, ফারহাবাগ প্রভৃতিও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    কলকাতা থেকে ট্রেনে মুর্শিদাবাদের দূরত্ব ১৯৭ কিমি। যাচ্ছে ১৩১০৩ ভাগীরথী এক্সপ্রেস, কলকাতা স্টেশন থেকে যাচ্ছে ১৩১১৭ ধনধান্য এক্সপ্রেস, শিয়ালদা স্টেশন থেকে যাচ্ছে লালগোলা প্যাসেঞ্জার প্রভৃতি ট্রেন। থাকা খাওয়া-এখানে ঘোরাঘুরির সুবিধার জন্য হাজারদুয়ারীর আশেপাশে থাকাটাই সুবিধাজনক। হাজারদুয়ারীর কাছেই রয়েছে হোটেল অন্বেষা এবং হোটেল হিস্টোরিকাল (দুটির ফোন নম্বর ৯৪৩৪১১৫৪৭০, হোটেল ফ্রেন্ডস এবং হোটেল পাপিয়া (৯৭৩২৬০৯০৮৪), হোটেল যাত্রিক (৯৭৩৩৯৭৫০২৪, ৬২৯৬৫১৯৭৩৯) প্রভৃতি। আর ঐতিহাসিক স্থান ঘোরাঘুরি করার জন্য প্রয়োজন হয় উপযুক্ত এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইডের। গাইডের জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ৯৪৭৫৬৪৮৮৯ অথবা ৯৭৭৫৮৫৬৭০৫ নম্বরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    Supreme Court: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! ভরা আদালতে আইনজীবীর আচরণে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে ভাষা নিয়ে আইনজীবীকে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আইনজীবী যে ভাষায় উত্তর দেন, তাতে কার্যত বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেছেন। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘এটা আদালত। কোনও ক্যাফে নয়।”

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Supreme Court)

    সোমবার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) ২০১৮ সালের একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেই মামলায় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে রেসপন্ডেন্ট হিসেবে যুক্ত করেন আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI Chandrachud) প্রশ্ন করেন, কোনও জনস্বার্থ মামলায় বিচারপতিকে কী ভাবে যুক্ত করা যেতে পারে? সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারায় ওই ধরনের মামলা করা যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই ধারা প্রযুক্ত হচ্ছে না, মনে করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তার উত্তরেই ওই আইনজীবী বলেন ওঠেন, ‘‘ইয়া ইয়া.. তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন গগৈ। আমি মামলা করছিলাম…’’। এখানেই ওই আইনজীবীকে থামিয়ে দেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ধমক দিয়ে তিনি বলে ওঠেন, ‘‘এটা কোনও ক্যাফে নয়। ইয়া ইয়া আবার কী ভাষা! এতে আমার অ্যালার্জি আছে। আদালতের মধ্যে এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে দেওয়া যায় না।’’ ওই আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘বিচারপতি গগৈ এই আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি। তাঁর বেঞ্চে আপনি সাফল্য পাননি বলে এখন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে আপনি জনস্বার্থ মামলা করতে পারেন না।’’

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    আইনজীবী কী বললেন?

    আইনজীবী উত্তরে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আমার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। আমার কোনও দোষ নেই। আমি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরকেও বলেছিলাম শ্রম আইন সংক্রান্ত আবেদন শোনা হোক। কিন্তু সেটাও খারিজ হয়ে যায় আইনজীবীর এই বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার সময় কোনও বিচারপতির বিরোধিতা করা যায় না।’’ প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আবেদনকারীকে বিচারপতি গগৈর নাম বাদ দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: মৃৎশিল্পী না হয়েও সুদর্শন দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করে নজির গড়লেন এক কলেজ পড়ুয়া!

    Durga Puja 2024: মৃৎশিল্পী না হয়েও সুদর্শন দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করে নজির গড়লেন এক কলেজ পড়ুয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাজুয়েশন করার পর নিজের শিল্পসত্ত্বাকে ধরে রাখতে চান নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ বছর বয়সি যুবক সৌম্যদীপ মণ্ডল। এ বছর দু’ফুট উচ্চতার সুদর্শন দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করে এক অনন্য নজির গড়লেন তিনি। বাবা সন্দীপ মণ্ডল, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। সংসারের হাল ধরতে একমাত্র ছেলে সৌম্যদীপ। চার বছর আগে তিনি বিভিন্ন প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেন। প্রথমে দু’ফুট উচ্চতা, পরে সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার প্রতিমা (Durga Puja 2024) তৈরি করেছিলেন। এরপর সেই প্রতিমা পাড়ি দিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এ বছর আবারও তিনি প্রতিমা তৈরির বরাত পান, কলকাতা নিবাসী এক বাঙালি দুর্গাপ্রতিমা তৈরির বরাত দেন সৌম্যদীপকে। সেইমতো দু’ফুট উচ্চতার প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষ করেছেন সৌম্যদীপ।

    সাজসজ্জার পুরোটাই মাটির (Durga Puja 2024)

    প্রতিমাতে রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। দেবী দুর্গা মহিষাসুর এবং সিংহের সাজসজ্জা, পুরোটাই মাটির তৈরি। পিছনের সুদর্শন চালি, দেবীর দশ হাতের অস্ত্র থেকে শুরু করে পুরোটাই তৈরি করা হয়েছে, মাটির সাজে। সৌম্যদীপের কথায়, ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন আর্ট-এর ওপর ঝোঁক ছিল। স্কুল জীবনে যখন বাড়ি ফিরতেন, কুমোরপাড়ায় গিয়ে প্রতিমা তৈরি করা দেখতেন। এরপর কলেজে পড়াশোনা শুরু করেও সেই নেশা কাটেনি। কুমোরপাড়ায় মৃৎশিল্পীদের তৈরি কাজ নিজের (College Student) চোখে দেখে সেখান থেকেই শুরু হয় প্রতিমা তৈরি করার ইচ্ছে।

    লক্ষ্য শিল্পকে ধরে রাখা

    চার বছর আগে শুরু করেন বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা (Durga Puja 2024) তৈরি। এর আগেও অতি ক্ষুদ্র কালীপ্রতিমা তৈরি করে নজর কেড়েছিলেন। এ বছরও একটি ক্ষুদ্র কালীপ্রতিমা তৈরি প্রায়ই করে ফেলেছেন। আর সেই প্রতিমা পাড়ি দেবে আবারও কলকাতার উদ্দেশে। সৌম্যদীপের বাড়িতে রয়েছে তাঁর মা ও বাবা। একমাত্র সন্তান হিসেবে পরিবারের হাল ধরে রাখতে বিকল্প সৌম্যদীপ ছাড়া আর কেউ নেই। ইতিমধ্যে গ্রাজুয়েশন পাশ করে তাঁর আগামী দিনের লক্ষ্য শিল্পকে ধরে রাখা। আগামীতে তাঁর হাতের ক্ষুদ্র কাজ যাতে বিশ্বের দরবারে পৌঁছায়, সেই চেষ্টাই চালাবেন সৌম্যদীপ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Health: উৎসব মানেই খাবারে অনিয়ম! শরীরের জন্য কতখানি বিপদ ডেকে আনছেন?

    Durga Puja Health: উৎসব মানেই খাবারে অনিয়ম! শরীরের জন্য কতখানি বিপদ ডেকে আনছেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শুরু বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব! দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ। আর বাঙালির উৎসব উদযাপনের সঙ্গে সব সময় জড়িয়ে থাকে বিশেষ খাওয়া-দাওয়া! পুজোর দিনে ভালো খাবার না খেলে বাঙালির উৎসব উদযাপন সম্পূর্ণ হয় না। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ভালো-মন্দ খাবারের সঙ্গে যুক্ত হয় খাবারের সময় এবং পরিমাণ নিয়ে চূড়ান্ত অনিয়ম! যা শরীরের জন্য বাড়তি বিপদ‌ (Durga Puja Health) তৈরি করে।‌ তাই পুজোর দিনে খাদ্যাভ্যাসের পাশপাশি খাবারের সময় এবং পরিমাণ নিয়েও সতর্ক থাকা জরুরি। না হলে বড় রকমের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

    কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে? (Durga Puja Health)

    চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, পুজোর পরেই বহু মানুষ পেটের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষত শিশুদের অনেকেই পেটব্যথা, বমির মতো সমস্যায় ভোগে। আবার পেটের গোলমালও দেখা দেয়। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লাগাতার খাওয়ার জন্য এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর সময়ে অনেকেই অত্যাধিক পরিমাণে চটজলদি খাবার যেমন রোল, চাউমিন, মোগলাই খান। বাদ যায় না বিরিয়ানি থেকে পিৎজা। তাই তিন-চারদিন টানা এই ধরনের খাবার খাওয়ার জেরে লিভার এবং পাকস্থলীর মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। 
    পাশপাশি স্থূলতার সমস্যা তৈরি হতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের চটজলদি খাবার খাওয়ার জেরে শরীরের ওজন অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত যাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা আরও বেশি সমস্যায় (Durga Puja Health) পড়তে পারেন। 
    পুজোর সময়ে অনেকেই সময়মতো খাবার খান‌ না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অন্ত্রের একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুজোর সময়ে অনেক রাত করে তেলমশলা জাতীয় খাবার খান। আর এর জেরেই হজমের মারাত্মক গোলমাল হয়।
    পাশপাশি ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা রোগীদের এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস জটিল পরিস্থিতি তৈরির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের সময়ে বেশি অনিয়ম হলে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠানামা করতে পারে। আর উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় নোনতা খাবার হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই এই ধরনের সমস্যা থাকলে‌ বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    সুস্থ থাকার কী পরামর্শ‌ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন,‌ সুস্থ থাকার জন্য দরকার নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত খাবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর দিনে (Festival) কমবেশি সকলেই অন্য রকম খাবার খাবেন। সব সময় সব কিছু নিয়ন্ত্রণ হয়তো সম্ভব হয় না।‌ তবে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মিষ্টিজাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। পেস্ট্রি, কেক কিংবা মিষ্টি, একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে নানান শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ কোলেস্টেরল যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, দেহে যাতে বাড়তি মেদ তৈরি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি (Durga Puja Health)। 
    তবে‌ এর পাশাপাশি মদ্যপানেও রাশ জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মদ্যপান লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। উৎসবের দিনে অনেকেই অতিরিক্ত মদ্যপান করেন। যা শরীরের হৃদরোগ থেকে লিভারের জটিল অসুখের মতো একাধিক শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই লিভার সুস্থ রাখতে এই দিকগুলো নজরে রাখা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: আস্থা নেই তৃণমূল সরকারে! মমতার সফরের মাঝেই চা শ্রমিকদের পাহাড়-বন‍্‍ধ, দুর্ভোগে পর্যটকরা

    Darjeeling: আস্থা নেই তৃণমূল সরকারে! মমতার সফরের মাঝেই চা শ্রমিকদের পাহাড়-বন‍্‍ধ, দুর্ভোগে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই রবিবার পাহাড়ে বন‍্ধের ডাক দিয়েছিলেন চা শ্রমিকরা। ৮ বছর পর ফের ১২ ঘণ্টার জন্য পাহাড় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ এই বন‍্ধের ডাক দিয়েছিলেন। পাহাড়ের সকল রাজনৈতিক দলই এই বন‍্‍ধকে সমর্থন করেছিল। এমনকী, তৃণমূল কংগ্রেসের শরিক অনীত থাপাও শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকালে দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) এহেন বন‍্ধ রাজ্য সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। ভবিষ্যতে অনীতের অবস্থান কী হবে, সেই নিয়েও জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে।

    কেন বন‍্ধ? (Darjeeling)

    চা শ্রমিকদের (Darjeeling) কল্যাণে মমতা-সরকার কোনও উদ্যোগই নেয়নি বলে অভিযোগ। বরং, যতদিন দিন গিয়েছে, জুটমিল শ্রমিকদের মতো চা শ্রমিকদের দুর্দশা বেড়েই চলেছে। তৃণমূল সরকার হস্তক্ষেপ করে চা শ্রমিকদের স্বার্থে কোনও উদ্যোগই গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। ফলে, যতদিন গিয়েছে তৃণমূল সরকারের ভূমিকায় চা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তত বেড়েছে। পুজোর আগে ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি জানিয়েছিলেন চা শ্রমিকরা। কিন্তু, মালিকপক্ষ জানিয়ে দেয়, ১৩ শতাংশের বেশি বোনাস দেওয়া সম্ভব নয়। এই আবহে রবিবার চা বাগান শ্রমিকদের বোনাসের দাবিতে চতুর্থ বার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয় দাগাপুরের শ্রমিক ভবনে। তবে, সেই বৈঠক ভেস্তে গিয়েছিল। এই আবহে রবিবারই বন‍্ধের ডাক দেওয়া হয়েছিল।  দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং মিরিকে পালিত হয় বন‍্‍ধ।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    আন্দোলনকারীদের কী বক্তব্য?

    আন্দোলনকারী (Darjeeling) নেতা বলছেন, “তরাই-ডুয়ার্সে ২০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। পাহাড়ে এখনও হয়নি। আমরা রবিবারও মিটিংয়ে বসেছিলাম। কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আটটা শ্রমিক সংগঠন মিলে বন‍্ধ ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুঝতে পারছি পর্যটকদের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই।”

    দুর্ভোগে পর্যটকরা

    পুজোর মুখে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে মহা ভোগান্তিতে পর্যটকরা। পাহাড়ে ওঠা নামার সমস্ত রাস্তাই বন্ধ করে দিয়েছেন বন‍্ধ সমর্থকরা। আটকে গিয়েছে সমস্ত গাড়ি। রোহিনীতে গেট আটকে পিকেটিং করছেন বন‍্ধ সমর্থকরা। আটকে পর্যটকরা। ইতিমধ্যেই কার্শিয়াঙে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে। বন‍্ধ হঠাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বন‍্ধ সমর্থকদের। পাহাড়ে (Darjeeling) ওঠার রাস্তা রোহিনী থেকে শুরু হয়, সেই রাস্তা বন্ধ। আটটি শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আটকে পড়ে এক পর্যটক বলেন, “আমাদের কাছে আর কোনও অপশন নেই, পাহাড় থেকে নামার। শিলিগুড়িতে পৌঁছানোর আর কোনও উপায় নেই।” প্রসঙ্গত, বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারই উত্তরকন্যায় বৈঠক করেছেন। তার মধ্যেই এই ধরনের বন‍্ধ রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।

    শ্রমিকদের কী বার্তা দিল অনীতের দল?

    বন‍্ধ প্রসঙ্গে অনীতের দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, “আমরা বন‍্ধের (Strike) বিরোধিতাও করছি না, আবার সমর্থনও করছি না। সোমবার ফের একটা আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। শ্রমিকরা নিজেরাই এই বন‍্‍ধ পালন করতে চাইছে না। এতে আখেরে মালিকদেরই লাভ হবে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। তবে আমরা শ্রমিকদের পাশে রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Police Mass Transfer: ভোটপর্বে বদলিদের ফেরানো হয়নি এখনও! ‘পুলিশি আন্দোলন’-এর উত্তাপ ভবানী ভবনে

    Police Mass Transfer: ভোটপর্বে বদলিদের ফেরানো হয়নি এখনও! ‘পুলিশি আন্দোলন’-এর উত্তাপ ভবানী ভবনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে মাস পাঁচেক আগে (Police Mass Transfer)। ভোটের আগে বদলি করা হয়েছিল প্রায় ৯০০ সাব ইনস্পেক্টরকে (এসআই)। ভোটপর্ব চুকে গেলেও, এখনও তাঁদের ফেরানো হয়নি। তা নিয়ে দিন দশেক আগে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন (Mamata Government) বদলি হওয়া পুলিশ কর্মীদের পরিবার-পরিজনরা। ওয়েলফেয়ারের নামে তৃণমূলের দাদাগিরি নিয়েও সরব হয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ কর্মীদের পরিবারের ক্ষোভের আগুনে জল ঢালতে উদ্যোগী হল ভবানী ভবন। জানা গিয়েছে, বদলি হওয়া সাব ইনস্পেক্টরদের বোঝাতে সোমবার বিকেল ৪টায় ভবানী ভবনের কর্তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবেন ওই সাব ইনস্পেক্টরদের সঙ্গে। পুলিশে নির্দেশ বা আলোচনা হয় ইউনিট হেডের মাধ্যমে। পুলিশি আন্দোলনের ঝাঁঝ যাতে আরও না বাড়ে, তাই তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন পুলিশের বড়কর্তারা।

    পাশে থাকার আশ্বাস বিজেপির (Police Mass Transfer)

    আন্দোলনকারী পুলিশ কর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শৃঙ্খলা বজায় রেখে ওয়েলফেয়ারের থ্রেট কালচার ও চটিচাটা পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে সরব থাকতেই হবে। প্রয়োজনে বিজেপির তরফে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।” বদলি হওয়া সাব ইনস্পেক্টরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মানুষ জেগেছে। আপনাদের বাড়ির মেয়েটিও জেগেছে। এবার আপনাদের জাগতে হবে। স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের দিয়ে অনৈতিক কিছু করানো যাবে না।”

    ল্যাজেগোবরে দশা মমতার

    আরজি করের ঘটনায় চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের (Police Mass Transfer) আন্দোলনের জেরে ল্যাজেগোবরে দশা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। এহেন আবহে পুলিশ কর্মীদের নিজের জেলায় ফেরানোর দাবিতে তাঁদের পরিবার-পরিজনদের বিক্ষোভে সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্য সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ভবানী ভবনের কর্তাদের দিয়ে বদলি হওয়া পুলিশ কর্মীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে তৃণমূল সরকার। তবে এভাবে সমস্যার সমাধান হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের অন্দরেই।

    আরও পড়ুন: “সুসম্পর্ক রাখলে আইএমএফের চেয়েও বেশি সাহায্য পেত পাকিস্তান”, বললেন রাজনাথ

    প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে যাঁদের বদলি করা হয়েছিল, তাঁদের নিজের জেলায় ফেরানোর দাবিতে দিন দশেক আগে ডিজির দেখা করার দাবি জানান তাঁদের পরিবারের লোকজন (Mamata Government)। ঘটনার জেরে ব্যাপক হইচই হয় (Police Mass Transfer)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়। সমবায় ভোটে বিপুল জয়ে উড়ল গেরুয়া আবির। সমবায় সমিতি নির্বাচনে দিশেহারা কার্যত শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দুর নির্বাচনী ক্ষেত্র নন্দীগ্রামে (Nandigram) খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস। সমবায় সমিতি নির্বাচনে প্রতীক না থাকলেও বিজেপি (BJP) সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে হারলেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানসহ প্রার্থীরা।

    ৯টি আসনেই জয়ী বিজেপি (Nandigram)

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ (Nandigram) ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর সমবায় সমিতি। নন্দীগ্রাম সমবায় সমিতি নির্বাচনে ৯টি আসনের মধ্যে ৯টিতেই জয়লাভ করেন বিজেপি (BJP) সমর্থিত প্রার্থীরা। বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভের পর উল্লাসে ফেটে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। ভোটের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই গেরুয়া আবিরে জয় উদযাপন করতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর সমবায় সমিতি নির্বাচন ছিল রবিবার। সমবায় সমিতি নির্বাচনে উত্তেজনা ঘিরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সমবায় সমিতিতে ন’টি আসনে বিজেপি প্রার্থী দেয়। পালটা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ন’টি আসনে প্রার্থী দেয়। নির্বাচনে কোনও প্রতীক না থাকলেও বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের মধ্যে সমবায় সমিতি নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনার মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়। বিকেলে ফলাফল বেরোনোর পর বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা ৯টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনে জয়লাভ করেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সুপর্ণা পণ্ডা পরাজিত হন। তার পরে উল্লাসে মেতে ওঠেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির (BJP) জেলা কমিটির সদস্য সুপর্ণা পড়্যা বলেন, “৯টি আসনের (Nandigram) ৯টিই বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন। আমরা মনোনয়নের দিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে এখানে বিরোধী শূন্য করব। কারণ, এই মাটি আমাদের বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। এখানে দুর্নীতিবাজদের কোনও জায়গা নেই।” তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “এটা তো অরাজনৈতিক নির্বাচন। এখানে তো রাজনৈতিক কোনও প্রতীক থাকে না। আর এই সমবায়ের মধ্যে যে বুথগুলি পড়ে ২০২১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যও বিজেপি (BJP)। সুতরাং এখানে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে তৃণমূলের থেকে। তবে এই নির্বাচনের রায় আমরা মাথা পেতে নিচ্ছি। মহম্মদপুর সমবায় সমিতি একটা ঐতিহ্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, তা রক্ষার দায়িত্ব মানুষ ওদের দিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel attack: হিজবুল্লার পর ইজরায়েলের নিশানায় ইয়েমেনি হুথি, বিমান হামলায় তছনছ জঙ্গি-ঘাঁটি!

    Israel attack: হিজবুল্লার পর ইজরায়েলের নিশানায় ইয়েমেনি হুথি, বিমান হামলায় তছনছ জঙ্গি-ঘাঁটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেবানানে জঙ্গি নিধনের পর রণংদেহি মুডে ইজরায়েল (Israel attack)। হিজবুল্লার প্রধান নেতা নাসারুল্লা সহ আরও ২০ জন শীর্ষ কমান্ডারকে খতম করার পর, এবার ইজরায়েলি সেনার নিশানায় ইয়েমেনের হুথি (Yemen Houthi) জঙ্গিরা। প্রায় ১৮০০ কিমি দূরত্ব পার করে হামলা চালিয়েছে ইহুদি যুদ্ধবিমান। সমুদ্র বন্দর এবং হুথিদের গোপন আস্তানা তছনছ হয়ে গিয়েছে। ইয়েমেনে ইজরায়েলি যুদ্ধ বিমানের হামলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে পশ্চিমের দুনিয়ায়।

    শত্রুদের উপর হামলা লাগাতার চলবে (Israel attack)

    হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসারুল্লা হত্যার দুই দিন পর, ইজরায়েলের (Israel attack) সামরিক বাহিনী রবিবার ঘোষণা করেছে, যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইয়েমেনে (Yemen’s Houthis) বেশ কয়েকটি হুথি জঙ্গির গোপন আস্তানায় হামলা করা হয়েছে। ইয়েমেনের রাস ইসা এবং হুদাইদাহ অঞ্চলে এই হামলা হয়েছে। ইহুদি সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়, সাম্প্রতি হুথিরা তাদের দেশে হামলা করেছিল, আর তার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ এই হামলা হয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বিবৃতি দিয়ে বলেন, “দূরত্ব যাই হোক না কেন আমাদের শত্রুদের উপর হামলা লাগাতার চলবে। বার্তা খুব স্পষ্ট, আমাদের জন্য কোনও জায়গাই খুব বেশি দূরে নয়।” উল্লেখ্য ইয়েমেন থেকে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইজরায়েলি বিমান বাহিনীর একটি কমান্ড-কন্ট্রোল রুম থেকে হামলা পর্যবেক্ষণ করার পরে নিজের অফিস থেকে এই বিবৃতি প্রকাশ করেছেন গ্যালান্ট।

    হুথিরা সারা বছর হামলা করে থাকে

    ইজরায়েলের (Israel attack) সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, “আমাদের মূলত লক্ষ্যবস্তুতে ছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং তেল আমদানির জন্য ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। হুথিরা এই অঞ্চলেই ইরানের সঙ্গে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের আদানপ্রদান করত। নিয়মিতভাবে, হুথিদের জঙ্গি কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ মদত দিয়ে থাকে ইরান। ইজরায়েলি গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে আক্রমণ করা হয়েছে। হুথিরা শুধু গত মাসেই নয়, সারা বছরই ইজরায়েলকে লক্ষ্য হামলা করে থাকে।” আবার ‘দ্য জেরুজালেম পোস্ট’ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর ৭ অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলে অসংখ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করে চলেছে হুথিরা। গত শনিবারও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেল আবিব সহ মধ্য ইজরায়েল জুড়ে। আতঙ্কের সাইরেন বেজে উঠেছিল। হুথি এবং হিজবুল্লা উভয়ই হামাসকেও সমর্থন করে থাকে। ইজরায়েল গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।

    আরও পড়ুনঃ “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    লেবানন, ইয়মেনের বিস্তৃত অঞ্চলে ভয়ঙ্কর রূপ

    ইজরায়েলের (Israel attack) বিমান হামলা হিজবুল্লার সিনিয়র কমান্ডার সহ আরও অনেকে নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে নাসরাল্লার ডান-হাত ব্যক্তি ফুয়াদ শুকর, রাদওয়ান ফোর্সের প্রধান ইব্রাহিম আকিল এবং অন্যান্য আরও অনেকে। রবিবার হিজবুল্লা একটি বিবৃতিতে স্বীকার করেছে যে দক্ষিণ লেবাননে শীর্ষ কমান্ডার আলি কারা শুক্রবার নিহত হয়েছে। হিজবুল্লাকে লক্ষ্য করে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া হামলার প্রভাব লেবাননের সীমান্ত ছাড়িয়ে ইয়মেনের (Yemen’s Houthis) বিস্তৃত অঞ্চলেও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ‘সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা হয়েছে, বদলে দেওয়া হয়েছে রক্তের নমুনা, ঘর’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    RG Kar Case: ‘সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা হয়েছে, বদলে দেওয়া হয়েছে রক্তের নমুনা, ঘর’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রতিবাদী হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তথ্য-প্রমাণ লোপাট করে তদন্তকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে পুলিশ— এই দাবিতে পুলিশমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে লালবাজার ও স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিল বিজেপি। এবার বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, “তিলোত্তমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এক জায়গায়, আর তারপর দেহ সরিয়ে ফেলা হয়েছে অন্য স্থানে।” শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, বদলে দেওয়া হয় রক্তের নমুনা, পোশাক। নষ্ট করা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ।

    ‘বদলাপুরে রামনাম সত্য করে দিয়েছে পুলিশ’ (RG Kar Case)

    সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সিবিআই-এর পেশ করা রিপোর্টে প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তদন্তকারী সংস্থা জানায় এই হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Case) বৃহৎ ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, চিকিৎসক তরুণীর নির্মম হত্যার বিচারের দাবিতে রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে বিরাট মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “উত্তরপ্রদেশে একটা ঘটনা এলে যোগীজি কী করেন দেখতে পাচ্ছেন। অসমেও এমন ঘটনার যোগ্য দৃষ্টান্ত পেয়েছি। পুকুরে চুবিয়ে চুবিয়ে জল খাইয়েছে পুলিশ। মহারাষ্ট্রে আমাদের সরকার, বদলাপুরে রামনাম সত্য করে দিয়েছে পুলিশ। আর একটা অদ্ভুত রাজ্যে আমরা বাস করি যেখানে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের সুরক্ষা নেই। টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করার পর ডাক্তার বোনকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়।”

    আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    ‘ভাবতে পারেন কোন রাজ্যে আমরা রয়েছি

    একই ভাবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “কী অদ্ভুত, ঘটনায় (RG Kar Case) অভিযুক্ত হিসেবে গ্রফতার একজন রাজ্য সরকারের নিরাপত্তারক্ষী সিভিক ভলান্টিয়ার। তার সঙ্গে জেলে রয়েছেন টালা থানার ওসি এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। রক্ষকের হাতেই শিকার হচ্ছেন এই রাজ্যের মহিলারা। ভাবতে পারেন আপনারা আক্রান্ত হলে কোথায় যাবেন? থানায় নিশ্চই, অথচ থানার ওসি নিজেই মামলায় অভিযুক্ত। আরজি করের ঘটনা নজিরবিহীন, বিরল থেকে বিরলতম। সিবিআইয়ের রিপোর্ট পড়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত ডিস্টার্ব’। ভাবুন রিপোর্টে কী আছে। আমি বলছি, একটা ঘরে অত্যাচার হয়েছে আর অন্যঘরে নিয়ে গিয়ে দেহ রাখা হয়েছে। জামা কাপড় বদলে দেওয়া হয়েছে। রক্তের নমুনা বদলে দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ভাবতে পারেন কোন রাজ্যে আমরা রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Case: সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) ইস্যুতে প্রতিবাদের আন্দোলন অব্যাহত। আজ, সোমবার অভয়াকাণ্ডের শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আর আগের রাতে, রবিবার ফের ন্যায় বিচারের (Justice) দাবিতে কলকাতার রাজপথে মশাল মিছিল করতে দেখা গেল জুনিয়র ডাক্তারদের। তবে শুধু কলকাতায় নয়, একই সঙ্গে জেলায় জেলায় এই আন্দোলন লক্ষ্য করা গিয়েছে। মিছিলে যোগদান করেন নাগরিক সমাজও। সম্প্রতি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা ক্ষোভের আগুনে যেন ঘি ঢেলেছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে সুপ্রিম-শুনানির পর ফের পূর্ণ কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    ন্যায় বিচারের দাবিতে মশাল হাতে প্রতিবাদ (RG Kar Case)

    গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে কর্তব্যরত এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ প্রথম থেকেই এই হত্যাকে ‘আত্মহত্যার তত্ত্ব’ বলে চালাতে চেয়েছিল। ময়নাতদন্তে মিলেছে একাধিক অসঙ্গতির চিত্র। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পুলিশের হাত থেকে চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। অভয়ার ন্যায় বিচারের (Justice) দাবিতে ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে জুনিয়র ডাক্তাররা বিক্ষোভ, মিছিল, আন্দোলন, ধর্না করে চলেছেন। জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা জানিয়ে ১০ দফা দাবি রেখেছিলেন। দাবি মানবে বলে রাজ্য সরকারেরে আশ্বাস মেলায় জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের কর্মবিরতিকে আংশিক ভাবে তুলেও নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও সাগর দত্ত হাসপাতালে ডাক্তারদের উপর বহিরাগতরা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর প্রতিবাদে রবিবার জুনিয়র ডাক্তাররা সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষার দাবিতে রাজপথে মহামিছিল করেন। মিছিলে যোগদান করেন নাগরিক সমাজ। মিছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যায়। এসএসকেএম, এনআরএস থেকেও জুনিয়র ডাক্তাররা মিছিলে যোগদান করেছিলেন। একই ভাবে পথ চলতি মানুষ এবং পুজোর কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।

    সাগর দত্তে কর্মবিরতি

    এই মহামিছিলে যোগদান করেন ডাক্তারদের প্রতিবাদী মুখ অনিকেত মাহাতো। তিনি এদিন হাতে মশাল নিয়ে রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের ভূমিকায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সাগর দত্তের মতো ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে নিরাপত্তা আপসের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির (RG Kar Case) পর ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দেব আমরা।” অপর দিকে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজেও ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করে। হাতে মশাল নিয়ে ডানলপ পর্যন্ত মিছিল করেন। প্রতিবাদী এক ডাক্তার বলেন, “অভয়ার বিচার চেয়েছিলাম, আমাদের নিরাপত্তা চেয়েছিলাম এখনও পেলাম না। এর মধ্যেই হামলার শিকার হলাম। আমাদের আবার পথে নামতে হল।”

    আরও পড়ুনঃ জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকির ‘শাস্তি’, হুমায়ুনকে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করার নিদান শুভেন্দুর

    সাতটি মিছিলে ছয়লাপ মহানগর!

    মোট সাতটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতাল থেকে মিছিল হয় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত। মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিছিল হয় ধর্মতলা পর্যন্ত। এসএসকেএম থেকে মিছিল যায় ধর্মতলায়। এনআরএস থেকে মিছিলের গন্তব্য ধর্মতলা ছিল। ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট পর্যন্ত মিছিল হয়। সাগর দত্ত হাসপাতাল থেকে ডানলপ পর্যন্ত যায় মিছিল। আর কেপিসি হাসপাতাল থেকে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যায় একটি মিছিল। উল্লেখ্য এই শেষের মিছিলে স্লোগান ওঠে ‘আজাদি আজাদি, কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান। ডাক্তারদের এই মিছলের স্লোগান নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্কের দানা বেঁধেছে। রাজনীতি মুক্ত আন্দোলনের কথা বললেও এই স্লোগান যে রাজনীতি মুক্ত নয়, তা ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share