Tag: Bengali news

Bengali news

  • Wheat import scam: পাকিস্তানে ফাঁস বিরাট গম আমদানি দুর্নীতি! শুরু কৃষক বিদ্রোহ

    Wheat import scam: পাকিস্তানে ফাঁস বিরাট গম আমদানি দুর্নীতি! শুরু কৃষক বিদ্রোহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আবার জেরবার পাকিস্তান। বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই করছে পাকিস্তান। সে দেশে গত কয়েক মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩৮ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮ শতাংশ। ফলে ভারতের প্রতিবেশী দেশটির (Pakistan) অর্থনৈতিক অবস্থার আবারও অবনতি শুরু হয়েছে। আকাশ ছুঁয়েছে জিনিসপত্রের দাম। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যের ওপর। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, আটা-রুটির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী  কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। তার মধ্যেই সে দেশে উঠেছে গম আমদানি সংক্রান্ত দুর্নীতির (Wheat import scam) অভিযোগ।

    কিন্তু কী এই গম আমদানি দুর্নীতি? (Wheat import scam)

    ২০২৩ সালে পাকিস্তানের (Pakistan) তৎকালীন সরকার বেসরকারি ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে গম আমদানি শুরু করার অনুমতি দিয়েছিল। অভিযোগ, দেশের অভ্যন্তরে কতটা গম উৎপাদন হচ্ছে তা বিবেচনা না করেই সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে ২০২৩ সালের অগাস্ট থেকে ২০২৪ সালের মার্চ অবধি বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ৩,৩০,০০০ কোটি পাকিস্তানি টাকার গম আমদানির (Wheat import scam) অনুমতি দিয়েছিল তৎকালীন পাক সরকার। ফলে এর পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম পড়তে শুরু করেছে।   

    কৃষক আন্দোলন

    ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের কৃষক সংগঠন ‘কিসান ইত্তেহাদ পাকিস্তান’ গম নিয়ে তৈরি হওয়া এই সঙ্কটের (Wheat import scam) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে। দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পাকিস্তানের হাজার হাজার কৃষক। শুক্রবার মুলতান থেকে মিছিল শুরু করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।  

    কেন এই প্রতিবাদ? 

    জানা গিয়েছে গম আমদানি সংক্রান্ত দুর্নীতির (Wheat import scam) জন্য পাকিস্তানের বাজারে গমের দাম কমেছে। বর্তমানে সে দেশে ৪০ কেজি গমের ন্যূনতম সহায়ক পাকিস্তানি মুদ্রামূল্য অনুযায়ী ৩৯০০ টাকা। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১,১৭২ টাকা। কিন্তু পাকিস্তানের বাজারে গমের দাম এতটাই কমেছে যে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকেও কমে গম বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন গমচাষিরা। আর এই ঘটনার প্রতিবাদেই বিক্ষোভে সামিল হন হাজার হাজার কৃষক। 

    প্রভাব  

    অভিযোগ করা হয়েছিল যে পাকিস্তানে (Pakistan) যে গম আমদানি হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের যা ব্যবহারের যোগ্য নয়। শুধু তাই নয় বেসরকারি সংস্থাগুলি অত্যন্ত কম দামে সেই পণ্য আমদানি করে বাজারে চড়া দামে বিক্রি (Wheat import scam) করে বিপুল পরিমাণে মুনাফা অর্জন করে। অন্যদিকে, এ বছর পাকিস্তানে গমের ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ গম আমদানির কারণে দেশের কৃষকদের থেকে গম কেনার পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়েছে সরকার। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। 

    আরও পড়ুন: বসিরহাট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কমিশনের! ভোটে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী থাকার সম্ভাবনা

    অভিযোগ, পাকিস্তানের বাজারে অতিরিক্ত পরিমাণ বিদেশি গম (Wheat import scam) আসার কারণে গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও পাচ্ছেন না কৃষকেরা। কৃষকদের দামের সঙ্গে টক্কর দিতে বেসরকারি সংস্থাগুলিও গমের দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে কমিয়ে দিয়েছে। ফলে আরও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। ফলে পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে যে, কৃষকরা বাধ্য হয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kesar Price Hike: কারও পৌষমাস তো…! ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞায় মহার্ঘ কাশ্মীরি কেশর, দাম জানেন?

    Kesar Price Hike: কারও পৌষমাস তো…! ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞায় মহার্ঘ কাশ্মীরি কেশর, দাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে ভালো পাত্র আর ভালো কেশর খুঁজে পাওয়া কঠিন কাজ। বাজারে ভালো মানের কেশর (Kesar Price Hike) পেতে খসাতে হবে বাড়তি টাকা। কারণ কেশরের দাম বেড়েছে খুচরো ও পাইকারি উভয় বাজারে। বর্তমানে ১০ গ্রাম কেশরের দাম ৪ হাজার ৯৫০ টাকা। কেজি প্রতি ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ, প্রায় ৫ লক্ষ টাকা!

    কেশরের মুল্যবৃদ্ধির  নেপথ্যে রয়েছে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা (Kesar Price Hike)

    কেশরের এত দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে ইরানের (Iran) উপর নিষেধাজ্ঞা। বিশ্ববাজারে একাই ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে ইরান। কিন্তু আধুনিক বিশ্বের বহু দেশ নিষেধাজ্ঞার জেরে ইরানের কেশর কিনতে পারছে না। হঠাৎ করে জেরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় কেশরের কদর এবং দাম (Kesar Price Hike) দুই বেড়েছে। জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ২০ থেকে ২৭ % দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ৩ থেকে ৩.৫ হাজার টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ভালো দরের কেশর। যার আগে দাম ছিল ২ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে তিন লক্ষ টাকা প্রতিকেজি। বর্তমানে খুচরো বাজারে যে দামে কেজি প্রতি কেশর বিক্রি হচ্ছে তাতে ৭০ গ্রাম সোনা কেনা সম্ভব। ইরানে প্রতিবছর ৪৩০ টন কেশর উৎপাদন হয়। কাশ্মীরে (Kashmir) মাত্র ৩ টন প্রতিবছর কেশর উৎপাদন হয়। অথচ বাজারে চাহিদা রয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টন।

    আরো পড়ুন: প্যালেস্তাইনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইজরায়েলের, শিশুসহ হত ২১

    কাশ্মীরের কেশরের উৎকৃষ্ট মান

    কাশ্মীরের কেশর ব্যবসায়ী নুরুল আমিন বিন খালিক জানাচ্ছেন, “বিশ্ব বাজারে ইরানের অনুপস্থিতির জেরে কাশ্মীরি কেশরের (Kesar Price Hike) দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে। যদিও বিগত এক দশকে কাশ্মীরে কেশরের উৎপাদন ক্রমশ কমছে। ইরানি কেশর রং-এর জন্য বিখ্যাত হলেও কাশ্মীরি কেশরের সুগন্ধের ধারে কাছে কোন কেশর নেই। এখন পৃথিবীর বহু প্রান্তে কেশর উৎপাদন হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন ভারতের উৎপাদিত কেশর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, কানাডা ও আরব মুলুকে বিক্রি হয়। কেশরের এত দামের (Kesar Price Hike) কারণ হল মাত্র এক গ্রাম কেশর তৈরি করতে ১৬০ থেকে ১৮০ টি ফুলের প্রয়োজন হয় এবং কেশর উৎপাদন করতে প্রচুর শ্রম লাগে। কাশ্মীরের পামপোর, বডগাম, শ্রীনগর এবং কিস্তওয়ার জেলায় অক্টোবর মাস থেকে কেশর চাষ শুরু হয়। বিগত ১ দশকে কেশরের উৎপাদন কমে যাওয়ার পিছনে শ্রমিকদের অভাব, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পামপোর জেলায় নতুন সিমেন্ট ফ্যাক্টরি বসানোক দায়ী করা হয়েছে। কারণ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে যে পরিমাণ বাতাসে ধোঁয়া ও ধুলো নির্গত হয় তাতে কেশরের চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বিশেষ করে পামপোর জেলায় সিমেন্ট ফ্যাক্টরি বসার পর থেকেই চাষিরা তাদের জমি নয় সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে দিয়ে দিয়েছে আর না হলে নিজেদের জমিতে চাষ করা বন্ধ করে দিয়েছে।

    কেশরের প্রজাতি

    কাশ্মীরে কেশরের একাধিক প্রজাতির উৎপাদন হয় যার মধ্যে একটি হল মোংরা। এই কেশরের রং খুবই গাঢ় এবং এর ঘ্রাণ অন্য কেশরের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। এছাড়াও কেশরের লাছা প্রজাতি যা লাল এবং হলুদ দুটো রঙ একসঙ্গে দিতে সক্ষম। এছাড়াও জর্দা বলে একটি প্রজাতি রয়েছে যা প্রসাধনী সামগ্রীতে ব্যবহার হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি তৃণমূ্লের দুষ্কৃতীদের!

    Nadia: নদিয়ায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি তৃণমূ্লের দুষ্কৃতীদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থ দফা ভোটে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর, কৃষ্ণনগরে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বহু বুথে বিজেপি সহ বিজেপি এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করার অভিযোগও উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে নদিয়া জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি কর্মীদের মার (Nadia)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে,কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ঘূর্ণিতে দুজন বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃনমূলের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে পুলিশ এসে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। পরবর্তীকালে তিনি কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল আমাদের কর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে

    চাপড়া (Nadia) বিধানসভার ২০০, ২০১ নম্বর বুথ বাঙালঝি, স্বামী বিবেকানন্দ হাইস্কুলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মুখে গামছা বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বিরোধী ভোটাররা যেন বুথ মুখী না হয়, তারজন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। চাপড়া বিধানসভার সোনপুকুর দাস পাড়ায় বিরোধী ভোটারদের ভোট দিতে বাধা। ঘটনাটি ঘটেছে ৯ নম্বর ও ১০ নম্বর বুথে। এই ঘটনায় তৃণমূলে বিরুদ্ধে  অভিযোগ একাবাসী। এমনকী বিরোধীদের ভোটারদের মারধর করার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। চাপড়া ব্লকের সোনপুকুর এলাকায় সিপিএম কর্মী সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে খবর পেতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী এস এম সাদি, তারপর সিপিএম কর্মী -সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য নিজেই নিয়ে যান প্রার্থী। চাপড়া থানার হাতিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর বুথে ভোট দিতে গেলে সিপিএম ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে।

    বিরোধী কর্মীদের মাথা ফাটানোর অভিযোগ

    কালীগঞ্জ (Nadia) থানার পালিতবেঘিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সিপিএম প্রধানের আত্মীয়র মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম হাসমুত শেখ। অভিযোগ, চেয়ার টেবিল নিয়ে বসতে দিচ্ছে না শাসক দলের নেতা কর্মীরা। বসতে গেলে মারধর করছে। তৃণমূল ভোট লুটেরার দল, আমাদের এজেন্টের বসতে দিচ্ছে না। সোমবার চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রের অন্তর্গত নবদ্বীপ বিধানসভার দুটি বুথে শুরু থেকে ইভিএম খারাপ থাকায় দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে ভোট গ্রহণ। তেহট্ট বিধানসভার নারায়ণপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ এবং ১৯ নম্বর বুথে বিরোধী দলের এজেন্টকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

     ভোট দিতে এসে সেলফি তোলার ধুম!

    ভোট দিতে এসে সেলফি তোলার ধুম! এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মনের ইচ্ছার কথা ভেবেই হয়তো জেলা প্রশাসনের মডেল বুথে করা হয়েছে সেলফি জোন। যদিও মডেল বুথ হিসাবে রয়েছে শিশুদের জন্য লজেন্স সর্বসাধারণের জন্য চা পানীয় জল অসুস্থদের জন্য ওয়ারেস এবং অন্যান্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা।  মহিলা ও শিশুদের বৃদ্ধদের বিশেষভাবে সক্ষমদের বসার জন্য রয়েছে অতিথি আসন। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য রয়েছে হুইল চেয়ার। এভাবেই সুসজ্জিত করা হয়েছে নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুর শহরের মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৫ নম্বর  বুথ।  যদিও পার্শ্ববর্তী ১২৪ এবং ১২৬ নম্বর বুথে একই পরিষেবা বজায় আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: ভারতের দেওয়া এয়ারক্র্যাফ্ট চালাতে ব্যর্থ মলদ্বীপের সেনা, বিপাকে মুইজ্জু প্রশাসন

    India Maldives Relation: ভারতের দেওয়া এয়ারক্র্যাফ্ট চালাতে ব্যর্থ মলদ্বীপের সেনা, বিপাকে মুইজ্জু প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফাঁস গয়্যা মলদ্বীপের মুইজ্জু প্রশাসন! ভারতের (India Maldives Relation) দেওয়া বিমান চালাতেই পারছেন না দ্বীপরাষ্ট্রের পাইলটরা। তাই বিমানগুলি নিয়ে কী করবে মুইজ্জু সরকার, তা ভেবে কূল পাচ্ছে না সে দেশের সরকার। তবে ভারতের দেওয়া তিন বিমান যে সে দেশের পাইলটরা চালাতেই পারছেন না, তা কবুল করে নিয়েছেন মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘাসন মামুন। প্রায় আড়াই মাস আগে মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর নির্দেশে দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন ৭৬ জন প্রতিরক্ষা ব্যক্তিত্ব। তার পরেই তিন-তিনটি বিমান নিয়ে কার্যত অথৈ জলে পড়েছে মুইজ্জু প্রশাসন।

    কী বলছেন মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী? (India Maldives Relation)

    শনিবার প্রেসিডেন্টের অফিসে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মামুন জানান, মলদ্বীপে যে ভারতীয় (India Maldives Relation) জওয়ানরা ছিলেন, মূলত তাঁরাই দু’টি হেলিকপ্টার ও একটি ডর্মিনিয়ার এয়ারক্র্যাফ্ট চালাতেন। দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “মলদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সে এমন কোনও সেনা জওয়ান নেই, যাঁরা ভারতের দান করা এই এয়ারক্র্যাফ্টগুলি চালাতে পারেন। আগের সরকারের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক এঁদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছিল।” তিনি বলেন, “যেহেতু এটা ট্রেনিং, তাই অনেকগুলি ধাপ পার হতে হয়। কিন্তু নানা কারণে আমাদের জওয়ানরা সেই শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তাই এই মুহূর্তে আমাদের বাহিনীতে এমন কোনও জওয়ান নেই, যাঁরা ওই দুটি হেলিকপ্টার ও ডর্মিনিয়র এয়ারক্র্যাফ্টটি চালাতে পারেন।”

    আরও পড়ুুন: ২০২৫ সালেই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় চারে আসবে ভারত!

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে ফাটল

    চিনপন্থী মুইজ্জু সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে ফাটল ধরে। মলদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাদের তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় মুইজ্জু প্রশাসন। তার আগের সরকার ছিল ভারতপন্থী। তাদের অনুরোধেই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সে দেশে পাঠানো হয়েছিল সেনা জওয়ানদের। মুইজ্জু প্রশাসন নির্দেশ দেওয়ার পরেই সেই সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। তার পরেই বিমান নিয়ে বিপাকে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। অথচ মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের আগেই মুইজ্জু প্রশাসনের কয়েকজন প্রবীণ আধিকারিক সে দেশের পূর্বতন সরকারের সমালোচনা করে বলেছিলেন মলদ্বীপের জওয়ানরাই ভারতের দেওয়া এয়ারক্র্যাফ্ট চালাতে পারেন। প্রবীণ আধিকারিকদের সেই দাবির বেলুন চুপসে গেল খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর স্বীকারোক্তির পরেই (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 15: দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    Ramakrishna 15: দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    নবম পরিচ্ছেদ

    চতুর্থ দর্শন

    যং লবধ্বা চাপরং লাভং মান্যতে নাধিকং ততঃ।

    যস্মিন্‌ স্থিতো ন দুঃখেন গরুণাপি বিচাল্যতে।। গীতা-৬/২২/

    তাহার পরদিনও ছুটি ছিল। বেলা তিনটার সময় মাস্টার আবার উপস্থিত। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সেই পূর্বপরিচিত ঘরে বসিয়া আছেন। মেঝেতে মাদুর পাতা। সেখানে নরেন্দ্র, ভবনাথ আরও দুই–একজন বসিয়া আছেন। কয়টিই ছোকরা, উনিশ-কুড়ি বৎসর বয়স। ঠাকুর সহাস্যবদন, ছোট তক্তপোশের উপর বসিয়া আছেন, আর ছোকরাদের সহিত আনন্দে কথাবার্তা কহিতেছেন।

    মাস্টার ঘরে প্রবেশ করিতেছেন দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে।–বলিয়াই হাস্য। সকলে হাসিতে লাগিল। মাস্টার আসিয়া ভূমিষ্ট হইয়া প্রণাম করিয়া বসিলেন।–আগে হাতজড়ো করিয়া দাঁড়াইয়া প্রণাম করিতেন—ইংরেজি পড়া লোকেরা যেমন করে। কিন্তু আজ তিনি ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিতে শিখিয়াছেন। তিনি আসন গ্রহণ করিলে, শ্রীরামকৃষ্ণ কেন হাসিতেছিলেন, তাহাই নরেন্দ্রাদি ভক্তদের বুঝাইয়া দিতেছেন।

    দেখ, একটা ময়ূরকে বেলা চারটার সময় আফিম খাইয়ে দিচ্ছিল। তার পরদিন ঠিক চারটার সময় ময়ূরটা উপস্থিত—আফিমের মৌতাত ধরেছিল—ঠিক সময়ে আফিম খেতে এসেছে! (সকলের হাস্য)

    মাস্টার মনে মনে ভাবিতেছেন, ইনি ঠিক কথাই বলিতেছেন। বাড়িতে যাই কিন্তু দিবানিশি ইহার দিকে মন পড়িয়া থাকে–কখন দেখিব, কখন দেখিব। এখানে কে যেন টেনে আনলে! মনে করলে অন্য জায়গায় যাবার জো নাই, এখানে আসতেই হবে! এইরূপ ভাবিতেছেন, ঠাকুর (Ramakrishna) এদিকে ছোকরাগুলির সহিত অনেক ফষ্টিনষ্টি করতে লাগিলেন যেন তারা সমবয়স্ক। হাসির লহরী উঠিতে লাগিল। যেন আনন্দের হাট বসিয়াছে।

    মাস্টার অবাক হইয়া এই অদ্ভুত চরিত্র দেখিতেছেন। ভাবিতেছেন, ইহারই কি পূর্বদিনে সমাধি ও অদৃষ্টপূর্ব প্রেমানন্দ দেখিয়াছিলাম? সেই ব্যক্তি কি আজ প্রাকৃত লোকের ন্যায় ব্যবহার করিতেছেন? ইনিই কি আমায় প্রথম দিনে উপদেশ দিবার সময় তিরস্কার করিয়াছিলেন? ইনিই কি আমায় তুমি কি জ্ঞানী বলেছিলেন? ইনিই কি সাকার-নিরাকার দুই সত্য বলেছিলেন? ইনিই কি আমায় বলেছিলেন যে ঈশ্বরই (Ramakrishna) সত্য আর সংসারের সমস্তই অনিত্য? ইনিই কি আমায় সংসারে দাসীর মতো থাকতে বলেছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত বলিলেন, এর নাম সমাধি! মাস্টার এরূপ কখনও দেখেন নাই”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    আরও পড়ুনঃ “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৯ম পরিচ্ছেদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: ২০২৫ সালেই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় চারে আসবে ভারত!

    Indian Economy: ২০২৫ সালেই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় চারে আসবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমানা মাত্র দশ বছরের। তাতেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির (Indian Economy) দেশের তালিকার ১০ নম্বর থেকে পাঁচে উঠে এসেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। দীর্ঘদিন পাঁচ নম্বরে ছিল ব্রিটেন। রাজার দেশকে টপকেই ওপরে উঠে এসেছে ভারত। অচিরেই যে দেশ ওই তালিকার তিন নম্বরে উঠে আসবে, নানা সময় তা বলতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।

    জাপানকে টপকাবে ভারত (Indian Economy)

    তবে ২০২৫ সালের মধ্যে জাপানকে টপকে মোদির ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অমিতাভ কান্ত। অমিতাভ জি২০-র শেরপা এবং নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও। তিনি জানান, বর্তমানে ভারতের (Indian Economy) স্থান রয়েছে পাঁচে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, জার্মানি এবং জাপানের পরেই রয়েছে ভারত। ২০২২ সালেই ব্রিটেনকে টপকে গিয়েছে ভারত। তাঁর দাবি, আগামী বছরের মধ্যেই ভারতের ঠাঁই হবে তালিকার চার নম্বরে। তিনি জানান, গত দশ বছরের তুলনায় ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য। ভারতের জিডিপি ছিল বিশ্বের একাদশতম স্থানে।

    ভারতের জিডিপি

    বর্তমানে দেশের জিডিপি প্রায় ৩.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কান্ত জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে ভারত ছিল ‘ভঙ্গুর ৫’-এ, ২০২৪ সালেই সেই দেশ উঠে এসেছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার ৫ নম্বরে। যে কারণে ভারতের এই আর্থিক উন্নতি, কান্তের মতে, তার মধ্যে রয়েছে গত তিন ত্রৈমাসিকে জিডিপি গ্রোথ ৮ শতাংশের বেশি থাকা, বিশ্বের ২৭টি দেশের সঙ্গে ইন্ডিয়ার রুপিতে বাণিজ্য এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আসুন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করি’’, চতুর্থ দফায় ভোট দানের আর্জি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    কান্তের মতে, স্টিল, সিমেন্ট এবং অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের পাশাপাশি ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাকস্ট্রাকচারে ভারত রয়েছে বিশ্ব নেতৃত্বের পর্যায়ে। বর্তমানে ই-ট্রানজেকশনস বেড়ে হয়েছে ১৩৪ বিলিয়ন, বৈশ্বিক ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে শতাংশের বিচারে যার পরিমাণ ৪৬। ২০১৩-১৪ এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে ৮.২ শতাংশ। কান্তের মতে, এসব কারণেই ভারতের অর্থনৈতিক (Indian Economy) ভিত্তি সুদৃঢ়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    BJP: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থ দফায় রাজ্যে লোকসভার ভোট গ্রহণ শুরু হতে দিকে দিকে অশান্তির খবর উঠে আসছে। লাগাতার বহরমপুর এবং বীরভূমে উত্তপ্ত হওয়ার খবর আসছে। এবার বর্ধমানের কাঞ্চনপুর এলাকায় বিজেপি (BJP) কর্মীদেরকে খুনের হুমকি দিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল পাঁচটার পরে বিজেপির লোকজনকে খুন করা হবে। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাস এবং তাঁর দলবল এই হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা তৃণমূলকে এই হুমকির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    আবার চতুর্থদফা নির্বাচনের দিনেই দুর্গাপুরের তুল্লাবাজার এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণে গাড়ির কাচ ভাঙল। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের। বুথে ঝামেলার কথা জানতে পেরে ছুটে যান তিনি। এরপর তাঁর গাড়িকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। আধলা ইট মেরে ভেঙে দেওয়া হয় সংবাদ মধ্যমের গাড়ি। একই ভাবে দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয় গো-ব্যাক স্লোগান।

    কী বললেন দিলীপ (BJP)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন সকালেই বেলেপুকুর প্রাইমারি স্কুলে আসেন দিলীপ ঘোষ। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আর সেখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। তিনি বলেন, “বর্ধমান দুর্গাপুরে এই খুনোখুনি হতে দেবো না। সেই কারণেই আমি এলাকা ঘুরছি। বিজেপি (BJP) কর্মীদের পাশে আমি সবসময় রয়েছি। এই খোকন দাস একজন ছিঁছকে মস্তান। কাউন্সিলরের মতো ব্যবহার করছেন। এলাকায় কাটমানি তোলে, এলাকায় মানুষকে ভয় দেখায়। খুনের হুমকি দিয়ে বেড়ায়।” তাঁকে ঘিরে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তিনি বলেন,“রাজ্যের দুষ্কৃতীরা ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে। বিজেপি কর্মীদের মেরে বার করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবটাই দেখছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগের রাতেই খুন তৃণমূল কর্মী! পরিবারের দাবি দলের গোষ্ঠীকোন্দল

    ৫ টা পর্যন্ত এখানেই থাকব

    একই ভাবে তৃণমূল নেতা খোকন দাসের হুমকির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলার বিজেপি (BJP) নেতা অভিলাস দাস বলেন, “এখানে এসে এই তৃণমূল নেতা হুমকি দিয়ে গিয়েছেন। ওঁর গুন্ডারা বলেছে বিজেপির ছেলেদের কেটে ফেলবে। সবাইকে মাটির নিচে পুঁতে দেবে। এলাকার মহিলাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওঁর ড্রাইভার বাজারে দাঁড়িয়ে মহিলাদের হুমকি দিয়েছে। ওঁদের এত বড় ক্ষমতা, কত বড় হনু হয়েছে আমরাও দেখব? একই ভাবে আমার বউকে হুমকি দিয়েছে। আমরাও ৫ টা পর্যন্ত এখানেই থাকব দেখি কী করে এই তৃণমূল নেতা।” চতুর্থ দফায় আজ এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বসিরহাট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কমিশনের! ভোটে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী থাকার সম্ভাবনা

    Lok Sabha Election 2024: বসিরহাট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কমিশনের! ভোটে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী থাকার সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবহ। ইতিমধ্যেই প্রথম তিন দফার ভোট শেষ হয়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার রয়েছে চতুর্থ দফার ভোট। প্রথম তিন দফার ভোটে সেরকম কোনো অশান্তির ছবি সামনে আসেনি। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোটকে কেন্দ্র করে কোন বড় ঘটনা ঘটেনি। অর্থাৎ যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করেছে। উল্লেখ্য এবছর লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে হাইভোল্টেজ এলাকা ছিল সন্দেশখালি। বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই সন্দেশখালি তে ভোট রয়েছে সপ্তম দফায়। তাই এখন থেকেই আঁটো সাঁটো  নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

    রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন 

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সপ্তম দফায় শুধুমাত্র বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রেই রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবে। সঙ্গে বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক যে দ্বীপ এলাকাগুলিতে ভোট (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে আগে থেকেই কিউআরটি মোতায়েন করা হবে।

    হাইভোল্টেজ সন্দেশখালি (Lok Sabha Election 2024)

     ১ জুন অর্থাৎ শেষ দফায় ভোট রয়েছে বসিরহাট কেন্দ্রে। সন্দেশখালির ঘটনার পর থেকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে এই কেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে। অন্যদিকে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মরশুমে রবিবার সকালেও নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি এলাকা। এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক তথা জেলার নির্বাচনী আধিকারিক থেকে। এই রিপোর্ট আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরে পাঠাতে হবে জেলাশাসককে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আসুন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করি’’, চতুর্থ দফায় ভোট দানের আর্জি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    অন্যদিকে আবার দ্বিতীয় দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) চলাকালীন সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযান এবং এনএসজি কমান্ডোদের রোবট নামিয়ে অস্ত্র এবং বোমা উদ্ধারের ঘটনায় প্রথম থেকেই চিন্তায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। শুধুমাত্র দ্বিতীয় দফার নির্বাচন চলাকালীনই নয় তারপর একাধিক ঘটনা ঘটেছে সন্দেশখালিতে। একদিকে যেমন অস্ত্র উদ্ধার অন্যদিকে, একাধিক ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। 
    এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) হবে সেটাই পাখির চোখ নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের কাছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে ভোট কিনতে শাড়ি, টাকা বিলি! এলাকার মানুষের তাড়া খেলে ছুটে পালালেন তৃণমূল নেতা

    Birbhum: বীরভূমে ভোট কিনতে শাড়ি, টাকা বিলি! এলাকার মানুষের তাড়া খেলে ছুটে পালালেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলের শক্ত জমি আলগা হয়ে গিয়েছে। এমনই দাবি বিরোধীদের। শাসক দলের নেতাদের একাংশ সেটা জানেন। আর তাই ভোটের আগের দিন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রামে টাকা, কাপড় বিলির অভিযোগ। আর তা ঘিরেই তুমুল হইচই বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের তাড়া খেয়ে চটি ফেলে মোটর সাইকেল নিয়ে কোনক্রমে পালিয়ে বাঁচলেন মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ ঘোষ। তৃণমূল নেতার ছুটে পালানো দেখে এলাকার লোকজনও নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার বসন্তপুর এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে রয়েছে অধিকাংশ মানুষ। দলের পক্ষে ভোট করাতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতা তথা পুরাতন গ্রামপঞ্চায়েতের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ। অভিযোগ, রবিবার বসন্তপুর গ্রামে ভোটারদের প্রলোভন দেখিয়ে ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করার কাজ করছিলেন তিনি। টাকা ও শাড়ি বিলি করছিলেন বলেও দাবি করে বিজেপি। এরপরই এলাকার লোকজন তাঁকে ঘিরে ধরেন। তিনি সেখান থেকে ছুটে পালান তৃণমূল নেতা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোমনাথ। তিনি বলেন, জমিতে ধান কাটার লোকজনের জন্য আমি গিয়েছিলাম। সেই সময় বিজেপির কিছু ছেলে দল বেঁধে এসে আমার ওপর আক্রমণ করে। অভিযোগ করে আমি টাকা বিলি আর কাপড় বিলি করছে। যদি কাপড় বা টাকা বিলি করার একটা প্রমাণও দেখাতে পারে যা অভিযোগ করবে মেনে নেব। কিন্তু এর কোনও প্রমাণ নেই। বিজেপির ছেলেরা আগে থেকেই টার্গেট করে রেখেছিল আমাকে হেনস্থা করার। তাই হেনস্থা করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    মহম্মদবাজারের (Birbhum) মণ্ডল-৩-এর বিজেপি নেতা নেতা উত্তম দাস বলেন,  “তৃণমূলের সোমনাথ ঘোষ তেঁতুলবেড়িয়া থেকে এসে কাপড়, টাকা বিলি করছিলেন। গ্রামবাসী আমাকে খবর দেয়। গ্রামের লোকেরা একেবারে ঘিরে নেন ওনাকে। এরপরই তিনি ছুটে একজনের  বাড়িতে ঢুকে পড়েন। পরে পুলিশ এসে বের করে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ketugram Murder: ভোটের আগের রাতেই খুন তৃণমূল কর্মী! পরিবারের দাবি দলের গোষ্ঠীকোন্দল

    Ketugram Murder: ভোটের আগের রাতেই খুন তৃণমূল কর্মী! পরিবারের দাবি দলের গোষ্ঠীকোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থদফা ভোটের আগের রাতেই খুন এক ব্যক্তি। ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানের কেতুগ্রামে। যদিও এই এলাকা বোলপুর লোকসভার অধীনে। মৃত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী ছিলেন বলে পরিচিত। অবশ্য মৃতের পরিবারের দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে খুন করা হয়েছে। অপর দিকে পাল্টা তৃণমূলের দাবি, খুনের পিছনে সিপিএম-এর হাত রয়েছে। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত এবং বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এই কেতুগ্রাম (Ketugram Murder), মঙ্গলকোট এলাকা। এই রাজ্য ভোটকে ঘিরে রাজনৈতিক হিংসা থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।

    মৃত ব্যক্তির পরিচয় কী (Ketugram Murder)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের আগের দিন রাতে এই তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে বোমা মেরে আহত করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কুপিয়ে খুন করা হয়। তবে অভিযোগের তির তৃণমূলের অপর আরেক গোষ্ঠীর দিকে। ঘটনা ঘটেছে কেতুপুরগ্রামের (Ketugram Murder) আনখোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেঁচুরি গ্রামে। নিহত ব্যক্তির নাম মিন্টু শেখ (৪৫)। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে উপস্থিত হয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Ketugram Murder) তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সন্ধ্যার সময় পাশের সুদিপুর গ্রামে তৃণমূলের নির্বাচনী কাজে গিয়েছিলেন মিন্টু। একজন সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে করে ফিরছিলেন। এরপর বেশ কিছু জন বাইক নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়। এরপর বোমা মেরে আহত করা হয় মিন্টুকে এবং তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। যেহেতু তিনি ভোটের কাজে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন তাই তাঁকে টার্গেট করে খুন করা হয়েছে। খুনের পিছনে রয়েছে সিপিএম।

    আরও পড়ুনঃআজ চতুর্থ দফায় রাজ্যে কোন কোন কেন্দ্রে ভোট, প্রার্থী কারা? জেনে নিন

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত মিন্টু শেখের স্ত্রী তুহিনা বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে খুন (Ketugram Murder) করা হয়েছে আমার স্বামীকে। খুনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। লোক লাগিয়ে তাঁকে খুন করানো হয়েছে।” আবার মিন্টুর ভাগ্নে বলেন, “পাঁচটা বোমা মারা হয়েছে। আমি যখন খবর পেয়েছি তখনও শরীরে প্রাণ ছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। মুখে জল দিতেই সব শেষ হইয়ে গেল। অপর আরেক জন যে সঙ্গে ছিলেন তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share