Tag: Bengali news

Bengali news

  • Eastern Railway: ট্রেনের টয়লেটে বের হবে না দুর্গন্ধ! নয়া ডিভাইস বসছে হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনে

    Eastern Railway: ট্রেনের টয়লেটে বের হবে না দুর্গন্ধ! নয়া ডিভাইস বসছে হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক্সপ্রেস ট্রেনে টয়লেটের অব্যবস্থা নিয়ে অনেকবার যাত্রীরা অভিযোগ করে থাকেন। এবার সেই সমস্যা অনেকটাই মিটতে চলেছে। এবার ফুরফুরে হবে ট্রেনের টয়লেট। বের হবে না দুর্গন্ধ। এমনই উদ্যোগ নিয়ে ভারতীয় রেল। পূর্ব রেলের (Eastern Railway) ট্রেনের টয়লেটে বিশেষ ধরনের ডিভাইস যুক্ত করা হচ্ছে। এর আগে মুম্বই জোনের ট্রেনের টয়লেটে এই ধরনের ডিভাইস চালু ছিল। সেখানে সফল হওয়ার পর এবার পূর্ব রেলও এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। নতুন এই ডিভাইসের নাম দেওয়া হয়েছে গন্ধভেদ (আইওটি ভিত্তিক রিয়েল টাইম হাইজিন মনিটরিং সিস্টেম)। হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে কাজ করবে এই ডিভাইস? (Eastern Railway)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য রেলওয়ের (মুম্বই জোন) কয়েকটি স্টেশন টয়লেটে এই সিস্টেম চালু করা হয়েছিল। সেখানে সফল হওয়ার পর, রেলওয়ে (Eastern Railway) বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী পূর্ব রেলের একাধিক ট্রেনে নতুন এই উদ্যোগ কার্যকরী হতে চলেছে। হাওড়া ডিভিশনের ৩টি ট্রেন, শিয়ালদা ডিভিশনের ৩টি ট্রেন, আসানসোল ডিভিশনের ২টি ট্রেন এবং মালদা ডিভিশনের ২টি ট্রেনে গন্ধভেদ ডিভাইস পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে চলেছে। এই ডিভাইসের মাধ্যমে ট্রেনের শৌচাগারটি কী পরিস্থিতিতে রয়েছে সেটা পর্যালোচনা করবে। সেই অনুসারে সংকেত পাঠানো হবে। সাফাইকর্মীর কাছে সেই সংকেত যাবে। সেই অনুসারে সাফাই কর্মীরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    গন্ধভেদ ডিভাইসে কী কী সেন্সর রয়েছে জানেন?

    রেল (Eastern Railway) সূত্রে জানা গিয়েছে, যন্ত্রটিতে ব্যবহৃত গন্ধ সেন্সর অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড, মিথেন, ট্রাইমিথাইল অ্যামাইন, মিথাইল মারক্যাপ্টান, ইথানল ইত্যাদি শনাক্ত করে। আরেকটি সেন্সর টোটাল ভোলাটাইল অর্গানিক যৌগ শনাক্ত করে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সমানভাবে ক্ষতিকর। জীবাণুনাশক ও এয়ার ফ্রেশনারের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ শনাক্ত করার সেন্সরও রয়েছে ডিভাইসটিতে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টয়লেটে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা সনাক্ত করা অপরিহার্য। ‘গন্ধভেদ’ যন্ত্রটি এই প্যারামিটারগুলিও পর্যবেক্ষণ করবে। পরীক্ষায় সফল হওয়ার পরে, ট্রেনের শৌচাগারগুলির স্বয়ংক্রিয় স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য পূর্ব রেলওয়েতে ধীরে ধীরে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 31: “না গো! নোনা জল কেন? তুমি অবিদ্যার সাগর নও, তুমি যে বিদ্যার সাগর, তুমি ক্ষীরসমুদ্র!”

    Ramakrishna 31: “না গো! নোনা জল কেন? তুমি অবিদ্যার সাগর নও, তুমি যে বিদ্যার সাগর, তুমি ক্ষীরসমুদ্র!”

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণকে বিদ্যাসাগরের পূজা ও সম্ভাষণ

    ঠাকুর (Ramakrishna) ভাবাবিষ্ট হইতেছেন ও কিয়ৎক্ষণ ভাবে দাঁড়াইয়া আছেন। ভাব সংবরণ করিবার জন্য মধ্যে মধ্যে বলিতেছেন, জল খাব। দেখিতে দেখিতে বাড়ির ছেলেরা ও বন্ধুরা আসিয়া দাঁড়ালেন।

    ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়া বেঞ্চের উপর বসিতেছেন। একটি ১৭/১৮ বছরের ছেলে সেই বেঞ্চে বসিয়া আছে—বিদ্যাসাগরের কাছে পড়াশুনার সাহায্য প্রার্থনা করিতে আসিয়াছে। ঠাকুর ভাবাবিষ্ট, ঋষির অন্তর্দৃষ্টি, ছেলের অন্তরের ভাব সব বুঝিয়াছেন। একটু সরিয়া বসিলেন ও ভাবে বলিতেছেন, মা! এ-ছেলের বড় সাংসারসক্তি! তোমার অবিদ্যার সংসার! এ অবিদ্যার ছেলে!

    যে-ব্যক্তি ব্রহ্মবিদ্যার জন্য ব্যাকুল নয়, শুধু অর্থকারী বিদ্যা উপার্জন তাহার পক্ষে বিড়ম্বনা মাত্র, এই কথা কি ঠাকুর (Ramakrishna) বলিতেছেন?

    বিদ্যাসাগর ব্যস্ত হইয়া একজনকে জল আনিতে বলিলেন ও মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, কিছু খাবার আনিলেন ইনি খাবেন কি? তিনি বলিলেন, আজ্ঞা, আনুন না। বিদ্যাসাগর ব্যস্ত হইয়া ভিতরে গিয়া কতকগুলি মিঠাই আনিলেন ও বলিলেন, এগুলি বর্ধমান থেকে এসেছে। ঠাকুরকে কিছু খাইতে দেওয়া হইল, হাজরা ও ভবনাথ কিছু পাইলেন। মাস্টারকে দিতে আসিলে পর বিদ্যাসাগর বলিলেন, ও ঘরের ছেলে, ওর জন্য ছেলে, ওর জন্য আটকাচ্ছে না। ঠাকুর একটি ভক্তছেলের কথা বিদ্যাসাগরকে বলিতেছেন। সে ছোকরাটি এখানে ঠাকুরের সম্মুখে বসে ছিল। ঠাকুর (Ramakrishna) বলিলেন, এ-ছেলেটি বেশ সৎ আর অন্তঃসার যেমন ফল্গু নদী, উপরে বালি, একটু খুঁড়লেই ভিতরে জল বইছে দেখা যায়!

    মিষ্টিমুখের পর ঠাকুর সহাস্যে বিদ্যাসাগরের সঙ্গে কথা কহিতেছেন। দেখিতে দেখিতে একঘর লোক হইয়াছে, কেহ উপবিষ্ট কেহ দাঁড়াইয়া।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আজ সাগরে এসে মিললাম। এতদিন খাল বিল হদ্দ নদী দেখেছি, এইবার সাগর দেখছি। (সকলের হাস্য)

    বিদ্যাসাগর (সহাস্যে)—তবে নোনা জল খানিকটা নিয়ে যান! (হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না গো! নোনা জল কেন? তুমি অবিদ্যার সাগর নও, তুমি যে বিদ্যার সাগর! (সকলের হাস্য) তুমি ক্ষীরসমুদ্র (সকালের হাস্য)

    বিদ্যাসাগর–তা বলতে পারেন বটে।

    বিদ্যাসাগর চুপ করিয়া রহিলেন। ঠাকুর কথা কহিতেছেন—

    আরও পড়ুনঃ “বিদ্যাসাগরের অনেক গুণ…দয়া সর্বজীবে, বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কবে কার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত?

    T20 World Cup 2024: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কবে কার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ (T20 World Cup 2024) সালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এ নিয়ে উন্মাদনা ব্যাপক রয়েছে ক্রিকেট ফ্যানদের। গত বছরেই হাতছাড়া হয়েছে বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টিতে কেমন পারফরম্যান্স করে ভারতের ক্রিকেটাররা, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সময়ের ব্যবধান প্রায় অনেকটাই। একথা মাথায় রেখে দুই আয়োজক দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়েই সময়সূচি তৈরি করেছে বিসিসিআই। গ্রুপ পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচ সম্প্রচারিত হবে ভারতীয় সময় রাত্রি ৮টা থেকে।

    কবে কোথায় খেলা ভারতের

    জানা গিয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম ম্যাচে প্রথমবার খেলতে নামবে ভারত। ৫ জুন ভারত ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। রোহিতরা প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাঠে নামবে সেদিন। এরপরে ভারতের ম্যাচ রয়েছে ৯ জুন। সেদিন প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে পাকিস্তান। ৯ জুনের ম্যাচ বিশ্বকাপের ১৯তম ম্যাচ হবে। পরবর্তীকালে ১২ জুন আমেরিকার বিরুদ্ধে ভারত খেলতে নামবে। আর গ্রুপস্তরে শেষ ম্যাচ ভারতের হবে কানাডার বিরুদ্ধে। ম্যাচটি (T20 World Cup 2024) হবে ১৫ জুন।

    ১৯ জুন থেকে শুরু হবে সুপার এইটের খেলা

    প্রতিটা গ্রুপে পাঁচটি করে দল রয়েছে। ভারত রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। আরও জানা গিয়েছে ভারতের প্রথম তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে নিউইয়র্কে। শেষ ম্যাচটি আয়োজিত হবে ফ্লোরিডায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ স্তরের ম্যাচ শেষ হচ্ছে ১৭ জুন। তারপর ১৯ জুন থেকে শুরু হবে সুপার এইটের খেলা। প্রতিটি গ্রুপ থেকে প্রথম দুই স্থানে শেষ করা দুটি দেশ সুপার এইটে উঠবে। ভারত ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে (T20 World Cup 2024)। যদি প্রথম স্থানে ভারত শেষ করে সেক্ষেত্রে ভারতের সুপার এইটের ম্যাচ হবে ২০ জুন। আর যদি দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে ভারত তাহলে ১৭ জুন হবে সুপার এইটের ম্যাচ।

    কোন গ্রুপে কোন কোন দেশ

    গ্রুপে ‘এ’-তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, কানাডা, আয়ারল্যান্ড এবং আমেরিকা।

    গ্রুপ ‘বি’-তে রয়েছে ইংল্যান্ড, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড এবং ওমান।

    গ্রুপ ‘সি‘-তে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি ও উগান্ডা।

    গ্রুপ ‘ডি’-তে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ড ও নেপাল।

    ভারতীয় দলে কারা রয়েছেন

    ভারতীয় দলে রয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, সহ অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া, যশশ্রী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্য কুমার যাদব, রিসভ পন্থ (উইকেট কিপার), সঞ্জু সামসন (উইকেট কিপার), শিবম দুবে, রবীন্দ্র যাদেজা, আক্সর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যোগেন্দ্র চাহাল, অর্শদ্বীপ সিং, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ। রিজার্ভ বেঞ্চে থাকবেন- শুভমন গিল, রিংকু সিং, খলিল আহমেদ, আবেশ খান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha election 2024: ষষ্ঠ দফায় কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল? তথ্য প্রকাশ কমিশনের

    Lok Sabha election 2024: ষষ্ঠ দফায় কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল? তথ্য প্রকাশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের (Lok Sabha election 2024) প্রথম ছয় দফার ভোট শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে শেষ তথা সপ্তম দফার ভোট। আর ভোটের এই আবহে বাকি পাঁচ দফার মত এবার ষষ্ঠ দফায় দেশ জুড়ে কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেই তথ্য প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গত ২৫ মে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে দেশ জুড়ে। এর মধ্যে বিহারের ৮টি, হরিয়ানার ১০টি, জম্মু ও কাশ্মীরের ১টি, ঝাড়খণ্ডের ৪টি, দিল্লির ৭টি, ওডিশার ৬টি, উত্তর প্রদেশের ১৪টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হয়েছে। 
    নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে সারা দেশ জুড়ে আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৮টি আসনে ভোট (Lok Sabha election 2024) দানের হার ৬৩.৩৭ শতাংশ। ষষ্ঠ দফায় ১১,১৩,১৬,৬০ জন ভোটারের মধ্যে ৭,০৫,৪৪,৯৩৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পুরুষ ভোটারদের হার ৬১.৯৫ শতাংশ, মহিলা ভোটারদের হার ৬৪.৯৫ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটের হার ১৮.৬৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। 

    রাজ্যের কোন কেন্দ্রে কত ভোট পড়ল? 

    তবে শুধু ভোট দানের হারই নয় একইসঙ্গে কোন কেন্দ্রে কত ভোট (Lok Sabha election 2024) পড়েছে, রবিবার সে তথ্যও প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ষষ্ঠ দফায় রাজ্যের আট কেন্দ্রে ভোট পড়ার গড় হার ৮২.৭১ শতাংশ। এবার আট কেন্দ্রের মধ্যে শীর্ষে বিষ্ণুপুর। সেখানে ভোট পড়েছে ৮৫.৯১ শতাংশ। বিষ্ণুপুরের পরেই আছে তমলুক। সেখানে ভোটের হার ৮৪.৭৯ শতাংশ। কাঁথির ভোটের হার ৮৪.৭৭ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে এবার ৮৩.৪৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ঘাটালে ভোট পড়েছে ৮২.১৭ শতাংশ। মেদিনীপুরে ভোটের হার ৮১.৫৬ শতাংশ। বাঁকুড়ায় ভোটের হার ৮০.৭৫ শতাংশ। তবে পুরুলিয়ায় ভোটের হার সর্বনিম্ন। সেখানে এবার ভোট পড়েছে ৭৮.৩৯ শতাংশ।   

    দেশের কোন রাজ্যে কত ভোট পড়ল? (Lok Sabha election 2024)

    অন্যদিকে কমিশনের (Election Commission) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে রেকর্ড ভোট পড়েছে। সেখানে ভোটের হার ৫৮.৬৯ শতাংশ। হরিয়ানায় ভোট পড়েছে ৬৪.৮০ শতাংশ৷ ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে যথাক্রমে ৭৪.৪৫ শতাংশ এবং ৬৫.৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।  
    কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, ষষ্ঠ দফায় পুরুষদের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। যেমন বিহারে মহিলা ভোটারের হার ৬২.৯৫ শতাংশ এবং পুরুষ ভোটারের হার ৫১.৯৫ শতাংশ। একইভাবে উত্তর প্রদেশে মহিলা ভোটারের হার ৫১.৩১ শতাংশ ও পুরুষ ভোটারের হার ৫৭.১২ শতাংশ। বিহার, উত্তর প্রদেশের মত পশ্চিমবঙ্গের ছবিও এক। এ রাজ্যে মহিলা ভোটারের হার ৮৩.৮৩ শতাংশ ও পুরুষ ভোটারের হার ৮১.৬২ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    তবে কমিশন তার বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে যে, এই ভোটদানের হারের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট অন্তর্ভুক্ত নয়। চূড়ান্ত ভোটদানের ফলাফল ৪ জুন পোস্টাল ব্যালট গণনা এবং মোট ভোট (Lok Sabha election 2024) গণনার সাথে যুক্ত হওয়ার পরে জানা যাবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ কেজরির আবেদন, আপ সুপ্রিমো ফিরছেন তিহাড়েই!

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ কেজরির আবেদন, আপ সুপ্রিমো ফিরছেন তিহাড়েই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কি ফিরে যেতে হবে জেলের অন্ধকার কুঠুরিতেই? আপাতত এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ কেজরিওয়ালের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন শুনতে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করার বিষয়ে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই তাঁর আবেদন শুনতে নারাজ দেশের শীর্ষ আদালত।

    তালিকাভুক্তই হয়নি মামলা (Supreme Court)

    বুধবারই মামলাটি তালিকাভুক্ত করতে অস্বীকার করেছেন আদালতের রেজিস্ট্রার। প্রসঙ্গত, পয়লা জুন দেশে রয়েছে সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এদিনই শেষ হচ্ছে কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ। তাই পরের দিনই তাঁকে ফিরতে হবে তিহাড় জেলে (Supreme Court)। ১০ মে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সময়ই ২ জুন আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে।

    কেন চেয়েছিলেন জামিন?

    কী কারণে জামিনের আবেদন করেছিলেন, ভাটিন্ডার এক জনসভায় তাও জানিয়েছিলেন আপ সুপ্রিমো। বলেন, “আমার অনেকটা ওজন কমে গিয়েছে। এটা গুরুতর অসুস্থতার উপসর্গ। একাধিক মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই চেকআপ করাতেই আমি দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে সাতদিন অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছি।” মামলাটি দ্রুত শুনানির আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেই আর্জি খারিজ করে দেয় বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই আবেদনটি তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতিই। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার সাফ জানিয়ে দেন, এই মামলাটি তালিকাভুক্ত করা হবে না।

    আর পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় ২১ মার্চ গ্রেফতার করা হয় কেজরিওয়ালকে। যেহেতু ইডিই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল, তাই সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ইডি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কেন গ্রেফতার করা হল, সে প্রশ্নও তোলে সুপ্রিম কোর্ট। ১৯ এপ্রিল দেশে শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারের জন্য জেলের বাইরে আসতে চেয়ে কেজরিওয়াল আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। জামিন পান ১০ মে (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OIC: ক্রমশই কি প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন’?

    OIC: ক্রমশই কি প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন’ (OIC) যা আগে পরিচিত ছিল ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কনফারেন্স’ নামে, এই সংগঠন দাবি করে যে, তারাই মুসলিম দেশগুলির কন্ঠস্বর এবং যে, তারাই বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার কাজ করে থাকে। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ মিলিয়ে ৫৭টি দেশ এই সংস্থার সদস্য হিসেবে রয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা, আভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ – আরবসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মুসলিম দেশকেই গ্রাস করেছে। একটি রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সংঘাত ও সন্ত্রাস সংক্রান্ত প্রাণহানির ঘটনা ঘটে শুধুমাত্র ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন’ (OIC)- এর সদস্য দেশগুলিতে।

    ওআইসির (OIC) উৎপত্তি, বিবর্তন ও যাত্রা

    তুর্কি অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পরেই তার বিকল্প ভাবা শুরু করেন কয়েকজন। উদ্দেশ্য ছিল, অটোমানদের রেখে যাওয়া আদর্শ সারা বিশ্ব জুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের অভিন্ন চেতনার কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবে। প্রথমে বহু মুসলিম দেশ অংশগ্রহণ করে ১৯২৬ সালের মে মাসে মিশরের কায়রোতে। সেখানে গঠিত হয় ‘মুসলিম বিশ্ব কংগ্রেস’ নামের একটি নতুন সংস্থা, মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। কিন্তু পরবর্তীকাল থেকেই দেখা যায় গঠনের পর থেকেই এর উদ্দেশ্য কখনও সফল হয়নি। কারণ বেশিরভাগ মুসলিম দেশগুলির মধ্যে মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসতে থাকে এবং অনেক দেশই মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার দাবিদার হয়ে ওঠে। যার মধ্যে পাকিস্তানও ছিল। মুসলিম বিশ্বের নেতাদের নিয়ে পাকিস্তান দুটি সম্মেলন করে। একটি ১৯৪৯ সালে, অপরটি ১৯৫১ সালে। প্রতিটি বৈঠকেই প্যালেস্তাইন মুসলিম বিশ্বে শিক্ষার প্রসারের জন্য তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেয়। এমন প্যান-ইসলামিক সত্ত্বার সর্বদাই বিরোধ করে তুরস্ক। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথাতেও ফুটে ওঠে বিরোধের সুর। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দি বলেছিলেন, “মুসলিম ঐক্য হল, শূন্যের সংগ্রহ, যা শূন্যই তৈরি করে।” যদিও প্যান ইসলামিক সত্ত্বাকে বজায় রাখার জন্য সর্বদাই গলা ফাটিয়েছে প্যালেস্তাইন। ১৯৬৯ সালের ২১ অগাস্ট জেরুসালেম শহরের আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর ঠিক চারদিন পরে কায়রোতে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলভুক্ত দেশগুলির বিদেশ মন্ত্রীদের একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু সেখানে আরব দেশের নেতারা বলেন, আল-আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা একটি বিরাট ইস্যু এবং এর জন্য প্রয়োজন রয়েছে সমস্ত মুসলিম বিশ্ব নেতাদের সম্মেলনের। এই ভাবেই  ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অপর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত (OIC) হয় রাবাতে। যেখানে ২৫টি মুসলিম দেশ অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে ১০ জন রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। কিন্তু এখানেও দেখা যায় মিশর, আলজেরিয়ার মতো দেশগুলি রাবাত বৈঠকে অংশগ্রহণ করলেও ইরাক, সিরিয়ার মতো দেশগুলি তা বয়কট করে। অর্থাৎ এখানেও এক ধরনের মতবিরোধ সামনে আসে এবং প্রশ্নের মুখে পড়ে সারা বিশ্বব্যাপী মুসলিম ঐক্য।

    বারবার বিতর্কের মধ্যেও থেকেছে ওআইসি 

    পরবর্তীকালে, ১৯৭২ সালে জেড্ডায় ওআইসির তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বেশ কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়। ইসলামিক শিক্ষা প্রচার, আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংবাদ সংস্থা প্রতিষ্ঠা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা প্রভৃতি বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন কমিটিও গঠন করা হয় যার নেতৃত্বে রাখা হয় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের। বিগত পাঁচ দশক ধরে ওআইসি এমন ৫৬টি বিদেশ মন্ত্রকের পর্যায়ের বৈঠক করেছে। ১৪টি শীর্ষ সম্মেলনে করেছে। এর পাশাপাশি অসংখ্য জরুরি বৈঠক হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও এর বেশিরভাগ সদস্য দেশই আন্তর্জাতিক ইসলামিক নীতি সম্পর্কে ব্যাপক অজ্ঞ। বারবার বিতর্কের মধ্যেও থেকেছে ওআইসি (OIC)। যেমন ১৯৮১ সালেই ওআইসি তৃতীয় ইসলামিক সম্মেলনে লেবাননের প্রেসিডেন্টকে বয়কট করে। কারণ তিনি ছিলেন একজন খ্রিস্টান। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ এক্ষেত্রে ওআইসি-র যুক্তি ছিল যে একজন অমুসলিম মক্কায় কখনও প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু যদিও ওআইসি সর্বদা নিজেদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ বলেই জাহির করে এসেছে। আবার যখন ওআইসি দেশ হিসেবে ভারতের সদস্য হওয়ার সম্ভাবনার কথা উঠে আসে তখন প্রতিবেশী পাকিস্তান বিরোধিতা করে যে ভারতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমান নেই, তাই একে সদস্যপদ দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে, ১৯৭৪ সালে উগান্ডা একটি খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে ওআইসি সদস্য করা হয়। ওআইসির সংবিধানে বলা হয়েছে যে যারা ইসলামিক দেশ, তারাই এর সদস্য হবে। কিন্তু তুর্কি ঘোষিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। তবুও একে সদস্য করা হয়েছে। আলজেরিয়ার ক্ষেত্রে একই কথা খাটে। তাই যখন ওআইসির নাম পরিবর্তন করা হচ্ছিল, তখন অনেকেই এটাকে ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক স্টেটস’ বা ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কান্ট্রিস’ হিসাবে নামকরণ রাখার কথা বলেন। কিন্তু এর সমস্ত সদস্য মুসলিম রাষ্ট্র নয় বলে ভিতর থেকেই বাধা আসে।

    সুস্পষ্ট বিভাজন রয়েছে সদস্য দেশগুলির মধ্যে

    ওআইসির ভিতরে আরব অঞ্চলের দেশগুলি এবং যারা আরব অঞ্চলের বাইরে পড়ে, সেই দেশগুলির মধ্যে একটি সুস্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। আভ্যন্তরীণ বিবাদ, রাজনৈতিক বিবাদ, মতাদর্শগত বিবাদে ওআইসি জন্মের পর থেকেই ভুগছে। ১৯৮৪ সালে ওআইসিতে মিশর প্রত্যাবর্তন করে এবং মিশরের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ দেখা যায় সদস্য সাতটি দেশের। সাম্প্রতিক অতীতে ২০১৬ সালে ওআইসির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে, প্রথমবারের মতো ইয়েমেন ও সিরিয়ার মতো দেশগুলি ইরানের বিরুদ্ধে এবং সৌদি আরবের পক্ষে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন জানায়। ২০১৯ সালে হুথিদের সমর্থন করার জন্য ইরানের নিন্দা করে ওআইসি (OIC)। হুথি হল একটি ইরান কেন্দ্রিক জঙ্গি সংগঠন। এরপর ইরান বলে, কতকগুলি দেশ ইরানের নিন্দা করেছে, এটা ওআইসির আনুষ্ঠানিক বিবৃতি নয়।

    ওআইসি ও ভারত

    ওআইসি-র সদস্য হিসেবে পাকিস্তান সর্বদাই কাশ্মীর ইস্যুতে অন্যান্য দেশের সাহায্য চেয়েছে। ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান ওআইসির একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। সেখানে কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ যেন হস্তক্ষেপ করে সেরকম একটি প্রস্তাব পাশ করানো হয়। কাশ্মীর সংক্রান্ত একটি গ্রুপও তৈরি করা হয়। যার মধ্যে পাকিস্তান, তুরস্ক, সৌদি আরব, নাইজিরিয়ার প্রতিনিধিরা ছিলেন। মোদি জমানায়, ২০১৯ সালে আবুধাবিতে ওআইসির ৪৬তম বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে ভারতের প্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তান অনেক বিরোধ করে। তা সত্ত্বেও এই বৈঠকে ভারতকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে সৌদি আরবের রাজা আবদুল্লা নিজেই বলেছিলেন যে, রাশিয়ার মতো ভারতের ওআইসি-তে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকা উচিত। ২০১৯ সালের ওআইসির বিদেশ মন্ত্রকের বৈঠকে তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী প্রয়াত সুষমা স্বরাজের উপস্থিতি সেখানে পাকিস্তানের প্রভাবকে যথেষ্ট হ্রাস করেছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এরই মধ্যে বারবার ওআইসির প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে সর্বদাই ওআইসিকে কাজে লাগাতে চেয়েছে। তবে ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বিলোপ সাধনের পরে ওআইসির (OIC) তরফ থেকে খুবই সংক্ষিপ্ত এবং হালকা বিবৃতি দেওয়া হয়। তখনই বোঝা যায় যে এদের প্রাসঙ্গিকতা ও ক্ষমতা, ঠিক কতটা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: সপ্তম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত জয়নগর, চলল গুলি-বোমা, আহত এক

    Lok Sabha Election 2024: সপ্তম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত জয়নগর, চলল গুলি-বোমা, আহত এক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সপ্তমদফা লোকসভা নির্বাচন জমে উঠেছে কিন্তু এর মধ্যে একাধিক জায়গায় অশান্তির খবর উঠে এসেছে। ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জয়নগর (Lok Sabha Election 2024)। এলাকার গড়দেওয়ান গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে দুষ্কৃতীরা। এরপর থেকেই চলছে একালায় পুলিশের টহল। গুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটার। আবার একেবারে যেন সিনেমার দৃশ্য! তখনও স্কুটিতে যুবক। এক যুবক গুলি বিদ্ধ না হলেও পিঠ এবং বুকের পাশ ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। আর্তনাদ চিৎকার শুনতে পেয়েছেন পথ চলতি মানুষ। ঘটনা ঘটেছে নদিয়াতে। ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। 

    জয়নগরে গুলি (Lok Sabha Election 2024)!

    জানা গিয়েছে, গড়দেওয়ান পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তপন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি মোড়ে বসে নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) ভোটার স্লিপ গোছানোর কাজ করছিলেন। কিন্তু আচমকা দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। অল্পের জন্য গুলি লাগেনি গায়ে। গুলির শব্দ শুনে দোকানে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে ধাওয়া করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। বোমার ঘায়ে গুরুতর যখম হন তিনি। বোমা-গুলির শব্দে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন, এরপর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতাল কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।

    বুকের পাশ ছুঁয়ে যায় গুলি (Lok Sabha Election 2024)

    জানা গিয়েছে নদিয়ায় গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম অজয় মাহাতো। বাড়ি কল্যাণী থানার চরজাজিরা এলাকায়। তিনি বলেন, “আমি স্কুটি করে যাচ্ছিলাম, আচমকা পিছন থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলি বুকের পাশ ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কে মারল কিছুই বুঝতে পারিনি। কেন মারল তাও আমরা বুঝতে পারছি না। ওরা কতজন ছিল তাও বুঝতে পারছি না। সবটাই পিছন থেকে করেছে।” কিন্তু রাজ্যে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবাহে কারা এই ভাবে গুলি করল তা নিয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারলাম না। এরপর তাঁকে স্থানীয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    ১ জুন সপ্তম দফা ভোট

    রাজ্যে আগামী ১ জুন সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024)। রাজনৈতিক লড়াই নিয়ে ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছিল এই জেলায়। একাধিক বার শাসক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, কোন্দল, ঝগড়া, হত্যা ইত্যাদি ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। এখন শেষ দফা লোকসভা নির্বাচনে কমিশন কী ভূমিকা পালন করে তাই  দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 30052024: সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন? আজ আসতে পারে সুখবর!

    Daily Horoscope 30052024: সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন? আজ আসতে পারে সুখবর!

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি সাধারণ ভাবে কাটবে।

    ২) ব্যবসাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    ৩) সারপ্রাইজ উপহার পেতে পারেন কারও কাছে।

    বৃষ

    ১) কোনও বড়সড় ঝুঁকি নেবেন না।

    ২) জীবনসঙ্গীর পরামর্শ মেনে চলুন।

    ৩) গৃহস্থের দায়িত্ব পালনে সফল হবেন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি দুশ্চিন্তায় কাটবে।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্য আপনার কথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করুন।

    কর্কট

    ১) মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

    ২) পরিবারের সদস্যরা আপনার কথা শুনবেন।

    ৩) আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করুন।

    সিংহ

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকবে।

    ২) সমস্যার সমাধানের জন্য বাবার সঙ্গে আলোচনা করবেন।

    ৩) ব্যবহারের কারণে সকলে আপনার ওপর রেগে থাকবেন।

    কন্যা

    ১) মনের মধ্যে অজ্ঞাত ভয় থাকবে।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্যের অসুস্থতার কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    ৩) সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা আজ সুসংবাদ পেতে পারেন।

    তুলা

    ১) ভুল চিন্তাভাবনা আসতে দেবেন না।

    ২) আপনার ব্যবহারে পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হবেন।

    ৩) বাণী ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    বৃশ্চিক

    ১) কাউকে যেচে কোনও পরামর্শ দেবেন না।

    ২) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাবেন।

    ৩) অচেনা ব্যক্তির ওপর অধিক ভরসা করবেন না।

    ধনু

    ১) দূরের যাত্রা করতে পারেন।

    ২) ব্যবসাতে ওঠাপড়া দেখা দেবে।

    ৩) পারিবারিক বিবাদের সমাধান হবে।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি নানান সমস্যায় ভরপুর।

    ২) নানান কাজের কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    ৩) দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে, সাবধানে গাড়ি চালান।

    কুম্ভ

    ১) স্বাস্থ্য সমস্যা থাকবে।

    ২) আশপাশের ব্যক্তিদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    ৩) পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছোটখাটো কারণে বিবাদ হবে।

    মীন

    ১) পদোন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) জীবনে একাধিক বড় পরিবর্তনের পরিকল্পনা করবেন।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    Jadavpur University: পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এবার হস্টেল পড়ুয়াদের জন্য কড়া সিদ্ধান্ত নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। সম্প্রতি একটি নির্দেশিকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, এবার থেকে পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে ছাত্রদের হস্টেল (Hostel Students) ছাড়তে হবে। একইসঙ্গে গবেষণার কাজ শেষ হলে এক মাসের মধ্যে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Jadavpur University)

    গতবছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। অভিযোগ উঠেছিল, র‌্যাগিংয়ের জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ার মৃত্যুতে বারবার অভিযোগ উঠেছিল ‘সিনিয়র দাদাদের’ বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর একাধিকবার সিনিয়রদের পড়াশোনা শেষ হয়ে গেলে বেড়িয়ে যেতে বলেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা মানা হয়নি। তাই এবার নতুন বর্ষ শুরুর আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে গবেষণার কাজ শেষ হলে বড়োজোড় একমাস। আর পড়াশোনা শেষ হলে সাতদিন। এর বেশি আর কেউ হস্টেল (Hostel Students) দখল করে থাকতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হল হস্টেলগুলিতে র‌্যাগিং প্রতিরোধ করা এবং নতুন ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।

    আরও পড়ুন: নারীশক্তির জয়! ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে সম্মানিত করবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    র‌্যাগিং প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ 

    এছাড়াও র‌্যাগিং প্রতিরোধে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষের তরফে। জানা গিয়েছে এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো কোনও পড়ুয়াকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এই পুরস্কারটি র‌্যাগিংয়ে নিহত ওই ছাত্রের নামে দেওয়া হবে।
    উল্লেখ্য, পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও হস্টেল দখল করে পড়ুয়াদের থাকার ঘটনা শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) নয়, রাজ্যের আরও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসে। তবে গত বছর যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসাবে ভাস্কর গুপ্ত পদে আসার পরই এই কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত পাশ করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Slams Congress: আইয়ারের চিন-প্রীতি! কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP Slams Congress: আইয়ারের চিন-প্রীতি! কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “১৯৬২ সালে ভারতে আগ্রাসন চালিয়েছিল চিন।” ভারত-চিন যুদ্ধকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার। মঙ্গলবার (BJP Slams Congress) কল্লোল ভট্টাচার্যের লেখা একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আইয়ার। বইটির নাম ‘নেহরুজ ফার্স্ট রিক্রুটস: দ্য ডিপ্লোম্যাটস হু বিল্ট ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্ডিয়াজ ফরেন পলিসি’। আইয়ার বলেন, “১৯৬২ সালের অক্টোবরে চিনারা ভারত আক্রমণ করেছিল।” ওই বছর অক্টোবর-নভেম্বরে হয়েছিল যুদ্ধ। ম্যাকমোহন লাইন পেরিয়ে এসে আক্রমণ করেছিল চিনাফৌজ। এই সময়ই তারা দখল করে নেয় আকসাই চিন। এই অঞ্চলটি আদতে ভারতেরই।

    আইয়ারের স্মৃতিচারণ (BJP Slams Congress)

    লালফৌজ যখন ভারত আক্রমণ(BJP Slams Congress) করে তখন ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন আইয়ার। সেই সময়কার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, “লন্ডনে হচ্ছিল ফরেন সার্ভিস পরীক্ষা। সেদিন তাওয়াং দখল করে নিল। যখন এটা শেষ হল…।” তিনি বলেন, “আমি রাজনীতিতে দক্ষ ছিলাম। খবরের কাগজগুলো আমাকে কমিউনিস্ট ভেবে রেফারেন্স দিচ্ছিল। ওই পরীক্ষায় আমি পাশ করেছিলাম। ভালো ফলও করেছিলাম। তার পরেও আমায় কমিউনিস্ট দেগে দিয়ে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি।”

    বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিখ্যাত

    মাঝেমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন আইয়ার। চলতি মাসের প্রথম দিকেই পাকিস্তানকে ‘শ্রদ্ধেয় দেশ’ বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেছিলেন, “ওদের(পাকিস্তানের) হাতে অ্যাটম বম্ব রয়েছে, তাই ভারতের উচিত সমঝে চলা। তাদের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করা প্রয়োজন।” পাকিস্তানের নাগরিকদের ‘ভারতের সব চেয়ে বড় সম্পদ’ বলেও বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন আইয়ার।

    আইয়ার এবং কংগ্রেসের চিন-প্রীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির ন্যাশনাল ইনফর্মেশান অ্যান্ড টেকনোলজি দফতরের ইনচার্জ তথা পশ্চিমবঙ্গের কো-ইনচার্জ অমিত মালব্য। আইয়ারকে আক্রমণ শানিয়েছেন নেটিজেন ঋষি বাগরিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “১৯৬২ সালে চিন যখন ভারত আক্রমণ করে, তখন আইয়ার ইংল্যান্ডে চিনাফৌজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। ইতিহাসের এই অংশটি আমাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে (BJP Slams Congress)।”

    আর পড়ুন: লাহোর চুক্তি ভঙ্গ হয়েছিল, ‘দোষ’ কবুল পাকিস্তানের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share