Tag: Bengali news

Bengali news

  • Durga Puja 2025: শুরু হয়ে গিয়েছে নবরাত্রি, এই ৯ দিন কী কী নিয়ম পালন করলে সন্তুষ্ট হন দেবী?

    Durga Puja 2025: শুরু হয়ে গিয়েছে নবরাত্রি, এই ৯ দিন কী কী নিয়ম পালন করলে সন্তুষ্ট হন দেবী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশ্বিনের শুক্লপক্ষে মহালয়া অমাবস্যার পর দেবীপক্ষের (Durga Puja 2025) সূচনা হয়। মা উমা কৈলাস থেকে লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী এবং কার্তিককে নিয়ে বাপের বাড়িতে আসেন। বাঙালির কাছে পাঁচদিন ধরে পূজিত হন দেবী উমা। দশমীর দিন আবার স্বামীর গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। এই সময়েই দেবীপক্ষ সূচনার প্রথমা থেকে দশমী পর্যন্ত টানা নয় দিন সারা ভারতের হিন্দু সমাজের মধ্যে পালিত হয় নবরাত্রি উৎসব (Navaratri 2025)। নয় দিনে মা আদ্যাশাক্তি মহামায়াকে নয়টি রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। ভক্তরা এই সময় অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করে থাকেন। শক্তির উপাসকরা এই নয় দিন কী কী আহার গ্রহণ করেন এবং সেই সঙ্গে কোন কোন নিয়ম পালন করেন আসুন এক নজরে জেনে নিই।

    নবরাত্রির অঙ্গ প্রার্থনা, ভজন, কীর্তন এবং সাত্ত্বিক খাবার (Navaratri 2025)

    বঙ্গে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) মূলত ষষ্ঠীর বোধন থেকে বিজয়দশমীর বিসর্জন পর্যন্ত মায়ের আরধনা হয়। এই সময়ে আবার উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম, সমগ্র ভারত জুড়ে পালিত দেবী মায়ের ৯টি অবতারের বিশেষ পুজো। মা দুর্গার নয়টি অবতারকে প্রার্থনা, ভজন, কীর্তন এবং সাত্ত্বিক খাবার পরিবেশন করা হয়। সেই সঙ্গে ভক্তরাও নিজের নিজের জীবন চর্চায় সাত্ত্বিক খাবার খেয়ে থাকেন। ২০২৫ সালের শারদীয়া দুর্গাপুজোর সঙ্গে নবরাত্রি পালিত (Navaratri 2025) হবে ২২ সেপ্টম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত।

    স্বল্পাহার এবং উপবাস পালন

    নবরাত্রি (Durga Puja 2025) বছরে দুবার পালন করা হয়। একবার আশ্বিন মাসে দেবী দুর্গার অকালবোধনের সময়, আরেকবার বসন্তকালের বসন্ত শুক্লপক্ষে। নবরাত্রীতেই দুর্গা পুজোর দেবীপক্ষের সূচনা হয়। ভক্তরা এই সময় মাকে সন্তুষ্ট করতে সাত্ত্বিক আহারের পাশাপাশি উপবাসও পালন করে থাকেন। অনেকেই যেমন ৯ দিন ধরে স্বল্পাহার এবং উপবাস পালন করেন, আবার কেউ কেউ যুগল রূপে স্বামী-স্ত্রীও উপবাস পালন করে থাকেন। পরিবারের মঙ্গল, বিশ্বসংসার, জগতের কল্যাণ এবং মনের অভীষ্ট ভাবনাকে পূরণ করতেই নবরাত্রিতে (Navaratri 2025) কঠিন ব্রতো পালন করে থাকেন ভক্তরা।

    দুরারোগ্য থেকে রক্ষা

    মায়ের আরাধনায় নবরাত্রিতে ভক্তরা দিন শুরু করেন ঘর এবং মন্দির পরিষ্কার করে। এরপর স্নান করে মা দুর্গার জন্য ভোগের প্রস্তুতি করেন। ভোগ নিবেদন করে মন্ত্রজপ করে মায়ের ভজন কীর্তন করেন। এরপর ভোগ প্রসাদ হলে সকলে সেই প্রসাদ গ্রহণ করেন। তবে ঐতিহাসিক এবং জ্যোতিষিরা বলেন, এই সময় বর্ষা শেষ এবং শীতের শুরু হয়। তাই এই সন্ধিক্ষণে বর্ষা-গরমের প্রভাব থেকে ক্রমেই ঋতু শীতের দিকে প্রবেশ করলে শারীরকে সবরকম ভাবে প্রস্তুত করতে হয়। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় স্বাস্থ্যকর এবং হালকা খাবারকে প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করলে যে কোনও রকম দুরারোগ্য থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

    কোন কোন খাবারে না, আর কোনটায় হ্যাঁ

    নবরাত্রিতে (Navaratri 2025) যে যে খাবার ভক্তরা গ্রহণ করে থাকেন, তার মধ্যে প্রধান একটি গুণ থাকে খাবারে কোনও রকম আমিষ এবং পেঁয়াজ রসুন যুক্ত করা যাবে না। শরীরের জন্য উত্তেজক এমন খাবার বর্জনীয়। এই সময় খাওয়া যাবে না এমন কিছু খাবার হল- গম, চাল, মসুর ডাল, শিমের মতো শস্য এবং ডাল। মাদক বা অ্যালকোহল এবং তামাক সেবন করা যাবে না। মাংস, ডিম, অথবা যেকোনও ধরণের সামুদ্রিক খাবার খাওয়া যাবে না। তবে যে যে খাবার খাওয়া যাবে যেমন- আলু, মিষ্টি আলু, কুমড়ো, লাউ, কাঁচা কলা ইত্যাদির মতো ফল। একই ভাবে সবজির মতো সাত্ত্বিক খাবারও খাওয়া যাবে। জল, ফলের রস, দুধ, বাটারমিল্ক, লস্যি, পান করা যাবে। তবে সাদা লবণ, চাট মশলা এবং বিট লবণ এড়িয়ে চলা ভালো। কাঁচা লঙ্কা খাওয়া যাবে।

    করণীয় কাজ

    যাঁরা ৯ দিন ধরে টানা উপবাস করবেন, তাঁদের জন্য বেশ কিছু করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়গুলি হল-

    ১. উপবাসের সময়, নিজেকে সম্পূর্ণ অভুক্ত রাখবেন না। প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর বাদাম এবং ফল খেতে থাকুন।

    ২. ৯ দিনের (Navaratri 2025) উপবাসের সময়, নবরাত্রির ডায়েট মেনে চলুন। বাদাম, ফল, দুধ এবং মাখনের মতো দুগ্ধজাত পণ্য খেতে পারবেন।

    ৩. শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সারাদিন জল, দুধ, বাটারমিল্ক এবং তাজা রস পান করুন।

    ৪. নবরাত্রির (Durga Puja 2025) সময় রান্নার রেসিপিতে বিটলবণ ব্যবহার করুন। এছাড়াও, মশলা ব্যবহার করার সময় জিরা, দারুচিনি, সবুজ এলাচ, লবঙ্গ, কালো মরিচ গুঁড়ো, লাল মরিচ গুঁড়ো এবং কালো মরিচের গুঁড়ো ব্যবহার করুন।

    ৫. উপবাসের সময় মাথা ঘোরা এবং দুর্বলতা এড়াতে কিছু খাওয়া বা পান করা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। এছাড়াও, শরীরে চিনি এবং লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভুলবেন না।

    কী কী করবেন না

    ১. বিশেষজ্ঞদের মতে, নবরাত্রির সময় খাবার তৈরির সময় পেঁয়াজ, রসুন এবং মশলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। উত্তেজক উৎপন্ন করে এমন খাবার এবং সরিষার তেল না খাওয়াই ভালো।

    ২. নবরাত্রির সময় মাংস, ডিম, মদ এবং তামাক খাওয়াও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

    ৩. যদি তুমি উপবাস করো তাহলে সন্ধ্যা আরতি বা সূর্যাস্তের আগে ঠিকমতো পেট ভরে খাবার না খেলেই ভালো।

    ৪. প্যাকেটজাত জুস পান করা এড়িয়ে চলুন কারণ এতে স্বাদ বাড়ানোর জন্য লবণ এবং প্রিজারভেটিভ থাকতে পারে।

    আর কী কী পুষ্টিকর খাবার খাবেন?

    সাবুদানা খিচড়ি

    সাবুদানা, জিরা, কাঁচা মরিচ, কারি পাতা মিশিয়ে রান্না করে এবং জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, ভাজা বাদাম, কাচা লঙ্কা, ধনে পাতা, লেবুর রস দিয়ে উপরে মাখিয়ে এই খাবার তৈরি করা হয়। স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো।

    নারকেল লাড্ডু

    এই সহজ মিষ্টিটি তৈরি করা হয় কুঁচি করা নারকেল, দুধের গুঁড়ো, কনডেন্সড মিল্ক, দুধ, চিনি, এলাচ গুঁড়ো দিয়ে। তারপর লাড্ডুর আকারে তৈরি করে বাদাম দিয়ে উপরে মাখানো হয়।

    শসার রায়তা

    এই খাবারটি তৈরি করা হয় কুঁচি করে ভাজা শসা দিয়ে। ফেটানো দইয়ের সাথে মিশিয়ে এবং উপরে চিনি, ঘি, কাঁচা মরিচ এবং জিরা দিয়ে মিশিয়ে। শরীরের জন্য খুব ভালো খাবার। ফল হিসেবে এই সময় অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার হল- কলা, আপেল, পেঁপে এবং নাশপাতি। ফলগুলিকে টুকরো করে কেটে উপরে সৈন্ধব লবণ, কাঁচা লঙ্কা এবং ফেটানো দই দিয়ে মেশানো হয়।

  • GST 2: চালু হয়ে গেল নয়া জিএসটি কাঠামো, দাম কমছে কোন কোন জিনিসের?

    GST 2: চালু হয়ে গেল নয়া জিএসটি কাঠামো, দাম কমছে কোন কোন জিনিসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর উপহার দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন নয়া জিএসটি কাঠামো (New GST Structure)। ২২ সেপ্টেম্বর দেবীপক্ষ থেকেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল নয়া পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) (GST 2)। এতদিন জিএসটির স্তর ছিল চারটি – ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। নয়া ব্যবস্থায় বাতিল করা হয়েছে ১২ এবং ২৮ শতাংশের স্তর। তাই আজ, সোমবার থেকে সমস্ত পণ্যের ওপর জিএসটি থাকবে ৫ কিংবা ১৮ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এদিন থেকেই কমে যাবে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসের দামই। প্রসঙ্গত, ৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কর ব্যবস্থা সংস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেটাই এবার চালু হচ্ছে এদিন থেকে।

    আজ থেকেই কমছে দাম (GST 2)

    সোমবার থেকেই নবরাত্রি উৎসবে মেতেছেন দেশের একটা বড় অংশের মানুষ। জিএসটি সংস্কারের ফলে উৎসবের মরশুমে আমআদমির হেঁশেলে স্বস্তি ফিরবে তো বটেই, অনেকটা ছাড় মিলবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য মায় সাজসজ্জার মতো সরঞ্জামেও। রবিবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নয়া জিএসটি ব্যবস্থার কথা দেশবাসীকে মনেও করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আগেই জিএসটি সংস্কারকে দ্বিগুণ দীপাবলি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। জানা গিয়েছে, জিএসটি বদলের ক্ষেত্রে সব চেয়ে জরুরি বিষয় হল, ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই নয়া দাম কার্যকর হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আর পুরানো দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না। যদি কোনও পণ্য পুরনো স্টকের হয় এবং এমআরপি বেশি লেখা থাকে, তাও স্টিকার বসিয়ে নয়া দামই নিতে হবে।

    সস্তা হচ্ছে এই সব জিনিস

    এবার দেখে নেওয়া যাক এদিন থেকে কমছে কোন কোন জিনিসের দাম। বাড়ছেই (GST 2) বা কোন কোন পণ্যের দাম। নয়া জিএসটি ব্যবস্থায় দুধ, ছানা, পনির, রুটি এবং পাউরুটির মতো পণ্যে এখন আর কোনও কর দিতে হবে না (New GST Structure)। কারণ এই সব পণ্য কিনলে জিএসটি দিতে হত ৫ শতাংশ। সোমবার থেকে এগুলি কিনলে আর কোনও জিএসটি দিতে হবে না। জিএসটি মুক্ত হচ্ছে পেন্সিল, শার্পনার, ছবি আঁকার রং, খাতা, মানচিত্র, চার্ট এবং গ্লোবের মতো প্রয়োজনীয় শিক্ষা সরঞ্জাম। জিএসটি দিতে হবে না জীবনবিমা এবং যে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রেও।

    দাম কমছে এসবেরও

    দাম কমছে কনডেন্সড মিল্ক, মাখন, ঘি, তেল, পশুচর্বি, সসেজ, প্রিজার্ভড বা রান্না করা মাংস, মাছ, চিনি, পাস্তা, নুডলস, স্প্যাগোটি, চিজ এবং দুগ্ধজাত যাবতীয় পণ্যেরও। এতদিন এসব জিনিস কিনলে জিএসটি দিতে হত ১২ শতাংশ। সেটাই এখন কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। সস্তা হচ্ছে (GST 2) বাদাম, খেজুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম-সহ অন্যান্য ফলও। কারণ এসব ক্ষেত্রেও জিএসটির হার কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিয়েই কেনা যাবে জ্যাম, জেলি, মাশরুম, ইস্ট, সর্ষে, সয়াবিন, ভুজিয়া এবং পানীয় জলের ২০ লিটারের বোতল। এতদিন এগুলি কিনতেই দিতে হত ১২ শতাংশ জিএসটি। সস্তা হচ্ছে মধু, মিছরি, চকোলেট, কর্নফ্লেক্স, কেক, পেস্ট্রি, স্যুপ, আইসক্রিম এবং জিলেটিনও। ২২ সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত এগুলি কিনতে গেলে গুণতে হত ১৮ শতাংশ জিএসটি (New GST Structure)। এখন তা কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে একাধিক জীবনদায়ী ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, থার্মোমিটার, অক্সিজেন এবং গ্লুকোমিটার কিনলে। ২২ তারিখ থেকেই যাতে দাম কমে, তা নিশ্চিত করতে মূল্য সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফার্মেসিগুলিতে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক গাড়িতেও জিএসটি নেওয়া হবে ৫ শতাংশ।

    সস্তায় মিলবে এই সব জিনিসও

    দাম কমছে (GST 2) টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন এবং রেফ্রিজারেটরেরও। এতদিন এগুলি কিনতে গেলে জিএসটি দিতে হত ২৮ শতাংশ। সেটাই এখন কমে হয়েছে ১৮ শতাংশ। ১৮ শতাংশ জিএসটি গুণতে হবে ছোট গাড়ি, ৩৫০ সিসির নীচে বাইকের দাম। ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে জুতো, জামাকাপড়, টুথপেস্ট, ব্রাশ, ট্যালকম পাউডার, শেভিং ক্রিম, চুলের তেল, সাবান, বাসনকোসন, ছাতা, বাইসাইকেল এবং বাঁশের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র কিনতে গেলে। খরচ কমবে স্পা, জিম, যোগব্যায়াম কেন্দ্র এবং বিভিন্ন হেলথ ক্লাবের। দাম কমছে সিমেন্ট, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, সার ট্রাক্টরের সরঞ্জাম এবং সেলাই মেশিনেরও (New GST Structure)।

    দাম বাড়ছে যে সব জিনিসের

    এদিকে, দাম (GST 2) বাড়ছে বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট জেট, রেসিংকার, পান মশলা, বাড়তি চিনি মিশ্রিত পানীয়, কার্বন যুক্ত পানীয়, সিগারেট, চুরুট এবং তামাকজাত যাবতীয় পণ্যের। এসব কিনতে গেলে গুণতে হবে ৪০ শতাংশ হারে জিএসটি।

  • Ramakrishna 472: “জয় কালী! কি, তুই দেখা দিবিনি! এই গলায় ছুরি দেব যদি দেখা না দিস”

    Ramakrishna 472: “জয় কালী! কি, তুই দেখা দিবিনি! এই গলায় ছুরি দেব যদি দেখা না দিস”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল

    ঠাকুরের নিজ মুখে কথিত সাধনা বিবরণ

    “যখন লীলায় মন নেমে আসত কখনও সীতারামকে রাতদিন চিন্তা করতাম। আর সীতারামের রূপ সর্বদা দর্শন হত—রামলালকে (রামের অষ্টধাতু নির্মিত ছোট বিগ্রহ) নিয়ে সর্বদা বেড়াতাম, কখনও খাওয়াতাম। আবার কখনও রাধাকৃষ্ণের ভাবে থাকতাম। ওই রূপ সর্বদা দর্শন (Kathamrita) হত। আবার কখনও গৌরাঙ্গের ভাবে থাকতাম, দুই ভাবের মিলন—পুরুষ ও প্রকৃতি ভাবের মিলন। এ অবস্থায় সর্বদাই গৌরাঙ্গের রূপ দর্শন হত। আবার অবস্থা বদলে গেল! সজনে তুলসী সব এক বোধ হতে লাগল। ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) রূপ আর ভাল লাগল না। বললাম, ‘কিন্তু তোমাদের বিচ্ছেদ আছে।’ তখন তাদের তলায় রাখলাম। ঘরে যত ঈশ্বরীয় পট বা ছবি ছিল সব খুলে ফেললাম। কেবল সেই অখণ্ড সচ্চিদানন্দ সেই আদি পুরুষকে চিন্তা করতে লাগলাম। নিজে দাসীভাবে রইলুম—পুরুষের দাসী।

    “আমি সবরকম সাধন করেছি। সাধনা তিন প্রকার—সাত্ত্বিক, রাজসিক, তামসিক। সাত্ত্বিক সাধনায় তাঁকে ব্যাকুল হয়ে ডাকে বা তাঁর নামটি শুদ্ধ নিয়ে থাকে। আর কোন ফলাকাঙ্খা নাই। রাজসিক সাধনে নানারকম প্রক্রিয়া—এতবার পুরশ্চরণ করতে হবে, এত তীর্থ করতে হবে, পঞ্চতপা করতে হবে; ষোড়শোপচারে পূজা করতে হবে ইত্যাদি। তামসিক সাধন — তমোগুণ আশ্রয় করে সাধন। জয় কালী (Kathamrita)! কি, তুই দেখা দিবিনি! এই গলায় ছুরি দেব যদি দেখা না দিস। এ সাধনায় শুদ্ধাচার নাই—যেমন তন্ত্রের সাধন।

    “সে অবস্থায় (সাধনার অবস্থায়) অদ্ভুত সব দর্শন হত, আত্মার রমণ প্রত্যক্ষ দেখলাম। আমার মতো রূপ একজন আমার শরীরের ভিতর প্রবেশ করলে! আর ষট্‌পদ্মের প্রত্যেক পদ্মের সঙ্গে রমণ করতে লাগল। ষট্‌পদ্ম মুদিত হয়েছিল—টক টক করে রমণ করে আর একটি পদ্ম প্রস্ফুটিত হয়—আর ঊর্ধ্বমুখ হয়ে যায়! এইরূপে মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, অনাহত, বিশুদ্ধ, আজ্ঞাপদ্ম (Ramakrishna), সহস্রার সকল পদ্মগুলি ফুটে উঠল। আর নিচে মুখ ছিল ঊর্ধ্বমুখ হল, প্রত্যক্ষ দেখলাম।”

    ধ্যানযোগ সাধনা—‘নিবাত নিষ্কম্পমিবপ্রদীপম্‌’ 

    “সাধনার সময় আমি ধ্যান করতে করতে আরোপ করতাম প্রদীপের শিখা—যখন হাওয়া নাই, একটুও নড়ে না—তার আরোপ করতাম।

    “গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়। একজন ব্যাধ পাখি মারবার জন্য তাগ করছে। কাছ দিয়ে বর চলে যাচ্ছে, সঙ্গে বরযাত্রীরা, কত রোশনাই, বাজনা, গাড়ি, ঘোড়া—কতক্ষণ ধরে কাছ দিয়ে চলে গেল। ব্যাধের কিন্তু হুঁশ নাই। সে জানতে পারলো না যে কাছ দিয়ে বর চলে গেল।

  • Narendra Modi: নবরাত্রি থেকেই ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি চালু, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Narendra Modi: নবরাত্রি থেকেই ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি চালু, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে সোমবার নবরাত্রি থেকেই লাগু হবে নতুন কাঠামোয় জিএসটি। দেশবাসীকে নবরাত্রি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে এমনটাই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। নতুন প্রজন্মের পণ্য ও পরিষেবা কার্যকর (GST tax) হবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন মোদি। উল্লেখ্য গত ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনেই দিল্লির লালকেল্লা থেকে নতুন প্রজন্মের পণ্য এবং পরিষেবা করে ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোদি। এবার তা কার্যকর হচ্ছে।

    ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি (Narendra Modi)

    রবিবার বিকেল ৫ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “দেশকে আত্মনির্ভর করা কথা ভেবে সোমবার থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দেশবাসীকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যকে সাশ্রয়ী করা হবে। দেশের সঞ্চয় বৃদ্ধি যেমন পাবে, তেমনি খাবার সামগ্রীরও দাম কম হবে। সাধারণ মানুষ নিজের নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় খুব সহজলভ্য হবে। অন্ন, স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিরাট ছাড় দেওয়া হবে।” পাশাপাশি জিএসটিকে (GST tax) ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ বলে সকল বর্গের মানুষের সুবিধার কথা রূপে মন্তব্য করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    স্বনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) দেশের রাজ্যগুলিকে উৎসবমুখর দিনগুলিতে বার্তা দিয়ে বলেন, “বর্তমানে আমাদের দেশে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিদেশি পণ্যে ভরে গিয়েছে। তাই এই বিদেশি পণ্য নয় স্বদেশী পণ্যের দিকে ঝোঁক বাড়াতে হবে। সকলকে মেড ইন ইণ্ডিয়ার পণ্য কিনতে হবে। প্রত্যেক বাড়িকে স্বদেশী পণ্যের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক রাজ্যে স্বদেশী পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। বিনিয়োগের পরিবেশ যাতে বেশি বেশি করে বৃদ্ধি পায়, সেই দিকে চেষ্টা করতে হবে। কেন্দ্র রাজ্য এক সঙ্গে এগিয়ে গেলে তবেই দেশ স্বনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।”

    জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটিতে করের হার কমানো হয়েছে

    জিএসটি (GST tax) পরিষেবায় ৪টি স্ল্যাব থেকে কমিয়ে এখন মাত্র ২ টি স্ল্যাব করা হয়েছে। ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে কর। জীবনদায়ী ওষুধের মধ্যে বেশ কিছু ওষুধকে কর মুক্ত করা হয়েছে। আবার চিকিৎসা সামগ্রীর মূল্য সাশ্রয় করা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে চাষের উপকরণ, যন্ত্রপাতি এবং বীজ সংগ্রহে ট্যাক্স মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সাবান, জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটিতে করের হার কমানো হয়েছে। মোদি সরকার যে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে বিরাট ছাড় দিতে চলেছে সেই কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

  • RSS: সঙ্ঘের পাঁচ পরিবর্তনে কুটুম্ব প্রবোধন ঠিক কেমন? পরিবারবোধে কী প্রয়োজন?

    RSS: সঙ্ঘের পাঁচ পরিবর্তনে কুটুম্ব প্রবোধন ঠিক কেমন? পরিবারবোধে কী প্রয়োজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (RSS) পঞ্চ পরিবর্তনের মধ্যে প্রধান একটি দিক হল রাষ্ট্রের উন্নয়নে পারিবারিক জ্ঞান বা কুটুম্ব প্রবোধন। পরিবারিক মূল্যবোধ ছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতির কোনও অর্থ হয় না। সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভারত পারিবার এবং সমাজের মধ্যে বিশেষ সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে চলে আসছে। পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ভাবনায় কুটুম্ব প্রবোধন (Enlightenmentkutumb) একান্ত প্রয়োজন।

    কেন পরিবারবোধ (RSS)?

    যৌথ পরিবার (Enlightenmentkutumb), সংগঠিত পরিবার, নিরাপদ পরিবার এবং সমৃদ্ধ পরিবার হল সুখি পরিবার সুস্থ পরিবারের ভিত্তি। পশ্চিমবিশ্বের প্রভাবে ভারতীয় দেশীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের উপর চরম প্রভাব পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমের নানা ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য, পরম্পরা, সংস্কৃতির মূলে বিদেশি শক্তি বারবার আঘাত করছে। দেশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে বাঁচিয়ে রাখতে সঙ্ঘ পারিবারিক মূল্যবোধের কথা বলেছে। উত্তর প্রজন্মের কাছে পরিবারবোধ, আত্মিকতাবোধকে ভালো করে বোঝানো একান্ত প্রয়োজন। এটাই সঙ্ঘের (RSS) মন্ত্র।

    পরিবার কীভাবে ভাঙে?

    যৌথ পরিবারের ভাবনার গুণে ভারত মহৎ। কিন্তু নগরায়ন, লর্ড মেকলের শিক্ষানীতি, সামাজিক মাধ্যম আমাদের সমাজকে ভিতর থেকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পরিবার থেকে মানুষকে ক্রমে ক্রমে বিছিন্ন করেছে। দাম্পত্য জীবনের অশান্তি, বিচ্ছেদ, নিউক্লিয়ার জীবন, সিঙ্গেল মা, সিঙ্গেল বাবাদের সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। মানুষের পারিবারিকবোধে যে একাত্ম ভাবনা ছিল তা ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে। আর তাই সঙ্ঘ (RSS) পারিবারিকবোধের উপর জোর দিয়েছে। পরিবার (Enlightenmentkutumb) ত্যাগ করলে নানা সমস্যার উদ্ভব হয়।

    পরিবার কেন প্রয়োজন?

    ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের এনএফএইচএস-৫-তে বলা হয়েছে একক পরিবারের অনুপাত ভারতে ৫৮.২ শতাংশ। দম্পতির মধ্যে জটিল উদ্বেগ, মানসিক চাপ, দ্বন্দ্ব, সন্তান পরিচালনা, শিশুদের নৈতিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফলেছে। লিভ ইন সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভাবে ব্যক্তি এবং পরিবারের জন্য ভয়াবহ। ভারতীয় সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণ ভাবে নস্যাৎ করে। অনেক সময়েই এলজিবিটিকিউ পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রকৃতি সুলভ আচরণের সম্পূর্ণ বিপরীত সম্পর্ক। আমাদের জন্য যারা চিন্তা করে তাদের প্রতি চিন্তার অবসরকে ধ্বংস করে দেয়।

    আবার পরিবার না থাকলে একাকীত্ব, বিষণ্ণতা, উদ্বেগের প্রভাবও বেশি বেশি হয়। শিশু এবং বয়স্কদের মনে এবং শরীরে খুব প্রভাব পড়ে। নীতি-নৈতিকতার অভাব হয় পরিবারবোধ না থাকলে। তাই সঙ্ঘ (RSS) মনে করে সমাজকে নির্মাণ করতে গেলে ব্যক্তি, পরিবার, দেশ এবং রাষ্ট্রে পারিবারিকবোধ (Enlightenmentkutumb) একান্ত জরুরি।

  • ABVP: দিল্লি জয়ের পর হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েও জয় অব্যাহত এবিভিপির

    ABVP: দিল্লি জয়ের পর হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েও জয় অব্যাহত এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাব, দিল্লি জয়ের পর এবার হায়দ্রাবাদেও গেরুয়া ঝড়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির লাগাতার জয়ে গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক জয়ের উল্লাস। শিক্ষাক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন এক চেটিয়া দখল করেছিল বাম এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনগুলি। এবার ছাত্র সংসদের নির্বাচনে হায়দ্রাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (HCU) ছাত্র সংসদ দখল করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। ফল প্রকাশের পর জয়ী এবিভিপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। অপর দিকে বাম-কংগ্রেস সমর্থিত টুকরে টুকরে গ্যাং ক্রমশ আরও কোনঠাসা হওয়ার পথে।

    সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী এবিভিপি

    হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির (ABVP) পক্ষ থেকে ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক এবং সংস্কৃতি সম্পাদকের আসনে জয়লাভ করেছে। এবিভিপির জয়ী প্যানেলে রয়েছেন, শিব পালেপু, দেবেন্দ্র, শ্রুতি, সৌরভ শুক্লা, জ্বালা প্রসাদ এবং ভেনাস। তবে এই নির্বাচনে বামপন্থী এবং কংগ্রেস সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-কে অত্যন্ত লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয়ে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এক বিবৃতিতে এবিভিপির মুখপাত্র (HCU) অন্তরীক্ষ বলেছেন, “এই জয় শিক্ষার্থীদের জাতীয়তাবাদের প্রতি অঙ্গীকার এবং বিভেদমূলক রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতীক। বামপন্থীদের তীব্র উপস্থিতি সত্ত্বেও, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এবিভিপির সাফল্য ব্যাপক। সমস্ত রকমের অপশক্তিকে পরাজয় করতে ছাত্রছাত্রীদের দৃঢ় সংকল্পই ফুটে উঠেছে।”

    ৮১ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছিল

    জানা গিয়েছে, ছাত্র পরিষদ নির্বাচনে (HCU) এনএসইউআই নোটার চেয়ে কম ভোট পেয়েছে। তবে তেলেঙ্গানায় সরকার যেখানে কংগ্রেসের, সেখানে এই জয় এবিভিপির জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের ছিল। বিপরীত শক্তির সরকার থাকা সত্ত্বেও সাধারণ পড়ুয়াদের জন্য মৌলিক চাহিদা এবং দাবি-দাওয়াগুলিকে নিয়ে কাজ করার ভাবনাই রাষ্ট্রবাদী শক্তিকে জয়ী করেছে বলে মনে করছেন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মোট ২৯টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ভোটের ৮১ শতাংশেরও বেশি ভোটাররা ক্যাম্পাস উন্নয়নের জন্য ভোট প্রদান করেছিলেন। মোট ৪৫ রাউন্ড গণার পর অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) এবং সেবালাল বিদ্যার্থী দল (এবিভিপি-এসএলভিডি) জোট মোট ৬টি পদে জয়ী হয়।

  • India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মরিশাস সম্পর্ক (India-Mauritius Relations) বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক নিরাপত্তা থেকে সাংস্কৃতিক যোগসূত্র, সবটা মিলিয়ে ক্রম বর্ধমান যুগের প্রযুক্তি ও অর্থনীতির নানা দিকে বিরাট মাত্রা পেয়েছে সম্প্রতি। গত ৯ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এক সপ্তাহ ব্যাপী মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা পেয়ছে। তবে এই প্রধানমন্ত্রীর এটি ছিল ভারতে প্রথম সফর। তিনি নতুন দিল্লি ছাড়াও বারাণসী, অযোধ্যা, মুম্বই এবং তিরুপতি পরিদর্শন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi) দুইদেশের সম্পর্ক বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তাঁর এই সফর একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক ভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত

    চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মরিশাস ভ্রমণ করেছিলেন। ঠিক তার পরেই মরিশাসের (India-Mauritius Relations) প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফর নয়া মাত্রা যোগ করেছে। মোদি নিজের সফরের সময় ভারত-মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে একটি উন্নত কৌশলগত এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে এই সম্পর্কের মাত্রা আরও মজবুত করা হয়েছে। তাই দুই দেশের সম্পর্কে এখন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হচ্ছে।

    জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। পূর্ব আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের থেকে প্রায় ২০০০ কিমি দূরে অবস্থিত। ভারত থেকে প্রায় ৫০০০ কিমি দূরে মরিশাস। দেশের আয়তন মোটামুটি ভাবে ২০৪০ বর্গ কিমি। মূল দ্বীপের সঙ্গে আরও দুটি বড় বড় দ্বীপ রয়েছে। এই দেশের ২০ লক্ষ বর্গ কিমি জুড়ে বিরাট একটি আর্থিক পরিমণ্ডলের পরিসর গড়ে উঠেছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ। এই দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু। তবে জনসংখ্যা কম হলেও আর্থিক পরিসরে আফ্রিকার মধ্যে এগিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে মরিশাস অন্যতম। ভারত চায় এখানেই সম্পর্ক আরও সুসঙ্গত হোক।

    ভিশন সাগর প্রকল্পের

    মরিশাসের অবস্থান ভারত মহাসাগরের ঠিক পশ্চিমে। ভারতের সঙ্গে সামুদ্রিক যোগাযোগে এই দেশের সমুদ্রপথ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এই পরিসরের কথা ভেবেই ২০১৫ সালে ‘ভিশন সাগর’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। সামুদ্রিক সহযোগিতার মধ্যে মানবিক ত্রাণ এবং দুর্যোগ মোকাবিলার নানা বিষয়ে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। ভারত কোভিডের সময় এই জলপথেই নানা দেশে প্রয়োজনীয় টিকা, ঔষধ, এবং তরল অক্সিজেন পাঠিয়েছিল। ‘ভিশন সাগরে’-এর মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সামুদ্রিক পরিসরে শক্তিকে আরও জোরদার করা।

    বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের (PM Modi) একটা বিশেষ উদার দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। কারণ আফ্রিকার পূর্ব দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের জন্য এই দেশটি একটি প্রধান প্রবেশদ্বার। সেখানে ভারতীয় বেসরকারি শিল্পের সক্রিয়তা ক্রমেই ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, খনি, বৈদ্যুতিক শক্তি, ওষুধ, টেলি যোগাযোগ। বেসরকারি বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। টাটা, মহিন্দ্রা, ভারতীয় টেলিকমের বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলিতে। দুটি হিন্দু প্রধান দেশের মধ্যে আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ভীষণ দরকার। তাই এই প্রেক্ষিতে আধ্যাত্মিক পরিসরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মাত্রা আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন।

    নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয় ভারত

    গত কয়েক দশকে চিনের বিনিয়োগও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলিতে ব্যাপক ভাবে ঘটেছে। তাই সেই দিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকারকেও নিজের পরিসরের কথা ভাবতে হচ্ছে। চিন মরিশাসের একাধিক বন্দরে নিজেদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। আফ্রিকায় বৃহত্তর বিনিয়োগকারী এবং আইওআর দিয়ে পণ্য যাতায়তের কৌশল করছে। তাদের কাছে সামুদ্রিক স্বার্থে এক চেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে চায় চিন। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। আর তাই চিনের তুলনায় ভারত মরিশাসের অভ্যন্তরে জলদস্যু, মাদক পাচার, অবৈধ কারবার বন্ধ এবং নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয়। ভারতের এই অবস্থানও ভারত-মরিশাসের কৌশলকে আরও উন্নত এবং সুসংবদ্ধ করবে।

    আফ্রিকায় নতুন মাত্রা ভারতের 

    ধর্মীয় যোগসূত্রে মরিসাশ (India-Mauritius Relations) ভারতের জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চায় উভয় দেশ। মরিশাসের আলগেলা দ্বীপের পরিকাঠামো উন্নয়নে চিনের থেকে আরও বেশি বেশি করে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে ভারত। আফ্রিকার অন্য দেশের তুলনায় এই দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা অনেক বেশি অনুকূল, তাই এখানে ভারতীয় প্রবাসীদের সহযোগিতায় বিনিয়োগকারীদের পরিসরও বেশ সুরক্ষিত। জিও পলেটিকসে পশ্চিম আফ্রিকায় ভারত যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাও রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

  • Maoist Leader: প্রকাশ্যে অভয়ের চিঠি, শেষমেশ কি তবে ভাঙন ধরল মাও-শিবিরে?

    Maoist Leader: প্রকাশ্যে অভয়ের চিঠি, শেষমেশ কি তবে ভাঙন ধরল মাও-শিবিরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী শিবিরে কি তাহলে শেষমেশ ভাঙন ধরল? মাওবাদীদের মুখপাত্র ও পলিটব্যুরো সদস্য (Maoist Leader) অভয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে অস্ত্র সমর্পণ এবং শান্তি আলোচনা শুরুর ইচ্ছা প্রকাশ করে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসায় মাও-শিবিরে ফাটল ধরল বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। দিন কয়েক আগেই একটি চিঠি এবং একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে (Abhays Call For Surrender)। এগুলি আসল বলেই নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দারা। তবে সিপিআই মাওবাদীদের তেলেঙ্গনা কমিটি ওই ঘোষণা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এটি দলের সরকারি অবস্থান নয়, অভয়ের ব্যক্তিগত মতামত। এই প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট, ফাটল ধরেছে মাওবাদীদের সংগঠনে। প্রকাশ্যে এসেছে অন্য একটি বিবৃতিও। এটি নাকি মাওবাদীদের তেলেঙ্গনা কমিটির মুখপাত্র জগনের লেখা।

    কী লিখলেন জগন (Maoist Leader)

    তিনি অভয়ের অবস্থানের সমালোচনা করেন। জগন লেখেন, “যদি অভয় তাঁর মতামত সঠিক পার্টি চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠাতেন, তবে তিনি উত্তর পেতেন।” তিনি বলেন,  “বরং, এ ধরনের একটি গুরুতর বিষয়কে এভাবে প্রকাশ্যে আনা পার্টির ভেতরে এবং বিপ্লবী শিবিরে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তিনি যে পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন তা আন্দোলনের কাজে আসছে না, বরং তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।” বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মল্লোজুলা ভেনুগোপাল রাও, নিহত শীর্ষ নকশাল নেতা মল্লোজুলা কোটেশ্বর রাওয়ের ভাই, যিনি ‘অভয়’ এবং ‘সোনু’ নামে পরিচিত। তিনি মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্য। এগুলি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা।

    অভয়ের চিঠি

    গত ১৫ অগাস্ট লেখা চিঠিতে (Maoist Leader) অভয় অন্যান্য বামপন্থী চিন্তাবিদ, কর্মী এবং আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা ও অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকেও মতামত চান। তিনি তাঁদের বলেন, অস্ত্র সমর্পণ প্রসঙ্গে তাঁদের মতামত যেন ইমেইল বা একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে অভয়ের একটি ছবি-ও যুক্ত ছিল। এর উত্তরে জগন সংঘাতের বিস্তৃত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, “সারা দেশে অসংখ্য বুদ্ধিজীবী, সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই রক্তপাত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিষয়ে অনেক রাজ্যে সভা-সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়েছে। বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জোরালোভাবে কাগার যুদ্ধ অভিযান বন্ধের দাবি তুলেছে। এর পরেও বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে (Abhays Call For Surrender) যে ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ দ্বারা পরিচালিত হয়ে, সংবিধান ও আইন অমান্য করে, তারা যে করেই হোক এই নির্মূল অভিযান চালিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এই অভিযানে হামলা আরও বেড়েছে (Maoist Leader)।”

  • Trump Tariffs: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ান তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত

    Trump Tariffs: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ান তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রক্তচক্ষু (Trump Tariffs) উপেক্ষা করেই চলতি মাসে ভারত ব্যাপকভাবে আমদানি বাড়িয়েছে রাশিয়ান তেলের (Russian Oil)। ভারতীয় তেল কোম্পানিগুলি প্রতিদিন রাশিয়া থেকে প্রায় ৩ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনছে। অগাস্টের তুলনায় চলতি মাসে বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ।

    বাড়তি ছাড় (Trump Tariffs)

    এই বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হল ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য রাশিয়ার দেওয়া বাড়তি ছাড়। জুলাই মাসে যেখানে প্রতি ব্যারেলে ছাড়ের পরিমাণ ছিল ১ থেকে ২.৫ মার্কিন ডলার, সেখানে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩–৪ ডলার। এর ফলে আগামী মাসগুলিতেও ভারতে যে রাশিয়ান তেলের প্রবাহ বজায় থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ান তেল আমদানি করায় ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্কের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। বর্তমানে ভারত ও ব্রাজিল এই দুই দেশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব চেয়ে বেশি শুল্কের মুখোমুখি, উভয়ের ক্ষেত্রেই এই হারের পরিমাণ ৫০ শতাংশ। তবুও ভারত এখনও রাশিয়া থেকেই অন্য যে কোনও সরবরাহকারীর তুলনায় বেশি অপরিশোধিত তেল কিনছে। ভারতীয় রিফাইনারিগুলি সরবরাহের উৎসকে বৈচিত্র্যময় করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও আফ্রিকান কয়েকটি দেশ থেকেও তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত।

    বাজার দর

    সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজার দর অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৮.৪৫ মার্কিন ডলার। রাশিয়ার ইউরালস প্রকারভেদ, যা ভারত বিপুল পরিমাণে আমদানি করে, তার দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬২.৮৯ মার্কিন ডলার। এর ওপর মস্কো অতিরিক্ত ৩–৪ ডলার ছাড় দিচ্ছে (Russian Oil)। তাই ভারতীয় জীবাশ্ম জ্বালানি কিনতে ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে ব্যারেল প্রতি ৫৮–৫৯ ডলার (Trump Tariffs)। সম্প্রতি ব্রেন্ট ও ইউরালসের বাজার মূল্যের ব্যবধান গড়ে প্রায় ৬ মার্কিন ডলার হয়েছে।
    বর্তমানে ব্রেন্টের দাম প্রতি ব্যারেল ৬৬.৬৮ মার্কিন ডলার, আর ইউরালসের দাম ৬৩.১৯ মার্কিন ডলার। রাশিয়ার সর্বশেষ দেওয়া ছাড় হিসেব করলে দেখা যায় ভারতীয় কোম্পানিগুলি প্রতি ব্যারেল মাত্র ৫৯–৬০ মার্কিন ডলারে চুক্তি করছে। এটি রাশিয়ার তেল সরবরাহকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে (Trump Tariffs)।

  • Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন করে ফেললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পিতৃপক্ষে প্যান্ডেলের উদ্বোধন করায় মমতাকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই একাধিক প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর অভিযোগ, পিতৃপক্ষ চলাকালীন দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করে হিন্দুদের প্রথায় আঘাত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃপক্ষ হিন্দু চান্দ্র ক্যালেন্ডারের ১৫ বা ১৬ দিনের একটি সময়কাল। এই সময় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। শ্রাদ্ধ ও পিণ্ডদানের মাধ্যমেও অনেকে স্মরণ ও সম্মান জানান পিতৃপুরুষদের। এই পিতৃপক্ষ শেষ হয় মহালয়ায়। পরের দিন থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ। এদিনই শুরু হয় নবরাত্রি উৎসবের।

    রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন (Suvendu Adhikari)

    পিতৃপক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর প্যান্ডেল উদ্বোধন প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এটি হিন্দু প্রথার ওপর আক্রমণ। আজ পিতৃপক্ষের শেষ দিন। পিতৃপক্ষ চলাকালীন কোনও শুভ কাজ করা হয় না।” তাঁর অভিযোগ, ছ’মাস পরে নির্বাচন। একে সামনে রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন। বিজেপির এই নেতার দাবি, মমতার প্রশাসন সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, “তারা (সংখ্যালঘুরা) চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা বা শিক্ষা কিছুই পাননি। তিনি তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। তাই তিনি ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করছেন। তিনি দুর্গাপূজার মতো হিন্দু উৎসবকে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, যা মোটেই ঠিক নয়।”

    ‘হিজাব’ নিয়ে তোপ

    এদিন মমতা উদ্বোধন করেন হাতিবাগান, টালা প্রত্যয় এবং শ্রীভূমির প্যান্ডেলের। হাতিবাগান সর্বজনীন মাতৃ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করতে যাওয়ার সময় টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। ছাতা না নিয়ে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী একটি চাদর নিয়ে হিজাবের মতো করে পরে নেন। তৃণমূল নেত্রীর এহেন আচরণেও ক্ষুব্ধ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, “হিজাব পরে উনি একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিচ্ছেন। এটা সরাসরি হিন্দু আস্থা, হিন্দু রীতিনীতি এবং পরম্পরায় আঘাত।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “হিন্দুরা যেহেতু বিভক্ত, সবাই যেহেতু ভোট দিতে যান না, ভোট দিতে গেলেও, অনেকে অনেকভাবে ভোট দেন, ভাগ করেন, একটা বিশেষ মেসেজ দিচ্ছেন (Mamata Banerjee) ৩২-৩৩ শতাংশ ভোটারকে যে, আমি সম্পূর্ণভাবে ধর্মনিরপেক্ষ, আমি নাস্তিক, নাস্তিক নয়, আমি প্রো-মুসলিম লিগ। ভোটব্যাংককে একজোট করতে গিয়ে স্পষ্ট বার্তা (Suvendu Adhikari)।”

LinkedIn
Share