Tag: Bengali news

Bengali news

  • Sandip Ghosh: ‘ধর্ষক’ সন্দীপ! ফাঁসির দাবিতে স্লোগান আদালতে, গাড়ি লক্ষ্য করে এল জুতো

    Sandip Ghosh: ‘ধর্ষক’ সন্দীপ! ফাঁসির দাবিতে স্লোগান আদালতে, গাড়ি লক্ষ্য করে এল জুতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুনানি শেষ হতেই একেবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল আলিপুর কোর্টে। এজলাস থেকে বের হতে গিয়ে মহিলা আইনজীবীদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা যায় সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। শুনানি শেষে আদালত কক্ষের ভিতরেই সন্দীপের বিরুদ্ধে লাগাতার স্লোগান দিতে দেখা যায় আইনজীবীদের। এভাবে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়বে তা কেউ ভাবতে পারেনি।

    বিচারক কী নির্দেশ দিলেন? (Sandip Ghosh)

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয় সন্দীপ-সহ চার জনকে। এদিন শুনানিতে সন্দীপকে (Sandip Ghosh) নিজেদের হেফাজতে চায়নি সিবিআই। কারণ, হিসেবে বলা হয়, ইতিমধ্যেই এই ডিজিটাল এভিডেন্স ক্লোনিং করার আবেদন করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার আবেদন করা হয় সিবিআইয়ের (CBI) তরফে। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিং এবং আফসর আলিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    আদালতে ঠিক কী ঘটেছে?

    জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে আদালত কক্ষ থেকে সবে বেরিয়েছেন বিচারক। তখনও এজলাসেই বসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ (Sandip Ghosh) এবং আরও তিন অভিযুক্ত। তাঁদের ঘিরে তৈরি রাখা কড়া নিরাপত্তার বলয়। রয়েছেন পুলিশ কর্মী। রয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। এর মাঝেই সন্দীপকে ‘ধিক্কার’ জানাতে থাকেন এক মহিলা। ক্রমে স্লোগান উঠতে শুরু করে, ‘চোর চোর’, ‘ফাঁসি চাই’। উড়ে আসতে তাকে নানাবিধ হুমকি। সেই সময়েই আদালত কক্ষে ফিরে আসেন বিচারক। হাত জোড় করে বাকিদের চুপ করার অনুরোধ জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাইরে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষ পর্যন্ত কড়া প্রহরায় আদালত থেকে বার করিয়ে গাড়িতে চাপানো হয় সন্দীপদের।

    ‘‘তোর বডিগার্ড কোথায়?”

    তবে সেখানেও বাধে গোল। সন্দীপকে পুলিশের যে গাড়িতে তোলা হয়, এ বার সেটি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় জুতো। কেউ বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। মূলত মহিলা আইনজীবীরা সন্দীপের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। সন্দীপকে ‘ধর্ষক’ সম্বোধন করেও চিৎকার করতে থাকেন কেউ কেউ। তাঁর ফাঁসির দাবিও ওঠে আদালত কক্ষে। এখানেই শেষ নয়। সন্দীপের দাঁত ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন এক জন। তিনি বলেন, “অপরাধী হাসতে পারে না। দাঁত ভেঙে দেব।” এক জন বলেন, “জেলের ভাত কেন খাবে? সরকারের খরচ হবে।” এ ভাবে সন্দীপের উদ্দেশে একের পর এক স্লোগান উঠতে থাকে আদালতকক্ষে। জনৈক এক মহিলা চিৎকার করে বলেন, ‘‘তোর বডিগার্ড কোথায়?”  ‘We Want Justice’ ‘কালপ্রিট সন্দীপ ঘোষ নিপাত যাক’ লাগাতার এই সব স্লোগান উঠতে থাকে সন্দীপের সামনে। সূত্রের খবর, অবস্থা দেখে কার্যত মুখ ঘুরিয়ে নেন সন্দীপ। ততক্ষণে ‘সন্দীপ ঘোষ ধর্ষক। You are a Rapist।’ স্লোগান উঠতে শুরু করেছে।

    আইনজীবীরা কী বললেন?

    সিমন দাস নামে এক আইনজীবী বলেন, “কেন ধর্ষকের (Sandip Ghosh) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে? আমর প্রতিবাদ করেছি বলে আমাদের আদালত কক্ষ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে।” অন্য এক আইনজীবী ইশা পাল বলেন, “আদালতের যে দরজা নিয়ে বিচারকেরা যাতায়াত করেন, সেখান দিয়ে সন্দীপকে বার করে নিয়ে আসা হয়েছে। কেন এই বিশেষ ব্যবস্থা?”

    সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর যখন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে আদালতে হাজির করেছিল সিবিআই। তখনও আদালতের সামনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সন্দীপকে আদালত থেকে বার করার সময়েই শুরু হয়েছিল গোলমাল। ‘চোর চোর’ চিৎকার করে একদল মানুষ সন্দীপের দিকে এগিয়ে যায়। সেই সময়েই কোনও এক জন সন্দীপের মাথ পিছন থেকে চাঁটি মারেন বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই পরিস্থিতি থেকে কোনও রকমে সন্দীপকে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করে গাড়িতে তুলেছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সে দিনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই মঙ্গলবার সন্দীপদের ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আলিপুর আদালত। মঙ্গলবার সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 131: “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়”

    Ramakrishna 131: “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ক্লেশোঽধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্‌ ৷
    অব্যক্তা হি গর্তিদুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে ॥
       (গীতা — ১২।৫)

    ভক্তিযোগ যুগধর্ম—জ্ঞানযোগ বড় কঠিন—দাস আমি—ভক্তের আমি—বালকের আমি

    বিজয় (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—মহাশয়! আপনি ‘বজ্জাৎ আমি’ ত্যাগ করতে বলছেন (Kathamrita)। ‘দাস আমি’-তে দোষ নাই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, দাস আমি অর্থাৎ আমি ঈশ্বরের দাস, আমি তাঁর ভক্ত—এই অভিমান। এতে দোষ নাই বরং এতে ঈশ্বরলাভ হয়।

    বিজয়—আচ্ছা, যার “দাস আমি” তার কাম-ক্রোধাদি কিরূপ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঠিক ভাব যদি হয়, তাহলে কাম-ক্রোধের কেবল আকার মাত্র থাকে। যদি ঈশ্বরলাভের পর “দাস আমি” বা “ভক্তের আমি” থাকে, সে ব্যক্তি কারু অনিষ্ট করতে পারে না। পরশমণি ছোঁয়ার পর তরবার সোনা হয়ে যায়, তরবারের আকার থাকে, কিন্তু কারু হিংসা করে না।

    নারিকেল গাছের বেল্লো শুকিয়ে ঝরে পড়ে গেলে কেবল দাগমাত্র থাকে। সেই দাগে এইটি টের পাওয়া যায় যে, এককালে ওইখানে নারিকেলের বেল্লো ছিল। সেইরকম যার ঈশ্বরলাভ হয়েছে, তার অহংকারের দাগমাত্র থাকে, কাম-ক্রোধের আকারমাত্র থাকে; বালকের অবস্থা হয়। বালকের যেমন সত্ত্ব, রজঃ, তমো গুণের মধ্যে কোন গুণের আঁট নাই। বালকের কোন জিনিসের উপর টান করতেও যতক্ষণ—তাকে ছাড়তেও ততক্ষণ। একখানা পাঁচ টাকার কাপড় তুমি আধ পয়সার পুতুল দিয়ে ভুলিয়ে নিতে পার। কিন্তু প্রথমে খুব আঁট করে বলবে (Kathamrita) এখন—না আমি দেব না। আমার বাবা কিনে দিয়েছে। বালকের আবার সব্বাই সমান—ইনি বড়, উনি ছোট, এরূপ বোধ নাই। তাই জাতি বিচার নাই। মা বলে দিয়েছে, ও তোর দাদা হয়, সে ছুতোর হলেও একপাতে বসে ভাত খাবে। বালকের ঘৃণা নাই, শুচি-অশুচি বোধ নাই। পায়খানায় গিয়ে হাতে মাটি দেয় না।

    কেউ কেউ সমাধির পরও ভক্তের আমি, দাস আমি নিয়ে থাকে। আমি দাস, তুমি প্রভু, আমি ভক্ত, তুমি ভগবান—এই অভিমান ভক্তের থাকে। ঈশ্বরলাভের পরও থাকে, সব আমি যায় না। আবার এই অভিমান অভ্যাস করতে করতে ঈশ্বরলাভ হয়। এরই নাম ভক্তিযোগ।

    ভক্তির পথ ধরে গেলে ব্রহ্মজ্ঞান হয়। ভগবান সর্বশক্তিমান, মনে করলে ব্রহ্মজ্ঞানও দিতে পারেন। ভক্তেরা প্রায় ব্রহ্মজ্ঞান চায় না। আমি দাস, তুমি প্রভু, আমি ছেলে, তুমি মা—এই অভিমান রাখতে চায়।

    বিজয়—যাঁরা বেদান্ত বিচার করেন, তাঁরাও তো তাঁকে পান?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, বিচারপথেও তাঁকে পাওয়া যায়। একেই জ্ঞানযোগ বলে। বিচারপথ বড় কঠিন। তোমায় তো সপ্তভূমির কথা বলেছি। সপ্তভূমিতে মন পৌঁছিলে সমাধি হয়। ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়। কিন্তু কলিতে জীব অন্নগত প্রাণ, ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা কেমন করে বোধ হবে? সে-বোধ দেহবুদ্ধি না গেলে হয় না। আমি দেহ নই, আমি মন নই, চতুর্বিংশতি তত্ত্ব নই, আমি সুখ-দুঃখের অতীত, আমার রোগ, শোক, জরা, মৃত্যু কই?—এ-সব বোধ কলিতে হওয়া কঠিন। যতই বিচার কর, কোন্‌খান থেকে দেহাত্মবুদ্ধি এসে দেখা দেয়। অশ্বত্থগাছ এই কেটে দাও, মনে করলে মূলসুদ্ধ উঠে গেল। কিন্তু তার পরদিন সকালে দেখ, গাছের একটি ফেঁকড়ি দেখা দিয়েছে! দেহাভিমান যায় না। তাই ভক্তিযোগ কলির পক্ষে ভাল, সহজ।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ, সরছে ছত্তিশগড়ের দিকে

    Weather Update: ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ, সরছে ছত্তিশগড়ের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্বল হয়ে ওড়িশা থেকে ছত্তিশগড়ের দিকে যাচ্ছে বঙ্গোসাগরের নিম্নচাপ (Weather Update)। এই রাজ্যেও বৃষ্টির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। নিম্নচাপের জন্য রাজ্যের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের ৬ জেলায়। মঙ্গলবার কলকাতায় বৃষ্টি ভেজা ভোর দিয়ে শহরের দিন শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গল-বুধের দুদিনও আকাশ থাকবে মেঘলা। তবে জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর (Weather Update)

    উপগ্রহের চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি (Weather Update) মধ্য-ওড়িশা হয়ে উত্তরে ছত্তিশগড়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ দুর্বল হলেও মঙ্গলবার রাজ্যের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। আবার বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলায়।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টিপাত

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টিপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুত-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কিছু জেলায়। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, মালদায় হতে পারে ভারী বৃষ্টি। অপর দিকে বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ রয়েছে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ! ইডির হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ, লুকানো ছিল কোথায়?

    ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমুদ্র উপকূলে সতর্কতা

    পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ (Weather Update) ছিল, তা গত ২৪ ঘণ্টায় ক্রমে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে এসেছে। গতি ছিল ঘণ্টায় সাত কিমি। সোমবারেই তার শক্তি অনেকটা ক্ষয় হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের দিকে এগিয়ে যাবে। নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রের উপর ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমুদ্র উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birupaksha Biswas: ‘বদলির আশ্বাস দিয়ে দফায় দফায় টাকা হাতিয়েছেন বিরূপাক্ষ’, বিস্ফোরক চিকিৎসক

    Birupaksha Biswas: ‘বদলির আশ্বাস দিয়ে দফায় দফায় টাকা হাতিয়েছেন বিরূপাক্ষ’, বিস্ফোরক চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য দুর্নীতিতে চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের কুকীর্তি ক্রমশ সামনে আসছে। শাসকদলের ওই চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিজেকে প্রভাবশালী দেখিয়ে পোস্টিং করে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিরূপাক্ষের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে। এমনকী পদোন্নতির নামে বহু চিকিৎসকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতারণার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল। কিন্তু, তিনি এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে, প্রকাশ্যে নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরলেও বিরূপাক্ষকে ছোঁয়ার সাহস দেখায়নি পুলিশ। এবার এক চিকিৎসক তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয় বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে থানায় বর্ধমান লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।

    চিকিৎসকের ঠিক কী অভিযোগ? (Birupaksha Biswas)

    মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার শক্তিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তৎকালীন চিকিৎসক অনুপম মণ্ডল ২০২৩ সালের ১৩ মে বর্ধমান (Burdwan) থানায় বিরূপাক্ষের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বদলির জন্য বিরূপাক্ষ তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় মোটা টাকা নিয়েছেন বলেই অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকেও লিখিতভাবে অভিযোগের কথা জানিয়েছিলেন অনুপম। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১৮ মে তারিখে বর্ধমান থানায় বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। অভিযোগ পত্রে অনুপম লেখেন, স্বাস্থ্য দফতরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি, একজন বিধায়ক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের বড় কর্তাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে বলেই জানিয়েছিলেন বিরূপাক্ষ। সেই মর্মে নিশ্চিত বদলি হবে আশ্বাস পেয়েই টাকা দিয়েছিলেন অনুপম। কিন্তু, পরে তাঁর কাজ হয়নি। টাকা ফেরতের কথা বলতেই হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এই ঘটনার সুবিচার দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক বলেন, এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ চালাতেন বিরূপাক্ষ (Birupaksha Biswas)। বহু চিকিৎসক তাঁর খপ্পরে পড়ে  প্রতারিত হয়েছে। আমরা চাই, এই সব প্রতারণার ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: রয়েছে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ! ইডির হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ, লুকানো ছিল কোথায়?

    ED: রয়েছে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ! ইডির হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ, লুকানো ছিল কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির ঘটনায় আরও বড় তথ্যপ্রমাণ হাতে এল। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ব্যবহার করা একটি ল্যাপটপ। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপটি নিজের বেলেঘাটার বাড়ি থেকে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে সরিয়ে রেখেছিলেন সন্দীপ। সন্দীপের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁর ব্যবহার করা সেই ল্যাপটপটি বাজেয়াপ্ত করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর (ED) গোয়েন্দারা।

    কোথায় কোথায় তল্লাশি? (ED)

    আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ির পাশাপাশি তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা (ED)। বাদ যায়নি শ্যালিকার বাড়ি। সেই তল্লাশিতে একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে। আর সেই তল্লাশিতেই উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ। ইতিমধ্যেই সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। জানা যাচ্ছে, এই ল্যাপটপেই রয়েছে দুর্নীতির তথ্য। সূত্রের খবর, টেন্ডার সংক্রান্ত নথি রয়েছে ল্যাপটপে। এক্সেল ফাইলে রয়েছে প্রচুর টাকার হিসেব। ঘেঁটে দেখা হচ্ছে ই মেল। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলার আশঙ্কাও করছে এজেন্সি। কোনও প্রমাণ মুছে হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডি-র দাবি, তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল নথি পেয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ল্যাপটপে হয়তো রাখা হত যাবতীয় হিসেব। তাই, হিসেব বহির্ভূত আয়ের হিসেব এবং একাধিক নথিপত্র সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপ থেকে পাওয়া যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    আরজি করের দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই-ও

    প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ থাকাকালীন অনেক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে সে সব অভিযোগ সামনে এলেও তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর অভিযোগ আরও জোরালো হয়, নতুন করে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সন্দীপের বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এই ঘটনায় নতুন ভাবে এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামেন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। এবার সিবিআই-এর পাশাপাশি সন্দীপের হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডি (ED)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: স্বপ্নদীপের মৃত্যুই অনুপ্রেরণা, ফেলে দেওয়া পেন-পেন্সিল দিয়ে অভিনব দুর্গাপ্রতিমা

    Durga Puja 2024: স্বপ্নদীপের মৃত্যুই অনুপ্রেরণা, ফেলে দেওয়া পেন-পেন্সিল দিয়ে অভিনব দুর্গাপ্রতিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, কোনও কিছুই ফেলে দিতে নেই। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়েই গড়ে উঠতে পারে অনেক কিছু। এবার হাজার হাজার কালি ফুরানো পেন ও পেন্সিল দিয়ে দৃষ্টিনন্দন দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করলেন নদিয়ার এক গৃহবধূ। প্রায় ৯ মাসের প্রচেষ্টায় এখন পুরোপুরি সম্পূর্ণ দুর্গাপ্রতিমা (Durga Puja 2024) তৈরির কাজ। হ্যাঁ, এমনই এক দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সত্যনগর পাড়ার গৃহবধূ পাপিয়া কর। তিনি একজন পেশায় হস্তশিল্পী। যদিও সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে তাঁর অনেক। সমাজের পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুদের দেখাশোনা করেন তিনি এবং নির্দিষ্ট সময় বের করে শিক্ষা প্রদান করে। এই নিয়েই বর্তমানে দিন কাটে পাপিয়ার।

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুই নাড়িয়ে দিয়েছিল (Durga Puja 2024)

    প্রায় এক বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল নদিয়ার যুবক স্বপ্নদ্বীপের। তরতাজা প্রাণ চলে যাওয়ার কারণে তাঁর মনে উঠে এসেছিল প্রতিবাদের ভাবনা। তিনি মনে মনে ভেবেছিলেন, এমন কিছু করে দেখাবেন যেখানে দুর্গামূর্তির মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ তুলে ধরতে পারেন। এরপর থেকেই সংগ্রহ করতে থাকেন কালি ফুরিয়ে যাওয়া পেন ও পেন্সিল। তার পর থেকেই শুরু করেন দুর্গাপ্রতিমা তৈরির কাজ।

    লক্ষ্য, শিক্ষিত অসুরদের বিনাশ

    প্রায় ৩০ হাজার পেন ও পেন্সিল দিয়ে তৈরি করে ফেলেন দুর্গাপ্রতিমা (Durga Puja 2024), সঙ্গে রয়েছে মা দুর্গার চার সন্তান। কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী ও  লক্ষ্মী-প্রত্যেকটি মূর্তি পেন ও পেন্সিল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। নাম দিয়েছেন অশুভ শক্তির বিনাশ হোক, শুভ শক্তির আগমন হোক, অর্থাৎ কলমকারী দুর্গা। এ প্রসঙ্গে গৃহবধূ পাপিয়ার কথায়,, স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুতে তিনি খুবই ভেঙে পড়েছিলেন, ভেবেছিলেন হয়তো সবাই ঝাঁপিয়ে প্রতিবাদে নামবে। তার পরও ঘটে গেল আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে নৃশংস ঘটনা। তাই শিক্ষিত অসুরদের বিনাশ করতে তিনি প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে দুর্গাপ্রতিমার নাম দিয়েছেন কলমকারী দুর্গা (Durga Puja 2024)। তাঁর তৈরি দুর্গাপ্রতিমা পাড়ি দেবে নদিয়ার রানাঘাট পাইকপাড়া ব্রতী সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপে। জানা গিয়েছে, ওই মণ্ডপের থিম তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে, এখন শুধু পুজো আসার অপেক্ষা। একটা সময় কাজের প্রতিভার মধ্যে দিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন দিদি নম্বর ওয়ান এবং দাদাগিরির মঞ্চ জি বাংলার রান্নাঘরের মতো জায়গায়। তাঁর পরিচিতি এখন গোটা বাংলা জুড়ে, কারণ তিনি শুধু হস্তশিল্পী নন, প্রতিদিনই অনেক দুঃস্থ পরিবারের ৩০ থেকে ৪০টি বাচ্চার দেখাশোনা করেন। হাতে-কলমে শেখানো হয় পড়াশুনো, পাশাপাশি তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ২২ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে বিজেপি দফতর ওড়ানোর ছক ছিল জঙ্গিদের, দাবি এনআইএ-এর

    NIA: ২২ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে বিজেপি দফতর ওড়ানোর ছক ছিল জঙ্গিদের, দাবি এনআইএ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনই বেঙ্গালুরুতে বিজেপির সদর দফতরে আইইডি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের অভিযুক্তরা। তদন্তে নেমে চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA)। এই তথ্য ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

    এনআইএ-এর বক্তব্য(NIA)

    ৯ সেপ্টেম্বর, এক বিবৃতি দিয়ে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অর্থাৎ এনআইএ (NIA) জানিয়েছে, রামেশ্বরমে বিস্ফোরণের পিছনে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরামে বিজেপির সদর দফতরকে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল৷ একই ভাবে এনআইএ আরও দাবি করে, অভিযুক্তরা গত ২২ জানুয়ারি, অযোধ্যায় প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের দিনেই ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল। তবে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় যার পরে, গত মার্চের ১ তারিখ অভিযুক্তরা রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। সেখানে মোট ৯ জন আহত হয়েছিলেন।

    কোন কোন ধারায় মামলা?

    রামেশ্বরম বিস্ফোরণ মামলায় দায়ের করা চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেব যে সব দুষ্কৃতীদের নাম রয়েছে, তারা হল—মুসাভির হুসেন শাজিব, আবদুল মতিন আহমেদ ত্বহা, মাজ মুনির আহমেদ এবং মুজাম্মিল শরিফ। এই চারজনকে তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করছে। তাদের বিরুদ্ধে এনআইএ (NIA) আইপিসি (IPC), ইউএপিএ (UAPA) আইন, বিস্ফোরক পদার্থ আইন এবং পিডিএলপি (PDLP) আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে সংযোগ

    এনআইএ (NIA) ২০১২ সাল থেকে লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) বেঙ্গালুরু ষড়যন্ত্র মামলায় মহম্মদ শাহিদ ফয়জালকে পলাতক জঙ্গি হিসাবে নাম প্রকাশ করেছিল৷ নাশকতামূলক কাজের জন্য শাজিব ও ত্বহাকে অর্থ সহায়তা করত ওই জঙ্গি। বিস্ফোরণ মামলায় ফয়জালকে নাশকতামূলক কার্যকলাপে টাকা সরবরাহ করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। ত্বহাকে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের পিছনে মাস্টারমাইন্ড বলে দাখিল করা চার্জশিটে উল্লেখ করেছে এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ৩ মার্চ মামলাটি হাতে নেওয়ার পরে বেশ কয়েকটি রাজ্য পুলিশ ইউনিট এবং অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতা, বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হয়। জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে আল-হিন্দ মডিউলটি ভাঙার পর থেকে শাজিব এবং ত্বহা পলাতক হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    আল-হিন্দের ১৭ জন সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    আল-হিন্দ হল ২০-সদস্যের আইসিস মডিউল। বেঙ্গালুরুতে যার নেতৃত্বে ছিল মেহবুব পাশা, কুড্ডালোর নেতৃত্বে ছিল খোয়াজা মইদিন। আবার বেঙ্গালুরুর গুরুপানপাল্যাতে পাশার আল-হিন্দ ট্রাস্ট অফিস থেকে নাশকতামূলক কাজের পরিকল্পনা করা হত। তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, এবং কেরলেও এই গ্রুপ বেশ সক্রিয় রয়েছে। মূলত জঙ্গলে আত্মগোপন করে ষড়যন্ত্রের কাজ চালানো হত। এমনকী, গভীর জঙ্গলে কীভাবে বেঁচে থাকা যায় তা শিখতে বিখ্যাত চন্দন দস্যু বীরাপ্পনের বইও কিনেছিল জঙ্গিরা। আল-হিন্দের ১৭ জন সদস্যের বিরুদ্ধে এনআইএ (NIA) চার্জশিট দিয়েছে। তাদের প্রধান টার্গেট ছিল হিন্দু ধর্মীয় নেতা, রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ অফিসার, সরকারী আধিকারিক এবং নির্দিষ্ট উচ্চ-প্রোফাইল যুক্ত ব্যক্তি।

    আরও পড়ুনঃ মাওবাদী দমনে সক্রিয় সরকার, ৪ হাজার সিআরপিএফ পৌঁছল ছত্তিশগড়ে

    ত্বহা ছিল হামলার মূলচক্রী

    এনআইএ (NIA) জানিয়েছে, অভিযুক্তরা জালিয়াতি করে ভারতীয় সিম কার্ড এবং ভারতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি নিয়েছিল। সেই সঙ্গে ডার্ক ওয়েব থেকে ডাউনলোড করা বিভিন্ন ভারতীয় ও বাংলাদেশি পরিচয় নথিও ব্যবহার করেছিল। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, পলাতক জঙ্গি মহম্মদ শাহিদ ফয়জালের সঙ্গে লস্কর জঙ্গি শোয়েব আহমেদ মির্জার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল ত্বহা। মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনআইএ-র মতে, ত্বহা ছিল হামলার মূলচক্রী। মুসাভির হোসেন শাজিব ছিল বিস্ফোরণ হামলাকারী। মুজাম্মিল শরিফ, হামলার সরঞ্জাম হিসেবে সিম কার্ড-স্মার্টফোনের সরবরাহ করেছিল। বিস্ফোরণ বাস্তবায়নে মাজ মুনির আহমেদ এবং শোয়েব আহমেদ মির্জা সক্রিয় ভাবে কাজ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Train Derailment Attempt: লাইনে সিলিন্ডার, সিমেন্টের ব্লক! রেল দুর্ঘটনা ঘটানোর চক্রান্ত! নেপথ্যে জঙ্গি-হাত?

    Train Derailment Attempt: লাইনে সিলিন্ডার, সিমেন্টের ব্লক! রেল দুর্ঘটনা ঘটানোর চক্রান্ত! নেপথ্যে জঙ্গি-হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার কানপুরের শিবরাজপুরের কাছে রেললাইনের ওপর রাখা ছিল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার (Train Derailment Attempt)। অল্পের জন্য রক্ষা পায় কালিন্দি এক্সপ্রেস। সোমবার, রাজস্থানের আজমের মালবাহী করিডরের রেললাইনে প্রায় ৭০ কেজি ওজনের সিমেন্টের দুটি ব্লক রেখে দেওয়া হয়েছিল। যার এক-একটির ওজন প্রায় ৭০ কেজি! 

    জঙ্গিদের পদ্ধতি বদল

    দু’দিন। দু’জায়গা। দুটি ক্ষেত্রেই লাইনচ্যুত (Train Sabotage Foiled) করানোর চেষ্টা হয়েছে ট্রেন। গত কয়েক মাসে এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে বই কমেনি। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জঙ্গিরা এখন বিস্ফোরণের ছক থেকে বেরিয়ে এসে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করছে। প্রথমত, সড়ক, জল বা আকাশপথে এখন নজরদারি কঠোর যাওয়ায়, বিস্ফোরণ ঘটানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে জঙ্গিদের কাছে। দ্বিতীয়ত, চারদিকে, সিসি ক্যামেরার ফলে, তাদের সব কার্যকলাপ ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে, শহর থেকে দূরে, জনমানসহীন এলাকায় রেললাইনে ফাঁদ পেতে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা (Train Derailment Attempt) করছে জঙ্গিরা। 

    কানপুরে লাইনে সিলিন্ডার

    সোমবার কানপুরে অল্পের জন্য রক্ষা পায় কালিন্দি এক্সপ্রেস। যাত্রীবাহি ট্রেনটি প্রয়াগরাজ থেকে যাচ্ছিল মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডিতে। রেল সূত্রে খবর, কানপুরের শিবরাজপুরের কাছে রেললাইনের ওপর রাখা ছিল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার। চালকের তৎপরতায় এড়ানো গিয়েছে বড়সড় দুর্ঘটনা। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে আরপিএফ। সিলিন্ডারটি উদ্ধার করার পাশাপাশি আরও কিছু সন্দেহজনক জিনিসও উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। রেল লাইনে যে জায়গা থেকে সিলিন্ডারটি উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে বোতল ভর্তি একটি হলুদ রংয়ের পদার্থও পাওয়া গিয়েছে (Train Derailment Attempt)। লাইনের ওপর থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক পেট্রল ভরা বোতল ও দেশলাই। ট্র্যাকে ভারী কিছু লোহার জিনিস ঘষার চিহ্নও দেখা গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, সিলিন্ডারটিতে বিস্ফোরক কিছু থাকলেও, থাকতে পারে। তদন্তকারীরা একটি ব্যাগও উদ্ধার করেছেন।

    রেললাইনে সিমেন্টের ব্লক

    কানপুরের এই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, ফের একই রকম দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টার খবর এল রাজস্থানের আজমের থেকে। এবার মালবাহী করিডরের রেললাইনে প্রায় ৭০ কেজি ওজনের সিমেন্টের দুটি ব্লক রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। এই করিডর দিয়েই একটি মালগাড়ি গিয়েছিল। সিমেন্টের ব্লকের সঙ্গে মালগাড়িটির ধাক্কা লাগলেও, ট্রেনটির কোনও ক্ষতি হয়নি। ট্রেনটি ঠিকঠাকই গন্তব্যে পৌঁছেছে। সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ফুলেরা-আমেদাবাদ অংশের সরাধনা ও বাঙ্গাদ স্টেশনের মাঝে। খবর পেয়ে এলাকায় যান রেলকর্মীরা। তাঁরা প্রথমে রেললাইনের ওপর সিমেন্টের একটি ব্লক দেখতে পান। পরে কিছুটা দূরেই দেখা মেলে আরও একটি ব্লকের। রেলওয়ে আইন ও সরকারি সম্পত্তি ক্ষতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ঘটনায়ও নাশকতার চেষ্টার হাত দেখছেন তদন্তকারীদের একাংশ। লাইনের ওপর সিমেন্টের ব্লক না রাখলে, সেটি কোনওভাবেই সেখানে আসার কথা নয়। তাই দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য কী, কেনই বা তারা মালগাড়ির করিডরে সিমেন্টের ব্লক রাখল, তাও স্পষ্ট নয়। এসবই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।  

    আরও পড়ুন: মণিপুর হিংসায় আন্তর্জাতিক যোগ! শান্তি ফেরাতে সরকারকে আর্জি আরএসএস-এর

    রেললাইনে বাইকের স্ক্র্যাপ 

    রাজস্থানের বারান জেলার ঘটনার কথাই ধরা যাক। ২৯ অগাস্ট রাতে ছাবড়া এলাকার চাচাউদা গ্রামের কাছে কে বা কারা রেললাইনের ওপর রেখে দিয়েছিল বাইকের স্ক্র্যাপ। ঘটনাটি নজরে পড়ায় চালক ব্রেক কষেন। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। এই ঘটনার নেপথ্যে যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা জলের মতো স্পষ্ট। কারণ দুর্ঘটনা ছাড়া রেলের লাইনে বাইকের স্ক্র্যাপ আসার কথা নয়। সেদিন ওই এলাকায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে রেল সূত্রে খবর। প্রশ্ন হল, রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর কারা রাখল বাইকের স্ক্র্যাপ?

    রেললাইনে বোল্ডার

    রেললাইনের ওপর (Train Derailment Attempt) বোল্ডার ফেলে রাখায় লাইনচ্যুত হয়েছে সবরমতী এক্সপ্রেস। ভোর রাতে বারাণসী থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার ১৯১৬৮ নম্বরের ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয় উত্তরপ্রদেশের কানপুর ও ভীমসেন স্টেশনের মাঝে। ঝাঁসির দিকে যাওয়ার সময় ট্রেনটি গিয়ে ধাক্কা মারে লাইনের ওপর থাকা বোল্ডারে। বেলাইন হয় ট্রেনটি। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। স্থানীয়দের দাবি, রেলের গতি কম থাকায়ই এড়ানো গিয়েছে মৃত্যু। দুর্ঘটনার নেপথ্যে নাশকতার ছক রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে রেল। লাইনের ওপর বোল্ডার আসার কথা নয়। তাই বোল্ডারটি কীভাবে রেলওয়ে ট্র্যাকে চলে এল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পরে (Train Sabotage Foiled) পরে রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ট্রেনের সামনে থাকা ক্যাটল গার্ডের ক্ষতি হয়েছে। নাশকতার ইঙ্গিত মিলেছে রেলমন্ত্রী অশ্বনী বৈষ্ণবের কথায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন “ভারী ধাক্কার চিহ্ন রয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা বিভাগ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”

    সরকারকে হেয় করার চেষ্টা!

    এর আগেও এমনতর ঘটনা (Train Derailment Attempt) ঘটেছে। মোদি সরকারকে জনমানসে হেয় করতে রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছে আস্ত গাছের গুঁড়ি। গত জুনে ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার ভদ্রকে। ওই বছরেরই অক্টোবরে ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের মধ্যে সংযোগকারী রেললাইনে ফেলে রাখা হয় পাথর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তামিলনাড়ুতে বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। পশ্চিমবঙ্গের মালদায় সিগন্যাল টেম্পারিং করা হয়। পশ্চিমবঙ্গেরই বীরভূমে ভাঙচুর করা হয় লোকাল ট্রেনে। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আবার রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয় গ্যাস সিলিন্ডার, হাতুড়ি। এরই কিছুদিন পরেই ফের এই এলাকায় রেললাইনে ফেলে রাখা হয় গ্যাস সিলিন্ডার এবং সাইকেল। রেললাইনের ওপর আস্ত বাইক রেখে চলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এবারও অকুস্থল সেই প্রয়াগরাজ। তেলঙ্গনায় আবার রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল লোহার ইয়া বড় রড (Train Derailment Attempt)। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় গ্যাস সিলিন্ডার।

    কী বলছে বিজেপি

    বারংবার এমন ঘটনা ঘটার নেপথ্যে যে কোনও গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র রয়েছে তা মনে করেছেন অনেকেই। বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, “কিছু ব্যক্তি ও সংস্থা দেশে অরাজকতা ও অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ এমনটা সহ্য করবে না। ঘটনাপ্রবাহকে তিনি ষড়যন্ত্র বলেই মনে করেন।” ভাটিয়া বলেন, “এটা উদ্বেগের বিষয় যে কিছু ব্যক্তি ও সংস্থা রয়েছে যারা ক্ষমতার লোভে দেশে দাঙ্গা ও অশান্তি পাকাতে চায়। এ ধরনের কাজের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন’’, মমতাকে তোপ নির্যাতিতার মায়ের

    জঙ্গি-যোগের প্রমাণ!

    এদিকে, উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টায় জঙ্গি যোগের প্রমাণ মিলেছে। জঙ্গিরা প্রয়াগরাজ-ভিওয়ানি কালিন্দি এক্সপ্রেস উল্টে দেওয়ার ছক কষেছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, যে এই ষড়যন্ত্রের চাঁই, সে স্ব-উগ্রপন্থী। সে আইসিসের খোরাসান মডিউলের সঙ্গে জড়িত বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এনআইএ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে জানা যাবে, ঘটনার (Train Sabotage Foiled) নেপথ্যে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী কিংবা কোন দুষ্কৃতীর হাত (Train Derailment Attempt)। কানপুরের ঘটনা খতিয়ে দেখছে এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • North Bengal Medical: আন্দোলনের ঝাঁঝ! নম্বর দুর্নীতিতে প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    North Bengal Medical: আন্দোলনের ঝাঁঝ! নম্বর দুর্নীতিতে প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজেও টিএমসিপি নেতাদের ‘থ্রেট কালচার’-এর ফলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় কারচুপির বিস্তর অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে নম্বর দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়াদের আন্দোলনের চাপে ১২ জনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রাক্তন ডিন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন ও একজন আরএমও রয়েছেন।

     কীভাবে চলত থ্রেট কালচার? (North Bengal Medical)

    আন্দোলনকারী পড়ুয়া-চিকিৎসকদের অভিযোগ, টিএমসিপি নেতাদের হাতের পুতুল হয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) কর্তৃপক্ষ। থ্রেট কালচারের পাশাপাশি টিএমসিপি নেতাদের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (Siliguri) এতদিন চলে এসেছিল পরীক্ষায় নম্বরে কারচুপি, নকলে মদত দেওয়ার ঘটনা। কলেজ অনুষ্ঠানে টাকা তোলার জন্য জুলুম ও হুমকি দেওয়া হত। সেই টাকার কোনওদিন অডিট হয়নি। ৫২ নম্বর পাওয়া এক পড়ুয়ার নম্বর বাড়িয়ে ৮২ করে দেওয়া হয়েছিল।

    গত ৪ সেপ্টেম্বর এর প্রতিবাদে পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে একথা স্বীকার করে পদত্যাগ করেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল। এই দু’জনের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহার পদত্যাগের দাবিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীরা তাঁদের ঘেরাও করে রাখেন। রাতে সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল পদত্যাগ করলেও আশ্চর্যজনকভাবে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহার পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

     প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা!

    আন্দোলনের (North Bengal Medical) চাপে সুপারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ। তদন্তে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোকপাত করা হয়নি। থ্রেট কালচারের হুমকি নিয়ে তদন্ত কমিটি সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সোমবার রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টেই তিন আধিকারিক সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৯ ছাত্র নেতা। আধিকারিকদের মধ্যে প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল ও আরএমও নিলাব্জ ঘোষকে আপাতত ছুটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে কলেজ কাউন্সিল। অধ্যক্ষ বলেন, তিন হাউসস্টাফ শাহিন সরকার, শাহিনুল ইসলাম ও রিতুরম্ভ সরকার, সোহম মণ্ডল, জয় লাকড়া, তীর্থঙ্কর রায়, অরিত্র রায়, ঐশি চক্রবর্তী, শ্রীজা কর্মকারকেও বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। সোহম মণ্ডল সহ যাদের নম্বর কারচুপি করার অভিযোগ রয়েছে, তাদের সকলের খাতা ফের মুল্যায়ন করা হবে। এদের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র নেতা সোহম মণ্ডল ইন্টার্ন। অরিত্র ও তীর্থঙ্কর ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। ঐশি, শ্রীজা ও জয় লাকড়া তৃতীয় বর্ষের পার্ট-১ এর ছাত্র।

    অধ্যক্ষ কেন তদন্তের বাইরে?

    অন্যতম অভিযুক্ত টিএমসিপির বরখাস্ত নেতা অভীক দে এখানে অবৈধভাবে অডিটোরিয়াম (North Bengal Medical) দখল করে তাঁর জন্মদিন পালন করেছিলেন। অধ্যক্ষ সেই অনুষ্ঠানে থেকেছেন। অভীকের হাত থেকে কেকও খেয়েছেন তিনি। সেকথা স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ। তাতেই প্রশ্ন, অধ্যক্ষ কেন তদন্তের বাইরে? এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘‘এখানে সবাই আমার অধস্তন। তাই আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ রয়েছে, তার সবটাই রাজ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের তরফে শাহরিয়ার আলম বলেন,  ‘‘আমরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসছি না। তাঁর ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয় দেখে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rainbow Diet: খাবারের তালিকায় ‘রামধনু’ রয়েছে তো? শরীর ও মন সুস্থ রাখতে কেন এটি জরুরি?

    Rainbow Diet: খাবারের তালিকায় ‘রামধনু’ রয়েছে তো? শরীর ও মন সুস্থ রাখতে কেন এটি জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবন যাপনের ধরনের জেরে বাড়ছে নানা রোগ। হৃদরোগ, স্নায়ুর সমস্যা, স্থূলতা থেকে বন্ধ্যাত্বের মতো জটিল অসুখের অন্যতম কারণ খাবার, এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস কেমন, তার ওপরই সুস্থতা অনেকটা নির্ভর করে। তাই কী খাওয়া হচ্ছে, কতটা পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজরদারি জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, খুব কম বয়স থেকেই নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকবে ‘রামধনু’!  ‘রেইনবো’ খাদ্যাভ্যাস শরীর ও মনকে (Body and Mind) সুস্থ রাখে‌।

    ‘রেইনবো’ খাদ্যাভাস কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, খাবারের তালিকায় রামধনু রাখার অর্থ নির্দিষ্ট কিছু ধরনের সব্জি এবং ফল নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। রামধনুতে (Rainbow Diet) থাকে সাত রকমের রং। নিয়মিত খাবারের তালিকাতেও রাখতে হবে এমন নানা রঙের সব্জি এবং ফল। এই প্রত্যেকটি ফল এবং সব্জির কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিট, গাজর, পালং শাক, ব্রকোলি, ডুমুর, রাঙা আলুর মতো সব্জির পাশপাশি পাকা পেঁপে, কমলালেবু, আপেল, আম, কলা, নাশপাতির মতো ফল নিয়মিত খেতে হবে। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। কিন্তু কেন‌ ডায়েটে রামধনু রাখলে বাড়তি উপকার? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রামধনু সব্জি এবং ফল হিসেবে যেগুলো‌ তালিকায় রাখা হয়, সেগুলো বাড়তি উপকারী। তার কিছু নির্দিষ্ট কারণ আছে বলেও তারা জানিয়েছে। 

    কমলা (Rainbow Diet)

    পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, কমলা রঙের গাজর নিয়মিত খেলে চোখের সমস্যা কমে। বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশই চোখের নানা সমস্যায় ভোগে। নিয়মিত গাজর খেলে রেটিনা ভালো থাকে। পাশাপাশি গাজর অন্ত্রের জন্যও বিশেষ উপকারী। আবার ফলের মধ্যে কমলা রঙের কমলালেবু কিংবা মাল্টা জাতীয় ফল রাখলে শরীরে ভিটামিন সি-র চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায় না।‌ আবার মাল্টা রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও কমে।

    লাল

    লাল রঙের সব্জি হিসেবে বিট কিংবা টমেটো নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তারা জানাচ্ছে, এতে শরীরে ভিটামিন ই এবং এ-র চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। এর ফলে ত্বক ভালো থাকে। দেহে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। আবার লাল ফল হিসেবে স্ট্রবেরি জাতীয় ফল খেলেও উপকার পাওয়া যায়। এতে চোখের উপকার হয়। এর জেরে শুষ্ক চোখ বা ড্রাই আইয়ের মতো রোগের ঝুঁকিও কমে।

    সবুজ (Rainbow Diet)

    সবুজ সব্জি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত পালং শাক, লাউ, পটলের মতো সবুজ সব্জি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই ধরনের সব্জি অন্ত্র এবং লিভারের জন্য খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত সবুজ সব্জি খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। সবুজ ফল হিসেবে কিউই কিংবা নাশপাতি রাখারও পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, এই ধরনের ফলে ফাইবার, ভিটামিন সি থাকে। ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

    হলুদ

    পেঁপে, কলা কিংবা আমের মতো ফল নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে পুষ্টিবিদদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, পরিমিত পরিমাণে এই ধরনের ফল নিয়মিত খেলে শরীরে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। শিশুর বয়স ছ’মাস হলেই তাকে নিয়মিত একটা কলা খাওয়ানো উচিত। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় আয়রনের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। পেঁপে অন্ত্র ভালো রাখে। এতে হজমের গোলমাল কম হয়। আবার আম (Rainbow Diet) ত্বক ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আমে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। এতে শরীর বাড়তি এনার্জি পায়। পাশপাশি হলুদ রঙের বেল পেপার জাতীয় সব্জি নিয়মিত রান্নায় দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    বেগুনি এবং নীল

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, স্থূলতা রুখতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে ডায়েট চার্টের এই বেগুনই রং। তারা জানাচ্ছে, নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বেগুনের তরকারি রাখা যেতে পারে। কারণ, বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই অল্প পরিমাণ বেগুন খেলেও তাড়াতাড়ি পেট ভরে যায়। তাই স্থূলতা রুখতে বেগুন সাহায্য করে। আবার বেগুনে ভিটামিন বি-সিক্স রয়েছে। এই উপাদান হৃদরোগ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই বেগুন (Rainbow Diet) অত্যন্ত উপকারী। 
    পাশপাশি নিয়মিত আঙুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচাতে আঙুর সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share