Tag: Bengali news

Bengali news

  • Post Poll Violence: তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারে জনশূন্য গ্রাম! তোপ রবিশঙ্করের

    Post Poll Violence: তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারে জনশূন্য গ্রাম! তোপ রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের লোকসভার নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় হিংসার খবর উঠে আসছে। ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) কারণে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থক এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। অনেক গ্রাম জনশূন্য। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ঠাঁই হয়েছে জেলা বিজেপির কার্যালয়ে। আক্রান্ত ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় দেখা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের মতো বিজেপির নেতৃত্বরা। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম।

    কেন্দ্রীয় টিমের বক্তব্য

    আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব। কেন্দ্রীয় টিমের পক্ষ তিনি থেকে বলেন, “বাংলায় কমিউনিস্ট পার্টি এই কালচার শুরু করেছিল, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারই একটি অংশ হিসাবে কাজ করে চলেছে। বাংলা থেকে বিরোধীদের শূন্য করার জন্য এই ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা জানাই। অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, বেশিদিন এই অত্যাচার আর চলবে না বাংলায়। বিজেপি কী করতে পারে আর না পারে তা সময় বলবে। গ্রামে গঞ্জে মহিলারা থাকতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাদের পাঠিয়েছে। সব রিপোর্ট দেব। বিজেপি কর্মীদের ন্যায় দিতে যা যা করতে হবে করব।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ প্রশাসনকে গুন্ডাবাহিনীতে পরিণত করেছেন। পুলিশ সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু এই অত্যাচার আর বেশিদিন বাংলার মানুষ সহ্য করবে না।” আবার বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, “তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারের গ্রাম জনশূন্য। গ্রামে লোক নেই। বিরোধী কণ্ঠস্বর বলে কিছু নেই। মমতার শাসনে কোন রাজত্ব চলছে?”

    আরও পড়ুনঃ কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শান্তিপুরের দম্পতি, বাড়ি ফিরলেন প্রাণ হাতে করে!

    অত্যাচারে জনশূন্য গ্রাম!

    মঙ্গলবার সকালে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আমতলা এলাকায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। প্রতিনিধি দলের সদস্য বিপ্লব দেব আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থক ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কথা শোনেন এবং সমস্ত রকম সাহায্যে আশ্বাস দেন। পাশাপাশি আলতা বেড়িয়া যে গ্রাম এখন তৃণমূলের অত্যাচারে জনশূন্য, সেই গ্রামেও ঘুরে দেখলেন তাঁরা। যেসব বিজেপি কর্মীর বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। একই সঙ্গে একাধিক মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে বিজেপি কর্মীদের, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সামনে। আবার শাসকদলের দুষ্কৃতীরা বাসন্তীর মসজিদ বাটি এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে। এদিন আক্রান্ত কর্মী সমর্থকদের বাড়ি পরিদর্শন করে টিম। কিন্তু আতঙ্ক দূর হচ্ছে না গ্রামবাসীদের। কেন্দ্রীয় টিম চলে যাওয়ার পরে ভাঙচুর করতে পারে কর্মীদের বাড়িঘর। আবারও হামলা করতে পারে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Spies: ব্রহ্মসের প্রাক্তন বিজ্ঞানীর ল্যাপটপ হ্যাক করতে পাক চররা ব্যবহার করত ৩টি অ্যাপ!

    Pakistani Spies: ব্রহ্মসের প্রাক্তন বিজ্ঞানীর ল্যাপটপ হ্যাক করতে পাক চররা ব্যবহার করত ৩টি অ্যাপ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ব্রহ্মসে’র প্রাক্তন বিজ্ঞানী নিশান্ত আগরওয়ালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে সেশন কোর্ট। অভিযোগ, তিনি ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন পাকিস্তানের (Pakistani Spies) কাছে। নিশান্ত চাকরি করতেন ভারতের নাগপুরে মিসাইল অ্যাসেম্বলিতে। পুরস্কারপ্রাপ্ত এই বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাকিস্তানকে ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য পাচার করেছিলেন। ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের ২৩৫ নম্বর ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। কেবল তথ্য পাচারই (Pakistani Spies) নয়, ভারতের অস্ত্রসম্ভার সংক্রান্ত খবরাখবরও তিনি পাচার করেছেন বিদেশি শক্তির কাছে।

    গ্রেফতার নিশান্ত (Pakistani Spies)

    ২০১৮ সালে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিশান্তকে। সেই সময় তিনি নাগপুরে ব্রহ্মসের ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রের প্রযুক্তিগত গবেষণা বিভাগে নিযুক্ত ছিলেন। চাকরি করতেন সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দলেই। এই বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করেছিল সামরিক গোয়েন্দা এবং উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী স্কোয়াডের এক যৌথ দল। জানা গিয়েছিল, নেহা শর্মা ও পূজা রঞ্জন নামে দুটি ফেসবুক প্রোফাইলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নিশান্তের। এই ফেক দুই প্রোফাইলের নেপথ্যে ছিল পাক গোয়েন্দারা। প্রোফাইল দুটি চালাত আইএসআই এজেন্টরাই, ইসলামাবাদ থেকে।

    কী বলেছিলেন তদন্তকারী অফিসার?

    উত্তরপ্রদেশ এটিএসের তদন্তকারী আধিকারিক পঙ্কজ আওয়াস্থি অবশ্য আদালতে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান থেকে জনৈক সেজাল একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সেই ফাঁদেই পড়েন নিশান্ত। এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সে চ্যাট করত তার পাকিস্তানি অপারেটিভ এবং ভারতীয় ‘শিকারে’র সঙ্গে। নিশান্ত-সেজালের চ্যাট খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সেজাল একটি গ্রুপের অংশ, যার মাধ্যমে ভারতীয় প্রতিরক্ষা দফতরের পদস্থ কর্তাদের ফাঁদে ফেলে গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হত।

    আর পড়ুন: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে, বলছে রিপোর্ট

    আওয়াস্থি আদালতে জানিয়েছেন, সেজালের নির্দেশেই আগরওয়াল তাঁকে পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করতেন। এভাবে তিনি তিনটি অ্যাপস ইনস্টল করেছিলেন তাঁর পার্সোনাল ল্যাপটপে, ২০১৭ সালে। এই অ্যাপগুলি হল ‘কিউহুইস্পার’, ‘চ্যাট টু হায়ার’ এবং ‘এক্স ট্রাস্ট’। এই তিনটি অ্যাপের মাধ্যমেই নিশান্তের ল্যাপটপ থেকে তথ্য চুরি করত পাক হ্যাকাররা। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিএপিএলের সিকিউরিটি নর্মস উপেক্ষা করে ব্রহ্মস মিসাইল সম্পর্কিত তথ্য রাখা ছিল নিশান্তের ল্যাপটপে। নিশান্তকে বলা হয়েছিল লিঙ্কদিনেও সেজালের সঙ্গে চ্যাট করতে (Pakistani Spies)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kanchanjunga Accident: শুরু হল ট্রেন চলাচল, লাইনের পাশেই দোমড়ানো-মোচড়ানো কামরা, মৃত্যু বেড়ে ১০

    Kanchanjunga Accident: শুরু হল ট্রেন চলাচল, লাইনের পাশেই দোমড়ানো-মোচড়ানো কামরা, মৃত্যু বেড়ে ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের নির্মলজ্যোত। সোমবার সকালে এই নির্মলজ্যোতে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা (Kanchanjunga Accident) ঘটেছিল। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১০। শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক অবোধ সিঙ্ঘল মঙ্গলবার বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা ১০। কেননা সোমবার যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল তা উদ্ধার হওয়া একটি মৃতদেহের। সোমবার রাতের মধ্যে মৃতদেহ শনাক্তকরণ পর্ব শেষ হয়। তখন দেখা যায় একটি মৃত দেহের পা নেই। চিকিৎসকরা সেই পা ওই মৃত ব্যক্তির বলে চিহ্নিত করেন। সোমবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ন’জন। মঙ্গলবার ছ’বছরের এক শিশু মারা গিয়েছে। তাতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা মোট ১০ জন। 

    শুরু হল ট্রেন চলাচল, লাইনের পাশেই দোমড়ানো-মোচড়ানো কামরা (Kanchanjunga Accident)  

    মঙ্গলবার সকাল থেকেই লাইন পরিষ্কার করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। উদ্ধারকাজ কার্যত শেষ। দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Accident) স্মৃতি হিসেবে লাইনের পাশে পড়ে রয়েছে ট্রেনের দোমড়ানো- মোচড়ানো বগিগুলি। বাসিন্দারা সোমবার রাতে ঘুমোতে পারেননি। বীভৎস দৃশ্য, চিৎকার হাহাকার, জখম যাত্রীদের কান্না এখনও কানে বাজছে গ্রামবাসীদের। সোমবার ছিল ঈদ। গ্রামের সকলের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। কারও নামাজ পড়া হয়ে গিয়েছিল। নামাজ পড়ে ফেরার পথেই খবর পান ট্রেন দুর্ঘটনার। অনেকে যাত্রীদের চিৎকার, হাহাকার শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাদ আলি, নাজিম আলি,  মহম্মদ শওকতরা বলেন, চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি ট্রেনের ভেতর থেকেই বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার ভেসে আসছে। এখনও কানে বাজছে সেই চিৎকার। সোমবার সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। কত শিশু পড়ে কাঁদছে। কেউ বাবা-মাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। মন শক্ত করে উদ্ধারকাজে হাত লাগাই। তখনও  প্রশাসনের কেউ আসেনি। আমরা সাহসে ভর দিয়ে একে একে সব যাত্রীদের নামিয়ে আনি। ততক্ষনে অ্যাম্বুল্যান্স, বিভিন্ন গাড়ি পৌঁছতে শুরু করেছে। এক এক করে জখম যাত্রী, মৃতদেহ অ্যাম্বুল্যান্স এবং গাড়িতে তুলে দিই। 

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    অভিশপ্ত স্মৃতি বয়ে বেড়াবে নির্মলজ্যোত

    এদিন গ্রামবাসীরা বলেন, ঈদের উৎসব ভুলে গিয়েছিলাম। কাল রাত পর্যন্ত আমরা এখানেই ছিলাম। সকলকে বাঁচানই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু, অনেককে বাঁচানো যায়নি। বাবা- না পেয়ে শিশুদের কান্না ভুলতে পারছি না। সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আবার ট্রেন চলবে। কিন্তু, আমরা বয়ে বেড়াব অভিশপ্ত ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি। মৃত্যুর মুখে পড়ে থাকা অসহায় মানুষের হাহাকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mann ki Baat: তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম মন কি বাত, কী বার্তা থাকবে প্রধানমন্ত্রীর?

    Mann ki Baat: তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম মন কি বাত, কী বার্তা থাকবে প্রধানমন্ত্রীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম ‘মন কি বাত’ (Mann ki Baat) অনুষ্ঠান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানা গিয়েছে আগামী ৩০ জুন এই অনুষ্ঠান করবেন তিনি। তবে বক্তৃতার বিষয়বস্তু কী হবে ইতিমধ্যেই তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে বড় চমক। 

    কর্মসূচি ভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন 

    অন্যদিকে মন কি বাত (Mann ki Baat) শোনার জন্য যাতে দেশব্যাপী সাংগঠনিক বন্দোবস্ত করা হয় তার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের দুই ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তাওড়ে এবং দুষ্মন্ত গৌতমকে। জানা গিয়েছে নির্বাচন মিটতেই  জমি পুনরুদ্ধারে একগুচ্ছ সাংগঠনিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিজেপির। আসলে প্রত্যেকটি কর্মসূচির যাতে সঠিক বাস্তবায়ন হয় তা সুনিশ্চিত করতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে কর্মসূচি ভিত্তিক এই দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।   

    তৃতীয়বার মোদি (PM Modi) সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য এবার ভোটারদের অভিনন্দন জানাতে দেশব্যাপী ‘মতদাতা অভিনন্দন যাত্রা’ শুরু করতে চলেছে বিজেপি। রাজ্যভিত্তিক অভিনন্দন যাত্রার পাশাপাশি আয়োজিত হবে অভিনন্দন সমারোহ। কর্মসূচিতে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারের পাল্টা ন্যারেটিভ তুলে ধরাই লক্ষ্য। প্রত্যেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তাঁর সংশ্লিষ্ট রাজ্যে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অভিনন্দন জানানো হবে। দেশব্যাপী এই কর্মসূচির দায়িত্বে থাকবেন বিজেপির ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি সুনীল বনশল।

    আরও পড়ুন: দুই গাড়ির চালকের কাছে ছিল ‘কাগুজে অনুমতি’! তবে কার ভুলে এমন বিপদ?

    রয়েছে একাধিক কর্মসূচি (Mann ki Baat) 

    একইসঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা স্মরণ করতে ২৩ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করছে বিজেপি। ‘এক পেড় মা কে নাম’ কর্মসূচিতে এই বৃক্ষরোপণ করা হবে। কর্মসূচির দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যসভার সাংসদ রাধামোহন দাস এবং আরএএস নেতা অরবিন্দ মেনন। তবে এর আগে ২১ জুন সরকারি উদ্যোগে পালিত হবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। সারাদেশে বিজেপি নেতাকর্মীদের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে বলা হয়েছে। এরপর ২৫ জুন পালিত হবে ‘আপৎকাল কা কালা দিবস’। এমার্জেন্সির সময় যাঁরা জেলবন্দি ছিলেন, এমন জীবিত ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন বিজেপি নেতারা।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suicide in India: মহিলাদের তুলনায় ভারতীয় পুরুষদের আত্মহত্যা বেড়েছে আড়াই গুণ! কেন জানেন? 

    Suicide in India: মহিলাদের তুলনায় ভারতীয় পুরুষদের আত্মহত্যা বেড়েছে আড়াই গুণ! কেন জানেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে অবসাদ। ভারতীয় পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্রমশ আরও বিপন্ন হচ্ছে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ভারতীয় পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্যে অবনতি দেখা যাচ্ছে। মানসিক চাপ বাড়ছে। আর অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এর জেরে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা (Suicide in India)।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    এক আন্তর্জাতিক পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগ বাড়ছে। মূলত ৩০ থেকে ৪৪ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে মানসিক অবসাদে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। যার জেরেই বাড়ছে আত্মহত্যার মতো ঘটনা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা (Suicide in India) কয়েক গুণ বেড়েছে। ২০১৪ সালে ভারতে ৮৯ হাজার পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতে ১ লাখ ৩০ হাজার পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। ভারতীয় পুরুষদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে আত্মহত্যা। রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলাদের তুলনায় ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে আড়াই গুণ বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ওই আন্তর্জাতিক পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপন্ন হচ্ছে। আর তার জেরেই এই ভয়ানক পরিণতির ঘটনা‌ বাড়ছে। এই নিয়ে সর্বস্তরে সচেতনতা না বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে।

    কেন ভারতীয় পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে? (Suicide in India)

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয় পুরুষদের আত্মহত্যার কারণ পারিবারিক সমস্যা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ পুরুষদের আত্মহত্যার কারণ পারিবারিক সমস্যা। সম্পর্কের জটিলতা। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের দায়িত্ব ও বিশাল প্রত্যাশার সঙ্গে অনেক সময়েই তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না। এর জেরেই মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হচ্ছে। এর থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা (Suicide in India) জন্ম নিচ্ছে। পাশপাশি ভারতীয় পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। মানসিক অবসাদগ্রস্ত অধিকাংশ মানুষ বুঝতেই পারেন না তার স্বাস্থ্য সমস্যা। এর জেরে রোগ নির্ণয় কিংবা চিকিৎসা কিছুই হয় না। তাই আত্মহত্যার মতো চরম পরিণতির ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি কর্মশালা জরুরি। সব‌ বয়সের মানুষদের এ নিয়ে সতর্ক হতে হবে। তবেই পরিবারের কেউ মানসিক অবসাদে ভুগছেন কিনা কিংবা আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে উঠেছেন কিনা তা‌ বোঝা সহজ হবে। তাহলে এই ধরনের চরম বিপদ আটকানো‌ সহজ‌ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchanjunga Accident: দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে লোকো পাইলট অনিলের জীবন, জানেনই না সহকর্মী মনু

    Kanchanjunga Accident: দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে লোকো পাইলট অনিলের জীবন, জানেনই না সহকর্মী মনু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে একইসঙ্গে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উঠেছিলেন লোকো পাইলট অনিল কুমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকারি লোকো পাইলট মনু কুমার। অভিশপ্ত মালগাড়িটি শিলিগুড়ির রাঙাপানি এলাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে। আর তাতেই সব কিছু শেষ হয়ে যায়। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় (Kanchanjunga Accident) অনিল কুমারের মৃত্যু হয়। আর গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মনু কুমার।

    সহকর্মীর মৃত্যুর খবর কানে পৌঁছয়নি (Kanchanjunga Accident)

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে বড় কিছু ঘটেছে তা বুঝতে পেরেছিলেন মনু কুমার। তবে, তাঁর চোট গুরুতর হওয়ায় দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Accident) বিষয়ে তাঁকে কেউ খুব বেশি কিছু বলছেন না। তাই, তাঁর সহকর্মীর মৃত্যুর খবর কানে পৌঁছয়নি। কিন্তু, আন্দাজ করেছিলেন। বড় কিছু তো ঘটেইছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে তখনও নিজের সহকর্মীর খোঁজ নিচ্ছিলেন মনু। আশঙ্কা করছিলেন কী হয়েছে ঠিক! তবে সেটা বুঝতে পারছিলেন না তিনি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে চোখ বন্ধ করে কিছু একটি চিন্তা করছেন। তবে, তিনি খুব বেশি কথা বলছেন না।

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়ে নিয়েছে লোকো পাইলট অনিলের জীবন

    জানা গিয়েছে, একসঙ্গেই যাত্রা শুরু করেছেন মালগাড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট মনু কুমার এবং লোকো পাইলট অনিলবাবু। অনেকখানি পথ গিয়েছিলেন একসঙ্গে। কিন্তু, বাধ সাধল দুর্ঘটনা (Train Accident)। গুরুতর আহত অবস্থায় মনু শুয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের বেডে। আর অনিলবাবু নেই। দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাঁর প্রাণ। বেডে শুয়ে মনু কুমার বলেন,”‘ড্রাইভার সাহাব ক্যাসে হ্যায়”। অপর প্রান্ত থেকে উত্তর এল, “এখনও ওঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।” এই উত্তর শুনে বাকিটা বুঝতে অসুবিধা হল না হল তাঁর। চোখ বুঝলেন। আর কোনও প্রশ্ন করলেন না। হয়ত তিনি বুঝেই গিয়েছেন, তাঁর সহকর্মী আর নেই। তাই, আর কিছু বললেন না। মনু শুধু বললেন, “আমি কিচ্ছু জানি না। মোবাইল নম্বর মনে নেই। আমার কিছু মনে পড়ছে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchanjunga Express: কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শান্তিপুরের দম্পতি, বাড়ি ফিরলেন প্রাণ হাতে করে!

    Kanchanjunga Express: কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শান্তিপুরের দম্পতি, বাড়ি ফিরলেন প্রাণ হাতে করে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাঙাপানিতে ভয়াবহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjunga Express) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয়েছেন শান্তিপুরের দম্পতি। নিজেদের প্রাণ কার্যত হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন তাঁরা। এরপর জানালেন, বীভৎস গতকালের সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা। এই দম্পতি হলেন তপন বিশ্বাস এবং কমলা বিশ্বাস। তাঁদের বাড়ি নদিয়া শান্তিপুরের থানা মোড়ে। ত্রিপুরায় তাঁদের মেয়ের বাড়ি। সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং তারপর ফিরতেই পথে রেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন।

    কী বললেন আহত স্বামী (Kanchanjunga Express)

    গতকাল রেল দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Express) কবলে পড়ে বাড়ি ফিরলেও আতঙ্কের রেশ এখনও কাটেনি শান্তিপুরের এই দম্পতির। গতকালের সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে এখনও শিউরে উঠছেন তপন বাবু। তিনি বলেছেন, “তখন ঠিক সকাল বেলা, সেই সময় আমি ট্রেনের টয়লেটে ছিলাম। আচমকা হঠাৎ পেছনদিকে সজোরে কিছু একটা ধাক্কা মারে। প্রথমে বুঝতে পারিনি। এরপর প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভব হয়। আমার স্ত্রী ছিলেন সেই সময় ট্রেনের এসি কম্পার্টমেন্টের বি-ওয়ান কোচের ৩১ নম্বর সিটে। সাফাই কর্মীরা বাইরে তাকাতেই তাঁদের চক্ষু চড়ক গাছে উঠে যায়। পেছেন থেকে একটি মালগাড়ি জোরে ধাক্কা মেরেছে আমাদের ট্রেনে। একটি বগি আরেকটি বগির উপর উঠে গিয়েছে। চারিদিকে কান্না এবং হাহাকার শব্দ ভেসে আসছিল। রেলের বগিগুলি সব উল্টে গিয়েছে। এরপর উপস্থিত যাত্রীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। এদিকে ওদিকে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় মুহূর্তেই। বগিও সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যায়। সকলে নিজের নিজের প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে নামতে শুরু করে দেয়। সেই সময় প্রাণ বাঁচাতে কোনও রকমে আমি এবং আমার স্ত্রীকে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। আমার পায়ে ও হাতে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। অনেক যাত্রী দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এবং বেশ কিছু মানুষের মৃত্যুও ঘটেছে। সাক্ষাৎ যমরাজকে যেন দর্শন করেছিলাম। কোনও ক্রমে এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম।”

    স্ত্রীর বক্তব্য

    অপরদিকে তাঁর স্ত্রী কমলা দেবী বলেন, “আমি বসেছিলাম ট্রেনের (Kanchanjunga Express) সিটে কিন্তু হঠাৎ ভয়ানক শব্দে রীতিমতো কেঁপে ওঠে কম্পার্টমেন্ট। তারপরেই হঠাৎ করে চোখের নিমেষে কী যে হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারলাম না। তারপর স্বামী চিৎকার করে ডাকতেই কোনও রকমে প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে বেরিয়ে আসি। আমরা দুজনেই কমবেশি আহত হয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ মেয়ের জন্মদিনে বালিগঞ্জের বাড়িতে আর ফেরা হল না, শুভজিতের নিথর দেহ শিলিগুড়ির মর্গে

    তিস্তা তোর্সায় বাড়ি ফিরেছেন

    এরপর স্ত্রীকে নিয়ে তপন বাবু, রেলের তরফ থেকে দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্স করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছান। তারপর সন্ধ্যের দিকে তিস্তা তোর্সা ট্রেন দেয়া হয়। সেখানে রেল দুর্ঘটনায় (Kanchanjunga Express) আহত ব্যক্তিদেরকে একসঙ্গে কলকাতার উদ্দেশে পাঠানো হয়। তবে রেল কর্তৃপক্ষ আহত ব্যক্তিদেরকে যে ট্রেনে করে ফেরানো হয়েছিল সেখানে কোনও রকম খাবারের ব্যবস্থা করেনি, এমনকি প্রাথমিক চিকিৎসারও কোনও রকম ব্যবস্থা করেনি বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তপন বাবু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sahil Chauhan: বিশ্বরেকর্ড! ২৭ বলে দ্রুততম টি-২০ সেঞ্চুরি, গেইলকে পিছনে ফেললেন এই ভারতীয়

    Sahil Chauhan: বিশ্বরেকর্ড! ২৭ বলে দ্রুততম টি-২০ সেঞ্চুরি, গেইলকে পিছনে ফেললেন এই ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড ভাঙার জন্যই তৈরি হয়। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এস্তোনিয়ান ব্যাটসম্যান সাহিল চৌহান (Sahil Chauhan) টপ-অর্ডারের পতনের পর মাত্র ২৭ বলে দ্রুততম (Fastest T20 Century) টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করে তা সঠিক প্রমাণ করেছেন। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যখন বহু দল ১০০ রান করতেই হিমসিম খাচ্ছে, চৌহান একাই সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৪৪ রান করেন ১৮টি ছক্কা মেরে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এস্তোনিয়ার হয়ে চৌহানের টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়। তিনি তাঁর প্রথম তিনটি ইনিংসে 16, 2 এবং 0 স্কোর করেন। অপরাজিত ১৪৪ রান করার আগের ম্যাচে সাইপ্রাসের বিপক্ষে তিনি শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।

    দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড সাহিলের(Sahil Chauhan) পকেটে

    এতদিন টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড ছিল ‘ইউনিভার্সাল বস’ ক্রিস গেইলের পকেটে। আইপিএলে তিনি ৩০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক টি২০-তে নামিবিয়ার ব্যাটসম্যান জান নিকোল লোফটি-ইটন দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন এতদিন। জন নিকোল লোফটি-ইটনে মাত্র ৩৩ বলে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্রুততম (Fastest T20 Century) সেঞ্চুরির রেকর্ডটি নিজের নামে করেছিলেন। পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার এবং রোহিত শর্মা ২০১৭ সালে তাদের নিজ-নিজ ৩৫ বলের সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল। এপিস্কোপিতে সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে ১৯২ রান তাড়া করতে চৌহান প্রথম ওভারে ব্যাট করতে আসেন। এসেই ছক্কা হাঁকাতে শুরু করেন তিনি। এদিন সাহিল (Sahil Chauhan) সকলের রেকর্ড এক ধাক্কায় ভেঙে চুরমার করে দিলেন।

    আরও পড়ুন: নাম ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা! ভারতীয় দলে নিজের সাপোর্ট স্টাফ বাছছেন গম্ভীর

    পঞ্চম ওভারে তৃতীয় উইকেটের পতনের পর চৌহান অলআউট আক্রমণে যান। পাওয়ারপ্লে ওভারের শেষ ওভারে তিনি মঙ্গলা গুনাসেখরাকে চারটি ছক্কা ও একটি চার মারেন। মাত্র ১৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। অন্য প্রান্তে আরেকটি উইকেট পড়েছিল কিন্তু এটি সাহিল চৌহানকে প্রভাবিত করেনি। অনায়াসে বাউন্ডারি পার করতে থাকেন। নবম ওভারে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান তিনি।

    ১৮ ছক্কা ও ৬টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ১৪৪ রান সাহিলের

    খেলার অর্ধেক পর্যায়ে, এস্তোনিয়া ৪ ইউকেটে ছিল ১৫৪। ১৩তম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে রান তাড়া শেষ করেন সাহিল। ৪১ বলে (Fastest T20 Century) তাঁর অপরাজিত ১৪৪ রান ছিল। ১৮ ছক্কা ও ৬টি চারের সাহায্যে ম্যাচ জেতান সাহিল চৌহান (Sahil Chauhan) । সাত ওভার বাকি থাকতে সাইপ্রাসকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় এস্তোনিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchanjunga Express Accident: দুই গাড়ির চালকের কাছে ছিল ‘কাগুজে অনুমতি’! কার ভুলে এমন বিপদ?

    Kanchanjunga Express Accident: দুই গাড়ির চালকের কাছে ছিল ‘কাগুজে অনুমতি’! কার ভুলে এমন বিপদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Express Accident) কারণ নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি রেল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্রে খবর, সোমবার ভোর থেকেই রাঙাপানি এবং চটের হাট অংশে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বিকল। সেকারনেই ওই অংশে ট্রেন চলাচল হচ্ছিল কাগুজে সিগন্যালে। রেলের ভাষায় যাকে বলে পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট। রেলকর্মীদের একাংশের মতে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া মালগাড়ির চালক সিগন্যাল মানেননি। যার ফলেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। 

    দুই গাড়ির চালকের কাছে ছিল ‘কাগুজে অনুমতি’

    আগেই জানা গিয়েছিল যে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে (Kanchanjunga Express Accident) ‘টিএ ৯১২’ অর্থাৎ ম্যানুয়াল মেমো দেওয়া হয়েছিল। তবে রেল সূত্রে খবর, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের মতোই মালগাড়ির চালককেও ‘টিএ ৯১২’ কাগজ দেওয়া হয়েছিল। তাতেই উল্লেখ ছিল, কোন কোন সিগন্যাল ভেঙে গাড়ি চালাতে পারবেন চালক। কোথা থেকে কতটা অবধি এই ছাড়পত্র কার্যকর থাকবে, তারও উল্লেখ ছিল। মালগাড়ির দুই চালক ও গার্ডের কাছেও ছিল সেই ছাড়পত্র। সেই ছাড়পত্রে রাঙাপানি থেকে চটের হাট পর্যন্ত মোট ৯টি লাল সিগন্যাল ভাঙার অনুমতি ছিল মালগাড়ির চালকের কাছে।

    আরও পড়ুন: অভাবনীয় অঘটন! স্লোভাকিয়ার কাছে ০-১ ব্যবধানে হার বেলজিয়ামের

    দুর্ঘটনার পিছনে উঠে আসছে রেলের চূড়ান্ত গাফিলতির ছবি

    জানা গিয়েছে, যে মালগাড়িটি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা (Kanchanjunga Express Accident) মারে, সেই মালগাড়িটি মোট ৪টি সিগনাল ফেল করেছে। যার মধ্যে দুটি ছিল রেড সিগন্যাল। অন্যদিকে রাঙাপানি স্টেশন থেকে পেপার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে। সেই অনুযায়ী কাঞ্চনজঙ্ঘা রাঙাপানি স্টেশন থেকে ছেড়ে জলপাইগুড়ি স্টেশনের দিকে এগোচ্ছিল। আর তখনই সিগন্যাল ভেঙে চলা মালগাড়ির সঙ্গে ঘটে দুর্ঘটনা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি দোষ ছিল তাঁর? যদি মালগাড়ির চালকের কাছে কাগুজে অনুমতি থাকে তবে গলদ কোথায় ছিল?

    এই দুর্ঘটনায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা (Kanchanjunga Express Accident) মারে মালগাড়িটি। মালগাড়ির ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছন দিকের ২টি পারসেল কামরা ও একটি যাত্রীবাহী কামরা (গার্ড কোচ) লাইনচ্যুত হয়ে যায়। একটি কামরা সোজা মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায়। কিন্তু দুটি ট্রেনের কাছেই যদি কাগজে লেখা অনুমতি থাকে, এবং তারা তা মেনেই চালিয়ে থাকেন, তাহলে এই দায় কার? রয়ে যাচ্ছে ধোঁয়াশা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Nuclear Missiles: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে, বলছে রিপোর্ট

    India Nuclear Missiles: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের (India Nuclear Missiles) হাতে। অন্তত এমনই দাবি সুইডেনের বিশেষজ্ঞ সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (SIPRI)। এর আগে বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল পাকিস্তানের হাতে রয়েছে বেশি সংখ্যক পরমাণু অস্ত্র (Weapon Systems)। সুইডেনের সংস্থার রিপোর্টে ভিন্ন সুর।

    কী বলছে রিপোর্ট? (India Nuclear Missiles)

    সোমবার সংস্থার তরফে প্রকাশ করা হয় রিপোর্টটি। তাতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের হিসেবে ভারতের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ১৭২টি। পাকিস্তানের চেয়ে দুটি বেশি। পাকিস্তানের চেয়ে ভারত এক ধাপ এগিয়ে রইলেও, ঢের পিছিয়ে রয়েছে চিনের চেয়ে। সুইডিশ ওই সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে চিনের হাতে (India Nuclear Missiles) ৪১০টি পরমাণু অস্ত্র থাকলেও, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৫০০। অথচ ২০১৮ সালে বেজিংয়ের হাতে ২৮০টি পরমাণু অস্ত্র ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল এই সংস্থার রিপোর্টেই।

    কার হাতে কতগুলি পারমাণবিক অস্ত্র

    সুইডিশ এই সংস্থার রিপোর্টেই রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইজরায়েল এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সংস্ক্রান্ত তথ্য। রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বিশ্বে অন্তত ২ হাজার ১০০টি পরমাণু অস্ত্রকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে, তাতে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এদের সিংহভাগই বিশ্বের অন্যতম দুই বৃহৎ শক্তিধর দেশ – আমেরিকা ও রাশিয়ায়। অন্যতম শক্তিধর দেশ চিনও কয়েকটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রকে হাই অপারেশনাল সতর্কতায় রেখেছে বলেও দাবি সুইডিশ সংস্থার ওই রিপোর্টে।

    আর পড়ুন: জয়ের পর আজ প্রথম বারাণসীতে মোদি, আর্থিক সাহায্য ৯.২৬ কোটি কৃষককে

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শ্যেনদৃষ্টি ভারতের নিউক্লিয়ার ডিপার্টমেন্টের ওপর। ভারত দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর (Weapon Systems) ওপর জোর দিচ্ছে। সেই সব অস্ত্রের পাল্লা এমন করার চেষ্টা চলছে, যাতে গোটা চিনই চলে আসতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায়। সুইডিশ থিঙ্কট্যাঙ্ক জানিয়েছে, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া রাশিয়া ও আমেরিকার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে ভারত। বহুমুখী ব্যালিস্টিক মিসাইল মোতায়েনের ওপরও জোর দিচ্ছে তারা। বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে চিন ওয়্যারহেডস ওয়েপন বানাচ্ছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় (India Nuclear Missiles)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share