Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi: পিএলআই প্রকল্প-এমএসএমইতে কর্মসংস্থানের দিশা থাকবে মোদি সরকারের বাজেটে?

    PM Modi: পিএলআই প্রকল্প-এমএসএমইতে কর্মসংস্থানের দিশা থাকবে মোদি সরকারের বাজেটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে কিছুদিন আগেই। নির্বাচনের কারণে পেশ হয়েছিল ভোট অন অ্যাকাউন্ট। ইতিমধ্যেই শপথ নিয়েছে নয়া সরকার। বাদল অধিবেশনে পেশ হবে পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তারই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। এটি মোদি সরকারের (PM Modi)  তৃতীয় টার্ম।

    বাজেটে দিশা (PM Modi)

    দেশবাসীর আশা অনেক। এই বাজেটে খেলনা, আসবাবপত্র, জুতো তৈরি, টেক্সটাইলের বিভিন্ন ক্ষেত্রের পাশাপাশি এমএসএমই-র ওপর জোর দেওয়া হবে বলে আশা। উদ্দেশ্য হল, মহিলাদের রোজগার বাড়ানো এবং পরিকাঠামোর উন্নয়ন। নির্বাচন চলাকালীনই গত মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে সরকার গড়ার পর প্রথম একশো দিনে কী কী কাজ করা হবে, তার রোডম্যাপও তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০৩০ সালের মধ্যে মোদি সরকার যাতে লক্ষ্য পূরণ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। এবার বাজেটে এসবেরই দিশা থাকতে পারে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের (PM Modi)।

    মধ্যবিত্তদের সুবিধা!

    মধ্যবিত্তদের কীভাবে আরও সুবিধা দেওয়া যায়, সেদিকেও দৃষ্টি রয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের। কেবল ট্যাক্সে ছাড়ই নয়, হাউজিং লোন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সুদের হার কীভাবে কমানো যায়, সেই বিষয়টি নিয়েও ভাবছেন তিনি। এই বিষয়গুলিতে প্রাথমিকভাবে জোর দেওয়া হবে। যদিও এ ব্যাপারে ডিটেইলড কোনও তথ্য মেলেনি। বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ফিরে কী নির্দেশ দেন, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে অর্থমন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: “যত বড়ই আধিকারিক হন, ছাড়া পাবেন না”, নিট বিতর্কে বার্তা শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের

    জানা গিয়েছে, প্রাক-বাজেট পরামর্শ-পর্ব শুরু হবে চলতি সপ্তাহেই। তবে আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই কিছু গ্রাউন্ড ওয়ার্ক সেরে নিয়েছেন। এই আধিকারিকদেরই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নয়া সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রথম একশো দিনে কী কী কাজ হবে। বুধবার এবং জুনের ২৫ তারিখের মধ্যে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মিলিত হতে পারেন সীতারামণ। শনিবার তিনি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন, জানতে চাইবেন বাজেট নিয়ে তাঁদের আশা-আকাঙ্খার কথা। ছোটখাট ব্যবসায়ীদের উন্নতিকল্পে এমএসএমই প্যাকেজ তৈরি হতে পারে। কর্মসংস্থানের পরিমাণ এবং গুণমান কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, এবারের বাজেটে থাকতে পারে সেই হদিশও (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Autistic Pride Day 2024: খেলনা পছন্দ নয়, ডাকলেও সাড়া দিচ্ছে না! সন্তানের এমন আচরণ কেন জানেন?

    Autistic Pride Day 2024: খেলনা পছন্দ নয়, ডাকলেও সাড়া দিচ্ছে না! সন্তানের এমন আচরণ কেন জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীরের পাশপাশি মানসিক বিকাশ জরুরি। তাই শিশুদের শরীরের সুস্থতার খেয়াল রাখার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শিশুর বয়স মাস ছয়েক হলেই তার মানসিক স্বাস্থ্য আর আচরণে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবে, অনেক ক্ষেত্রে মা-বাবা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যথেষ্ট সচেতন নয়। আর তার জেরেই অনেক সময় শিশুকে নানান জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়।

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত কয়েক দশকে বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে অটিস্টিক সমস্যা (Autistic Pride Day 2024)। কিন্তু সমস্যার অনুপাতে সচেতনতা বাড়েনি। তাই ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, অটিস্টিক এক ধরনের আচরণগত সমস্যা। এই সমস্যা পুরোপুরি কমে না। কিন্তু ঠিক সময়ে সমস্যা নির্ণয় হলে দ্রুত নানান থেরাপি করানো‌ যায়। তার জেরে আচরণগত ত্রুটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। শিশু স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশু অটিস্টিক কিনা, তা নির্ণয় করতেই পরিবারের অনেক দেরি হয়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অসচেতনতা এই সমস্যার প্রধান প্রতিবন্ধকতা।

    কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান অটিস্টিক? (Autistic Pride Day 2024)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ দেখে বোঝা যায়, শিশুর অটিজমের মতো আচরণগত সমস্যা রয়েছে কিনা। ন’মাসের বেশি বয়সের শিশুকে নাম ধরে বারবার ডাকার পরেও কোনও সাড়া না দিলে বুঝতে হবে, শিশুর বিকাশে সমস্যা রয়েছে। সেটা অটিজম হতে পারে। 
    এক বছর বয়সেও শিশুর খেলার প্রতি অনাগ্রহ অটিজমের অন্যতম লক্ষণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুরা খেলার সময় নানা জিনিস কল্পনা করে। পাশপাশি বড়দের নকল করেও নানান খেলাধু্লো করে। অটিজমে আক্রান্ত হলে এই কল্পনাশক্তি থাকে না। নকল করার ক্ষমতাও থাকে না। তাই তাদের খেলনার প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকে না। তাই এক বছর বয়সী কোনও শিশু কখনই খেলার প্রতি আগ্রহ না দেখালে পরিবারকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পরিবারের কেউ বাইরে গেলে কিংবা কোনও অতিথি বাড়ি থেকে‌ যাওয়ার সময় বিদায় জানায়। বিশেষ করে, শিশুরা পাল্টা বিদায় জানায় (Child Behaviour)। এটা শিশুদের খুব স্বাভাবিক আচরণ। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অটিজমের সমস্যা থাকলে শিশুরা বিদায় জানাতে পারে না।‌ হাত নাড়িয়ে বিদায় জানানো রপ্ত করতেও পারে না। তাই পাল্টা বিদায় জানানোর অভ্যাস একেবারে না তৈরি হলেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 
    শিশু অটিজম আক্রান্ত হলে কখনই সরাসরি চোখের দিকে তাকাবে না‌। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই আট-ন’মাস বয়স থেকে শিশু পরিবারের সদস্যদের মুখের দিকে কিংবা চোখের দিকে তাকিয়ে হাসছে কিনা, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি বলেও জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    অটিজমে (Autistic Pride Day 2024) আক্রান্ত শিশুদের আরেকটি লক্ষণ নতুন খেলনার প্রতি অনাগ্রহ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময় দেখা যায়, অটিস্টিক শিশু একটা নির্দিষ্ট খেলনা নিয়েই খেলে। একটি নির্দিষ্ট ভাবে এক লাইনে খেলনা সাজিয়ে রাখতে চায়। একটু এদিক-ওদিক হলেই বড্ড অস্থির হয়ে পড়ে‌। বিশেষত বছর দেড়েক বয়সের পরেও যদি শিশু নতুন খেলনায় একেবারেই আগ্রহ না পায়, তাহলে তার আচরণগত ত্রুটি আছে কিনা, তা যাচাই করা জরুরি। 
    শিশুর বয়স ৩৬ মাস হলেও সে যদি কোনও ধরনের খেলায় অংশগ্রহণ না করে বা আকর্ষিত না হয়, তাহলে সেটা অটিজমের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। 
    বছর চারেকের শিশু গান-নাচের প্রতি একেবারেই আকর্ষিত না হওয়া কিংবা নকল করার একদম চেষ্টা না করা অটিজমের অন্যতম লক্ষণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Autistic Pride Day 2024)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর অটিজম রয়েছে কিনা, তা যাচাই করা প্রথম কাজ। তাই এমন কিছু লক্ষণ দেখা গেলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে  শিশুর অটিজম আছে কিনা নিশ্চিত হওয়া দরকার। পাশপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, অটিজমের নানান পর্যায় রয়েছে‌‌। নির্দিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, শিশুর অটিজম কোন পর্যায়ে রয়েছে। প্রত্যেক পর্যায়ের জন্য আলাদা ধরনের থেরাপি রয়েছে। দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে থেরাপি দ্রুত শুরু করা যায়। আর শিশুর পাশপাশি অভিভাবকদের জন্যও রয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ। যাতে তাঁরা শিশুর জীবন যাপন সহজ করতে পারেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, অযথা ভয় পাওয়ার দরকার নেই। সচেতনতাই শিশুকে সুন্দর জীবন (Autistic Pride Day 2024) দিতে পারবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 49: “কামিনী-কাঞ্চনের ঝড় তুফানগুলো কাটিয়ে গেলে তখন শান্তি”

    Ramakrishna 49: “কামিনী-কাঞ্চনের ঝড় তুফানগুলো কাটিয়ে গেলে তখন শান্তি”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    কামিনী-কাঞ্চনই যোগের ব্যাঘাত–সাধনা ও যোগতত্ত্ব

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে বিরাজ করিতেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ই ভাদ্র ১২৮৯), শ্রাবণ-শুক্লা দশমী তিথি, ২৪ শে অগস্ট ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দ।

    আজকাল ঠাকুরের কাছে হাজরা মহাশয়, রামলাল, রাখাল প্রভৃতি থাকেন। শ্রীযুক্ত রামলাল ঠাকুরের ভ্রাতুস্পুত্র,–কালীবাড়িতে পূজা করেন। মাস্টার আসিয়া দেখিলেন উত্তর-পূর্বের লম্বা বারন্দায় ঠাকুর হাজরার নিকট দাঁড়াইয়া কথা কহিতেছেন। তিনি আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া ঠাকুরের শ্রীপাদপদ্ম বন্দনা করিলেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) সহাস্যবদন। মাস্টারকে বলিতেছেন, আর দু-একবার ঈশ্বর বিদ্যাসাগরকে দেখাবার প্রয়োজন। চালচিত্র একবার মোটামুটি এঁকে নিয়ে তারপর বসে বসে রঙ ফলায়। প্রতিমা প্রথমে একমেটে, তারপর দোমেটে, তারপর খড়ি, তারপর রঙ-পরে পরে করতে হয়। ঈশ্বর বিদ্যাসাগরের সব প্রস্তুত কেবল চাপা রয়েছে। কতগুলি সৎকাজ করছে, কিন্তু অন্তরে কি আছে তা জানে না, অন্তরে সোনা চাপা রয়েছে। অন্তরে ঈশ্বর আছেন,–জানতে পারলে সব কাজ ছেড়ে ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকতে ইচ্ছা হয়।

    ঠাকুর মাস্টারের সঙ্গে দাঁড়াইয়া কথা কহিতেছেন—আবার কখন কখন বারন্দায় বেড়াইতেন।

    সাধনা–কামিনী-কাঞ্চনের ঝড়তুফান কাটাইবার জন্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—অন্তরে কি আছে জানবার জন্য একটু সাধন চাই।

    মাস্টার—সাধন কি বারবার করতে হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না, প্রথমটা একটু উঠে পড়ে লাগতে হয়। তারপর আর বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। যতক্ষণ ঢেউ, ঝড়, তুফান আর বাঁকের কাছ দিয়ে যেতে হয়, ততক্ষণ মাঝির দাঁড়িয়ে হাল ধরতে হয়,–সেইটুকু পার হয়ে গেলে আর না। যদি বাঁক পার হল আর অনুকুল হাওয়া বইল, তখন মাঝি আরাম করে বসে, হালে হাতটা ঠেকিয়ে রেখে,–তারপর পাল টাঙাবার বন্দোবস্ত করে তামাক সাজতে বসে। কামিনী-কাঞ্চনের ঝড় তুফানগুলো কাটিয়ে গেলে তখন শান্তি।

    আরও পড়ুনঃ “হিন্দুরা জল খাচ্ছে একঘাটে বলছে জল; মুসলমানরা আর-এক ঘাটে খাচ্ছে বলছে পানি”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বারের পিছনে লুকিয়ে কোন ইতিহাস?

    Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বারের পিছনে লুকিয়ে কোন ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার ধামের অন্যতম হল পুরীর জগন্নাথ ধাম। পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) নিয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। এই মন্দিরে প্রবেশের চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। কথিত আছে চারটি গেট চারটি প্রাণীর প্রতিনিধিত্ব করে এবং এই গেটের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কিছু বিশেষ তাৎপর্য। জগন্নাথ ধাম প্রবেশের এই চার দুয়ার হল- ‘সিংহ দুয়ার’,’অশ্ব দুয়ার’,’ব্যাঘ্র দুয়ার’ ও ‘হস্তি দুয়ার’। 

    আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক এই চার দুয়ারের তাৎপর্য – (Significance Of Entrance Gates) 

    ১) পূর্ব দুয়ার বা সিংহ দুয়ার-  এই গেটটি শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশের প্রধান দরজা। পৃথিবীতে গুণ প্রচারের জন্য সিংহকে ভগবানের একটি বিশেষ অবতার বলে মনে হয়। আর সূর্য পূর্ব দিক থেকে উদিত হওয়ার কারণে মন্দিরের পূর্ব দিকের গেটটিই সিংহ দুয়ার নামে পরিচিত। এই সিংহ দুয়ার প্রধানত ভক্তি বা মোক্ষ লাভের দুয়ার হিসাবে পরিচিত।  
    ২) পশ্চিম দুয়ার বা ব্যাঘ্র দুয়ার-  বাঘ হল ইচ্ছার প্রতীক। জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের পশ্চিম গেটে বাঘের মূর্তি রয়েছে। এই গেট দিয়ে সাধারনত সাধু ও বিশেষ ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করেন। 
    ৩) উত্তর দুয়ার বা হস্তি দুয়ার- হাতিটিকে সম্পদের দেবী মহা লক্ষ্মীর বাহন হিসাবে গণ্য করা হয়। তাই সম্পদের প্রতীক হিসাবে, মন্দিরের উত্তর গেটে হাতির প্রতীক ছিল। কথিত আছে, এই দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলে ধনসম্পদে ভরে ওঠে ভক্তের ঘর। জানা গিয়েছে  হস্তি দুয়ারের প্রতি পাশে একটি করে হাতির বিশাল মূর্তি ছিল, যা মুঘল আক্রমণের সময় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে, এই হস্তি দুয়ার মেরামত করে প্লাস্টার করা হয়েছিল। এই দরজা দিয়ে মূলত ঋষি ও বিশেষ ভক্তরা প্রবেশ ও প্রস্থান করেন। 
    ৪) দক্ষিণ দুয়ার বা অশ্ব দুয়ার- জগন্নাথ ধামে দক্ষিণের প্রবেশ দ্বার বিজয়ের রাস্তা হিসাবে পরিচিত। এই প্রবেশদ্বারের বাইরে দুটি ছুটন্ত ঘোড়ার মূর্তি রয়েছে। প্রাচীনকালে সম্রাটরা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য প্রভুর আশীর্বাদ নিতে এই দরজা দিয়ে মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশ করতেন। কথিত আছে, এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে কামের অনুভূতি কেটে যায়। এখানে একাধিক দেবতার প্রতীক রয়েছে। লোকনাথ, ঈশানেশ্বর, পরশুনাথ, ধবলেশ্বর, লক্ষ্মী নৃসিংহ ও তপস্বী হনুমানের প্রতীক রয়েছে এই দরজায়।

    আরও পড়ুন: ওষুধ-টাকা নিঃশেষিত! আবহাওয়া খারাপ, সোমে হচ্ছে না সিকিমে আটক পর্যটকদের উদ্ধারকার্য

    উল্লেখ্য, দ্বাদশ শতকের এই মন্দিরে একসময় চারটি প্রবেশদ্বারই খোলা থাকত। তবে নিয়ম বদলায় কোভিড অতিমারি শুরু হলে। কারন তৎকালীন সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিমারির সময় থেকেই মন্দিরের তিনটি দরজা বন্ধ করে দেয়। খোলা ছিল একটি মাত্র দরজা। সেই একটি মাত্র দুয়ার দিয়েই ভক্তরা মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশ করতে পারতেন। কিন্তু কভিড পরবর্তী সময়ে সব কিছু স্বাভাবিক হলেও এতদিন পর্যন্ত সেই নিয়মই বহাল ছিল। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছিলেন ভক্তরা। তবে সম্প্রতি নতুন সরকার আশায় মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি মন্দিরের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Accident: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    Rail Accident: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে এনজেপির কাছে রাঙাপানি  রেল স্টেশন এলাকায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের কামরায় পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি সজোরে এসে ধাক্কা মারে। যার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বেসরকারি সূত্রে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬০ জন। তবে রেল সূত্রে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আট। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির চালক মৃত।বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি (Rail Accident) ঘটে এনজেপি থেকে রাঙাপানির কাছে ১১ কিলোমিটারের মধ্যে। ঘটনাস্থলে রেলের পদস্থ কর্তারা ইতিমধ্যে পৌঁচ্ছে গিয়েছেন। যে লাইনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগের প্রধান লাইন সেটাই। ফলে, আপাতত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

    কী ভাবে এই দুর্ঘটনা? (Rail Accident)

    সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়েই রওনা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সকাল ন’টার কিছু পরে রাঙাপানি স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বেরিয়ে যাওয়ার সময় পিছন থেকে একটি মাল গাড়ি এসে ধাক্কা মারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।  কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এর দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। মালগাড়ির লোকো পাইলট ভিতরে আটকে পিষ্টঅবস্থায় আটকে রয়েছে। রেল সূত্রে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় মানুষরা উদ্ধারকার্যে এগিয়ে এসেছেন। রেলের পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা সেই নিয়ে এখনও তাঁরা কিছু  বলা পারছেন না। একই লাইনে দুটি ট্রেন কিভাবে এল এটা নিয়ে সকলেরই প্রশ্ন।

     কী পরিস্থিতি?

    এদিন সকাল  বৃষ্টি থাকায়  উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার জেরে কলকাতা – শিলিগুড়ির  সহ  দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একটি কামরা লাইন থেকে ওপরের দিকে উঠে রয়েছে। তার নীচে ঢুকে রয়েছে মালগাড়ির ইঞ্জিন। বৃষ্টি সেই সঙ্গে লাগোয়ায় জমা জলে পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে ওঠে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেন থেকে ছিটকে যাওয়া কামরাদু’টি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। এলাকায় বৃষ্টিও চলছে। অনেকে ছাতা মাথায় দিয়ে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

    শিয়ালদা স্টেশনে রেলের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম

    রেল দুর্ঘটনার (Rail Accident) পর পরই যাত্রীর পরিবারের লোকজনের সহযোগিতার জন্য রেলের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যাত্রীদের পরিবারের লোকজন শিয়ালদা স্টেশনে ভিড় করা শুরু করেছেন। যাত্রীদের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, দুর্ঘটনায় কতজন মারা গিয়েছেন। জখম কতজন হয়েছেন। তা আমরা জানতি পারিনি। চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তিনি যখন রাজভবনে, তখন হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। মাহেশ্বরী সদনে ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ শোনেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ করেন কয়েকজন ঘরছাড়া।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Post Poll Violence)

    কেন্দ্রীয় এই দলটি তৈরি করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই দলে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং বিজেপি সাংসদ কবিতা পতিদার। বিমানবন্দর থেকে (Post Poll Violence) তাঁরা সটান চলে আসেন মাহেশ্বরী সদনে। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, তমোঘ্ন ঘোষ। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা ঘরছাড়াদের জানান, শিশু থেকে মহিলা কাউকে ছাড়ছে না তৃণমূলের গুন্ডারা।

    নির্বাচনোত্তর হিংসা

    নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে যে মানুষ ভোট দেওয়ার পর ঘরে যেতে পারছেন না? আমাদের এক কার্যকর্তার ভাইকে খুন করে ফেলেছে। এখন তাঁকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক কর্মীরা রয়েছেন, তাঁরা ইদ পালন করতে যেতে পারছেন না। মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে?”

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    এদিকে, বিজেপির এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ডায়মন্ড হারবার ও জয়নগরে যাওয়ার কথা তাদের। মঙ্গলবার ওই দলের সদস্যরা যাবেন কোচবিহারে। দিল্লি ফিরে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। বিপ্লব বলেন, “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাগাতে এসেছি।” তিনি বলেন, “গত ১২-১৩ বছর ধরে তাঁর ঘুমই ভাঙছে না।” ত্রিপুরার প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির লিগ্যাল সেল ঘরছাড়াদের পাশে থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত।” তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে, তাহলে দিল্লি থেকে বিজেপির প্রতিনিধিদলের বাংলায় আসার প্রয়োজন হয় না (Post Poll Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের জন্য রাজভবনের দরজা খোলা থাকলেও, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সেই দরজা বন্ধ।’ অন্তত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে একথা জানিয়েছেন বলেই দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন এবার তিনি পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের বাঁচানোর জন্য কঠিন পদক্ষেপ করবেন।” তিনি বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, রাজভবনের দরজা ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের জন্য সব সময় খোলা রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর জন্য তা বন্ধ।” ঘাটাল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্ত হয়েছেন শাসক দলের বহু কর্মী-সমর্থক। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকে এমনতর অভিযোগ করে আসছেন বিরোধীরা। এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের আক্রান্ত বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ১১৫জনকে নিয়ে রাজভবনে যান। দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে।

    বিজেপি নেতার দাবি

    রাজ্যপালের সঙ্গে আক্রান্তদের নিয়ে শুভেন্দুর দেখা করার সময় উপস্থিত ছিলেন এক বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল আমাদের সঙ্গে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। পুলিশ ও শাসকদল কীভাবে রাতের অন্ধকারে ঢুকে বাড়ির মহিলা ও বাচ্চাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে, তা শুনেই রাজ্যপাল আক্রান্তদের জন্য রাজভবনের দরজা খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায়ই রাজ্যপাল তাঁর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ করার কথাও বলেছেন।”

    আরও পড়ুন: “হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না”, সাফ জানালেন এনসিইআরটি কর্তা

    এদিন ১০-১২ মিনিট ধরে রাজ্যপালকে সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা জানান শুভেন্দু। অভিযোগের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় নথি, ভিডিও ফুটেজ, স্টিল ছবিও তুলে দেন রাজ্যপালের হাতে। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিচারব্যবস্থা বেঁচে আছে বলেই কেষ্ট মণ্ডল, হেমন্ত সোরেন, কেজরিওয়ালের মতো ডাকাতরা জেলের ভিতরে রয়েছেন। বিচারব্যবস্থা বেঁচে আছে বলেই, আমি লড়াই করে আবার আজ আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে এসে দেখা করলাম সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • NCERT: “হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না”, সাফ জানালেন এনসিইআরটি কর্তা

    NCERT: “হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না”, সাফ জানালেন এনসিইআরটি কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঘৃণা এবং হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এসব বিষয়ে আলোকপাত করাও উচিত নয়।” কথাগুলি বললেন এনসিইআরটির (NCERT) প্রধান। প্রসঙ্গত, এনসিআরটির নয়া পাঠ্যপুস্তকে দ্বাদশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বাবরি মসজিদ নামটির উল্লেখ নেই বলে অভিযোগ। বইটিতে বাবরি মসজিদকে তিন গম্বুজওয়ালা কাঠামো বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এনিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। এহেন আবহে মুখ খুললেন এনসিইআরটির (NCERT) প্রধান দীনেশ প্রসাদ সাকলানি।

    শিক্ষায় সংস্কার (NCERT)

    তিনি বলেন, “আমরা কি আমাদের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে শিক্ষা দেব যাতে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে? সমাজে ঘৃণার সৃষ্টি করে বা ঘৃণার শিকার হয়? এটাই কি শিক্ষার উদ্দেশ্য?” তিনি বলেন, “আমাদের কি এই রকম ছোট বাচ্চাদের দাঙ্গা সম্পর্কে শেখানো উচিত…তারা যখন বড় হবে, তখন এটি সম্পর্কে এমনই জানতে পারবে। তাহলে স্কুলের পাঠ্যপুস্তক থেকে জানার দরকার কেন?” এনসিআরটির সিলেবাস অনুসরণ করা হয় ৩০ হাজার স্কুলে।

    এনসিইআরটি

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের অনুমোদিত এই সব স্কুলে ওই পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। শিক্ষায় গৈরিকীকরণের যে অভিযোগ বিরোধীরা করছেন, তাও নস্যাৎ করে দিয়েছেন সাকলানি। তিনি বলেন, “শিশুরা বড় হওয়ার পর জানতে পারবে কী ঘটেছে, কেনই বা ঘটেছে। এই রদবদল নিয়ে সরব হওয়া একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যদি রাম মন্দির, বাবরি মসজিদ বা রাম জন্মভূমির পক্ষে রায় দিয়ে থাকে, তা কি আমাদের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়? তাতে সমস্যা কী?”

    আরও পড়ুন: এবার কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও চালু হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি দর্শন

    সাকলানি বলেন, “স্কুলের পাঠ্যবইয়ে দাঙ্গা নিয়ে কী শিক্ষা দেওয়া উচিত? আমরা পজিটিভ নাগরিক সৃষ্টি করতে চাইছি। হিংসা ও হতাশ ব্যক্তিত্ব তৈরি নয়। এর পরেই তিনি বলেন, আমাদের কী এমনভাবে শিক্ষা দেওয়া উচিত যাতে করে সমাজে ঘৃণা ছড়ায় কিংবা আমাদের শিশুরা ঘৃণার শিকার হয় এটাই কি শিক্ষার লক্ষ্য (NCERT)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 17 June 2024: সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা

    Daily Horoscope 17 June 2024: সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। সতর্ক থাকুন।

    ২) নানা বিষয়ে সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে আজকে।

    বৃষ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে।

    মিথুন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে। কাউকে টাকা ধার দেবেন না।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    সিংহ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    কন্যা

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হতে পারে।

    তুলা

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ হতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ করবেন না।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি। নিজের দিকে খেয়াল দিন।

    ধনু

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে। পকেট সাশ্রয়ী হোন।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    মকর

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে। এতে উত্তেজিত হবেন না।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।

    কুম্ভ

    ১) রক্তহীনতা বাড়তে পারে। ডাক্তারের কাছে যান।

    ২) কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ।

    মীন

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir Train Services: ভূস্বর্গে চেনাব সেতুর ওপর দিয়ে ছুটবে ট্রেন, কবে জানেন?

    Jammu Kashmir Train Services: ভূস্বর্গে চেনাব সেতুর ওপর দিয়ে ছুটবে ট্রেন, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে চেনাব নদীর ওপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু। এই সেতুর উচ্চতা ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের চেয়েও বেশি। বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য বলেই পরিচিত এই (Jammu Kashmir Train Services) সেতু। সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলেও, শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল। তবে এবার হবে।

    রিয়াসি পর্যন্ত চলবে ট্রেন

    জানা গিয়েছে, রামবান থেকে রিয়াসি পর্যন্ত ছুটবে ট্রেন। সেই ট্রেনই যাবে চেনাব নদীর ওপর নব নির্মিত এই সেতুর ওপর দিয়ে। বর্তমানে কন্যাকুমারী থেকে কাটরা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করে। ট্রেন চলাচল করে বারামুল্লা থেকে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গলদান পর্যন্ত। রিয়াসির ডেপুটি কমিশনার বিশেষ মহাজন সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “আধুনিক বিশ্বের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিস্ময় এই সেতু। যেদিন ট্রেন রেইসিতে পৌঁছবে, সেটা হবে এই জেলার জন্য একটা গেম চেঞ্জিং ডে। আমাদের জন্য এটি একটি গর্বিত মুহূর্ত। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা এই বিস্ময়কর সেতুটি নির্মাণ করেছেন। এটি বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য। সেতু, বাতাসের গতি এবং এর মজবুতি বিস্ময়কর।”

    কবে চলবে ট্রেন?

    তিনি বলেন, “ঠিক কবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে, সেই দিনক্ষণ বলতে পারব না। তবে আমি আশা করি, খুব শীঘ্রই দিন ঘনিয়ে আসছে। রেলের আধিকারিকরা নয়া রেললাইন পরীক্ষা করেও দেখেছেন। রামবান জেলার সাঙ্গালদান জেলার এবং রিয়াসির বিভিন্ন স্টেশনও ঘুরে দেখেছেন তাঁরা।” কোঙ্কন রেলওয়ের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়র সুজয় কুমার বলেন, “প্রজেক্টটি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই প্রজেক্টের জেরে যাঁরা অ্যাফেকটেড হয়েছিলেন, তাঁরাও খুব খুশি। আমরা আশা করি, সব কিছু খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুন: এবার কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও চালু হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি দর্শন

    জানা গিয়েছে, উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্ক প্রকল্পটি শেষ হবে চলতি বছরের শেষের দিকে। ৪৮.১ কিলোমিটার দীর্ঘ বানিহাল-সাঙ্গালদান বিভাগ সহ উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্ক প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হয়েছিল এই প্রকল্পের। প্রসঙ্গত, চেনাব নদীর ওপর অবস্থিত সেতুটির উচ্চতা ৩৫৯ মিটার। আইফেল টাওয়ারের চেয়ে প্রায় ৩৫ মিটার বেশি উঁচু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার (Jammu Kashmir Train Services)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share