Tag: Bengali news

Bengali news

  • Calcutta Highcourt: “তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে”, NIA-কে তদন্তভার দিয়েও চিন্তিত হাইকোর্ট

    Calcutta Highcourt: “তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে”, NIA-কে তদন্তভার দিয়েও চিন্তিত হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মরশুমে ফের চাপ বাড়ল শাসকদলের উপর। মুর্শিদাবাদের রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় এবার তদন্ত করবে এনআইএ। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) । মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, “যত সময় গড়াবে ততই তথ্য প্রমাণ বিকৃতি করার সম্ভাবনা বাড়বে। পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী বোমা ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে।”

    রামনবমীর মিছিলে হামলার তদন্তে এনআইএ (Calcutta Highcourt)

    প্রসঙ্গত গত বছরের মত এবছরও রামনবমীর দিন রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে কোথাও বাড়ি ছাদ থেকে আবার কোথাও মসজিদ থেকে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে আহত হন বহু রাম ভক্ত। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এনআইএকে তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) ।  শুক্রবার মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় শুক্রবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় এনআইএ। এর পরই আদালত জানায় মুর্শিদাবাদের রামনবমীর মিছিলে বোমাবাজি ও হামলার ঘটনায় তদন্ত করবে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কী হয়েছিল রামনবমীর মিছিলে

    চলতি বছর রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদের রেজিনগর বিধানসভা এলাকার শক্তিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমে একদল দুষ্কৃতী রামনবমীর মিছিলের উপর একতরফা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল আশপাশের বাড়ি থেকে মুখ ঢেকে বোমা ও পাথর ছুঁড়ছে একদল দুষ্কৃতি। শক্তিপুরের পাশাপাশি মানিক্যহার এলাকাতেও মিছিলের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতিরা। বাড়ির ছাদ থেকে মিছিলকে লক্ষ্য করে সেখানেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের তদন্তের দাবি জানিয়ে Calcutta Highcourt) দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়।

    আরও পড়ুন: ভক্তদের জন্য সুখবর! অক্ষয় তৃতীয়ায় খুলে গেল কেদারনাথ ধামের দ্বার

    তথ্য প্রমাণ লোপাটের চিন্তা আদালতের (Calcutta Highcourt)

    প্রসঙ্গত এতদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হিংসার ঘটনার তদন্ত করছিল সিআইডি। তবে এনআইয়ের তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার। এখন সেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায়ী তদন্তভার পেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্ট Calcutta Highcourt) রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। যত দিন যাবে ততদিন মামলার তথ্য প্রমাণ লোপাট করার বিষয়ে চিন্তা প্রকাশ করে আদালত। এমনকি বহরমপুরে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্যে, “যেখানে মানুষ আট ঘণ্টা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারে না, সেখানে ভোটের কোন প্রয়োজন নেই।” একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি জেলাশাসককে নির্দেশ দেন, “ওই জেলায় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কোন মন্তব্য বা প্রচার করতে পারবেন না রাজনীতিকরা। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নজরদারি রাখতে হবে তাঁকে। এ নিয়ে প্রচার করার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।” মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। সেদিন প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে এনআইএ-কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভোটের জন্য সিএএ করতে দিচ্ছেন না মমতা। বিরোধিতা করছেন। চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক।” শুক্রবার অমিত শাহ (Amit Shah) রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে প্রচারে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের প্রশ্ন, “সিএএ এই দেশে আসা উচিত কি না! বহু মানুষ আজ নাগরিকত্ব পাননি। অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই দিচ্ছে মমতার সরকার। কিন্তু মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিরোধিতা করছে।আমরা সকলকে নাগরিকত্ব দেব।”

    মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে বিজেপিকে ভোট দিন (Amit Shah)

    রানাঘাটের মাজদিয়া রেল বাজার হাই স্কুলের মাঠে সভা বিজেপি। সেখানে বক্তৃতা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রানাঘাটে তৃণমূলের প্রার্থী বিজেপি ছেড়ে আসা মুকুটমণি অধিকারী। বক্তৃতায় তাঁকে বার বার কটাক্ষ করলেন সুকান্ত। জানালেন, এই ভোট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। নদিয়াবাসীর পক্ষ থেকে অমিত শাহকে স্বাগত জানালেন দলীয় কর্মীরা। তার পরেই মঞ্চে উঠলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে বলুন, ‘ভারত মাতার জয়’। ‘জয় শ্রীরাম’।”এর পর একে একে মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতা, কর্মীদের নাম নেন শাহ (Amit Shah)। উপস্থিত সকলকে নমস্কার জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের উৎসাহের জন্য প্রণাম জানাই। এখানে এক ইঞ্চিও জায়গা রাখেননি। জগন্নাথজিকে জয়ী করানোর জন্য সকলে এসেছেন। জগন্নাথকে কমল চিহ্নে দেওয়া প্রতি ভোট নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করবে। জগন্নাথকে দেওয়া ভোট মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে।”

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    দুর্নীতিতে এক নম্বরে মমতার সরকার

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “রামমন্দির আগেই হওয়া উচিত ছিল কি না! এই কংগ্রেস, তৃণমূল, কমিউনিস্টেরা আটকে রেখেছিল এত বছর। দ্বিতীয় বার আপনারা প্রধানমন্ত্রী করেছেন। মামলা জিতে, ভূমিপুজো করে রামমন্দির করেছেন মোদি। আজ বলতে চাই, মোদিজি ১০ বছরে ৮০ কোটি গরিবের জন্য অনেক কাজ করেছেন। প্রতি মাসে যে ৫ কেজি চাল আসে, তা মোদি দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। সন্দেশখালির প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “মমতা একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতে মহিলাদের শোষণ করা হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে। করেছেন ওঁর নেতারা। ওঁর লজ্জা করা উচিত। সিবিআই তদন্ত করছে। বাংলার মা, বোনদের চিন্তার দরকার নেই। আমরা সন্দেশখালি অপরাধীদের উল্টো ঝোলাব। শাহ জানান, দুর্নীতিতে ‘এক নম্বরে মমতার সরকার। শিক্ষক, পুরনিয়োগ থেকে রেশন, কয়লা সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে মমতার সরকার।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, ভয় পাবেন না

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “মমতার মন্ত্রীর ঘর থেকে ৫০ কোটি টাকা মিলেছে। এই সভায় কেউ এত টাকা দেখেছেন? এই টাকা কার? এই টাকা রানাঘাটের গরিব যুবকদের। এই মমতা এবং তৃণমূল এই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করছে। যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের ভয় পাবেন না।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে এই যে বিস্ফোরণ হচ্ছে, সকলকে ভয় দেখানোর জন্য করাচ্ছেন মমতা। রানাঘাটবাসীকে বলছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছি আমরা। ভয় পাবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 14: “জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত বলিলেন, এর নাম সমাধি! মাস্টার এরূপ কখনও দেখেন নাই”

    Ramakrishna 14: “জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত বলিলেন, এর নাম সমাধি! মাস্টার এরূপ কখনও দেখেন নাই”

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    শ্রুতিবিপ্রতিন্না তে যদা স্থাস্যতি নিশ্চলা।

    সমাধাবচলা বুদ্ধিস্তদা যোগমবাপ্স্যসি।।

    সমাধিমন্দিরে

    সভা ভঙ্গ হইল। ভক্তেরা এদিক ওদিক পায়চারি করিতেছেন। মাস্টারও পঞ্চবটি ইত্যাদি স্থানে বেড়াইতেছেন, বেলা আন্দাজ পাঁচটা। কিয়ৎক্ষণ পরে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরের দিকে আসিয়া দেখিলেন, ঘরের উত্তরদিকের ছোট বারান্দার মধ্যে অদ্ভুত ব্যাপার হইতেছে!

    শ্রীরামকৃষ্ণ স্থির হইয়া দাঁড়াইয়া রহিয়াছেন। নরেন্দ্র গান করিতেছেন, দুই-চারিজন ভক্ত দাঁড়াইয়া আছেন। মাস্টার আসিয়া গান শুনিতেছেন। গান শুনিয়া আকৃষ্ট হইয়া রহিলেন। ঠাকুরের গান ছাড়া এমন মধুর গান তিনি কখনও শুনেন নাই। হঠাৎ ঠাকুরের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া অবাক্‌ হইয়া রহিলেন। ঠাকুর দাঁড়াইয়া নিস্পন্দ, চক্ষুর পাতা পড়িতেছে না, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস বহিছে! জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত বলিলেন, এর নাম সমাধি! মাস্টার এরূপ কখনও দেখেন নাই, শুনেন নাই। অবাকহইয়া তিনি ভাবিতেছেন ভাগবানকে চিন্তা করিয়া মানুষ কি এত বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়? না জানি কতদূর বিশ্বাস-ভক্তি থাকলে এরূপ হয়। গানটি এই;

    চিন্তয় মম মানস হরি চিদঘন নিরঞ্জন।

    কিবা, অনুপমভাতি, মোহনমূরতি, ভকত-হৃদয়-রঞ্জন

    নবরাগে রঞ্জিত, কোটি শশী-বিনিন্দিত;

    (কিবা) বিজলি চমকে, সেরূপ আলোকে, পুলকে শিহরে জীবন।

    গানের এই চরণটি গাহিবার সময় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ শিহরিতে লাগিলেন। দেহ রোমাঞ্জিত! চক্ষু হইতে আনন্দশ্রু বিগলিত হইতেছে। মাঝে মাঝে যেন কি দেখিয়া হাসিতেছেন। না জানি কোটি শশী-বিনিন্দিত কী অনুপম রূপদর্শন করিতেছেন! এরই নাম কি ভগবানের চিন্ময়-রূপ-দর্শন? কত সাধন করিলে, কত তপস্যার ফলে, কতখানি ভক্ত-বিশ্বাসের বলে, এরূপ ঈশ্বর-দর্শন হয়? আবার গান চলিতেছেঃ

    হৃদ কমলাসনে, ভজ তাঁর চরণ,

    দেখ শান্ত মনে, প্রেমে নয়নে অপরূপ প্রিয়দর্শন!

    আবার সেই ভুবনমোহন হাস্য! শরীর সেইরূপ নিস্পন্দন! স্তিমিত লোচন! কিন্তু কি যেন রূপদর্শন করিতেছেন! আর সেই অপরূপ রূপদর্শন করিয়া যেন মহানন্দে ভাসিতেছেন।

    এইবার গানের শেষ হইল। নরেন্দ্র গাইলেনঃ

    চিদানন্দরসে, ভক্তি যোগাবেশে, হও রে চির গমন।

    (চিদানন্দরসে, হায় রে প্রেমানন্দ রসে)

    সমাধির ও প্রেমানন্দের এই অদ্ভুত ছবি হ্রদয়মধ্যে গ্রহণ করিয়া মাস্টার গৃহে প্রত্যাবর্তন করিতে লাগিলেন। মাঝে মাঝে হৃদয়মধ্যে সেই হৃদয়োত্তকারী মধুর সঙ্গীতের ফুট উঠিতে লাগিলঃ

    প্রেমানন্দরসে হও রে চিরমগন। (হরিপ্রেমে মত্ত হয়ে)

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    আরও পড়ুনঃ “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৮ম পরিচ্ছেদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: পেট্রোল-ডিজেলে ‘অতিরিক্ত ট্যাক্স মমতার’, আক্রমণ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Himanta Biswa Sarma: পেট্রোল-ডিজেলে ‘অতিরিক্ত ট্যাক্স মমতার’, আক্রমণ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের সমর্থনে জগদ্দল বিধানসভার শ্যামনগর অন্নপূর্ণা মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। রাজ্যে তৃণমূল শাসনে একধিক বিষয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। আসাম সরকারের সরকারি প্রকল্প এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকারি প্রকল্পের নানা বিষয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন। পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোল-ডিজেলের লিটার পিছু মূল্য নিয়ে অতিরিক্ত ট্যাক্স নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। একই সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকার পরিমাণ কম পান বাংলার মা-বোনেরা, এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।

    কী বলেল হিমন্ত বিশ্বশর্মা(Himanta Biswa Sarma)?

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “আসামে গোয়াহাটিতে পেট্রোলের লিটার ৯৬ টাকা আর পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোলে লিটার ১০৩ টাকা। পেট্রোলে লিটার পিছু সাত টাকা করে বেশি নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ডিজেলের লিটার পিছু নিচ্ছে তিন টাকা করে। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার পায় কিন্তু আসামের মহিলারা ১২৫০ টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পেট্রোল ও ডিজেল এ অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তাতে এই পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের ২০০০ টাকা করে লক্ষীর ভান্ডার পাওয়া উচিত।”

    নিয়োগ নিয়ে আক্রমণ

    বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “আসামে আমরা প্রথম বছরে ১ লক্ষ যুবকের সরকারি চাকরি দিয়েছি। কিন্তু সেই চাকরি নিয়ে কোনও হাইকোর্ট বা সুপ্রিমকোর্ট হয়নি বা কোনও মন্ত্রীর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়নি, তাই আসামে গিয়ে কীভাবে সাধারণ যুবকদের চাকরি দিতে হয় তা মুখ্যমন্ত্রীকে শিখে আসার জন্য আহ্বান জানাই। অথচ এই রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেকার যুবকদের স্বপ্ন ধ্বংস করে দিয়েছেন মমতা।” বাংলায় তৃণমূল শাসনকে মুক্ত করতে এদিন জনসভার মঞ্চ থেকে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে অর্জুন সিং-কে জেতানোর জন্য আহ্বান জানান।

    আরও পড়ুনঃসন্দেশখালির ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপির গঙ্গাধর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: জামিন পেয়েও রেহাই নেই! আবগারি দুর্নীতির চার্জশিটে নাম জড়াল দলের

    Arvind Kejriwal: জামিন পেয়েও রেহাই নেই! আবগারি দুর্নীতির চার্জশিটে নাম জড়াল দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েও কেজরির (Arvind Kejriwal) কপালে চিন্তার ভাঁজ। আগে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি এবং তাঁর মন্ত্রীরা। এবার জড়িয়ে গেল দলের নাম। সূত্রের খবর ইডি-র চার্জশিটে অভিযুক্ত তালিকায় নাম রয়েছে আপ-এর।

    চার্জশিটে নাম জড়াল দলের 

    ইডি সূত্রে খবর চার্জশিটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) নাম ও অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় আগেই দীর্ঘ দিন জেলে কাটিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার নাম জড়াল তাঁর পার্টি আম আদমি পার্টির। আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনে অভিযুক্ত হিসেবে আম আদমি পার্টির (AAP) নামের উল্লেখ রয়েছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিটে। শুক্রবার ইডির সূত্র উদ্ধৃত করে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রথম দেশের কোন স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের নামে দুর্নীতি মামলার উল্লেখ হয়েছে চার্জশিটে। তবে এখনও ওই চার্জশিট আদালতে জমা দেয়নি ইডি।

    আম আদমি পার্টিকে কোম্পানির সঙ্গে তুলনা

    প্রসঙ্গত দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সংক্রান্ত শুনানিতে আম আদমি পার্টিকে একটি কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করেছিল তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) । শুধু তাই নয় কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) কোম্পানি ডিরেক্টর বলে উল্লেখ করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে। তাদের যুক্তি ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইডি বেআইনী আর্থিক লেনদেন বা পিপালস মানি লন্ডারিং অ্যাক্টর (PMLA) ৭০ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করেছিল আদালতে। কোন কোম্পানির ডিরেক্টর, ম্যানেজার, সেক্রেটারি উচ্চপদস্থ কোন আধিকারিক যদি আর্থিক তছরুপের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সেক্ষত্রে ঠিক যেভাবে দুর্নীতি হয় সেভাবেই এক্ষেত্রে হয়েছিল বলে দাবি করে ইডি।

    “রাজনীতি করবেন না”, বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    ভোট গণনার দিন থাকতে হবে জেলেই (Arvind Kejriwal)

    লোকসভা ভোটের মাঝে মুক্তি পেলেও ভোট গণনার দিন তাঁকে (Arvind Kejriwal) থাকতে হবে জেলেই। আপাতত ২৩ দিনের জন্য জামিন পেয়েছেন কেজরিওয়াল। যদিও তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘবি  জামিনের মেয়াদ ৫ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাতে সরাসরি না বলে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে ২ জুন কেজরিওয়ালকে পুনরায় আত্মসমর্পণ করতে হবে। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচন শেষ দফার ভোটগ্রহণের সময় জেলের বাইরে থাকবেন কেজরি। কিন্তু পরের দিনই তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় ২১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তারপর থেকে জামিন পাওয়ার অনবরত চেষ্টা করেছেন কেজরিওয়াল। আপাতত অল্প স্বস্তি পেলেও পুনরায় তিহার জেলে ফিরে আসতে হবে। কারণ তাঁকে শর্ত সাপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। জামিন পেলেও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। যদিও তাতে আপত্তি জানার নেই কেন্দ্রের আইনজীবী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: বেআইনি ভাবে জমি দখলের মামলায় শাহজাহান শেখের ভাইকে ফের তলব ইডির

    Sandeshkhali Incident: বেআইনি ভাবে জমি দখলের মামলায় শাহজাহান শেখের ভাইকে ফের তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) ধৃত তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের ভাই সিরাজউদ্দিন শেখকে ফের তলব করল ইডি। শাহজাহানের আরও কয়েক জন আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদেরও সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। এর আগে সিরাজকেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়। সিরাজ ও শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি তলব করা হয়েছে ধৃত শিবু হাজরার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদেরও।  

    কী কারনে তলব? (Sandeshkhali Incident)

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের ব্যাঙ্কের নথি, জমি লিজের কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে এবং ধৃতদের বয়ানে যে সব নাম উঠে এসেছে, তাঁদেরই তলব করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, সন্দেশখালির সরবেড়িয়া, ধামাখালি সহ বেশ কিছু এলাকায় আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের নাম ব্যবহার করে জমির লিজ নিতেন শাহজাহান। তাঁরা অবশ্য কেউই খুব বড় মাপের ব্যবসায়ী নন। শাহজাহান শুধু তাঁদের নামটুকু ব্যবহার করতেন। সেই সব ব্যক্তিদের নামেই জমির লেনদেন হত। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেই সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই শাহজাহান ও শিবুর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।

    সিরাজুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে ইডির পদক্ষেপ 

    উল্লেখ্য সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident)পরই শাহজাহানের ভাই সিরাজুদ্দিন শেখের নাম শিরোনামে উঠে আসে। একাধিকবার তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠায় ইডি। কিন্তু প্রতিবারই হাজিরা এড়ান সিরাজউদ্দিন। ইডির (ED) তদন্তকারীদের আশঙ্কা, তদন্ত থেকে বাঁচতে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করে থাকতে পারেন সিরাজউদ্দিন। তাই তিনি যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সে কারণে দেশের সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে সিরাজউদ্দিনের ছবি এবং তাঁর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    প্রসঙ্গত, গত ১ মে কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) সরবেড়িয়া এলাকায় শাহজাহানদের বাড়ির সামনে যান সিবিআইয়ের একটি দল। সিরাজের বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। তালাবন্ধ বাড়ির বাইরে নোটিশ সেঁটে দিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর এই ঘটনার পর আবারও সিজিও কমপ্লেক্সে শাহজাহান শেখের ভাইকে তলব করল ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শশী পাঁজা একজন মহিলা এবং মন্ত্রী তিনি কেন সন্দেশখালি নিয়ে মূর্খের মতো কথা বলছেন বুঝতে পারছি না। অপেক্ষা করুন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শুক্রবার তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে রোড শো করতে আসেন।

    সুকান্তর রোড শোয়ে জনজোয়ার (Sukanta Majumdar)

    এদিন কৃষ্ণনগর লোকসভার ভীমপুর থানার আশাননগর উচ্চ বিদ্যালয় এর সামনে থেকে শুরু হয় রোড শো। প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে ভীমপুর বাজারে শেষ হয় এই রোড শো। এই রোড শোয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিনি আসতে পারেননি। এদিন সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) এই রোড শোয়ে বিজেপি কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রোড শোয়ে সাধারণ মানুষের ভিড়ে জনজোয়ারের আকার নেয়। আগামী ১৩ ই মে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। সেই কারণেই শেষ পর্যায়ের প্রচারে ব্যস্ত প্রতিটি রাজনৈতিক দল। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বহু বিতর্কিত নেত্রী মহুয়া মৈত্র। তাঁর বিরুদ্ধে এবার বিজেপি কিছুটা চমক দিয়ে প্রার্থী করেছেন কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্যা তথা রাজবধূ অমৃতা রায়কে। এবারের কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন অনেকটাই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে

    এদিন রোড শো শুরু করার আগে সাংবাদিকদের সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,  অপেক্ষা করুন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। সন্দেশখালিতে কোথা থেকে টাকা আসছে সবাই তা জানে। সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে। পাশাপাশি শশী পাঁজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি একজন মহিলা এবং রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে কীভাবে সন্দেশখালি নিয়ে মুর্খের মতো কথা বলতে পারেন। সেখানে রাজ্য পুলিশ ১৬৪ ধারায় মহিলাদের বয়ান নিয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা পুলিশের সামনেই আদালতে ধর্ষনের ঘটনা কথা অভিযোগ করেছিলেন। এখানে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে যে নোংরামি চলছে তা সময়ে এলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme court: টেটের শূন্যপদ নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    Supreme court: টেটের শূন্যপদ নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার বড় নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। প্যানেলের মেয়াদ শেষে কোনও নিয়োগ নয়, নির্দেশে সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ ২০২০ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রয়ে যাওয়া শূন্যপদে নতুন করে কোনও নিয়োগ নয়, এমনটাই নির্দেশ বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চের।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Supreme court) 

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে একটি ২০১৬ সালে এবং অপরটি ২০২০ সালে। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের তরফে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। কিন্তু, বিভিন্ন কারণের জন্য ৩৯২৯ টি পদ শূন্যই থেকে গিয়েছিল। এই প্রায় ৪ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment) ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার কাদের রয়েছে? এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা ২০১৪ সালে টেট পাশ করে তাঁদের দাবি ছিল বাকি পদগুলিতে রয়েছে তাঁদের অগ্রাধিকার। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা গিয়েছিল তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। তিনি সেই সময় মেধার উপর ভিত্তি করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) সেই নির্দেশকে মান্যতা দিল না। 

    শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ 

    বৃহস্পতিবার মামলাটি আদালতে (Supreme court) উঠতে সেখানেই এই দাবি খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের (Primary Recruitment) ক্ষেত্রে যে পদগুলি বাকি রয়েছে সেগুলি আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme court) তরফে। অর্থাৎ ২০২২ সালের যে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল তার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেই মতোই করা হবে নিয়োগ।

    আরও পড়ুন: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমেছে ৮ শতাংশ, তরতরিয়ে বেড়েছে সংখ্যালঘুরা

    অন্যদিকে আবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জলও গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটিই বাতিল করে দেয়। আর এই নির্দেশে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি যায়। আর অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের সুদ সমেত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সেই মামলায় আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Hindu Population: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যায় হ্রাস, ‘‘কংগ্রেসের হাতে দেশ ছাড়লে…’’, তোপ বিজেপির

    India Hindu Population: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যায় হ্রাস, ‘‘কংগ্রেসের হাতে দেশ ছাড়লে…’’, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর ইকোনমিক অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতে হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে ৭.৮%। অন্যদিকে, এই সময় দ্রুত বেড়েছে সংখ্যালঘু মুসলমান-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ সমেত অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা। এই ইস্যুতে বিজেপি তোপ দেগেছে কংগ্রেসকে (India Hindu Population)। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য হিন্দু জনসংখ্যা কমার জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘যদি কংগ্রেসের হাতে দেশকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে এই পৃথিবীতে কোনও দেশই আর হিন্দুদের থাকবে না।’’

    উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের তোপ

    অমিত মালব্যের মতোই উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য একইভাবে তোপ দেগেছেন কংগ্রেসকে। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেসের মুসলিম তোষণ নীতির কারণেই দেশে দ্রুত বেড়েছে মুসলিম জনসংখ্যা এবং কমেছে হিন্দু জনসংখ্যা। এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেন, ‘‘কংগ্রেস পার্টি চিরকালই (India Hindu Population) মুসলিম তোষণ করে এসেছে। জনসংখ্যার ভারসাম্য থাকছে না বলেই প্রয়োজন হয়েছে ইউনিফর্ম সিভিল কোড-এর। ইউনিফর্ম সিভিল কোড লাগু হলে হিন্দু মুসলিম সমেত অন্যান্য সমস্ত সম্প্রদায় শুধুমাত্র একটি বিয়েই করতে পারবে।’’ কেশব প্রসাদ মৌর্য সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড লাগু হলে ‘হাম ৫ হামারে ২৫’- এই ফর্মুলা কাজ করবে না।’’

    কমেছে হিন্দুর হার

    ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ এই পর্বে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার ভাগ ৮৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭৮ শতাংশ। এই সময় মুসলমানদের ভাগ ৯.৮৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪.০৯ শতাংশ। ভারতে হিন্দুদের জনসংখ্যা যে হারে কমছে, সেদিক থেকে ভারতের স্থান হয়েছে পড়শি দেশ মায়ানমারের পরেই। এখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ১০ শতাংশ। ভারতে এই হার ৭.৮ শতাংশ। হিন্দুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ নেপালেও। এখানেও হিন্দুরাই সংখ্যা গরিষ্ঠ। তবে তাদের বৃদ্ধির হার মাত্রই ৩.৬ শতাংশ। যে রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব বলা হচ্ছে, তা সংগ্রহ করা হয়েছে বিশ্বের ১৬৭টি দেশ থেকে। গবেষণাপত্রটির লেখকদের মতে, বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা কেবল নিরাপদেই রয়েছেন তা নয়, তাঁরা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে (India Hindu Population)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: ভোট বয়কট করা মালদার সেই গ্রামে পুলিশি অত্যাচার, পুরুষশূন্য গ্রাম, সরব বিজেপি

    Malda: ভোট বয়কট করা মালদার সেই গ্রামে পুলিশি অত্যাচার, পুরুষশূন্য গ্রাম, সরব বিজেপি

    মাধ্যম  নিউজ ডেস্ক: দাবি আদায়ের জন্য গ্রামের সকলে ভোট বয়কট করেছিলেন। আর তার জেরেই গ্রামবাসীদের ওপর পুলিশি অত্যাচার শুরু হয়েছে। আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদার (Malda) হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর এলাকায়। পুলিশি অত্যাচারের কারণে গ্রামে পুরুষ থাকতে পারেন না। চরম আতঙ্কিত গ্রামের মহিলারা। অসহায় গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Malda)

    মালদার (Malda) হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর এলাকায় সাড়ে তেরোশো ভোটার। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা এবং ব্রিজ তৈরির দাবি ছিল। ৭ মে ভোটের দিন সেই দাবি আদায়ের জন্য ভোটাররা ভোট না দিয়ে বুথের বাইরে জমায়েত হয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। রামকৃষ্ণপুর, রাধাকান্তপুর, জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কেউই ভোট দেননি। ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরই এলাকায় পুলিশি অত্যাচার শুরু হয়। গ্রামের মহিলাদের বক্তব্য,আন্দোলনকারী মহিলারা পুলিশের অত্যাচারে বাড়িতে থাকতে পারছেন না। গোটা গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।  রাতের বেলা মহিলারা পুলিশি অত্যাচারে মাঠে-ঘাটে অন্যত্রে লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ গ্রামে অকথ্য অত্যাচার করেছে। বাড়িতে কাউকে থাকতে দিচ্ছে না। মুখ খুললে কেস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে গোটা গ্রাম এখনও থমথমে হয়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা দুটি ভোটে বয়কট হয়ে যাওয়ায় এলাকার উন্নয়ন নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেজেন প্রশাসনের কর্তারা।

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    গ্রামবাসীদের পাশে বিজেপি

    সাহস জোগাতে এগিয়ে এলেন বিজেপির নেত্রী তথা গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী গাঙ্গুলী সরকার। নির্যাতিতাদের গ্রামে গিয়ে তিনি পুলিশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাধাকান্তপুর কে পুলিশ প্রশাসন দ্বিতীয় সন্দেশখালি বানাতে চাইছে। মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। তাঁরা যেখানে সেখানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হকের আদায় চাওয়া কি অপরাধ? এভাবে পুলিশি অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে এ নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share