Tag: Bengali news

Bengali news

  • Hiran Chatterjee: “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন”, দাবি হিরণের

    Hiran Chatterjee: “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন”, দাবি হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024)। আর এরই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) পাল্টা জবাব দিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। সম্প্রতি ঘাটালে দেবের (Dev) সমর্থনে প্রচার করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। প্রচার চলাকালীন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এবার অভিষেকের সেই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিলেন হিরণ।

    অভিষেকের বক্তব্য (Hiran Chatterjee)

    গত ৭ এপ্রিল ঘাটালে হিরণের (Hiran Chatterjee) নাম না করেই অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘এখানে যাঁকে বিজেপি (BJP) দাঁড় করিয়েছে, তিনি ছ’-আট মাস আগে আমার দফতরে এসেছিলেন। তৃণমূলে (TMC) ঢোকার জন্য এলেও আমি দরজা বন্ধ করে দিয়েছি।” এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। অভিষেক সেদিন আরও জানিয়েছিলেন, দরকার হলে সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে আনবেন তিনি।

    হিরণের পাল্টা বক্তব্য

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই দাবি খারিজ করে বিজেপি প্রার্থী হিরণ (Hiran Chatterjee) পাল্টা দাবি করে বলেন, “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন। তাই আমি তাঁর দফতরে গিয়েছিলাম। দলকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে গিয়েছিলাম। অভিষেক যেদিন সিসিটিভির ফুটেজ দেবেন, আমি সেদিন সমস্ত প্রমাণ দেব। উনি কত বার আমায় ফোন করেছেন, কেন আমায় ডাকছিলেন, কী কী বলেছেন, সমস্ত রেকর্ড আমার কাছেও আছে। আমাদের পার্টির কিছু নির্দিষ্ট কৌশল আছে। আমরা কিছু জিনিস মেনে চলি। আমরা পাবলিসিটির জন্য ভুলভাল কথা বলি না।”

    আরও পড়ুনঃ অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ‘প্রমাণ’ হাজির করার হুঁশিয়ারি

    উল্লেখ্য, গত বছর একটি ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়, এমনই দাবি করা হয়েছিল। এবারের লোকসভা ভোটের প্রচার চলাকালীন সেই বিষয়টিই তুলে ধরেন অভিষেক। আর তাঁর পাল্টা জবাব দিয়ে ‘প্রমাণ’ হাজির করানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঘাটালের (Ghatal) এই বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: সঙ্ঘের শিবিরগুলিতে কী শেখানো হয়? গান্ধী থেকে অম্বেডকর কী ভাবতেন আরএসএস সম্পর্কে?

    RSS: সঙ্ঘের শিবিরগুলিতে কী শেখানো হয়? গান্ধী থেকে অম্বেডকর কী ভাবতেন আরএসএস সম্পর্কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বছর ধরেই নানা কার্যক্রমের আয়োজন করে থাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। এর পাশাপাশি সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবং কর্মীদের শারীরিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশের লক্ষ্যে সঙ্ঘের তরফে আয়োজন করা হয় প্রশিক্ষণ শিবিরেরও। এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ নামেই পরিচিত। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে তিনটি স্তরে। এই তিনটি স্তর হল, সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-প্রথম বর্ষ, সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-দ্বিতীয় বর্ষ, সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-তৃতীয় বর্ষ। প্রতিটি প্রশিক্ষণ শিবিরই চলে দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত।

    শিবিরগুলিতে নিত্য প্রয়োজন সামগ্রী সমেত স্বয়ংসেবকরা হাজির হন

    শিবিরগুলিতে নিত্য প্রয়োজন সামগ্রী সমেত স্বয়ংসেবকরা (RSS) হাজির হন। তবে প্রত্যেকেই যে এই শিবিরগুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন, এমনটা নয়। সারা বছর ধরে শাখার মাধ্যমে বাছাই করা স্বয়ংসেবকদের প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করানো হয়। প্রতিটি শিবিরে স্বয়ংসেবকদের ভোর চারটে নাগাদ উঠতে হয়। শিবির চলে রাত্রি দশটা পর্যন্ত। সকাল এবং সন্ধ্যা এই দুটি সময় রাখা হয় শারীরিক অনুশীলনের জন্য। এর পাশাপাশি বিকাল এবং সন্ধ্যার পরের সময়টিকে ব্যবহার করা হয় নানা রকমের বৌদ্ধিক আলোচনার জন্য। বৌদ্ধিক আলোচনায় দেশ-কাল-সমাজের বিভিন্ন ইস্যু, ইতিহাস যেমন থাকে তেমনই দেশ গঠনের স্বয়ংসেবকদের (RSS) ভূমিকা কী হতে পারে, সেটাও থাকে। এর পাশাপাশি দেশের সভ্যতা এবং সনাতন সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন এমন মহাপুরুষদের জীবনী বিষয়ক পাঠও দেওয়া হয় স্বয়ংসেবকদের। পাঠ দেওয়া হয় ভারতের সুমহান প্রাচীন ঐতিহ্য, দেশের প্রাচীন সংস্কৃতির বিষয়েও।

    স্বয়ংসেবকদের একটি দল থাকে ভোজন ব্যবস্থার দায়িত্বে

    সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গে স্বয়ংসেবকদের (RSS) ডায়েট মেনেই চলতে হয়। তাঁদেরকে নিরামিষ ভোজন পরিবেশন করা হয়। কম তেল-মশলাযুক্ত খাবার স্বয়ংসেবকদের পাতে দেওয়া হয়। এই খাবার রান্নার জন্য আলাদা করে কোনও রাঁধুনি থাকে না। বরং স্বয়ংসেবকদের মধ্যে থেকেই একটি দল ভোজন ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকে। প্রতিদিন শিবিরগুলিতে কী কী হবে, তার দৈনন্দিন রুটিন শিবির চালুর আগে থেকেই স্বয়ংসেবকদের হাতে পৌঁছে যায়। স্বয়ংসেবকরা শিবির শেষে রাত্রিতে যখন ঘুমাতে যান তখন একটি হলঘরে একসঙ্গে তাঁদেরকে ঘুমাতে হয়। সাধারণভাবে যেকোনও প্রতিষ্ঠান ভাড়া করেই এমন শিবিরগুলির আয়োজন করে তাকে আরএসএস। সারি দিয়ে বিছানা তৈরি করা থাকে। বিছানার চাদর থেকে আরম্ভ করে শোবার সামগ্রী স্বয়ংসেবকদের আনতে হয়।

    কারা হতে পারেন প্রচারক

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পগুলি প্রাদেশিক এবং জেলা স্তরে অনুষ্ঠিত হয়। তবে তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্প একেবারে সঙ্ঘের সদর কার্যালয় নাগপুরেই অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পে কারা অংশগ্রহণ করবেন, তার বাছাই পর্ব চলে সারা দেশ জুড়ে। এই প্রশিক্ষণ পর্ব ৩০ দিনের হয়ে থাকে। সাধারণভাবে প্রতিবছর গ্রীষ্মকালের মে জুন মাসেই তৃতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয় নাগপুরে। প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ করেছেন এমন স্বয়ংসেবকরাই যোগ্য হন তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশগ্রহণের বিষয়ে। সাধারণভাবে ১৬ বছরের উর্ধ্বে যে কোন যুবকই প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ পর্বে অংশগ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু তৃতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ পর্বে অংশগ্রহণ করতে গেলে ন্যূনতম বয়স লাগে ১৮ বছর। তৃতীয় বর্ষ প্রশিক্ষণ পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পরে যে সমস্ত স্বয়ংসেবক আজীবন ব্রহ্মচর্য ব্রত পালনে রাজি থাকেন এবং দেশের জন্য কাজ করব এই মানসিকতা স্থির করেন, পূর্ণ সময়ের জন্য তাঁরা প্রচারক হিসেবে হন।

    ১৯২৯ সালে নাগপুরে হয়েছিল প্রথম শিবির

    সঙ্ঘের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে তাদের প্রথম প্রশিক্ষণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯২৯ সালে নাগপুরে (RSS)। ৪০ দিনের এই প্রশিক্ষণ শিবির চলেছিল ১ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত। তখন এই শিবিরের নাম সঙ্ঘ প্রশিক্ষণ বর্গ ছিল না বরং তা গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প নামেই পরিচিত ছিল। ১৯৫০ সালের পর থেকে সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-এই শব্দ চালু হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ পর্বের ধরনেরও। প্রথমদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে বিভিন্ন সামরিক ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো এবং প্রশিক্ষণের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হত ইংরেজি।

    ক্যাম্পের নামকরণের ইতিহাস 

    বিএন বারাদপান্ডে ছিলেন নাগপুরের একজন আরএসএস কার্যকর্তা। তিনি একটি বই লিখেছিলেন ‘সঙ্ঘ কার্যপদ্ধতি কা বিকাশ’। ওই বইতে তিনি লিখছেন, ‘‘একটি বৈঠকে (RSS) আমরা আলোচনা করছিলাম যে কিভাবে আমরা গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পকে সম্বোধন করব। কেউ একজন প্রস্তাব দিয়েছিলেন এটার নাম হওয়া উচিত ‘ট্রেনিং ক্লাসেস’। অন্য একজন স্বয়ংসেবক বলেন, ক্যাম্প হল আরএসএস-এর শাখারই বিস্তৃত রূপ তাই আমাদের এটা বলা উচিত ‘সঙ্ঘ ট্রেনিং ক্লাস’। কিন্তু ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার বলেন,  এই ক্যাম্পগুলি চালানো হয় সেই সমস্ত কর্মীদের জন্য, যাঁরা সংগঠনকে সর্বোচ্চ সময় দেবেন। তাই এই ক্যাম্পের নাম হওয়া উচিত অফিসার্স ট্রেনিং ক্যাম্প বা ওটিসি।’’ প্রসঙ্গত, আজও ওটিসি সঙ্ঘের সংগঠনের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় শব্দ হয়ে রয়েছে। যদিও এই নামে এখন আর কোনও ক্যাম্প নেই। গুরুজি গোলওয়ালকর এই ক্যাম্পের নামকরণ করেন সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ।

    প্রথম দিকের শিবিরগুলি কোথায় অনুষ্ঠিত হত

    জানা যায়, ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত বেশ কিছু বিনোদনমূলক কার্যক্রমও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) ক্যাম্পগুলিতে আয়োজিত হত। এগুলি হত শনিবার সন্ধ্যায় এবং রবিবারে। কিন্তু ১৯৩৮ সাল থেকেই তা পাল্টে যায় কারন সেই বছর থেকেই সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরের সময়সীমা ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ দিন করা হয়। ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হতো নাগপুরে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি পুনেতে শুরু হয় ১৯৩৫ সাল থেকে। ১৯৩৮ সাল থেকে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের ক্যাম্পগুলি চালু করা হয় লাহোরে।

    জাতপাতহীন শিবির

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রশিক্ষণ শিবর গুলিতে জাতপাতহীন সমাজ ব্যবস্থার প্রতিফলন দেখা যায়। যাঁরা অংশগ্রহণ করেন শিবিরে, তাঁরা নিজেদেরকে সামাজিক দিক থেকে একই রকম ভাবেন। তাঁদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ কাজ করে না। সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে যাঁরা প্রশিক্ষণ দেন এবং যাঁরা প্রশিক্ষণ নেন, প্রত্যেকের মধ্যেই ভ্রাতৃত্ববোধ কাজ করে। তাঁরা একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন। একসঙ্গে চলাফেরা করেন।

    মহাত্মা গান্ধীর চোখে সঙ্ঘের শিবির

    ১৯৩৪ সালে মহাত্মা গান্ধী ওয়ার্ধাতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শিবির পরিদর্শন করেন এবং স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীকালে শিবির পরিদর্শনের কথা মহত্মা গান্ধীর বলেন ১৯৪৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শিবির পরিদর্শন করেছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে। যখন ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার জীবিত ছিলেন। আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছিলাম সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকদের এমন নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা পরায়ণতা এবং জাতপাতহীন সমাজ ব্যবস্থা দেখে। তারপর থেকে সঙ্ঘের অনেকটা বিকাশ হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে সংগঠনে এমন মহান আদর্শ এবং আত্মত্যাগের মন্ত্র রয়েছে তারা শক্তিশালী হবেই।’’

    বাবা সাহেব অম্বেডকরের চোখে সঙ্ঘের শিবির

    বাবা সাহেব অম্বেডকর সঙ্ঘের শিবির পরিদর্শন করেন ১৯৪৯ সালে পুনেতে। বাবাসাহেব অম্বেডকর ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেন যে সঙ্ঘের শিবির গুলিতে অস্পৃশ্যতা সংক্রান্ত অসুবিধা রয়েছে নাকি! তখন আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা তাঁকে উত্তর দেন, এখানে কোনও অস্পৃশ্যতা নেই। যাঁরা এখানে আসেন তাঁরা প্রত্যেকেই শুধু হিন্দু। প্রত্যুত্তরে অম্বেডকর বলেন, আমি এই শিবির পরিদর্শন করে আশ্চর্য হলাম। স্বয়ংসেবকরা অন্যদের জাতপাত না জেনেও তাঁদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ববোধ নিয়ে চলাফেরা করেন। বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী জয়প্রকাশ নারায়ণ যিনি সোসালিস্ট ছিলেন এবং সত্তরের দশকে ঐতিহাসিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী সরকারের বিরুদ্ধে, তিনিও ১৯৭৭ সালের ৩ নভেম্বর পাটনাতে আরএসএস-এর (RSS) ট্রেনিং ক্যাম্পে সম্মোধন করেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও সঙ্ঘের তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পে সম্বোধন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে”, মমতাকে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগলেন দিলীপ

    Dilip Ghosh: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে”, মমতাকে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগলেন দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে।” ফের প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাশাপাশি মমতার হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাবও দিলেন তিনি। একই সঙ্গে  দিলীপ তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তৃণমূলকে ফের কড়া আক্রমণ করেন।

    জেলটাই মমতার বৃদ্ধাশ্রম হবে! (Dilip Ghosh)

    বুধবার দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের এবিএস অ্যাকাডেমির মাঠে প্রাতঃভ্রমণে যান বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ফের প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার একটি সভা থেকে বলেছিলেন,”আমাকে উদ্দেশ্য করে চোর স্লোগান তোলা হয়। কিন্তু, আমি কারও পয়সায় চা-ও খাই না।” সুযোগ থাকলে জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার কথাও তিনি বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই হুঁশিয়ারির পাল্টা দিলীপ এদিন বলেন, “সেদিন আপনার চলে গিয়েছে। এবার মানুষ তৃণমূলের নেতাদের প্রকাশ্যে জুতো, ঝাঁটা, লাঠি দেখাচ্ছে। শেষ জীবনে এটাও সহ্য করতে হবে।” এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রীর জেলযাত্রা মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দিয়ে দিলীপ বললেন, “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাপীদের নিয়ে রাজনীতি করছেন। ৪০ বছর রাজনীতি করার পর কাউকে যদি চোর স্লোগান শুনতে হয়, তাঁর সন্ন্যাস নিয়ে নেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    টাকা নিয়ে ঘুরলেই গাড়িতে তল্লাশি হবে

    এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় দিলীপ ঘোষকে। রাম নবমী নিয়ে তিনি (Dilip Ghosh) বলেন,  “৫০০ বছর রামলালা প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তারপর এবার প্রথম রাম নবমী। তাই, সারা বিশ্বের হিন্দু সমাজ এই দিনটিকে বিজয় উৎসব হিসেবে পালন করছে। রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে আলাদা উন্মাদনা রয়েছে।” আর গাড়িতে তল্লাশি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টাকা নিয়ে ঘুরলেই তাঁর গাড়িতে তল্লাশি হবে। এখন দিলীপ ঘোষের গাড়িতে তল্লাশি করেও কোনও লাভ নেই। কারণ, কিছুই পাবে না। তবে, যার গাড়িতে টাকা থাকবে তার গাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভক্তিতে নয়, ভয়ে এসব করছে”, রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভক্তিতে নয়, ভয়ে এসব করছে”, রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবিত্র রাম নবমীর পুণ্যতিথি উপলক্ষে বাসন্তীতে শোভাযাত্রায় যোগ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ তিনি এসে পৌঁছান বাসন্তী বাজার এলাকায়। সেখানে হরি মন্দিরে পুজো দিয়ে শোভাযাত্রায় যোগদান করেন। আর মিছিলে যোগ দিয়েই রাজ্যে রাম নবমীর ছুটির প্রসঙ্গে তোপ দাগেন তৃণমূলকে (TMC)।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য (Suvendu Adhikari)

    রাম নবমীর দিনে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্য সরকারের সুমতি হয়েছে, তাই এই প্রথম রাম নবমীতে ছুটি দিয়েছে। ওরা বাধ্য হয়ে এসব করছে। এসব ভক্তিতে নয়, ভয়ে। ভালো লাগছে, জাগরণ হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এবছর প্রথম রাম নবমীতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার (State Government)। রাজ্য সরকারের তরফে ছুটির তালিকা দেওয়া ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে যেহেতু রাম নবমীর দিন ছুটি দেওয়া হল, তাই অনেকেই মনে করছেন, এই ঘটনা রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

    ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত বাসন্তী

    উল্লেখ্য বাসন্তীর (Basanti) মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যোগ দিতেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় গোটা বাসন্তী বাজার চত্বর। শত শত মানুষ যোগ দেন সেই মিছিলে। আর মিছিল পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্য পুলিশ সহ কেন্দ্রিয় বাহিনীর (CRPF) জওয়ানরাও। তবে শুধু বাসন্তীতেই নয়, বুধবার সকাল থেকেই চলছে শুভেন্দুর রাম নবমী উদযাপন। সকালেই বিরোধী দলনেতার দেখা মিলেছিল ইকো পার্কে (Eco Park)। রামের কপালে ফোঁটা দিয়ে পুজো সেরেছেন বিরোধী দলনেতা। পুজোর পর শুরু হয় শোভাযাত্রা। সেই শোভাযাত্রায় পা মিলিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। আর রাম নবমীর (Ram Navami) এই মিছিল দেখতে রাস্তায় উপচে পড়েছিল সাধারণের ভিড়।

    আরও পড়ুনঃ অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট (Lok sabha vote 2024)। আর তার ঠিক আগে রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে রাম নবমী (Ram Navami)। সকাল থেকে দিকে দিকে ভক্তরা মেতে উঠেছেন রাম নবমী উদযাপনে। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট, বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল। সেই অনুমতি পেয়েই দিকে দিকে শুরু হয়েছে রাম নবমীর মিছিল। আর এবার সেই মিছিল থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar), জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সঙ্গে প্রথম দফায় কোচবিহারেও (Cooch Behar) ভোটগ্রহণ হবে। শুক্রবার নির্বাচনের আগে বুধবার ছিল শেষ প্রচার। এর মাঝেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) যাতে তাঁর বুথের বাইরে না যেতে দেওয়া হয়, সেই দাবি জানালেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। নির্বাচন কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। নিশীথের অভিযোগ, “উদয়ন গুহ আমার ওপর দুবার হামলা করেছেন। গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন বলে কমিশনে চিঠি দিলাম।”

    ভোটের দিনে অশান্তি আটকাতেই চিঠি (Cooch Behar)

    প্রসঙ্গত কোচবিহারে (Cooch Behar) নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন বেশ কয়েকবার উদয়ন গুহ ও নিশীথ প্রামাণিক মুখোমুখি হয়েছেন। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। দুই দলের কর্মীরা একে অপরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। প্রচার চলাকালীন এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্যই নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিশীথ। তাঁর মতে ভোটের দিন অশান্তি পাকাতে পারেন উদয়ন গুহ। ইতিমধ্যেই তিনি পরিকল্পনা শুরু করেছেন। ভোটের দিন অশান্তি আটকাতেই আগেভাগে কমিশনকে জানিয়ে রেখেছেন তিনি। প্রসঙ্গত বুধবার সকালে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী নিজের বাসভবনে বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

    হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী উদয়ন (Cooch Behar)

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, পর্যবেক্ষক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছেও উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন নিশীথ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেছেন, “উদয়নের (Cooch Behar) বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে। এমনকী ৩০২ ধারায় খুনের মামলাও রয়েছে।” ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে তিনি বিজেপি কর্মীদের যে দুর্গতি করেছিলেন, সেই কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। ভোট পরবর্তী সময়ে উদয়ন এলাকায় হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী ছিলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছিল সেখানেও উদয়ন গুহর নাম রয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন নিশীথ।

    আরও পড়ুনঃ আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    উদয়নের বক্তব্য

    কোচবিহারের (Cooch Behar) তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ পাল্টা বলেন, “ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ভোটে জিততে পারবে না। সেটা বুঝতে পেরে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবদার করেছে। খড়কুটো আঁকড়ে বাঁচবার চেষ্টা করছে। সে কারণেই বলছি আমাকে ঘরবন্দি করে রাখা হোক। নির্বাচন কমিশন আমাকে ঘরবন্দি করে রাখলেও তৃণমূল এখানে জয়ী হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    Ram Navami 2024: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক বিজ্ঞান ও ধর্মের অভূতপূর্ব মেলবন্ধন। অযোধ্যার রাম মন্দিরের আশ্চর্য রীতির সাক্ষী থাকল গোটা দুনিয়া। রামলালার কপালে সূর্য রশ্মি এঁকে দিল তিলক। রামলালার ললাটের সূর্য তিলকের ছবি দেখল গোটা দুনিয়া। খবর মিলেছে, প্রতি রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দুপুরেই সূর্যরশির এমন তিলক আঁকা হবে রামলালার কপালে। তবে প্রতি বছর যেহেতু রাম নবমী আলাদা আলাদা দিনে পড়ে তাই সে ক্ষেত্রে সূর্যের অবস্থান জানতে চলবে গণনা। সেই অনুযায়ী বসানো হবে আয়নাকে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্য রশ্মিকে রামলালার কপালে প্রতিফলিত করার যে পদ্ধতি, তা খুব সহজ ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, এই দিনই ছিল অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রথম রাম নবমী (Ram Navami 2024) উদযাপন। উদ্বোধনের পর থেকে আজকের এই বিশেষ দিনে অযোধ্যায় নজর ছিল গোটা বিশ্ববাসীর। আর সেদিনই এমন সূর্য তিলক অনুষ্ঠান দেখা গেল।

    দুপুর ১২:০১ মিনিটে সূর্য অভিষেক শুরু হয়

    রামলালার কপালে ঠিক দুপুর ১২:০১ মিনিটে সূর্য অভিষেক শুরু হয়। পাঁচ মিনিট ধরে চলে এই অনুষ্ঠান। আইআইটি রুরকির বিজ্ঞানীরা সূর্য তিলকের জন্য একটি বিশেষ অপটো-মেকানিক্যাল সিস্টেম তৈরি করেছেন। তারই মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় (Ram Navami 2024)। এজন্য মন্দিরের ওপরের তলায় স্থাপন করা হয়েছে যন্ত্রটি। প্রথমে সূর্য রশ্মি আয়নায় পড়ে, পরবর্তীতে তা ঠিক ৯০ ডিগ্রি কোণে প্রতিফলিত হয়ে একটি পাইপের মাধ্যমে রামলালার কপালে এসে পড়ে। রামলালার কপালে যে সূর্যরশ্মির তিলক আঁকা হয় তার দৈর্ঘ্য ৭৫ মিলিমিটার।

    একশোর ওপর এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয় অযোধ্যায়

    এমনিতেই রাম নবমীকে (Ram Navami 2024) কেন্দ্র করে সারা অযোধ্যায় আজকে জনজোয়ার। তারপরে সূর্য তিলকের মাহাত্ম্য দেখতে দূর দূরান্ত থেকেও প্রচুর ভক্ত ভিড় করেন। একশোর  ওপর এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয় অযোধ্যায়। সেখানে অনেক ভক্ত জড়ো হয়ে এই অনুষ্ঠান দেখতে থাকেন। প্রসঙ্গত ভগবান রামচন্দ্র সূর্যবংশের জন্ম নেন বলে বিশ্বাস রয়েছে হিন্দুদের। শঙ্খের আওয়াজ, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ, আরতির মাধ্যমে সূর্য তিলকের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ। জয় শ্রীরাম বলার জন্য কনভয় থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরে এক যুবকের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। এবার সেই তৃণমূল দলের নেতাদের গলায় জয় শ্রীরাম ধ্বনি। সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দিন তৃণমূলের নেতাদের রাম নাম জপতে দেখে বালুরঘাটবাসী হাসাহাসি করছেন।

    তৃণমূল নেতাদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, জয় শ্রীরাম স্লোগান (Ram Navami 2024)

    বুধবার সকাল সকাল গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে বালুরঘাট পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, এমসিআইসি বিপুল ঘোষ এবং টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডল রাম নবমীর (Ram Navami 2024)  মিছিলে হাঁটেন। শহরের মানুষ সকালে এই দৃশ্য দেখে কিছুটা চমকে ওঠেন। অনেককে বলতে শোনা যায়, ভেবেছিলাম তৃণমূল নেতারা দল বদল করল না তো। পরে, দেখি তৃণমূলে থেকেই রাম নাম জপছেন। কারণ, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি সাধারণত বিজেপি  কর্মী সমর্থকদের দেখা যায়। আজ রাম নবমী উপলক্ষে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেসের বালুরঘাট শহরের শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রীদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয় এবং মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেখে অবাক বালুরঘাটের সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    ভূতের মুখে রাম নাম, কটাক্ষ সুকান্তর

    রাম নবমী উপলক্ষে রাম নবমী উদযাপন কমিটির মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মিছিল থেকে উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। তৃণমূলের এ হেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা আসনের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, বেড়াল ঠেলায় না পড়লে গাছে ওঠে না। আগে রাম নবমীতে ছুটি ছিল না। এখন তৃণমূল নেত্রী রাম নবমীতে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এই বালুরঘাট পুরসভা এলাকায় মাদার টেরেসার মূর্তি বসিয়ে এলাকার নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। আজ তারাই রাম নাম বলছে। এটা কিছুটা ভূতের মুখে রাম নামের মতো শুনতে লাগলেও লক্ষণ ভালো।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, এটা তৃণমূলের কোনও শোভাযাত্রা না। এই শোভাযাত্রাটা সাধারণ মানুষ করেছিল, সেখানে তৃণমূলের কিছু নেতা হেঁটেছেন। জয় শ্রীরাম তাঁরা বলেননি। তৃণমূল এর সঙ্গে যুক্ত নয়। মানুষ এর উত্তর ভোটের ব্যালট বক্সে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Palghar Sadhu Lynching: রাহুল গান্ধীর নির্দেশেই পালঘর সাধু খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেননি উদ্ধব!

    Palghar Sadhu Lynching: রাহুল গান্ধীর নির্দেশেই পালঘর সাধু খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেননি উদ্ধব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালঘরে দুই সাধুকে পিটিয়ে খুনের (Palghar Sadhu Lynching) মামলায় বিস্ফোরক দাবি শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের! দলের সম্পাদক তথা মুখপাত্র কিরণ পাওয়াস্কারের দাবি, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর নির্দেশে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে পালঘর সাধু খুনের মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেননি। সেই কারণেই আজও সত্য উদ্ঘাটন হয়নি নারকীয় এই ঘটনার। দোষীরা পায়নি সাজা।

    পালঘর সাধু খুন

    ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল ঘটেছিল পালঘরে সাধু হত্যা। খর বৈশাখের সেই দিনটিতে দেশজুড়ে যখন চলছিল রাম নবমী পালনের উদযোগ। সেই রাতে ঘটেছিল নৃশংস সেই গণপিটুনির ঘটনা, যার জেরে বেঘোরে প্রাণ গিয়েছিল জুন আখড়ার দুই সন্ন্যাসীর। এঁদের (Palghar Sadhu Lynching) একজন বছর সত্তরের কল্পবরুক্ষগিরি ও বছর পঁয়ত্রিশের সুশীল গিরি মহারাজ। করোনা পরিস্থিতিতে জুনা আখড়ার এই দুই সাধু মুম্বইয়ের কান্দিভালি থেকে সুরাটে যাচ্ছিলেন অন্য এক সাধুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে। গাদচিনচিল গ্রামে তাঁদের ঘিরে ধরে জনতা। তারপর নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করা হয় এই দুই নিরীহ সাধুকে। কেবল এই দুই সাধু নন, সেই রাতে উন্মত্ত জনতার রোষের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁদের গাড়ির চালক বছর তিরিশের নীলেশ তেলগাদেও।

    সিবিআই দেয়নি ঠাকরে সরকার

    নৃশংস এই হিংসার ছবি ভিডিও বন্দি করা হয়। শ’খানেক উন্মত্ত জনতার সেই তাণ্ডবের ছবিতে দেখা গিয়েছে, ঘটনার সময় পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয় দর্শক। বিপন্ন দুই সাধু ও তাঁদের গাড়ির চালককে উদ্ধারের কোনও চেষ্টাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের নেতা তথা দলের সম্পাদক পাওস্কর বলেন, “২০২০ সালে সাধুদের হত্যা করা হয়েছিল। সেই সময় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। মামলাটি যখন সুপ্রিম কোর্টে যায় তখন একটিই দাবি ছিল। সেটি হল রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নিয়ে তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। সেই সময় একজন বলতে থাকেন, তিনি হিন্দুত্ববাদী, বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে। তিনি বলেছিলেন, এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করার প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকারের হাতেই থাকবে।” ঠাকরের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এত নৃশংস একটি খুনের ঘটনার কথা জেনেও সেই সময় উদাসীন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ব্যস্ত ছিলেন তহবিল সংগ্রহে।” তাঁর অভিযোগ, সরকারি উদাসীনতার জেরেই পার পেয়ে গিয়েছে সন্দেহভাজনরা। শিবসেনার এই মুখপাত্রের অভিযোগ, সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার হস্তান্তরে দেরি হওয়ায় ক্ষতি হয়েছে তদন্তের।

    আরও পড়ুুন: দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উদ্যোগ 

    দুই সাধু খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হন জুনা আখড়ার সাধুরা। তাঁদের সুরে সুর মেলায় জনতাও। অভিযোগ, তার পরেও তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়নি সিবিআইয়ের হাতে। পরে ফাটল ধরে শিবসেনায়। ২০২২ সালের ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন একনাথ শিন্ডে। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় পালঘর সাধু খুনের মামলা হস্তান্তর করা হবে সিবিআইয়ের হাতে। পরে তা হস্তান্তর করাও হয় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার হাতে। শিবসেনা নেতার এহেন বিস্ফোরক দাবিতে ঘুরতে পারে পালঘর সাধু খুনের মামলার মোড়। কারণ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল পালঘর সাধু খুনের (Palghar Sadhu Lynching) তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘটনায় দেশের শীর্ষ আদালত যখন সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের দাবিতে জমা পড়া পিটিশনের জবাব চায়, তখনই রাজ্য সরকারের তরফে জমা দেওয়া হয় ওই হলফনামা।

    তদন্তে জানা গিয়েছে, জুনা আখড়ার ওই দুই সাধু খুনের নেপথ্যে ছিল বড়সড় ষড়যন্ত্র। ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে অতিবাম দল, স্থানীয় এনসিপি নেতারা এবং খ্রিস্টান মিশনারি সংগঠন। এফআইআরে সিপিআইএমের গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যের নামও রয়েছে। যা থেকে আক্রমণের নেপথ্যে রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। সাধুদের হেনস্থার ঘটনাটি যে পূর্ব পরিকল্পিত, সেই আশঙ্কাও করছেন তাঁরা (Palghar Sadhu Lynching)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    Arabul Islam: ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (Lok Sabha Vote 2024), তার আগেই এবার দল থেকে ভাঙড়ের (Bhangar) দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলামকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। ফলে এবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে (Arabul Islam) ছাড়াই ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিল দল। ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক বা কনভেনর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। দাপুটে এই তৃণমূল নেতা যে ব্লক তৃণমূলের কোনও পদে আর নেই, সে কথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। আরাবুল জেল বন্দি থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে এখন ভাঙড়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা।

    শওকত মোল্লার বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) বলেছেন, “আরাবুল ইসলামকে দলের কনভেনার করেছিলাম। এখন তিনি জেলে, তাই দলের দায়িত্ব আমার কাঁধে নিয়ে ও ভাঙড়ের যাঁরা তৃণমূলের (TMC) নেতা-কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের দায়িত্ব দিয়েই আমরা এই নির্বাচনে লড়াই করব। এখন আরাবুলের দলের কোনও পদ নেই। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রয়েছেন। আমি আশা করি তিনি ভবিষ্যতে দলের অনুগত সদস্য হয়েই কাজ করবেন। আর যদি তা না করেন পরবর্তী পদক্ষেপ দল থেকে নেওয়া হবে।”

    বর্তমানে জেলে আরাবুল

    আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার করে কাশীপুর (উত্তর) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে ভাঙড়, পোলেরহাট থানা এলাকায় অশান্তিতেও জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে আরাবুলের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন তোলাবাজি ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ভাঙড়ের এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুনঃ “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    জেল থেকে নির্বাচনে লড়ে ছিলেন

    উল্লেখ্য, তৃণমূলের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন আরাবুল। ২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকেটে ভাঙড়ের (Bhangar) বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। তারপরেই তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বা সহ-সভাপতি থেকেছেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরাবুল। সেই সময়ে জেল থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেবারের নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। তারপর তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে পরবর্তী সময় তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তার পরেই এই কেন্দ্রে লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024। ভোটের প্রাক্কালে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমজমাট আসানসোলের (Asansol) রাজনৈতিক মঞ্চ। এরই মাঝে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Satrughna Sinha) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। পোস্টারে লেখা “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”। প্রার্থী নাকি নিখোঁজ! তাঁকে দেখা কিংবা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে নির্বাচনী প্রচারে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে (Asansol)?

    ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। আসানসোলের (Asansol) এই কেন্দ্রে বর্ষীয়ান নেতা এস এস আহলুওয়ালিয়াকে (S. S. Ahluwalia) প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি এই কেন্দ্রেরই বাসিন্দা। অন্ডাল গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল পোস্টার এবং লিফলেট। তাতে লেখা, “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই, মাননীয় শত্রুঘ্ন সিনহা মহাশয়কে দীর্ঘকাল যাবৎ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে খুঁজে পান আমাদের জানাবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    কেন অন্ডাল এলাকায় এই ধরনের পোস্টার? এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন, ২০২২ সালে সেই জায়গা পূরণ করার জন্য হয় উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে ভয়ানক ভয়ভীতির পরিবেশে শত্রুঘ্ন সিনহা, শাসক দলের হয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না বলেই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন মানুষ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এবারেও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, তাই হয়তো এবারও ভোট দিলে তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যাবে না। মানুষের কাছে এই বার্তা দিতেই এই পোস্টার দিয়েছেন এলাকার মানুষ।”

    আরও পড়ুনঃ দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুধীন পান্ডে বলেন, “বিজেপি আসানসোলের প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছিল না। বর্তমানে বিজেপির আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম ঘোষণা করেছে, তিনিই দুর্গাপুরে পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর নামেও পোস্টার পড়েছিল দুর্গাপুর শহর অঞ্চল জুড়ে। বিজেপির কিছু নেই বলেই এই ধরনের কুৎসা ছড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share