Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    PM Modi: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানবতার সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সমবেত শক্তির ওপর। তা কখনওই যুদ্ধক্ষেত্রে নয়।” সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations Summit) মঞ্চ থেকে তামাম বিশ্বকে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিউইয়র্কে ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বশান্তির বার্তা বিশ্ববাসীর কানে পৌঁছে দিতে এই মঞ্চটাকেই বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী। এবং বললেন, “মানবতার সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সমবেত শক্তির ওপর, যুদ্ধক্ষেত্রে নয়।”

    বিশ্বশান্তির পক্ষে সওয়াল মোদির (PM Modi)

    বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের সংস্কারের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। গত দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সোমবারই লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লার ঘাঁটিতে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে ইজরায়েল। এহেন প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই অভিমত আন্তর্জাতিক মহলের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বশান্তি ও সুরক্ষায় একদিকে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ, আবার সাইবার, মহাকাশ-সহ বিরোধের একাধিক নয়া ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে। এসব দিকে নজর রেখে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ অবশ্যই হওয়া প্রয়োজন আন্তর্জাতিক উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সংস্কারই প্রাসঙ্গিকতার মূল। নয়াদিল্লি সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০-তে স্থায়ী সদস্যপদ প্রদান এদিকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।”

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ 

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে রয়ে গিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। সাইবার, সামুদ্রিক ও মহাকাশের মতো ক্ষেত্রগুলি নয়া সংঘাতের ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এই সব বিষয়ে আমি জোর দেব যে বৈশ্বিক পদক্ষেপকে অবশ্যই বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।”

    আরও পড়ুন: সিএএ-র পক্ষে জোরালো সওয়াল মুসলিম মহিলার, কী বললেন জানেন?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রযুক্তির নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের এমন বৈশ্বিক ডিজিটাল শাসনব্যবস্থা প্রয়োজন, যা জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামোকে বৈশ্বিক কল্যাণের জন্য একটি সেতু হতে হবে, বাধা নয়।” ভারত তার ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো পুরো বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে প্রস্তুত বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (United Nations Summit)। তিনি (PM Modi) বলেন, “ভারতের জন্য এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ, একটি অঙ্গীকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘করেননি ক্লাস, মানেননি নিয়ম’! ডিনের চিঠিতে প্রকাশ্যে পিজি-তে অভীকের দৌরাত্ম্য

    RG Kar: ‘করেননি ক্লাস, মানেননি নিয়ম’! ডিনের চিঠিতে প্রকাশ্যে পিজি-তে অভীকের দৌরাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) ধৃত সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ অভীক দে-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সামনে এল। জানা গিয়েছে, পিজি (এসএসকেএম) হাসপাতালে নিজের ক্ষমতার দেখিয়ে যা খুশি করতেন। কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করতেন না। করতেন না ক্লাস। দিতেন না অ্যাটেনডেন্স। অথচ, তাঁর বিরুদ্ধে কারও কথা বলার সাহস ছিল না। তাঁর দাপটের কথা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar)

    চিকিৎসক পড়ুয়া অভীক দে-র বেনিয়মের আরও নজির প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার। আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক খুনের আগের দিন থেকেই পিজিতে গরহাজির ছিলেন অভীক দে। গত ৮ অগাস্ট ওই খুনের ঘটনা ঘটে। তার আগের দিন থেকে গোটা মাস, এমনকী সেপ্টেম্বরেও কলেজে অনুপস্থিত তিনি। অভীক দে এসএসকেএমের জেনারেল সার্জারি বিভাগের স্নাতকোত্তর পড়ুয়া বা পিজিটি। তাই গত ৪ সেপ্টেম্বর পিজি হাসপাতালের ডিন অভিজিৎ হাজরা বিষয়টি লিখিতভাবে জানান রাজ্যের তৎকালীন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে। সেই চিঠি সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে। সেই চিঠিতে অভীকের গরহাজিরার খতিয়ান দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর নানাবিধ অনিয়মের কথাও চিঠিতে তুলে ধরে ডিন লেখেন, ‘এমন বেনজির পরিস্থিতিতে পিজি-কে এর আগে পড়তে হয়নি।’ কোনও রকম ‘ইন্টিমেশন’ ছাড়াই যে অভীক ডিউটি করছেন না, ক্লাস করছেন না, সে কথা জেনারেল সার্জারি বিভাগ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর জানার পরেই এই চিঠি লেখেন ডিন। স্বাস্থ্য-অধিকর্তার থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ চান তিনি।

    আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    ডিনের চিঠিতে কী কী উল্লেখ রয়েছে?

    স্বাস্থ্য ভবন (RG Kar) সূত্রের খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখে এর কিছু দিন পরেই অভীককে (Avik Dey) সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। কী কী অনিয়মের কথা তুলে ধরা হয়েছে ডিনের লেখা চিঠিতে? ২০২৪-এর ২০ ফেব্রুয়ারি জেনারেল সার্জারির পিজিটি হিসেবে অভীক কাজে যোগ দিলেও তিনি স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করার নিয়মটি মানেননি। ইতিমধ্যে ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও থিসিসের সিনপসিস জমা দেননি অভীক। এমনকী, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-এর নিয়ম মেনে আধার যুক্ত বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স সিস্টেমেও নিজেকে রেজিস্টার করাননি তিনি। ফলে তাঁর হাজিরা এত দিন পরেও শূন্য। ডিন অফিস থেকে পিজিটি-দের সচিত্র পরিচয়পত্রও তোলেননি। এতগুলি অনিয়মের সাক্ষী, এর আগে পিজি কর্তৃপক্ষ কখনও হননি বলেও চিঠিতে দাবি করেছেন ডিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ত্রিদেবের তেজ থেকে উদ্ভব হল অষ্টাদশভূজা এক নারীমূর্তির, ইনিই মাতা কাত্যায়নী

    Durga Puja 2024: ত্রিদেবের তেজ থেকে উদ্ভব হল অষ্টাদশভূজা এক নারীমূর্তির, ইনিই মাতা কাত্যায়নী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ের কোলে ঘন অরণ্য ঘেরা এক ঋষির আশ্রম। কাত্য গোত্রধারী ওই ঋষির নাম কাত্যায়ন। দীর্ঘদিন তিনি মাতা অম্বিকাকে (Durga Puja 2024) নিজের কন্যা রূপে পাওয়ার জন্য তপস্যায় রত ছিলেন। পুরাণে কথিত আছে, দেবী তাঁর এই তপস্যায় প্রসন্ন হয়েছিলেন এবং তাঁকে এরূপ বর দিয়েছিলেন যে, যখন দেবতাদের প্রয়োজন হবে, তখন তিনি তাঁর কন্যা রূপে অবতীর্ণ হবেন। বামন পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুরের কাছে স্বর্গরাজ্য হারিয়ে বিতাড়িত দেবতারা শরণাপন্ন হয়েছিলেন ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই ত্রিদেবের তেজ থেকে উদ্ভব হয় অষ্টাদশ ভূজা এক নারীমূর্তির, ইনিই মাতা কাত্যায়নী। নবরাত্রির মহাষষ্ঠীর দিন আরাধিতা হন দেবী কাত্যায়নী। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে সমস্ত দেবগণ নিজেদের অস্ত্র দ্বারা সাজাতে শুরু করলেন মাতা কাত্যায়ানীকে। শিব দিলেন তাঁর ত্রিশূল, ভগবান বিষ্ণু প্রদান করলেন তাঁর সুদর্শন চক্র, অগ্নি দিলেন শক্তি, বায়ু দিলেন ধনুক, সূর্য দিলেন তীরভরা তূণীর, ইন্দ্র দিলেন বজ্র, কুবের দিলেন গদা, ব্রহ্মা দিলেন অক্ষমালা ও কমণ্ডলু, কাল দিলেন খড়্গ ও ঢাল এবং বিশ্বকর্মা দিলেন কুঠার ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এইভাবে সমস্ত দেবতা তাঁদের অস্ত্র তুলে দিলেন দেবীর হাতে মহিষাসুর বধের নিমিত্তে।

    মহিষাসুরের সঙ্গে দেবীর যুদ্ধ (Durga Puja 2024)

    পুরাণে কথিত আছে, এরপর দেবী (Durga Puja 2024) গেলেন মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। মহিষাসুরের দু’জন চর দেবীকে দেখে মহিষাসুরের নিকটে গিয়ে তাঁর রূপ বর্ণনা করলেন। দেবীর রূপে মুগ্ধ মহিষাসুর দেবীকে লাভ করতে চাইলেন। মাতা কাত্যায়নী তখন শর্ত দিলেন যে, তাঁকে লাভ করার পূর্বে যুদ্ধে পরাস্ত করতে হবে। শুরু হল মহিষাসুরের সঙ্গে মাতা কাত্যায়নীর এক প্রবল যুদ্ধ। মাতা কাত্যায়নী ছিলেন তাঁর বাহন সিংহের ওপর সওয়ার, অন্যদিকে মহিষাসুর ছিলেন মহিষের রূপে। পুরাণে আরও উল্লেখ রয়েছে, যুদ্ধ চলাকালীন মাতা কাত্যায়নী (Mata Katyayan) পা দিয়ে তীব্র আঘাত করেন ওই ছদ্মবেশী মহিষকে। আঘাতে মহিষাসুর ধরাতলে পতিত হলে, মাতা কাত্যায়নী তাকে ত্রিশূল দ্বারা বধ করেন। এভাবেই মাতা কাত্যায়নী হয়ে ওঠেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। যে মহিষাসুরমর্দিনীকে কেন্দ্র করেই প্রতি বছর সম্পন্ন হয় দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। যে মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব প্রত্যেক মহালয়ার ভোরবেলায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে আমরা শুনতে পাই। পুরাণ অনুযায়ী, দেবতারা যুদ্ধ শেষে মাতার কাত্যায়নীর উদ্দেশে পুষ্পবৃষ্টি করেন। রম্ভাপুত্র মহিষাসুরের অত্যাচারে যে দেবতারা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন, তাঁরাই আবার স্বর্গরাজ্যের অধিকার ফিরে পেলেন মাতা কাত্যায়নীর কৃপায়।

    শাক্তরা মনে করেন, মাতা কাত্যায়নী যোদ্ধাদেবী, ঠিক মাতা চণ্ডী বা ভদ্রকালীর মতোই

    বামন পুরাণে উল্লেখিত এই আখ্যান বরাহ পুরাণ এবং দেবী ভাগবত পুরাণেও একইভাবে উল্লেখ করা আছে। অন্যদিকে কালিকা পুরাণ অনুযায়ী, দেবী কাত্যায়নী তিনবার মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। আদি সৃষ্টিকল্পে অষ্টাদশভূজা উগ্রচণ্ডী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। দ্বিতীয় সৃষ্টিকল্পে ষোড়শভুজা ভদ্রকালী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। আবার তৃতীয় সৃষ্টিকল্পে দশভূজা দেবী দুর্গা রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। মহিষাসুর তৃতীয়বার বধ হওয়ার পর দেবীর আশীর্বাদে তিনি চিরতরে দেবীর পদতলে স্থান পান। বেদের অন্য একটি আখ্যান অনুযায়ী, কাত্যায়নী ও মৈত্রেয়ী ছিলেন শতপথ ব্রাহ্মণের রচয়িতা ঋষি যাজ্ঞবল্ক্যের দুই স্ত্রীর নাম। শাক্তরা মনে করেন, মাতা কাত্যায়নী (Mata Katyayan) যোদ্ধাদেবী ঠিক মাতা চণ্ডী বা ভদ্রকালীর মতোই। মহর্ষি পতঞ্জলি রচিত ‘মহাভাষ্য’ গ্রন্থে মাতা কাত্যায়নীকে সৃষ্টির আদি শক্তিরূপে বর্ণনা করা হয়েছে।

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে। মার্কন্ডেয় রচিত ‘দেবী মাহাত্ম্যে’ মাতা কাত্যায়নীর দিব্যলীলার বর্ণনা রয়েছে, এর সাথে সাথে দেবী ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর লীলা বর্ণিত হয়েছে। আবার বৈষ্ণবদের ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর পূজার উল্লেখ পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণে এটি কাত্যায়নী ব্রত নামেই পরিচিত। ব্রজের গোপীরা শ্রী কৃষ্ণকে পতি রুপে পেতে এই ব্রত উদযাপন করত। মাঘ মাস জুড়ে এই ব্রত চলত। যমুনা নদীর তীরে মাতা কাত্যায়নীর মাটির মূর্তি তৈরী করে দীপ, ফল, চন্দন, ধূপ দ্বারা মাতার আরাধনা করার পরম্পরা ছিল উত্তর ভারতে। আবার একই ভাবে মকর সংক্রান্তিতে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল উৎসবে মাতা কাত্যায়নীর পুজো চালু রয়েছে।

    রোগ-ভয়-ব্যাধি সমস্ত কিছু মাতা হরণ করে নেন বলেই ভক্তদের ধারণা

    মাতা কাত্যায়নীর (Mata Katyayani) স্বরূপ শৌর্য, তেজ এবং পরাক্রমের প্রতীক বলেই বিবেচিত হয়। পুরাকালে মাতা কাত্যায়নী যেমন মহিষাসুরকে বধ করে আসুরিক শক্তি তথা অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন, ঠিক একইভাবে ভক্তদের জীবন থেকে সমস্ত অশুভ শক্তিকে তিনি বিনষ্ট করেন এবং আসুরিক যা কিছু প্রবৃত্তি সেটাও তিনি ধ্বংস করেন বলেই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। মাতার এই রূপের উপাসনা করলে সমস্ত অশুভ প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করা যায়, জীবনের সমস্ত বাধাবিঘ্ন দূর হয়, রোগ, ভয়, ব্যাধি সমস্ত কিছু মাতা হরণ করে নেন বলেই ভক্তদের ধারণা। মাতা কাত্যায়নীর ভক্তরা নৈবেদ্যতে মায়েরা (Mata Katyayani) উদ্দেশ্যে মধু নিবেদন করেন। এতে মা সন্তুষ্ট হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: নবরাত্রির সপ্তম দিনে আরাধিত হন মাতা কালরাত্রি, তিনি ভীষণ দর্শনা, এলোকেশী

    Durga Puja 2024: নবরাত্রির সপ্তম দিনে আরাধিত হন মাতা কালরাত্রি, তিনি ভীষণ দর্শনা, এলোকেশী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির সপ্তম দিনে আরাধিত হন মাতা কালরাত্রি (Mata Kalratri)। বাংলাতে প্রচলিত দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমীর (Durga Puja 2024) দেবী তিনি। মাতা কালরাত্রি ভীষণ দর্শনা, এলোকেশী। তাঁর চারটি হাত। ওপরের ডান হাতে আশীর্বাদ, নীচের ডান হাতে অভয় মুদ্রা। বাঁ দিকে ওপরের হাতে খড়্গ এবং নীচের বাম হাতে রয়েছে লোহার কাঁটা। দেবী ত্রিনয়নী এবং তাঁর চোখগুলি গোলাকার। দেবীর গলায় রয়েছে বজ্রের মালা। এই দেবীর বাহন গাধা এবং তাঁর নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ভয়ঙ্কর অগ্নিশিখা নির্গত হয় বলে কথিত আছে। দেবী কালরাত্রি সম্পর্কে অজস্র পৌরাণিক আখ্যান রয়েছে। তিনি চণ্ড-মুণ্ড নামের দুই অসুরকে বধ করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর অপর নাম তাই চামুণ্ডা। দেবী মাহাত্ম্যতে উল্লেখ রয়েছে, শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই দানব ছিল। তারা প্রজাপতি ব্রহ্মার কঠোর তপস্যা করল। খুশি হয়ে প্রজাপতি ব্রহ্মা বর দিতে আবির্ভূত হলেন। দুই দানব বর চাইল যে কোনও পুরুষ যেন তাদের বধ করতে না পারেন। ব্রহ্মা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত বর প্রদান করলেন। দুই অসুর চরম অত্যাচার শুরু করল দেবতাদের ওপর। এই দুজনের সঙ্গে যোগ দিলেন চণ্ড-মুণ্ড নামের আরও দুই অসুর। তাঁদের সঙ্গে এল রক্তবীজ। যাঁর প্রতিটি রক্তবিন্দু মাটিতে পড়লে দ্বিতীয় রক্তবীজ তৈরি হবে। এমনটাই বরদান ছিল তাঁর ওপর প্রজাপতি ব্রহ্মার। এই সমস্ত অসুরদের অত্যাচারে দেবতারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেন। অসুরদের ওপর ব্রহ্মার বরদান সম্পর্কেও দেবতারা অবগত ছিলেন। মুনি-ঋষিদের যজ্ঞ পণ্ড করা, ঋষি কন্যাদের নানা ভাবে লাঞ্ছিত করা এসব কাজ তো চলছিলই। অসুরদের এমন আক্রমণে দেবতারা অবশেষে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হলেন। নিজেদের স্বর্গরাজ্য থেকে তাঁরা বিতাড়িত হলেন।

    দেবতারা শুরু করলেন দেবীর স্তব

    দেবতারা হিমালয়ের কোলে শুরু করলেন দেবীর (Mata Kalratri) স্তব। দেবী মাহাত্ম্যতে এই স্তব সম্পূর্ণ ভাবে উল্লেখ রয়েছে‌, কিছুটা অংশ সংযোজিত করা  হল।

    যা দেবী সর্বভূতেষু বিষ্ণুমাযেতি শব্দিতা 
    নমস্তস্যৈ
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু চেতনেত্যভিধীযতে
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সংস্থিতা
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু নিদ্রারূপেণ সংস্থিতা 
    নমস্তস্যৈনমস্তস্যৈ  নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু ক্ষুধারূপেণ সংস্থিতা .
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ 

    দেবী পার্বতীর কালরাত্রি হয়ে ওঠার কাহিনি

    পুরাণে কথিত রয়েছে, এমন সময় সেখান দিয়ে শিবজায়া দেবী পার্বতী গঙ্গাস্নানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। দেবী তাদের স্তব শুনে বললেন, হে দেববৃন্দ, আপনারা এখানে কার স্তব করছেন? সেই সময় ভগবতী পার্বতীর শরীর থেকে একই রকম দেখতে আর এক জন দেবী বেরিয়ে এলেন। আবির্ভূত হয়ে নব দেবী (Durga Puja 2024) বললেন, দেবতারা আমার স্তব করছেন। এই দেবীই আদ্যাশক্তি জগত মাতা অম্বিকা মহামায়া। তিনি দেবী পার্বতীর কোষ থেকে সৃষ্টি হয়েছেন বলে তার এক নাম কৌশিকী। কথিত আছে, এরপর নাকি দেবী পার্বতী কৃষ্ণবর্ণা হয়ে যান। যাঁকে আমরা কালরাত্রি বলি। ইনি মাতা কালিকা নামেও পরিচিত। পুরাণে আরও উল্লেখিত আছে, দেবী একদিন হিমালয়ে সিংহপৃষ্ঠে বসে মধু পান করছিলেন। এমন সময় চণ্ড আর মুণ্ড নামক দুই দানব দেবীকে দেখতে পেলেন। চণ্ড-মুণ্ড একথা গিয়ে শুম্ভ-নিশুম্ভকে জানালেন। শুম্ভ-নিশুম্ভ সেই দেবীর রূপ বর্ণনা শুনে দেবীকে লাভ করার জন্য আকুল হলেন। সুগ্রীব নামক এক অসুর দেবীর কাছে গেলেন শুম্ভ-নিশুম্ভের দূত হিসেবে। সুগ্রীব হিমালয়ে সেই পর্বত চূড়ায় গিয়ে দেবীকে শুম্ভ-নিশুম্ভের পরাক্রম, ঐশ্বর্যের কথা বলে বিবাহের প্রস্তাব দিলেন। দেবী একথা শুনে হেসে বললেন, আমার প্রতিজ্ঞাটি শোনো। যিনি আমাকে যুদ্ধে জয় করবেন, তিনিই আমার স্বামী হবেন। এরপর শুম্ভ-নিশুম্ভের সেনাপতি ধুম্রলোচন ষাট হাজার সেনা নিয়ে গেলেন দেবীকে পরাজিত করতে। দেবীর তেজে ধুম্রলোচন ভস্মীভূত হলেন। দেবীর সিংহবাহিনী অসুর সেনাকে ধ্বংস করে দিল। শুম্ভ-নিশুম্ভ এরপর চণ্ড-মুণ্ডকে পাঠালেন। চণ্ড-মুণ্ড বহু সেনা, অশ্ব, রথ, হাতি নিয়ে যুদ্ধে এলেন,।তাঁরা হিমালয়ের চূড়ায় হাস্যরত দেবী অম্বিকাকে দেখতে পেলেন। এরপর দেবী চণ্ডিকা তাঁদের দেখে ভীষণ ক্রুদ্ধা হলেন। ক্রোধে তাঁর মুখমণ্ডল কৃষ্ণবর্ণা হলেন। তখন দেবীর কপাল থেকে এক ভীষণ দর্শনা দেবী প্রকট হলেন। সেই দেবী কালিকা বা কালরাত্রি। অতি ভীষণা, ভয়ঙ্করী, কোটর গতা, আরক্ত চক্ষু বিশিষ্টা। সেই ভয়ঙ্করা দেবী ভীষণ হুঙ্কার দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করলেন। কতগুলি অসুরকে দেবী তাঁর চরণ ভারে পিষে বধ করলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ভাবে দেবী অসুরদের ধ্বংস করে ফেললেন। এরপর দেবী তাঁর খড়গ তুলে ‘হং’ শব্দ করে চণ্ডের দিকে ধেয়ে গেলেন। দেবী চণ্ডের চুলের মুঠি ধরে খড়গ দ্বারা এক কোপে চণ্ডের শিরোচ্ছেদ করে ফেললেন। চণ্ড অসুর বধ হল। চণ্ড নিহত হয়েছে দেখে ক্রোধে মুণ্ড দেবীর দিকে ধেয়ে গেলেন। দেবী তাঁর রক্তাক্ত খড়গ দিয়ে আর এক কোপে মুণ্ডের শিরোচ্ছেদ করলেন। চণ্ড-মুণ্ড বধ হতে দেখেই দেবতারা আনন্দে দেবীর জয়ধ্বনি দিতে থাকলেন‌। দেবী মাহাত্ম্য (Durga Puja 2024) অনুযায়ী, চন্ড আর মুণ্ডের ছিন্ন মস্তক নিয়ে দেবী, মহামায়ার কাছে এসে বিকট  হেসে বললেন, “এই যুদ্ধরূপ যজ্ঞে আমি আপনাকে চণ্ড ও মুণ্ড নামের দুই মহাপশুর মস্তক উপহার দিলাম। এখন আপনি নিজেই শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করবেন।” দেবী অম্বিকা তখন বললেন, “হে দেবী, যেহেতু তুমি চণ্ড ও মুণ্ডের বধ করে মাথা দুটি আমার নিকট নিয়ে এসেছ। সেজন্য আজ থেকে তুমি জগতে ‘চামুণ্ডা’ নামে বিখ্যাত হবে।” মাতা কালরাত্রি শুভফলের দেবী (Durga Puja 2024) বলেও অনেকে মনে করেন। তাই মাতার আরেক নাম হল শুভঙ্করী। মাতা কালরাত্রির আশীর্বাদে জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় বলে ভক্তদের ধারণা। মাতার নৈবেদ্যতে গুড় নিবেদন করলে তিনি প্রসন্না হন বলে ভক্তদের বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির পাশাপাশি একাধিক জলাধার থেকে জলছাড়ার ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার (Flood) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই আবহে সাধারণ মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিকল্পনা ও অর্থ বরাদ্দ করেছে তা বাস্তবায়িত করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ায় দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে ২০ সেপ্টেম্বর চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দফতর থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্যে বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বার্তা দেওয়া হল বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    রাজভবনের তরফে কী বার্তা দেওয়া হল? (CV Ananda Bose)

    সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনের (CV Ananda Bose) তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) গুরুতর বিপর্যয়ের জন্য সবরকম সহায়তা প্রদান করে। এই সংক্রান্ত যে তহবিল রয়েছে তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বন্যা মোকাবিলা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তার উল্লেখও করা হয়েছে রাজভবনের পোস্টে। সেখানে বলা হয়েছে, “ভারত সরকার জীবনের এবং সম্পত্তির ওপর বন্যার প্রভাব কমানোর এবং সুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি বন্যা ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির জন্য বন্যার আগে, বন্যার সময় এবং বন্যার পরে গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। গঙ্গা এবং তার উপনদীগুলির পাশ দিয়ে শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করা আবশ্যক। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে নদীর জল উপচে পড়া প্রতিরোধ করার জন্য এই ব্যবস্থা প্রয়োজনীয়। হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলাগুলিতে নদীর বাঁধ শক্তিশালী করা উচিত, যাতে ক্ষতি আটকানো যায়। বন্যার ঝুঁকি কমাতে এবং জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দামোদরের মতো নদীগুলির চ্যানেলাইজেশন করাও উচিত।”

    আরও পড়ুন: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ জানানো হয়েছে

    জাতীয় ও রাজ্য দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল কর্মসূচির কথা জানিয়ে লেখা (CV Ananda Bose) হয়েছে, “১৫তম অর্থ কমিশন জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল (এনডিআরএমএফ) এবং রাজ্য দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল (এসডিআরএমএফ) তৈরি করার সুপারিশ করেছে। ২০২১-২৬-এর জন্য এসডিআরএমএফ-এ ১ লক্ষ ৬০ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া তহবিলের জন্য ৮০ শতাংশ এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রশমন তহবিলের জন্য ৩২ হাজার ৩১ কোটি টাকা (২০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২১-২৬-এ এনডিআরএমএফ-এর বরাদ্দ ৬৮ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের জন্য ৫৪ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা (৮০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন তহবিলের জন্য ১৩ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা (২০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে।” বিশেষ করে মালদার মতো জেলাগুলিতে গঙ্গার ভাঙন-প্রবণ তীরগুলির জন্য প্রাসঙ্গিক, তীব্র ভাঙন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: মানস সরোবরে স্নান করার পরেই পার্বতী হয়ে উঠেছিলেন গৌরবর্ণা, তাই তিনি মহাগৌরী

    Durga Puja 2024: মানস সরোবরে স্নান করার পরেই পার্বতী হয়ে উঠেছিলেন গৌরবর্ণা, তাই তিনি মহাগৌরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে নবরাত্রি, চলছে বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। নবরাত্রির অষ্টম দিনে পূজিতা হন মাতা মহাগৌরী। দেবী মহাগৌরী চতুর্ভূজা। উপরের ডান হাতে রয়েছে ত্রিশূল এবং উপরের বাম হাতে একটি ডমরু। নীচের হাত দুটি অভয়া এবং বরামুদ্রার ভঙ্গিমায় থাকে। মাতা মহাগৌরীর এই রূপে দেবীর বাহন হল একটি ষাঁড়। দুর্গার এই রূপটিকে তাঁর গাত্রবর্ণের কারণে মহাগৌরী বলা হয়। পৌরাণিক মত অনুযায়ী, দেবী শৈলপুত্রী (নবরাত্রির প্রথম দিনে এই মাতা পূজিতা হন) ১৬ বছর বয়সে অসামান্য সুন্দরী এবং গৌরবর্ণা  ছিলেন। এর ফলে তিনি দেবী মহাগৌরী (Mahagauri) হিসেবে পরিচিত হন। তাঁকে শঙ্খ, চাঁদ এবং সাদা ফুলের সাথে তুলনা করা হয়েছে। স্নিগ্ধতা, শুভ্রতার প্রতীক মানা হয় তাঁকে। আরেকটি পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, কালী রূপে মাতা পার্বতীর গাত্রবর্ণ সম্পূর্ণ কৃষ্ণ বর্ণে পরিবর্তিত হয়েছিল। নিজের পূর্ববর্তী বর্ণ ফিরে পেতে মাতা পার্বতী ব্রহ্মার তপস্যায় ব্রতী হয়েছিলেন‌। একাকী গভীর অরণ্য মাঝে, রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, হি‌ংস্র জন্তুদের আক্রমণ-এসমস্ত কিছু উপেক্ষা করেই মাতা পার্বতী তপস্যা করছিলেন। অবশেষে ব্রহ্মা প্রসন্ন হয়ে আবির্ভূত হন এবং মাতা পার্বতীকে বরদান করেন যে মানস সরোবরে স্নান করলেই তিনি পূর্বের বর্ণ ফিরে পাবেন। ব্রহ্মার কথামতো মানস সরোবরে স্নান করার পরেই মাতা পার্বতী তাঁর নিজের পূর্বের গাত্রবর্ণ ফিরে পান, অর্থাৎ পুনরায় গৌরবর্ণা হয়ে ওঠেন। এই গৌরবর্ণা মাতা পার্বতী তখন মহাগৌরী নামে প্রসিদ্ধ হন। অন্য একটি পুরাণ অনুযায়ী, হিমায়লকন্যা (Mahagauri) মাতা পার্বতী ছিলেন গৌরবর্ণা।

    নম্রতা, শুদ্ধতা, পবিত্রতার প্রতীক রূপে পূজিতা হন দেবী মহাগৌরী

    শিবকে স্বামী রূপে, পতি রূপে পাওয়ার জন্য মহর্ষি নারদের পরামর্শ মতো তিনি গভীর তপস্যা শুরু করেন (Durga Puja 2024)। গভীর অরণ্যে, সমস্ত আরাম, সুখ ত্যাগ করে ব্যাপক কৃচ্ছসাধনের মধ্যে দিয়ে এই তপস্যা চলতে থাকল বছরের পর বছর ধরে। সূর্যের তাপ, শীতের হিমেল হাওয়া, বৃষ্টি এবং ব্যাপক ঝড়ের মধ্যেও তপস্যায় ছেদ পড়ল না। কথিত আছে, এই সময় মাতার সমস্ত অঙ্গ ধূলিকণা, মাটি, গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। গৌরবর্ণা মাতার সমস্ত শরীরের উপর একটি কৃষ্ণ বর্ণের আস্তরণ বা ত্বক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে, ভগবান শিব দেবীর তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে মাতা পার্বতীর সম্মুখে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং মাতাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তাঁকেই (ভগবান শিবকে) মাতা পার্বতী (Durga Puja 2024) স্বামী রূপে, পতি রূপে লাভ করবেন। এরপর গঙ্গার পবিত্র জলরাশির দ্বারা ভগবান শিব, মাতা পার্বতীকে স্নান করিয়েছিলেন। তপস্যারত অবস্থায় মাতার শরীরে যে ময়লার আবরণ তৈরি হয়েছিল, যার জন্য মাতা গৌরবর্ণা থেকে কৃষ্ণবর্ণা হয়ে গিয়েছিলেন। মহাদেব শিব তাঁকে স্নান করানোর পর মাতা পূর্বের মতো পুনরায় গৌরবর্ণা হয়ে ওঠেন। গৌরবর্ণা এই মাতাই মহাগৌরী নামে পরিচিত। যিনি নম্রতা, শুদ্ধতা, পবিত্রতার প্রতীক রূপে পূজিতা হন।

    মহাগৌরীর বন্দনা মন্ত্র

    মাতা মহাগৌরীর বিষয়ে আরও কথিত রয়েছে যে, একদিন দেবী, গৌরী রূপে আট বছরের বালিকা সেজে শিবের সামনে নৃত্য করে তাঁকে আনন্দিত করছিলেন। এরপরে শিব তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে দেবী পার্বতী নিজের রূপ প্রকাশ করেন।
    শ্বেত বৃষ সমারূঢ়া শ্বেতাম্বর ধরা শুচিঃ,
    মহাগৌরী শুভং দধান্মহোদৈ ব প্রমোদ্দা ।

    যা দেবী সর্বভূতেষু মা মহাগৌরী রূপেন সংস্থিতা।
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ॥
    এই বৈদিক মন্ত্রের দ্বারাই মূলত মাতা মহাগৌরীর বন্দনা করা হয়‌ মহাষ্টমীর দিনে। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, মাতা সমস্ত অশুভ শক্তিকে বিনাশ করেন এবং তাঁর আশীর্বাদে জীবন সম্পূর্ণভাবে সুখময় ও প্রেমময় হয়ে ওঠে। উজ্জ্বল সৌন্দর্যের প্রতীক এই দেবী অষ্টমীতে ভক্তদের দ্বারা আরাধিত হন। তাঁর নৈবেদ্যতে নারকেল রাখার রীতি রয়েছে। বিশ্বাস রয়েছে, মাতার আশীর্বাদ স্বরূপ (Durga Puja 2024) ভক্তদের ভালো বিবাহ হয়।

    সিঁদুর, মেহেন্দি, কাজল, টিপ, চুড়ি, পায়ের আংটি, চিরুনি, আলতা, আয়না, পায়ের পাতা, সুগন্ধি, কানের দুল, নাকের পিন, নেকলেস, লাল চুনরি, মহাভার, চুলের পিন ইত্যাদি দ্বারা মায়ের পুজো সম্পন্ন হয়। সবজির তরকারি এবং হালুয়া দিয়ে মাতা মহাগৌরীকে (Mahagauri)  ভোগ নিবেদন করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তপস্যায় প্রসন্না হয়েই দেবী প্রকট হয়েছিলেন ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে

    Durga Puja 2024: ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তপস্যায় প্রসন্না হয়েই দেবী প্রকট হয়েছিলেন ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির (Navatari) শেষ দিনে পূজিতা হন মাতা সিদ্ধিদাত্রী (Durga Puja 2024)। এই দেবী মা দুর্গার নবম রূপ বলে পরিগণিত হন। ভক্তদের বিশ্বাস মতে, মাতা সিদ্ধিদাত্রী দেবাদিদেব মহাদেবের শরীরের অংশ। তাই তিনি অর্ধনারীশ্বর (Durga Puja 2024) নামেও প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মহাবিশ্ব যখন তৈরি হয়নি, চারদিকে যখন ঘন অন্ধকার ছিল, প্রাণের চিহ্ন যখন কোথাও ছিল না, তখন একটি দৈব আলোকরশ্মি নারীমূর্তির আকার ধারণ করতে থাকে। ইনিই দেবী মহামায়া, মহাশক্তি। এই আদি দেবীর থেকেই জন্ম হয়েছিল ত্রি শক্তির-ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। বিশ্ব বা জগত সংসার পরিচালনার জন্য এই আদিমাতা ত্রিদেবকে দায়িত্ব দেন। এর পরে মহাসাগরের তীরে বসে বহু বছর ধরে মহামায়ার তপস্যায় রত ছিলেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। তপস্যায় প্রসন্না হয়ে দেবী তাঁদের সামনে ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে প্রকট হন।

    অসুরবধের আনন্দে নবমী তিথিতে মেতে ওঠেন দেবতারা

    অসুরবধের আনন্দে নবমী তিথিতে কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে দেবীর বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন দেবতারা। এখানেই নবমী পুজোর মাহাত্ম্য বা গুরুত্ব বলে পণ্ডিতদের ধারণা রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এদিন তাই দেবীর সম্পূর্ণ পুজো সম্পন্ন হয়। এই তিথিতেই বলি, হোম, কুমারী পুজো এবং ষোড়শ উপাচারের বিধান আছে। দেবীকে প্রসন্ন করতে নৈবেদ্যতে তিল নিবেদন করার রীতি দেখা যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, মাতা সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায় জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় এবং সফলতা আসে জীবনে‌। মাতা সিদ্ধিদাত্রী ভগবান ব্রহ্মাকে বিশ্বস্রষ্টার স্রষ্টা, ভগবান বিষ্ণুকে সৃষ্টি ও জগত রক্ষার ভূমিকা এবং দেবাদিদেব মহাদেবকে প্রয়োজন হলে জগৎ ধ্বংস করার ভূমিকা প্রদান করেন। ভক্তদের (Durga Puja 2024) আরও বিশ্বাস, দেবী সিদ্ধিদাত্রী পরবর্তীতে সরস্বতী, লক্ষ্মী এবং মাতা পার্বতী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সিদ্ধিদাত্রী মাতা সর্বদাই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সঙ্গে শক্তি হিসেবে আছেন, এটা বোঝাতেই তিনি এই ত্রিদেবের পত্নী রূপে অবস্থান করেন‌। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, দেবী সিদ্ধিদাত্রী জগৎ পরিচালনা, পালন এবং সংহারের জন্য অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন এই ত্রিদেবকে। অতিপ্রাকৃত এই আটটি শক্তিকে মার্কণ্ডেয় পুরাণে অষ্টসিদ্ধি বলা হয়েছে যা দেবী সিদ্ধিদাত্রী দেন।

    সিদ্ধি আট প্রকারের- 

    অণিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে আকারে ছোট করা যায়। 

    মহিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে অসীম প্রসারিত করা যায়।

    গরিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে অকল্পনীয় ভারী করা যায়।

    লঘিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহ ভারহীন হয়ে যায়।

    প্রাপ্তি: এই শক্তির দ্বারা সর্বভূতে বিরাজ করা যায়।

    প্রাকাম্য: এই শক্তির দ্বারা সমস্ত মনের কামনা পূর্ণ করা যায়।

    ঈশিত্ব : এই শক্তির দ্বারা প্রভুত্ব স্থাপন করা যায়।

    বশিত্ব: এই শক্তির দ্বারা সকলকে পরাধীন রাখা যায়।

    ভক্তদের বিশ্বাস, মার্কণ্ডেয় (Durga Puja 2024) পুরাণ অনুসারে যে ৮ প্রকার সিদ্ধি মাতা সিদ্ধিদাত্রী ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরকে প্রদান করেছিলেন, মহানবমীর (Navatari) দিন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনা করলে ভক্তদের মধ্যে এই সকল শক্তির প্রবেশ ঘটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 24 September 2024: সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 24 September 2024: সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    বৃষ

    ১) আগুপিছু না ভেবে উপার্জনের রাস্তায় পা দেবেন না।

    ২) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    সিংহ

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভাল হবে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সমাজের কাজে সাফল্য।

    তুলা

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) চোখ কান খোলা রেখে বিশ্বাস করুন।

    ধনু

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন চঞ্চল থাকবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মীন

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতার কাকুর পরিচয় দিয়ে দ্রুত ময়নাতদন্ত না করলে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ করেছেন আরজি কর মেডিক্যালের ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস। ময়না তদন্তকারী এই চিকিৎসকের দাবিকে হাতিয়ার করে ফের তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মমতার নির্দেশে শ্মশানে বিধায়ক, কাকুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন (Suvendu Adhikari)

    এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন শুভেন্দু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি (Suvendu Adhikari) লিখলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন। দাবি করেছেন, নির্যাতিতা চিকিৎসকের কাকু পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়, ময়নাতদন্ত দ্রুত না করলে রক্তগঙ্গা বইবে। ওই ব্যক্তি পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর, যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। সবাই জানে চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শ্মশানে হাজির ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।’

     

    কে এই পানিহাটির কাকু?

    কালীঘাটের কাকুর পর সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে আরও এক কাকুর আবির্ভাব ঘটেছে। কেউ তাঁকে বলছেন, ‘শ্মশানঘাটের কাকু’, কেউ আবার বলছেন ‘পানিহাটির কাকু’। এই কাকু আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার পাশের বাড়ির বাসিন্দা। তাঁর নাম সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। সঞ্জীবকে ‘কাকু’ বলেই সম্বোধন করতেন নির্যাতিতা। এক সময়ে তিনি ছিলেন সিপিএমের কাউন্সিলর। তার পর ভোটে হেরে গিয়ে বেশ কয়েক বছর ‘দলহীন’। ২০১৯ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। সেই যোগদান পর্বে ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ (নান্টু) এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রথম জনকে আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আর দ্বিতীয় জন খাদ্য দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলে। সঞ্জীব পেশায় ব্যবসায়ী। বাংলার বাইরেও তাঁর ব্যবসার কাজ চলে। জানা গিয়েছে, মূলত বৈদ্যুতিক প্রকল্পে ঠিকাদারি করেন তিনি। তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি পরিচিত।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    কী বললেন প্রাক্তন কাউন্সিলর?  

    জানা গিয়েছে, ৯ অগস্ট রাতে পানিহাটির শ্মশানঘাটে অনেকের সঙ্গে ছিলেন সঞ্জীব। যেমন ছিলেন বিধায়ক নির্মলও। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, নির্যাতিতার দেহ ‘তড়িঘড়ি’ দাহ করার জন্য সেই রাতে পরিবারের উপর ‘চাপ’ তৈরি করা হয়েছিল। সঞ্জীব বলেন, “সেই সময়ে আমার এ সব কথা বলার অবস্থাই ছিল না। অত পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিক, অত ছাত্রছাত্রী- আমি ময়নাতদন্ত কখন হবে কি হবে না, সে কথা বলার আমি কে? আমাকে সিবিআই ডাকলে সমস্ত বিষয়টি বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh:  ১৮টি ডিভাইসের ক্লোনিং, আরজি করকাণ্ডে নয়া তথ্য সিবিআইয়ের হাতে

    Sandip Ghosh: ১৮টি ডিভাইসের ক্লোনিং, আরজি করকাণ্ডে নয়া তথ্য সিবিআইয়ের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)- সহ চারজনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বিচারক সুজিত কুমার ঝা ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকবেন তাঁরা।

    ১৮টি ডিজিটাল ডিভাইসের ‘ক্লোনিং’ (Sandip Ghosh)

    সোমবার সন্দীপ-সহ (Sandip Ghosh) আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ধৃত চার জনের শুনানি হয় আলিপুরে সিবিআই বিশেষ আদালতে। আদালতে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি ছিল, আরজি করে দুর্নীতিতে অভিযুক্তেরা ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’। ফলে, তাঁরা অন্য সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। সিবিআইয়ের এই যুক্তি শুনেই শেষমেশ অভিযুক্তদের আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সন্দীপ ছাড়াও জেল হেফাজত হল সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ এবং সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলির। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের আরও দাবি, মোবাইল, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, মেমরি কার্ড-সহ অন্তত ১৮টি ডিজিটাল ডিভাইসের ‘ক্লোনিং’ করা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ওই যন্ত্রগুলিতে থাকা নথি থেকে তদন্তে সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলেও মনে করছে। এই মামলায় ধৃত সুমন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধেও আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সন্দীপের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে এই দু’জনের সংস্থাই হাসপাতালে বিভিন্ন জিনিস সরবরাহ করত। আফসর হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সিকিউরিটির পদে কাজ করতেন। সন্দীপের নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্বে থাকায় হাসপাতালে তাঁর বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’রও অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    আরজি করে টেন্ডার দুর্নীতি

    প্রসঙ্গত, আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত ১৯ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষ-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। টেন্ডার দুর্নীতি থেকে সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে। আরজি কর হাসপাতালের ফুড স্টল, ক্যাফে, ক্যান্টিনের জায়গা টেন্ডার না ডেকেই বণ্টন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সরবরাহকারীদের কাজের বরাত দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের জৈব বর্জ্য বেআইনিভাবে বাইরে বিক্রি করাতেও  নাম জড়িয়েছে সন্দীপের। কলকাতা হাইকোর্টে এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। সেই মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। পরে, নির্যাতিতা খুনের ঘটনায়ও সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share