Tag: Bengali news

Bengali news

  • Murshidabad: প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” মন্তব্য হুমায়ুনের, শক্তিপুর থানায় এফআইআর বিজেপির

    Murshidabad: প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” মন্তব্য হুমায়ুনের, শক্তিপুর থানায় এফআইআর বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” বক্তব্য রেখেছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সেই ভিডিও রাজ্যজুড়ে ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। খোদ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে তৃণমূল বিধায়কের ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। এবার “হিন্দু বিদ্বেষমূলক” মন্তব্য করার অভিযোগে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি।

    ঠিক কী বলেছিলেন হুমায়ুন?

    পয়লা মে সন্ধ্যায় শক্তিপুরের তৃণমূলের নির্বাচী সভায় হুমায়ুন কবীরকে বলতে শোনা যায়, ‘২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো, ৩০ শতাংশ লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে কামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি’।

    বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে তৃণমূল

    গত ১ মে সন্ধ্যার ওই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে শুক্রবার ভোটপ্রচারে রাজ্যে এসে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘আমি কাল টিভিতে দেখলাম, এখানে বাংলায় তৃণমূলের এক বিধায়ক প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলছিলেন, হিন্দুদের ২ ঘণ্টায় ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেব। এটা কী ধরণের ভাষা? কী ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি? হিন্দুদের ভাসিয়ে দেবে? সত্যিই, কী হাল হয়েছে! বাংলায় হিন্দুদের সঙ্গে কী হচ্ছে? মনে হচ্ছে বাংলায় হিন্দুদের তৃণমূলের সরকার দ্বিতীয় স্তরের নাগরিক করে রেখেছে’।

    হুমায়ুনের ভিডিও শেয়ার করে ট্যুইট করেছেন অমিত মালব্য

    হুমায়ুন কবীরের ভিডিও শেয়ার করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “শক্তিপুরে বুথ ওয়ার্কার সম্মেলনে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দু’ঘণ্টার মধ্যে আমি যদি বিজেপিকে ভাগীরথী নদীতে না ফেলতে পারি, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি তোমাদের শক্তিপুর এলাকায় থাকতে দেব না (এই এলাকার বেশিরভাগ হিন্দুরাই উদ্বাস্তু। ধর্মীয় উৎপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা হলেন সংখ্যালঘিষ্ঠ। মাত্র ২৮%। আর তাঁদের এসব কথা বলা হচ্ছে। তাহলে ভাবুন যদি গোটা বাংলায় তাঁরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে যান, তাহলে তাঁদের সঙ্গে কী হবে। পশ্চিমবঙ্গে তোষণের রাজনীতি এখন আরও নীচে নেমে গিয়েছে। সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকদের থেকেও খারাপ দশা বাংলার হিন্দুদের। এই বিধায়ককে দল থেকে বের করে দেওয়ার সাহস কি উনি দেখাবেন? যে সকল বুদ্ধিজীবীরা নিয়মিত হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষ ওগড়ান, তাঁরা কি এবার একটাও শব্দ বলবেন?”

    </


    >

    হুমায়ুনের নামে শক্তিপুর থানায় অভিযোগ বিজেপির

    বিজেপির তরফে অভিযোগ দায়ের করেছেন শক্তিপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গোকুল বিহারী ঘোষ। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, “গত ১ মে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা নাগাদ শক্তিপুর সবজি মার্কেটে এক সভায় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিঘ্ন ঘটতে পারে। তিনি ২ ঘণ্টার মধ্যে হিন্দুদের ভাগীরথীতে ফেলে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তাই অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hamida Banu: হামিদা বানুর লড়াইকে কুর্নিশ গুগল ডুডুলের, চেনেন এই মহিয়সীকে?

    Hamida Banu: হামিদা বানুর লড়াইকে কুর্নিশ গুগল ডুডুলের, চেনেন এই মহিয়সীকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামিদা বানুকে (Hamida Banu) মনে আছে? মনে না থাকলেও অবশ্য ক্ষতি নেই। ভারতীয় এই মহিয়সীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে গুগলের ডুডুল (Google Doodle)। পুরুষ-দাপিত মল্লযুদ্ধের যুগে তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি দাপিয়ে বেড়িয়েছেন চার-পাঁচের দশক। তিনি ভারতের প্রথম প্রফেশনাল মহিলা মল্লযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। চার-পাঁচের দশকে ভারতের মতো পুরুষ-শাসিত সমাজে বেড়া ভাঙার কাজটা সহজ ছিল না। এই কঠিন কাজটাই করে দেখিয়েছেন হামিদা।

    হামিদার চ্যালেঞ্জ (Hamida Banu)

    ১৯৫৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বছর তিরিশের হামিদা (Hamida Banu) জানিয়েছিলেন, যে পুরুষ মল্লযুদ্ধে হারাতে পারবেন তাঁকে, তাঁরই গলায় বরমাল্য দেবেন তিনি। কেবল বলাই নয়, তিনি যে পুরুষের কাছেও অপরাজেয়, কাজেও তা করিয়ে দেখিয়েছিলেন হামিদা। দুই পুরুষ পদকজয়ীকে আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী করেছিলেন হামিদা। এঁদের মধ্যে একজন পাতিয়ালা থেকে, অন্যজন খাস কলকাতার। সেই বছরই ভাদোদরায় তৃতীয় ম্যাচে হামিদা লড়েছিলেন বাবা পালোয়ানের সঙ্গে। মাত্র ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে তাঁকেও ধরাশায়ী করেছিলেন হামিদা।

    হামিদার দৈনিক খাদ্য তালিকা (Hamida Banu)

    অন্য এক প্রতিদ্বন্দ্বী তো আবার মহিলা বলে হামিদার (Hamida Banu) সঙ্গে লড়াই করতেই চাননি! প্রায় এক দশক ধরে অপরাজেয়ই ছিলেন হামিদা। খবরের কাগজগুলো তাঁকে ‘আমাজন অফ আলিগড়’ অভিধায় ভূষিত করেছিল। ১৯৫৪ সালে হামিদা (Hamida Banu) হারিয়েছিলেন ভেরা চিস্তিলিনকে। তাঁকে বলা হত রাশিয়ার ‘মহিলা ভালুক’। সেই ভালুককেই হামিদা মাত দিয়েছিলেন এক মিনিটেরও কম সময়ে। হামিদার জয়ের কাহিনি বারংবার হেডলাইন হয়েছে খবরের কাগজগুলোতে। তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, ওজন ১০৮ কেজি। শক্তি ধরে রাখতে প্রতিদিন ৫.৬ লিটার দুধ খেতেন তিনি। ফলের রস খেতেন ১.৮ লিটার। স্যুপ খেতেন ২.৮ লিটার।

    আরও পড়ুুন: প্রার্থী হতে পারলেও, ভোট দিতে পারবেন না বন্দিরা, কেন জানেন?

    খাসির মাংস আর আমন্ড খেতেন প্রায় এক কিলো করে। একটা করে মুরগিও খেতেন, আর খেতেন দুটো করে পাঁউরুটি। তাঁর দৈনিক খাদ্য তালিকায় ছিল ৫০০ গ্রাম বাটার, ৬টি ডিম এবং দু’প্লেট বিরিয়ানি। প্রতিদিন ঘুমোতেন ৯ ঘণ্টা করে। অনুশীলন করতেন ৬ ঘণ্টা ধরে। এই অনুশীলনই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল সাফল্যের শিখরে। যে সাফল্য এবং লড়াইকে কুর্নিশ করল গুগল, ডুডুলে ছবি দিয়ে (Google Doodle)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RP Act 1951: প্রার্থী হতে পারলেও, ভোট দিতে পারবেন না বন্দিরা, কেন জানেন?

    RP Act 1951: প্রার্থী হতে পারলেও, ভোট দিতে পারবেন না বন্দিরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক একটি দেশের নাগরিক। প্রত্যাশিতভাবেই তাঁদের ভোটাধিকার থাকা উচিত। তবে ভোটে দাঁড়াতে পারলেও, ভোট দেওয়ার অধিকার তাঁদের নেই। কারণ তাঁরা বন্দি। গারদে থেকেও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন তাঁরা, তবে নিজের ভোটটা নিজেকেই দিতে পারবেন না। অন্য কাউকেও নয়। কারণ তাঁদের ভোটাধিকারই নেই। হ্যাঁ, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নিয়ম এটাই (RP Act 1951)।

    ভোটে লড়ছেন অমৃতপাল (RP Act 1951)

    দীর্ঘদিন এই আইন এদেশে থাকলেও, চর্চায় এসেছে সম্প্রতি। কারণ, গত সপ্তাহেই খালিস্তানপন্থী জঙ্গি জেলবন্দি অমৃতপাল সিং লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান বলে ঘোষণা করেছেন। ‘ওয়ারিশ পাঞ্জাব দে’-সুপ্রিমো পাঞ্জাবের খাদুর সাহিব কেন্দ্র থেকে লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই কেন্দ্রে নির্বাচন হওয়ার কথা পয়লা জুন, শেষ দফায়। যদিও তাঁর প্রচারের সুযোগ সীমিত। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকারও রয়েছে তাঁর। যতক্ষণ না কোনও ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হন, ততক্ষণ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে। তবে আসন্ন নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না তিনি। দেশের অন্যান্য বন্দিরাও তা পারবেন না। কেন? প্রশ্ন হল সেটাই। আসুন জেনে নেওয়া যাক, অমৃতপাল প্রার্থী হতে পারলেও, কেন প্রয়োগ করতে পারবেন না ভোটাধিকার।

    অমৃতপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    বর্তমানে অসমের ডিব্রুগড়ের জেলে বন্দি রয়েছেন অমৃতপাল। ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে গারদের আড়ালে রয়েছেন অমৃতপাল। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। খাদুর সাহিব কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন তিনি। অমৃতসরের এক থানায় সমর্থকদের সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন অমৃতপাল। থানার সামনে দাঁড়িয়ে সঙ্গী লভপ্রীত সিং তুফানকে মুক্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন অমৃতপাল। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। তার পর থেকেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেড়িচ্ছিলেন তিনি। শেষমেশ পাঞ্জাবের মোগা জেলার রোডে গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় ‘ওয়ারিশ পাঞ্জাব দে’-র প্রধানকে (RP Act 1951)। পাঠানো হয় ডিব্রুগড়ের জেলে।

    ভোটাধিকার নেই

    এক সময় অমৃতপাল জানিয়েছিলেন, ভারতীয় সংবিধানে বিশ্বাস নেই তাঁর। সেই অমৃতপালই মত বদলে প্রার্থী হয়েছেন। এগিয়ে চলেছেন গণতান্ত্রিক রাজনীতির দিকে। তবে প্রার্থী হতে পারলেও, ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অধিকার তাঁর নেই। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, অপরাধী কিংবা অভিযুক্তরা জেলে বসে ভোটে লড়তে পারেন। কিন্তু বিচারাধীন বন্দি বা দোষীরা গারদের আড়ালে থাকাকালীন ভোট দিতে পারেন না। যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হননি, তাঁরাও ভোট দিতে পারেন না। অমৃতপাল যেহেতু দোষী সাব্যস্ত হননি, তাই নির্বাচনে প্রার্থী হতে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার ছ’বছর পর ভোটে লড়তে পারেন।

    ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন

    ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের (RP Act 1951) ৬২ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, পুলিশের আইনি হেফাজতে বা কোনও জেলে থাকলে সেই ব্যক্তি ভোট দিতে পারবেন না। অর্থাৎ জেলবন্দি থাকলে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা গেলেও, ভোট দিতে পারবেন না। ২০১৯ সালে প্রবীণ চৌধুরী বনাম নির্বাচন কমিশনের মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট আবার রায় দিতে গিয়ে জানায়, বন্দিদের ভোটাধিকার নেই। অবশ্য জেলবন্দিরা তাঁদের প্রতিনিধিদের সাহায্যে জেলে বসেই মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। বন্দি অবস্থায় নির্বাচনে জিতলে, শপথ নেওয়ার জন্য অভিযুক্তকে ছুটিও দেওয়া হবে। এতদসত্ত্বেও ভোট দানের অধিকার তাঁদের নেই (RP Act 1951)।

    ২০১১ সালে পাবলিক ইনটারেস্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা আদালতে আবেদন করে জানায়, যাঁদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল চার্জ গঠন করা হয়েছে অথবা যাঁদের ক্রিমিনাল হিস্ট্রি নিয়ে মিথ্যা হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে, তাদেরও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত রাখতে হবে। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কেবলমাত্র সংসদেই বদলানো হতে পারে আরপি অ্যাক্ট (RP Act 1951)।

    আরও পড়ুুন: “টাকায় কি হয়? ভাত হয়, ডাল হয়, থাকবার জায়গা হয়–এই পর্যন্ত, ভগবানলাভ হয়

    ২০১৬ সালে মামলা দায়ের সুপ্রিম কোর্টে

    ২০১৬ সালে আইনজীবী তথা বিজেপির ভূতপূর্ব মুখপাত্র অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়ও একটি পিটিশন দায়ের করেন। সেখানেও বলা হয়, যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তাঁদেরও নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হোক। এই মামলা এখনও চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, যেসব সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচার শেষ হতে দেরি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে শীর্ষ আদালত দেশের সব হাইকোর্টের বিচারপতিদের সুয়ো মোটো কেস ফাইলের নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের শিরোনাম, “ইন রি: ডেজিগনেটেড কোর্টস ফর এমপিস/এমএলএস”। এই নির্দেশিকায় হাইকোর্টগুলিকে এই সব মামলা নিষ্পত্তির জন্য ‘এক্সপিডিয়াস অ্যান্ড এফেকটিভ’ ডিরেকশন ইস্যু করতে বলা হয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে আদালতে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল, তাতে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত পেন্ডিং রয়ে গিয়েছে ৪ হাজার ৪৭২টি মামলা।

    আরপি অ্যাক্টের ৬২ (RP Act 1951) নম্বর ধারায় ভোটাধিকার সম্পর্কে এক গুচ্ছ নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি জেলে বন্দি থাকেন, তাহলে তিনি কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সে যদি তাঁর কারাদণ্ড হয় কিংবা ট্রান্সপোর্টেশন হয় অথবা তিনি পুলিশের ল’ফুল কাস্টডিতে থাকেন (RP Act 1951)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার ০৪/০৫/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার ০৪/০৫/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) কর্মক্ষেত্রে ভাবমূর্তি উন্নত হবে।

    ৩) নিজের কাজের চেয়ে বেশি অন্যের কাজে মনোনিবেশ করবেন।

    বৃষ

    ১) স্বাস্থ্য কিছুটা খারাপ থাকবে।

    ২) অপ্রত্যাশিত লাভ অর্জন করায় আনন্দিত থাকবেন।

    ৩) পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ মতো কাজ করে সুনাম অর্জন করবেন।

    মিথুন

    ১) সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে বড়সড় অভিজ্ঞতার ফলে মন প্রসন্ন হবে।

    ৩) ব্যবসায়ীরা বড় মুনাফা লাভের চেষ্টায় ছোটখাটো লাভের সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।

    কর্কট

    ১) আজ কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ২)  চাকরিজীবীরা ভালো প্রদর্শন করে মন দয় করতে সফল হবেন।

    ৩) বাণী ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি অন্যান্য দিনের তুলনায় ভালো থাকবে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সাবধান ও সতর্ক থাকুন।

    ৩) জুনিয়রদের হাতে কোনও কাজ ছাড়লে তাঁরা তাতে বড়সড় ভুল করতে পারে।

    কন্যা

    ১) বরিষ্ঠ সদস্য আপনার কাছে কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার উত্তর দেবেন।

    ২) আপনার পুরনো ভুল সকলের সামনে আসতে পারে।

    ৩)  ছাত্রছাত্রীরা কাজের কারণে চিন্তিত থাকলে স্বস্তি পাবেন।

    তুলা

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল।

    ২) সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) পদোন্নতি সম্ভব।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি উন্নতিদায়ক।

    ২) পরিজনদের পরামর্শে লাভবান হবেন।

    ৩) পরিবারের সদস্যের কোনও কথা খারাপ লাগতে পারে।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি আনন্দে পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২)  নতুন সম্পর্কের দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ৩) রক্তের সম্পর্ক মবুত হবে।

    মকর

    ১) আজ সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করবেন।

    ২)  ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে। 

    ৩) তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) কোনও বড় অভিজ্ঞতা অর্জন করায় মন প্রসন্ন থাকবে।

    ৩) আয়ের নতুন উৎস পাবেন।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি ইতিবাচক পরিণাম নিয়ে আসবে।

    ২)  ব্যবসাতে মন্দার কারণে চিন্তিত থাকলে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন।

    ৩) পৈতৃক সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা চললে তাতে জয় লাভ করবেন।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rohith Vemula: দলিত ছিলেন না রোহিত ভেমুলা, পরিচয় ফাঁসের ভয়েই আত্মহত্যা, আদালতে রিপোর্ট জমা পুলিশের

    Rohith Vemula: দলিত ছিলেন না রোহিত ভেমুলা, পরিচয় ফাঁসের ভয়েই আত্মহত্যা, আদালতে রিপোর্ট জমা পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোহিত ভেমুলা (Rohith Vemula) দলিত ছিলেন না। প্রকৃত পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়েই আত্মহত্যা করেছিলেন। কংগ্রেস-শাসিত রাজ্য তেলঙ্গনার পুলিশ এমনই রিপোর্ট জমা করল আদালতে। এর পাশাপাশি পুলিশ রিপোর্ট মোতাবেক, জালিয়াতি করেই সার্টিফিকেট বের করেছিল রোহিতের পরিবার। ভেমুলার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের ফাইল ‘ক্লোজ’ করে শুক্রবারই তেলঙ্গানা হাইকোর্টে রাজ্য পুলিশের তরফে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানেই সেই দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেকেন্দ্রবাদের তৎকালীন সাংসদ বান্দারু দত্তাত্রেয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আপ্পা রাও, তৎকালীন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) নেতাদেরও ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে।

    জাল শংসাপত্র

    পুলিশের রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে রোহিতের পরিবারের যে জাতিগত শংসাপত্র ছিল, সেটা জালিয়াতি করা হয়েছিল। উপযুক্ত প্রমাণের (Rohith Vemula) অভাবে সেই মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ তদন্তের ফাইল ‘ক্লোজ’ করে দেওয়া হচ্ছে বলে তেলঙ্গানা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। 

    রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার ঘটনা

    ২০১৬ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন রোহিত ভেমুলা (Rohith Vemula)। সেসময় বামপন্থী- অতি বামপন্থীরা একযোগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দলিত বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দলিতদের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই মামলার জল অনেকদূর বিস্তৃত গড়িয়েছে। আর শেষপর্যন্ত রোহিতের মৃত্যুর আট বছর পরে তদন্তের ফাইল ‘ক্লোজ’ করে দেওয়ার পথে হাঁটল তেলঙ্গানা পুলিশ। পুলিশি তদন্তে উঠে এল প্রকৃত সত্য।

    কংগ্রেসও প্রতিবাদ করেছিল

    তদন্ত যে রাজনৈতিক প্রাভাবিত, এমন অভিযোগও তুলতে পারবেন না, রোহিতের পরিবার, কারণ তেলঙ্গনায় বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। সেই সময় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি করেছিলেন। রাহুল প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। সেই সময় কংগ্রেসের তরফে ‘জাস্টিস ফর ভেমুলা ক্যাম্পেইন’ সমর্থন করেছলেন রাহুল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shaksgam Valley: শাক্‌সগাম ভারতের অংশ, চিনা নির্মাণ প্রকাশ্যে আসতেই বিবৃতি দিল বিদেশ মন্ত্রক

    Shaksgam Valley: শাক্‌সগাম ভারতের অংশ, চিনা নির্মাণ প্রকাশ্যে আসতেই বিবৃতি দিল বিদেশ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্বদিকে অবস্থিত শাক্‌সগাম উপত্যকা (Shaksgam Valley)। সেখানেই চিনা পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সড়ক এবং সুড়ঙ্গ নির্মাণের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল সপ্তাহ খানেক আগেই। মিলেছিল বিদেশি কয়েকটি সংস্থার তোলা উপগ্রহচিত্রও। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হল, ‘‘শাক্‌সগাম উপত্যকা ভারতের অংশ।’’

    ১৯৬৩ সালে  শাক্‌সগাম (Shaksgam Valley) এলাকা চিনের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলামাবাদ

    পাক অধিকৃত ভারতীয় ভূখণ্ডে শাক্‌সগাম (Shaksgam Valley) এলাকায় সড়ক এবং সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের চিন সেনার কর্মকাণ্ড নিয়ে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছিল নতুন উপগ্রহচিত্র। তাতে দেখা গিয়েছে, সেখানে স্থায়ী নির্মাণ চালাচ্ছে চিনা ফৌজ। তৈরি হচ্ছে সড়ক এবং সুড়ঙ্গপথ! প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালেই অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীরের ওই এলাকা দখল করেছিল পাক সেনা। ১৯৬৩ সালে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্বপ্রান্তের শাক্‌সগাম এলাকা চিনের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলামাবাদ।

    ১৩০০ কিলোমিটার‘বাই লেন’ মহাসড়ক

    বছর কয়েক আগে প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীর জুড়ে চিনা ফৌজকে সেতু নির্মাণ করতে দেখা গিয়েছিল উপগ্রহচিত্রে। এর পরেই দেখা গিয়েছিল আকসাই চিন এলাকায় চিন সেনা স্থায়ী বাঙ্কার এবং বড় সুড়ঙ্গ তৈরি করছে। ভবিষ্যতে সংঘাতের পরিস্থিতির মোকাবিলার লক্ষ্যে শি জিনপিংয়ের সেনার এই পদক্ষেপ বলে ধারণা ভারতের। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে দক্ষিণ পাকিস্তান পর্যস্ত বিস্তৃত কারাকোরাম হাইওয়ে গিয়েছে শাক্‌সগাম উপত্যকার অদূর থেকেই। ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ‘বাই লেন’ মহাসড়ক।

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা কী মনে করছেন

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের (Shaksgam Valley) একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত সেনা এবং সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণের জন্যই শাক্‌সগাম থেকে সিপিইসি সংযোগকারী রাস্তা বানাচ্ছে চিনা ফৌজ। যা ভারতের পক্ষে উদ্বেগজনক। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গগুলিতে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেনার পাশাপাশি ভারী অস্ত্রশস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ রসদ মজুত রাখার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলেও তাঁদের অনুমান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল,” বীরভূমে ভোট প্রচারে বিস্ফোরক মোদি

    Narendra Modi: “রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল,” বীরভূমে ভোট প্রচারে বিস্ফোরক মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতারা দুর্নীতিতে রেকর্ড করেছে। শুক্রবার বোলপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহা ও বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে এসে রাজ্যের শাসক দলকে এভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সন্দেশখালি যে ঘটনা ঘটেছে তা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা সবকিছু জানত।

    ছোটদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল (Narendra Modi)

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, তৃণমূলের তোলাবাজি চলতে দেব না। এটা মোদীর গ্যারান্টি। সমস্ত লুঠ, সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত হবেই। বাংলার বিকাশের জন্য সব বুথে বিজেপিকে জেতাতে হবে। প্রিয়া সাহা, দেবতনু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে। তাঁরা যে ভোট পাবেন তাতে মোদির শক্তি বাড়বে। প্রতিটা ভোট মোদির খাতায় যাবে। তিনি বলেন, শিক্ষকরা ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ তৈরি করে। তৃণমূল তাতেও দুর্নীতি করেছে। শিক্ষকদের চাকরি তো গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ছোটদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার।

    আরও পড়ুন: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    দেশে তৃণমূল ১৫টি আসন, কংগ্রেস ৫০টি আসন পাবে!

    এদিন নদিয়ার তেহট্টের শ্যামনগরে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রানিমা অমৃতা রায় ও রানাঘাটের দলীয় প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে উঠে প্রায় ২৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন মোদি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (Narendra Modi) বলেন, গোটা দেশজুড়ে তৃণমূল ১৫টির বেশি আসন পাবে না। আর কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, কংগ্রেসের যা অবস্থা তাতে হাফ সেঞ্চুরি পার করতে পারবে না কংগ্রেস। সেই কারণে এ বছর একমাত্র সরকার গড়তে পারে বিজেপির এনডিএ সরকার। পাশাপাশি বাম মোর্চার লাল ঝান্ডা বিলীন হয়ে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ সরকার এলে দেশে আরও উন্নয়ন হবে। তৃণমূল যেভাবে তোলাবাজি করেছে আর মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছে, তাতে এবার সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে সাজা দিতে চায়। গ্রাম কিংবা শহর সবাই একই কথা বলছে, এইবার মোদি সরকার। তিনি বলেন, কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাটের সাধারণ মানুষকে গ্যারান্টি দিচ্ছি, যেখানে যেখানে তৃণমূল তোলাবাজি করেছে সেই টাকার হিসাব নেওয়া হবে। সেই টাকা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিএএ নিয়েও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক সিএএ লাগু হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না। সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার পাবে। তিনি বলেন, তৃণমূল কখনও সাংবিধান মেনে কাজ করে না।

    হুমায়ুন কবীরের সমালোচনা করলেন মোদি

    দুদিন আগে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ রয়েছি। আর তোমরা ৩০ শতাংশ রয়েছ। মনে করলে দুঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথীর জলে ফেলে দিতে পারি। নাম না করে হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এদিন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, তৃণমূল বিধায়ক প্রকাশ্যে হিন্দুদের জলে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এই রাজ্যে হিন্দুদের কী অবস্থা। এটা একজন বিধায়কের মুখে ভাষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET 2024: প্রকাশিত হল মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার নির্দেশিকা, পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে কী কী মাথায় রাখতে হবে ?

    NEET 2024: প্রকাশিত হল মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার নির্দেশিকা, পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে কী কী মাথায় রাখতে হবে ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যালে প্রবেশিকার জন্য ‘ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স’ (NEET 2024) পরীক্ষায় নয়া নির্দেশিকা। এবছরের নিট পরীক্ষা হতে চলেছে ৫ মে। ২৪ লাখেরও বেশি ছেলে মেয়ে মেডিকেল পরীক্ষার  জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন সেন্টার থেকে তাদের পরীক্ষা হবে দুপুর ২টো থেকে ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। আর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৪ জুন ২০২৪। তবে পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে মানতে হবে কিছু নির্দেশিকা।

    ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) দ্বারা প্রকাশিত নির্দেশিকা গুলি হল-(NEET 2024)

    ১) পরীক্ষার দিন হলে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সঙ্গে কোনো রকম স্টেশনারি আইটেম, ফোন, আনুষঙ্গিক দ্রব্য, খাদ্য সামগ্রী এবং অলংকার সঙ্গে নিয়ে ঢুকতে পারবে না। 
    ২) পরীক্ষা হলে নিজের জায়গায় অন্য কাউকে ছদ্মবেশে প্রবেশ করালে বাতিল হবে পরীক্ষা। 
    ৩) কোন রকম অসৎ উপায় ব্যবহার করে পরীক্ষার (NEET 2024) উত্তর লেখা বা এই কাজে কাউকে সাহায্য করলে বাতিল হবে পরীক্ষা।
    ৪) পরীক্ষার সময় পরীক্ষকের দেওয়া উত্তরপত্র ছাড়া অন্য কোন উত্তরপত্র গৃহীত হবেনা। 
    ৫) পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কর্মী ব্যতীত অন্য কোনো বাইরের ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে বা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
    ৬) পরীক্ষা শেষে পরীক্ষা হল থেকে উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট বাইরে আনা যাবে না। 
    ৭) উত্তরপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
    8) পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষক বা পরীক্ষার (NEET 2024) সঙ্গে যুক্ত কোনো কর্মী বা কোনো ছাত্র-ছাত্রীকে হুমকি দেওয়া যাবে না।  
    ৯) পরীক্ষার আগে বা পরীক্ষা শেষে জোর করে পরীক্ষা হলে প্রবেশ বা হল থেকে প্রস্থান করা যাবে না। 
    ১০) ওএমআর শিটে ব্যবহার করা রাফ, বা কোনরকম তথ্য মুছে ফেলা যাবে না।  
    ১১) উত্তরপত্রে কোনরকম ওভার রাইটিং করা যাবে না। 
    ১২) উত্তরপত্রে কোনোরকম ভুল তথ্য দিলে সেই ছাত্র বা ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল হবে। 

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পরীক্ষার নিয়মাবলী 

    প্রসঙ্গত, এবারের নিট ইউজি ২০২৪ মূলত পেন-পেপার ফর্ম্যাটেই আয়োজিত হবে। দেশের মোট ৫৭১টি শহরে সিট পড়েছে নিটের। এমনকী দেশের বাইরেও ১৪টি জায়গায় এই পরীক্ষার (NEET 2024) সিট পড়েছে। ইংরাজি, তামিল, মালয়ালম, উর্দু, বাংলা, ওড়িয়া, কন্নড়, পঞ্জাবি, হিন্দি, অসমীয়া এবং মারাঠি ও তেলুগু ভাষায় আয়োজিত হবে এই পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় (NEET 2024) মোট ২০০টি প্রশ্ন থাকবে, যার মধ্যে ১৮০ টির উত্তর করতে হবে, যার মোট নম্বর ৭২০।  

    আর পরীক্ষা হলে ঢোকার সময় নিজের অ্যাডমিট কার্ড, একটা পাসপোর্ট মাপের ছবি, অরিজিনাল আইডি প্রুফ, বিশেষভাবে সক্ষম হলে তাঁর অরিজিনাল সার্টিফিকেট ইত্যাদি অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ৮টি জটিল অস্ত্রোপচারেও বাদ গিয়েছে ডান হাত! তবুও মাধ্যমিকে সফল শান্তিপুরের শুভজিৎ

    Nadia: ৮টি জটিল অস্ত্রোপচারেও বাদ গিয়েছে ডান হাত! তবুও মাধ্যমিকে সফল শান্তিপুরের শুভজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮টি জটিল অস্ত্রোপচারে ডানহাত বাদ গেলেও মনের জোরে মাধ্যমিক দিয়ে সফল ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে শান্তিপুরের শুভজিৎ বিশ্বাস। তার সাফল্যে পরিবার এবং এলাকায় খুশির আবহ। মনের জোরে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সাফল্যের নজির গড়ল নদিয়ার (Nadia) এই কৃতী সন্তান। তার বাবা কলকাতায় জন মজুররের কাজ করেন। মা লোকের বাড়িতে কাজ করেন। কোনও রকমে সংসার চালান, তাই আর্থিক অবস্থা ভালো না হবার কারণে মাসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে শুভজিৎ। তবে দীর্ঘ প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে ২০২৪ এর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ায় খুশি নদিয়ার (Nadia) শুভজিৎ ও তার পরিবার।

    হাতে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল (Nadia)

    ছোটবেলায় হাতে সাইকেল পড়ে যাওয়ায় গুরুতর আহত হয় হাত। তারপর কালের নিয়মে দিনের পর দিন অসুস্থ থাকার পর, হঠাৎই হাতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে চিকিৎসকেরা জানান তার হাত কেটে বাদ দিতে হবে। তারপরেই বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সমস্ত চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না থাকার কারণে ফিরে আসতে হয় বাড়িতে। তারপর কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্র প্রচার করে বাদ যায় ডান হাত। ঘটনায় রীতিমতো মনোবল ভেঙে পড়ে ২০২৪ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভজিৎ বিশ্বাসের। 

    শুভজিৎ-এর বক্তব্য

    নদিয়ার (Nadia) ছাত্র শুভজিৎ কথায়, “যখন হাত কাটা যায়, তখন মনোবল ভেঙে পড়ে আমার। কীভাবে পরীক্ষা দেব! তারপর বাবা-মায়ের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অদম্য জেদ চলে আসে আমার মাথায়। নিজের মনের জোরে বাম হাত দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তারপর দীর্ঘ দেড় মাসের প্রখর অনুশীলনে বাম হাতে লেখা অভ্যাস করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসি। তবে আমি ভেবেছিলাম পরীক্ষায় পাশ করতে পারব না। কারণ জটিল অস্ত্রোপচার, তারপর হাত বাদ যাওয়া এবং হাতে সময় কম থাকার কারণে পড়াশুনা একদম হয়নি। পরীক্ষার প্রশ্ন হয়েছিল অনেকটা কঠিন, যেটুকু পড়াশোনা করেছি, তাতে করে পাশ করাটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু বাড়িতে পরিবারের সহযোগিতা এবং মনের অদম্য জেদ আমাকে সফলতার পথে নিয়ে গেছে। রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আবেদন শুভজিৎ-এর (Nadia) যে যদি রাজ্য সরকার তার পড়াশোনার জন্য এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আর্থিক কিংবা কোনও রকম সাহায্য করে, তাহলে খুবই উপকৃত হবে পরিবার।

    আরও পড়ুনঃভোটের মুখে বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পরিবারের বক্তব্য

    অপরদিকে শুভজিৎ-এর বাবা ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস বলেন, “দীর্ঘ চার বছর ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে পারেনি। তার হাতের অস্ত্রোপচারের কারণে পরীক্ষার আগে ডান হাতটা বাদ যাওয়ায় অনেকটাই ভেঙে পড়েছিল পরিবারের সকলে। শুভজিৎ-এর ইচ্ছা ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে, তাই আমরা যথাসাধ্য তার মনবল বাড়িয়ে (Nadia) তাকে পরীক্ষায় বসার জন্য সহযোগিতা করেছি। তারপর সাফল্য আসে, তবে ওর রেজাল্ট যাই হোক না কেন, পাস করেছে এত প্রতিকূলতার মধ্যেও, এটাই আমাদের কাছে বড় পাওনা। তবে রাজ্য সরকার যদি একটুখানি পরিবারের দিকে মুখ তুলে চায়, তাহলে উচ্চশিক্ষার জন্য শুভজিৎ-এর অনেকটাই সুবিধে হবে। এখন দেখার, রাজ্য সরকার এই দুস্থ পরিবারের পাশে কতটা দাঁড়ায়? নাকি অন্ধকারেই ভবিষ্যত কাটাতে হবে শুভজিৎ-এর পরিবারকে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • EVM: সন্দেহের বিরুদ্ধে বারবার লড়াই করে জিতেছে ইভিএম, ভোটের মাঝে জানুন সেই ইতিহাস

    EVM: সন্দেহের বিরুদ্ধে বারবার লড়াই করে জিতেছে ইভিএম, ভোটের মাঝে জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে হারলেই ইভিএমকে (EVM) তোপ দাগেন বিরোধীরা। তাঁরা নিজেদের ব্যর্থতার দায় চাপান ইভিএমের ওপরে। বর্তমানে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এ সময় আবার একবার খবরের শিরোনামে এসেছে ইভিএম। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ইভিএমের স্বচ্ছতায় সিলমোহর দিয়েছে। ইভিএমের ওপর হওয়া যাবতীয় সন্দেহকে মোকাবিলা করার জন্য বেঁচে নেই আজ সেই মানুষটি, যিনি ইভিএমের নকশা করেছিলেন। তিনি এস রঙ্গরাজন।

    এস রঙ্গরাজনের ৮৯তম জন্মদিন আজ 

    এস রঙ্গরাজন তামিলনাড়ুতে প্রসিদ্ধ ছিলেন ‘লেখক সুজাতা’ নামে। তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ তামিল লেখকদের মধ্যে অন্যতম। যিনি থ্রিলার, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী, নাটক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি- এই সমস্ত বিষয় নিয়ে লেখা লিখতেন। তাঁর অসংখ্য চিত্রনাট্য আজও সমান জনপ্রিয়। আজ ইভিএম নির্মাতা এস রঙ্গরাজনের ৮৯তম জন্মদিন। দুর্ভাগ্যক্রমে ২০০৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মানুষটি পরলোকগমন করেন।

    ইভিএম তৈরির ভাবনা

    প্রসঙ্গত, রঙ্গরাজন ছিলেন ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের একজন ইঞ্জিনিয়ার। সেখানে তিনি যুক্ত ছিলেন নানা ধরনের মেশিন ডিজাইনের সঙ্গে। ১৯৮৯ সালে ইভিএম (EVM) এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেন তিনি। তার পরবর্তীকালে ২০০৪ সালে প্রায় ১০ লক্ষ ইভিএমে মেশিনে ভোট হয়। ১৯৭৭ সালে এস এল শাকধর যিনি ছিলেন তৎকালীন ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তিনি একবার হায়দরাবাদ সফর করেন। এই সময় তিনি ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডকে তৈরি করতে বলেন এমন একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, যা পরবর্তীকালে নির্বাচন পরিচালনার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। ১৯৭৭ সালে দেশের তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন অনুরোধ খুঁজে পাওয়া যায় অনিল মাহেশ্বরী এবং বিপুল মাহেশ্বরীর লেখা বই ‘India’s Experiment With Democracy: The Life of a Nation Through Its Elections’-তে।

    নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে প্রথমবার ইভিএম নিয়ে আলোচনা

    ১৯৮০ সালের অগাস্ট মাসে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের একটি বৈঠকে ভারতের নির্বাচন কমিশন (EVM) ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনার কার্যকারিতা তুলে ধরে। ঠিক এই সময়ের মধ্যে ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, একটি মাইক্রোকম্পিউটার ভিত্তিক ভোটিং মেশিন তৈরি করে, যা কোম্পানির বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। একথা উল্লেখ রয়েছে অনিল মাহেশর এবং বিপুল মাহেশ্বরীর লেখা বই ‘The Power of the Ballot: Travail and Triumph in the Elections’-তে। ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ইভিএম তৈরির জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর পাশাপাশি ভারত ইলেকট্রনিক লিমিটেড সে সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও এ নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক করে।

    ভিভিপ্যাট কবে এল?

    পরবর্তীকালে ইভিএমের (EVM) ভোটে কারচুপি হচ্ছে বলে সরব হয় বেশ কিছু বিরোধী দল। ইভিএমের ওপর যখন সন্দেহ শুরু হয় তখন চালু করা হয় ভোটার ভেরিফাইড পেপার অডিট ট্রেল, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় ভিভিপ্যাট। আমরা ভোট দিতে গেলেই বুঝতে পারি যে ইভিএম মেশিনের সঙ্গে ভিভিপ্যাট জোড়া থাকে। ভোট দেওয়ার সঙ্গেই নিজেদের ভোট যাকে দেওয়া হয়, তার প্রমাণ পত্র হিসেবে একটি স্লিপ প্রিন্ট হয়ে যায়। এই স্লিপটি ৭ সেকেন্ডের জন্য দেখা যায়। তবে তা ভোটারদের কাছে আসে না। ভিভিপ্যাটে থেকে যায়। যাঁরা গণনা কেন্দ্রে থাকেন, তাঁরা ভোট যাচাই করতে এই স্লিপগুলিকে ব্যবহার করেন।

    ২০১০ সালে এসে ভিভিপ্যাটের ধারণা

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন প্রক্রিয়াতে আরও স্বচ্ছতা আনতেই ২০১০ সালে ভিভিপ্যাট ধারণাটি প্রস্তাব করা হয়েছিল। অবশেষে নির্বাচন কমিশন এই সংক্রান্ত প্রস্তাব তাদের প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠায়। শেষমেশ তা সংযুক্ত করা হয় ইভিএমের সঙ্গে। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বেশ কিছু এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ভিভিপ্যাট চালানো হয়। ২০১৯ সালে দেশের সপ্তদশ লোকসভার নির্বাচনে সমস্ত ইভিএম (EVM) মেশিনের সঙ্গে ভিপিপ্যাট সংযুক্ত ছিল।

    প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি কী বলছেন?

    প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি তাঁর লেখা ‘India’s Experiment With Democracy: The Life of a Nation Through Its Elections’ নামের বইতে লিখছেন, “ভিভিপ্যাট মেশিনগুলি ইভিএম এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল সন্দেহ দূর করার জন্য। এছাড়া, ভোটাররা তাঁদের ভোট সঠিকভাবে দিতে পারছেন কিনা তার প্রমাণপত্র হিসেবে রাখা ছিল ভিভিপ্যাট। বেশ কিছু উপনির্বাচনে ভিভিপ্যাটকে ত্রুটিপূর্ণ পাওয়া গিয়েছে কিন্তু ইভিএম কে কখনও নয়।” কুরেশি তাঁর বইতে আরও লিখেছেন যে যতবারই কোনও রাজনৈতিক দল নির্বাচনে হেরেছে, ততবারই মেশিনকে দোষারোপ করেছে তারা। তবে তাদের কেউই প্রমাণ করতে পারেনি তাদের নিজেদের দাবি।

    এস রঙ্গরাজন কী বলতেন নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে?

    ইভিএমের নকশাকারী এস রঙ্গরাজন তাঁর সৃষ্টিকে রক্ষা করতে কলম ধরেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, “ইভিএম (EVM) এমন একটা আবিষ্কার যা তাঁকে তার লেখার মতোই গর্বিত করেছে।” তবুও রঙ্গরাজনের মৃত্যুর এক বছর পরে ইভিএম ফের খবরে শিরোনামে আসে। যখন প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার নবীন চাওলা তার বই ‘এভরি ভোট কাউন্টস দ্য স্টোরি অব ইন্ডিয়া ইলেকশন’- এ নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে লেখেন, “ঝড় সমুদ্রে ইভিএম ক্রমশই বিধ্বস্ত হতে চলেছে।”  প্রসঙ্গত, হরিপ্রসাদ নামের একজন ইঞ্জিনিয়ার, কয়েকজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানীর সহযোগিতায় দাবি করেছিলেন যে ইভিএমকে হ্যাক করা যায়। তবে হরিপ্রসাদ কোথা থেকে ইভিএম পেয়েছিলেন, সে কথা তিনি বলতে পারেননি। পরবর্তীকালে তাঁকে মুম্বইয়ের কাস্টম হাউস থেকে ইভিএম চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    ২৪ দেশে ইভিএমে ভোট হয় আজও

    আজও সারা পৃথিবীব্যাপী প্রায় ২৪ দেশে ইভিএমে ভোটিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন ইভিএমে (EVM) যাঁরা সন্দেহ করেন তাদের উদ্দেশে নিজেদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, “স্বঘোষিত কিছু প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং কিছু সমাজ মাধ্যমের ব্যক্তি এটা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হন যে ইভিএমকে কখনই কম্পিউটারের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। কম্পিউটার চলে একটি অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে। ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট গুলি চলে একটি বিশেষ প্রোগ্রামের মাধ্যমে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share