Tag: Bengali news

Bengali news

  • Kharagpur: খড়্গপুরে শাসক দলের পার্টি অফিসের সামনে বন্দুকবাজের হামলা, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    Kharagpur: খড়্গপুরে শাসক দলের পার্টি অফিসের সামনে বন্দুকবাজের হামলা, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে শ্যুটআউট। তাও আবার তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে। মঙ্গলবার দুপুরে এমনই বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর (Kharagpur) টাউন থানা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, জখম তৃণমূল কর্মীর নাম বি সন্তোষ। তাঁর বাড়ি নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায়। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিনেমার কায়দায় এই গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kharagpur)

    তৃণমূল সূত্রে খবর, খড়্গপুর (Kharagpur) টাউন থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকার তৃণমূলের কার্যালয়ের ঠিক বাইরে একটি গাছের তলায় বসেছিলেন কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। সিসিটিভি থেকে পাওয়া ফুটেজ এবং আহত তৃণমূল কর্মীর বয়ান অনুযায়ী, গাছের তলায় কয়েকজন যখন বসে ছিলেন, তখনই একটি স্কুটিতে করে তিন যুবক আসে। তাদের মুখ ঢাকা ছিল। তাদের দেখেই ছুটে পালান গাছের তলায় বসে থাকা তৃণমূল কর্মীরা। স্কুটি থেকে নামা একজনের হাতে বন্দুক রয়েছে দেখতে পেয়ে কয়েকজন তাঁদের দিকে গুলি ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পাল্টা ধেয়ে আসে গুলি। চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ। একটি গুলি এসে লাগে তৃণমূল কর্মী সন্তোষের গায়ে। আহত ওই তৃণমূল কর্মীর ডান পায়ের হাঁটুতে সমস্যা রয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাই তিনি দৌড়ে পালাতে পারেননি। আর একটি গুলি লাগে তাঁর কোমরের নীচে। তিন আততায়ীর মুখ ঢাকা থাকায় তাঁদের চেনা যায়নি বলে জানিয়েছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীরা। তারা গুলি চালিয়ে ফের স্কুটি করেই এলাকা ছেড়়ে পালিয়ে যায়। তবে, কী কারণে হামলা চালালো তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। একটি খালি কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই স্কুটি এবং দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণও করা হয়েছে। কী কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Russia Visit: ফের মোদির রাশিয়া সফর, থামবে কি ইউক্রেন যুদ্ধ?

    Modi Russia Visit: ফের মোদির রাশিয়া সফর, থামবে কি ইউক্রেন যুদ্ধ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুলাই মাসে রাশিয়া সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংবাদ সংস্থার রয়টার্স সূত্রে খবর ভারত এবং রাশিয়া দু’পক্ষই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর মস্কো (Modi Russia Visit) শহরের জন্য তৈরি হচ্ছে। রাশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা তাসের তরফেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্কো সফরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

    মোদির রাশিয়া সফরের গুরুত্ব (Modi Russia Visit)

    কূটনৈতিক সূত্র উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই (Modi Russia Visit) সফর জুলাই মাসে হতে পারে। সে দেশের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভূরাজনীতি, কূটনীতি, দুপক্ষের বাণিজ্যিক সহযোগ এবং সামরিক বিষয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হতে পারে। প্রসঙ্গত মার্চ মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাশিয়া সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এরপর মে মাসে পঞ্চম বার রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন পুতিন। অন্যদিকে জুন মাসে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন। রাশিয়ার তরফে আধিকারিক বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। যদি এই সফর বাস্তবায়িত হয় তাহলে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম সফর। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল ২০২১ সালে ভ্লাদিমির পুতিন নয়া দিল্লিতে ইন্দো-রাশিয়া সামিটে এসেছিলেন। যা বিগত দু বছরে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনের সঙ্গে শেষ বার দেখা করেছিলেন ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। তখন সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন এর সামিট আয়োজিত হয়েছিল উজবেকিস্তানের সমরকান্দে। সে সময় তিনি পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য কথাবার্তা এবং কূটনীতির আশ্রয় নিতে বলেছিলেন।  

    কূটনীতিতে স্বাবলম্বী ভারত

    একটা সময় ছিল যখন ভারত পুরোপুরি রাশিয়ার দিকে ছিল। সমরাস্ত্র হোক বা কূটনীতি, ভারত অনেকটাই রাশিয়া নির্ভর ছিল। কিন্তু এখন আমেরিকার সঙ্গেও নৈকট্য বেড়েছে ভারতের। আমেরিকার কাছ থেকেও সমরাস্ত্র কিনছে ভারত। অন্যদিকে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকেও যুদ্ধাস্ত্র কেনা হচ্ছে ভারতীয় সেনার জন্য। তবুও রাশিয়ার সরাসরি সমালোচনা কিংবা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আচরণ করার নীতি নেয়নি ভারত। বরং প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র এখনও রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা হচ্ছে। আমেরিকার চোখ রাঙ্গানি সত্ত্বেও ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এস ৪০০

    আরও পড়ুন: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    কিনেছে । এমনকি বহু মিসাইল ও রাইফেল এখনও রাশিয়া ভারতকে নিয়মিত সরবরাহ করে। ইউরোপ এবং আমেরিকার বাঁকা চোখ সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে নিয়মিত তেল কিনেছে ভারত। তা সত্ত্বেও মনে করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর (Modi Russia Visit) আসন্ন সফরে রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর পরামর্শ দিতে পারেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্পিকার নির্বাচনে (Lok Sabha Speaker) একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস, ঠিক এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকারের মনোনয়ন নিয়ে ইন্ডিজোটের মধ্যে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। স্পিকার নির্বাচন নিয়ে এনডিএ বিরোধীদের সমর্থন চাইলে, কংগ্রেস শর্ত দেয় ডেপুটি স্পিকার পদ দিতে হবে তাদের। কিন্তু শাসক শিবিরের উত্তর না মেলায় কংগ্রেস একক ভাবে স্পিকারের পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দেয়। আর এই নিয়ে তৃণমূলের হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ফলে বিরোধী শিবির ইন্ডি জোটে ফাটল স্পষ্ট।

    কী বললেন অভিষেক (Lok Sabha Speaker)?

    মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার (Lok Sabha Speaker) পদে মনোনয়ন নিয়ে, ইন্ডিজোটের শরীকদের মধ্যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংসদ কে. সুরেশকে স্পিকার পদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক। বলতে বাধ্য হয়েছি এই সিদ্ধান্ত এক তরফা ভাবে নেওয়া হয়েছে।” এই কথা বলার পর অভিষেককে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু রাহুল কোনও পাল্টা উত্তর দেননি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয় নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। তৃণমূল বৈঠকে বসেছে এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা হবে।

    কংগ্রেসের প্রার্থী পদের আপত্তি

    লোকসভার ডেপুটি স্পিকার (Lok Sabha Speaker) চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এনডিএ মানতে নারাজ ছিল। আর এই জন্য এনডিএ-র মনোনীত স্পিকারকে স্বীকার করেনি ইন্ডিজোট। তখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মতান্তর হয়নি। কিন্তু আচমকা কংগ্রেস স্পিকারে পদের জন্য আলাদা করে প্রার্থী দেওয়ায় বিরোধ বাধে। এরপর শুরু হয় তৃণমূলের ক্ষোভ প্রকাশ।

    আরও পড়ুনঃ উত্তরপাড়ায় দীর্ঘ দিন দেখা নেই তৃণমূল বিধায়কের, চর্চায় কাঞ্চন মল্লিক

    স্পিকার নিয়ে রাহুলের বক্তব্য

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, “আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকাজির সঙ্গে রাজনাথ সিং কথা বলতে এসেছিলেন। বিরোধীদের শর্ত শোনার পর এই বিষয়ে কোনও সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। এই বিষয়ে আর কোনও ফোন বিজেপির পক্ষ থেকে আসেনি।” পাল্টা রাজনাথ সিং অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এনডিএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পিকার (Lok Sabha Speaker) নির্বাচনের পর ডেপুটি স্পিকার নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mid Day: ইভিএম সংক্রান্ত খবর ভুল ছিল, ক্ষমা চাইল মিড ডে পত্রিকা

    Mid Day: ইভিএম সংক্রান্ত খবর ভুল ছিল, ক্ষমা চাইল মিড ডে পত্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘প্রার্থীর আত্মীয়ের হাতে এমন মোবাইল ছিল, যার মাধ্যমে ইভিএম আনলক করা সম্ভব।’ গত ১৬ জুন এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল মুম্বইয়ের মিড ডে (Mid Day) পত্রিকা। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল পত্রিকার ৬ নম্বর পাতায়। মিড ডে-র খবরে হইচই পড়ে যায় দেশজুড়ে। পরে অবশ্য ভুল স্বীকার করে নেন পত্রিকাগোষ্ঠী। ভুলের জন্য প্রার্থনাও করা হয় ক্ষমা। সেই সঙ্গে এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বক্তব্যও প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি।

    মিড ডে-র প্রতিবেদন (Mid Day)

    মিড ডে পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, মুম্বইয়ের একটি গণনাকেন্দ্রে এক প্রার্থীর আত্মীয়ের কাছে এমন মোবাইল ছিল, যার মাধ্যমে ওটিপি দিয়ে ইভিএম খোলা যেত। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল শিবসেনা সাংসদ রবীন্দ্র ওয়াইকার গোটা ভোটিং প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছেন। তার জেরেই ওয়াইকার জয়ী হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছিল প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে এও উল্লেখ করা হয়েছিল, শিবসেনা প্রার্থী জিতেছিলেন কারণ তাঁর আত্মীয় এমন ফোন ব্যবহার করেছিলেন যার মাধ্যমে ওটিপি জেনারেট করে ইভিএম খোলা হয়েছিল (Mid Day)।

    কী বলছেন রিটার্নিং অফিসার? 

    মুম্বই উত্তর-পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার বন্দনা সূর্যবংশী বলেন, “ইভিএম একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থা, যা আনলক করতে ওটিপির প্রয়োজন হয় না।” ‘ভুল’ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গিয়ে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ‘ওয়াইকারের আত্মীয়ের একটি ফোন ছিল, যেটি দিয়ে ইভিএম আনলক করা যায় অসাবধানবশত ভুলভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি ইভিএম আনলক করতে মোবাইল ফোন দিয়ে ওটিপি জেনারেট করেছিল, এজন্য আমরা দুঃখিত।’

    আর পড়ুন: হাবিবুল্লার পর এবার হেরাজ, হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে ফের গ্রেফতার জঙ্গি

    ১৭ জুন সংবাদমাধ্যম কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, রিপোর্টে ভুল ছিল। ক্ষমাও প্রার্থনা করেন এই দিন। নির্বাচন কমিশন যে বিবৃতি জারি করেছিল, তাকে একেবারে পেজ ওয়ানে ছাপিয়ে তার নীচে ভুল স্বীকার করে নেয় সংবাদপত্র গোষ্ঠী। বিজেপির দাবি, রিপোর্ট প্রকাশ করার সময় বিশাল জায়গা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হল। আর ক্ষমা চাওয়ার বেলায় এই টুকু! ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে এবং পত্রিকাটির পাঠক সংখ্যা বাড়াতে ভুল খবর ছেপেছিলেন কর্তৃপক্ষ। ভুল স্বীকারের আঁচ যাতে গায়ে না লাগে তাই ছোট্ট একটি জায়গা নিয়ে ছাপা হয়েছে ভুল স্বীকার (Mid Day)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Raju Bista: অম্রুত প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি! তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজু বিস্তা

    Raju Bista: অম্রুত প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি! তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় আর্থিক সহায়তায় অম্রুত প্রকল্পে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পুরসভায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista)। দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় গৃহ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের কাছে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইলেন তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি সমস্ত তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।

     কীভাবে দুর্নীতি হচ্ছে? (Raju Bista)

    কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পুরসভায় পানীয় জল প্রকল্পের কাজ চলছে। সাধারণ মানুষকে পানীয় জলের নিশ্চয়তা দিতেই কেন্দ্র সরকার এই অম্রুত প্রকল্প হাতে নিয়েছে। রাজু বিস্তা কেন্দ্রীয় গৃহ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাৎ করে লিখিতভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনিয়মের কথা জানিয়েছেন। দার্জিলিংয়ের সাংসদ (Raju Bista) বলেন, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি পুরসভাতে অম্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, শিলিগুড়ি, মিরিক পুরসভায় এই প্রকল্পে দুর্নীতি বেশি। পাহাড়ে এই কাজের ক্ষেত্রে ডিটেইলস প্রজেক্ট রিপোর্ট  (ডিপিআর)  তৈরির শুরু থেকে তার বাস্তবায়নে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ই-টেন্ডার খোলার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মানা হয়নি। বেশি দরে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং পুরসভায় যে ২৩ টি জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে, সে ক্ষেত্রে হাইড্রোডায়ানামিক এবং জিও-টেকনিক্যাল পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। সরকারি নিয়মেও প্রকল্পের শর্তে এই পর্যবেক্ষণ বাধ্যতামূলক। এছাড়া দার্জিলিং পুরসভা এলাকায় ২৩ টি স্টিলের জলের ট্যাঙ্কের কাজ চলছে। সেখানেও ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। এতে ভবিষ্যতে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে দার্জিলিং। 

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    এজেন্সির কাজের যোগ্যতা নেই!

    সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista) কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে জানান, দার্জিলিং জেলা ভূকম্পন প্রবণ অঞ্চল। পাঁচ নম্বর সিসমিক জোনে রয়েছে। কাজেই বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে এই ট্যাঙ্কগুলি ব্লাস্ট করবে। ব্যাপক সম্পত্তির ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে। সাংসদের প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর কীভাবে এই নিয়ম বিরুদ্ধ কাজের অনুমোদন দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার কাজ চালাচ্ছে? তিনি বলেন, যে এজেন্সিকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে তাদের এ ধরনের কাজের কোনও যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা নেই।

    কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল পাঠানোর দাবি

    রাজু বিস্তা বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থে এই প্রকল্প তৈরি হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে পানীয় জলের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য অম্রুত প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এজন্য বিপুল পরিমাণে টাকাও দেওয়া হয়েছে। সেই প্রকল্পের  দুর্নীতি ও কাটমানির ঘটনা কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না। এতে সাধারণ নিরীহ মানুষ ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়ুক সেটা আমরা চাই না। একারণে আমি কেন্দ্রীয় গৃহ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছি, কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে এখানকার পুরসভাগুলির অম্রুত প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra 2024: ভক্তদের জন্য সুখবর! এবছর দুবার রথের দড়িতে টান দেওয়ার সুযোগ পাবেন পূণ্যার্থীরা

    Rath Yatra 2024: ভক্তদের জন্য সুখবর! এবছর দুবার রথের দড়িতে টান দেওয়ার সুযোগ পাবেন পূণ্যার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথযাত্রা মানেই বাঙালির দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু। এই দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় খুঁটি পুজো। আর এবারের রথ বাঙালীর কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে চলেছে। কারন এবছর রথের তিথি পড়েছে দুদিন। আগামী ৭ জুলাই, রবিবার পড়ছে জগন্নাথ রথযাত্রা। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে এই শুভ সময় পড়ছে। জানা গিয়েছে ৭ জুলাই ভোর ৪ টা ২৬ মিনিট থেকে এই আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি শুরু হচ্ছে। আর দ্বিতীয়া তিথি শেষ হচ্ছে ৮ জুলাই সোমবার ভোর ৪ টে ৫৯ মিনিটে। 

    রথযাত্রার নিয়মাবলী

    সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৭ জুলাই রথযাত্রার ভোররাত ২টো নাগাদ মঙ্গলারতি হবে জগন্নাথ মন্দিরে। এরপর ভোর ৪টে তে হবে নেত্র বন্দোপনা। সকাল ১১টায় হবে রথ প্রতিষ্ঠা। পহন্দি প্রথা পালিত হবে ওইদিন দুপুর ১টা বেজে ১০ মিনিটে। এরপর বিকেল ৪টের সময় ছেরাপহরা হবে। ৫টা থেকে শুরু হবে রথযাত্রা। ওই সময় থেকেই রথের রশিতে টান দেওয়ার সুযোগ পাবেন ভক্তরা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৬ জুলাই পালিত হবে রথঅঙ্গনমালা বিজে। নবযৌবন দর্শন, নেত্র উৎসব এবং রথযাত্রা পালিত হবে ৭ জুলাই। ওইদিন কিছুটা দূরত্ব পর্যন্ত টানা হবে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার রথ। এর পরদিন অর্থাৎ ৮ জুলাই গুণ্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে তিন ভগবানকে। অর্থাৎ পরপর দুদিন ভক্তরা সুযোগ পাবেন পবিত্র রথের দড়ি স্পর্শ করার। প্রায় ৫৩ বছর পর রথযাত্রায় এই সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।    

    আরও পড়ুন: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যয় কমাতে এ বছরেই দেশে অনুষ্ঠিত হবে সৌর উৎসব!

    ছত্তিশা নিযোগের মন্তব্য 

    এবারের রথযাত্রা প্রসঙ্গে সোমবার শ্রীমন্দিরের ছত্তিশা নিযোগ বৈঠকে জানিয়েছেন, এ বছরের রথযাত্রা অনেকটা অভিনব। তাই ১৯৭১ সালের মহোৎসবের সূচিই এবার অনুসরণ করা হবে জগন্নাথধামে। এদিন দ্বৈতাপতি সেবায়েত বিনায়ক দশমহাপাত্র জানিয়েছেন, ৫৩ বছর পর নবযৌবন দর্শন, নেত্র উৎসব এবং রথযাত্রা একইদিনে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এ বছর নবযৌবন এবং রথযাত্রা একইদিনে পড়ায় সেবায়েতরা শৃঙ্গার সেবা, নেত্র উৎসবের সময় কম পাবেন। এবার আর নবযৌবন দর্শন হবে না।’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • The Rise Of Wokeism: জাগরণবাদের উত্থান এবং সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদ, কী বললেন নন্দকুমার?

    The Rise Of Wokeism: জাগরণবাদের উত্থান এবং সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদ, কী বললেন নন্দকুমার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই দানা বাঁধছে ভারত-বিরোধী আন্দোলন। এমতাবস্থায় ভারত-মুখী চিন্তাভাবনার প্রসার এবং দেশপ্রেমের গোড়ায় জল দিতে উদ্যোগী হল চেন্নাইয়ের ‘ভিজিল’ নামে একটি সংস্থা (The Rise Of Wokeism)। এরাই জাগরণবাদ ও সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদের প্রবণতা সম্পর্কে বিশিষ্ট বক্তাদের আলোচনার আয়োজন করেছিল।

    ‘ভিজিলে’র উদ্দেশ্য

    ‘ভিজিলে’র উদ্দেশ্য হল, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ক্রমাগত ভারত-বিরোধী প্রচার চলছে, তা প্রতিহত করা। এই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা আরএসএস মতাদর্শী জে নন্দকুমার। কেরলের পান্ডালম থেকে আসা নন্দকুমার সে রাজ্যে আব্রাহামিক ধর্মের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন। সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘কেশরী’ এবং ‘প্রাগ্য প্রভার’ জাতীয় আহ্বায়ক হিসেবেও দেশজুড়ে হিন্দুত্বের প্রসারে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি।

    নন্দকুমারের উল্লেখযোগ্য় গ্রন্থ

    তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে কয়েকটি হল ‘স্ব: স্ট্রাগল ফর ন্যাশনাল সেল্ফহুড পাস্ট’, ‘প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার’, ‘হিন্দুত্ব ফর দ্য চেঞ্জিং টাইমস’, ‘কনটুরস অফ হিন্দু রাষ্ট্র’। এই বইগুলিতে ভারতীয় সংস্কৃতির পরিচয় সম্পর্কে বিশদে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে (The Rise Of Wokeism) নন্দকুমারের উপস্থিতি এবং বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি কেরলের মালাবার এলাকায় বৃটিশ আমলে মোপলা মুসলমানদের দ্বারা হিন্দুদের যে গণহত্যা হয়েছিল, তারও উল্লেখ করেন। বর্তমানে ভারতে আদর্শগত যে যুদ্ধ চলছে, তার ওপরও আলোকপাত করেন নন্দকুমার।

    কর্মক্ষেত্রে যে জাগরণবাদের প্রয়োজন রয়েছে, একাধিক উদাহরণ দিয়ে তিনি তা বুঝিয়ে দেন। জাগরণবাদের ম্যানিফেস্টেশন নিয়েও আলোকপাত করেন তিনি। কীভাবে স্কুলে ছোট বাচ্চাদের তাদের নিজস্ব সর্বনাম (হি না শি) দাবি করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং কীভাবে জাগরণ তত্ত্বটি প্রমাণ করে যে লিঙ্গ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে, তারও উল্লেখ করেন তিনি।

    আর পড়ুন: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি, অমলিন সংবিধানের গায়ে ইন্দিরার ‘কলঙ্কে’র স্মৃতি

    জেগে ওঠা এবং সচেতন হওয়ার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তাও স্পষ্ট হয়ে ওঠে নন্দকুমারের ভাষণে। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে উপনিষদের এবং স্বামী বিবেকানন্দের বাণী “উত্তিষ্ঠত, জাগ্রত, প্রাপ্য বরান্নিবোধত” (ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না) বাক্যবন্ধেরও উল্লেখ করেন। ক্ল্যাসিক্যাল মার্ক্সবাদের ব্যর্থতা থেকেই যে জাগণরবাদের উৎপত্তি, তাও জানিয়ে দেন নন্দকুমার। তিনি বলেন, “কমিউনিজম ধরাছোঁওয়ার বাইরে চলে যাওয়ায় এর প্রবক্তারা তাদের ধারণাগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নয়া পথের সন্ধান করেছিল। এ থেকে কালচারাল মার্ক্সবাদের জন্ম হয়েছিল, যেটা শ্রমিক শ্রেণি থেকে শিফ্ট করেছিল বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্রদের কাছে।” তার পরেই তিনি দেখান, কীভাবে তা ধীরে ধীরে পথ প্রশস্ত করেছিল জাগরণবাদের। তাঁর মতে, যাঁরা ট্র্যাডিশনাল ভারতীয় সংস্কৃতি এবং সামাজিক ঐক্যকে মূল্য দেন, তাঁরা জেগে উঠুন, ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে সরব হোন এবং ভারতীয় সংস্কৃতি বাঁচাতে উদ্যোগী হোন (The Rise Of Wokeism)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Terrorist Arrest: হাবিবুল্লার পর এবার হেরাজ, হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে ফের গ্রেফতার জঙ্গি

    Terrorist Arrest: হাবিবুল্লার পর এবার হেরাজ, হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে ফের গ্রেফতার জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের কাঁকসার মহম্মদ হাবিবুল্লার পর এবার নদিয়ার মায়াপুরের হেরাজ শেখ। ফের রাজ্যে আরও একজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশি ‘শাহাদাত’ মডিউলের হিসাবে সে কাজ করত। তবে, এই রাজ্যে হেরাজের কী ভূমিকা ছিল তা গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছে।

    কীভাবে খোঁজ মিলল হেরাজের? (Terrorist Arrest)

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন (Terrorist Arrest) আনসার-আল-ইসলাম এর একটি মডিউল বাংলাদেশ ও বাংলায় সক্রিয়। শাহাদত নামে সেই মডিউলের প্রধান বা আমীর হিসাবে কাজ করতেন হাবিবুল্লা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই মডিউলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বিশেষভাবে সুরক্ষিত বা এনক্রিপটিক মেসেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে কথাবার্তা বলত। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দা-র সঙ্গে যোগাযোগে থাকা আনসার আল ইসলামের মডিউল ভারত ও বাংলাদেশে কাজ করছে। হাবিবুল্লার কাজ ছিল শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে নিয়োগ করা। হাবিবুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই খোঁজ মিলেছে হেরাজের। এরপরই এসটিএফের অভিযানে পাকড়াও হয় এই সন্দেহভাজন।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    হাবিবুল্লার সঙ্গী হিসাবে আরও ৩ জনের হদিশ!

    এসটিএফ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ‘শাহাদাত’ নামে এক নতুন জঙ্গি (Terrorist Arrest) গোষ্ঠী গজিয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও এই জঙ্গি গোষ্ঠী বেশ সক্রিয়। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার-আল-ইসলামের’ সঙ্গেও এই সদ্য গজিয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন ‘শাহাদাতের’ যোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘুর পথে আল-কায়দার সঙ্গে এদের যোগ রয়েছে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। তবে, হাবিবুল্লার সঙ্গে হেরাজের কী সম্পর্ক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, জেরায় হাবিবুল্লা জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডার্ক নেটে জিহাদ নিয়ে পড়াশুনা করে নিজেই অনলাইনে সংগঠন তৈরি করেন। তিনি অন্য কারও কাছ থেকে নির্দেশ পেতেন না বলেই দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। হাবিবুল্লার সঙ্গী হিসাবে আরও ৩ জনের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাদের এখন চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এরপর এদিন হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে পাকড়াও করা হল একজনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Artificial Colour: কাবাব এবং মাছে রঙ মেশানোয় নিষাধাজ্ঞা কর্ণাটক সরকারের

    Artificial Colour: কাবাব এবং মাছে রঙ মেশানোয় নিষাধাজ্ঞা কর্ণাটক সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাবারে কৃত্রিম রং মেশানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করল কর্ণাটক সরকার। কাবাব এবং মাছের বিভিন্ন পদে কৃত্রিম রং (Artificial Colour) মেশানোর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই সরকারের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাতে মেশানো রং খুবই নিম্নমানের বলে পাওয়া যায়।

    কাবাবে রঙ মেশানোয় নিষেধাজ্ঞা

    কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিনেশ গুণ্ডু রাও বলেন, “মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিম্নমানের রঙের জেরে মানব দেহে কী ক্ষতি হয় তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ ফুড সেফটি বিভাগের কমিশনারকে এ বিষয়ে তদন্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।” জানা গিয়েছে কর্নাটকের ফুড সেফটি বিভাগের তরফে ৩৯ টি কাবাবের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং রাজ্যের ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে সব কটি নমুনা খাদ্যের অযোগ্য বলে গণ্য করা হয়। মেশানো (Artificial Colour) রঙ বিশেষ করে সানসেট য়েলো এবং কার্মোইসাইন স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর বলে গণ্য করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

    খাবারে রঙ মেশালে যাবজ্জীবন জেল

    কর্ণাটক সরকারের তরফে জানা হয়েছে নতুন আইনের ফলে কাবাব বা মাছের পদে কৃত্রিম রং (Artificial Colour) মেশানে হলে কমপক্ষে ৭ বছরের জেল, এমনকি সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন জেল হতে পারে। একই সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা সহ সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। জানা গিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আগেও রাজ্যে ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট ছিল। যে নমুনা গুলি সংগ্রহ

    আরও পড়ুন: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    করা হয়েছিল তা ওই অ্যাক্টের আওতায়ও খাদ্যের অযোগ্য বলে গণ্য হয়। ফুড সেফটি অ্যাক্ট-এর আওতায় খাবারের যে কোনও ক্ষতিকারক কৃত্রিম রং মেশানো নিষিদ্ধ ছিল। নতুন নিয়মে কোন রঙ মেশানো যাবে না। তা সত্ত্বেও রাজ্যজুড়ে চলছে খাবারে রং মেশানোর কাজ। মনে করা হয় কাবাব বা অন্য খাবারকে আরও সুন্দর দেখানোর জন্য রং-এর ব্যবহার করা হয়। এর আগে কর্ণাটক সরকার ক্যান্ডি কটন এবং গোভি মাঞ্চুরিয়ানেও রং মেশানো বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India first Solar Festival: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যয় কমাতে এ বছরেই দেশে অনুষ্ঠিত হবে সৌর উৎসব!

    India first Solar Festival: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যয় কমাতে এ বছরেই দেশে অনুষ্ঠিত হবে সৌর উৎসব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ভারতের মাটিতে পালন করা হবে সোলার ফেস্টিভ্যাল (India first Solar Festival)। সোমবার ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স নয়াদিল্লিতে (New Delhi) ঘোষণা করে জানিয়েছে যে, ভারত এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম আন্তর্জাতিক সৌর উৎসবের আয়োজন করতে চলেছে। মূলত সারা পৃথিবী ব্যাপী চাহিদা মেটাতে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সেক্টরকে উন্নত করার লক্ষ্যে নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক এই সৌর উৎসব শুরু হবে।   

    বিভিন্ন রাজ্যে সৌর সিস্টেম ইনস্টলেশনের প্রস্তাবনা (India first Solar Festival)

    ইতিমধ্যেই ভারত সরকার বেশ কয়েকটি রাজ্যে সৌর সিস্টেম ইনস্টলেশনের জন্য বিশাল ভর্তুকিও অফার করছে। জানা গিয়েছে এই সৌর সিস্টেম ইনস্টলেশনের পর প্রতিটি পরিবার তাদের গড় বিদ্যুতের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারবে। দিল্লির (New Delhi) এই সৌর উৎসবে আফ্রিকা মহাদেশ ও পশ্চিমের দেশগুলি সহ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি আর্থিক সহায়তা দেবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির  

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    এ প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের ডিরেক্টর জেনারেল ড: অজয় ​​মাথুর বলেছেন যে, “বিশ্বব্যাপী সবুজ শক্তি সেক্টরের ক্ষমতায়নের সমস্ত সম্ভাবনা অন্বেষণ করার জন্য সমস্ত স্টেকহোল্ডারকে এক প্ল্যাটফর্মে (India first Solar Festival) একত্রিত করার লক্ষ্যে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। কারণ সৌর বিদ্যুৎ হল দ্রুততম উদীয়মান শক্তিগুলির মধ্যে একটি। ফলে আন্তর্জাতিক সৌর উৎসবের এই অনুষ্ঠানে এলে সকলেরই এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার সুযোগ তৈরি হবে।  
    জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর বিরূপ প্রভাব এখন বিশ্বজুড়ে দৃশ্যমান। ফলে ভারতের পাশাপাশি জি২০ (G20)-এর মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলি বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানীর (fossil fuels) উপর নির্ভরতা কমাতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে স্যুইচ করার কথা ভাবছে। 
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share