Tag: Bengali news

Bengali news

  • Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যান-ইন্ডিয়া বা দেশব্যাপী একটি জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস (Terrorists Arrested) করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। অভিযোগ, পাকিস্তান-ভিত্তিক (Khilafat Model) হ্যান্ডলারের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছিল এই মডিউল। লক্ষ্য ভারতে খিলাফত শৈলীর শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই অভিযোগে দেশের চার রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট পাঁচজনকে। এরা হল আশহার দানিশ, সুফিয়ান আবুবকর খান, আফতাব আনসারি, হুজাইফা ইয়ামান এবং কামরান কুরেশি।

    খিলাফত-শৈলীর গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা (Terrorists Arrested)

    অতিরিক্ত কমিশনার (স্পেশাল সেল) প্রমোদ কুশওয়াহা জানান, এই গোষ্ঠী একটি দুই পর্বের পরিকল্পনা করেছিল। প্রথমত, ‘লস্কর’ নামে একটি খিলাফত-শৈলীর সংগঠন গঠন করা, এবং পরবর্তী কালে ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে ‘গাজওয়া-এ-হিন্দ’-এর অনুপ্রেরণায় ভারতে জিহাদ শুরু করা। তিনি বলেন, “তারা প্রথম ধাপে নিজেদের খিলাফত-শৈলীর একটি গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা করছিল। এরপর তারা গাজওয়া-এ-হিন্দ ধারণা অনুসরণ করে জিহাদ চালিয়ে যেতে চেয়েছিল, যার মধ্যে লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত।” পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে সন্দেহজনক ও বিপজ্জনক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গন্ধক গুঁড়ো, গন্ধক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, পিএইচ লেভেল চেকার, বল বিয়ারিংস এবং ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান। এর পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে তার, মাদারবোর্ড, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজও।

    ১১ জন আটক

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। যদিও গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিল আশহার দানিশ। সে রাঁচির বাসিন্দা। সে নিজেকে একজন পেশাদার কোম্পানি পরিচালনা করা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিত। জনসমক্ষে সে নিজেকে ‘সিইও’ হিসেবেও পরিচয় দিত। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে সে পরিচিত ছিল ‘গাজওয়া নেতা’ নামে। এই গোষ্ঠী একটি এনজিও পরিচালনার অছিলায় জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করছিল। কুশওয়াহা বলেন, “এরা অত্যন্ত উগ্রপন্থী ব্যক্তি যারা একটি ঘনিষ্ঠ অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করত।”  সূত্রের খবর (Khilafat Model), রাঁচি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আশহার দানিশকে। সুফিয়ান আবুবকর খান এবং আফতাব আনসারিকে ধরা হয়েছে দিল্লি থেকে। তেলঙ্গানার নিয়াজাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় হুজাইফা ইয়ামানকে। আর মধ্যপ্রদেশের রাজগড় থেকে পাকড়াও করা হয়েছে কামরান কুরেশিকে (Terrorists Arrested)।

    ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি মায় কার্তুজ তৈরির প্রশিক্ষণও নিয়েছে। তদন্তকারীরা সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে কিছু ‘অপরাধমূলক ছবি’-ও উদ্ধার করেছে। পুলিশের মতে, দলটি স্বীকার করেছে যে তাদের হ্যান্ডলার অনলাইনে আইইডি তৈরির নির্দেশ দিচ্ছিল এবং বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রাসায়নিক এবং উপাদান সংগ্রহের নির্দেশও দিয়েছিল (Terrorists Arrested)। কুশওয়াহা বলেন, “এটি একটি দেশীয় অভিযান ছিল।” ধৃতদের স্বাধীনভাবে অস্ত্র সংগ্রহ এবং আইইডি তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল (Khilafat Model)। দেওয়া হয়েছিল কার্তুজ তৈরির নির্দেশও। তাদের কাছ থেকে কিছু সন্দেহজনক স্কেচও উদ্ধার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সাম্প্রদায়িক প্রচার, ধর্মীয় বৈষম্য উস্কে দেওয়া এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ডিজিটাল ডিভাইসগুলি বিশ্লেষণ করছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক শনাক্ত করতে এবং সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করতেই বিশ্লেষণ করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া ডিজিটাল ডিভাইসগুলি (Terrorists Arrested)। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের গ্রেফতারের ফলে দেশে একটি বড়সড় জঙ্গি হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।

    আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, ধৃতেরা পরস্পরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা থেকে যে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দলটিকে পরিচালনা করছিল দানিশ। পাকিস্তানের হ্যান্ডলাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তারা। ভারতে যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে জঙ্গি কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করত ধৃতেরা। শুধু তা-ই নয়, জঙ্গি দলে নিয়োগের দায়িত্বও ছিল ধৃতদের ওপর। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ এও জেনেছে, দিল্লি এবং এনসিআর-সহ দেশের নানা জায়গায় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল (Terrorists Arrested)। পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা আল কায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট মডিউলের সঙ্গে জড়িত (Khilafat Model)।

  • CP Radhakrishnan: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন

    CP Radhakrishnan: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) হিসেবে শপথ নিলেন চন্দ্রপুরম পন্নুস্বামী রাধাকৃষ্ণন (CP Radhakrishnan)। শুক্রবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ সরকারের শীর্ষ স্তরের নেতামন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন এনডিএর জোটসঙ্গী বিভিন্ন দলের নেতারাও। উপরাষ্ট্রপতি পদে রাধাকৃষ্ণনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও। ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং আরও এক প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েনও উপস্থিত ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে।

    রাধাকৃষ্ণনের জয় (CP Radhakrishnan)

    প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই রাতে আচমকাই উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দেন ধনখড়। তার পরেই শুরু হয় উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রক্রিয়া। নির্বাচন হয় মঙ্গলবার। রাধাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে ইন্ডি জোটের প্রার্থী ছিলেন সুদর্শন রেড্ডি। এই নির্বাচনে রেড্ডিকে পরাস্ত করেন রাধাকৃষ্ণন। তাঁর জয় নিয়ে অবশ্য প্রথম থেকেই কোনও সংশয় ছিল না। খাতায়-কলমে এনডিএর পক্ষে ছিল ৪২৭টি ভোট। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১টি ভোটও পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণন (CP Radhakrishnan)। সব মিলিয়ে তাঁর পাওয়ার কথা ছিল ৪৩৮টি ভোট। যদিও ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় তিনি পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি ভোট। অথচ তাঁর পাওয়ার কথা ছিল ৩২১টি ভোট। প্রত্যাশিতভাবেই এসেছে ক্রস ভোটিংয়ের অনুষঙ্গ।

    রাধাকৃষ্ণনের রাজনৈতিক যাত্রা

    রাধাকৃষ্ণন তামিলনাড়ুর নেতা। তামিলনাড়ু থেকে এর আগে দুজন উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। দেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এবং আর বেঙ্কটরামন। সিপি রাধাকৃষ্ণন হলেন তামিলনাড়ু থেকে তৃতীয় উপরাষ্ট্রপতি। রাধাকৃষ্ণন ছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবক। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ১৯৯৮ সালে তিনি প্রথমবার জয়ী হন কোয়েম্বাটোর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। পরের বছরই আবারও ওই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়ে লোকসভায় পা রাখেন দ্বিতীয়বারের জন্য। ২০২৩ সালে তিনি ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল। পরের বছরই তাঁকে (Vice President) পাঠানো হয় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল করে। এবার তিনিই হলেন দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি (CP Radhakrishnan)।

  • Ramakrishna 465: গভীর ধ্যানে ইন্দ্রিয়ের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়

    Ramakrishna 465: গভীর ধ্যানে ইন্দ্রিয়ের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়

    “গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়। একজন ব্যাধ পাখি মারবার জন্য তাগ করছে। কাছ দিয়ে বর চলে যাচ্ছে, সমস্ত ব্যবসায়ীরা, কত কোলাহল, বাজার, গাড়ি, ঘোষা — কতক্ষণ ধরে কাছ নিয়ে চলে গেল। ব্যাধের কিন্তু লেশ নাই। সে জানিতে পারলো না যে কাছ দিয়ে বর চলে গেল।

    “একজন একলা একটি পুকুরের ধারে মাছ ধরছে। অনেকক্ষণ পরে ফাঁসাটা নড়তে লাগল, মাঝে মাঝে কাট হতে লাগল। সে তখন ছিপ হাতে করে টান মারবার উদ্যোগ করিতেছে। এমন সময় একজন পথিক কাছে এসে জিজ্ঞাসা করিতেছে, মহাশয়, অমুক বাঁড়ুজ্জেদের বাড়ি কোথায় বলতে পারেন? সে ব্যক্তি শ্ল্ধ নাই। তার হাত কাঁপিতেছে, কেবল ফাঁসার দিকে দৃষ্টি। তখন পথিক বিরক্ত হয়ে চলেগেল। সে অনেক দূরে চলে গিয়েছে, এমন সময় ফাঁসাটা ডুবে গেল, আর…

    ও ব্যক্তি টান মেরে মাছটাকে আড়ায় তুলল। তখন গাছটা দিয়ে মুখ পুঁতে, চিৎকার করে পাখিটাকে ডাকছে—ওহে—শোনা—শোনা! পাখি ফিরিতে চায় না, অনেক ডাকাডাকি পর ফিরিল। এসে বলছে, কেন মুখ্যধম, আবার ডাকছ কে? তখন সে বলল, তুমি আমায় কি বলছিলে? পাখি বললে, তখন অত্যন্ত করে জিজ্ঞাসা করলুম—আর এখন বলছ কি বললে! সে বলল, তখন যে ফানায় ডুবছিল, তাই আমি কিছুই শুনিতে পাই নাই।

    “ধ্যানে এইরূপ একাগ্রতা হয়, অন্য কিছু দেখা যায় না শোনাও যায় না। স্পর্শবোধ পর্যন্ত হয় না। সাপ গায়ের উপর দিয়ে চলে যায়, জানিতে পারে না। যে ধ্যান করে সেও বুঝিতে পারে না—সাপটাও জানিতে পারে না।

    “গভীর ধ্যানে ইন্দ্রিয়ের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মন বহির্মুখী থাকে না—যেন বার-বাড়িতে কপাট পড়ল। ইন্দ্রিয়ের পাঁচটি বিষয়: রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ—বাহিরে পড়ে থাকে।

    “ধ্যানের সময় প্রথম প্রথম ইন্দ্রিয়ের বিষয় সকল সামনে আসে—গভীর ধ্যানে সে সকল আর আসে না—বাহিরে পড়ে থাকে। ধ্যান করতে করতে আমাদের কত কি দর্শন হয়। প্রত্যক্ষ দেখলাম—সামনে টাকায় কাঠি, শাল, একখানা সুন্দর টালি—তাদের মধ্যে কি সুন্দর জ্যোৎস্নার আভা—সব বাহিরের বস্তু।

  • Bangladesh Crisis: ভোটের আগে নীতি নির্ধারণে জামাত! বাংলাদেশে কি চালু হবে শরিয়া আইন?

    Bangladesh Crisis: ভোটের আগে নীতি নির্ধারণে জামাত! বাংলাদেশে কি চালু হবে শরিয়া আইন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus)। এই সরকারই ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণ নির্বাচনের আগে জামাত-ই-ইসলামিকে নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করতে দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় অনেকেই মনে করছেন নির্বাচনী প্রক্রিয়া গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়েছে। মৌলবাদী বিভিন্ন ইসলামি গোষ্ঠী দেশে শরিয়া আইন কার্যকর করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা দেশকে ইসলামিক স্টেটে পরিণত করার জোরালো দাবিও তুলেছে।

    জামাতের প্রভাব (Bangladesh Crisis)

    জামাতের প্রভাব বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনে গোপন থাকছে না। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক নীতির ওপর দেওয়া বিভিন্ন নির্দেশ থেকে এটা স্পষ্ট যে তাদের অ্যাজেন্ডা সরকারিভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। জামাতের অন্যতম বিতর্কিত পদক্ষেপ হিসেবে সম্প্রতি সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে প্রাথমিক পর্যায়ে নাচের শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে তারা দাবি করেছে, বিদ্যালয়গুলিতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।

    জামাতের যুক্তি

    জামাতের সাধারণ সম্পাদক মিঞা গোলাম পরওয়ার এই নির্দেশের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষকের পরিবর্তে সঙ্গীত ও নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ মেনে নেওয়া হবে না। সঙ্গীত বা নৃত্য শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। যদি কোনও পরিবারের এই ধরনের কার্যকলাপে তীব্র আগ্রহ থাকে, তাহলে তারা নিজেরাই বেসরকারি শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু সকল সম্প্রদায়ের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা অপরিহার্য।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের তরুণরা একটি নৈতিক সংকটের মুখোমুখি এবং কেবল ধর্মীয় শিক্ষাই মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।” উল্লেখ্য, এই ধরনের বক্তব্যের সঙ্গে আফগানিস্তানে তালিবান নীতির ব্যাপক সাদৃশ্য রয়েছে (Md Yunus)।

    হিংসায় ইন্ধন

    তীব্র আন্দোলনের জেরে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে সে দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলি। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর মাত্র প্রথম সপ্তাহেই সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর ২০০টিরও বেশি হামলা হয়েছে। জামাতের (Bangladesh Crisis) ছাত্র সংগঠন, ইসলামি ছাত্রের সঙ্গে যুক্ত ক্যাডাররাই হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছে এবং সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। পরবর্তীকালে হিন্দুদের ওপর এই হিংসা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। জামাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, জেলবন্দি উগ্রপন্থী ও অপরাধীদের মুক্তি এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলির ওপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দেশের অগ্রগতি থমকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। মানবাধিকার কর্মীদের মতে, নীতি পুলিশের বাড়বাড়ন্ত এবং নারীদের ওপর ক্রমবর্ধমান নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে তালিবানীকরণের প্রাথমিক প্রমাণ (Md Yunus)।

    পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে

    নিষেধাজ্ঞার জেরে আগামী বছরের নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে থাকছে না আওয়ামি লিগ। তাই বেগম খালেদা জিয়ার দল বিএনপির জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তবে, যদি কোনও কারণে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে জামাতের সঙ্গে জোট গঠন করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনও পথ খোলা থাকবে না। এই ধরনের পরিস্থিতি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলতে পারে। শেখ হাসিনার আমলে নয়াদিল্লি ও ঢাকা শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতায় জড়িত ছিল। কিন্তু ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে (Bangladesh Crisis)। ভারতীয় কর্তারা পড়শি দেশের এই পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন। তাঁদের আশঙ্কা, পাকিস্তানের আইএসআই দ্বারা প্রভাবিত বিএনপি-জামাত জোট অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

    ইসলামিকরণের পরিকল্পিত প্রচেষ্টার সংকেত

    জামাতের বর্তমান আক্রমণাত্মক মনোভাব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইসলামিকরণের একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টার সংকেত (Md Yunus) বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সাতের দশক থেকে দলটি পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইসলামি অ্যাজেন্ডা এগিয়ে নেওয়া এবং বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ শাসন ব্যবস্থাকে দুর্বল করার কাজ করে আসছে বলে খবর। বর্তমানে নির্বাচনের প্রচারেও একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করা হচ্ছে ঠিকই, তবে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করা, সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ এবং নিয়ম-নীতি প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে জামাত।

    বাংলাদেশে লাগু হবে তালিবানি শাসন!

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে অচিরেই বাংলাদেশে লাগু হবে তালিবানি শাসন। যে শাসনের জেরে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-চাকরি ছেড়ে ঘরবন্দি হতে হয়েছে আফগানিস্তানের মহিলাদের। ত্যাগ করতে হয়েছে নাচ-গানের মতো বিনোদনের বিভিন্ন মাধ্যমের মোহ। তালিবান শাসিত (Md Yunus) আফগানিস্তানে মহিলারা কার্যত পরিণত হয়েছেন ক্রীতদাসীতে। যেখানে তাঁদের নিজেদের ইচ্ছের কোনও দাম নেই, মর্যাদার তো প্রশ্নই নেই। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ঘরবাড়ির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া পুরুষদের উদ্ধার করা হলেও, মহিলাদের উদ্ধার করা হয়নি। স্রেফ মহিলা হওয়ায় তাঁদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কোনও পুরুষ সদস্যও (Bangladesh Crisis)।

    বাংলাদেশের মহিলাদেরও কি সেই হাল হবে?

  • Charlie Kirk: প্রকাশ্যে খুন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি কির্ক, বিশ্বকে নিরাপত্তার পাঠ দেওয়া আমেরিকার ঘরেই ফুটো!

    Charlie Kirk: প্রকাশ্যে খুন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি কির্ক, বিশ্বকে নিরাপত্তার পাঠ দেওয়া আমেরিকার ঘরেই ফুটো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বছর একত্রিশের রক্ষণশীল নেতা চার্লি কির্ক (Charlie Kirk)। তিনি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এদিনের অনুষ্ঠান চার্লি যখন পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখন আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন চার্লি। সেই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’ (Charlie Kirk)

    চার্লির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিওটি একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। বন্যা বয়ে গিয়েছে লাইক, কমেন্টের। চার্লি টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই এর সিইও। হামলার কয়েক মুহূর্ত আগেই তিনি গণহত্যা ও বন্দুকবাজদের হামলা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। চার্লি গোঁড়া এবং রক্ষণশীল রিপাবলিকান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সমর্থনে ব্যাপক প্রচার করেছিলেন তিনি। অনেকের মতে, তার জেরে ছাত্র-যুবদের একটা বড় অংশের ভোট তিনি নিয়ে এসে ফেলেছিলেন রিপাবলিকান পার্টির ঝুলিতে। সম্প্রতি আমেরিকার কলোরাডো থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফর করার পরিকল্পনা করেছিলেন চার্লি। নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’। এই সফরেই তিনি গিয়েছিলেন ইউটার বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন চার্লি (Charlie Kirk)।

    ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ইউটা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে রয়েছেন চার্লি। তাঁর হাতে মাইক। পড়ুয়াদের নানান প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। এই সময় আচমকাই আততায়ী চার্লিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি সটান গিয়ে বিঁধে যায় চার্লির ঘাড়ে। চেয়ারেই লুটিয়ে পড়েন চার্লি। অনুষ্ঠান মঞ্চেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় এখনও বন্দুকবাজের হদিশ পায়নি মার্কিন পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করা হয়েছিল ঠিকই, যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চার্লির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে নিজস্ব সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমেরিকার যুব সমাজের হৃদয় চার্লির চেয়ে ভালো কেউ বোঝেনি বা বুঝতে পারেনি।” চার্লিকে ‘মহান’ এবং ‘কিংবদন্তি’ বলেও আখ্যা দেন ট্রাম্প। তিনি আরও লেখেন, “আমাদের সকলেরই উচিত চার্লির জন্য প্রার্থনা করা। তিনি একজন দুর্দান্ত মানুষ ছিলেন। ঈশ্বর তাঁকে আশীর্বাদ করুন।” ইউটার গভর্নর স্পেন্সার কক্স বলেন, “আধিকারিকরা মনে করছেন যে এই গুলি চালানোর ঘটনায় মাত্র একজন ব্যক্তি জড়িত ছিল। বন্দুকবাজ পালিয়ে গিয়েছে নাকি কোথাও গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।”

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ছবি

    ভাইরাল হওয়া (Donald Trump) ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, আততায়ীর গুলি থেকে বাঁচতে পড়ুয়ারা নিচু হয়ে পড়ছেন, চিৎকার (Charlie Kirk) করছেন এবং মঞ্চের কাছে থাকা একটি ফোয়ারা পার হয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা চার্লিকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু পড়ুয়া তাঁকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। একজন মহিলাকে দেখা গিয়েছে লাল রংয়ের ‘এমএজিএ’ টুপি পরে কাঁদতে। অনেককে দেখা গিয়েছে, চার্লির আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করতে। চার্লি হত্যার নিন্দে করেছেন আমেরিকার দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারাই। আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স চার্লির জন্য প্রার্থনা করেছেন তাঁর ‘অন্ধকারতম সময়ে’। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্তিস বলেন, “বিতর্কের সমাধান করা উচিত আলোচনার দ্বারা, হিংসার দ্বারা নয়।” ইউটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটি  এ রাজ্যের সবচেয়ে বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার। অনুষ্ঠান মঞ্চে চার্লি খুন হওয়ার পরে তাৎক্ষণিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। প্রশাসকদের বক্তব্য, তদন্ত চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে (Donald Trump)।

    স্নাইপার হামলা!

    চার্লি (Charlie Kirk) হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে জনতার। ট্রাম্প এই হত্যাকাণ্ডকে আমেরিকার জন্য একটি ‘অন্ধকার মুহূর্ত’ বলে  আখ্যা দেন। দেন ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিও। জানা গিয়েছে, চার্লিকে ক্যাম্পাস ভবন থেকে প্রায় ২০০ গজ দূর থেকে গুলি করা হয়। এক্স হ্যান্ডেলে অনেকেই একে স্নাইপার আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ যেখান থেকে গুলি করা হয়েছে, তা অনেকটা দূর থেকেই। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যায়, চার্লির জুগুলার শিরায় লাগে গুলিটি। সেই কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

    ঘরামির ঘরেই ফুটো!

    পড়ুয়া-শিক্ষকে ঠাসা অনুষ্ঠানে কীভাবে চার্লিকে গুলি করা হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চার্লি হত্যার পরে আমেরিকায় ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মার্কিন মুলুকে বন্দুকবাজদের হিংসা এবং রাজনৈতিক হামলা এখন জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে দেশ নিজেকে বিশ্বের গণতন্ত্রের দিগন্তদর্শী হিসেবে উপস্থাপন করে এবং অন্যদের স্বাধীনতার পাঠ দেয়, সেখানেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেই বড়সড় ছিদ্র। যে ফুটো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ভালো নেই আমেরিকা (Charlie Kirk)! প্রসঙ্গত, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারে বেরিয়ে এক বন্দুকবাজের শিকার হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে গুলিটি ট্রাম্পের কান (Donald Trump) ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

  • Assam Govt: ১ লাখ ৬৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি! অসমে শুরু হয়ে গেল অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নের কাজ

    Assam Govt: ১ লাখ ৬৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি! অসমে শুরু হয়ে গেল অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মঙ্গলবারই। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু অসমে শুরু হয়ে গেল অবৈধ অনুপ্রবেশকারী (Declared Foreigners) বিতাড়নের কাজ। অসমের (Assam Govt) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার শুরু করেছে ১ লাখ ৬৮ হাজার বাংলাদেশিকে, যাদের ট্রাইব্যুনাল অবৈধ অভিবাসী ঘোষণা করেছে, শনাক্ত করার প্রক্রিয়া। এই ঘোষিত বিদেশিদের প্রায় ৯০ শতাংশই এই মুহূর্তে নিখোঁজ। বহু শুনানির পর অসমে বসবাসকারী এই অনুপ্রবেশকারীদের বিদেশি ঘোষণা করেছিল ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু অধিকাংশই আদালতের রায়ের পর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবার কেউ কেউ হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও আপিল করেছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (Assam Govt)

    প্রসঙ্গত, ৯ সেপ্টেম্বর অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “নয়া ‘অসম অভিবাসী নির্বাসন বিধিমালা, ১৯৫০’-এর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী, রাজ্য সরকার নির্বাসনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করবে।” তিনি বলেছিলেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত ৩০হাজার ১২৬ জন বিদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছি। কিন্তু নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর প্রণয়ন হলে সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার ট্রাইব্যুনাল দ্বারা ঘোষিত ১ লাখ ৬৮ হাজার বিদেশিকে নির্বাসিত করতে পারবে। যাঁরা আদালতে মামলা করেছেন কিংবা যেসব মামলায় স্থগিতাদেশ রয়েছে, তাঁদের ছাড়া। এই মামলাগুলি আর ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে না। বরং সন্দেহভাজন ব্যক্তি তাঁর নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য জেলাশাসকের সামনে ১০ দিনের মধ্যে হাজির হবেন। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে জেলাশাসক নির্বাসনের নির্দেশ জারি করবেন।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়

    উল্লেখ্য যে, যখন সুপ্রিম কোর্ট ২০০৫ সালে সর্বানন্দ সোনোয়াল বনাম ভারত সরকার মামলায় বিতর্কিত আইএমডিটি (অবৈধ অভিবাসী নির্ধারণ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আইন) বাতিল করে, তখন কংগ্রেস সরকার অসমে অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে বিদেশি ট্রাইব্যুনাল ব্যবস্থা চালু করে। এটি প্রক্রিয়াটিকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে (Assam Govt)। সম্প্রতি এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রাজ্য সরকার অসম থেকে অভিবাসী নির্বাসন আইন, ১৯৫০ প্রয়োগ করে (Declared Foreigners) শনাক্ত হওয়া অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য থেকে বিতাড়িত করতে পারে। হিমন্ত বলেন, “এখন এটি দেশের আইন। কারণ এটি সুপ্রিম কোর্টের সংবিধানিক বেঞ্চ দ্বারা অনুমোদিত এবং রাজ্য সরকার এই আইন অনুযায়ীই কাজ করবে।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, অসমে বসবাসকারী বাঙালি হিন্দু জনগণ আত্মবিশ্বাসী কারণ তাঁদের অধিকাংশই ১৯৭১ সালের আগে এ রাজ্যে এসেছেন। শুধুমাত্র ১২ জন বাঙালি হিন্দু অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। তাই অসমে এই আইনের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই (Assam Govt)।

  • Nepal Unrest: নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ভারতে ‘বেড়ে ওঠা’ সুশীলা কার্কি!

    Nepal Unrest: নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ভারতে ‘বেড়ে ওঠা’ সুশীলা কার্কি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেন জি-র আন্দোলনের জেরে দিন দুয়েক ধরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল ভারতের পড়শি দেশ নেপাল (Nepal Unrest)। ব্যাপক আন্দোলনের জেরে পতন হয় কেপি শর্মা অলি সরকারের। দেশে শান্তি ফেরাতে ক্ষমতার রাশ নেয় সে দেশের সেনাবাহিনী। এর পরেই পরিস্থিতি থিতু হয়। এহেন নেপালেরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চলেছেন সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। তিনি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন জেন জেড আন্দোলনের নেতৃত্ব। সুশীলা জানান, ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক আরও ভালো করা হবে।

    ভারত-নেপাল সম্পর্কে চিড় (Nepal Unrest)

    নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ছিল মধুর। এই সম্পর্কে চিড় ধরে কমিউনিস্ট শাসক অলির শাসন কালে। ভারতের পরিবর্তে তিনি মাখোমাখো সম্পর্ক তৈরি করেন আর এক কমিউনিস্ট শাসিত দেশ চিনের সঙ্গে। যে চিনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে বিপাকে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা-মলদ্বীপ এবং বাংলাদেশ, সেই বেজিংয়ের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন অলি। তার জেরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারত-নেপাল সম্পর্কের ফাটল চওড়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন শুনে, সেই সম্পর্কই মেরামত করতে চান সুশীলা। বছর বাহাত্তরের সুশীলা নেপালের প্রথম মহিলা যিনি প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ করেন নেপালের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অলি।

    সুশীলা কার্কি

    আইনি যাত্রা শুরুর আগে সুশীলা ছিলেন শিক্ষিকা। সেই সময় থেকেই তাঁর একটা সাহসী, দক্ষ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল। এ যাবৎকাল পর্যন্ত দুর্নীতির কোনও কালি লাগেনি তাঁর গায়ে। প্রত্যাশিতভাবেই জনমানসে জায়গা করে নেন এই প্রতিভাময়ী। ২০০৬ সালের সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য ছিলেন সুশীলা। ২০০৯ সালে তাঁকে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। পরের বছরই স্থায়ী বিচারপতি পদে নিয়োগ করা হয় সুশীলাকে। ২০১৬ সালে দেশের শীর্ষ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান সুশীলা। পরে হন স্থায়ী প্রধান বিচারপতি। এই পদে থাকাকালীন বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলায় কঠোর রায় দিয়েছিলেন সুশীলা। পুলিশে নিয়োগে অনিয়ম, দ্রুত বিচার আদালত প্রতিষ্ঠা (Nepal Unrest) এবং বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল দুর্নীতির মামলায় কড়া রায় দিয়েছিলেন তিনি। এহেন সুশীলার ঘাড়েই বর্তেছে নয়া নেপাল গঠনের কাজের ভার (Sushila Karki)।

    প্রতিনিধি নির্বাচন

    প্রসঙ্গত, বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে অনলাইনে ভার্চুয়াল সভা করেন জেন-জি আন্দোলনকারীরা। বৈঠকে স্পষ্ট বলা হয়, জেন জি আন্দোলনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক রাখতে হবে। তাই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করা হবে না। বর্তমানে সুশীলা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং একজন নাগরিক কর্মী হিসেবে তাঁকেই এই ভূমিকার জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করেছে জেন জেড। তার পরেই ঘোষণা করা হয় (Nepal Unrest) তাঁর নাম।

    সুশীলার ভারত-যোগ

    সুশীলার সঙ্গে ভারতের যোগ বেশ পুরানো। তাঁর (Sushila Karki) পড়াশোনা ভারতেই, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে। এখান থেকেই স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি এই সময় শিখেছিলেন ভারতীয় নৃত্যও। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়েছিলেন সুশীলা। সেই সময়ের কথা, ভারতীয় বন্ধুদের কথা এবং তাঁর শিক্ষকদের কথা আজও সংরক্ষিত রয়েছে তাঁর মনের মণিকোঠায়। সংবাদ মাধ্যমকে সুশীলা জানান, এ সবের পাশাপাশি বেনারসের গঙ্গা নদীর কথাও তাঁর বেশ মনে পড়ে।

    কী বললেন সুশীলা?

    দীর্ঘদিন ভারতে কাটানোর পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ ক্ষেত্রে বিচরণ করায় ভারতের প্রতি একটা আলাদা দুর্বলতা রয়েছে সুশীলার। জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কেও ভালো ধারণা রয়েছে তাঁর (Nepal Unrest)। সুশীলা বলেন, “অনেক দিন ধরেই আমরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছি না। তবে আমরা এ নিয়ে কথা বলব। যখন কোনও একটা আন্তর্জাতিক বিষয় হয়, তখন দুই দেশের মধ্যে কিছু লোক এক সঙ্গে বসে একটা নীতি তৈরি করে। আমরাও তা-ই করব।” তিনি (Sushila Karki) জানান, ভারত সব সময়ই নেপালকে সাহায্য করেছে। কিছু ক্ষেত্রে বিরোধ থাকলেও, আগামী দিনে নেপাল আবারও ভারতের সাহায্য পাবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে সরকারি ক্ষেত্রে সম্পর্কের বিষয়টি আলাদা বলেও মন্তব্য করেন সুশীলা। বলেন, “অবশ্য আমাদের দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে বরাবরই একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে।”

    এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার থেকেই নেপালে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে খবর। যদিও সেখানে বসবাসরত ভারতীয়দের পূর্ণ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সুশীলা। তিনি জানান, এখন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে সেনা (Sushila Karki)। বিক্ষোভের সময় যে সব পরিবারের সদস্যরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবার যাতে সুবিচার পান, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান (Nepal Unrest) সুশীলা।

  • Ramakrishna 464: গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়

    Ramakrishna 464: গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়

    “আমি সর্বপ্রকার সাধন করেছিলাম। সাধনা তিন প্রকার—সাত্ত্বিক, রাজসিক, তামসিক। সাত্ত্বিক সাধনায় তাঁকে ব্যাকুল হয়ে ডাকে বা তাঁর নামটি শুনে নিয়ে থাকে। আর কোনো ফললাভ নেই। রাজসিক সাধনে নানারকম প্রক্রিয়া—এতবার পুষ্পচর্চন করতে হবে, এত তীর্থ করতে হবে, পঞ্চগব্য করতে হবে; যজ্ঞোপবীতধার পুজা করতে হবে ইত্যাদি। তামসিক সাধন—তোমাকে আঘাত করে সাধনা। জয় কালী! কি, তুই খাস নির্নিমেষ। এই গলায় ছুরি দে। যদি দিয়া না দিস্ এ সাধনায় ফললাভ নাই। —যেমন তন্ত্রের সাধনা।

    “সে অবস্থায় (সাধনার অবস্থায়) অদ্ভুত সব দর্শন হত, আমার রমন প্রত্যক্ষ দেখলাম। আমার মতো রূপ একরকম আমার শরীরের ভিতর প্রবেশ করল। আর মড়কসম প্রতাপে পদ্মের মতো রমন করতে লাগল। ঘটল হৃদয়ে হয়েছিল—ঠাকুর বলতেন রমন কথার আর একটি পদ প্রবর্তিত হয়—আর উদ্বোধিত হয় রমন। এইরূপ মূর্তিমান, স্থাণু, অচঞ্চল, অনাহত, বিভক্ত, অখণ্ড, সহজাত সকল প্রত্যক্ষ ফুটে উঠত। আর নিচে মূর্ছা ছিল উদ্বোধক হল, প্রত্যক্ষ দেখলাম।”

    [ধ্যানযোগ সাধনা — ‘নিবৃত নিস্পন্দমিরপ্রদীপস্ফূর’]

    “সাধনার সময় আমি ধ্যান করতে করতে আবেশ করতাম প্রভূপদের শিখা—
    যখন হওয়া নাই, একটুও নড়ে না — তার আবেশ করতাম।

    “গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়। একজন ব্যাধ পাখি মারবার জন্য তাগ করছে। কাছ দিয়ে বর চলে যাচ্ছে, সমস্ত ব্যবসায়ীরা, কত কোলাহল, বাজার, গাড়ি, ঘোষা — কতক্ষণ ধরে কাছ নিয়ে চলে গেল। ব্যাধের কিন্তু লেশ নাই। সে জানিতে পারলো না যে কাছ দিয়ে বর চলে গেল।

    “একজন একলা একটি পুকুরের ধারে মাছ ধরছে। অনেকক্ষণ পরে ফাঁসাটা নড়তে লাগল, মাঝে মাঝে কাট হতে লাগল। সে তখন ছিপ হাতে করে টান মারবার উদ্যোগ করিতেছে। এমন সময় একজন পথিক কাছে এসে জিজ্ঞাসা করিতেছে, মহাশয়, অমুক বাঁড়ুজ্জেদের বাড়ি কোথায় বলতে পারেন? সে ব্যক্তি শ্ল্ধ নাই। তার হাত কাঁপিতেছে, কেবল ফাঁসার দিকে দৃষ্টি। তখন পথিক বিরক্ত হয়ে চলেগেল। সে অনেক দূরে চলে গিয়েছে, এমন সময় ফাঁসাটা ডুবে গেল, আর…

  • Punjab: পাঞ্জাবে তরুণীকে উত্যক্ত করায় দোষী সাব্যস্ত আপ বিধায়ক-সহ ১২জন

    Punjab: পাঞ্জাবে তরুণীকে উত্যক্ত করায় দোষী সাব্যস্ত আপ বিধায়ক-সহ ১২জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে বিয়ের অনুষ্ঠানে উত্যক্ত ও আক্রমণ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হল পাঞ্জাবের (Punjab) আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক (AAP MLA) মনজিন্দর সিং লালপুর এবং আরও ১১জনকে। বুধবার তরণ তারণ অ্যাডিশনাল সেশনস জজ প্রেম কুমার খাদুর সাহিব তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলাটি ১২ বছর আগের। ১২ সেপ্টেম্বর দোষীদের সাজা ঘোষণা করবে আদালত। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর  পুলিশ মনজিন্দর সিং লালপুরা সহ সকলকে হেফাজতে নিয়েছে। তবে লালপুরার আইনজীবীরা বলেন, “আমাদের আইনি লড়াই চলবে”।

    ভিডিও প্রমাণ-সহ থানায় তরুণী (Punjab)

    মামলাটি দায়ের হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩ মার্চ। লালপুরা-সহ দোষীরা তরণ তারণের উস্মা এলাকার গোবিন্দওয়াল রোডের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন। ওই তরুণীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই তরুণীও। সেখানে কয়েকজন ট্যাক্সি চালক তাঁকে উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করায় তাঁর পরিবারকে আক্রমণ ও মারধর করা হয়। পুরো ঘটনাটি একজন ফটোগ্রাফার ভিডিও করেছিলেন। পরের দিন ওই তরুণীর পরিবার ভিডিও প্রমাণ-সহ সিটি পুলিশ স্টেশন, তরণ তারণে পৌঁছয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশ গ্রহণ করে এবং ওই তরুণীর বাড়ির সামনে প্যারামিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে সিটি পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়। ট্যাক্সি চালক হরবিন্দর সিং শোশি এবং সাহবা বর্তমানে খাদুর সাহিব বিধায়ক মনজিন্দর সিং লালপুরার নামে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আটজন পুলিশকর্মীও। তাঁদের মধ্যে একজন হেড কনস্টেবল পরমজিৎ সিংয়ের মৃত্যু হয় বিচার চলাকালীনই (Punjab)।

    কাঠগড়ায় আপের ৫ বিধায়ক

    প্রসঙ্গত, খাদুর সাহিবের বিধায়ক হলেন পাঞ্জাবে আটক হওয়া আপের পঞ্চম বিধায়ক, যাঁকে রাজ্য পুলিশ ও ভিজিল্যান্স ব্যুরো গ্রেফতার করেছে। এর আগে ভিজিল্যান্স ব্যুরো মানসা এমএলএ এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিজয় সিঙ্গলাকে ২০২২ সালের মে মাসে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। বাথিন্দা রুরালের আপ বিধায়ক অমিত রতন কোটফাট্টাকে ২০২৩ সালের (AAP MLA) ২৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল ভিজিল্যান্স ব্যুরো। গত ২৪ মে ভিজিল্যান্স ব্যুরো জলন্ধর সেন্ট্রালের বিধায়ক রামন অরোরাকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি মামলায়। সনাউরের আপ বিধায়ক হারমীত সিং পথানমজরাও গত ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন ধর্ষণের অভিযোগে। যদিও পরে তিনি পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান (Punjab)।

  • Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এখানে মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) মতো একটি সরকার দরকার। এখন বলেন্দ্র শাহ আসবেন এবং সব ঠিক হয়ে যাবে।” অশান্তির আগুনে জ্বলতে থাকা নেপালে (Nepal Unrest) দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন স্থানীয় এক তরুণ। তিনি বলেন, “যদি আমাদের এখানে মোদির (PM Modi) মতো একজন নেতা থাকতেন, তবে নেপাল এই অবস্থায় থাকত না। এটি বিশ্বের শীর্ষ দেশ হতো।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নেপালের জেন জেড-এর এহেন ‘জ্বরে’ যারপরনাই খুশি বিজেপি। ভারতীয় এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেপালি তরুণের ওই কথাগুলি ভাইরাল হয়েছে। সেটাকেই হাতিয়ার করেছে পদ্মশিবির।

    দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল (Nepal Unrest)

    ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের পড়শি দেশ নেপাল। জেন জেড-এর আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং পদ্ধতিগত ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন নেপালবাসী। তার জেরেই শুরু হয় আন্দোলন। যুব-নেতৃত্বাধীন সেই বিক্ষোভে সোমবার নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ। তার পরেই মারাত্মক আকার ধারণ করে নেপালের পরিস্থিতি। অশান্তির জেরে ভারতের এই পড়শি দেশে নিহত হন কমপক্ষে ১৯ জন। জখম হন ৪০০ জনেরও বেশি। অস্থিরতার মধ্যেই পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকও। এহেন অগ্নগর্ভ পরিস্থিতিতেও নেপালবাসীর মুখে শোনা যায় মোদি-প্রশস্তি।

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ

    বুধবার সেই ভিডিওই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে শেয়ার করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ওই ভিডিওতেই এক নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, দেশে এমন একজন নেতার প্রয়োজন, যিনি দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, ঠিক যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন (Nepal Unrest)। সাম্প্রতিক অতীতে বিরোধী দলনেতার বেশ কয়েকটি ভিডিওর জন্য মালব্য বলেন, “কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে জেনারেল জেড “যৌন প্রতীক” হিসেবে উপস্থাপনের জন্য অশ্লীল অর্থ ব্যয় করছে, যেখানে তাঁকে তাঁর পেটের পেশি প্রদর্শন, বাইক চালানো, পুশ-আপ করা বা ঘুরে বেড়ানোর (PM Modi) মতো বোকা বোকা রিল দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “কিন্তু বাস্তব ছবিটা হল, ভারতের মতো নেপালেও জেনারেল জেড প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো একজন নেতাকে চান, যাঁর দূরদৃষ্টি, দৃঢ়তা এবং কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।”  মালব্যর করা (Nepal Unrest) পোস্টে সংবাদমাধ্যম থেকে একটি ভিডিওও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে একজন নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, তাঁদের দেশে মোদির মতো একজন নেতার প্রয়োজন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে যদি এমন সরকার থাকত, তাহলে নেপাল বর্তমানে যেখানে আছে সেখানে থাকত না। নেপাল সামনের সারিতে থাকত।”

    মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন

    বিজেপির অন্ধ্রপ্রদেশের সহ-সভাপতি বিষ্ণু বরাধন রেড্ডিও একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “নেপাল থেকে উঠে আসা যুব সমাজের আওয়াজ একটাই স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে – ‘আমাদের মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন।’” তিনি আরও বলেন, “এটাই হচ্ছে ১১ বছর ধরে নিবেদিত শাসন ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বৈশ্বিক প্রভাব। সবাই চায় এমন একজন নেতা যিনি প্রধানমন্ত্রী শ্রী অ্যাট দ্য রেট নরেন্দ্র মোদিজির মতো (Nepal Unrest)।”

    ভারতের উদ্বেগ

    এদিকে, নেপালে হিংসার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, নেপালের কাঠমাণ্ডু-সহ একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। নেপালে যে সব ভারতীয় রয়েছেন (PM Modi), তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। নেপালি প্রশাসনের নির্দেশ মতো চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে ভারতীয়দের। ভারতীয়দের নেপাল যাত্রা আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র। ভারত-নেপাল সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ভারতীয়রা যাতে সে দেশে থেকেও কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি।

    ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে দেশ-বিরোধীরা, আশঙ্কা

    নেপালে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দেশে অশান্তি ছড়ানোর কৌশল নিতে পারে ভারত বিরোধীরা। সেই বিষয়েও সতর্ক নয়াদিল্লি। কড়া নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির ওপর। তবে নয়াদিল্লি শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে হলেও, ভারত যে নেপাল ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না, সেটা স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তায়ই। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের হিংসার ঘটনা হৃদয়বিদারক (Nepal Unrest)।” প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের স্থিতিশীলতা, উন্নতি এবং শান্তিরক্ষা ভারতের প্রাথমিক গুরুত্ব। আমার নেপালি ভাই-বোনেদের কাছে আবেদন (PM Modi), আপনারা শান্তির পক্ষে থাকুন।” নেপালে যেভাবে একগুচ্ছ তরুণের প্রাণ চলে গিয়েছে, তাতে শোকপ্রকাশও করেন প্রধানমন্ত্রী (Nepal Unrest)।

LinkedIn
Share