Tag: Bengali news

Bengali news

  • Sabarimala Gold Scandal: শবরীমালা মন্দির থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা!

    Sabarimala Gold Scandal: শবরীমালা মন্দির থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শবরীমালা মন্দির থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা (Sabarimala Gold Scandal)। নথিপত্র খতিয়ে দেখে এমনই অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। শবরীমালা মন্দিরের গর্ভগৃহের দু’পাশে রয়েছেন দুই দ্বারপাল। এঁদের গা থেকেই খুলে নেওয়া হয়েছে সোনার আস্তরণ। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেটি পাঠানো হয়েছিল চেন্নাইয়ে। এটা করতে গিয়ে মন্দির কমিটি কেরল হাইকোর্টের একটি নির্দেশ অমান্য করে।

    সোনাকাণ্ডে সুস্পষ্ট অসঙ্গতি (Sabarimala Gold Scandal)

    আদালতের নির্দেশ ছিল, সোনা সংক্রান্ত সব কাজ মন্দির প্রাঙ্গণেই করতে হবে। সোনা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেই হাইকোর্ট সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেয়, বোর্ড যেন সেই সোনার আস্তরণ ফিরিয়ে আনে। এর জবাবে বোর্ড আদালতকে জানায় যে সোনা ইতিমধ্যেই চেন্নাইয়ে গলানো হয়ে গিয়েছে, আর ফেরত আনা সম্ভব নয়। পরে বোর্ড এই ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে চেন্নাইয়েই কাজ শেষ করার অনুমতি চায়। আদালত অনুমতি দিলেও নির্দেশ দেয় যে দেবস্বম ভিজিল্যান্স এসপি যেন সরানো সোনার ওজন এবং অন্যান্য বিস্তারিত নথিপত্র আদালতে পেশ করেন। নথিপত্র খতিয়ে দেখে হাইকোর্ট কয়েকটি সুস্পষ্ট অসঙ্গতি লক্ষ্য করে। রেকর্ড থেকে জানা যায় যে একই ধরনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ২০১৯ সালেও করা হয়েছিল। তবে আদালত লক্ষ্য করেছে, সেই সময় ৪২.৮ কিলোগ্রাম সোনা পাঠানো হলেও মেরামতের পরে ফেরত এসেছিল মাত্র ৩৮.২৫৮ কিলোগ্রাম। অর্থাৎ, হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা (Sabarimala Gold Scandal)।

    সোনার বদলে তামার ফলক!

    আদালত লক্ষ্য করেছে যে, নথি অনুযায়ী ‘তামার ফলক’ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে দেখানো হলেও, বাস্তবে পাঠানো হয়েছিল সোনার ফলক। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা একটি ভুল, যা আসল সত্য গোপন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। আদালত আরও জানিয়েছে, সোনার ফলকগুলি যথাযথ নিরাপত্তা ছাড়াই হস্তান্তর ও পরিবহণ করা হয়েছিল এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যাঁরা করছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দেবস্বম বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। আদালত আরও জানিয়েছে যে, চেন্নাইয়ের স্মার্ট ক্রিয়েশনসে কাজ শেষ হওয়ার আগে সোনার ফলক পৌঁছতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল। আদালত (Kerala High Court) বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে (Sabarimala Gold Scandal)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮–১৯ পর্বে শবরীমালা আন্দোলন চলছিল। ওই সময় কেরল রাজ্য সরকার মন্দিরে বামপন্থী মহিলাদের প্রবেশের সুযোগ দিয়ে মন্দিরকে অপবিত্র করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় হাজার হাজার ভক্ত প্রবলভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন। ওই বছর মন্দির চত্বরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। অনুমান, মন্দির পরিচালনাকারী নাস্তিকরা এটিকে মন্দিরের ধন-সম্পদ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতানোর সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হিসেবেই দেখেছিল (Sabarimala Gold Scandal)।

  • PMO: দেশীয় অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলিকে ‘বিগ ফোর’ কোম্পানির ধাঁচে গড়ে তুলতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    PMO: দেশীয় অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলিকে ‘বিগ ফোর’ কোম্পানির ধাঁচে গড়ে তুলতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলিকে জনপ্রিয় ‘বিগ ফোর’ (ইওয়াই, ডেলোইটি, কেপিএমজি এবং পিডাব্লুসি) কোম্পানির ধাঁচে গড়ে তোলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে ২৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO)। বৈঠকে মূলত যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে, সেগুলি হল বিধিনিষেধ সহজীকরণ, কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাগুলির যৌক্তিকীকরণ, যা দেশীয় অডিট এবং কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে তুলতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় (Self Reliance)। এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল বৈশ্বিক জায়ান্ট কোম্পানিগুলির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো এবং অডিট ও কনসালটেন্সি ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়া। একই সঙ্গে এমন বিশ্বমানের ভারতীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যেগুলি ‘বিগ ফোর’র সমতুল হবে এবং এর মাধ্যমে ভারত ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অডিট ও কনসালটেন্সি শিল্পে একটি দৃঢ় বৈশ্বিক অবস্থান অর্জন করতে পারবে।

    বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন (PMO)

    এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব শক্তিকান্ত দাস। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, অর্থমন্ত্রক এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকটি এমন একটি সময়ে হতে যাচ্ছে যখন কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক দেশীয় অথচ বিশ্বমানের বহুবিষয়ক কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মতামত ও পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছে। এর লক্ষ্য হল, একটি ছাতার মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যেখানে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কোম্পানি সেক্রেটারি, আইনজীবী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন।

    বহুবিষয়ক কনসালটেন্সি ফার্ম

    বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, এমন বহুবিষয়ক কনসালটেন্সি ফার্ম তৈরিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হল এসব বাধা সহজ করা এবং দেশে বিশ্বমানের অডিট ও কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে তোলার সুযোগ করে দেওয়া। এছাড়াও যেসব অন্তরায় রয়েছে সেগুলিও দূর করার চেষ্টা করা হবে। যেমন বিজ্ঞাপন ও মার্কেটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া, বিভিন্ন পেশাদার পরিষেবার জন্য সিঙ্গল-উইন্ডো লাইসেন্স ও কমপ্লায়েন্স সিস্টেম চালু করা, বৈশ্বিক সহযোগিতার জন্য সহায়তা, পুঁজি সঙ্কট দূরীকরণ এবং অর্থ সংগ্রহের সুবিধা দেওয়া ইত্যাদি (PMO)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্তত চারটি বড় দেশীয় অডিট ও পরামর্শদানকারী সংস্থা গড়ে তোলা এবং তাদের (Self Reliance) বিকাশে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন, যেগুলিকে বিশ্বের শীর্ষ আটটি কোম্পানির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে (PMO)।

  • H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa) দাম এক ধাক্কায় ১ লাখ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ধার্য করেছেন ৪৭তম মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য রেখে মার্কিন নাগরিকদের পেটের ভাত জোগাড় করতেই এই কড়া পদক্ষেপ করা হল। ভারতীয় শিল্পপতি, রাজনৈতিক মহল এবং প্রবাসী ভারতীয় সমাজের প্রতিনিধিরা সবাই এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। তাঁদের সতর্কবার্তা, এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে, যদিও ভারতের জন্য এটি লাভজনক হতে পারে। এদিন ট্রাম্প একটি ঘোষণাপত্রে সই করেছেন যেখানে এইচ-১বি ভিসার ওপর ১ লাখ মার্কিন ডলার বাধ্যতামূলক ফি আরোপ করা হয়েছে। এটি কার্যকর হবে আজ, রবিবার থেকে।

    এইচ-১বি ফাইলিং ফি (H 1B Visa)

    বর্তমানে এইচ-১বি ফাইলিং ফি নিয়োগকর্তার ক্ষমতা অনুযায়ী ২,০০০ থেকে ৫,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে। তিন বছরের জন্য বৈধ এবং নবায়নযোগ্য এই ভিসাগুলি আমেরিকান কোম্পানিগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে উচ্চ দক্ষ বিদেশি পেশাজীবীদের আনতে। এঁদের একটা বড় অংশই আসেন ভারত থেকে। ট্রাম্প তাঁর এই সিদ্ধান্তকে আমেরিকান চাকরি রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে সাফাই গেয়েছেন। তাঁর যুক্তি, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলি এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে মার্কিন শ্রমিকদের সস্তা বিদেশি কর্মী দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে। তিনি একে অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হিসেবেও বর্ণনা করেন।

    আমেরিকার সর্বনাশ, ভারতের পৌষমাস

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে আদতে আমেরিকার (US) সর্বনাশ হলেও, ভারতের পৌষমাস। প্রাক্তন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন (H 1B Visa), “ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১,০০,০০০ ডলারের এইচ-১বি ফি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনকে দমিয়ে দেবে এবং ভারতের উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করবে। বৈশ্বিক প্রতিভার জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমেরিকা পরবর্তী প্রজন্মের ল্যাব, পেটেন্ট, উদ্ভাবন ও স্টার্টআপগুলোকে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।” তাঁর মতে, ভারত এখন এমন একটি সুযোগ পেয়েছে যেখানে তারা চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট এবং বিজ্ঞানীদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে। ভারত এই সুযোগ না নিলে তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিকের বক্তব্য

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিক ও বিনিয়োগকারী মোহনদাস পাই জানান, খরচ বৃদ্ধি নতুন আবেদনকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, “এর ব্যবহার সীমিত। কারণ এটি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান সব এইচ ১বি ভিসার (H 1B Visa) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই এর প্রভাব কেবল ভবিষ্যতের আবেদনকারীদের ওপর পড়বে। নতুন আবেদন কমে যাবে। কেউ এক লাখ মার্কিন ডলার দেবে না, এটাই সত্য।” তিনি বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলি ক্রমবর্ধমান হারে কাজকে বিদেশে সরিয়ে দেবে, যা ভারতের গ্লোবাল ক্যাপেবিলিটি সেন্টারগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে। পাই বলেন, “এখন যা ঘটবে তা হল সবাই অফশোরিং বাড়াতে কাজ করবে। কারণ এর আর কোন মানে হয় না। প্রথমত, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না, দ্বিতীয়ত, খরচ অত্যধিক। আগামী ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এটাই ঘটবে (US)।”

    কুনাল বাহলের বক্তব্য

    উদ্যোক্তা ও স্ন্যাপডিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুনাল বাহলেরও মতে, নয়া ভিসা নীতি অনেক দক্ষ পেশাজীবীকে ভারতে ফিরতে বাধ্য করবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “নতুন এইচ ১বি নিয়মের কারণে বিপুল সংখ্যক প্রতিভাবান ব্যক্তি ভারতে ফিরে আসবেন।” তিনি আরও লেখেন, “নিশ্চয়ই শুরুতে ভিত্তি পরিবর্তন করা কঠিন হবে। কিন্তু ভারতের বিপুল সুযোগ-সুবিধার কারণে তা তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে (US)। ভারতে প্রতিভার ঘনত্ব দ্রুত বাড়ছে (H 1B Visa)।” অন্য একটি পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি লেখেন, “২০০৭ সালে মাইক্রোসফটের ডেস্কে বসে আমি একটি ই-মেইল পেলাম যে আমার এইচ ১বি ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সেই মুহূর্তে তা ভীষণ ধাক্কা ও অসাড় করে দেওয়া অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন-পরিবর্তনকারী হয়ে উঠল যখন আমি ভারতে ফিরে এলাম। আজ যাঁদের ওপর এর প্রভাব পড়েছে, তাঁরা ইতিবাচক থাকুন। আপনাদের জন্য আরও বড় এবং ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।”

    ভারতের পক্ষে ইতিবাচক

    বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব ভারতের পক্ষে ইতিবাচক হতে পারে। ভিসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে যাতায়াত নিরুৎসাহিত হবে পেশাজীবীদের। ফলে কোম্পানিগুলি ভারতে নিজেদের কার্যকলাপ বাড়াতে পারে। এর ফলে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে পারে। ভারতের প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি (US) হয়ে উঠতে পারে সেই প্রয়োজনীয় ধাক্কা, যা তাকে একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবনী কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরের গতি বাড়িয়ে দেবে (H 1B Visa)।

  • Ramakrishna ৪৭১: “ঈশ্বরের পাদপদ্মে মন না রাখি শূলের বাড়ি আমায় মারবে”

    Ramakrishna ৪৭১: “ঈশ্বরের পাদপদ্মে মন না রাখি শূলের বাড়ি আমায় মারবে”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল

    ঠাকুরের নিজ মুখে কথিত সাধনা বিবরণ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কলিকাতায় শ্রীযুক্ত বলরামের বৈঠকখানায় ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। গিরিশ, মাস্টার, বলরাম—ক্রমে ছোট নরেন, পল্টু, দ্বিজ, পূর্ণ, মহেন্দ্র মুখুজ্জে ইত্যাদি—অনেক ভক্ত উপস্থিত আছেন। ক্রমে ব্রাহ্মসমাজের শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য সান্যাল, জয়গোপাল সেন প্রভৃতি অনেক ভক্ত আসিলেন। মেয়ে ভক্তেরা অনেকেই আসিয়াছেন। তাঁহারা চিকের আড়ালে বসিয়া ঠাকুরের (Kathamrita) দর্শন করিতেছেন। মোহিনীর পরিবারও আসিয়াছেন— পুত্রশোকে উন্মাদের ন্যায়—তিনি ও তাঁহার ন্যায় সন্তপ্ত অনেকেই আসিয়াছেন, এই বিশ্বাস যে ঠাকুরের কাছে নিশ্চই শান্তিলাভ হইবে।

    আজ ১লা বৈশাখ, চৈত্র কৃষ্ণা ত্রয়োদশী, ১২ই এপ্রিল, ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দ, বেলা ৩টা হইবে।

    মাস্টার আসিয়া দেখিলেন, ঠাকুর (Ramakrishna) ভক্তের মজলিস করিয়া বসিয়া আছেন ও নিজের সাধনা বিবরণ ও নানাবিধ আধ্যাত্মিক অবস্থা বর্ণনা করিতেছেন। মাস্টার আসিয়া ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন ও তাঁহার কাছে আসিয়া বসিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—সে সময় (সাধনার সময়ে) ধ্যানে দেখতে পেতাম, সত্য সত্য একজন কাছে শূল হাতে করে বসে আছে। ভয় দেখাচ্ছে—যদি ঈশ্বরের পাদপদ্মে মন না রাখি শূলের বাড়ি আমায় মারবে। ঠিক মন না হলে বুক যাবে।

    নিত্য-লীলাযোগ—পুরুষ-প্রকৃতি-বিবেকযোগ 

    “কখনও মা এমন অবস্থা করে দিতেন যে, নিত্য থেকে মন লীলায় নেমে আসত। আবার কখনও লীলা থেকে নিত্যে মন উঠে যেত।

    যখন লীলায় মন নেমে আসত কখনও সীতারামকে রাতদিন চিন্তা করতাম। আর সীতারামের রূপ সর্বদা দর্শন হত—রামলালকে (রামের অষ্টধাতু নির্মিত ছোট বিগ্রহ) নিয়ে সর্বদা বেড়াতাম, কখনও খাওয়াতাম। আবার কখনও রাধাকৃষ্ণের ভাবে থাকতাম। ওই রূপ সর্বদা দর্শন হত। আবার কখনও গৌরাঙ্গের ভাবে থাকতাম, দুই ভাবের মিলন—পুরুষ ও প্রকৃতি ভাবের মিলন। এ অবস্থায় সর্বদাই গৌরাঙ্গের রূপ দর্শন হত। আবার অবস্থা বদলে গেল! সজনে তুলসী সব এক বোধ হতে লাগল। ঈশ্বরীয় রূপ আর ভাল লাগল না। বললাম, ‘কিন্তু তোমাদের বিচ্ছেদ আছে।’ তখন তাদের তলায় রাখলাম। ঘরে যত ঈশ্বরীয় পট বা ছবি ছিল সব খুলে ফেললাম। কেবল সেই অখণ্ড সচ্চিদানন্দ সেই আদি পুরুষকে চিন্তা করতে লাগলাম। নিজে দাসীভাবে রইলুম—পুরুষের দাসী।

  • Israel: হামাস নির্মূলে অভিযানের পরিসর বাড়াল ইজরায়েল, খতম কমান্ডার মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়ের

    Israel: হামাস নির্মূলে অভিযানের পরিসর বাড়াল ইজরায়েল, খতম কমান্ডার মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও প্রবল সংঘর্ষ চলছে প্যালেস্তাইনের গাজা শহরে। হামাস নির্মূল করতে অভিযানের পরিসর আরও বাড়াল ইজরায়েল (Israel) ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। লক্ষ্যভিত্তিক বিমান হামলার পাশাপাশি ইজরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি সশস্ত্র ঘাঁটি ধ্বংস করতে ভারী গোলাবর্ষণ করছে। এখনও গাজা শহরে প্রায় ৬ লাখ মানুষ রয়েছেন। নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ।

    সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য (Israel)

    এদিকে, ইজরায়েল তাদের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় ধরনের সাফল্য পেল। তারা জানিয়ে দিয়েছে, একটি সুনির্দিষ্ট বিমান হামলায় হত্যা করা হয়েছে হামাস নেতা (Hamas Commander) মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়েরকে। এই আবু আল-খায়েরকে হামাসের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের উপ-প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি ইজরায়েলি নাগরিক ও সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু হামাসের সামরিক নেতৃত্ব কাঠামোর পক্ষে এক বিরাট ক্ষতি বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আইডিএফের সাফ কথা

    আইডিএফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হল হামাসের সামরিক সক্ষমতা ভেঙে দেওয়া, একই সঙ্গে অসামরিক মানুষের ক্ষতি যতটা সম্ভব কমানো। এই উদ্দেশ্যেই ইজরায়েল গাজা শহরের বাসিন্দাদের দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তাঁদের আল-রাশিদ রোড ব্যবহার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এটিই একমাত্র নিরাপদ পথ হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার জন্য খোলা একটি অস্থায়ী মানবিক করিডর দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে সফলভাবে সরিয়ে নেওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেটি (Israel)।

    অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে ইজরায়েলের প্রতি সমর্থন রয়েই গিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র প্যাকেজের জন্য কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন চেয়েছেন। প্রস্তাবিত চুক্তির মধ্যে রয়েছে ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৩০টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আধুনিক যানবাহন এবং ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য অতিরিক্ত ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য। ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্যাকেজ সাহায্য প্রমাণ করে যে, ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে থাকা অবস্থায়ও ইজরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি ওয়াশিংটনের অঙ্গীকার অটল (Hamas Commander)। ইজরায়েলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যাঁরা সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য নিরাপদ পথ এখনও খোলা রয়েছে (Israel)।

  • CAG Report: দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    CAG Report: দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal)। ঋণের বোঝার বহর দিনের পর দিন চাপছে পাঞ্জাবের আপ পরিচালিত সরকারের ঘাড়ে। ভারতের দ্য কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) সম্প্রতি এক অভিনব রিপোর্ট (CAG Report) প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য কীভাবে তাদের আর্থিক ব্যবস্থা পরিচালনা করছে। শুক্রবার রাজ্যের অর্থসচিব সম্মেলনে সিএজি কে সঞ্জয় মূর্তি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক দশকে ভারতের ২৮টি রাজ্যের মোট সরকারি ঋণ তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে যেখানে এই দেনার পরিমাণ ১৭.৫৭ লাখ কোটি টাকা, সেখানে ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯.৬০ লাখ কোটি টাকায়। ভারতের রাজ্যগুলির ঋণ থেকে রাজ্যের জিডিপির (GSDP) অনুপাত সবচেয়ে বেশি। এর অর্থ হল ওই রাজ্যগুলির অর্থনীতির আকারের তুলনায় ঋণের বোঝা ভয়ঙ্করভাবে বড়।

    পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা (CAG Report)

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত আটটি রাজ্যের সরকারি ঋণের দায় তাদের জিএসডিপির ৩০ শতাংশেরও বেশি ছিল। ছটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এই দায় জিএসডিপির ২০ শতাংশের কম ছিল। আর বাকি ১৪টি রাজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি ঋণের দায় তাদের নিজ নিজ জিএসডিপির ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে ছিল।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ। এ রাজ্যে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার। রাজ্যের ঋণ-টু-জিএসডিপির অনুপাত এখন ৩৩.৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশের সর্বোচ্চগুলির মধ্যে একটি (CAG Report)। পশ্চিমবঙ্গের মতো অবস্থা আর এক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য পাঞ্জাবেরও।

    করুণ অবস্থা পাঞ্জাবের

    দীর্ঘ দিন ধরেই পাঞ্জাব সীমিত রাজস্বভিত্তি এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। সিএজির রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে যে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। পাঞ্জাব এমন এক রাজ্য যেখানে ইতিমধ্যেই বেকারত্ব, কৃষিক্ষেত্রে সঙ্কট, এবং শিল্পোন্নয়নের কম সুযোগ রয়েছে। তার ওপর এত বিপুল ঋণ উন্নয়নে লগ্নি করার ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে পঙ্গু করে দিচ্ছে (West Bengal)। মূলধনী ব্যয়, যেমন পরিকাঠামো নির্মাণ, যা ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি সৃষ্টি করে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার বদলে পাঞ্জাব এখন বাধ্য হচ্ছে ঋণ করা অর্থের বড় অংশ শুধু দৈনন্দিন খরচ চালাতে। প্রায় একই দশা পশ্চিমবঙ্গেরও। গত দশকে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের বোঝা দারুনভাবে বেড়েছে। পাঞ্জাবের মতো পশ্চিমবঙ্গও সেই ১১টি রাজ্যের মধ্যে পড়ে, যারা ঋণ করে জোগাড় করা অর্থ ব্যবহার করছে দৈনন্দিন খরচ চালাতে। এর মধ্যে রয়েছে বেতন, ভর্তুকি ও প্রশাসনিক খরচ। অথচ এই টাকা খরচ করা যেতে পারত দীর্ঘমেয়াদে রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে (CAG Report)।

    রাজস্ব প্রাপ্তি

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “গড়ে রাজ্যগুলির সরকারি ঋণ তাদের রাজস্ব প্রাপ্তি বা মোট অঋণ প্রাপ্তির প্রায় ১৫০ শতাংশ। একইভাবে, সরকারি ঋণ রাজ্যগুলির মোট রাজ্য ডোমেস্টিক উৎপাদনের ১৭ থেকে ২৫ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করেছে এবং গড়ে জিএসডিপির ২০ শতাংশ হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জিএসডিপির ২১ শতাংশ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২৫ শতাংশে ৪ শতাংশ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল ২০২০-২১ সালে কোভিড অতিমারি পর্বের কারণে জিএসডিপির পতন হয়। ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ ছিল ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণ, যা রাজ্যগুলিকে পুঁজি ব্যয়ের জন্য দেওয়া বিশেষ সহায়তা ও জিএসটি ক্ষতিপূরণের ঘাটতির পরিবর্তে ছিল (CAG Report)।”

    ঋণের অর্থ ব্যয় হয়েছে ঘাটতি পূরণেই

    সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও নাগাল্যান্ডের। তবে অধিকাংশ অন্যান্য রাজ্যও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। উল্টো দিকে, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মতো কিছু রাজ্য তাদের ঋণের অনুপাত তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে, যা আর্থিক শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একেবারেই উল্টো একটি ছবি তুলে ধরে (West Bengal)। রিপোর্টে উত্থাপিত আর একটি উদ্বেগজনক সূচক হল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও নাগাল্যান্ড-সহ ১১টি রাজ্যে পুঁজি ব্যয় তাদের নিট ঋণের চেয়ে কম ছিল। উদাহরণস্বরূপ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে যথাক্রমে তাদের নিট ঋণের মাত্র ১৭ শতাংশ এবং ২৬ শতাংশ ছিল পুঁজি ব্যয়। এর মানে হল, ঋণ নেওয়া অধিকাংশ অর্থ নতুন সম্পদ তৈরিতে (West Bengal) নয়, বরং ব্যয় হয়েছে ঘাটতি পূরণেই (CAG Report)।

  • Chandranath Sinha: অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ হবে চন্দ্রনাথের! মঙ্গলবারেই কি মন্ত্রীকে হেফাজতে নেবে ইডি?

    Chandranath Sinha: অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ হবে চন্দ্রনাথের! মঙ্গলবারেই কি মন্ত্রীকে হেফাজতে নেবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সওয়াল-জবাবে রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে (Chandranath Sinha) নিজের হেফাজতে নিতে জোর প্রশ্ন করেছেন ইডির আইনজীবীরা। অপর দিকে পাল্টা ইডির আবেদনের বিরোধিতা করে প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রনাথের আইনজীবী। দুই পক্ষের বক্তব্যে বিচারক কি রায় দেবেন এই দিকেই তাকিয়ে এখন উভয় পক্ষ। মন্ত্রীর জামিনের মেয়াদ কি বাড়বে নাকি হেফাজতে পাবে ইডি (Enforcement Directorate)? দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক শুভেন্দু সাহা জানিয়েদেন আগামী মঙ্গলবার দুপুর দুটোর সময় রায় ঘোষণা করবেন।

    তৃণমূলের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মধ্যে হল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। ২০১৬ সালের এসএসসিতে টাকার বিনিময়ে চাকরি বেচার কারণে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সরকার অযোগ্যদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেনি বলেই যোগ্যরাও নিজেদের চাকরি খুইয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি, বারবার উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

    তদন্ত প্রক্রিয়াকে জোরদার করলে আরও তথ্য আসবে (Chandranath Sinha)

    রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha)। তৃণমূলের মন্ত্রীকে হেফাজতে নিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করে ইডির আইনজীবী বলেন, “আমরা সাত দিনের জন্য হেফাজতে চাইছি। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা এবং মোবাইল পেয়েছিলাম। তদন্ত প্রক্রিয়াকে জোরদার করলে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে। টাকা উদ্ধারের পর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর এখন প্রয়োজন পড়ায় হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। তবে ঠিক মতো তথ্য না নিয়ে গ্রেফতার করলে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা সতর্ক হয়ে পড়বেন আর তাই তখন গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্তে বৃহৎ চক্রের হোদিশ মিলেছে, তাই তথ্যের ভিত্তিতে হেফাজতে চাইছি। একই ভাবে কেবিপি রিয়েলিটি নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ৬ তলা আবাসন নির্মাণ করেছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। ইলামবাজারে আট হাজার বর্গফুটের জায়গা মলের জন্য ভাড়া দিয়েছেন চন্দ্রনাথের স্ত্রী। যদিও স্ত্রী নামে নির্মাণ ব্যবসা চালালেও সবটা সমলাতেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথই।”

    আবাসন প্রকল্পের শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আইনজীবী আদালতে চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে তথ্য জোগাড় করে জানিয়েছে, “বিকে কনস্ট্রাকশন নামে একটি সংস্থার অর্ধেক পার্টনার মন্ত্রীর স্ত্রী। তবে সংস্থার অপর পার্টনারের দাবি কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। এমন কি কোনও রকম ব্যবসা করেননি বলেও পাওয়া যায়। সংস্থার নামে ৫ ডেসিমেল (পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে ভূমি পরিমাপের জন্য “ডেসিমেল” এককটি ব্যবহৃত হয়। ১ বিঘা জমি আনুমানিক ৬০ ডেসিমেল।) জমি ৭ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। অপর দিকে এই ৭ লক্ষ টাকা, বিকে কনস্ট্রাকশন সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে হিসেবও দেখিয়েছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। কেবিপি রিয়েলটি নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ৬ তলা আবাসন গড়েন মন্ত্রীর স্ত্রী। ওই আবাসন বেচে ২ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা লাভ করার কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। আবাসন প্রকল্পের বিনিয়োগ ও জমি কেনার টাকার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের বড়সড় দুর্নীতির (Enforcement Directorate) যোগ থাকারা সম্ভাবনা প্রবল ভাবে রয়েছে। তাই বিষয়ে বিস্তৃত তদন্তের প্রয়োজন।”

    তল্লাশি ও বয়ানের ভিত্তিতে পঞ্চম চার্জশিট

    বিচারপতি শুভেন্দু সাহা ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, “তদন্তের সময় নিশ্চিই অনেক তথ্য পেয়েছিলেন, তাহলে বয়ান রেকর্ড কররা ১১ মাস পরে কেন চার্জশিট দিলেন না। অপেক্ষা কিসের জন্য।” পাল্টা উত্তরে ইডির আইনজীবী বলেন, “তল্লাশি এবং বয়ানের ভিত্তিতে পঞ্চম চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে সুপ্রিম কোর্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করার কথা বললে এইদিকে একটু বিলম্ব হয়ে যায়। তবে তদন্ত জোর কদমেই চলছে।”

    ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মন্ত্রী চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তবে ইডির কাছে নিজের আয় সম্পর্কে জানান, সমস্ত আয়ের উৎস কৃষিকাজ। এরপর তদন্তকারী সংস্থা বীরভূমের পাইকরে বীরভূমের কৃষি বিভাগের সহ অধিকর্তার দফতরে তল্লাশি চালায়। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। যদিও ওই দিনেই রাজ্যের কারামন্ত্রীকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিতে চেয়েছিল ইডি, কিন্তু অন্তর্বর্তী জামিন মেলায় ইডি হেফাজতে পায়নি। এদিকে আদালতে ইডির আইনজীবীর বক্তব্যকে বিরোধিতা করে চন্দ্রনাথ সিনহার আইনজীবীর দাবি, “তদন্তের (Enforcement Directorate) জন্য হেফাজতের প্রয়োজন কী? চার্জশিট জমা পড়েছে তাই পেছনদিকে তাকানোর প্রয়োজন কী? সন্দেহজনক তথ্যে আমার মক্কেলের সমর্থন না নিয়ে হেফাজতে চাইতে পারে না ইডি।”

  • Indias Foreign Exchange: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে

    Indias Foreign Exchange: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার (Indias Foreign Exchange) ২০২৫ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে ৪.৬৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (USD) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI)-এর সর্বশেষ তথ্যেই এ খবর মিলেছে। এর ফলে ভান্ডার প্রায় সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তর ৭০৪.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে রেকর্ড হয়েছিল।

    বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ (Indias Foreign Exchange)

    বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ বেড়েছে ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, দাঁড়িয়েছে ৫৮৭.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এদিকে, সোনার ভান্ডার বেড়েছে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯২.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের সঙ্গে দেশের স্পেশাল ড্রইং রাইটস (এসডিআর) ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে পৌঁছেছে ১৮.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ভারতের আইএমএফ রিজার্ভ পজিশন ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে ৪.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী রিপোর্টিং সপ্তাহে ভারতের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪.০৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯৮.২৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এর আগে রিজার্ভ ৩.৫১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৬৯৪.২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।

    বেড়েছে সোনার রিজার্ভও

    সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ যা রিজার্ভের প্রধান অংশ ২.৫৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮৭.০১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে (Indias Foreign Exchange)। ওই সপ্তাহে সোনার রিজার্ভ ৩.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০.২৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তবে স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস ৩৪ মিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৭৪২ বিলিয়ন ডলারে। প্রসঙ্গত, শক্তিশালী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উন্নয়নশীল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির অস্থির পরিস্থিতিতে তাদের মুদ্রাকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে, কারণ তখন বাজারে ডলার সরবরাহ করা যায়।

    রিজার্ভ বাড়লে সরকারের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয় এবং আরবিআই ভারতের বহিঃঅর্থনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারে। এটি সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রার (USD) প্রয়োজন মেটাতে এবং বৈদেশিক ঋণের দায়বদ্ধতা পূরণে সহায়তা করে। শক্তিশালী বৈদেশিক রিজার্ভ ভারতীয় টাকাকে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে (Indias Foreign Exchange)।

  • JEM Hizbul Mujahideen: ভারত ফের যদি সামরিক অভিযান চালায়! ভয়ে ডেরা সরাচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি

    JEM Hizbul Mujahideen: ভারত ফের যদি সামরিক অভিযান চালায়! ভয়ে ডেরা সরাচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর হাঁটু কেঁপে গিয়েছে জঙ্গিদের। দিন কয়েক আগে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি যে নিছক মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার, প্রতিরক্ষা ও সামরিক সূত্রে। জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সিংহ-বিক্রমে আক্ষরিক অর্থেই ভয় পেয়ে গিয়েছে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। সূত্রের খবর, সেই ভয়েই জইশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিন (JEM Hizbul Mujahideen) তাদের ঘাঁটি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে পাকিস্তানেরই (POK) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত এই জঙ্গি সংগঠনগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অভিযোজন। তারা এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের হামলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ আফগান সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।

    অপারেশন সিঁদুর (JEM Hizbul Mujahideen)

    অপারেশন সিঁদুরে ভারত বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ-সহ একাধিক জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে ৭ মে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। তার জেরে শুরু হয় ভারত-পাক সংঘর্ষ। চার দিন পরে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় বিধ্বস্ত পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের পূর্ণ মদত এবং প্রত্যক্ষ সাহায্যে এই জঙ্গি সংগঠনগুলি ডেরা বদলাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি সুরক্ষায় জেইএমের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক-ধর্মীয় সংগঠন জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের সহযোগিতাও লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    প্রকাশ্যে জঙ্গি নিয়োগ

    প্রসঙ্গত, এই সব তথ্য ভারতের একাধিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথভাবে প্রস্তুত করা একটি ডসিয়ারের অংশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মানসেহরা জেলার গড়ি হাবিবুল্লাহ শহরে (JEM Hizbul Mujahideen)। এখানে জেইএম গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রায় সাত ঘণ্টা আগে প্রকাশ্যে জঙ্গি নিয়োগ কর্মসূচি চালায়। সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানটি ছিল জেইএম এবং জেইউআইয়ের যৌথভাবে পরিচালিত একটি গণ-সমাবেশ। এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা মুফতি (POK) মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরি ওরফে আবু মহম্মদ। তিনি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ এবং কাশ্মীর অঞ্চলে জেইএমের শীর্ষ নেতা।

    ইলিয়াস কাশ্মিরি মোস্ট ওয়ান্টেড

    ইলিয়াস কাশ্মিরি ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড টার্গেট। তিনি জেইএমের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সূত্রের খবর, এম৪ রাইফেল হাতে জেইএম সশস্ত্র ক্যাডার ও স্থানীয় পুলিশ প্রহরায় জনসভায় তাঁর উপস্থিতি পাকিস্তানের জেইএমের প্রতি প্রত্যক্ষ মদতই প্রমাণ করে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে জইশ কমান্ডার ইলিয়াসকে বলে শোনা যায়, “সেনা সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরে নিহত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে যাতে পদস্থ পাক কমান্ডাররা উপস্থিত থাকেন। তিনি এও বলেন, শহিদদের সম্মান জানাতে জওয়ানদের সেনার পোশাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। এমনকী কিছু জওয়ানকে সেখানে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল সদর দফতর থেকে। তাঁর দাবি, অপারেশন সিঁদুরের পর জঙ্গিদের সৎকারে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ (POK) দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান খোদ আসিম মুনিরই (JEM Hizbul Mujahideen)।

    প্রকাশ্যে পাক মদত

    অপারেশন সিঁদুরে নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের দেহ জাতীয় পতাকায় মুড়ে শেষকৃত্য করেছিল পাক সেনা। গান স্যালুট দিয়ে জঙ্গিদের শহিদ তকমা দিতেও শোনা গিয়েছিল তাঁদের। ইলিয়াসের দাবি, এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল সেনবাহিনীর মুখ্য কার্যালয় থেকে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দিল্লি এবং মুম্বই হামলায় মাদুস আজহারের হাত ছিল বলেও কবুল করেন ইলিয়াস। তিনি বলেন, “দিল্লির তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এবং শত্রুদের কবল থেকে পালানোর পর আমির-উল-মুজাহিদিন মাসুদ আজহার পাকিস্তানে বালাকোটে বসেই দিল্লির সংসদ ভবন এবং মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার ছক কষেছিলেন (POK)। এই মাটি, এর প্রতিটি কণা, তাঁর কাছে ঋণী (JEM Hizbul Mujahideen)।’’

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান যে কেবল জঙ্গিদের আশ্রয়ই দেয় না, বরং ভারত-বিরোধী জঙ্গি হামলায় সরাসরি মদত দেয়, এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। যদিও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বারংবার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার স্বয়ং জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তির পর ভারতের দাবি যে আরও স্পষ্ট হল, তা বলাই বাহুল্য (JEM Hizbul Mujahideen)।

  • Weather Report: দুর্গা পুজোতে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! ষষ্ঠী থেকে দশমী কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    Weather Report: দুর্গা পুজোতে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! ষষ্ঠী থেকে দশমী কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: হাতে গোনা কয়েক ঘণ্টা পরেই মহালয়া। শহর জুড়ে দুর্গা পুজোর (Durga Puja 2025) ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্যান্ডেল প্যান্ডেলে সাজসজ্জার কাজ প্রায় শেষের পথ। মৃৎশিল্পীরা মূর্তি গড়ার কাজে শেষ তুলির টান দিচ্ছেন। ঠিক আগেই শনিবার বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বজ্রপাতসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক রাস্তায় জল জমে গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বর্ষণের (Weather Report) সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ।

    জলীয়বাষ্প স্থলভাগের ঢুকে পড়ছে (Weather Report)

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিমে উত্তরপ্রদেশ থেকে পূর্বে বাংলাদেশ পর্যন্ত বায়ুর বলয়ের উপর একটি নিম্নচাপ (Weather Report) অবস্থান করছে। তার প্রভাবেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। আবার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প স্থলভাগের ঢুকে পড়েছে। সেই জন্যই বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদবাদ, নদিয়ায় ব্যাপক পরিমাণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার মহালয়া থেকে সোমবার, মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণ বঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে জারি করা রয়েছে হলুদ সতর্কতা।

    পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কমবেশি বৃষ্টিপাত

    অপর দিকে উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলায়ও ভারী বর্ষণের (Weather Report) ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রবিবার থেকে কোনও জেলার আবহাওয়া নিয়ে তেমন সতর্কতা নেই। দুর্গা পুজোয় আবহাওয়া কেমন থাকবে তা নিয়েও হাওয়া অফিস বিশেষ বার্তা দিয়েছে। বলা হয়েছে ষষ্ঠীর দুদিন আগে থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এটা আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি করবে। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কমবেশি বৃষ্টিপাত হবে। তবে নবমী থেকে দশমী (Durga Puja 2025) পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।এদিন, কলকাতা শহরে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২.১ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

LinkedIn
Share