Tag: Bengali news

Bengali news

  • Amit Shah: দেশ কি শরিয়া আইনে শাসিত হবে? তোষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শাহের

    Amit Shah: দেশ কি শরিয়া আইনে শাসিত হবে? তোষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রকাশিত ইস্তেহারে তোষণ ছাড়া আর কিছুই নেই। শুক্রবারই এ নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর প্রশ্ন দেশ কি শরিয়া আইনে শাসিত হবে? সাংবাদিকদের শাহ বলেন, ‘‘কংগ্রেসের ইস্তাহার বলছে পার্সোনাল ল’য়ের কথা। যা এই দেশকে বিভাজিত করছে। প্রথমত আমি ভোটারদের কাছে আবেদন জানাতে চাই যে আপনারা নির্বাচিত করুন সেই রকম একটি রাজনৈতিক দলকে, যারা নিজেদের কথাতে সবসময় স্থির থাকে এবং দেশকে একটি নিরাপদ ভবিষ্যত দিতে পারে, দেশকে সমৃদ্ধশালী বানাতে পারে। গরিবদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে।’’

    জনগণের ভরসা বিজেপিই

    এদিন শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশিত হওয়ার পরে জনগণ বিজেপির উপরেই ভরসা রাখছে। তার কারণ কংগ্রেসের ইস্তাহারে তাদের পুরনো অভ্যাস দেখা গিয়েছে এবং তা তোষণ নীতি। কংগ্রেসের ইস্তাহার মুসলিম পার্সোনাল ল’য়ের কথা বলছে। আমি রাহুল গান্ধীর কাছে জানতে চাই এই দেশ কি শরিয়া অনুযায়ী শাসিত হবে?’’

    আমাদের সংবিধান একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান

    শাহের (Amit Shah) কথায়, ‘‘আমাদের সংবিধান একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান। যে কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়ে ওঠেনি। অমিত শাহ বলেন বিজেপি পরিস্কার ভাবে জানিয়েছে, ইস্তাহারে ঘোষণা করেছে যে এদেশে ইউনিফর্ম সিভিল কোড আসবেই।’’ ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তৃতীয়বারে মোদি সরকার ক্ষমতায় এলে ”এক দেশ এক আইন অর্থাৎ ইউনিফর্ম সিভিল কোড আনা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এদিন  তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা তিন তালাককে রোধ করেছি। পার্সোনাল ল’ এ দেশে (Amit Shah) বাস্তবায়িত হতে পারে না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমি বলছি এবং দেখতে পাচ্ছি নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন।’’

    আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র, বিষ্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাম নবমীর মিছিলে বোমাবাজি হয়েছে, স্বীকার রাজ্যের, রিপোর্ট জমা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: রাম নবমীর মিছিলে বোমাবাজি হয়েছে, স্বীকার রাজ্যের, রিপোর্ট জমা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের মতো চলতি বছরের রাম নবমীতেও (Calcutta High Court) রাজ্যের একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। সব থেকে বড় ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর, বেলডাঙা প্রভৃতি জায়গায়। হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। রাম নবমী সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল শুক্রবারই। রাম নবমীর অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য। রাজ্য সরকার ও পুলিশ সুপার আলাদাভাবে দুটি রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিয়েছে। এদিন হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ সেখানে বোমাবাজি ঘটনা কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।

    বোমাবাজির অভিযোগ 

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের শান্তিপুর এলাকায় যখন মিছিল যাচ্ছিল, তখনই বাড়ির ছাদ থেকে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি মিছিলে বোমাবাজিও করা (Calcutta High Court) হয়। এই ঘটনার বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গোটা এলাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে র‌্যাফ নামাতে হয়।

    পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১০ মে

    প্রসঙ্গত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে বহরমপুরের অশান্তি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল। শুক্রবারই সেই রিপোর্ট আদালতে জমা পড়েছে। জানা গেছে রাজ্যের রিপোর্ট দেখার পরে এনআইএকে এই বিষয়ে আলাদাভাবে একটি রিপোর্ট (Calcutta High Court) জমা দিতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১০ মে।

    উদ্বেগ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

    এর আগেও এ নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল এবং তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘যেখানে মানুষ আট ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারেন না, সেখানে এই মুহূর্তে ভোটের প্রয়োজন নেই। কে এই ঘটনায় প্ররোচনা দিল, তা জানা দরকার।’’

    কী জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী

    মামলাকারী আইনজীবী কৃষ্ণেন্দু সরকার জানান, সিআইডি-র তরফে ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। সেই রিপোর্ট দেখার পরই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্রীয় সংস্থার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। ১০ তারিখ তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tata Technologies: আত্মনির্ভর হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে ভারত, আই ফোনের অংশ তৈরি করবে টাটা

    Tata Technologies: আত্মনির্ভর হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে ভারত, আই ফোনের অংশ তৈরি করবে টাটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইলের সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে চিন (China) নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে ভারত (India)। টাটা ইলেকট্রনিক্স (Tata Electronics) সম্প্রতি জানিয়েছে তারা অ্যাপেল সংস্থার আইফোনের (iphone) খোল তৈরি করার মেশিন বানাতে চলেছে। এর জন্য তারা দেশীয় দুটি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এই মেশিন তৈরি করে শুধু ভারতে নয় টাটা (Tata Technologies) বিদেশেও রফতানি করতে চায়।

    ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সরঞ্জাম বিদেশে রফতানি (Tata Technologies)

    সারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন মোবাইল ফোনের পার্টনার সংস্থাকে ওই মেশিন পরবর্তীকালে বিক্রি করা হবে। জানা গিয়েছে ভারত সরকার ২০২৫ সালের শেষে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সরঞ্জাম বিদেশে রফতানি করার টার্গেট নিয়েছে। টাটা ইলেকট্রনিক্সের (Tata Technologies) এই নয়া মেশিন সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে সহযোগিতা করবে বলে জানা গিয়েছে। সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন টাটা গ্রুপের এই মেশিনগুলি তৈরি হওয়ার পথে রয়েছে। তাদের হোসুর কমপ্লেক্সে এই মেশিন গুলি তৈরি করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য ঘরোয়া ক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধি করা। একইসঙ্গে ভারতে মোবাইলের প্রত্যেক পার্টস তৈরি করার একটা ইকো-সিস্টেম তৈরি করা।

    আরও পড়ুন:লক্ষ্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইট! ৩০টি চওড়া এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০ বিমান কিনছে ইন্ডিগো

    মোবাইল ফোন জগতে বড় বিপ্লব

    টাটা ইলেকট্রনিক্সের (Tata Technologies) একটা পদক্ষেপ মোবাইল ফোন জগতে অনেক বড় বিপ্লব আনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এহেন ছোট্ট ছোট্ট পদক্ষেপ গোটা দেশে মোবাইল ফোনের পার্টস তৈরির ক্ষেত্রে একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করবে। চিন এভাবেই তাদের দেশে ৯০ এর দশক থেকে একটা ইকো সিস্টেম গড়ে তুলেছে। যার ফসল আজ তারা পাচ্ছে। সারা বিশ্বে মোবাইলের খোলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি সংস্থা মোবাইলের খোল তৈরি করতে সক্ষম। বর্তমানে যে ধরনের মোবাইল তৈরি হচ্ছে তাতে ডিসপ্লে এবং খোলের মোবাইল বিক্রির পরেও চাহিদা রয়েছে। টাটা গ্রুপ এ বিষয়টি ভালোভাবেই জানে। এর জন্যই তারা এই ধরনের মেশিন বানাতে চাইছে। তাঁরা এই বিভাগে সক্ষম হলে পরবর্তীকালে অন্য মোবাইলের জন্য খোল তৈরি করতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে। বর্তমানে এই খোল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তৈরি হয় চিনে। বেশিরভাগ মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা তাদের পার্টস ভারতে এনে অ্যাসেম্বল এসেম্বল করে। কিন্তু মোদি সরকার চাইছে আর অ্যাসেম্বল নয়। ভারতেই তৈরি হবে মোবাইলের সমস্ত পার্টস। এর জন্য গোটা দেশে ইকো-সিস্টেম তৈরি করার ভাবনা রয়েছে সরকারের। সরকারের সেই ভাবনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে টাটা গোষ্ঠী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Economy: পাকিস্তানে গাড়ি বিক্রির অবস্থা বেহাল! পাততাড়ি গোটাচ্ছে বহু সংস্থা

    Pakistan Economy: পাকিস্তানে গাড়ি বিক্রির অবস্থা বেহাল! পাততাড়ি গোটাচ্ছে বহু সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে চরম অর্থনৈতিক মন্দা। আইএমএফের গ্রে  লিস্ট থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেও অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়েছে গাড়ি শিল্পে। হু হু করে কমছে পাকিস্তানের (Pakistan) গাড়ি বিক্রি। পাকিস্তানের গাড়ি বিক্রির পরিমান এতটাই কমে গেছে যে সে দেশে সারা মাসে যত গাড়ি বিক্রি হয়, ভারতে (India) তা বিক্রি হয় মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের (Pakistan Economy) কী হাল।

    পাকিস্তান অটোমেটিভ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য (Pakistan Economy)

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গোটা পাকিস্তানে (Pakistan Economy) গাড়ি বিক্রি মাত্র ২৮৪৪টি। এই সংখ্যা ভারতের যে কোন মেট্রো শহরের ঝাঁ চকচকে একটি মাত্র  শোরুমের এক মাসের বিক্রির সমান। যদিও ২০২৩ সালের শেষে হতাশাজনক এই পারফরম্যান্স কাটিয়ে উঠে পাকিস্তানে ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত গাড়ি বিক্রির সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রির সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের নীচে। চলতি বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬৭২ ইউনিট। পাকিস্তান অটোমেটিভ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

    ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি

    একদিকে চরম অর্থনৈতিক সংকট পাকিস্থানে (Pakistan Economy) । অন্য দিকে মুদ্রাস্ফীতি। পাকিস্তান এখন চারিদিক থেকে কোনঠাসা। নেতারা এদেশ ওদেশ করছেন বেলআউট প্যাকেজের জ্জন্য। খাবার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের।

    আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র, বিষ্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

    বন্ধ হচ্ছে করাচির গাড়ি শো-রুম

    সারা বিশ্বের মানুষ যখন ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে তখন পাকিস্তানের (Pakistan Economy) ক্রেতারাও এই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের অবস্থা নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (SIAM) দ্বারা প্রকাশিত এক তথ্য অনুসারে দেখা গেছে  শেষ আর্থিক বছরে দেশে ৩ লক্ষ ৬৯ হাজারেরও বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজারটিরও বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে ভারতে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মোটর গাড়ি প্রস্তুতকারকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু পাকিস্তানে তাঁরা কোন আশা দেখছে না। ইদানিংকালে পরিস্থিতির উন্নতি না করতে পেরে বেশ কয়েকটি গাড়ি নির্মাতারা ইতিমধ্যেই তাদের পাততাড়ি গোটাতে শুরু করে দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে দেশের করাচি, পেশাওয়ার, ইসলামাবাদের মত শহরে অনেক গাড়ির শোরুম ও সার্ভিস সেন্টার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

    Sandeshkhali: আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহানের ডেরায় বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল সিবিআই (CBI)। বিষ্ফোরক উদ্ধার করতে নামাতে হল রোবট। নামানো হলে এনএসজি কমান্ডো। সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার একটি বাড়ির মেঝে ভেঙে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভাণ্ডার। আনুমানিক ১০ থেকে ১৫টি দেশী ও কিছু বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। খোঁজ মিলেছে বস্তা বোঝাই বিষ্ফোরকের। জানা গিয়েছে, ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্তে এসে তৃণমূল পরিচালিত সরবেড়িয়ার আগারহাটি পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁয়ের আত্মীয় আবু তাহের মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খাঁয়ের ভগ্নিপতি হন এই আবু তাহের মোল্লা।

    বেআইনি অস্ত্রের হদিস সিবিআই-এর

    আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালির তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়। তদন্তভার নেওয়ার পর বেশ কয়েক বার সন্দেশখালি এসেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। শেষ শনিবারও সন্দেশখালিতে এসেছিল সিবিআইয়ের দু’টি দল। একটি দল গিয়েছিল থানায়। অন্য দল গিয়েছিল সুন্দরীখালির দিকে। এদিন মল্লিকপুরে আবু তাহের মোল্লার ভেড়ি ঘেরা বাড়িতে আসে তদন্তকারী দল। মূল সড়ক থেকে ভেড়ির আল বরাবর ইট পাতা রাস্তা হয়ে ওই বাড়িতে ঢোকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও তদন্তকারী দল। তদন্তকারী দল এদিন নিজেদের সঙ্গে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কিছু স্ক্যানার নিয়ে এসেছিল। ওই বাড়ির ৫০০ মিটার দুরের একটি বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। নির্দিষ্ট সূত্র মারফত খবর পেয়ে বাড়িতে ঢুকে মেঝে স্ক্যান করা হয়। মেঝের নীচে ধাতব ও সন্দেহজনক বস্তু লক্ষ করা যায়। এর পর মেঝে ভাঙার কাজ শুরু হয়। মেঝে ভেঙে বিপুল পরিমাণ বেআইনি অস্ত্রের হদিস পায় তদন্তকারীরা। কিন্তু সেই অস্ত্রের পরিমাণ কী তা জানান নি তদন্তকারীরা। অসমর্থিত সূত্রের খবর দেশী ও বিদেশী বেআইনি অস্ত্র ও এক বস্তা বোমা পাওয়া গেছে। এগুলি সক্রিয় নাকি নিষ্ক্রিয় তদন্তকারীরা দেখে নিতে চাইছেন।

    রাজনৈতিক তরজায় বিজেপি-তৃণমূল

    ২০২৪’এর লোকসভার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দিনে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সন্দেশখালিতে। এখনও পাঁচ দফা নির্বাচন বাকি। ১ জুন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, “ অস্ত্র মজুতের ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের মদত রয়েছে। ভোটের জন্য মজুত করা হয়েছিল অস্ত্র।” পাল্টা তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, “যারা মানুষের রায়ে জিতে আসে তাঁদের অস্ত্রের দরকার হয় না। যারা মানুষের রায়ে প্রত্যাখাত হয়েছে, তাঁদের অস্ত্রের দরকার হয়।”

    প্রচুর পরিমাণে বিষ্ফোরক মজুত অনুমান

    জানা গিয়েছে অস্ত্র মজুতের ঘটনায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। ১০০ মিটারের মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ ছিল এদিন। তবে দিন দুপুরের পরেই বদলে যায় পরিস্থিতি। হঠাৎ গাড়ি ভর্তি করে একদল এনএসজি কমান্ডো আসে এলাকায়। কী কারণে তাঁরা এসেছেন, সেই বিষয় নিয়ে সকলের মুখে কুলুপ। এর পরেই দেখা যায়, মঙ্গল গ্রহে কিংবা চন্দ্রযানে যেমন রোভার নামানো হয়েছিল সেরকম একটি রোবট এগিয়ে যায় ওই মেঝে ভাঙা ঘরের দিকে। এর পরেই সকলের কৌতুহল আরও বাড়তে থাকে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, প্রচুর পরিমাণে বিষ্ফোরক মজুত রয়েছে সেখানে। কিন্তু পরিমাণ কতটা? শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা জানানি কেউই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: নৈহাটির মাতৃসদনে টাকা ঢেলছে সন্দেশখালির সংস্থা! পার্থ- শাহজাহান যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অর্জুন

    Barrackpore: নৈহাটির মাতৃসদনে টাকা ঢেলছে সন্দেশখালির সংস্থা! পার্থ- শাহজাহান যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যরাকপুরের (Barrackpore) তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের (Partha Bhowmick) সঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) যোগের প্রমাণ রয়েছে তাঁর হাতে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সন্দেশখালির একটি বেসরকারি সংস্থা ওএনজিসি’র সিএসআর ফান্ডের টাকা নৈহাটির মাতৃসদনে বিনিয়োগ করেছে। সন্দেশখালির ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠরা যুক্ত দাবি অর্জুন সিংয়ের।

    এক্স হ্যান্ডেলে অর্জুনের বক্তব্য (Barrackpore)

    সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে ব্যরাকপুরের (Barrackpore) প্রার্থী অর্জুন উল্লেখ করেছেন, “ওএনজিসির ‘সিএসআর’ ফান্ডের টাকায় বেশ কিছু জিনিস দান করা হয়েছিল সন্দেশখালির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মা সারদা ওমেন এন্ড রুরাল ওয়েলফেরায় সোসাইটিকে’। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেই জিনিসগুলি আবার নৈহাটি পুরসভার হাসপাতাল মাতৃসদনকে দান করেছে। এদিন  বিকেলে হালিশহরে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। তাঁর প্রশ্ন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালকে সেগুলো না দিয়ে নৈহাটির মাতৃসদন হাসপাতালকে কেন প্রদান করেছে? এতেই নৈহাটির সঙ্গে সন্দেশখালি যোগের প্রমান ধরা পড়েছে। শিবু হাজরা নৈহাটির কাঁপা চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জমি কিনেছে দাবি করেন অর্জুন। তিনি আরও জানান আগামী দিনে পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে শেখ শাহজাহানের সরাসরি যোগাযোগ প্রমাণ করে দেবেন।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    বিজেপির অভিযোগ

    ব্যরাকপুরের (Barrackpore) প্রার্থী বিজেপি অর্জুন আরও বলেন, “নৈহাটি পুরসভার মাতৃসদন হাসপাতাল রোজগারের একটা কেন্দ্রে হিসেবে পরিণত হয়েছে। অন্য হাসপাতালে যাতে রোগী না নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর জন্য চিকিৎসকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছে এখানে ডিউটি করার জন্য।”  পাল্টা নৈহাটি পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সনৎ দে বলেন, “ কে আমাদের সরঞ্জাম দিল আমরা দেখতে যাব কেন? ওএনজিসি কাকে টেন্ডার দেবে সেটা তাঁদের ব্যাপার। আমরা তাঁদের (ongc) কাছে ডায়েলিসিসের বিভিন্ন সরঞ্জাম সাহায্য হিসেবে চেয়েছিলাম। কিছু জিনিসের প্রয়োজন ছিল। সেটা পেয়েছি। কিভাবে ওএনজিসি ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করল সেটা তাঁদের ব্যাপার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum BJP Candidate: বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের  মনোনয়ন বাতিল, লড়াইয়ে এবার দেবতনু

    Birbhum BJP Candidate: বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল, লড়াইয়ে এবার দেবতনু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পুরো দমে চলছে ভোটের হাওয়া। আর এরই মধ্যে এবার বীরভূমের (Birbhum) বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের (Debasish Dhar) মনোনয়ন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৩ মে, চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ বীরভূম কেন্দ্রে। আর তার আগে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফ থেকে এই প্রাক্তন আইপিএসের প্রার্থী (Birbhum BJP Candidate) পদ বাতিল করা হয়েছে।

    ঠিক কী কারনে মনোনয়ন বাতিল (Birbhum BJP Candidate)?

    জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট না দেওয়ায় বাতিল করা হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিসের (Birbhum BJP Candidate) মনোনয়ন। মনোনয়ন (Nomination) বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে দেবাশিস জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।

    নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির

    তবে কোনও পরিস্থিতিতেই জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি। দেবাশিসের (Birbhum BJP Candidate) মনোনয়ন বাতিল হতেই তড়িঘড়ি ওই আসনে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নয়া প্রার্থীর নাম দেবতনু ভট্টাচার্য। ২০২১ সালের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দেবতনু। বিজেপি সূত্রে খবর, এ বারের লোকসভা ভোটে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংগঠনিক কাজকর্ম করছিলেন দেবতনু। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী, কালনা, কাটোয়ায় সাংগঠনিক বৈঠকেও ছিলেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফ থেকে তাঁকে সিউড়িতে চলে আসতে বলা হয়। তারপর ওই দিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।

    আরও পড়ুন:”বিজেপিকে ভোট দিন”, তৃণমূল প্রার্থীর নামে বিতর্কিত লিফলেটে শোরগোল বালুরঘাটে

    আঁচ আগেই পেয়েছিল বিজেপি

    যদিও এমন কিছু যে ঘটতে পারে তার আঁচ আগেই টের পেয়েছিল বিজেপি। বিজেপি (BJP) সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, দেবাশিসের (Birbhum BJP Candidate) প্রার্থিপদ নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। মূলত নথিপত্র সংক্রান্ত সমস্যা। সেই কারণেই বিকল্প হিসাবে দেবতনুর নাম ভাবা হয়েছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাঁইথিয়ার পুনুর গ্রামে ঢোল বাজিয়ে প্রচারে মেতেছিলেন দেবাশিস। ঠিক সেই সময়েই বীরভূম আসনে পদ্ম প্রতীকেই মনোনয়নপত্র জমা দেন দেবতনু ভট্টাচার্য। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছিলেন, “কোনও ষড়যন্ত্র করা হতে পারে, তাই এই সিদ্ধান্ত।” আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাতিল হল দেবাশিস ধরের প্রার্থী পদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “বিজেপিকে ভোট দিন”, তৃণমূল প্রার্থীর নামে বিতর্কিত লিফলেটে শোরগোল বালুরঘাটে

    Balurghat: “বিজেপিকে ভোট দিন”, তৃণমূল প্রার্থীর নামে বিতর্কিত লিফলেটে শোরগোল বালুরঘাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: (South Dinajpur) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব মিত্র প্রয়োজনে বিজেপিকে ভোট দিতে বলছেন। এমনই বিতর্কিত লিফলেট ছড়িয়ে পড়ল শুক্রবার। এই পোস্টারে যাকে খুশি ভোট দিন, প্রয়োজনে বিজেপিকে (BJP) ভোট দিন এই জাতীয় আবেদন ছিল। লিফলেট দেখে কার্যত ভিমড়ি খেয়েছেন খোদ তৃণমূল প্রার্থী।

    লিফলেটে কী লেখা ছিল (Balurghat)?

    এদিন সকালে প্রথম এধরণের লিফলেট চোখে পড়ে স্থানীয়দের। দুপুর গড়াতেই হইচই পড়ে যায় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কারা এই পোস্টটা ছড়িয়ে দিল। দ্বিতীয় দফার ভোটে এহেন লিফলেট বিতর্কে চাপে পড়ে যান তৃণমূল প্রার্থী। বিতর্কিত ওই লিফলেটে লেখা ছিল, “নমস্কার আমি বিপ্লব মিত্র (Biplab Mitra)। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী ও রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। এই লোকসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোন ইচ্ছেই আমার ছিল না। কারণ আমি জানতাম আমার দলের অন্দরে এই প্রচুর গুপ্ত শত্রু আমাকে নানাভাবে হারানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বারবার অনুরোধে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য হয়েছি। নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য জুড়ে দুর্নীতির ঘটনায় ও সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে কয়েক হাজার যুবকের চাকরি চলে যাওয়ার ঘটনায় আমি ধিক্কৃত হচ্ছি। এই কেন্দ্রের ভোটারদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা সুচিন্তিতভাবে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আপনারা চাইলে বিজেপিকেও ভোট দিতে পারেন। পরবর্তীতে আমাকে কোনরকম দোষারোপ করবেন না।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    ভোটের সকালে এমন লিফলেট ছড়িয়ে পড়ায় হৈচৈ পড়ে যায় বালুরঘাটে (Balurghat)। এই লিফলেট দেখে খোদ তাজ্জব বনে যান তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা বলেছেন, “আমি আশ্চর্য হয়ে গেছি। এই ঘটনায় আমার সন্দেহ বিজেপির কেও এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। বিজেপি প্রার্থীর নজরে এই লিফলেট এলে সঙ্গে সঙ্গে নিন্দা করে তার বিবৃতি দেওয়া উচিত। এই লিফলেট থেকে বিজেপির ফায়দা হচ্ছে। তারা কথায় কথায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে বসেন। এবার এটা সিবিআই তদন্ত করে দেখুক।”

    আরও পড়ুন: ভারতে চালু হচ্ছে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিষেবা! কবে থেকে, কোথায় চলবে জানেন?

    আরও একটি লিফলেট!

    উল্লেখ্য তৃণমূল প্রার্থীর নামে বিতর্কিত লিফলেট ছড়ানোর খবর চাউর হওয়ার পরেই দেখা যায় আরও একটি লিফলেট ছড়িয়ে পড়েছে। এই লিফলেট ছিল বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের নামে। তৃণমূল নেতার সন্দেহ প্রথম লিফলেট যিনি বা যারা বিলি করেছে তাঁরাই পরেরটাও ছড়িয়েছে। যদিও বিজেপি শিবিরের মতে বিপ্লব মিত্রের বিরোধী শিবিরের তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীর লোকেরা প্রথম লিফলেটটি ছড়িয়ে থাকতে পারে। পাল্টা বিপ্লব মিত্রের গোষ্ঠীর লোক ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলার উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় লিফলেটটি ছড়িয়ে থাকতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনমোহনের পুরানো ভিডিও শেয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানাল বিজেপি

    BJP: মনমোহনের পুরানো ভিডিও শেয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীকে ‘ন্যায়পত্র’ (কংগ্রেসের ইস্তাহার) নিয়ে বোঝাবেন বলে সময় চেয়ে দু’পাতার একটা চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের করা একটি মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে নিয়ে এল মোদি-শাহ-নাড্ডার দল।

    বিজেপির ‘সিংহ-বাণ’! (BJP)

    ভিডিওটি ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসের। তাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “সংখ্যালঘুরা, বিশেষত মুসলমান সংখ্যালঘুরা, তাঁরা যদি গরিব হন, তাহলে দেশের সম্পদের ওপর তাঁদের দাবি সর্বাগ্রে।” সম্পদের পুনর্বণ্টনের যে পরিকল্পনার কথা ইস্তাহারে জানিয়েছে কংগ্রেস, তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির এই ‘সিংহ-বাণ’। ভিডিওটি (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) শেয়ার করে ট্যুইট-বার্তায় বিজেপি বলেছে, “লোকসভা  নির্বাচন চলাকালীন মনমোহন সিংহ আবারও তুলেছেন তাঁর সেই বক্তব্য জাতীয় সম্পদের ক্ষেত্রে বিশেষত দরিদ্র মুসলমানদের অগ্রাধিকার থাকা উচিত। তিনি বলেছিলেন যে তিনি তাঁর আগের মন্তব্যে অনড়, যে দেশীয় সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার থাকা উচিত মুসলমানদের।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    সম্প্রতি (BJP) কংগ্রেস নেতা শ্যাম পিত্রোদা বলেছিলেন, “আমেরিকার ধাঁচে  এদেশেও চালু করা যেতে পারে কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তির ৪৫ শতাংশ হয়ে যাবে দেশের। বাকিটা তাঁর উত্তরসূরীদের।” কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সম্প্রতি এক জনসভায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ কেড়ে নিতে চায় কংগ্রেস। সেই অর্থ অনুপ্রবেশকারী ও বড় পরিবারগুলিকে ভাগ করে দিতে চায় তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর অর্থ হল, তারা সম্পদ সংগ্রহ করবে, আর বিলি করবে তাদের যারা অনুপ্রবেশকারী, অনেক ছেলেমেয়ে আছে। আপনি কি চান আপনার কষ্টার্জিত অর্থ অনুপ্রবেশকারীদের বিলি করা হোক? আপনি কি এটা মেনে নেবেন?  কংগ্রেসের ইস্তাহারে কিন্তু এমনটাই বলা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “পরের জন্মে বাংলায় জন্মগ্রহণ করব,” কর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত মোদি

    এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডাও। তাঁর অভিযোগ, এভাবে কংগ্রেস তফশিলি জাতি-উপজাতি এবং অন্যান্য পিছড়েবর্গদের অধিকার কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের দিতে চাইছে। কংগ্রেসের এটাই লুকোনো অ্যাজেন্ডা। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগ বরাবর করে এসেছে বিজেপি। এবারও তার অন্যথা হয়নি। নাড্ডা বলেন, “তফশিলি জাতি-উপজাতির মানুষ যে সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করেন, মুসলমানদের তা পাইয়ে দিতে (BJP) এভাবে গ্রাউন্ডওয়ার্ক করছে কংগ্রেস।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sri Ramakrishna Kathamrita: “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

    Sri Ramakrishna Kathamrita: “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

    তব কথামৃতং তপ্তজীবনং, কবিভিরীড়িতং কল্মষা পহম্‌।

    শ্রবণমঙ্গলং শ্রীমদাততং, ভুবি গৃণান্তি যে ভূরিদা জনাঃ।।

    গঙ্গাতীরে দক্ষিণেশ্বরে কালীবাড়ি। মা-কালীর মন্দির। বসন্তকাল, ইংরেজী ১৮৮২ খ্রীস্টাব্দের মার্চ মাস। ঠাকুর জন্মোৎসবের কয়েক দিন পরে। শ্রীযুক্ত কেশব সেন ও শ্রীযুক্ত জোসেফ্‌ কুক সঙ্গে ২৩শে ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার (১২ই ফাল্গুন, ১২৮৮, শুক্লাষষ্ঠী) ঠাকুরের স্টীমারের বেড়াইয়াছিলেন—তাহারই কয়েকদিন পরে। সন্ধ্যা হয় হয়। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরে মাস্টার আসিয়া উপস্থিত। এই প্রথম দর্শন। দেখিলেন একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত (Sri Ramakrishna Kathamrita) পান করিতেছেন। ঠাকুর তক্তপোশে বসিয়া পুর্বাস্য হইয়া সহাস্যবদনে হরি কথা কহিতেছেন। ভক্তেরা মেঝেয় বসিয়া আছেন।

    মাস্টার দাঁড়াইয়া অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন। তাঁহার বোধ হইল যেন সাক্ষাৎ শুকদেব ভগবৎ-কথা কহিতেছেন, আর সর্বতীর্থের সমাগম হইয়াছে। অথবা যেন শ্রীচৈতন্য পুরীক্ষেত্রে রামানন্দ স্বরূপাদি ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন ও ভগবানের নামগুণকীর্তন করিতেছেন। ঠাকুর (Sri Ramakrishna Kathamrita) বলিতেছেন, “যখন একবার হরি বা একবার রামনাম করলে রোমাঞ্চ হয়, অশ্রুপাত হয়, তখন নিশ্চয়ই জেনো যে সন্ধ্যাদি কর্ম—আর করতে হবে না। তখন কর্মত্যাগের অধিকার হয়েছে—কর্ম আপনা আপানি ত্যাগ হয়ে যাচ্ছে। তখন কেবল রামনাম, কি হরিনাম, কি শুদ্ধ ওঁকার জপলেই হল।” আবার বলিলেন, “সন্ধ্যা গায়ত্রীতে লয় হয়। গায়েত্রী আবার ওঁকারে লয় হয়।”

    মাস্টার সিধুর সঙ্গে বরাহনগরের এ-বাগান ও-বাগান বেড়াইতে বেড়াইতে এখানে আসিয়া পড়িয়াছেন। আজ রবিবার অবসর আছে, তাই বেড়াইতে আসিয়াছেন; শ্রীযুক্ত প্রসন্ন বাঁড়ুজ্যের বাগানে কিয়ৎক্ষণ পূর্বে বেড়াইতেছিলেন। তখন সাধু বলিয়াছিলেন, “গঙ্গার ধারে একটি চমৎকার বাগান আছে, সে-বাগানটি কি দেখতে যাবেন? সেখানে একজন পরমহংস (Sri Ramakrishna Kathamrita) আছেন।”

     

    বাগানে সদর ফটক দিয়া ঢুকিয়াই মাস্টার ও সিধু বরাবর ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরে আসিলেন। মাষ্টার অবাক্‌ হইয়া দেখিতে দেখিতে ভাবিতেছেন, আহা কি সুন্দর স্থান! কি সুন্দর মানুষ! কি সুন্দর কথা! এখান থেকে নড়তে ইচ্ছা করছে না।” কিয়ৎক্ষণ পরে মনে মনে বলিতে লাগিলেন, “একবার দেখি কোথায় এসেছি। তারপর এখানে বসব।” (Sri Ramakrishna Kathamrita)

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ২য় পরিচ্ছেদ, প্রথম দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share