Tag: Bengali news

Bengali news

  • Shubhanshu Shukla: ভারতে ফিরলেন দেশের ছেলে শুভাংশু শুক্লা, ভাসলেন আবেগের জোয়ারে

    Shubhanshu Shukla: ভারতে ফিরলেন দেশের ছেলে শুভাংশু শুক্লা, ভাসলেন আবেগের জোয়ারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ফিরেছিলেন মার্কিন মুলুকে। তারপর রবিবার ভোরে দিল্লিতে (India) পা রাখলেন ভারতীয় বায়ুসেনার সদস্য, ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ১৮ দিনের মিশন আগেই শেষ করে ফিরেছেন পৃথিবীতে। এদিন বিমানে বসেই ইনস্টাগ্রামে তিনি জানান, আমি ভারতে ফিরে আসছি। শেয়ার করে নেন নানা অনুভূতির কথাও। শুভাংশু লিখেছেন, “ভারতে ফেরার বিমানে বসে আমার মনে এক সঙ্গে অনেকগুলি অনুভূতি কাজ করছে। দুঃখ হচ্ছে সেই অসাধারণ মানুষদের ছেড়ে আসতে, যারা গত এক বছরে এই মিশনে আমার পরিবার ও বন্ধু ছিল। আবার একই সঙ্গে ভীষণ আনন্দ হচ্ছে, কারণ এবার আমি প্রথমবার মিশনের পর দেশে ফিরে আমার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে পারব। মনে হচ্ছে, এটাই আসলে জীবন, সব কিছু এক সঙ্গে পাওয়া।”

    দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছলেন শুভাংশু (Shubhanshu Shukla)

    এদিন ভোরে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছন শুভাংশু। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং ইসরোর আধিকারিকরা। ছিলেন তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্যও। প্রসঙ্গত, গত এক বছরে লখনউয়ের ছেলে শুভাংশু নাসা, অ্যাক্সিওম এবং স্পেশএক্সের বিভিন্ন কেন্দ্র কঠোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। মহাকাশ মিশনে শুভাংশুর সঙ্গে কমান্ডার হিসেবে ছিলেন পেগি হুইটসন। সে প্রসঙ্গে শুভাংশু বলেন, “বিদায় জানানো কখনওই সহজ নয়। কিন্তু জীবন মানেই এগিয়ে চলা। যেমন আমার কমান্ডার পেগি হুইটসন বলেন, স্পেসফ্লাইটে পরিবর্তন একমাত্র অবিচল জিনিস। আমি মনে করি, এটা জীবনের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য।” পোস্টের শেষে শুভাংশু শাহরুখ খানের স্বদেশ ছবির জনপ্রিয় গান থেকে একটি লাইন উল্লেখ করে লিখেছেন, শেষমেশ বলতে হয়, ইউ হি চলা চল রহি, জীবন গাড়ি হ্যায় সময় পাহিয়া।

    গগনযান মিশনের প্রস্তুতি

    সূত্রের খবর, রবিবারই তিনি (Shubhanshu Shukla) দিল্লিতে দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। ভারত বর্তমানে গগনযান মিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০২৭ সালে ইসরো নিজেই মানুষ পাঠাতে চায় মহাকাশে। সেই মিশনের অংশ হিসেবেই অ্যাক্সিওম-৪ মিশনে মহাকাশে গিয়েছিলেন বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু। সোশ্যাল মিডিয়ায় করা এক পোস্টে জিতেন্দ্র সিং লিখেছেন, “ভারতের মহাকাশ গৌরব দেশের মাটি স্পর্শ করল। শুভাংশু শুক্লা আজ সকালে দিল্লিতে অবতরণ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সমানভাবে পারদর্শী গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালকৃষ্ণন নায়ার, ভারতের (India) প্রথম মানব মিশন গগনযানের জন্য নির্বাচিত মহাকাশচারীদের মধ্যে একজন, যিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন মিশনের জন্য ভারতের মনোনীত ব্যাকআপ ছিলেন (Shubhanshu Shukla)।

  • Chhattisgarh: এবারই প্রথম স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে মাতলেন ছত্তিশগড়বাসীর একাংশ

    Chhattisgarh: এবারই প্রথম স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে মাতলেন ছত্তিশগড়বাসীর একাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস (Tricolour) পালন করল দেশ। আর এবারই প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) ২৯টি নকশাল কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন এই সব এলাকার বাসিন্দারাও। কিন্তু মাওবাদীদের (স্থানীয় ভাষায় বনপার্টি) রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জাতীয় পতাকা তোলার সাহস তাঁদের ছিল না। তাই গত ৭৮ বছর এই জঙ্গলরাজ্যে তিরঙ্গা ঝাণ্ডা ওড়েনি। মোদি-শাহের জমানায় বদলেছে জঙ্গলমহলের ছবিটা। তার জেরেই এবার প্রথম ‘স্বাধীনতা’র মুখ দেখলেন এই সব এলাকার বাসিন্দারা।

    মাওবাদীদের দাপট (Chhattisgarh)

    বস্তার ডিভিশন, যার মধ্যে রয়েছে ৭টি জেলা, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দাপিয়ে বেড়াত বনপার্টি। স্থানীয়দের তারা বোঝাতে ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়’। কোনও কোনও এলাকায় তো আবার এদিন উত্তোলন করা হয় কালো পতাকা। তৃতীয়বার দেশের কুর্সিতে বসেই প্রথমে নকশাল দমনে জোর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশকে মাওবাদীমুক্ত করতে বেঁধে দেন ডেডলাইন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ। তার পরেই কোমর বেঁধে মাও দমনে নেমে পড়েন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। ফল মেলে হাতে হাতে। একদিকে যেমন এনকাউন্টারে খতম হয় মাওবাদীদের বড় বড় চাঁইরা, তেমনি অন্য দিকে, রাজ্যের বিজেপি সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফেরেন বহু মাওবাদী। জঙ্গলের ওই সব অঞ্চলে বইয়ে দেওয়া হয় উন্নয়নের জোয়ার। এই ত্র্যহস্পর্শে খেলা ঘুরে যায়। মাও-মুক্ত হয় ছত্তিশগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার পর এটাই ছিল এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে প্রথম স্বাধীনতা দিবস। তাই দিনটিকে যথেষ্ঠ মর্যাদার সঙ্গে পালন করলেন ওই গ্রামগুলির কয়েক হাজার বাসিন্দা। তবে সরল গ্রামবাসীদের এমনতর ‘পরবে’ যাতে মাওবাদীরা ‘কাল’ হয়ে না দাঁড়ায়, তাই বিভিন্ন জেলায় ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।গ্রামগুলির প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ব্যবস্থা করা হয়েছিল পুলিশ ক্যাম্প, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, বস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের।

    স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এদিন স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহের অন্ত ছিল না (Chhattisgarh)। নারায়ণপুর জেলায় হোরাড়ি, গারপা, কচ্ছপাল, কোডলিয়ার, কুতুল, বড়েমাকোটি, পদ্মাকোট, কান্দুলনার, নেলাঙ্গুর, পানগুর ও রায়নারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সুকমা জেলায় রায়গুডেম, তুমালপাদ, গোলাকুন্ডা, গোমগুডা, মেট্টাগুডা, উস্কাভায়া ও মূলকাথং গ্রামে প্রথমবারের মতো তিরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করা হয়। অন্যদিকে বিজাপুর জেলায় কন্ডাপল্লি, জিডাপল্লি, ভাটেবাগু, কার্রেগুটা, পিডিয়া, গুঞ্জেপার্তি, পূজারি, কানকার, ভীমারাম, কোরচোলি ও কোটপল্লি গ্রামেও স্বাধীনতা দিবসের আনন্দঘন উৎসবে সবাই অংশ নেন (Tricolour)।

    পুলিশের বক্তব্য

    সুকমার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট কিরণ চৌহান জানান, প্রান্তিক এলাকাগুলিতে ধারাবাহিকভাবে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে এবং নেল্লানার প্রকল্পের অধীনে রাস্তা, বিদ্যুৎ এবং মোবাইল টাওয়ারের মতো মৌলিক পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য বিজাপুর, সুকমা, কাঁকড়, দান্তেওয়াড়া ও নারায়ণপুরের মতো জেলাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা, যাতে নাগরিকদের সঙ্গে সরকারের কল্যাণমূলক সেবার সংযোগ বাড়ে এবং এর মাধ্যমে মাওবাদীদের প্রভাব দুর্বল হয় (Chhattisgarh)। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত শুধু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতীকী বিজয়ই নয়, বরং ভারতের অন্যতম হিংসাপীড়িত অঞ্চলে সমন্বয়, উন্নয়ন ও স্থায়ী শান্তির নতুন আশারও প্রতীক।

    গ্রামে এল বিজলি, আত্মহারা শিশু থেকে বৃদ্ধ

    এদিকে, চলতি বছরের মে মাসে ছত্তিশগড়ের মোহলা-মানপুর-আম্বাগড় চৌকি জেলায় প্রায় ৫৪০ পরিবার প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ গ্রিডের সংযোগ পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মজরাটোলা বিদ্যুতায়ন যোজনার অধীনে, যার জন্য ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি টাকা। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুর্গম ভূখণ্ড ও নকশালদের ক্রমাগত হুমকির কারণে এই কাজটি ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, ফলে বিদ্যুৎ গ্রিডের সংযোগ পাওয়া ছিল একপ্রকার মিশন সম্পন্ন করার মতোই (Chhattisgarh)। আগে গ্রামবাসীরা সৌরশক্তির ওপর নির্ভর করতেন বাল্ব জ্বালানোর জন্য। কিন্তু বারবার প্যানেল চুরি এবং দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণের (Tricolour) কারণে শিশুদের কেরোসিনের আলোয় পড়াশোনা করতে হত। এখন কাটুলঝোরা, কাট্টাপার, বোদ্রা, বুকমার্কা, সাম্বলপুর, গাট্টেগাহান, পুগদা, আমাকোদো, পেটেমেতা, টাটেকাসা, কুন্দালকাল, রাইমানহোরা, নাইনগুদা, মেতাতোদকে, কোকাটোলা, এদাসমেতা এবং কুঞ্জাকানহারে আনন্দের বন্যা বইছে, কারণ তাদের ঘরে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ পৌঁছেছে স্বাধীনতা দিবসের দিন। এক আধিকারিক বলেন, “কিছু গ্রামে শিশুরা নাচছিল, আবার অন্য কিছু গ্রামে প্রবীণরা আনন্দে পটকা ফাটাচ্ছিলেন—এটি ছিল সেই মুহূর্ত, যার জন্য তাঁরা দশকের পর দশক ধরে অপেক্ষা করেছিলেন (Chhattisgarh)।”

  • Ramakrishna 443: পণ্ডিতদের ও সাধুদের শিক্ষা ভিন্ন

    Ramakrishna 443: পণ্ডিতদের ও সাধুদের শিক্ষা ভিন্ন

    শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের বৈঠকখানায় কয়েকজন অন্তরঙ্গ ভক্তের সঙ্গে বসিয়া আছেন। মাস্টারমশাই উপস্থিত। কথোপকথন চলছে। ভক্তির কথা ঘিরে। এই দিনটি—সোমবার, ১৮৮৫ সালের ৬ এপ্রিল, বাংলা ১২৯১ সালের চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি। ঠাকুর তখন কলকাতার ভক্তমন্দিরে এসেছেন। সেখান থেকে পরে যাবেন ফণি গোস্বামীর গলির দেবেন্দ্রর বাড়িতে।

    সত্য কথা — শ্রী রামকৃষ্ণ (ছোট নরেন, বাবুরাম, পূর্ণ)

    ঠাকুর ঈশ্বরপ্রেমে দিবানিশি মাতোয়ারা হয়ে থাকেন। অনুক্ষণ ভাবাবিষ্ট, বহির্জগতের প্রতি তাঁর মনে আদৌ কোনও আকর্ষণ নেই। কেবল অন্তরঙ্গজনদের কথা ভাবেন। যতদিন না তাঁরা তাঁকে পুরোপুরি বুঝতে পারেন, ততদিন তাঁদের জন্য তিনি ব্যাকুল থাকেন। যেমন বাবা-মা অক্ষম সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে ভাবেন—‘কী করে এরা মানুষ হবে?’ অথবা যেমন পাখি ব্যাকুল হয় তার শাবকদের লালন-পালনের জন্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ মাস্টারমশায়কে উদ্দেশ করে বললেন, “তিনটের সময় যাব, তাই আসছি, কিন্তু ভারী ধূপ।”

    মাস্টারমশায় বিনয়ভরে বলেন, “আজ্ঞে, হ্যাঁ, আপনার তো অনেক কষ্ট হয়েছে।”

    ভক্তেরা ঠাকুরকে হাওয়া করিতেছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: ছোটন নরেন আর বাবুরামের জন্য এলাম। পূর্ণকে কেন আনলে না?

    মাস্টার: সভায় আসতে চায় না। তার ভয় হয়—আপনি পাঁচজনের সাক্ষাতে সুখ্যাতি করেন, পাশে বাড়িতে জানতে পারে।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: পণ্ডিতদের ও সাধুদের শিক্ষা ভিন্ন—সাধুসঙ্গ।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: হ্যাঁ, তা বটে। যদি বলে ফেলি, তো আর বলব না। আচ্ছা, পূর্ণকে তুমি ধর্মশিক্ষা দিচ্ছ? এ তো বেশ।

    মাস্টার: তাছাড়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বইতে, সিলেকশন-এ ওই কথাই আছে—“ঈশ্বরকে দেহ, মন, প্রাণ দিয়ে ভালবাসবে।” একথা শেখালে কর্তারা যদি রাগ করেন, তো কী করা যায়?

  • Historic Tiranga Yatra: চিন সীমান্তে ঐতিহাসিক তিরঙ্গা যাত্রা, বার্তা বেজিংকে!

    Historic Tiranga Yatra: চিন সীমান্তে ঐতিহাসিক তিরঙ্গা যাত্রা, বার্তা বেজিংকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার চেতনা উড়ছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আকাশে। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল তিরঙ্গা র‍্যালি (Historic Tiranga Yatra)। ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় দেশপ্রেম ও দলগত কাজের এক অনন্য মিলন ঘটল, যখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর গজরাজ কোর ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস (China Border) উপলক্ষে চুনার অগ্রবর্তী এলাকায় তিরঙ্গা মার্চের নেতৃত্ব দিল।

    ১০০ মিটার দীর্ঘ জাতীয় পতাকা (Historic Tiranga Yatra)

    এক অভিনব উদ্যোগে ১৬০ জন গোর্খা সেনা ও সংযুক্ত সেনা এবং ২৫ জন আইটিবিপি কর্মী ১০০ মিটার দীর্ঘ জাতীয় পতাকা বয়ে নিয়ে গেলেন সজীব হিমালয়ান তৃণভূমির মধ্য দিয়ে। তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটলেন প্রায় ১৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দা, এর মধ্যে ছিল ছোট্ট শিশু এবং নবজাতকরাও। ওয়াং জেলার মাগো ও চুনার গ্রিনফিল্ড গ্রাম থেকে শুরু হয় র‍্যালি, যা পুরো প্রাকৃতিক দৃশ্যপটকে রাঙিয়ে তুলল গেরুয়া, সাদা ও সবুজের উজ্জ্বল সমুদ্রে। সহকারী কমিশনার থুতান ওয়াংচুর নেতৃত্বে সিভিল প্রশাসন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয় ও উদ্যোগে স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে হল এই অনুষ্ঠান। সারনাথ, বারাণসী (উত্তরপ্রদেশ) থেকে সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব হায়ার তিব্বতিয়ান স্টাডিজের ২৩ জন শিক্ষার্থী এবং এক শিক্ষকও তাঁদের দেশপ্রেমের শেকড়ের সন্ধানে এই শোভাযাত্রায় যোগ দেন। গত মার্চের পর এদিন সব সংস্থা একত্রিত হল অগাধ দেশপ্রেম ও গভীর কর্তব্যবোধ নিয়ে। শামিল হলেন ‘নো প্লাস্টিক জোন’ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। তাঁরা বর্জ্য অপসারণ করে ও ভঙ্গুর হিমালয় পরিবেশ রক্ষার প্রচারাভিযানকে আরও শক্তিশালী করলেন।

    সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গে উড়ল ত্রিবর্ণ পতাকা

    ত্রিবর্ণ পতাকার দিগন্তজোড়া বিস্তার সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গে পৌঁছে এক শক্তিশালী ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠল। সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত সৈনিকেরা “জমির জন্য বেঁচে থাকা”র চেতনা ধারণ করে কাজ করছে। গ্রামবাসীরা ঐতিহ্য রক্ষা করছে। আর প্রশাসকেরা টেকসই উন্নয়নের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। এই পদযাত্রা সবার জন্য একটি শিক্ষা নিয়ে এল যে, প্রত্যেকে একজন মূল্যবান নাগরিক হতে পারে, এবং “আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের” মর্মার্থ তুলে ধরল, জাতির ভবিষ্যৎ সবার কাঁধে নির্ভরশীল (Historic Tiranga Yatra)।

    মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু এই প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করে বলেন, শিখরে ভারতের প্রকৃত চেতনা। কারণ ত্রিবর্ণ পতাকা দূরবর্তী সীমান্ত অঞ্চলকে জাতীয় গৌরব ও পরিবেশ রক্ষার এক উজ্জ্বল দৃশ্যে রূপান্তরিত করেছে (China Border)। মাগো ও চুনা গ্রামের প্রতিটি ঘরেই গর্বের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এই সমষ্টিগত দেশপ্রেম ছিল এক শক্তিশালী স্মারক, আমাদের স্বাধীনতা এক যৌথ দায়িত্ব এবং একসঙ্গে উদযাপনের এক মহৎ কারণ (Historic Tiranga Yatra)।

  • Ramakrishna 442: ঠাকুর ঈশ্বরপ্রেমে দিবানিশি মাতোয়ারা হয়ে থাকেন

    Ramakrishna 442: ঠাকুর ঈশ্বরপ্রেমে দিবানিশি মাতোয়ারা হয়ে থাকেন

    তাই বুঝি ঠাকুর বলেছিলেন— “মান কয়েলই তো কয়েলি, আমরাও তোর মানে আছি।” আত্মীয় হতে যিনি পরম আত্মীয়, তাঁর উপর অভিমান না করলে আর কাদের উপর করবেন?

    ধন্য নরেন্দ্রনাথ! তোমার উপর এই পুরুষোত্তমের (ঠাকুরের) এত ভালোবাসা! তোমাকে দেখেই এত সহজে ঈশ্বরচিন্তার উদ্দীপনা জাগে।

    এইরূপ ভাবনাচিন্তা করতে করতে গভীর রাত্রে, শ্রীরামকৃষ্ণকে স্মরণ করতে করতে ভক্তেরা গৃহে প্রত্যাবর্তন করছিলেন।

    ১৮৮৫ সালের ৬ এপ্রিল। স্থান: বলরাম মন্দির। সময়: দুপুর তিনটে। চৈত্র মাসের তীব্র রৌদ্র।

    শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের বৈঠকখানায় কয়েকজন অন্তরঙ্গ ভক্তের সঙ্গে বসিয়া আছেন। মাস্টারমশাই উপস্থিত। কথোপকথন চলছে। ভক্তির কথা ঘিরে। এই দিনটি—সোমবার, ১৮৮৫ সালের ৬ এপ্রিল, বাংলা ১২৯১ সালের চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি। ঠাকুর তখন কলকাতার ভক্তমন্দিরে এসেছেন। সেখান থেকে পরে যাবেন ফণি গোস্বামীর গলির দেবেন্দ্রর বাড়িতে।

    সত্য কথা — শ্রী রামকৃষ্ণ (ছোট নরেন, বাবুরাম, পূর্ণ)

    ঠাকুর ঈশ্বরপ্রেমে দিবানিশি মাতোয়ারা হয়ে থাকেন। অনুক্ষণ ভাবাবিষ্ট, বহির্জগতের প্রতি তাঁর মনে আদৌ কোনও আকর্ষণ নেই। কেবল অন্তরঙ্গজনদের কথা ভাবেন। যতদিন না তাঁরা তাঁকে পুরোপুরি বুঝতে পারেন, ততদিন তাঁদের জন্য তিনি ব্যাকুল থাকেন। যেমন বাবা-মা অক্ষম সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে ভাবেন—‘কী করে এরা মানুষ হবে?’ অথবা যেমন পাখি ব্যাকুল হয় তার শাবকদের লালন-পালনের জন্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ মাস্টারমশায়কে উদ্দেশ করে বললেন, “তিনটের সময় যাব, তাই আসছি, কিন্তু ভারী ধূপ।”

    মাস্টারমশায় বিনয়ভরে বলেন, “আজ্ঞে, হ্যাঁ, আপনার তো অনেক কষ্ট হয়েছে।”

  • Sri Aurobindo: শ্রী অরবিন্দ প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ

    Sri Aurobindo: শ্রী অরবিন্দ প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী অরবিন্দ ঘোষ (Sri Aurobindo) কেবল কবি, দার্শনিক এবং যোগীর গুণাবলীই ধারণ করেননি, বরং তিনি প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ। তিনি ছিলেন ভারতের (Bharat) পূর্ণ স্বরাজ দাবি করা প্রথম দিকের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অন্যতম। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী সংগ্রামের নেতৃত্বও দেন। যদিও তিনি ইংরেজি বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেছিলেন, তবুও সেই শিক্ষাকে মানবকল্যাণে এবং ভারতের জনগণকে বোঝাতে ব্যবহার করেন যে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হল বিপ্লব। তবে তাঁর বিপ্লবের ধারণা ছিল ‘দিব্যত্ব’ ও মাতৃভূমির ঐক্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে।

    ‘সমন্বিত যোগে’র পথপ্রদর্শক (Sri Aurobindo)

    আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন ‘সমন্বিত যোগে’র পথপ্রদর্শক এবং এই নীতির এক সমসাময়িক ব্যাখ্যাতা, যা মানব চেতনাকে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিরাকার আলোর সঙ্গে সাকার আলোর সংযুক্তি ঘটায়। অরবিন্দ যোগাভ্যাসকে অভ্যন্তরীণ জাগরণ ও সচেতন মনের বিকাশের সর্বোত্তম উপায় হিসেবে গুরুত্ব দেন। মহান এই দেশপ্রেমিকের ভাবনা একই সঙ্গে অতীতের এক জীবন্ত দলিল ও সংরক্ষিত নথি, যা ভারতের বর্তমান অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত দ্বিধাবিভক্ত পরিস্থিতিতে অনুপ্রেরণাদায়ক দিকনির্দেশনা দেয়। সর্বোপরি, তাঁর ভারত-ভাবনা ছিল সভ্যতাকে একতার রূপে দেখা, যা সংস্কৃতির দ্বারা পুষ্ট এবং গভীরতর চেতনার দ্বারা প্রণোদিত। তিনি ভারতের উপলব্ধি ও দেশের মানুষের ঐক্যের পথে একাধিক ধারণা দিয়েছেন। কারাবাস পর্বে যখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তাঁকে নির্মমভাবে শোষণ করেছিল, তখন তিনি যোগ, ভগবদ্গীতা পাঠ এবং মন ও আত্মার জাগরণকে দিব্যত্ব লাভের একমাত্র (Bharat) পথ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন (Sri Aurobindo)।

    ভারতীয় ঐক্যের কথা

    অরবিন্দ যখন ভারতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলেন, তখন তিনি কখনওই জোরজবরদস্তি বা অভিন্নতার মাধ্যমে ঐক্য বোঝাননি, বরং বৈচিত্র্যের অন্তরে নিহিত আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতি জাগরণের কথা বলেছেন। ভারতীয় প্রতিভা সবসময়ই অগণিত বৈচিত্র্যকে কঠোর অভিন্নতা বা যান্ত্রিক কেন্দ্রীকরণ ছাড়াই এক জীবন্ত সত্তায় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। দ্য আইডিয়াল অফ হিউম্যান ইউনিটি গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ভারত একটি জৈবিক ঐক্য, যা সহস্রাব্দ ধরে অভিন্ন আধ্যাত্মিক আদর্শ, দার্শনিক অনুসন্ধান এবং সাংস্কৃতিক স্মৃতির দ্বারা লালিত হয়েছে—ইতিহাসের দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া কৃত্রিম কোনও কাঠামো নয় (Sri Aurobindo)। একজন জাতীয় নেতার কাজ এবং একটি জাতির ভূমিকা হল জাতির সমষ্টিগত চেতনাকে তার প্রকৃত সত্তার প্রতি জাগ্রত করা, কেবল প্রশাসনিক সংহতি প্রতিষ্ঠা করা নয়।

    অরবিন্দের দর্শন

    অরবিন্দের দর্শন স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দেয় যে, ঐক্য কেবলমাত্র ভৌতিক বন্ধনে রক্ষা করা যায় না, বরং তা হতে হবে একটি গভীর ভিত্তির ওপর, যা অভিন্ন সাংস্কৃতিক চেতনায় স্থাপিত। এটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক আমাদের সময়ে, যখন মতাদর্শগত ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন জাতির ঐক্যের বুনোটকে হুমকির মুখে ফেলছে। অরবিন্দর মতে, একজন জাতীয় নেতার কাজ হল জনগণের অন্তর্লোককে জাগিয়ে তোলা। এই জাগরণ আসবে মানবতার মূল ভিত্তিকে পুনরায় গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে, যার মূল রয়েছে বিশ্বাসে এবং প্রতিকূল সময়েও ঐক্যবদ্ধভাবেই থাকবে (Bharat)। অরবিন্দর মতে, একটি জাতির সংস্কৃতি হল তার সাহিত্য, শিল্প, নীতি ও চিন্তায় গভীর আত্মপ্রকাশ। ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর প্রভাবশালী প্রবন্ধসমূহে তিনি যুক্তি দেন যে ভারতের আসল শক্তি তার সেই ক্ষমতায়, যেখানে সে নতুন প্রভাবকে গ্রহণ করতে পারে নিজের মৌলিক পরিচয় হারানো ছাড়াই। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েও ভারত টিকে থাকতে ও নিজেকে পুনর্জীবিত করতে পেরেছে এই গতিশীলতার কারণে, কঠোর নিয়মানুবর্তিতার কারণে নয় (Sri Aurobindo)।

    মনের কল্পনার ফসল

    তাঁর ভবানু মন্দির বইটি দিনের আলো দেখেছিল ১৯০৫ সালে। তাতে তিনি লিখেছিলেন, “একটি জাতি কেবল একটি ভূখণ্ড নয়, নয় কেবল একটি বাক্যের অলঙ্কার, নয় মনের কল্পনার ফসল। এটি এক মহাশক্তি, যা গঠিত হয় সেই কোটি কোটি মানুষের শক্তি দিয়ে, যারা মিলে জাতিকে নির্মাণ করে।” তিনি বলেন, এই শক্তি টিকে থাকে সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের দ্বারা। যখন সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ ও সংরক্ষণ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা শীর্ষে, তখন অরবিন্দের কৌশল একটি ভারসাম্য রক্ষা করে। তাঁর বক্তব্য, সভ্যতার ঐতিহ্যকে মর্যাদা দাও, কিন্তু তাকে এমনভাবে বিকশিত ও পরিবর্তিত হতে দাও যাতে আধুনিক বিশ্বের চাহিদা পূরণ করে, ফলে এটি একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে থাকে, জাদুঘরের নিদর্শন না হয়ে যায় (Sri Aurobindo)।

    যখন আমরা বলি সংস্কৃতি একটি জীবন্ত সত্তা, তখন তার মানে হল আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক নিয়ম, বিধি ও প্রথাগুলি পালন করি এবং এমন নতুন পথ খুঁজি যা সমগ্র সভ্যতার ঐক্যের পথে দিশা দেখাতে পারে। সভ্যতা একদিনে তৈরি হয় না। যখন আমরা হিন্দু সভ্যতার কথা বলি, তখন আমরা সেই সভ্যতার কথা বলি যা বেদ (Bharat) ও উপনিষদের আদর্শ ও নীতির উপর নির্মিত, নীতি শাস্ত্র এবং আমাদের পুরাণকথার ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা এই সামষ্টিক চেতনার ভিত্তি (Sri Aurobindo)।

  • Pakistan: “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না”, লালকেল্লা থেকেই পাকিস্তানকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Pakistan: “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না”, লালকেল্লা থেকেই পাকিস্তানকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে (Pakistan) সতর্ক করে বলেন যে ভারত আর পারমাণবিক হুমকির কাছে নতি স্বীকার করবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না। ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আর কোনওভাবেই পরমাণু হুমকি সহ্য করবে না। আমরা কোনও ধরনের ব্ল্যাকমেলের ফাঁদে পা দেব না।” শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তানকে সতর্ক করে তিনি জানান, ভারত এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রক্ত ও জল একই সঙ্গে প্রবাহিত হবে না।

    রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হবে না (Pakistan)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হবে না। মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে সিন্ধু জল চুক্তি অন্যায্য। সিন্ধু নদী ব্যবস্থা থেকে প্রবাহিত জল শত্রুর জমি সেচের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, অথচ আমাদের দেশের কৃষকরা ভুগছেন। কেমন ধরনের চুক্তি এটি, যা গত সাত দশক ধরে আমাদের কৃষকদের এত বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে?” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারতকে হুমকি দিয়েছিলেন। এদিন লালকেল্লার অনুষ্ঠান থেকে তাকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে ব্ল্যাক চেক!

    শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বলেন, “দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রাপ্য এক ফোঁটা জলও ভারতকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না।” প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার একদিন পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি (IWT) স্থগিত রাখাও অন্তর্ভুক্ত। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভারত জঙ্গি ও যারা তাদের সমর্থন করে, তাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করবে না এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে ভবিষ্যতে কোনও ধরনের দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ড ঘটলে তার শাস্তি কী হবে, তা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীই ঠিক করবে (Pakistan)।”

  • Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে উচ্চমানের ও সাশ্রয়ী পণ্যের ওপর জোর দিতে হবে “দাম কম, দম (গুণমান) বেশি” মন্ত্র অনুসরণ করে, যাতে একটি সমৃদ্ধশালী,  স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তোলা যায়, যা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে সম্মান জানায়।”  শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির লালকেল্লায় ভাষণ দিতে (Tariff War) গিয়ে কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুধু তাই নয়, দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “অন্যদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করতে পারে”। ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক নিয়ে দড়ি টানাটানির আবহে তিনি বলেন, “যারা অন্যের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করে, তারা নিজের স্বাধীনতার ওপর বড় প্রশ্নচিহ্ন ডেকে আনে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Tariff War)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসল দুর্ভাগ্য শুরু হয় তখন, যখন নির্ভরতা অভ্যাসে পরিণত হয়। আর বুঝতেই না পেরে আমরা আত্মনির্ভর হওয়া বন্ধ করে দিই এবং অন্য কারও ওপর নির্ভর করতে শুরু করি। এই অভ্যাস ঝুঁকিমুক্ত নয়, তাই আত্মনির্ভর থাকতে হলে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভরতা কেবলমাত্র আমদানি, রফতানি বা মুদ্রা বিনিময়ের সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের সক্ষমতার সঙ্গেও যুক্ত। যখন আত্মনির্ভরতা ক্ষয় হতে শুরু করে, তখন আমাদের শক্তিও ক্ষয় হয়। আমাদের সক্ষমতা রক্ষা, বজায় রাখা এবং উন্নত করার জন্য আত্মনির্ভরতা অপরিহার্য।”

    বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতীয়দের করণীয়

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার এই (Tariff War) সময়ে (PM Modi), বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতকে অন্যদের সীমিত করার বদলে নিজেকে শক্তিশালী করায় মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের উচিত নয় অন্য কারও লাইন ছোট করার চেষ্টা করে নিজের শক্তি নষ্ট করা। বরং আমাদের নিজের লাইনকে সর্বশক্তি দিয়ে দীর্ঘায়িত করতে হবে। বিশ্ব আমাদের শক্তিকেই সম্মান দেবে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে, যেখানে অর্থনৈতিক স্বার্থপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে, সেখানে প্রয়োজন কাঁদতে বসে থাকা নয়, বরং সাহসের সঙ্গে নিজের লাইন দীর্ঘ করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমাদের কাজ করা উচিত এই মন্ত্র (PM Modi) নিয়ে—‘দাম কম, দম বেশি’, অর্থাৎ খরচ কম, গুণমান বেশি। মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাধীনতা এসেছে অসীম ত্যাগের মাধ্যমে (Tariff War)।”

  • PM Modi: “সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে”, লালকেল্লা থেকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে”, লালকেল্লা থেকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ আমি জাতিকে একটি উদ্বেগ, একটি চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করতে চাই। একটি সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে, এবং একটি নতুন সংকটের বীজ বপন করা হচ্ছে।” শুক্রবার দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশের কিছু অঞ্চলে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনসংখ্যা মিশনের সূচনা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই অনুপ্রবেশকারীরা আমার দেশের যুবকদের জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে (Indias Demography)। এই অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের বোন ও কন্যাদের লক্ষ্য করছে – এটি বরদাস্ত করা হবে না। এই অনুপ্রবেশকারীরা নিরীহ আদিবাসী মানুষদের ভুল পথে চালিত করছে এবং তাদের জমি দখল করছে – জাতি এটি মেনে নেবে না।’’

    সামাজিক উত্তেজনার বীজ (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই কারণেই প্রিয় দেশবাসী যখন জনসংখ্যাগত পরিবর্তন ঘটে বিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলে, তখন তা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এটি দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং অগ্রগতির জন্য বিপদ ডেকে আনে এবং সামাজিক উত্তেজনার বীজ বপন করে। তিনি বলেন, কোনও দেশ নিজেকে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেয় না। পৃথিবীর কোনও দেশ এটি করে না। তাহলে আমরা কেন ভারতের ক্ষেত্রে এটি মেনে নেব?’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের পূর্বপুরুষরা ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন এবং আমাদের একটি স্বাধীন ভারত দিয়েছিলেন। সেই মহান মানুষদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব হল দেশের ভেতরে এমন কার্যকলাপ মেনে না নেওয়া। এটাই হবে তাঁদের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাঞ্জলি।’’

    প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা

    তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘লালকেল্লার প্রাচীর থেকে আমি ঘোষণা করতে চাই যে আমরা একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনসংখ্যা মিশন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই মিশনের মাধ্যমে যে ভয়াবহ সংকট আমরা ভারতের ওপর ঘনিয়ে আসতে দেখছি (Indias Demography), সেটির মোকাবিলা পরিকল্পিত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞভাবে, একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে করা হবে। আমরা সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি (PM Modi)।’’

  • PM Modi: “সরলীকৃত জিএসটি ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য উপহার হতে চলেছে,” লালকেল্লা থেকে বললেন মোদি

    PM Modi: “সরলীকৃত জিএসটি ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য উপহার হতে চলেছে,” লালকেল্লা থেকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সরলীকৃত জিএসটি (GST) ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য এক উপহার হতে চলেছে।” এর ফলে দেশব্যাপী করের বোঝা কমবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জিএসটি পরিকাঠামোয় বদল (PM Modi)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন ১১বার। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখান থেকে ভাষণ দিলেন ১২বার। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে বক্তৃতা দিয়েছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এটাই তাঁর দীর্ঘতম ভাষণ। গত বছর ৯৮ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। এবছর ১০৫ মিনিট ধরে একাধিক ইস্যুতে বক্তব্য রেখেছেন মোদি। সেখানেই তিনি জানান, জিএসটি ব্যবস্থায় সরলীকরণ আনার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। জিএসটি পরিকাঠামোয় যে বদল আসতে পারে, সেই আভাস মিলেছিল গত জুলাইয়েই। এ বার লালকেল্লা থেকে প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টার ভাষণে মোদি ঘোষণা করলেন, দীপাবলিতে জিএসটি পরিকাঠামোয় বদল আসছে। তিনি বলেন, “এ বারের দীপাবলি আমি আপনাদের জন্য দ্বিগুণ আনন্দের করে দিচ্ছি। এই দীপাবলিতে দেশবাসী একটি বড় উপহার পাবেন। আমরা নয়া প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার আনছি। এর ফলে সারা দেশে করের বোঝা কমবে। দীপাবলির আগে এটিই হবে উপহার।” তিনি জানান, এই সংস্কারগুলির উদ্দেশ্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের বোঝা কমানো, যাতে নাগরিকদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আরও সাশ্রয়ী হয়।

    “ডাবল দীপাবলি” উপহার

    একই সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রের জন্যও উল্লেখযোগ্য সুবিধা দেওয়া যায়। জিএসটি কার্যকর হওয়ার আট বছরের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এই পরিবর্তনগুলিকে জাতির জন্য “ডাবল দীপাবলি” উপহার হিসেবে বর্ণনা করেন। এক্স হ্যান্ডেলে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এটি একদিকে ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি, অন্যদিকে ব্যবসার জন্য প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত করে (PM Modi)।  কর সংস্কারের (GST) পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ‘বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা’ নামে যুবশক্তির ক্ষমতায়নে একটি জাতীয় কর্মসংস্থান কর্মসূচি চালু করেন। ১ লাখ কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়ে এই কর্মসূচি যোগ্য তরুণ উপকারভোগীদের প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দান করবে।

    এর উদ্দেশ্য হল, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সুযোগের বিস্তার এবং দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মশক্তির জন্য দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করা। এই ঘোষণাগুলি সরকারের দ্বিমুখী মনোযোগ – অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা স্পষ্ট করে। প্রধানমন্ত্রী জানান, কর ছাড়ের সঙ্গে সরাসরি কর্মসংস্থান সহায়তা যুক্ত করে, এই উদ্যোগগুলোকে একটি সমৃদ্ধ এবং আত্মনির্ভর (GST) ভারতের পথে পরিপূরক পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে (PM Modi)।

LinkedIn
Share