Tag: Bengali news

Bengali news

  • Durga Puja 2024: গুপ্তিপাড়ার ‘বারো ইয়ার’-এর পুজোই ধীরে ধীরে হয়ে উঠল সর্বজনীন, জানুন সেই ইতিহাস

    Durga Puja 2024: গুপ্তিপাড়ার ‘বারো ইয়ার’-এর পুজোই ধীরে ধীরে হয়ে উঠল সর্বজনীন, জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় বারোয়ারি শব্দের বহুল ব্যবহার। তাই স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন জাগে, এই কথাটির প্রকৃত অর্থ কী? পুজোর ক্ষেত্রে এই কথাটি এল কীভাবে? আজকের প্রতিবেদনে আমরা এই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব। শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক, এই শব্দের আভিধানিক অর্থ কী? ‘বারোয়ারি’ শব্দটির উৎপত্তি ‘বারো’ এবং ‘ইয়ার’ এই দুটি শব্দ থেকে। ‘ইয়ার’ শব্দের অর্থ বন্ধু। তাহলে বারোয়ারি বলতে বোঝায় বারোজন বন্ধু। বাস্তবে ঘটেওছিল এমনটাই, বারোজন বন্ধুই প্রথম একজোট হয়ে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) করেছিলেন। তাই এক সঙ্গে যখন অনেকে পুজো করেন, তখন তাকে বলা হয় বারোয়ারি পুজো। এখন অবশ্য ‘বারোয়ারি’ কথাটির বদলে ‘সর্বজনীন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তার কারণ, এখন আর বারোজন মিলে কোনও পুজো করেন না, করেন অনেকে মিলে। কোথাও একটা গোটা পাড়া, কোথাও আবার পাড়ার বাইরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা তোলা হয়। তাই বারোয়ারি পুজো এখন বদলে হয়েছে সর্বজনীন।

    শুরু হুগলির গুপ্তিপাড়ায় (Durga Puja 2024)

    কিন্তু মনে প্রশ্ন থেকেই যায়, প্রথম যে বারোজন মিলে পুজো শুরু করেছিলেন, তাঁরা কারা? কোথায়ই বা তাঁরা সেই পুজো করেছিলেন। এবার আসা যাক সেই ঘটনাতেই (History)। জানা যায়, ১৭৯০ সালে হুগলির গুপ্তিপাড়ায় বারোজন ব্রাহ্মণ বন্ধু প্রথম চাঁদা তুলে পুজো শুরু করেন। এই পুজোই বারোয়ারি পুজো নামে খ্যাত। মর্ত্যে যখন দুর্গাপুজো শুরু হয়, তখন তা মূলত হত ধনীদের বাড়িতেই। কারণ দুর্গাপুজোর খরচ বিস্তর। পুজোও চার-পাঁচ দিনের। তাই ধনীরা পুজো করতেন। কিছু কিছু ব্রাহ্মণ বাড়িতেও পুজো হত। তবে তা নিতান্তই সাদামাটাভাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুজো হত পট কিংবা যন্ত্রে। সেখানে ধনী গৃহস্থ বাড়িতে পুজো হত প্রতিমা বানিয়ে।

    কালীপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজোও সর্বজনীন

    এক সময় কলকাতায় হাতে গোণা কয়েকটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) হত। কালক্রমে পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে আলোর রোশনাই-জৌলুসও। তবে কেবল দুর্গাপুজোই যে সর্বজনীনভাবে হয় তা নয়, বারাসত-বারাকপুরের কালীপুজো, কৃষ্ণনগর, চন্দননগর, বাউড়িয়ার জগদ্ধাত্রীপুজো, উলুবেড়িয়া, কাটোয়া, চুঁচুড়া-বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে কার্তিক পুজো এবং নবদ্বীপের শাক্ত রাসও হয় সর্বজনীনভাবে।

    পুরাণে পুজো নিয়ে কী রয়েছে?

    আগে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরাণ ও শাস্ত্র সহ বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণই প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন। তার পরে দেবীর আরাধনা করেছিলেন স্বয়ং প্রজাপতি ব্রহ্মা। তারও পরে দুর্গাপুজো করেছিলেন মহাদেব। পরে আরও অনেক দেবতাই বিপদ থেকে ত্রাণ পাওয়ার জন্য শরণ নিয়েছিলেন মহামায়ার। এ তো গেল দেবতাদের দেবী আরাধনার উপাখ্যান। ব্রহ্মার মানস পুত্র মনু মর্তে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) প্রচলন করেছিলেন বলে কোনও কোনও শাস্ত্র রচয়িতার দাবি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Student Suicides: পড়ুয়াদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান ছাপিয়ে যাচ্ছে সব রেকর্ড! কী বলছে রিপোর্ট?

    Student Suicides: পড়ুয়াদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান ছাপিয়ে যাচ্ছে সব রেকর্ড! কী বলছে রিপোর্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আত্মহত্যা এক মহামারির মতো প্রভাব বিস্তার করছে। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে পড়ুয়াদের ওপর। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা পুরনো সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, এই প্রবণতা রুখতে না পারলে পরবর্তীতে আরও বড় বিপদ তৈরি হতে পারে। ১০ সেপ্টেম্বর ‘সুইসাইড প্রিভেনশন ডে’! বিশ্ব জুড়ে এই নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চলছে। পিছিয়ে নেই ভারত। দেশ জুড়ে স্কুলস্তর থেকেই নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি মহলে চলছে নানা কর্মশালা। আত্মহত্যার প্রবণতা (Student Suicides) রুখতে কথা বলার অভ্যাসকেই হাতিয়ার করতে চাইছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই স্কুলস্তর থেকেই বোঝানো হচ্ছে, যে কোনও পরিস্থিতিতে পরিবার, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আলোচনা করতে হবে। তাহলে পাওয়া যাবে সমাধানসূত্র।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর সাহায্যে এক সর্বভারতীয় সংস্থা চলতি বছরের অগাস্ট মাসে একটি রিপোর্ট (Latest Report) প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ২০২৩-র তুলনায় চলতি বছরে ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা (Student Suicides) ৪ শতাংশ বেড়েছে। সামগ্রিক ভাবে আত্মহত্যার ঘটনা‌ বেড়েছে ২ শতাংশ। অর্থাৎ, সামগ্রিক আত্মহত্যার ঘটনার তুলনায় পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনা প্রায় দ্বিগুণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা অনেক সময়েই ‘আন্ডার রিপোর্ট ‘ অর্থাৎ ঠিকমতো‌ পুলিশকে জানানো হয় না। তারপরেও এই দ্বিগুণ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান, স্পষ্ট করছে পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ২০২২ সালে পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনায় দেখা গিয়েছে, ৫৯ শতাংশ পড়ুয়া ছাত্র। ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের সংখ্যা বেশি। তবে, ২০২৩ সালে উদ্বেগজনক ভাবে ছাত্রীদের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

    কোথায় বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা? (Student Suicides)

    সাম্প্রতিক প্রকাশিত ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। রাজস্থানে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির একাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যার জেরে রাজস্থানে ১৮-২৫ বছর বয়সি পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি। তাই প্রতি বছর পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনায় রাজস্থান শীর্ষ তালিকায় থাকে। মহারাষ্ট্রেও অসংখ্য প্রফেশনাল কোর্সের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বহু ছেলেমেয়ে সেখানে পড়াশোনা করতে যান। তাই আত্মহত্যার ঘটনা বেশি হয়। তবে তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যও তালিকায় থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে।

    কেন পড়ুয়াদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, কেরিয়ারের সঠিক দিশা না পাওয়া, মারাত্মক প্রত্যাশা এবং একাকিত্বে ভোগার মতো সমস্যা থেকেই অধিকাংশ পড়ুয়ার আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে। তারা জানাচ্ছে, স্কুলস্তর থেকেই পড়ুয়াদের নানা পেশার হদিশ দেওয়া জরুরি। গতানুগতিক পথ ছাড়াও সাফল্য পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলে, পড়ুয়ারা দিশাহীন হবেন না। বছরের পর বছর একটি নির্দিষ্ট কোর্সে ভর্তির চেষ্টা, সেটায় অসাফল্য, অনেক সময়েই পড়ুয়ারা অবসাদগ্রস্ত (Student Suicides) হয়ে পড়ছেন। কিন্তু ভারতে এখন একাধিক নতুন পেশার দিশা তৈরি হয়েছে। গতানুগতিক পথের বাইরেও সেই সব পেশায় সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা সেই সব বিষয় জানতে পারছে না। 
    তাছাড়া পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক যেন বজায় থাকে, সে বিষয়ে অভিভাবকদেরও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের নানা মানসিক জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু পরিবার সেই জটিলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হলে আরও মানসিক চাপ বাড়তে পারে। একাকিত্ব বাড়তে পারে। আর তার জেরেই আত্মহত্যার মতো ঘটনাও বাড়ছে। তাই নিয়মিত সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি। তাদের সঙ্গে গল্প করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। যে কোনও সমস্যা, উদ্বেগ তারা সহজেই পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে। তাহলে‌ বড় বিপদের ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 09 September 2024: অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 09 September 2024: অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মদক্ষতায় চাকরির স্থানে সুনাম অর্জন করতে পারবেন।

    ২) বিষয়সম্পত্তি নিয়ে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর জন্য বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ২) সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ২) বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ২) প্রতিযোগিতায় জেতার আশা রাখতে পারেন।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) মাত্রাছাড়া আবেগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ২) শরীরের সমস্যায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ২) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    ২) ঘরের পরিবেশ অনুকূল থাকলেও বাইরে পরিবেশ খুব একটা উপযুক্ত হবে না।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে। 

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে।

    ২) সাংসারিক সমস্যার সমাধান হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনায় সফল হবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haryana Polls: হরিয়ানায় ভোট বৈতরণী পার হতে কংগ্রেসের হাত ধরছে আপ!

    Haryana Polls: হরিয়ানায় ভোট বৈতরণী পার হতে কংগ্রেসের হাত ধরছে আপ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডি জোটে যোগ দিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ (AAP)। এই জোটের সব চেয়ে বড় দল কংগ্রেস। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। তৃতীয় বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এবার ফের কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার স্বপ্ন দেখছে আপ, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে (Haryana Polls)।

    হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচন (Haryana Polls)

    হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচন ৫ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর। প্রত্যাহারেরও শেষ দিন এটাই। তার ঠিক আগে জোটে আগ্রহী হলেন আপ নেতৃত্ব। আপ নেতা রাঘব চাড্ডা বলেন, “আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে উভয় পক্ষেরই জোটের ইচ্ছা, আকাঙ্খা ও আশা রয়েছে। মনোয়নের শেষ তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর। আমরা ১২ তারিখের আগে সিদ্ধান্ত নেব। যদি আমরা একমত না হই বা যদি কোনও উইন-উইন পরিস্থিতি না হয়, তবে আমরা এটা (জোটের আশা) ছেড়ে দেব।”

    কী বললেন আপ নেতা?

    হরিয়ানা বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০। এর মধ্যে ১০টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় আপ। যদিও কংগ্রেস তাদের ৭টির বেশি আসন দিতে রাজি নয়। লোকসভা নির্বাচনে পারফরমেন্সের দিকে লক্ষ্য রেখেই কংগ্রেস আপকে ৭টি আসন ছাড়তে চায়। আপ নেতা বলেন, “আলোচনাগুলো ইতিবাচক পরিবেশে চলছে। ভালো আলোচনা হচ্ছে। আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি আশাবাদী যে, হরিয়ানার স্বার্থে, দেশের স্বার্থে এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে আলোচনার মধ্য থেকে অবশ্যই একটি ভালো সমাধান বেরিয়ে আসবে।”

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, মোদির পর শান্তির বার্তা নিয়ে মস্কো যাচ্ছেন ডোভাল

    কংগ্রেস নেতা তথা হরিয়ানা কংগ্রেসের ইনচার্জ দীপক বাবরিয়ার গলায়ও সমঝোতার সুর। তিনি বলেন, “কংগ্রেস আমায় আলোচনার দায়িত্ব দিয়েছে। গত দুদিনে রাঘব চাড্ডার সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। আমরা অবস্থান ও সংখ্যা বিনিময় করছি। আশা করি যে, দু’একদিনের মধ্যেই ফল বেরিয়ে আসবে।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস ও আপের (AAP) পক্ষে উইন উইন পরিস্থিতি হলে আমরা জোটে যাব (Haryana Polls)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Inactive Life: ভারতে ক্রমেই বাড়ছে ‘নিষ্ক্রিয় মানুষে’র সংখ্যা, বলছে সমীক্ষা

    Inactive Life: ভারতে ক্রমেই বাড়ছে ‘নিষ্ক্রিয় মানুষে’র সংখ্যা, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ক্রমেই বাড়ছে নিষ্ক্রিয় মানুষের সংখ্যা (Inactive Life)। এ দেশে ২০ কোটিরও বেশি মানুষ আন্তর্জাতিক মান অনুসারে নিষ্ক্রিয়। এই নিষ্ক্রিয়দের সিংহভাগই (Alarming Situation) মহিলা, বাস করেন শহরাঞ্চলে। সাম্প্রতিক জাতীয় সমীক্ষায়ই এই তথ্য মিলেছে। সমীক্ষাটি করেছে ডালবার্গ অ্যাডভাইজার্স এবং অ্যাক্সিলারেটর। ভারতবাসীর মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপের উল্লেখযোগ্য ফাঁকগুলি তুলে ধরেছে এই সমীক্ষা।

    কী বলছে হু? (Inactive Life)

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু প্রাপ্তবয়স্কদের ফি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট শারীরিক ক্রিয়াকলাপের পরামর্শ দিয়েছে। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের প্রতিদিন এক ঘণ্টা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করা প্রয়োজন। সমীক্ষায় প্রকাশ, অনেক ভারতীয় এই মানদণ্ড পূরণ করতে পারেন না। সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন অভিভাবক মনে করেন, তাদের সন্তানের উচিত খেলার সময় অধ্যয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

    ভাঙতে হবে মিথ

    ডালবার্গ অ্যাডভাইজার্সের আঞ্চলিক ডিরেক্টর স্বেথা টোটাপালি দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে অঙ্গীভূত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন (Inactive Life)। তিনি বলেন, “আমাদের বড় যে মিথগুলো ভাঙতে হবে, তার মধ্যে একটি হল শারীরিক কার্যকলাপ আমাদের শিক্ষার পথে বাধার সৃষ্টি করে, যখন বাস্তবে এটি শিক্ষাগত সাফল্যকে পরিপূরক ও উন্নত করে।”  

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, মোদির পর শান্তির বার্তা নিয়ে মস্কো যাচ্ছেন ডোভাল

    তিনি বলেন, “শারীরিক কার্যকলাপ উন্নত মেজাজ, স্ট্যামিনা এবং কগনিটিভ ফাংশানের দিকে পরিচালিত করে। এর ফলে আদতে উপকৃত হতে পারে জাতীয় অর্থনৈতিক ফলগুলি।” সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, যাঁরা নিষ্ক্রিয়, তাঁদের সিংহভাগই মহিলা, বিশেষত শহুরে মহিলা। মিথগুলো শারীরিক কার্যকলাপকে নিরুৎসাহিত করে। স্পোর্টস অ্যান্ড সোসাইটির অ্যাক্সিলারেটরের সহ প্রতিষ্ঠাতা দেশ গৌরব সেখরি বলেন, “ভারতে আমরা খেলাধুলোর সঙ্গে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিগুলোকে গুলিয়ে ফেলি।” তিনি বলেন, “ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিগুলোর উচিত স্বাস্থ্যের ওপর ফোকাস করা এবং শরীরের কল্যাণে প্রয়োগ করা। এগুলোকে স্রেফ কম্পিটিশন এবং এক্সেলেন্স হিসেবে না দেখাই শ্রেয়। কৈশোরে পড়লে মেয়েরা আবার বাড়তি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সাংসারিক দায়িত্ব ও নিরাপত্তার কারণেও তারা বঞ্চিত হয় ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটির সুযোগ থেকে।” সমীক্ষায় এও জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকার তুলনায় শহরাঞ্চলে নিষ্ক্রিয়তার হার প্রায় দ্বিগুণ। দেশের ২১ শতাংশ স্কুলে খেলার মাঠ নেই। ক্রীড়া সরঞ্জামের অভাব রয়েছে ৬৭ শতাংশ ক্ষেত্রে। সর্বোপরি রয়েছে লিঙ্গ বৈষম্য। সব মিলিয়ে (Alarming Situation) বাড়ছে নিষ্ক্রিয়তা (Inactive Life)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kalighat Temple: সারদাদেবী কালীঘাটে মা কালীর সাক্ষাৎ দর্শন পেয়েছিলেন! জানেন সেই ঘটনা?

    Kalighat Temple: সারদাদেবী কালীঘাটে মা কালীর সাক্ষাৎ দর্শন পেয়েছিলেন! জানেন সেই ঘটনা?

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় আসবেন আর কালীঘাট মন্দির (Kalighat Temple) দেখবেন না, এটা যেন অনেকের কাছেই অকল্পনীয়। এই মন্দিরে মা কালীর জগৎজোড়া খ্যাতি। বর্তমান মন্দিরের বয়স প্রায় ২০০ বছরের আশপাশে। কিন্তু, তার আগেও এখানে মায়ের নিত্য পুজো হত। বহু ভক্তের সমাগম হত। মন্দিরের পাশ দিয়ে তখন আদি গঙ্গায় টলটল করত জল। নৌকা পথে বহু ভক্ত এই মন্দিরে আসতেন। আর এখন মাকে দর্শন করতে দেশ-বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে ভিড় করেন।

    কালীঘাটের আদি কথা (Kalighat Temple)

    কথিত আছে, কালীঘাটে (Kalighat Temple) দেবী সতীর পায়ের চারটে আঙুল পড়েছিল। এই মন্দিরে দেবীর পদতলে রয়েছে রুপোর তৈরি মহাদেব। দেবী কালী ডানহাতে অভয় আর বর দেন। তাঁর ডানদিকের দুটি হাতের একটিতে রয়েছে অভয় মুদ্রা। অন্যটি বরমুদ্রা। দেবীর বামহাতে আবার রয়েছে খড়্গ এবং বামদিকের নীচের হাতে ঝোলানো রয়েছে মুণ্ড। এই দেবী হলেন চামুণ্ডা। তাঁর হাতে যে খড়্গ রয়েছে, সেটা হল জ্ঞানখা। তিনি সেই খড়্গ দিয়ে অজ্ঞানতা নাশ করেন। কালীক্ষেত্র দীপিকা অনুযায়ী, ষোড়শ শতকের মধ্যভাগে ভুবনেশ্বর ব্রহ্মচারী নামে এক সাধক দেবী কালীর পুজো করতেন। তিনি তাঁর জামাই আগমাচার্য ভবানীদাস চক্রবর্তীকে কালীঘাটের মন্দির হস্তান্তরিত করেছিলেন। যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যর কাকা রাজা বসন্ত রায় এখানে মন্দির তৈরি করে দিয়েছিলেন। পরে, দেবীর মন্দির জীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ১৮০৯ সালে সাবর্ণ রায়চৌধুরীরা এখানে মন্দির তৈরি করে দেন। এমনটাই দাবি, এই মন্দিরের সেবায়েত হালদার পরিবারের। কালীঘাটে দেবীর মন্দিরের পাশাপাশি এখানে রয়েছে শ্যামরায়ের মন্দির। যা তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন বাওয়ালি রাজবাড়ির সদস্যরা। দেবীর মন্দিরের সামনের নাটমন্দির ১৮৩৫ সালে  তৈরি করেছিলেন আন্দুলের মহারাজ কাশীনাথ রায়। পঞ্জাবের তারা সিং এসে আবার গঠন করেছিলেন কালীঘাটের দেবী কালীর ভৈরব নকুলেশ্বরের মন্দির। এছাড়াও অন্যান্য জমিদার এবং ব্যবসায়ীরাও এই মন্দিরের চারপাশ তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। বিহারের মুঙ্গেরের ব্যবসায়ী গোবর্ধন দাস যেমন বানিয়ে দিয়েছিলেন কালীঘাট মন্দিরের আশপাশের রাস্তা। ১৮৪৩ সালে বৈষ্ণব উদয় নারায়ণ মণ্ডল কালীঘাট মন্দির চত্বরে বর্তমান শ্যামরাই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৮ সালে মদন গোপাল কোলে শ্যামরাই মন্দিরের জন্য একটি দোল মঞ্চ স্থাপন করেছিলেন।

    পুকুর থেকে উঠেছিল কালীর মূর্তি!

    এই মন্দিরের পূর্বদিকে একটি পুকুর আছে। এই পুকুর কুণ্ডপুকুর নামে পরিচিত। জনশ্রুতি আছে, সেই পুকুর থেকেই উঠে এসেছিল কালীঘাটের দেবী কালীর মূর্তি। রানি রাসমণিও নিত্যদিন কালীঘাটের এই মন্দিরে যাতায়াত করতেন। এখানে দেবীর মুখমণ্ডল একটি কষ্টিপাথরের শিলাখণ্ড। পাইকপাড়ার রাজা ইন্দ্র চন্দ্রসিং বাহাদুর দেবীর প্রতিদিনের ভোগের খরচ বহন করতেন। নেপালের জং বাহাদুর দেবীকে রুপোর ছাতা দিয়েছিলেন। প্রথমে দেবীর ছিল রুপোর হাত। পরে, বানানো হয় সোনার হাত। সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের রাজা সন্তোষ রায়ের থেকে প্রতিদিন কালীঘাট মন্দিরে ভোগের জিনিসপত্র আসত।  বর্তমানে পালাদার বা দেবীর সেবার ভার যাঁর ওপর পড়ে, তিনিই ভোগের খরচা বহন করেন। কোনও প্রাচীন তন্ত্রেও কালীঘাটের উল্লেখ নেই। কেবল মহানীল তন্ত্রে “কালীঘাটে গুহ্যকালী” বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদ বাবু গৌরদাস বসাক বলেছেন, পঞ্চদশ শতাব্দীতে কালীঘাটের কোনও উল্লেখ দেখা যায় না। কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ১৫৪৪ সালে যে চণ্ডীকাব্যে গঙ্গাতীরের বর্ণনা করেছেন, সেখানে কালীঘাটের বর্ণনা দেখতে পাওয়া যায়।

    কালীঘাটে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও আলীবর্দী

    ইতিহাসের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, নবদ্বীপপতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় নবাব সরকারের কাছে ১২ লক্ষ টাকা খাজানার দায়ে ঋণী হওয়ায় মুর্শিদাবাদে কারারুদ্ধ হন। নবাব আলীবর্দী খাঁ রাজার গুণগরিমা জানতেন। তাই, অন্যদের মতো তাঁকে কারাগারে না রেখে নিজের সভায় রাখতেন। একবার কৃষ্ণচন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে নবাব আলিবর্দী নৌকা বিহারে যান। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নবাব বাহাদুরকে নিজের জমিদার দেখানোর জন্য কলকাতা (Kolkata) পর্যন্ত নিয়ে যান। সেখানে আদিগঙ্গায় নৌকা রেখে তাঁরা জঙ্গলে কিছুটা পথ হেঁটে একটি ছোট্ট কুটিরে এই কালী মূর্তি ও তাঁর উপাসককে দেখতে পান। রাজা সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ব্রাহ্মণের সঙ্গে কথাবার্তায় জানতে পারেন, এটা সতী দেবীর অংশপীঠ। এই কালীর নামানুসারে স্থানের নাম কালীঘাট (Kalighat Temple)। ব্রাহ্মণ নিতান্ত নির্লোভী, কিছুমাত্র কাহারও সাহায্য প্রার্থী নন। কিন্তু, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নবাবকে অনুরোধ করে কালীর জন্য কিছু দেবোত্তর মঞ্জুর করতে বলেন। নবাব ব্রাহ্মণের নির্ভীকতা ও একাকী এই জঙ্গলে নিষ্ঠার সঙ্গে সাধনা করতে দেখে আশ্চর্য হন। তিনি রাজার অনুরোধ মাত্র উক্ত প্রদেশ কালীর দেব সেবার জন্য প্রদান করিলেন। আর রাজাকেও তাঁর সমস্ত ঋণ থেকে মুক্ত করে দেন। তবে, অনেকে এই তথ্য মানতে চান না। অনেকে আবার বলেন, মহারাজা বসন্ত রায় নিজের গুরু ভুবনেশ্বর ব্রহ্মচারীকে ১৬ শতাব্দীতে কালীঘাটের ছয় শত বিঘা ভূমি দেবোত্তর দান করিয়াছিলেন, ইহাই যুক্তিসঙ্গত। কারণ, উক্ত প্রদেশ সে সময় যশোহর-পতিদিগেরই দখলে ছিল। সাবর্ণ চৌধুরী কেশব রায়ের পুত্র সন্তোষ রায় কালীর বর্তমান মন্দির তৈরি করেছিলেন।

    কালীঘাট মন্দিরে মা সারদা

    জানা যায়, শ্রীমা সারদাদেবীও কালীঘাটে (Kalighat Temple) মা কালীকে দর্শন করতে এসেছিলেন। সে সময় তাঁরও অদ্ভুত দর্শন হয়েছিল। মন্দিরে সিঁদুর-আলতা দিয়ে পুজো দেওয়ার পর মন্দির থেকে বেরিয়ে যখন এয়ো স্ত্রীদের মাথায় তিনি সিঁদুর দিয়ে দিচ্ছেন, পাশে দাঁড়ানো এক অপরিচিত কালো মেয়ের কপালেও তিনি সিঁদুরের ফোঁটা এঁকে দিলেন। মেয়েটির কপালে হাত দিতেই সে ব্যথায় কুঁকড়ে গেল। সারদা মা বলে উঠলেন, কী মা ব্যথা পেলে? এই বলে মেয়েটির মুখের দিকে ভালো করে তাকাতেই দেখলেন মেয়েটির কপালের ত্রিনয়নে কিছুটা সিঁদুর পড়েছে। কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারালেন শ্রীমা। পরে মেয়েটিকে খোঁজ করেও আর পাওয়া গেল না। পরে, শ্রীমা নিজের ঘনিষ্ঠজনের কাছে সে কথা বলেছিলেন।

    মন্দিরে সোনার চূড়া

    দুশো বছরের প্রাচীন মন্দির। ধীরে ধীরে নতুন রূপে সেজে উঠছে সেই প্রাচীন মন্দির (Kalighat Temple)। রিলায়েন্স গোষ্ঠী এই মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছে। মন্দিরের অন্দরসজ্জার জন্য সব মিলিয়ে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। এবার সেই কালীঘাট মন্দির একেবারে নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে। ২৪ ক্যারেট গোল্ড দিয়ে তৈরি তিনটি সোনার চূড়া তৈরি করা হয়েছে। একেবারে নিখাদ সোনার চূড়া। সেই সোনার চূড়া একেবারে ঝলমল করছে মন্দিরের মাথায়। বর্তমানে এই মন্দিরটি ৬টি ভাগে বিভক্ত-ষষ্ঠী তলা, নাট মন্দির, জোড় বাংলা, হারকাঠ তলা, রাধা কৃষ্ণ মন্দির এবং কুন্ড পুকুর। বর্তমানে যে মূর্তিটিকে পুজো করা হয় সেটি কষ্টি পাথরের তৈরি, যা সোনা ও রূপ দিয়ে কাজ করা। বর্তমান জিভটি প্রায় ২ কিলো ১৯১ গ্রাম রুপোর উপর ৫৫৮ গ্রাম সোনা দিয়ে মোড়া। মাকে দর্শন করতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তের লাইন পড়়ে এই মন্দিরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepal Ghar Wapsi: নেপালে ২০০০ খ্রিস্টানকে ‘ঘর ওয়াপসি’ করাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Nepal Ghar Wapsi: নেপালে ২০০০ খ্রিস্টানকে ‘ঘর ওয়াপসি’ করাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি নেপালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি, Vishva Hindu Parishad  Nepal) ২০০০ হিন্দুকে ‘ঘর ওয়াপসি’ (Nepal Ghar Wapsi) করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ধর্মান্তরের শিকার হওয়া হিন্দুদের আর একবার নিজের ধর্মে ফিরিয়ে এনে সামজিক ভারসাম্যকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি। নিজের ধর্মে ফিরিয়ে পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার আবহে, সনাতন ধর্মের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতিকে আর একবার পুনর্ব্যক্ত করেছে ভিএইচপি নেপাল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে হাজার হাজার খ্রিস্টানকেও হিন্দু ধর্মে স্বাগত জানানো হয়েছে। বিপথগামী এই ব্যক্তিদের পুনরায় একত্রিত করতে এবং তাঁদের মধ্যে সনাতনী আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে শক্তিশালী করতে একটি হিন্দু আচার অনুষ্ঠানও এদিন পালিত হয়েছে। যাঁরা নিজের ধর্মে ফিরলেন, তাঁরাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

    বৈদিক মন্ত্র পাঠ এবং যজ্ঞের প্রত্যাবর্তন (Nepal Ghar Wapsi)

    নেপাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad  Nepal) জাতীয় সংগঠন সম্পাদক, জাতীয় সভাপতি এবং অনেক সমাজকর্মী সম্মিলিত ভাবে এই ‘ঘর ওয়াপসি’ (Nepal Ghar Wapsi) অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানে বৈদিক মন্ত্র পাঠ এবং যজ্ঞের মাধ্যমে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণকারীরা নিজের ইচ্ছায় সনাতন ধর্মে ফিরে আসেন। হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে সকল নারী ও পুরুষেরর মুখে আনন্দ, হর্ষ এবং উল্লাসের চিত্র ধরা পড়েছে। এই বিষয়ে, ধর্মান্তরের শিকার ভীম পরাজুলি বলেন, “সনাতন ধর্ম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মে রূপান্তরের জন্য প্রচুর প্রলোভন এবং আর্থিক সহযোগিতার কথা বলা হত। আর ঠিক সেই আবহের মধ্যে পড়ে গভীর ধর্মীয় মেরুকরণের শিকার হয় মানুষ। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে গোটা ষড়যন্ত্রের কুপ্রভাব সম্পর্কে বুঝতে পারেন সকলেই। যাঁরা অজ্ঞতার কারণে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে আমরাও ছিলাম। এখন স্বেচ্ছায় আমরা সনাতন ধর্মকে স্বীকার করেছি এবং হিন্দু ধর্মও আমাদের স্বাগত জানিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ মার্কিন মুলুকে হামলার ষড়ষন্ত্র, গণহত্যার পরিকল্পনা, গ্রেফতার পাক তরুণ

    হনুমান চাল্লিশা দিয়ে বরণ করা হয়

    নেপালের সুনসারি, মোরাং এবং অন্যান্য জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় স্বধর্মে (Nepal Ghar Wapsi) ফিরে আসতে শুরু করেছেন। এদিন যজ্ঞের পর সকল প্রত্যাবর্তনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয় হনুমান চালিশা। ফলে মূল বিশ্বাসের শিকড় অন্বেষণ ও স্মরণ করার কাজ সহজ হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে খজরানা গণেশ মন্দিরে আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের আটজন ব্যক্তি হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। একই ভাবে ঝাড়খণ্ডেও ১৫০ জন মানুষ খ্রিষ্টান ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে (Vishva Hindu Parishad  Nepal) জানানো হয়েছে, সকলকেই সম্পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান, বিধি-নিয়ম মেনে সনাতন ধর্মে স্বাগত জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ajit Doval: লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, মোদির পর শান্তির বার্তা নিয়ে মস্কো যাচ্ছেন ডোভাল

    Ajit Doval: লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, মোদির পর শান্তির বার্তা নিয়ে মস্কো যাচ্ছেন ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফিরে এসেছেন মস্কো সফর সেরে। এবার ফের মস্কোভা নদীর পাড়ে পা রাখতে চলেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা (Russia Ukraine War) উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। ১০ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাশিয়া সফরে থাকবেন ডোভাল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দেখা করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে।

    শান্তির বার্তা (Ajit Doval)

    জানা গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন ডোভাল। এই সফরে প্রাক্তন আমলা ব্রিকস-এনএসএ বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। ব্রিকস-এনএসএ বৈঠকের পাশাপাশি, ডোভাল মস্কোয় জুলাইয়ের শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনাগুলি ফলো করার সম্ভাবনা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন রাশিয়ান ও চিনা কাউন্টারপার্টদের সঙ্গে। গত মাসে পুতিনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে জানিয়েছিলেন, ডোভাল তাঁর ইউক্রেন সফরের পর শান্তি সম্পর্কিত ধারণা নিয়ে আলোচনা করতে মস্কো সফরে যাবেন। সেই সফরেই যাচ্ছেন ডোভাল। তবে তাঁর সফরসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    কী বলছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস

    এদিকে, রাশিয়ান দূতাবাসের তরফে খবর, দিন কয়েক আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ও তাঁদের পশ্চিমী পৃষ্ঠপোশকদের ধ্বংসাত্মক নীতির মূল্যায়ন শেয়ার করেছেন। রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরেছেন তিনি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ফোনালাপের পর প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে খবর, দুই রাষ্ট্রনেতা রাশিয়া ও ইউক্রনে সংঘাত নিয়ে মত বিনিময় (Ajit Doval) করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ইউক্রেন সফর থেকে অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করেছেন। তিনি আলোচনা ও কূটনীতির পাশাপাশি সংঘাতের একটি স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে আন্তরিক ও বাস্তব সম্পৃক্ততার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, সংঘাতের তাড়াতাড়ি, স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান সমর্থন করার জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতি তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে হামলার ষড়ষন্ত্র, গণহত্যার পরিকল্পনা, গ্রেফতার পাক তরুণ

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাক্ষাৎ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। বৈঠকে দুই পক্ষই রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ভারত কখনওই নিরপেক্ষ ছিল না। আমরা সব সময় শান্তির পক্ষে ছিলাম। ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, আমরা আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের সম্মান করি। এই দ্বন্দ্বের আশপাশের সব সমস্যা প্রাথমিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করে চিন, ব্রাজিল ও ভারত। আমি (Russia Ukraine War) এই বিষয়ে আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি (Ajit Doval)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 127: “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    Ramakrishna 127: “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ঈশ্বরের আদেশ প্রাপ্ত হলে তবে ঠিক আচার্য

    বিজয়—ব্রাহ্মসমাজের কাজ করতে হয়, তাই সদা-সর্বদা আসতে পারি না; সুবিধা হলে আসব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়ের প্রতি)—দেখ, আচার্যের কাজ বড় কঠিন, ঈশ্বরের (Ramakrishna) সাক্ষাৎ আদেশ ব্যতিরেকে লোকশিক্ষা দেওয়া যায় না।

    যদি আদেশ না পেয়ে উপদেশ দাও (Kathamrita), লোকে শুনবে না। সে উপদেশের কোন শক্তি নাই। আগে সাধন করে, বা যে কোনরূপে হোক ঈশ্বরলাভ করতে হয়। তাঁর আদেশ পেয়ে লেকচার দিতে হয়। ও-দেশে একটি পুকুর আছে, নাম হালদার-পুকুর। তার পাড়ে রোজ লোকে বাহ্যে করে রাখত। সকালে যারা ঘাটে আসত তারা তাদের গালাগালি দিয়ে খুব গোলমাল করত। গালাগালে কোন কাজ হত না—আবার তার পরদিন পাড়েতেই বাহ্যে। শেষে কোম্পানীর চাপরাসী এসে নোটিশ টাঙিয়ে দিল যে, এখানে কেউ ওরূপ কাজ করতে পারবে না। যদি করে, শাস্তি হবে। এই নোটিশের পর আর কেউ পাড়ে বাহ্য করত না।

    তাঁর আদেশের পর যেখানে সেখানে আচার্য হওয়া যায় ও লেকচার দেওয়া যায়। যে তাঁর আদেশ পায় (Kathamrita), সে তাঁর কাছ থেকে শক্তি পায়। তখন এই কঠিন আচার্যের কর্ম করতে পারে।

    এক বড় জমিদারের সঙ্গে একজন সামান্য প্রজা বড় আদালতে মোকদ্দমা করেছিল। তখন লোকে বুঝেছিল যে, ওই প্রজার পেছনে একজন বলবান লোক আছে। হয়তো আর-একজন বড় জমিদার তার পেছনে থেকে মোকদ্দমা চালাচ্ছে। মানুষ সামান্য জীব, ঈশ্বরের সাক্ষাৎ শক্তি না পেলে আচার্যের এমন কঠিন কাজ করতে পারে না।

    বিজয়— মহাশয়! ব্রাহ্মসমাজে যে উপদেশাদি হয়, তাতে কি লোকের পরিত্রাণ হয় না?

    সচ্চিদানন্দই গুরু — মুক্তি তিনিই দেন 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—মানুষের কি সাধ্য অপরকে সংসারবন্ধন থেকে মুক্ত করে। যাঁর এই ভুবনমোহিনী মায়া, তিনিই সেই মায়া থেকে মুক্ত করতে পারেন। সচ্চিদানন্দগুরু বই আর গতি নাই। যারা ঈশ্বরলাভ করে নাই, তাঁর আদেশ পায় নাই, যারা ঈশ্বরের শক্তিতে শক্তিমান হয় নাই, তাদের কি সাধ্য জীবের ভববন্ধন মোচন করে।

    আমি একদিন পঞ্চবটীর কাছ দিয়ে ঝাউতলায় বাহ্যে যাচ্ছিলাম (Kathamrita)। শুনতে পেলুম যে, একটা কোলা ব্যাঙ খুব ডাকছে। বোধ হল সাপে ধরেছে। অনেকক্ষণ পরে যখন ফিরে আসছি, তখনও দেখি, ব্যাঙটা খুব ডাকছে। একবার উঁকি মেরে দেখলুম কি হয়েছে। দেখি, একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে—ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না—ব্যাঙটার যন্ত্রণা ঘুচছে না। তখন ভাবলাম, ওরে! যদি জাতসাপে ধরত, তিন ডাকের পর ব্যাঙটা চুপ হয়ে যেত। এ-একটা ঢোঁড়ায় ধরেছে কি না, তাই সাপটারও যন্ত্রণা, ব্যাঙটারও যন্ত্রণা!

    যদি সদ্‌গুরু (Ramakrishna) হয়, জীবের অহংকার তিন ডাকে ঘুচে। গুরু কাঁচা হলে গুরুরও যন্ত্রণা, শিষ্যেরও যন্ত্রণা! শিষ্যেরও অহংকার আর ঘুচে না, সংসারবন্ধন আর কাটে না। কাঁচা গুরুর পাল্লায় পড়লে শিষ্য মুক্ত হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বর বড় চুম্বক পাথর, তাঁর কাছে কামিনী ছোট চুম্বক পাথর! কামিনী কি করবে?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ডাক্তারের পর নার্স, নার্সিংহোমে কাজে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর দেহ উদ্ধার!

    Murshidabad: ডাক্তারের পর নার্স, নার্সিংহোমে কাজে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর দেহ উদ্ধার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ি থেকে হাসপাতালে ডিউটি করতে গিয়ে খুন হন চিকিৎসক পড়ুয়া। হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। আরজি করের সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই আবহের মধ্যে এক নার্স (Nurse) হস্টেল থেকে বেসরকারি নার্সিংহোমে কাজে গিয়ে রহস্যজনভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। চারদিন পর গঙ্গা থেকে তাঁর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর এলাকায়। মৃতার বয়স ২৩ বছর। তাঁর বাড়ি বহরমপুর থানার কোদলা গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর (Murshidabad) স্টেশন সংলগ্ন শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে কর্মরত ছিলেন ওই নার্স। গত বুধবার তিনি হস্টেল থেকে নার্সিংহোমে ডিউটি করতে যান। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁর হস্টেলে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি আর হস্টেলে ফেরেননি। অপহরণ হওয়ার দাবিও বাসা বেঁধেছিল নিকটজনের মনে। শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ গঙ্গার ধারে কোদলা ঘাটে একটি মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বহরমপুর থানার পুলিশ এসে পচাগলা সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হলে তাঁরা এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেন।

    জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে বহরমপুরের একটি হস্টেলে থাকতেন ওই নার্স। বুধবার রাত আটটার সময় ডিউটি শেষ করে তাঁর হস্টেলে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে তিনি সেদিন ফেরেননি। মেয়ের খোঁজ না পাওয়ায় অপহরণের দাবিও করেন মৃতের পরিবার। যদিও বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী সেতুতে একজোড়া জুতো দেখতে পায়। রাতে ওই এলাকায় গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার শব্দও শুনতে পান স্থানীয় গান্ধী কলোনির বাসিন্দারা। জুতো ও এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ রাত দেড়টা নাগাদ কোদলা থেকে মৃতদেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে নিয়মমাফিক চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করার পর রাতেই হাসপাতালের মর্গে দেহ রাখা হয়। রবিবার মৃতদেহ ময়না তদন্ত করা হয়।  

    আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!

    মৃতার পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    মৃতার মা বলেন, মেয়ের সঙ্গে বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শেষবার কথা হয়েছিল। পরে, হস্টেলে (Murshidabad) ফিরে ফোন করার কথা বলা হলেও মেয়ে আর ফোন করেনি। এরপর রাত ১০ টা নাগাদ মেয়েকে ফোন করলে মোবাইল সুইচড অফ পাই। থানায় অপহরণের অভিযোগ করি। চারদিন পর মেয়ের দেহ মিলল। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছুই জানায়নি। এই ঘটনার পিছনে তাদেরও গাফিলতি রয়েছে। আমরা ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share