Tag: Bengali news

Bengali news

  • RG Kar Protest: বিজেপি’র ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচিতে উঠল স্লোগান, ‘দফা এক, দাবি এক-মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’

    RG Kar Protest: বিজেপি’র ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচিতে উঠল স্লোগান, ‘দফা এক, দাবি এক-মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে রাজ্য জুড়েই আন্দোলন চলছে। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এই ইস্যুতে বিজেপি লাগাতার ধর্না চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহের মধ্যে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে বিজেপি’র পক্ষ থেকে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। ফলে, কলকাতাসহ জেলায় জেলায় দলের কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।

    কলকাতায় বিক্ষোভ (RG Kar Protest)

    শুক্রবার ধর্মতলায় বিজেপির ডাকে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করা হয়। রাজ্য বিজেপির ডাকে ১ ঘণ্টার প্রতীকী রাস্তা রোকো কর্মসূচি পালিত হয়। শুক্রবার ধর্মতলার মোড়ে পথ অবরোধ (RG Kar Protest) করেন বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলার কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ। তিনি বলেন, এন্টালি, খান্না মোড়সহ কলকাতা জুড়েই এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

    জেলায় জেলায় চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি

    নদিয়ার কৃষ্ণনগরেও চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিন কৃষ্ণনগর রোড স্টেশন এলাকায় রাজ্য সড়কে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেছেন। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। পথ অবরোধ থেকে স্লোগান তোলা হয়, ‘দফা এক, দাবি এক-মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। অন্যদিকে, বিজেপি’র চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালিত হয় আসানসোলের নুনি মোড়ে। কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। আসানসোলের কোর্ট ঘড়ি মোড়ে রাস্তা বন্ধ করে টায়ার জ্বলিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় তাঁদের। রানিগঞ্জের সাহেবগঞ্জে রাস্তায় অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা।

    আর জি করকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে পূর্ব বর্ধমামের পূর্বস্থলী ১ ব্লকের জাহান নগর পঞ্চায়েতের বিদ্যানগর মোড়ে বিজেপির পক্ষ থেকে পথ অবরোধ করা হয়। এদিন কালনা-কাটোয়া এসটিকেকে রোডে এক গাড়ি চালকের সঙ্গে অবরোধকারীদের তুমুল বচসাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিক, জেলা সদস্য বিধান ঘোষ, জেলা সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে রাজ্য সড়কের বিভিন্ন জায়গায় চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করা হয়। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক গির্জার মোড়ে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিতে অংশ নেন জেলা বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন বহরমপুর বিজেপি (BJP) বিধায়ক সুব্রত মৈত্র, বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার সহ জেলা বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের চৌরাস্তার মোড়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন বিজেপি কর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে তাঁরা অবরোধ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 126: “ঈশ্বর বড় চুম্বক পাথর, তাঁর কাছে কামিনী ছোট চুম্বক পাথর! কামিনী কি করবে?”

    Ramakrishna 126: “ঈশ্বর বড় চুম্বক পাথর, তাঁর কাছে কামিনী ছোট চুম্বক পাথর! কামিনী কি করবে?”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    আপূর্যমাণমচলপ্রতিষ্ঠং, সমুদ্রমাপঃ প্রবিশন্তি যদ্বৎ ৷
    তদ্বৎ কামা যং প্রবিশন্তি সর্বে, স শান্তিমাপ্নোতি ন কামকামী ॥
       (গীতা—২।৭০)

    ন্যাড়াদের এত তেজ যে, ধ্যান করতে করতে সমাধি হল। কখন জোয়ার মাথার উপর দিয়ে চলে গেছে হুঁশ (Kathamrita) নাই। আবার ভাঁটা পড়েছে তবু ধ্যান ভাঙে না। তেরশোর মধ্যে একশো বুঝেছিল—বীরভদ্র কি বলবেন। গুরুর বাক্য লঙ্ঘন করতে নাই, তাই তারা সরে পড়ল, আর বীরভদ্রের সঙ্গে দেখা করলে না। বাকী বারশো দেখা করলে। বীরভদ্র বললেন, এই তেরশো নেড়ী তোমাদের সেবা করবে। তোমরা এদের বিয়ে কর। ওরা বললে, যে আজ্ঞা, কিন্তু আমাদের মধ্যে একশোজন কোথায় চলে গেছে। ওই বারশোর এখন প্রত্যেকের সেবাদাসীর সঙ্গে থাকতে লাগল। তখন আর সে তেজ নাই, সে তপস্যার বল নাই। মেয়েমানুষ সঙ্গে থাকাতে আর সে বল রইল (Kathamrita) না; কেননা সে সঙ্গে স্বাধীনতা লোপ হয়ে যায়। (বিজয়ের প্রতি) তোমরা নিজে নিজে তো দেখছ, পরের কর্ম স্বীকার করে কি হয়ে রয়েছ। আর দেখ, অত পাশ করা, কত ইংরাজী পড়া পণ্ডিত, মনিবের চাকরি স্বীকার করে তাদের বুট জুতার গোঁজা দুবেলা খায়। এর কারণ কেবল ‘কামিনী’। বিয়ে করে নদের হাট বসিয়ে আর হাট তোলবার জো নাই। তাই এত অপমানবোধ, অত দাসত্বের যন্ত্রণা।”

    ঈশ্বরলাভের (Ramakrishna) পর কামিনীকে মাতৃভাবে পূজা

    যদি একবার এইরূপ তীব্র বৈরাগ্য হয়ে ঈশ্বরলাভ হয়, তাহলে আর মেয়েমানুষে আসক্তি থাকে না। ঘরে থাকলেও, মেয়েমানুষে আসক্তি থাকে না, তাদের ভয় থাকে না। যদি একটা চুম্বক পাথর খুব বড় হয়, আর-একটা সামান্য হয়, তাহলে লোহাটাকে কোন্‌টা টেনে লবে? বড়টাই টেনে লবে। ঈশ্বর বড় চুম্বক পাথর, তাঁর কাছে কামিনী ছোট চুম্বক পাথর! কামিনী কি করবে?

    একজন ভক্ত—মহাশয়! মেয়েমানুষকে কি ঘৃণা করব?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যিনি ঈশ্বরলাভ করেছেন, তিনি কামিনীকে আর অন্য চক্ষে দেখেন না যে ভয় হবে। তিনি ঠিক দেখেন যে, মেয়েরা মা ব্রহ্মময়ীর অংশ, আর মা বলে তাই সকলকে পূজা করেন। (বিজয়ের প্রতি)—তুমি মাঝে মাঝে আসবে (Kathamrita), তোমাকে দেখতে বড় ইচ্ছা করে।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPI Circle: দেশে চালু হল ‘ইউপিআই সার্কেল’, কাজ করবে কীভাবে? কীই বা এর উপকারিতা?

    UPI Circle: দেশে চালু হল ‘ইউপিআই সার্কেল’, কাজ করবে কীভাবে? কীই বা এর উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল পেমেন্টের গ্রহণ যোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘ইউপিআই (UPI) সার্কেল’ নামে একটি নতুন বৈশিষ্ট্য চালু করেছে ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI)। এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি প্রাথমিক ব্যবহারকারীর পরিবারের সদস্যদের বা বন্ধুদেরকে সেকেন্ডারি বা দ্বিতীয় ব্যবহারকারী হিসাবে যুক্ত করার অনুমতি দিয়ে থাকে। প্রাথমিক ব্যবহারকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লেনদেন করতে সক্ষম করা হয়েছে এই ব্যবস্থায়। তবে সমস্তটাই পূর্ব-নির্ধারিত সীমার মধ্যে শর্ত মেনে করতে হয়। আসুন জেনে নিই কীভাবে কাজ করে এই অ্যাপ। 

    কত টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন?

    যাদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই বা ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করতে দ্বিধা বোধ করছেন, তাঁদের কাছে ইউপিআই (UPI) লেনদেনের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এনপিসিআই (NPCI)-এর মতে এই ফিচারটির উদ্দেশ্য হল, সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীদের ক্ষমতায়ন দেওয়া। সেই সঙ্গে তারাও ইউপিআইকে গ্রহণ করার জন্য আর্থিকভাবে নির্ভরশীল হতে পারেন। ‘ইউপিআই সার্কেল’-এ সর্বাধিক মাসিক সীমা ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে এনপিসিআই  যেখানে একটি একক লেনদেন ৫ হাজার টাকার বেশি করা যাবে না।

    ইউপিআই সার্কেল বৈশিষ্ট্য

    একটি প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনপিসিআই, ইউপিআই (UPI) সার্কেল-এর জন্য একাধিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে। সংস্থার মতে, প্রাথমিক ব্যবহারকারীরা এখন অর্থপ্রদানের অনুমোদন সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীদের কাছে অর্পণ করতে পারবেন। যেমন-পরিবারের সদস্য বা কর্মচারীরা প্রাথমিক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি লেনদেন করতে পারবেন। এই বৈশিষ্ট্যটি বিশেষ করে শিশুদের ভাতা প্রদানকারী অভিভাবকদের জন্য উপকারী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ডিজিটাল লেনদেন পরিচালনার বিষয়ে প্রবীণ নাগরিক এবং ব্যবসায়ীরা সময়কে সাশ্রয় করে, অন্যের হাতে সামান্য পরিমাণের নগদ অর্থ পরিচালনা করতে পারবেন। গোটা ব্যবস্থাটাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, নানা স্তরগুলিকে ঠিক করা হয়েছে। একবার এই ইউপিআই সার্কেলে যুক্ত হলে, প্রাথমিক ব্যবহারকারীদের কাছে প্রতিটি লেনদেনের সিমাবদ্ধতাকে স্থির করে অনুমোদন নিতে হয়। তবে প্রাথমিক ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিতে সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করার সুবিধাও থাকবে। উল্লেখ্য, একজন প্রাথমিক ব্যবহারকারী সর্বোচ্চ পাঁচটি সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীকে যোগ করতে পারবেন। তবে, একজন সেকেন্ডারি ব্যবহারকারী শুধুমাত্র একজন প্রাথমিক ব্যবহারকারীকে গ্রহণ করতে পারবেন। একই ভাবে প্রাথমিক ব্যবহারকারী যে কোনও সময়ে সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীর স্বীকৃতীকে প্রত্যাহার করতেও পারবেন।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে চলবে সিবিআই তদন্ত, সুপ্রিম-ধাক্কা সন্দীপ ঘোষের

    কীভাবে ইউপিআই সার্কেল সেট আপ করবেন?

    নিম্নলিখিত ধাপ অনুসরণ করুন-

    ১>ইউপিআই সার্কেল মেনুতে যান: “পরিবার বা বন্ধুদের যোগ করুন”। এরপর হালকা চাপুন। একটি সেকেন্ডারি ইউপিআই আইডি লিখুন। ইউপিআই কিউ আর (UPI QR) কোড স্ক্যান করুন। এরপর আপনার ফোনের কন্টাক্ট লিস্ট সার্চ করুন।

    ২>অনুমতি সেট করুন: “সীমার মধ্যে ব্যয় করুন” বা “প্রতিটি অর্থপ্রদান অনুমোদন করুন” এর মধ্যে একটিকে বেছে নিন।

    ৩>সেকেন্ডারি ব্যবহারকারী অনুরোধ গ্রহণ করার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি পাবেন। একবার গৃহীত হলে, সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীরা প্রাথমিক ব্যবহারকারীর ইউপিআই (UPI) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থপ্রদান করা শুরু করতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ক্যানিংয়ে হদিশ মিলল সন্দীপ ঘোষের কয়েকশো বিঘা জমিসহ বাংলোর

    Sandip Ghosh: ক্যানিংয়ে হদিশ মিলল সন্দীপ ঘোষের কয়েকশো বিঘা জমিসহ বাংলোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় গত সোমবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। আলিপুরের বিশেষ আদালত সন্দীপকে আট দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার সকালে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। এই আবহের মধ্যে এবার সন্দীপের একটি বিলাসবহুল বাংলোর হদিশ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার  (South 24 Parganas) ক্যানিংয়ে। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।  

    কয়েকশো বিঘার জমির ওপর বাংলো! (Sandip Ghosh)

    ক্যানিং-২ ব্লকের ঘুটিয়ারি শরিফের নারায়ণপুর মৌজায় কয়েকশো বিঘা ফাঁকা জমির মাঝেই মাথা তুলেছে সবুজরঙা দোতলা একটি বাংলো। বাংলোর ওপরে লেখা ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’। বাংলোটির চারদিকে রয়েছে লম্বা পাঁচিল। স্থানীয়দের একাংশে দাবি, এই বাংলোটি সন্দীপের। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ‘ডাক্তারবাবুকে’ এই বাংলোতে আসতেও দেখছেন তাঁরা। সন্দীপের স্ত্রীর নাম সঙ্গীতা ঘোষ। স্থানীয়দের বক্তব্য, স্ত্রী এবং নিজের নাম মিলিয়ে বাংলোটির নাম দিয়েছিলেন সন্দীপ। বাংলো এবং বাংলো সংলগ্ন কয়েকশো বিঘা জমিতে খামারবাড়ি তৈরি করেছেন স্থানীয় কয়েক জন যুবক। সন্দীপই এই খামারবাড়ি পরিচালনা করতেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “বেশ কয়েক বছর আগে বাংলোটি তৈরি হয়। মাঝে মধ্যে ডাক্তারবাবুকে আসতে দেখেছি। শুনেছিলাম উনি কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ।”

    আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

    সন্দীপের বাংলোর রক্ষী কী বললেন?

    সন্দীপের (Sandip Ghosh) বাংলোর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় যুবক জাকির লস্কর। জানা গিয়েছে, জাকির এমনিতে চাষের কাজ করেন। একইসঙ্গে সন্দীপ ঘোষের বাংলোর রক্ষীও। প্রথমে ৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন। পরে তার সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করে দেন সন্দীপ। সন্দীপ কখন বাংলোয় আসতেন, এই প্রশ্নের উত্তরে জাকির বলেন, “সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আসতেন। আবার বিকালে বেরিয়ে যেতেন। পরিবার ছাড়া অন্য কেউ আসতেন না। দিনের বেলা আসতেন বাবা, মা, শ্বশুর, শাশুড়ি নিয়ে। রান্নাখাওয়া সেরে বিকালে বেরিয়েও যেতেন। আমি ওনার কাছে তিন বছর সাড়ে তিন বছর কাজ করছি। আমার কাছেই এই গেটের চাবি। তবে, ভিতরের ঘরের চাবি আমার কাছে নেই। তবে আরজি করের ঘটনার পর আর এখানে আসেননি তিনি। যোগাযোগও করেননি।”

    তবে ইডি সূত্রে খবর, ভেতরের ঘরের চাবি থাকতে পারে পিএ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। যাকে এদিনই সুভাষগ্রামের বাড়ি থেকে আটক করেছে ইডি। তাঁকে এখন এখানে আনা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 125: “কামিনী-কাঞ্চনে জীবকে বদ্ধ করে, জীবের স্বাধীনতা যায়, তার জন্য পরের দাসত্ব”

    Ramakrishna 125: “কামিনী-কাঞ্চনে জীবকে বদ্ধ করে, জীবের স্বাধীনতা যায়, তার জন্য পরের দাসত্ব”

     শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    আপূর্যমাণমচলপ্রতিষ্ঠং, সমুদ্রমাপঃ প্রবিশন্তি যদ্বৎ ৷
    তদ্বৎ কামা যং প্রবিশন্তি সর্বে, স শান্তিমাপ্নোতি ন কামকামী ॥
       (গীতা—২।৭০)

    কামিনী-কাঞ্চন জন্য দাসত্ব (Ramakrishna)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়ের প্রতি)—আগে অত আসতে; এখন আস না কেন?

    বিজয়—এখানে আসবার খুব ইচ্ছা, কিন্তু আমি স্বাধীন নই। ব্রাহ্মসমাজের কাজ স্বীকার করেছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কামিনী-কাঞ্চনে জীবকে বদ্ধ করে। জীবের স্বাধীনতা যায়। কামিনী থেকেই কাঞ্চনের দরকার। তার জন্য পরের দাসত্ব। স্বাধীনতা চলে যায়। তোমার মনের মতো কাজ করতে পার না।

    জয়পুরে গোবিন্দজীর পূজারীরা প্রথম প্রথম বিবাহ করে নাই। তখন খুব তেজস্বী ছিল। রাজা একবার ডেকে পাঠিয়েছিলেন, তা তারা যায় নাই। বলেছিল, রাজাকে আসতে বল। তারপর রাজা ও পাঁচজনে তাদের বিয়ে দিয়ে দিলেন। তখন রাজার সঙ্গে দেখা করবার জন্য, আর কাহারও ডাকতে হল না। নিজে নিজেই গিয়ে উপস্থিত। মহারাজ, আশীর্বাদ করতে এসেছি, এই নির্মাল্য এনেছি, ধারণ করুন। কাজে কাজেই আসতে হয়; আজ ঘর তুলতে হবে, আজ ছেলের অন্নপ্রাসন, আজ হাতেখড়ি—এই সব।

    বারশো ন্যাড়া আর তেরশো নেড়ী তার সাক্ষী উদম সাড়ী—এ গল্প তো জান (Kathamrita)। নিত্যানন্দ গোস্বামীর ছেলে বীরভদ্রের তেরশো ন্যাড়া শিষ্য ছিল। তারা যখন সিদ্ধ হয়ে গেল, তখন বীরভদ্রের ভয় হল। তিনি ভাবতে লাগলেন (Kathamrita), এরা সিদ্ধ হল, লোককে যা বলবে তাই ফলবে; যেদিক দিয়ে যাবে সেইদিকেই ভয়; কেননা, লোক না জেনে যদি অপরাধ করে, তাদের অনিষ্ট হবে। এই ভেবে বীরভদ্র তাদের বললেন, তোমরা গঙ্গায় গিয়ে সন্ধ্যা-আহ্নিক করে এস।

    আরও পড়ুনঃ “খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘পলিটিক্যাল গিমিক’ অপরাজিতা বিল, সঙ্গে নেই টেকনিক্যাল রিপোর্টও, অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: ‘পলিটিক্যাল গিমিক’ অপরাজিতা বিল, সঙ্গে নেই টেকনিক্যাল রিপোর্টও, অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ধর্ষণ বিরোধী বিল ধাক্কা খেল রাজভবনে। এই বিল পাশ হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর। বিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী, তা গিয়েছে রাজভবনে। কিন্তু, বিল নিয়ে রাজ্য সরকারের আচরণে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্য সরকারের অপরাজিতা বিলকে (Aparajita Bill 2024) ‘পলিটিক্যাল গিমিক’ বলে খোঁচা রাজভবনের। এই বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্টও চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের মতে, কোনও বিল সইয়ের জন্য পাঠানো হলে তার টেকনিক্যাল রিপোর্ট দেওয়ার দায়বদ্ধতা রাজ্যেরই। সেই রিপোর্ট জমা দেয়নি রাজ্য। অভিযোগ, বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ পাঠানো হয়নি। যা না থাকলে রাজ্যপাল কোনও বিলেই সম্মতি দিতে পারেন না। একটি সংবাদ সংস্থাকে এ কথা জানিয়েছেন রাজভবনের এক আধিকারিক।

    কী এই ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’? (CV Ananda Bose)

    নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর যে কোনও বিল রাজভবনে পাঠানো হয়। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। বিল নিয়ে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যদি কোনও সিদ্ধান্তে আসতে না পারেন বা তাঁর যদি কোনও পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তবে তা তিনি পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই বিলের ক্ষেত্রে তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতিই। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ পাশ হওয়ার পর তা রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, অভিযোগ, এই বিলের ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ এখনও হাতে পাননি রাজ্যপাল। বস্তুত, রাজ্যের যে কোনও বিল নিয়েই প্রশ্ন তুলতে পারেন রাজ্যপাল। কোনও বিল কেন আনা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত একটি রিপোর্ট বিলের সঙ্গেই জমা দিতে হয়। তাকে বলে ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’। ওই বিল কার্যকর করতে রাজ্যের ওপর কতটা আর্থিক দায় বর্তাবে, রাজ্যের তহবিল থেকে কত খরচ হতে পারে, তা-ও রিপোর্টে উল্লেখ করা থাকে। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় আইন ব্যবস্থার সঙ্গে রাজ্যের আনা ওই বিলের সাযুজ্য কতটা, তা বিস্তারিত জানাতে হয়। ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়েও এই সংক্রান্ত তথ্যগুলিই রাজ্যপাল জানতে চান বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

    রাজ্যপালের কী বক্তব্য?

    রাজভবনের মত, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলেও একই বিল পাস হয়েছে। রাজ্যের বিল সেই বিলেরই ‘কপি পেস্ট’, বলছেন রাজ্যপাল। টেকনিক্যাল রিপোর্ট ছাড়া রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যে এই বিল সই করবেন না, তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন। এই ধরনের বিল রাষ্ট্রপতির দরবারে আটকে রয়েছে বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ না পাঠিয়ে রাজ্য সরকার পরে বিল পাশ না হওয়ার জন্য রাজভবনের ওপর দোষারোপ করে। যা সঠিক নয়। নিয়ম অনুযায়ী, ওই রিপোর্ট ছাড়া রাজ্যপাল কোনও বিলে সম্মতি দিতে পারেন না। ‘অপরাজিতা’ বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও কেন রাজ্য ‘হোমওয়ার্ক’ করেনি, কেন ওই রিপোর্ট বিলের সঙ্গে পাঠানো হয়নি, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। ফলে, এই বিল নিয়ে আবারও যে রাজ্য-রাজভবন চাপানউতর তৈরি হচ্ছে তা বলাইবাহুল্য।

    ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    বিল পাস হওয়ার দিন বিধানসভায় দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই বিলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া যাতে মহিলা বা শিশুর পরিচয় সামনে না আসে, সেটাও বলা রয়েছে। এই ক্ষেত্রেও আমরা ৩ থেকে ৫ বছরের সাজার প্রস্তাব রাখছি। এই বিল রাজভবনে পাঠানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়। তবে এই বিলে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যে সহজে সই করবেন না তা রাজভবনের বক্তব্যে স্পষ্ট। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।

    বিধানসভার স্পিকারের কী বক্তব্য?

    এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজভবন এখনও এ বিষয়ে বিধানসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যদি বিধানসভার সঙ্গে আলোচনা করা হয়, তবেই আমি এ বিষয়ে আমার মতামত জানাব।’’ অন্য দিকে, এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বক্তব্য, ‘অপরাজিতা বিল’ স্পিকার রাজভবনে পাঠিয়েছেন। তাই বিষয়টিও তিনিই বুঝে নেবেন। উল্লেখ্য, ধর্ষণ-বিরোধী বিল পাশের পর তা নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বিলটি বিধানসভায় পাশ করার সময়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, তাঁরা এই বিল সমর্থন করছেন। কিন্তু বিল কার্যকর করার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: “ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা সন্দেহজনক”, গ্রেফতারের দাবিতে সিবিআইকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    RG Kar: “ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা সন্দেহজনক”, গ্রেফতারের দাবিতে সিবিআইকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতলে (RG Kar) চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার মামলায় পুলিশের ভুমিকা প্রথম থেকেই সন্দেহজনক ছিল। লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে পদত্যাগ করার দাবি তুলেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নগরপালের পদত্যাগের বিষয়ে মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। ইতিমধ্যে জনস্বার্থ মামালা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এবার কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এবং আরও জড়িত বেশ কিছু উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের গ্রেফতার এবং তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে সিবিআই (CBI) ডিরেক্টরকে চিঠি লিখলেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।

    চিঠিতে কী লিখেছেন (RG Kar)?

    বিজেপি নেতা জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো চিঠিতে স্পষ্ট ভাবে লিখেছেন, “আরজি কর হত্যা মামলাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন পুলিশের কর্তারা। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক। একই ভাবে বিনীত গোয়েলের ভূমিকাও অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তাঁর ভূমিকা কামদুনি ধর্ষণ মামলায়ও নেতিবাচক ছিল।” এদিকে নির্যাতিতার বাবা দাবি করেছেন, ,মেয়ের দাহ কাজের দিন, পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকা অফার করেছিল। পুলিশের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তিনিও।

    আরও পড়ুনঃ প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ-অভীককে সাসপেন্ড মমতার, পিঠ বাঁচাতেই কি?

    কী বলেছিলেন বিনীত গোয়েল?

    আরজি কর (RG Kar) প্রসঙ্গে একাধিকবার সংবাদ মাধ্যমে পুলিশের স্বচ্ছতা নিয়ে সাফাই দিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি বলেছিলেন, “কলকাতা পুলিশ কিছুই লুকনোর চেষ্টা করেনি।” কিন্তু হাইকোর্ট পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অত্যন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করে তদন্ত ভার সিবিআইকে (CBI) দেয়। এরপর একটি ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়, তাতে দেখা যায় নির্যাতিতার দেহ যেখানে উদ্ধার হয়েছিল সেই স্থানে অসংখ্য মানুষের ভিড়। একই ভাবে নির্যাতিতার শরীরের চাদর নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। ফলে এই সব বিষয় নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্তে স্বচ্ছতা নিয়ে বক্তব্য দিতে ময়দানে নেমেছিলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। অভীক দে নামক এক ব্যক্তিকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলে নয়া বিতর্ক তৈরি করেন তিনি। পরে, জানা যায়, তিনি সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক পড়ুয়া। কোনও বিশেষজ্ঞ নন (RG Kar)। একইভাবে টালা থানায় এফআইআর-এর সময় এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, এই থানার ওসিকে ইতিমধ্যে ডেকেছে সিবিআই। এমন সময়ে পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় চিঠিতে ব্যাপক শোরগোল ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বন্দুকের পর পর গুলির শব্দে দেবীর বোধনের বার্তা পৌঁছে যেত বহু দূরে!

    Durga Puja 2024: বন্দুকের পর পর গুলির শব্দে দেবীর বোধনের বার্তা পৌঁছে যেত বহু দূরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চণ্ডীমঙ্গল থেকে পালাগান এবং যাত্রাপালার মতো বিনোদনের আসর। সঙ্গে আশপাশের গ্রাম ভেঙে মানুষের ভিড়। সব মিলিয়ে গণ উৎসবে পরিণত হত দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার পতিরাম এলাকার জমিদার বাড়ির পুজো (Durga Puja 2024)। ৩০১ বছরেরও বেশি আগে ঘোষ এস্টেটের জমিদার প্রয়াত রামসুন্দর ঘোষ দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। শূন্যে দোনলা বন্দুকের পর পর গুলির শব্দে দেবীর বোধনের বার্তা পৌঁছে যেত দূরের অঞ্চলে। গরুর গাড়িতে চড়ে, কেউ ছেলে-বউ নিয়ে পায়ে হেঁটে এসে জমিদারের তৈরি অতিথিশালায় ঠাঁই নিতেন। দেবী দুর্গাকে উৎসর্গ করে মণ্ডপে হত মোষ বলি এবং পর পর পাঁঠাবলি। আনন্দের জোয়ারে খুশি প্রজাগণের চওড়া হত মুখের হাসি। পুজোর কটা দিন জমিদার বাড়িতেই পাত পেড়ে দু’বেলা প্রসাদ খাওয়া তো ছিলই। সঙ্গে বড় বড় হ্যাজাকের আলোয় ভরা সামিয়ানায় বসে রাতভর পালাগানের আসরে মজে থাকতেন মানুষ। আর তাঁদের ভিড়ে উৎসবের দিনগুলিতে সকলে মেতে উঠতেন।

    বোধনে নারায়ণ পুজোর রীতি (Durga Puja 2024)

    আজ জমিদারও নেই। নেই সেই জমিদারির জৌলুস। পুরনো সেই মন্দির সংস্কার করে সাত পুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ বারেও দু্র্গাপুজোর আয়োজন করছেন বৃদ্ধ বংশধর সাগর ঘোষ। পুরনো দিনের সেই যাত্রাপালা উৎসব আর হয় না। তবে কলকাতা ও জলপাইগুড়ি থেকে আত্মীয় স্বজনরা সময় পেলে পুজোয় আসেন। আত্রেয়ী নদীপথে বাণিজ্যের সুবাদে পূর্ববঙ্গ থেকে পতিরামে এসে জমিদারি পত্তনের সঙ্গেই পারিবারিক দুর্গাপুজো শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। এখনও রীতি মেনে জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়ে সূচনা হয় জমিদার বাড়ির প্রতিমা গড়ার কাজ। পঞ্চমীতে দেবীর বোধনে নারায়ণ পুজোর রীতি এখনও ধরে রেখেছেন সাগরবাবু। ঐতিহ্যের নিদর্শন প্রতীকী নৌকাও (Symbolic Boat) মণ্ডপে পুজো হয়।

    অষ্টমীতে চণ্ডীপুজো হলেও বলি প্রথা বন্ধ

    বৃদ্ধের কথায়, ‘‘এক সময় এই পুজো ঘিরে এলাকা-জুড়ে চলত উৎসব। এখন এলাকার ক্লাব কমিটির সাড়ম্বর পুজোয় (Durga Puja 2024) অনেক জৌলুস।’’ লোকবলের অভাব। পাশাপাশি আর্থিক সমস্যার কারণে জৌলুস হারালেও তিথি-নক্ষত্র মেনে নিষ্ঠাচারে দেবীর পুজোর আয়োজন করে জমিদারের বংশধর সাগরবাবু এখনও সাতপুরুষের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন। এবিষয়ে জমিদার বাড়ির উত্তরসূরী সাগরকুমার ঘোষ বলেন, “আমাদের এই পুজো ৭ পুরুষের পুরনো। প্রতিমা বিসর্জনের দিন থেকে পরের বছর পুজোর প্রস্তুতি চলে। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে এই বাড়িতে থাকি। আমরা দুজনে প্রস্তুতির কাজকর্ম করি। আমাদের পুজোতে আগে বলি ছিল। আমরা এখন বলি প্রথাটা উঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের পুজোর বিশেষত্ব হল নৌকাকে ডিঙি করে সেই নৌকাতে পুজো হয়। দশমীর দিন সেই ডিঙিকে (Symbolic Boat) বিভিন্নভাবে সাজিয়ে মণ্ডপে পুজো করে পুজোর পর বাড়িতে যে বয়স্ক মানুষ থাকে, সে মাথায় করে বসত বাড়িতে আনে। এটাই আমাদের পুজোর বিশেষত্ব। পুজোর পাঁচদিন এলাকার সমস্ত মানুষ এখানে এসে আনন্দ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ganesh Chaturthi 2024: আজ গণেশ চতুর্থী, সব পুজোর আগে কেন হয় সিদ্ধিদাতার আরাধনা? জানুন তাৎপর্য

    Ganesh Chaturthi 2024: আজ গণেশ চতুর্থী, সব পুজোর আগে কেন হয় সিদ্ধিদাতার আরাধনা? জানুন তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিদ্ধিদাতা (Siddhidata) গণেশকে সঙ্কট মোচক বলা হয়। জীবনের সকল বাধা দূর করেন গণপতি বাপ্পা। আবার ভারতের জাতীয়তাবোধের উন্মেষের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত গণেশ পুজো। পরাধীন ভারতে মহারাষ্ট্রে গণপতি উৎসব (Ganesh Chaturthi 2024) শুরু করেছিলেন লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক। হিন্দু জাতীয়তাবাদী উৎসব হিসেবে তা ব্যাপক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিল। বাল গঙ্গাধর তিলকের আগে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজও সপ্তদশ শতকে গণেশ উৎসব করেছিলেন। গণপতির প্রতিমা, গেরুয়া পতাকা ও বাজনার সহযোগে শোভাযাত্রার মাধ্যমে গণেশ উৎসব পালন করা হয়। পিছিয়ে নেই বাংলাও। বিগত বছরগুলিতে গণেশ চতুর্থী পালন লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। প্যান্ডেল, প্রতিমা, চোখ ধাঁধানো আলোর মালা, এসব দিয়েই বাঙালি সমাজ মেতে ওঠে গণপতি বাপ্পার আরাধনায়। আসুন জেনে নিই গণেশ পুজোর মাহাত্ম্য।

    গণেশ চতুর্থীর শুভ সময় (Ganesh Chaturthi 2024)

    ২০২৪ সালের গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi 2024) পড়েছে আজ, ৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার। তবে পুজোর তিথির ৬ সেপ্টেম্বর থেকেই পড়েছে। শুক্রবার, দুপুরে ৩টে ৩১ মিনিট থেকে এই পুজোর মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু এবং তিথি শেষ হচ্ছে ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে। আবার উদয়া তিথি অনুসারে গণেশ চতুর্থী ৭ সেপ্টেম্বর পালিত হবে। কলকাতায় গণেশ চতুর্থীর পুজো করা হবে দৃক পঞ্জিকা অনুসারে। এই পঞ্জিকা মতে ৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১.০৩ মিনিট থেকে শুরু হবে তিথি এবং দুপুর ১.৩৪ মিনিট পর্যন্ত চলবে পুজো। অপর দিকে সাধারণ পুজোর সময় সকাল ১০.২০ মিনিট শুরু হবে আর এবং চলবে দুপুর ১২.৪৯ মিনিট পর্যন্ত।

    গণেশ চতুর্থীর পৌরাণিক আখ্যান

    পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi 2024) হল গণপতি (Siddhidata) বাপ্পার জন্মতিথি। এদিনই মা পার্বতীর কোলে এসেছিলেন গণেশ। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি (Ganesh Chaturthi 2024) তাই গণেশ চতুর্থী নামে জনপ্রিয়। এই দিনটি আবার বিনায়ক চতুর্থী নামেও পরিচিত। ভক্তদের বিশ্বাস, গণেশের পুজো ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বয়ে নিয়ে আসে। তবে গণেশ চতুর্থী নিয়ে পুরাণেও মতভেদ দেখা যায়। শিব পুরাণে ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীকে গণেশের জন্মতিথি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে, আবার গণেশ পুরাণ অনুযায়ী, পার্বতী নন্দনের আবির্ভাব ঘটেছিল ভাদ্রের শুক্ল চতুর্থীতে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে রাতে চাঁদ দর্শন নিষিদ্ধ। বিশ্বাস করা হয় যে, এই রাতে যে ব্যক্তি চাঁদের দিকে তাকায়, সে মিথ্যা কলঙ্ক পায়।

    গণেশ উৎসবের তাৎপর্য 

    স্কন্দপূরাণ মতে, শ্রী গণেশ (Ganesh Chaturthi 2024) জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে। সমস্ত দেবদেবীর মধ্যে গণেশের পুজো প্রথমে করা হয়। এর নেপথ্যে এক বিশেষ কারণ রয়েছে। কথিত আছে, ভগবান শিব গণেশকে বর দিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়, যে কোনও শুভ কাজে এবং আচার-অনুষ্ঠানে প্রথমেই ভগবান গণেশের বন্দনা করা হবে। গণেশের পুজো করলে সমস্ত বাধা দূর হয়। লৌকিক বিশ্বাস যে ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী থেকে এই মাসের চতুর্দর্শী তিথি পর্যন্ত ভগবান গণেশ পৃথিবীতে ১০ দিন অবস্থান করেন। গণেশ চতুর্থীতে মণ্ডপে এবং বাড়িতে গণেশ স্থাপন করা হয়। কথিত আছে গণেশের পুজো করলে জীবন থেকে মানসিক চাপ দূর হয়, সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।

    আরও পড়ুনঃ “খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না”

    গণেশ চতুর্থী পুজো-বিধি

    গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi 2024) দিন সকালে স্নান সেরে বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানো হয়। এরপর পুজো ও ব্রতর সঙ্কল্প নেওয়া হয়। এই দিনে শুভ সময়ে গণেশের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভক্তদের ইচ্ছানুযায়ী, গণপতির মূর্তি স্থাপন করা হয়। এরপর গঙ্গাজল দিয়ে প্রতিমার অভিষেক পর্ব চলে। সেই সঙ্গে গণেশকে ফুল ও দূর্বা ঘাস অর্পণ করা হয়। দূর্বা ভগবান গণেশের খুব প্রিয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, দূর্বা নিবেদন করলে ভগবান গণেশ প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন। ভগবান গণেশের পুজোর সময় ঠাকুরকে সিঁদুর লাগানো হয়। প্রিয় ভোগ মোদক বা লাড্ডু নিবেদন করা হয়। পুজো শেষে আরতি করে প্রণাম করা হয়। শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ravindra Jadeja: বিশ্বজয়ের পর বিজেপিতে যোগ দিলেন রবীন্দ্র জাডেজা, ট্যুইট করলেন স্ত্রী

    Ravindra Jadeja: বিশ্বজয়ের পর বিজেপিতে যোগ দিলেন রবীন্দ্র জাডেজা, ট্যুইট করলেন স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার তিনি। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং মিলিয়ে দলে তাঁর মতো আরেকজনও নেই। ক্রিকেটার হিসেবে সেই রবীন্দ্র জাদেজা (Rivaba Jadeja) তাঁর ক্যারিশমা দেখিয়েছেন বাইশ গজে। এবার তিনি শুরু করলেন কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস। সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিলেন তিনি। সম্প্রতি, বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি শুরু করেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই কর্মসূচিতে গত ২ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সদস্যপদও পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে। সেই কর্মসূচিতেই প্রথমবার বিজেপির খাতায় নাম লেখালেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘জাড্ডু’। 

    ট্যুইট করলেন জাদেজার স্ত্রী (Rivaba Jadeja)

    ২০২২ সালে বিজেপির টিকিটে জামনগর (উত্তর) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাদেজার স্ত্রী রিভাবা জাদজো (Rivaba Jadeja) ভোটে জিতেছিলেন। সেই ২০১৯ সাল থেকে বিজেপি করছেন মোদির ভক্ত রিভাবা। এবার তাঁর ডাকেই সাড়া দিয়ে জাদেজাও পদ্মশিবিরে এলেন। রিভাবাই তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে নিজের ও রবীন্দ্রর বিজেপি সদস্য-কার্ড পোস্ট করেছেন। আগামী দিনে জাদেজাও ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা হয়তো সময় বলবে।

    <

    বিশ্বকাপ জয়ের পরই অবসর ঘোষণা

    ১৯৮৮ সালের ৬ ডিসেম্বর সৌরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি ৭২টি টেস্ট এবং ১৯৭টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। টেস্ট খেলায় ২৯৪টি এবং একদিনের ম্যাচে ২২০টি উইকেট নিয়েছেন। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩৬ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার মোট ৬,০০০ রান করেছেন। ইংল্যান্ডে ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে ভারতে জাদেজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জাদেজা চারটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ২০২৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।

    সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এই সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার ভারতীয় জনতা পার্টির ২০২৪ সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচিতে যোগদান করেন। বিজেপি সর্বশেষ অভিযানের মাধ্যমে ১০ কোটি সদস্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘২০১৪ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে মোট ১৮ কোটি সদস্য দলে নথিভুক্ত হয়েছেন। যেখানে বিজেপি জনপ্রিয় সেখানে সদস্য সংগ্রহ করা সহজ, কিন্তু আমাদের প্রভাব বিস্তার এবং সমর্থন পেতে সবচেয়ে দুর্বল ভোট কেন্দ্র থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করা উচিত। আমাদের অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং এলাকায় কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’’ এরপর তিনি বলেন, ‘‘জনসঙ্ঘের (বিজেপির পূর্বসূরি) সময় কর্মীরা প্রচণ্ড উৎসাহে দেওয়ালে প্রদীপ আঁকতেন। এভারে ক্ষমতায় আসা যাবে না বলে উপহাস করত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। আমরা সেই কর্মী যাঁরা দেওয়ালে প্রত্যয়ের সঙ্গে পদ্ম এঁকেছিলাম। কারণ, দেওয়ালে আঁকা পদ্ম মানুষের হৃদয় জয় করবে তা জানতাম, আর সেটাই হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share