Tag: Bengali news

Bengali news

  • Post Poll Violence: কোচবিহারে মহিলা বিজেপি কর্মীকে ২০ জন তৃণমূল দুষ্কৃতীর ধর্ষণ! বিস্ফোরক বিপ্লব দেব

    Post Poll Violence: কোচবিহারে মহিলা বিজেপি কর্মীকে ২০ জন তৃণমূল দুষ্কৃতীর ধর্ষণ! বিস্ফোরক বিপ্লব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসার চিত্র খতিয়ে দেখতে এসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। বিজেপির দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার পর উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপির কর্মীরা। এই টিমের সদস্য ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেছেন “কোচবিহারে এক বিজেপি মহিলাকে ২০ জন তৃণমূল দুষ্কৃতী ধর্ষণ করেছে।” তাঁর মন্তব্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    ঠিক কী বলেন বিপ্লব দেব (Post Poll Violence)?

    সোমবার কোচবিহারে তৃণমূলের হিংসা (Post Poll Violence) কবলিত এলাকায় মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। সেখানে গিয়ে শোনা যায়, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট এবং ঘরছাড়া করেছে কীভাবে? ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর তৃণমূলের অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে বিপ্লব দেব বলেন, “বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে ২০ জন তৃণমূলের দুষ্কৃতী মিলে ধর্ষণ করেছে। নির্যাতিতা মহিলা, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ নিচ্ছে না। নির্যাতিতাকে সুবিচার না দেওয়ায় ঈশ্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন ঘটাবেন। গোপন জবানবন্দি নেওয়ার ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন। পুলিশের উচিত ছিল স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে প্রতিবাদ করার কি লোক নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লজ্জা করা উচিত। বাংলার মাটিকে এই ভাবেই তিনি কলঙ্কিত করেছেন।”

    আরও পড়ুনঃতৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারে জনশূন্য গ্রাম! তোপ রবিশঙ্করের

    আর কী বলেন?

    হিংসা (Post Poll Violence) কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিপ্লব দেব আরও বলেন, “রাজ্যের নির্লজ্জতার একটা সীমা থাকা উচিত। মমতা সবকিছুকে অতিক্রম করে গিয়েছেন। ক্ষমতায় অন্ধ হয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ক্রমস পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। যখন পতন হবে, তখন মনে হবে সময় থাকতে কেন ব্যবস্থা নিলাম না। সিপিএমের যে ভাবে পতন ঘটেছে, তাঁরও ঠিক একইভাবে পতন হবে। তৃণমূলের হাল সিপিএমের থাকে খারাপ হবে। আমরা দিল্লিতে সব জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার পদে কারা, বৈঠকে বসছেন বিজেপি নেতৃত্ব

    BJP: স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার পদে কারা, বৈঠকে বসছেন বিজেপি নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গল-সন্ধ্যায় বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বৈঠক হবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাসভবনে। লোকসভায় স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার কারা হবেন, তা ঠিক করতেই বৈঠকে বসছেন পদ্ম নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন এনডিএর কয়েকটি শরিক দলের নেতারা। সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে ২৩ জুন। তার দুদিন পরে ২৬ তারিখে হবে স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন।

    স্পিকার নির্বাচন (BJP)

    লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কোনও সাংসদকেই স্পিকার পদে মনোনীত করা হয় (BJP)। প্রথা মেনে ডেপুটি স্পিকারের পদটি দেওয়া হয় বিরোধীদের। গত লোকসভার অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার পদে কাউকে বসানো হয়নি। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “সরকার যদি ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদের না দেয়, তাহলে আমরা লোকসভার স্পিকার পদে প্রার্থী দেব।” প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহে স্পিকার নির্বাচনে বিরোধীরা যদি সরকার পক্ষকে বাধ্য করেন, তাহলে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম হবে। কারণ এতদিন পর্যন্ত স্পিকার বেছে নেওয়া হত সর্বসম্মতিক্রমে। এই দায়িত্ব সচরাচর বর্তায় কোনও অভিজ্ঞ সাংসদের ওপর।

    প্রথম স্পিকার

    সেন্ট্রাল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলিতে প্রথম স্পিকার নির্বাচন হয়েছিল পরাধীন ভারতে, ১৯২৫ সালের ২৪ অগাস্ট। এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন স্বরাজি পার্টির মনোনীত প্রার্থী ভিত্তালভাই জে প্যাটেল। তিনি পরাজিত করেছিলেন টি রঙ্গচারিয়ারকে। মাত্র দুটি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন প্যাটেল। তিনি পেয়েছিলেন ৫৮টি ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর ঝুলিতে গিয়েছিল ৫৬টি ভোট। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে স্পিকার নির্বাচিত হন সর্বসম্মতিক্রমে। তবে এমএ আয়েঙ্গার, জিএস ধিলোঁ, বলরাম জাখর এবং জিএমসি বালাযোগী পরবর্তী লোকসভাগুলিতেও স্পিকার মনোনীত হয়েছিলেন।

    আর পড়ুন: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে, বলছে রিপোর্ট

    অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হবে ২৪ জুন। এই অধিবেশনে প্রথমে শপথ নেবেন সাংসদরা। পরে হবে স্পিকার নির্বাচন। প্রথা মেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পিকার নির্বাচনে মোশন আনবেন ২৬ তারিখে।প্রসঙ্গত, বর্ষীয়ান সাংসদ কংগ্রেসের কে সুরেশকে লোকসভায় প্রোটেম স্পিকার করা হতে পারে। তাঁর কাছেই (BJP) শপথ নেবেন সাংসদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Balurghat: বকেয়া বিল পেতে তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকার কাটমানি ঠিকাদারের! বিজেপির বিক্ষোভ

    Balurghat: বকেয়া বিল পেতে তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকার কাটমানি ঠিকাদারের! বিজেপির বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া বিল পেতে পুরসভার চেয়ারম্যানকে দিতে হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা কাটমানি। বিদ্যুৎ দফতরের এক ঠিকাদার সংস্থার কর্তার এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে বালুরঘাট (Balurghat) শহরের রাজনীতি। ওই ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠ এক এমআইসি-র কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও একটি অডিও ক্লিপ জনসমক্ষে এনেছে ওই ঠিকাদার সংস্থা। যদিও সেই অডিও ক্লিপিংয়ের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    বিক্ষোভ বিজেপি-র (Balurghat)

    শনিবার বালুরঘাট (Balurghat) শহরের বেশ কিছু এলাকায় পথবাতি কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ ছিল, বালুরঘাট শহরে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক ভরাডুবির শাস্তি হিসেবেই বালুরঘাট পুরসভা এভাবে পথবাতি বন্ধ করেছে। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উঠে এল কাটমানি তত্ত্ব। মঙ্গলবার কাটমানি নিয়ে বালুরঘাট পুরসভা ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দেয় বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি বাপি সরকার বলেন, বালুরঘাট পুরসভা তো দুর্নীতির আঁতুরঘর হয়ে গেছে। ওখানে তো সব কাজেই কাটমানি দিতে হয়। আমরা এই সব নিয়ে আমরা বালুরঘাট পুরসভায় বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দিলাম।

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন ব্যবসায়ী

    ওই ঠিকাদার সংস্থার কর্তা সৌমেন সরকার বলেন, ‘খিদিরপুর শ্মশানের চুল্লির কাজের ও অন্য যে সব কাজ করেছি, তার বকেয়া দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছে। ওই টাকার পেমেন্ট পেতেই চেয়ারম্যানের নির্দেশে দুই দফায় দশ লক্ষ টাকা দিয়েছি। তবুও, আজ পর্যন্ত আমার কাজের বকেয়া টাকা পরিশোধ দেওয়া হয়নি। তাই, আমি কর্মীদের বেতন দিতে পারিনি। তাঁরা গত শনিবার দিন কাজ করেননি। তাই আমি ফোন করে ওই কাটমানির টাকা ফেরত চেয়েছি। আমি আর পুরসভায় কাজ করব না। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েও বিষয়টি জানিয়েছি।’

    পুরসভার এমআইসি কী বললেন?

    এই বিষয়ে এমসিআইসি বিপুলকান্তি ঘোষ বলেন, ‘ওই এজেন্সি কাজ বন্ধ করে রেখেছিল বলে তাঁকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু, তিনি নাকি চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা ফেরানোর দায়িত্ব আমাকে নিতে বলছেন। আমি তাঁকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে বললে তিনি রাজি হননি। অর্ধসমাপ্ত অডিও ক্লিপ তিনি ভাইরাল করেছেন।’

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ‘ওই ঠিকাদার সংস্থার মালিক সম্ভবত মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। নইলে তিনি সব ব্যাপারেই ষড়যন্ত্র কেন খোঁজেন। তাঁকে যে কাজ দেওয়া হয়েছিল তা তিনি করেননি। তাই ডিফল্টার হিসেবে আমরা চিহ্নিত করব না কেন, সেই চিঠি দিয়েছি। ওই এজেন্সির মালিকের কোনও বিল বকেয়া নেই। গত দুই মাসের বিলও ট্রেজারিতে পাঠানো আছে। আসলে ওই চিঠি দেওয়ার পরই মনগড়া কথা বলছেন তিনি। আমি শহরের বাইরে কাজে আছি। ফিরেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Harris Rauf Fight: সমর্থকের কটূক্তি! মেজাজ হারালেন হ্যারিস রউফ

    Harris Rauf Fight: সমর্থকের কটূক্তি! মেজাজ হারালেন হ্যারিস রউফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। সবচেয়ে লজ্জার, ভারতের কাছে হেরেছে বাবর আজমের বাহিনী। এরই মাঝে আরেকটি লজ্জাজনক ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার হ্যারিস রউফ (Harris Rauf Fight) । ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক পাকিস্তানি সমর্থককে মারতে দৌড়াচ্ছেন তিনি। ভিডিও ভাইরাল হতেই সমাজ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

    হেরেও লন্ডনে ছুটি কাটাচ্ছে পাক ক্রিকেটাররা  

    প্রসঙ্গত হারের পরও লন্ডনে ছুটি কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ৬ সদস্য। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পাকিস্তান না গিয়ে তাঁরা লন্ডনে কয়েক দিন মানসিক চাপ কমাতে ছুটি কাটাবেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে পাকিস্তান আনকোরা আমেরিকা ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছে তা মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেটার থেকে শুরু করে দলের সমর্থকরা। লন্ডনে ঘুরে বেড়ানোর সময় এক সমর্থকের সঙ্গে সেলফির আবদার মেটানোর সময় হ্যারিস রউফ (Harris Rauf Fight) ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নিজের দলের সমর্থককেই ভারতীয় বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন রউফ। অথচ ওই ব্যক্তি নিজেকে পাকিস্তানি এবং পাকিস্তান দলের সমর্থক বলেই দাবি করে আসছেন। ওই ভিডিওতে রউফকে অকথ্য ভাষায় ওই সমর্থককে গালিগালাজ করতে দেখা গিয়েছে। রউফের স্ত্রী তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করছেন। তা সত্ত্বেও রউফ ওই সমর্থকের উপর মারমুখী হয়ে ওঠেন। অনেকেই ওই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন।

    সমর্থকের উপর মারমুখি রউফ (Harris Rauf Fight)

    সোমবার জানানো হয় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন বাবর আজম, মোহাম্মদ আমির, ইমাদ ওয়াসিম, সাদাব খান, আজম খান ও হ্যারিস রউফ পাকিস্তান ফিরে আসার আগে লন্ডনে বেশ কয়েকদিন ছুটি কাটাবেন। এই ৬ জন ক্রিকেটের বাদে বাকিরা মঙ্গলবার পাকিস্তান রওনা দেয়। হারের পরেও ছুটি কাটাতে ইচ্ছে করে? এই প্রশ্নেই নাকি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন রউফ (Harris Rauf Fight) । এমনিতেই ভারতের কাছে হেরে গিয়ে মেজাজ খারাপ পাকিস্তান দলের। তার উপরে সমর্থকের কটুক্তি সহ্য করতে পারেননি রাউফ মিয়াঁ।

    আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি, জেনে নিন পূর্ণাঙ্গ সূচি

    পাকিস্তান এবার গ্রুপ এ-তে ছিল এই গ্রুপে ভারত, আমেরিকা, কানাডা, আয়ারল্যান্ড ও পাকিস্তান। শুধু ভারতের কাছে পাকিস্তান হেরেছে এমন নয়। আনকোরা দল আমেরিকার কাছেও হেরেছে তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই কানাডা ও আয়ারল্যান্ডের কাছে জয় পেয়েও গ্রুপের তৃতীয় স্থানে থাকায় সুপার এইটে পৌঁছতে পারেনি পাকিস্তান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 50: “পাখি ডিমে তা দিচ্ছে—সব মনটা সেই ডিমের দিকে, উপরে নামমাত্র চেয়ে রয়েছে!”

    Ramakrishna 50: “পাখি ডিমে তা দিচ্ছে—সব মনটা সেই ডিমের দিকে, উপরে নামমাত্র চেয়ে রয়েছে!”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    কামিনী-কাঞ্চনই যোগের ব্যাঘাত-সাধনা ও যোগতত্ত্ব

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ও যোগতত্ত্ব—যোগভ্রষ্ট-যোগাবস্থা-নিবতনিস্কম্পমিব প্রদীপম্‌—যোগের ব্যাঘাত

    কারু কারু যোগীর লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু তাদের সাবধান হওয়া উচিত। কামিনী-কাঞ্চনই যোগের ব্যাঘাত। যোগভ্রষ্ট হয়ে সংসারে এসে পড়ে,–হয়তো ভোগের বাসনা কিছু ছিল। সেইগুলো হয়ে গেলে আবার ঈশ্বরের দিকে যাবে,–আবার সেই যোগের অবস্থা। সটকা কল জানো?

    মাস্টার—আজ্ঞে না—দেখি নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)-ও-দেশে আছে। বাঁশ নইয়ে রাখে, তাতে বঁড়শি লাগানো দড়ি বাঁধা থাকে। বঁড়শিতে টোপ দেওয়া হয়। মাছ যেই টোপ খায় অমনি সড়াৎ করে বাঁশটা উঠে পড়ে। যেমন উপরে উঁচুদিকে বাঁশের মুখ ছিল সেইরূপই হয়ে যায়।

    নিক্তি, একদিকে ভার পড়লে নিচের কাঁটা উপরের কাঁটার সঙ্গে এক হয় না। নিচের কাঁটাটি মন—উপরের কাঁটাাটি ঈশ্বর। নিচের কাঁটার সহিত এক হওয়ার নাম যোগ।

    মন স্থির না হলে যোগ হয় না। সংসার-হওয়া মানরূপ দীপকে সর্বদা চঞ্চল করছে। ওই দীপটা যদি আদপে না নড়ে তাহলে ঠিক যোগের অবস্থা হয়ে যায়।

    কামিনী-কাঞ্চনই যোগের ব্যাঘাত। বস্তুত বিচার করবে। মেয়েমানুষের শরীরে কি আছে—রক্ত, মাংস, চর্বি, নারীভুঁড়ি, কৃমি, মুত, বিষ্ঠা এই সব। সেই শরীরের উপর ভালবাসা কেন?

    আমি রাজসিক ভাবের আরোপ করতাম—ত্যাগ করবার জন্য। সাধ হয়েছিল সচ্চা জরির পোশাক পরব, আংটি আঙুল দেব, নল দিয়ে গুড়গুড়িতে তামাক খাব। সাচ্চা জরির পোশাক পরলাম—এরা (মথুরবাবু) আনিয়ে দিলে। খানিকক্ষণ পরে মনকে বললাম, মন এর নাম সাচ্চা জরির পোশাক! তখন সেগুলোকে খুলে ফেলে দিলাম। আর ভাল লাগল না। বললাম, মন, এরই নাম শাল—এরই নাম আঙটি! এরই নাম নল দিয়ে গুড়গুড়িতে তামাক খাওয়া! সেই যে সব ফেলে দিলাম আর মনে উঠে নাই।

    সন্ধ্যা আগত প্রায়। ঘরের দক্ষিণ-পূর্বের বারান্দায়, ঘরের দ্বারের কাছে ঠাকুর মণির সহিত নিভৃতে কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মণির প্রতি)—যোগীর মন সর্বদাই ঈশ্বরেতে থাকে, সর্বদাই আত্মস্থ। চক্ষু ফ্যালফ্যালে, দেখলেই বুঝা যায়। যেমন পাখি ডিমে তা দিচ্ছে—সব মনটা সেই ডিমের দিকে, উপরে নামমাত্র চেয়ে রয়েছে! আচ্ছা আমায় সেই ছবি দেখাতে পার?

    মণি—যে আজ্ঞা। মাই চেষ্টা করব যদি কোথাও পাই।

    আরও পড়ুনঃ “কামিনী-কাঞ্চনের ঝড় তুফানগুলো কাটিয়ে গেলে তখন শান্তি”

    আরও পড়ুনঃ “হিন্দুরা জল খাচ্ছে একঘাটে বলছে জল; মুসলমানরা আর-এক ঘাটে খাচ্ছে বলছে পানি”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchanjungha Express Accident: ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে আসছেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি

    Kanchanjungha Express Accident: ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে আসছেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগরতলা থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার পথে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjungha Express Accident) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডাউন ১৩১৭৪ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এখন অবধি মৃত্যুর সংখ্যা ১১ ছাড়িয়েছে। এই ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনে কারণ কী তা খুঁজতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ। সিগন্যালিং-এর ত্রুটি নাকি অন্তর্ঘাত উত্তর খুঁজতে চাইছে রেল। রেল দফতরের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে সিগনালিং-এর ত্রুটি বলেই আপাতত রেলের তরফের সন্দেহ করা হচ্ছে।

    দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের নিউজলপাইগুড়ি স্টেশন পার করতেই রাঙাপানি স্টেশন। সোমবার সেখানেই সেই স্টেশনের কাছেই (Kanchanjungha Express Accident) ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। আগরতলা থেকে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি মালগাড়ি। কিন্তু কীভাবে একই লাইনে দুটি ট্রেন কাছাকাছি চলে এল এটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। উত্তর খুঁজতে মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের (Kanchanjungha Express Accident) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ। এরপর ১৯ তারিখ তিনি নিউজলপাইগুড়ি এডিআরএম চেম্বারে রেলকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলবেন। সাধারণ মানুষ ও ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে কেউ কোনো তথ্য দিতে চাইলে তার কাছে জমা দিতে পারেন এবং লিখিতভাবে কেউ জানাতে চাইলে তার ব্যবস্থাও রয়েছে।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা জানতে চায় রেল (Kanchanjungha Express Accident)

    সাধারণত ট্রেন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় বেশি ঘটে। তবে সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনে ধাক্কা মারার ঘটনা ঘটেনি। ফলে সিগন্যালিংয়ের বড় খামতি কথা বলছেন রেলের আধিকারিকদের একাংশ। এমনিতে এই সময়টাতে কুয়াশাও থাকে না। স্বাভাবিকভাবে ওই মালগাড়ির ড্রাইভার দূর থেকে কেন এক্সপ্রেস ট্রেনকে দেখতে পেলেন না কিংবা ট্রেন দেখতে পেলে ব্যবস্থা নিলেন না কেন এই প্রশ্ন উঠছে।

    আরও পড়ূন: শুরু হল ট্রেন চলাচল, লাইনের পাশেই দোমড়ানো-মোচড়ানো কামরা, মৃত্যু বেড়ে ১০

    একইসঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjungha Express Accident) ট্রেনটি কখন স্টেশন থেকে ছেড়েছিল, মালগাড়ি কখন ছেড়েছিল, দু’টো ট্রেনের গতিবেগ কত ছিল, এই সব প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী অফিসার। পয়েন্ট ম্যান, স্টেশন মাস্টার, গেটম্যানদের পর্যবেক্ষণ কী ছিল, সেটাও জানার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি ও রাঙাপানি স্টেশন মাস্টারের ভূমিকা কী ছিল, এই সবকিছু খতিয়ে দেখার পরই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রেখা পাত্র ‘সন্দেশখালির বাঘিনী’, বিরাট ইঙ্গিত বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের

    Sandeshkhali: রেখা পাত্র ‘সন্দেশখালির বাঘিনী’, বিরাট ইঙ্গিত বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসা পরিদর্শন করতে সন্দেশখালিতে আসলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। মঙ্গলবার বিকেলে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সড়বেড়িয়া এলাকায় আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার তৈরি করা ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এই দলের মধ্যে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, কেন্দ্রীয় প্রাক্তন আইন মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ আরও চারজন। এদিন সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রের কাছ থেকে অত্যাচারের বিবরণ শোনেন প্রতিনিধি দল।

    এদিন তাঁরা সড়বেড়িয়ার আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বিট পোলের ৪২, ৪৫ নম্বর বুথের বামন ঘেরি এলাকায় গিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন টিম। তাঁদের বর্তমান অবস্থার কথা জানার চেষ্টা করেন। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

    প্রতিনিধি দলের বক্তব্য (Sandeshkhali)

    প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজপাল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়ে রেখা পাত্রকে বলেন, “রেখা পাত্র সন্দেশখালির বাঘিনী। রেখা যেভাবে লড়াই করেছে, তা বলার মতো। আমি বলে রাখলাম এই মেয়ে অনেক দূর যাবে। আমি এই নিয়ে বাংলায় মোট পাঁচবার এসেছি। এই সন্দেশখালিতে কেবল অত্যাচারই হয়েছে। আমি উর্দি পরেছি। কিন্তু এখানে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা দেখে দুঃখ পাই।” একই সঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও রেখার সাহসিকতার জন্য বাহবা দেন।

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারে জনশূন্য গ্রাম! তোপ রবিশঙ্করের

    রেখা পাত্রের বক্তব্য

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গদখালিতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করেছে। আর সেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পাশে থেকে রেখা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন শক্তিস্বরূপা। আজ প্রাক্তন পুলিশকর্তা বাঘিনী বললেন আমাকে, তবে আমার মনে হয়, এটা শুধু আমাকে বলা নয়, সন্দেশখালির প্রত্যেক মহিলাকে বলা হয়েছে। মানুষে তো বাড়িতেই ফিরতে পারেননি। কাউন্টিং এজেন্টরা এখনও ঘরছাড়া। গ্রামে ঢুকতে পারেননি। তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল কীভাবে?”

    তৃণমূলের অত্যাচারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক গ্রাম জনশূন্যে পরিণত হয়েছে। এই টিম কলকাতা, কোচবিহার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় নিপীড়িত বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছে। বিজেপির টিম রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এবং এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবেন সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডার কাছে। আজই তাঁদের রাতে দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ভোট-পরবর্তী ‘হিংসা’ নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা রাজ্যের, কী রয়েছে তাতে?

    Calcutta High Court: ভোট-পরবর্তী ‘হিংসা’ নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা রাজ্যের, কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি শেষ হয়েছে এবছরের লোকসভা নির্বাচন। তবে ভোট শেষ হলেও শেষ হচ্ছে না ভোট পরবর্তী হিংসার (Bengal Post-Poll violence) ছবি। এবার ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। এখনও পর্যন্ত কতকগুলি এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। একটি সংগঠন এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ নিয়ে মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। সেই মামলা দুটি নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিশের ডিজির তরফে ১৪ জুন এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলা আদালতে শুনানির জন্য উঠেছিল। কিন্তু সব পক্ষের কাছে রিপোর্ট না থাকায় শুনানি হয়নি। জানা গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে।

    ভোট পরবর্তী হিংসার কথা মেনে নিচ্ছে রাজ্য (Bengal Post-Poll violence) 

    রাজ্য সরকারের পেশ করা ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১০৭টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে যা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে বোঝা যায়, ভোট পরবর্তী হিংসার কথা রাজ্য মেনে নিচ্ছে। এদিকে, অপর এক মামলাকারীর আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা তীব্রেওয়াল দাবি করেন, রাজ্যজুড়ে এখনও আড়াইশো জনের বেশি মানুষ ঘর ছাড়া রয়েছেন নির্বাচন পরবর্তী অশান্তির কারণে।  

    বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদ বাড়লে আপত্তি নেই, জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    অন্যদিকে, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক অভিযোগে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) আগেই জানিয়েছে যে, ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে হাইকোর্টে জানানো হল, রাজ্যে বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদ বাড়ানো হলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে এমনটাই জানিয়েছেন এএসজি অশোক চক্রবর্তী। 

    আরও পড়ুন: তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম মন কি বাত, কী বার্তা থাকবে প্রধানমন্ত্রীর?

    বিরোধী দলনেতার দাবি 

    এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ভোটের পরে ‘হিংসা’ (Bengal Post-Poll violence) ছড়িয়েছে রাজ্যে। ‘আক্রান্ত’ হচ্ছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। আরও বেশি দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আবেদন জানিয়ে এবং ‘আক্রান্ত’-দের নিরাপত্তা চেয়ে ১০ জুন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। আর শুভেন্দুর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যে বাহিনী থাকার সেই সময়সীমা আরও দুদিন বৃদ্ধি করেছে হাইকোর্ট।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: বাবা-মার সঙ্গে আর বাড়ি ফেরা হল না, ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ৬ বছরের স্নেহার প্রাণ

    Train Accident: বাবা-মার সঙ্গে আর বাড়ি ফেরা হল না, ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ৬ বছরের স্নেহার প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামাবাড়িতে কাটানো সেই আনন্দের গল্প আর বন্ধুদের বলা হল না ছোট্ট স্নেহার। সোমবার সকালে বাবা-মায়ের হাত ধরে আনন্দে গদগদ হয়ে বাড়ি ফিরছিল স্নেহা। অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Train Accident) সে চেপেছিল সে। তারপর সব শেষ। মালদার ছ’বছরের স্নেহা মণ্ডলের নিথর দেহ এখন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে শুয়ে রয়েছে।

    স্নেহার বাবা-মা ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে (Train Accident)

    সোমবার রাঙাপানি এলাকায় মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী ছিল স্নেহা। বাবা- মা’র সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল সে। কয়েকদিন আগে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মামাবাড়ি এসেছিল। সোমবার বাড়ি ফিরছিল। ট্রেন দুর্ঘটনায় স্নেহার বাবা মণিলাল মণ্ডল ও ছবি মণ্ডলও জখম হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্নেহা সঙ্কটজনক অবস্থায় পিকু ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশনে ছিল। পাশাপাশি সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর মোট ৩৭ জন ভর্তি হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। আর আশঙ্কাজনক ছিল ছ’বছরের ওই স্নেহা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ছিল তার। সোমবার থেকে তার শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলছিল শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তবে, শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক সন্দীপ সেন বলেন, “পায়ে আঘাত থাকার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কালকে থেকেই মেডিক্যাল টিম অস্ত্রোপচার করে বাচ্চাটির রক্তক্ষরণ বন্ধের চেষ্টা করে। পিকুতে ভর্তি ছিল। আজ সকালে তাকে হারিয়েছি আমরা।”

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মেয়েকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন বাবা

    এদিন সকালে মৃত্যুর খবর শোনার পর চোখের জল মুছে চলেছেন বাবা মণিলাল মণ্ডল। সামনে কেউ গেলে বলছেন, আমরা এখন কাকে নিয়ে বাঁচব? কারও কাছে এর উত্তর নেই। তিনি বলেন, শিলিগুড়ির মাটিগাড়া আমার শ্বশুরবাড়ি। ক’টাদিন সেখানে স্নেহা কত আনন্দই না করেছে। সোমবার বাড়ি ফিরছিলাম। আর ওকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারব না।

     হাসপাতালে পরিজনদের ভিড়়

    এদিকে এদিন সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জখম যাত্রীর পরিজনরা একে একে আসতে শুরু করেন। কেউ প্রিয়জনকে জখম অবস্থায় বেডে শুয়ে থাকতে দেখে ডুকরে কেঁদে উঠছেন। কেউ বা মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য মর্গের সামনে অপেক্ষা করছেন। তাদের চোখে জল নেই। নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছেন। সকলেরই প্রশ্ন, কীভাবে এই সর্বনাশ হল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Breaks And Holidays: বিরতি মঙ্গলদায়ক কর্মী ও সংস্থা উভয়ের পক্ষেই, বলছে নয়া সমীক্ষা

    Breaks And Holidays: বিরতি মঙ্গলদায়ক কর্মী ও সংস্থা উভয়ের পক্ষেই, বলছে নয়া সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা কাজে বিরক্তি আসে। তাই প্রয়োজন হয় বিরতির। এই বিরতি কর্মী এবং তিনি যে সংস্থায় কাজ করেন, উভয়ের পক্ষেই মঙ্গলদায়ক। তাই কোনও সংস্থা যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবে, সেটি হল কর্মীদের ছুটি দিতে হবে, দিতে হবে বিরতিও (Breaks And Holidays)। একইভাবে কর্মীরাও বিরতি নেবেন, নেবেন ছুটিছাটাও। এতে করে তিনি যখন ফের কাজে যোগ দেবেন তখন নতুন করে উদ্যম পাবেন তিনি (Achieve Success)। তাই সংস্থা এবং কর্মী দু’তরফই ছুটির সুফল কুড়োতে পারবে।

    কী বলছে সমীক্ষা?

    যাঁরা মনে করেন বিরতি এবং ছুটি (Breaks And Holidays) স্রেফ রিলাক্সসেশনের জন্য, তাঁরা ভুল জানেন। সিআইইএল এইচআর সার্ভিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সিইও আদিত্য নারায়ণ মিশ্র বলেন, “বিরতি এবং ছুটি স্রেফ রিলাক্সসেশন নয়। সেগুলি কর্মক্ষেত্রের প্রতি কর্মীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা বাড়িয়ে তোলে (Achieve Success)। সেই কারণেই এগুলি প্রয়োজনীয়।” সিআইইএল এইচআরের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রকাশ, ছুটি না পেলে খেপে ওঠেন ৭৩ শতাংশ কর্মী। সহকর্মীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও কৃতজ্ঞতা বাড়িয়ে তোলে বিরতি। বিরতি মিউচ্যুয়াল রেসপেক্ট বাড়িয়ে তোলে। সমৃদ্ধ হয় উৎপাদন ক্ষমতা এবং সন্তুষ্টি।

    রাগ প্রশমনেও প্রয়োজন বিরতির

    ‘কর্মীরা যাতে খেপে না যায়, তাই বিরতির প্রয়োজন’, বলছেন অ্যাসিডাস গ্লোবাল আইএনসির প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও সোমদত্তা সিং। তিনি বলেন, “কর্মস্থলে যে কাজের চাপ থাকে, সংস্থার যে চাহিদা থাকে, সেখান থেকে মুক্তি দিতে পারে বিরতি এবং ছুটি (Breaks And Holidays)। এতে কর্মী শারীরিক ও মানসিকভাবে নতুন করে শক্তি ফিরে পান। কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ কমে।” তিনি বলেন, “যখন কেউ নিরন্তর কাজ করে চলেন, তখন নতুন করে ভাবনাচিন্তা করার সুযোগ তাঁর থাকে না। বিরতি এবং ছুটি কর্মীকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে, মনকে করে ভারমুক্ত, কর্মীকে করে অনেক বেশি সৃজনশীল। বিরতি সব দিক থেকে কল্যাণ করে সংস্থার কর্মীর (Achieve Success)।” তিনি বলেন, “মন চাপমুক্ত হলেই ভালো ঘুম হবে। কর্মী তাঁর হবির প্রতি সময় দিতে পারবেন, যোগাযোগ রাখতে পারবেন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের পক্ষে যা নিতান্তই জরুরি (Breaks And Holidays)।”

    আর পড়ুন: ব্রহ্মসের প্রাক্তন বিজ্ঞানীর ল্যাপটপ হ্যাক করতে পাক চররা ব্যবহার করত ৩টি অ্যাপ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share