Tag: Bengali news

Bengali news

  • Shib Narayan Das: সংখ্যালঘু বলেই কি যোগ্য সম্মান পেলেন না বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার শিব নারায়ণ দাস?

    Shib Narayan Das: সংখ্যালঘু বলেই কি যোগ্য সম্মান পেলেন না বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার শিব নারায়ণ দাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিঃশব্দে বুক ভরা অভিমান নিয়ে চলে গেলেন শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das), বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার। গত ১৯ এপ্রিল প্রয়াত হন তিনি। নিতান্তই নিয়মরক্ষা করে বাংলাদেশের কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম খবরটা করেছে। ওই দিন বেলা পৌনে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ কুমিল্লাতে রাখা হয়। শ্রদ্ধা জানান মানুষজন। তবে বড় কোনও রাজনৈতিক নেতাকে সেখানে দেখতে পাওয়া যায়নি। পড়শি দেশের ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায়না শিব নারায়ণ দাসের নাম, তা কি কেবল তিনি সংখ্যালঘু ছিলেন বলেই? এমন প্রশ্ন তুলছে কোনও কোনও মহল। জীবদ্দশায় অবহেলা, বঞ্চনা, যোগ্য সম্মান না পাওয়া এই মানুষটি কে ছিলেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে কী অবদান ছিল মানুষটির। তা নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।

    ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ওড়ানো হয় তাঁর তৈরি পতাকা

    ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিব নারায়ণ দাস। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। শিব নারায়ণ (Shib Narayan Das) ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম যোদ্ধা। শিব নারায়ণ দাসের তৈরি করা পতাকা নিয়েই চলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। জানা যায় ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের প্রাঙ্গণে প্রথম ওড়ানো হয় তাঁর তৈরি পতাকা। ওই পতাকায় লাল এবং সবুজ রঙের ভিতরে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত ছিল। ১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে এক সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। ওই কুচকাওয়াজের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তৈরি করেন একটি জয় বাংলা বাহিনী। ওই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন শিব নারায়ণ দাস। জয়বাংলা বাহিনী একটি পতাকা তৈরি সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলের ১১৮ নম্বর কক্ষে বসে তৈরি হয় পতাকার নকশা।

    সম্মান পেয়েছেন কামরুল হাসান, পেলেন না শিব নারায়ণ

    তবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সরকার সে দেশের শিল্পী কামরুল হাসানকে ওই পতাকার বিষয়ে মতামত দিতে বলে। কামরুল হাসান শিব নারায়ণ দাসের (Shib Narayan Das) তৈরি পতাকা থেকে বাংলাদেশের মানচিত্রটিকে বাদ দিয়ে দেন। বর্তমানে সেটি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। তবে কামরুল হাসান স্বীকৃতি পেয়েছেন। পেয়েছেন সম্মান। কিন্তু বঞ্চনা অবহেলা জুটেছে শিব নারায়ণ দাসের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে অনেকেরই প্রশ্ন, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেই কি শিবনারায়ণ দাসের প্রতি এমন বঞ্চনা?

    বাংলাদেশের মুক্তমনা এক সাংবাদিক সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন

    বাংলাদেশের বেশকিছু মুক্তমনা সাংবাদিক শিবনারায়ণ দাসের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে অবশ্য সোচ্চার হয়েছেন। এ নিয়ে সামনে এসেছে সমাজ মাধ্যমের পাতায় বিভিন্ন ধরনের লেখাও। জনৈক্য আহমেদ ইস্তিয়াক নামের এক সাংবাদিক গত বছরেই শিব নারায়ণ দাসের (Shib Narayan Das) বাড়িতে যান সাক্ষাৎকার নিতে। সেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা হিসেবে ওই সাংবাদিক লিখছেন, ‘‘চারতলায় উঠে কলিংবেল টিপতেই ভিতর থেকে প্রশ্ন এল, ‘কে এসেছেন ? আপনি কে?’ বললাম, ‘একটা প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে কথা বলতে এসেছি।’ জবাব পেয়ে দরজা খুলেই বললেন ‘কী প্রয়োজন? কোথা থেকে এসেছেন?’ বললাম, ‘অমুক পত্রিকা থেকে এসেছি একটা বিশেষ দরকারে। তিনি বললেন ‘কী দরকার?’ আমি বললাম, ‘যদি অনুমতি দেন তো একটু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’ তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে এবার আপনি আসতে পারেন।’ বললাম, ‘ভিতরে আসবো?’ পুরোটা বলার আগেই আমার মুখের উপর দিয়েই দড়াম করে তিনি দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভিতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে বললেন, ‘আপনি চলে যান। আমি এসব বিষয়ে কথা বলিনা।’ আমার তখন কী যে অনুভূতি হয়েছিলো তা আমি আসলে ভাষায় বর্ণনা করতে পারবো না। আমার দেশটির উপর তীব্র ঘৃণা জন্মালো। মনে হলো আমি মাটি খুঁড়ে তখনই ঢুকে পড়ি। কিংবা মরে যাই। আর তীব্র এক লজ্জাবোধ আমাকে চরমভাবে গ্রাস করলো। তিনি শিব নারায়ণ দাস, যাকে আমরা সামান্য স্বীকৃতিটুকু দিতেও চরম কার্পণ্য করেছি।’’

    পাঠ্যপুস্তকে নেই শিব নারায়ণের নাম

    ওই সাংবাদিকের আরও সংযোজন, ‘‘শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das) যেন আজ এক বিস্মৃত ইতিহাস। যাকে আমরা স্রেফ ভুলে গেছি। আমাদের এক অনন্য কারিগরকে আমরা স্রেফ উচ্ছেদ করেছি। পাঠ্যপুস্তকে জাতীয় পতাকার যে ইতিহাস লেখা হয়েছে, সেখানে আমরা তাঁকে বাদ দিয়েছি। সর্বত্র জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হিসেবে পটুয়া কামরুল হাসানের নাম। নেই কোথাও শিবনারায়ণ দাসের নাম।’’ প্রসেনজিৎ রূদ্র নামের এক নেটিজেন মন্তব্য করছেন, ‘‘যারা যুদ্ধের ধারে কাছেও ছিল না তারা এখন নামধারী কৌটাধারী রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা নামে সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিল, তাদের অনেকেই যোগ্য সম্মানটুকু পাননি। একটা ভিডিওতে এক বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে তো রিক্সা চালাতেও দেখেছিলাম।’’

    শিব নারায়ণ দাসের বাবাও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন

    জানা যায়, শিব নারায়ণ দাসের (Shib Narayan Das) বাবা সতীশ চন্দ্র দাস ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একজন চিকিৎসকও ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। কিন্তু শিব নারায়ণ দাসের মতোই তাঁর পিতা সতীশ চন্দ্র দাসকেও কোনও রকমের সম্মান দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, শিব নারায়ণ দাস শেষ জীবনে থাকতেন তাঁর মেয়ের কাছে, একটি ভাড়া বাড়িতে। এতটাই অর্থ কষ্টে তিনি ভুগছিলেন শেষদিকে, যে প্রতিবেশীরাও পর্যন্ত আলোচনা করতেন, শিব নারায়ণ দাস নিজের চিকিৎসাটুকুও করাতে পারেন না।

    কেমন ছিল প্রথম পতাকা তৈরির ইতিহাস

    প্রতিবেদনের শুরুতেই আমরা আলোচনা করেছি ১৯৭০ সালের ৬ জুন ইকবাল হলের ১০৮ নম্বর কক্ষে তৈরি হয় পতাকা। জানা যায় ১০৮ নম্বর কক্ষে ওই দিন শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das) ছাড়াও হাজির ছিলেন তৎকালীন ছাত্র লিগ নেতা আসম আব্দুর রব, কাজী আরিফ আহমেদ, শাহজাহান সিরাজ, মনিরুল ইসলাম, স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিগের নেতা নজরুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা। দর্জিদের কাছ থেকে রাতের অন্ধকারে কাপড় নিয়ে যাওয়া হয় পতাকা তৈরি করতে। পতাকা তৈরির কথা শুনে বিনা পারিশ্রমিকেই কাপড় দেন দর্জিরা। স্বাধীন বাংলা বলতে যেন বাংলাদেশকেই বোঝায়, সেই কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের মানচিত্র সেখানে রাখা হয়। কারণ বাংলা বলতে পশ্চিমবঙ্গও ছিল। স্বাধীন ভারতের অঙ্গরাজ্য। বাংলাদেশের শস্য-শ্যামলা সবুজ প্রকৃতি বোঝাতে রাখা হয় সবুজ রঙ এবং সূর্য বোঝাতে রাখা হয় লাল রঙ। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ছাড়াও, ১৯৭১ সালে ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাড়িতে এই পতাকা উত্তোলিত হয়।

    শিব নারায়ণ দাসের স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরিও মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন

    জানা যায়, শিব নারায়ণ দাস এবং তাঁর স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরী দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকারের জন্ম সে দেশের কুমিল্লাতে। ১৯৪৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শিব নারায়ণ দাস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বড় নাম ছিল ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das)। সেটা ছিল ১৯৬২। আন্দোলন করতে গিয়ে জেলও খেটেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramkrishna Math: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ

    Ramkrishna Math: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের (Ramkrishna Math) নতুন অধ্যক্ষ হলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। এতদিন পর্যন্ত তিনি মঠের সহ-অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন অধ্যক্ষের নাম ঘোষণা করেন মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। প্রসঙ্গত, স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজের মৃত্যুর পরেই অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrishna Math) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয় এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এর অধ্যক্ষের পদ কখনও শূন্য থাকে না।

    মিশনের সাংবাদিক বৈঠক

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে আরও জানানো হয়েছে, অছি পরিষদের সবথেকে প্রবীণ সহ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। তাঁকেই বেছে নেওয়া হল পরবর্তী অধ্যক্ষ হিসেবে। প্রসঙ্গত গত ২৭ মার্চ স্মরণানন্দজি মহারাজের অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ঘটনাক্রমে সেই দিনেই মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ জানিয়েছিলেন, নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হতে এক মাস মত সময় লাগবে। ২৪ এপ্রিল নাম ঘোষণা হল নতুন মহারাজের। ২৭ মার্চ সুবীরানন্দ মহারাজ বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সংঘ গণতান্ত্রিক সংঘ। অছি পরিষদ ও পরিচালন সমিতি পরবর্তী অধ্যক্ষ কে হবেন তা ঠিক করবেন। সেই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেবেন দীর্ঘ ২০-৩০ বছর ধরে মঠ ও মিশনের (Ramkrishna Math) কার্যভার সামলাচ্ছেন যে সন্ন্যাসীরা।’’

    স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ মিশনে যোগ দেন ১৯৫১ সালে 

    মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী গৌতমানন্দ রামকৃষ্ণ মিশনে যোগদান করেন ১৯৫১ সালে। পরবর্তীকালে ১৯৬৬ সালে মঠের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বিরেশ্বরানন্দজি মহারাজ তাঁকে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত করেন। গৌতমানন্দ মহারাজ অরুণাচল প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের গ্রামীণ আদিবাসী জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের কাজ করেছেন বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশন- এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালের রামকৃষ্ণ মিশন-এর (Ramkrishna Math) ট্রাস্টি হিসেবে নির্বাচিত করা হয় গৌতমানন্দজি মহারাজকে। পরবর্তীকালে ১৯৯৫ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের চেন্নাই মঠের দায়িত্বভার পান তিনি।

    মিশনের বিবৃতি

    রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrishna Math) তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘দেশ ও বিদেশে বহু জায়গায় তাঁর বক্তৃতা ভারতের আধ্যাত্মিকতা ও বেদান্ত দর্শনের বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এমন এক জন প্রাজ্ঞ ও সংস্কৃতিমনস্ক প্রবীণ সন্ন্যাসী রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ পদে অন্তর্বর্তিকালীন কার্যভার গ্রহণ করায় খুশি ভক্ত ও অনুরাগীরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IMA vs Patanjali: পতঞ্জলির পর ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    IMA vs Patanjali: পতঞ্জলির পর ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পতঞ্জলি বনাম ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) মামলায় এবার মুখ পুড়ল চিকিৎসকদের এই সংস্থার। অপ্রয়োজনীয় এবং দামি ঔষধ লেখার জন্য সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) চিকিৎসকদের সংস্থাকে ভর্ৎসনা করল। প্রশ্ন উঠল আইএমএ-র (IMA vs Patanjali) সদিচ্ছা নিয়েও।

    সুপ্রিম কোর্টের আপত্তি (IMA vs Patanjali)

    মঙ্গলবার মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে (IMA) নথিভূক্ত চিকিৎসকদের অবাঞ্ছিত কাজকর্ম নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। বিশেষ করে এই সংগঠনের  সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের কমদামি এবং কার্যকরী বিকল্প থাকা প্রেসক্রিপশনে দামি ওষুধ লেখার বদভ্যাসকে ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট (S.C.)। এই এই স্বাস্থ্য সংগঠনকে (IMA vs Patanjali) তাঁদের কাজকর্মে সুব্যবস্থা আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারকেরা।

    আইএমএকে ভর্ৎসনা!

    বিচারপতি হেমা কোহলি এবং এহসানউদ্দিন আমানুল্লার ডিভিশন বেঞ্চে আইএমএ বনাম পতঞ্জলি (IMA vs Patanjali) মামলা চলছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, দামি ঔষধ লেখা এবং অপ্রয়োজনীয় ঔষধ লেখার বিষয়ে আইএমএ-কে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে এগুলি বন্ধ করা উচিত। এবিষয়ে সংগঠন নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। বিশেষ করে আইএমএ যখন পতঞ্জলির দিকে আঙ্গুল তুলছে তখন একটি আঙ্গুল তাঁদের দিকেও ওঠে। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছিল। এর বিরুদ্ধে আইএমএ সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করে। এই মামলার শুনানি চলাকালীন আইএমএকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। একদিকে যেমন পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকে এফিডেফিট জমা দিয়ে পুনরায় ক্ষমাপ্রার্থনা করে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে আইএমএ-কেও চিকিৎসকদের অতিরিক্ত অর্থনৈতিক লাভের জন্য চালাকি ছাড়তে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুনঃহনুমান জয়ন্তীর কীর্তনে হামলা দুষ্কৃতীদের! পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন বিজেপির

    বিচারপতির বক্তব্য

    সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় আইএমএকে (IMA vs Patanjali) বলেন, “এলোপ্যাথিক ফিল্ডে আপনাদের চিকিৎসকরা বিকল্প আছে তা সত্ত্বেও রোগীর অর্থনৈতিক অবস্থার কথা না ভেবে দামি ঔষধ লিখে যাচ্ছেন। আগে নিজেদের ভুল সংশোধন করার চেষ্টা করুন।” আদালত এফএমসিজি কোম্পানিগুলির কাজকর্মেও ক্ষুব্ধ। অভিযোগ উঠছে নবজাতক শিশু এবং বাচ্চাদের কথা না ভেবেই বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করছে এফএমসিজি (FMCG) সংস্থাগুলি। এমনকী বৃদ্ধদের জন্যও যে সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে তা তাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে হচ্ছে না। গুণমান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আদালত কেন্দ্রের কাছে এই সংস্থাগুলির তিন বছরে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ঘিরে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    Murshidabad: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হারালেন ২৬ হাজার শিক্ষক। তার জেরে সমস্যার মুখে পড়েছে মুর্শিদাবাদের তিনটি স্কুল। পড়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার অর্জুনপুর হাইস্কুল। এই স্কুলে চাকরি বাতিল হল ৩৬ জন জন শিক্ষক ও শিক্ষিকার। পার্শ্বশিক্ষক ৭ জন। মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১০ হাজার। বাতিল হওয়া শিক্ষকের সংখ্যা বাদ দিলে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে ফরাক্কা হাইস্কুলের পড়ুয়ারা।

    চাকরি হারিয়ে হতাশ (Murshidabad)

    সোমবার এসএসসি গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি, নবম- দশম ও একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরেই মাথায় হাত চাকরি বাতিল হওয়া মহম্মদ সাফিউল ইসলাম-সহ অন্যান্য শিক্ষকদের। বাতিল হওয়া শিক্ষক সাফিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালে নিয়োগপত্র পাই।  ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যোগদান করি। আলিপুরদুয়ারে যোগদান করলেও মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে ফরাক্কার অর্জুনপুর হাইস্কুলে (Murshidabad) যোগদান করেছি। তবে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বাতিল করা হোক। নবম-দশমে ভুল ত্রুটি হয়েছে, এটা ঠিক। তবে, সকলের চাকরি হাইকোর্ট কীভাবে বাতিল করল। আমরা খুব হতাশাগ্রস্ত।’

    স্কুল চালানো মুশকিল,দাবি প্রধান শিক্ষকের

     ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সৌরভ আলি বলেন, পড়ুয়াদের সংখ্যা ১০ হাজারের অধিক। গ্রামে একটি মাত্র স্কুল। আর এই স্কুলের ওপরেই ভরসা করে পড়ুয়ারা। আমাদের স্কুলে ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। প্রথম যোগদান করেন ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। পরে ১৬ জন মিউচুয়াল ট্রান্সফার হিসাবেই যোগদান করেন। তবে, শিক্ষক না থাকলে স্কুলের ক্ষতি। ৩৬ শিক্ষক বাতিল হওয়ার কারণে আগামী দিনে স্কুলে চালানো মুশকিল।  একইভাবে হরিহরপাড়া (Murshidabad) থানার লালনগর হাইস্কুলের ৩০ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন শিক্ষক, ২ জন অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। বাম আমলেও এই লালনগর হাইস্কুলে ভুয়ো মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষকতা করার অভিযোগে তিন শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছিল শিক্ষা দফতর। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সারওয়ার্দি বিশ্বাস বলেন, ‘এরকম হলে স্কুল চালানোই মুশকিল হবে। দেখা যাক, শেষ অবধি কী হয়?’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটের প্রশ্নপত্রে সত্যিই ভুল ছিল কিনা, তা জানতে বিশ্বভারতীকে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়তে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৭ সালে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলা, পরিবেশ বিজ্ঞান-সহ মোট তিনটি বিষয়ে ২১টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, প্রশ্ন ভুল থাকলে ওই একুশটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর দিতে হবে তাঁদের।

    কী বলল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)

    আবেদনকারীদের সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কমিটি গঠন করতে বলেছেন বিশ্বভারতীকে। আদালতের নির্দেশ, উপাচার্য তাঁর পছন্দ মতো কমিটি গড়বেন। সেই কমিটি সব প্রশ্ন খতিয়ে দেখে আগে চিহ্নিত করবে সঠিক উত্তরগুলি (Calcutta High Court)। পরে খতিয়ে দেখা হবে পরীক্ষার্থীদের উত্তরও। তার ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের কোন কোন উত্তর বেছে নেওয়া হবে, সেটা নির্ধারণ করবেন এই কমিটির বিশেষজ্ঞরা। এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে মতামত দিতে হবে কমিটিকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ জুন। সেদিন বিশ্বভারতীর কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

    মামলাকারীদের দাবি

    ২০১৭ সালের টেটে প্রশ্ন ভুল ছিল এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, ওই বছরের টেটের প্রশ্নপত্রে ২১টি প্রশ্নে ভুল ছিল। প্রশ্নে যদি ভুল থাকে, তাহলে সবাইকে নম্বর দেওয়া হোক। এই মামলার আগের শুনানিতে কিছুটা অসন্তোষের সুরেই বিচারপতি বলেছিলেন, “একটা প্রশ্নে এত ভুল থাকে কী করে? পরীক্ষার্থীরা কি আইনস্টাইন হয়ে ভুল প্রশ্ন খুঁজে বের করে সঠিক উত্তর দেবেন? বুধবার এই মামলারই শুনানিতে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। সেই ভুল খুঁজে বের করতেই বিশ্বভারতীকে কমিটি গঠনের কথা বলেছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: শ্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার কর’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজনীতি, কংগ্রেসকে তুলোধনা বিজেপির

    মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন ২৩ হাজার ৭৫৩ জন। এঁরা সবাই ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে ছিলেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দেওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন ওই হাজার চব্বিশেক মানুষ। সোমবারের সেই নজিরবিহীন রায়ের পর বুধবার ২০১৭-র টেটে ভুল প্রশ্ন নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ সেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)।

    আবারও কি একবার মুখ পুড়বে এসএসসি কর্তৃপক্ষের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীর কীর্তনে হামলা দুষ্কৃতীদের! পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন বিজেপির

    Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীর কীর্তনে হামলা দুষ্কৃতীদের! পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) পর এবার হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) অনুষ্ঠানেও দুষ্কৃতীদের হামলা। রামনবমীতে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হামলা হয়েছিল। এবার হনুমান জয়ন্তীতে ঘটনাস্থল বীরভূম (Birbhum) জেলায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বীরভূম জেলার সিউড়ি (Siuri) বিধানসভার বারুইপুর গ্রামে হরিসভা চলাকালীন হনুমান মন্দিরে হামলা করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় দুষ্কৃতী রমজান ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে। মন্দিরের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত, স্থানীয় মহিলাদের শ্লীলতাহানি (Molestation) এবং মারধর করার অভিযোগ রয়েছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় বারুইপুর গ্রামের হনুমান মন্দিরে সন্ধ্যার সময় হরিনাম সংকীর্তন হচ্ছিল। সেই সময় গ্রামেরই দুষ্কৃতী রমজান ও তার সাগরেদদের নিয়েই এসে হরিনাম সংকীর্তন বন্ধ করতে বলে। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের রীতি হিসেবে চলে আসা সংকীর্তনে রমজানের কী সমস্যা জানতে চাওয়া হলে, সে বলে বন্ধ করতে বলেছি তাই বন্ধ করতে হবে। কার সমস্যা কী সমস্যা সেসব পরে হবে। রমজানের গা জোয়ারি কথায় প্রতিবাদের এগিয়ে আসেন সংকীর্তনের উপস্থিত মহিলারা। এরপর দুষ্কৃতীরা উপস্থিত মহিলাদের কাপড় ধরে টানাটানি করে। কয়েকজন জুতো পড়ে মন্দিরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। মহিলা ও পুরুষ সকলে প্রতিবাদ করে তাঁদের মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা।

    আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই সুকান্তর প্রশংসা দেব-এর মুখে

    বিজেপির বক্তব্য

    এরপর গ্রামবাসীরা পুলিশকে ফোন করে। কিন্তু পুলিশ আসতে দেরি করে বলে অভিযোগ। ধরপাকড়ের নামে মাত্র দুজনকে পুলিশ পাকড়াও করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপর বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ শান্তি রক্ষার্থে গ্রামে উপস্থিত হন। তাঁরা কোনও প্ররোচনায় পা দিতে বারণ করেন। গ্রামবাসীদের সজাগ থাকতে বলেন। প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পাশেই একটা ফাঁড়ি আছে। কিন্তু ফাঁড়ি দুষ্কৃতীদের ধরবে কী? ওটাই অসামাজিক কাজের আখড়া। দুজনকে ধরা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আমাদের দাবি এফআইআর দায়ের করে সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। দায়সারা তদন্ত করলে চলবে না। আগেও এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক কথার জন্য কিছু দুষ্কৃতী সাহস পেয়েছে। এই পরিস্থিতি বাংলার জন্য ক্ষতিকারক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: শ্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার কর’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজনীতি, কংগ্রেসকে তুলোধনা বিজেপির

    BJP: শ্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার কর’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজনীতি, কংগ্রেসকে তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের ইস্তাহারে (পোশাকি নাম ‘ন্যায়পত্র’) সম্পদের পুনর্বণ্টনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আর ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস চেয়ারপার্সন শ্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda) সওয়াল করলেন আমেরিকার মতো ভারতেও চালু হোক উত্তরাধিকার কর। তার পরেই বিজেপি (BJP) তাক করেছে পিত্রোদাকে। পিত্রোদার মন্তব্য একান্তই তাঁর নিজস্ব বলে জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।

    পিত্রোদার মন্তব্য

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের ইস্তাহার-প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে পিত্রোদা (Sam Pitroda) বলেছিলেন, “সম্পদের পুনর্বণ্টনের যে নীতির কথা বলা হয়েছে ইস্তাহারে, তা ধনীদের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্য।” আমেরিকায় চালু উত্তরাধিকার ট্যাক্স ব্যবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে পিত্রোদা বলেন, “কারও যদি ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ সম্পদ থাকে, তাহলে তাঁর মৃত্যুর পর তার মাত্র ৪৫ শতাংশ পেতে পারেন তাঁর উত্তরসূরীরা। বাকি ৫৫ শতাংশ সম্পদ চলে আসবে সরকারের দখলে। এটি একটি সুন্দর আইন। এই আইন আপনাকে বলছে, জীবদ্দশায় আপনি খেটে যে সম্পদ তৈরি করলেন, আপনার মৃত্যুর পর সেই সম্পদের কিছুটা অংশ সাধারণ মানুষের জন্য রেখে গেলেন। তবে পুরোটা নয়, অর্ধেকটা। আমার কাছে বিষয়টা খুব সুন্দর মনে হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ২জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে ‘সুপ্রিম’ রায়ে পরিবর্তন চেয়ে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র

    বিজেপির (BJP) নিশানায় কংগ্রেস

    পিত্রোদার (Sam Pitroda) মন্তব্যে দেশজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। সম্পদ হরণকারীদের (কংগ্রেস) সম্পর্কে পদ্ম-পার্টি (BJP) সতর্ক করে দিয়েছে দেশবাসীকে। ট্যুইট-বার্তায় বিজেপির মুখপাত্র জয়বীর সেরগিল বলেন, “কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া = অর্থ হারানো + সম্পদ + যাবতীয় জিনিসপত্র! ভোটাররা সাবধান, এখানে আছে সম্পদ হরণকারীরা।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নিশানা করেছেন পিত্রোদার মন্তব্যকে। বলেন, “কংগ্রেসের উচিত ইস্তাহারে যে অর্থনৈতিক সার্ভে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা উইথড্র করা।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শ্যাম পিত্রোদার মন্তব্যে কংগ্রেসের স্বরূপ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি তুলেছিলেন, তখন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলেন। আমি আশা করি, ইস্তাহার থেকে কংগ্রেস এটা তুলে নেবে।” বিজেপির তরফে ট্যুইট-বার্তায় শেহজাদ পুন্নাওয়ালা বলেন, “ঘটনাচক্রে, গান্ধীরা বিপুল পরিমাণ সম্পদ করেছেন তাঁদের ছেলেমেয়ে এবং নাতি-নাতনিদের জন্য। কিন্তু তাঁরাই আপনার কষ্টার্জিত সম্পদ কেড়ে নিতে চাইছে (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sheikh Shahjahan: স্ত্রীর কান্না দেখে চোখে জল “সন্দেশখালির বাঘের”, আদালতে অন্য শাহজাহানকে দেখলেন সকলে

    Sheikh Shahjahan: স্ত্রীর কান্না দেখে চোখে জল “সন্দেশখালির বাঘের”, আদালতে অন্য শাহজাহানকে দেখলেন সকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির “বেতাজ বাদশা” শেখ শাহজাহান  (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার হওয়ার পর বসিরহাট আদালতে তোলার সময় পুলিশ তাঁকে স্পর্শ করার সাহস দেখাননি। “নবাবের” মেজাজে তিনি আদালতে যান। সেই ঘটনা সামনে আসতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে শাহজাহানকে নেওয়া হয়। আর এই কয়েকদিনের মধ্যেই এখন তাঁর শরীরী ভাষা বদলে গিয়েছে। সেই আক্রমণাত্মক ভাব এখন উধাও। বসিরহাট আদালতে তোলার সময় যা ঘটল তা দেখে স্থানীয় লোকজনও হতবাক হয়ে যান। বসিরহাট মহকুমা আদালতের বাইরে ‘অন্য শাহজাহান’কে দেখলেন সকলে।

    আদালতের সামনে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sheikh Shahjahan)

    শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) এক ভাই শেখ আলমগিরকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। রবিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডিও। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানের দুই শাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরা এবং দিদারবক্স মোল্লাকে। মঙ্গলবার শাহজাহান, আলমগির, শিবু, মাফুজার মোল্লা, জিয়াউদ্দিন, দিদার-সহ মোট ১২ জনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। কিন্তু, আদালতের এক করণিক মারা যাওয়ার কারণে শুনানি প্রক্রিয়া হয়নি। আবার ৭মে শাহজাহানদের আদালতে আনা হবে। সাসপেন্ড হওয়াতৃণমূল নেতাকে যখন আবার প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে,কয়েক মিটার দূর থেকে ‘আব্বু’ ডাক শুনে মুখ ফেরান তিনি। মেয়ের দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে ‘হ্যাঁ’ বা ‘ঠিক আছি’ বুঝিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন শাহজাহান। গাড়ির একেবারে জানলার পাশে গিয়ে ততক্ষণে দাঁড়িয়েছেন শাহাজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবি। তদন্তকারীদের তলবে যিনি ইতিমধ্যে একাধিক বার হাজিরা দিয়েছেন। স্ত্রীকে দেখে জানলার দিকে ফিরলেন।আকাশি রঙের জামা এবং ট্রাউজ়ার্স পরিহিত থমথমে মুখে স্ত্রীকে ধীরে ধীরে বললেন, “নিজের খেয়াল রাখবে।”প্রিজন ভ্যানের জানলার কাছে তখন শাহজাহানের স্ত্রী-কন্যা সহ পরিবারের অন্যরাও দাঁড়িয়েছেন। সবাই শাহজাহানকে বলছেন, শরীরের যত্ন নিতে। একজন বললেন, “সময় মতো ওষুধ খাবে।” স্ত্রী আঙুল ছুঁয়েছেন ভ্যানের জানলার রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে। স্ত্রীর কান্না শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না ‘সন্দেশখালির বাঘ’। মুখ ঘুরিয়ে আঙুল দিয়ে নিজের কান্না মুছলেন। তারপর রুমাল চাপা দিয়ে ‘আল্লার কাছে দোয়া করো’ বলে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা, এবার গরম উত্তরেও

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা

    শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার পরে শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে রাজ্যপুলিশের তরফে আরও দু’টি মামলা করা হয়। সেই দু’টি মামলার তদন্তভারও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল হাই কোর্ট। ওই দু’টি মামলায় শাহজাহান ও তাঁর ভাই আলমগির- সহ সাত জন এখন জেলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha elections: সকাল সকাল ভোট দিলেই ফ্রিতে আইসক্রিম-জিলিপি, নয়া ভাবনা ইন্দোরে

    Lok Sabha elections: সকাল সকাল ভোট দিলেই ফ্রিতে আইসক্রিম-জিলিপি, নয়া ভাবনা ইন্দোরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চলাকালীন ভোটারদের বিশেষ ‘পুরস্কার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলা প্রশাসন। সকাল সকাল ভোট (Lok Sabha elections) দিলেই ভোটারদের জিলিপি, পোহা, আইসক্রিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইন্দোরে (Indore)। মঙ্গলবার জেলা শাসক আশিস সিং–এর সভাপতিত্বে দোকান মালিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দোকানের মালিকদের মতে, বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল, ভোটাররা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে উৎসাহী করা।

    মধ্যপ্রদেশে দ্বিতীয় দফা ভোটে এই চমক

    উল্লেখ্য আগামী ১৩ মে দ্বিতীয় দফায় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে রয়েছে ভোট। তালিকায় রয়েছে ২৫.১৩ লক্ষ ভোটারের নাম। আর এই ভোটে যাতে সকল ভোটাররা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আগ্রহী হন, তার জন্য এমন অভিনব চিন্তা ভাবনা করেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) জেলা প্রশাসন। আসলে অনেকেরই এটা প্রথম ভোট, আবার কেউ কেউ আছেন বার্ধক্যের জন্য ভোট দিতে আসেন না। তাই সেই সমস্ত সাধারণ ভোটারদের কথা মাথায় রেখেই এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা শাসক।

    জেলা শাসকের বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে জেলা শাসক আশিস সিং বলেন, “আমরা ভোটের দিক থেকে ইন্দোর লোকসভা কেন্দ্রকে দেশের এক নম্বর করতে চাই এবং এর জন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।” শহরের বিখ্যাত ফুড হাব ‘৫৬ দুকান’-এর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গুঞ্জন শর্মা জানিয়েছেন যে ভোটের দিন সকাল ৭ টা থেকে ৯ টার মধ্যে যাঁরা ভোট দেবেন তাঁদের শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত জায়গায় বিনামূল্যে পোহা এবং জিলিপি পরিবেশন করা হবে। সঙ্গে থাকবে ফ্রিতে আইসক্রিমও। তবে বিনামূল্যে খাবার পেতে অবশ্যই ভোট দান করে আঙুলের কালির দাগ প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে। আর তবেই মিলবে ঠান্ডা ঠান্ডা আইসক্রিম ও গরম জিলিপি। তাছাড়া সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে যে কোনও ভোটার ভোট দিলেই তাঁদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে চাউমিন এবং মাঞ্চুরিয়ান।

    আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের ওএমআর-এর মূল্যায়ন না পরীক্ষা, এসএসসি নিয়ে কী বলছে হাইকোর্ট?

    দিল্লিতেও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

    কিন্তু এটাই প্রথম নয়। ইন্দোরের (Indore) বিখ্যাত ফুড হাব ‘৫৬ দুকান’-এর মালিকেরা আগের নির্বাচনেও এমন নিয়ম রেখেছিলেন। সকাল সকাল প্রথম দিকে ভোট (Vote) দিতে এসেছিলেন এমন ভোটারদের পোহা এবং জিলিপি সহ বিনামূল্যে স্ন্যাকস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইন্দোরের পাশাপাশি ভোটারদের অনুপ্রাণিত করতে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দিল্লিতেও। জানা গিয়েছে, দিল্লি (Delhi) মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন ভোটের দিনে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ এবং বাজারে বিভিন্ন জিনিসের ওপর ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই সিদ্ধান্তে হয়তো কিছুটা হলেও ভোটাররা অনুপ্রাণিত হয়ে ভোটাধিকারে অংশ গ্রহণ করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ২জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে ‘সুপ্রিম’ রায়ে পরিবর্তন চেয়ে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র

    Supreme Court: ২জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে ‘সুপ্রিম’ রায়ে পরিবর্তন চেয়ে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এক যুগ আগে দেওয়া হয়েছিল রায়। সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ে কিছু পরিবর্তন চেয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের পর সুপ্রিম কোর্টে মামলার পক্ষ হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও। ১২ বছর আগে এই স্বামীই ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনের পদ্ধতির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।

    কেলেঙ্কারির গোড়ার কথা (Supreme Court:) 

    ২০১২ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। টেলিকম মন্ত্রী ছিলেন ডি রাজা। সেই সময় এক রায়ে টেলিকম সংস্থাগুলিকে বণ্টন করা সমস্ত ২জি স্পেকট্রাম খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, স্পেকট্রামের মতো জাতীয় সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দামের নীতি নেওয়া চলবে না। বেতারতরঙ্গ নিলাম করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। শীর্ষ আদালতের এই রায়েই কিছু পরিবর্তন চেয়ে আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র।

    কেন পরিবর্তন চাইছে কেন্দ্র?

    কেন রায়ে কিছু পরিবর্তন চাইছে মোদি সরকার? শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘সুপ্রিম রায়ে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন কারণ স্পেকট্রামের অ্যাসাইনমেন্ট কেবল বাণিজ্যিক টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসের জন্য প্রয়োজন তা নয়, বাণিজ্যিক নয় এমন ক্ষেত্রেও প্রয়োজন। নিরাপত্তা, সুরক্ষার মতো জনস্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে।’ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রায়ে কিছু পরিবর্তন চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে, তার সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষা, নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলি জড়িত রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, মহামান্য আদালতের কাছে এজন্য (এই রায়) অনুরোধ, এই পরিস্থিতিতে রায়ে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। সরকার এবং জনস্বার্থেই এটা করা প্রয়োজন। প্রযুক্তি কিংবা অর্থনৈতিক কারণে নিলামকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুুন: আগামী বছরেই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত, বলছে আইএমএফ

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে ২জি-র লাইসেন্স বিলি শুরু হয়। পরের বছরই ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০১০ সালে ক্যাগের রিপোর্ট সামনে আসার পর লাইসেন্স বিলিতে যে গোলমাল হয়েছে, তা পরিষ্কার হয়ে যায়। ২০১১ সালে রাজাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রাজার জমানায় দেওয়া ১২২টি ২জি স্পেকট্রাম লাইসেন্স বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share