Tag: Bengali news

Bengali news

  • ABVP: লক্ষ্য নতুন পড়ুয়ার সঙ্গে সম্পর্ক! ‘পরিসর চলো’ কর্মসূচি ঘোষণা এবিভিপির

    ABVP: লক্ষ্য নতুন পড়ুয়ার সঙ্গে সম্পর্ক! ‘পরিসর চলো’ কর্মসূচি ঘোষণা এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ শুরু করছে ‘পরিসর চলো’ অভিযান।  অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পৌঁছানোর কর্মসূচি নিচ্ছে এবিভিপি (ABVP)। সাধারণভাবে মে-জুন মাস থেকেই যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই সময় নতুন পড়ুয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টার জন্য এই অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এবিভিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২.৩৫ লাখ নতুন সদস্য আগামী অ্যাকাডেমিক বর্ষে তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা।

    আরও পড়ুন: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    ২০২৩-২০২৪ সালে ৫০ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৪ জন সদস্য হয়েছেন 

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) সূত্রে খবর, ২০২৩-২০২৪ বর্ষে দেশে সদস্যতা অভিযানে এবিভিপি সদস্যপদ নিয়েছিলেন ৫০ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৪ জন। জানা গিয়েছে ‘পরিষদ চলো ‘এই অভিযান সাধারণভাবে তিনটি অংশে ভাগ করা হবে। এবিভিপির নেতৃত্ব পৌঁছাবেন স্কুলগুলিতে। যে কোনও ধরনের ভোকেশনাল ইনস্টিটিউশনগুলিতে, কলেজগুলিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই অভিযান চলবে। জানা গিয়েছে প্রথম পর্যায়ে তারা স্কুলগুলিতে পৌঁছাবে। ৬ মে থেকে ১৫ মে চলবে এই অভিযান। পর্যন্ত ভোকেশনাল ইনস্টিটিউশনগুলোতে তারা পৌঁছাবে জুলাই মাসের ২০ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত। অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি ছাত্রদের কাছে এবিভিপি পৌঁছাবে ১ থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত।

    অন্ত্যজ শ্রেণীর ছাত্রদের সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন 

    জানা গিয়েছে, এবিভিপির (ABVP) ‘পরিষদ চলো’ অভিযান শুধুমাত্র সদস্য সংগ্রহ করা নয়, তার পাশাপাশি এবিভিপি নতুন পড়ুয়াদের মধ্যে তাদের নীতি-আদর্শকে পৌঁছে দিতে চায়। ছাত্রদের যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তার সমাধানও করতে চাইবে এবিভিবি। বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্রদের সঙ্গেই সম্পর্কে আসবে এই অভিযানের মাধ্যমে এবিভিপি। সে কথা জানিয়েছে এবিপি নেতৃত্ব। গ্রামীণ এবং অন্ত্যজ শ্রেণীর ছাত্রদের সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে টাকা হাতানোর অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপির

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে টাকা হাতানোর অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার এবং তাঁর স্ত্রী শিলি হালদার। এমনই অভিযোগ কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান অনুপ মিস্ত্রির। শুধু অভিযোগ নয়, দুজনের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের অর্থ তছরূপের অভিযোগ তুলে কলকাতা আদালতে মামলা দায়ের করেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    অভিযোগ, বাপি হালদারের স্ত্রী শিলি হালদার ওই পঞ্চায়েতের প্রধান থাকাকালীন পঞ্চায়েত এলাকায় একই রাস্তায় তিনবার কাজ দেখিয়ে টাকা তুলেছেন। শুধু তাই নয়, রাস্তার কাজ না করেও সেই কাজের টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। মথুরাপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও, ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলাশাসকের পাশাপাশি মথুরাপুর থানা এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপির কাছে অভিযোগ জানান পঞ্চায়েত প্রধান অনুপ মিস্ত্রি। অভিযোগ, কোনও সুরাহা না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রধান। গত ১২ই এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পরেও কেন মামলা রুজু হল না, তা নিয়ে মথুরাপুর থানার ওসিকে শোকজ করা হয়। কোর্টের গুঁতো খেয়ে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর অনুপ মিস্ত্রির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ এপ্রিল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শিলি হালদার, প্রাক্তন প্রধানের স্বামী তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার সহ মোট আটজনের নামে এফআইআর দায়ের হয়।

    আরও পড়ুন: এবার সরাসরি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি! শক্তিপুরে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    বিজেপির প্রধান কী বললেন?

    বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান অনুপ মিস্ত্রি বলেন, তথ্য প্রমাণ দিয়ে পুলিশকে অভিযোগ করতে বলেছিলাম। তারা গুরুত্ব দেয়নি। আদালতের নির্দেশে অভিযোগ নিতে বাধ্য হল। আমরা তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন?

    তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার বলেন, “ওরা এখন এফআইআর কেন? আরও অনেক কিছু করবে। যা ইচ্ছা করুক তৃণমূলকে হারাতে পারবে না। দুর্নীতি প্রমাণ করুক আগে। আদালতের ওপর আমার আস্থা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UTS: থাকতে হবে না ২০ মিটার দূরে, এবার প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েও ইউটিএস অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুক করতে পারবেন

    UTS: থাকতে হবে না ২০ মিটার দূরে, এবার প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েও ইউটিএস অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুক করতে পারবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইন দিয়ে টিকিট কাটা এক বড় ঝক্কির বিষয়! তারপর আবার তাড়াহুড়োর মাথায় ট্রেন মিস হওয়ার ভয়ও থাকে। এসব কিছু থেকে বাঁচতে রেলওয়ে নিয়ে এসেছিল অনেক আগেই ইউটিএস অ্যাপ (UTS)। এবার সেই ইউটিএস অ্যাপেই বিরাট বদল আনল ভারতীয় রেল। প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষে প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে সফর করেন এমন যাত্রী সংখ্যা হয়তো কোটিতে পৌঁছে যাবে। এই যাত্রীদের সুবিধার্থেই ইউটিএস অ্যাপের পরিষেবাতে পরিবর্তন আনল রেল। এতদিন পর্যন্ত ইউটিএস অ্যাপের টিকিট কাটার নিয়ম ছিল যে স্টেশন থেকে আপনাকে কুড়ি মিটার দূরে থাকতে হবে এবং এভাবেই টিকিট কাটতে পারতেন যে কোনও যাত্রী। কিন্তু কিন্তু এইবারে শূন্য মিটার দূরত্ব থেকেও টিকিট কাটা যাবে। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটও কাটা যাবে এবার থেকে।

    ২০ মিটার দূরত্বে থাকতে হবে না

    অর্থাৎ দূরত্ব আর কোনও বাধা থাকছে না। কুড়ি মিটার দূরে থাকতে হবে না প্লাটফর্ম থেকে টিকিট কাটতে। প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকলেও ইউটিএস অ্যাপের (UTS) মাধ্যমে টিকিট কাটা যাবে। সাধারণভাবে সাধারণভাবে এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল যে, যদি কোনও যাত্রী টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠে পড়েন তাহলে তিনি যেন টিটিকে দেখে টিকিট কেটে নিতে না পারেন। তবে সেই দূরত্বে এবার শূন্য হয়ে গেল। এক্ষেত্রে পূর্ব রেলে জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে ইউটিএস অ্যাপ এর ক্ষেত্রে জিও ফেন্সিং তুলে নেওয়া হয়েছে।

    ইউটিএস অ্যাপ (UTS)

    আপনাদের মধ্যে যাদের এখন ইউটিএস অ্যাপ (UTS) নেই, তাঁরা অ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে পারেন নিজেদের মোবাইলে। তারপরে সাইন আপ করে লগ-ইন করে রাখতে হবে। এখানে দু ধরনের টিকিট কাটতে পারেন। পেপারলেস টিকিট এবং পেপারবিহীন টিকিট। আপনার যাত্রা শুরুর স্টেশন এবং গন্তব্য স্টেশন ইউটিএস অ্যাপের মাধ্যমে দিতে হবে এবং এর পরেই টিকিট বুকিং করতে হবে। তারপরে আর ওয়ালেট অথবা যেকোনও ধরনের ইউপিআই-এর মাধ্যমে আপনার ফোন থেকে টিকিটের টাকা কেটে নেবে ভারতীয় রেল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ECI: তৃতীয় দফায় আরও কড়া কমিশন, তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি গাইডলাইন

    ECI: তৃতীয় দফায় আরও কড়া কমিশন, তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি গাইডলাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফায় (Phase Three Voting) আরও কড়া মনোভাব নিল নির্বাচন কমিশন (ECI)। প্রয়োজনে আরও ভোট কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা রয়েছে কমিশনের। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ (Heatwave Warning) নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের কমিশনের একাধিক গাইডলাইন মানা হয়নি এমনই অভিযোগ উঠেছে। এই কারণে জেলা স্তরের নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের সতর্কবার্তা দিলেন মুখ্য নির্বাচনী অধিকারিক।

    কেন ক্ষুব্ধ নির্বাচন কমিশন

    লোকসভা নির্বাচনে মাত্র দুটি পর্ব শেষ হয়েছে। শুক্রবার ১৩ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হয়েছে দ্বিতীয় দফায় ৮৮টি আসনে ভোট (Loksabha Election 2024) গ্রহণ হয়। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট কেন্দ্র ছিল। তৃতীয় দফায় তাপপ্রবাহ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন (ECI)। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে গরম আরও বেড়েছে। এএকথা ভালভাবেই জানে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রথম দুই দফার তুলনায় অনেকটাই কম ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সর্বসাকুল্যে  ৬৬ শতাংশের কিছু বেশি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শতকরা বিচারে ৮০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট প্রয়োগ হয়ে থাকে। ৬৬ শতাংশ ভোটদানের মোটেও খুশি নয় নির্বাচন কমিশন। যে কারণে, তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণের (Phase Three Voting) আগে রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশ, “প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে । যে সকল জায়গায় তাপপ্রবাহ (Moderate Heatwave Warning) সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে সেখানে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুথগুলিতে সেক্টর অফিসারদের এই মর্মে পর্যালোচনা করতে হবে। প্রয়োজন হলে ভোটকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ECI)। ওআরএস, পানীয় জল মেডিকেল কিট ও বয়স্কদের জন্য আলাদা লাইনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    নেওয়া হবে এই ব্যবস্থা

    তৃতীয় দফায় (Phase Three Voting) মোট ৪০২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করা হবে। এই পর্বে ভোট হবে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad), মালদা (Malda) উত্তর ও দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে। ৭ মে তৃতীয় দফায় বাংলার এই চার আসনে ভোটগ্রহণ হবে। প্রসঙ্গত বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের একাংশের জন্য আইসক্রিমের ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন। যদিও বাংলায় আইসক্রিমের দেখা মেলেনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার তার সহযোগী জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবিন্দর সিং সন্ধু মোট ২৬৫ জন অবজারভারকে এই পর্বে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় (ECI) নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “পঞ্চায়েতে ঢুকে আমাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালালো দলেরই লোকজন”, বললেন তৃণমূলের প্রধান

    Howrah: “পঞ্চায়েতে ঢুকে আমাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালালো দলেরই লোকজন”, বললেন তৃণমূলের প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে প্রকাশ্যেই চলল গুলি। রাস্তা বা কোনও তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে নয়। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই চলল গুলি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়ায় তিন নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে।  ফলে, এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নামানো হয়েছে র‍্যাফ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ তিনজন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে ওই পঞ্চায়েত (Howrah) অফিসের মধ্যে ঢোকে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই গুলি চালায় তারা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখকে লক্ষ্য করে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চলেছে স্থানীয়দের দাবি। প্রাণ বাঁচাতে টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়েন টুকটুকি। হামলাকারীরাও তৃণমূলের কর্মী। সরাসরি গুলি না লাগলেও এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের বাবা-সহ মোট দু’জন জখম হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দখলে থাকা ওই পঞ্চায়েতের প্রধান এবং প্রাক্তন এক সদস্যের মধ্যে ঝামেলার জেরেই গুলি চলেছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সাজিদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: ‘এক ফোনে দিদিভাই’ কর্মসূচি চালু করলেন অগ্নিমিত্রা, ট্রেনে জনসংযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    তৃণমূলের লোকই গুলি চালিয়েছে দাবি প্রধানের

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখ বলেন, “আমরা অফিসের মধ্যে বসেছিলাম। আমি সই করছিলাম। তিন জন ঢোকে। আমার কথা জিজ্ঞাসা করে। তার পরেই পকেট থেকে বন্দুক বার করে গুলি চালাতে শুরু করে। আমার বাবা, কাকার গায়ে গুলি লেগেছে। আমাকেও টার্গেট করা হয়। আমি প্রাণ বাঁচাতে টেবিলের তলায় ঢুকে পড়ি। একটা বন্দুক কেড়ে নিয়েছি। প্রাক্তন সদস্য শেখ সাজিদই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ওর লোকেরাই গুলি চালিয়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “মোদি সরকারের আমলে আকাশ ছুঁয়েছে শেয়ার মার্কেট”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “মোদি সরকারের আমলে আকাশ ছুঁয়েছে শেয়ার মার্কেট”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আমলে ভারতের অর্থনীতিতে এক আমুল পরিবর্তণ এসেছে। শেয়ার বাজার আকাশ ছুঁয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য (Amit Shah)

    এদিন অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন ভারতের অর্থনীতি প্রায় ভেঙ্গে পড়েছিল। কর্মক্ষেত্রে উৎপাদন কমে গেছিল, ফলে রপ্তানীর পরিমাণও কমে গেছিল। সে সময় মুদ্রাস্ফীতি ছিল আকাশ ছোঁয়া। তবে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধীরে ধীরে উন্নতির পথে এগিয়েছে ভারতের অর্থনীতি। 

    আরও পড়ুন: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    মোদিজির আমলের দশ বছর স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে

    এদিন সাক্ষাৎকারে তিনি  আরও বলেন, ১৩০ কোটির দেশ ভারতবর্ষ (India) বর্তমানে ধীরে ধীরে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। উচ্চশিক্ষা হোক কিংবা অর্থনৈতিক দিক। ৩৭০ ধারার অবসান হোক কিংবা তিন তালাক। রামের জন্মভূমি থেকে দেশের ফৌজদারি আইনে মৌলিক পরিবর্তন। মোদিজির আমলের এই দশ বছর প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। একই সঙ্গে অমিত শাহ (Amit Shah) এদিন জানিয়েছেন যদি এবার তৃতীয়বারের মতো মোদিজি ক্ষমতায় আসেন তাহলে এক থেকে দুই বছরের মধ্যেই ভারত থেকে নকশালবাদ বিলুপ্ত হবে।

    ভোট প্রসঙ্গেও মত প্রকাশ শাহের 

    পাশাপাশি এদিন ভোট প্রসঙ্গেও মত প্রকাশ করেন তিনি। ৩৭০-এর লক্ষ্যে বিজেপি কি সঠিক পথে হাঁটছে? এই প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “একদম সঠিক ট্র্যাকে রয়েছে। গণনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে এনডিএ ৪০০ পেরিয়ে যাবে। মোদিজি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন”। সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমার দলের একটা টিম এবং আমি বিশদ বিশ্লেষণ করেছি। প্রথম দুই দফার ভোটে ১০০ আসন নিয়ে আমরা তৃতীয় দফার দিকে এগোচ্ছি। ৪০০-র লক্ষ্য অতিক্রম করতে কোনও সমস্যা হবে বলে মনে হচ্ছে না”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 10: “দুষ্ট লোকের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটু তমোগুণ দেখানো দরকার!”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 10: “দুষ্ট লোকের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটু তমোগুণ দেখানো দরকার!”

    ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    {গৃহস্থ তমোগুণ}

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Sri Ramakrishna Kathamrita)–লোকের সঙ্গে বাস করতে গেলেই দুষ্ট লোকের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবার জন্য একটু তমোগুণ দেখানো দরকার! কিন্তু সে অনিষ্ট করবে বলে উলটে তার অনিষ্ট করা উচিত নয়।

    “এক মাঠে এক রাখাল গরু চরাত। সেই মাঠে একটা ভয়ানক বিষাক্ত সাপ ছিল। সকলেই সেই সাপের ভয়ে অত্যন্ত সাবধানে থাকত। একদিন একটি ব্রহ্মচারী (Sri Ramakrishna Kathamrita) সেই মাঠের পথ দিয়ে আসছিল। রাখালেরা দৌড়ে এসে বললে, ঠাকুর মহাশয়! ওদিক দিয়ে যাবেন না। ওদিকে একটা ভয়ানক বিষাক্ত সাপ আছে। ব্রহ্মচারী বলেলে, বাবা তা হোক; আমার তাতে ভয় নাই, আমি মন্ত্র জানি! এই কথা বলে ব্রহ্মচারী সেইদিকে চলে গেল। রাখালেরা ভয়ে কেউ সঙ্গে গেল না। এদিকে সাপটা ফণা তুলে দৌড়ে আসছে, কিন্তু কাছে না আসতে আসতে ব্রহ্মচারী যেই একটি মন্ত্র পড়লে, আমনি সাপটা কেঁচোর মতন কাছে পড়ে রইল। ব্রহ্মচারী বললে, ওরে তুই কেন পরের হিংসা করে বেড়াস; আয় তোকে মন্ত্র দিব। এই মন্ত্র জপলে তোর ভগবানলাভ হবে, আর হিংসা প্রবৃত্তি থাকবে না।’ এই বলে সে সাপকে মন্ত্র দিল। সাপটা মন্ত্র পেয়ে গুরুকে প্রণাম করলে আর জিজ্ঞাসা করলে ঠাকুর! কি করে সাধনা করব, বলুন? গুরু বললেন, এই মন্ত্র জপ কর, কারও হিংসা করো না। ব্রহ্মচারী যাবার সময়ে বললে, আমি আবার আসব।’

    এই রকম কিছুদিন যায়। রাখালেরা দেখে যে, সাপটা আর কামড়াতে আসে না! ঢ্যালা মারে তবুও রাগ হয় না, যেন কেঁচোর মতন হয়ে গেছে। একদিন একজন রাখাল কাছে গিয়ে ল্যাজ ধরে খুব ঘুরপাক দিয়ে তাকে আছড়ে ফেলে দিলো। সাপটার মুখ দিয়ে রক্ত উঠতে লাগল, আর সে অতেচন হয়ে পড়ল। নড়ে না চড়ে না। রাখালেরা (Sri Ramakrishna Kathamrita) মনে করলে যে, সাপটা মরে গেছে। এই মনে করে তারা সব চলে গেল।

    অনেক রাত্রে সাপের চেতনা হল। সে আস্তে আস্তে (Sri Ramakrishna Kathamrita) অতি কষ্টে তার গর্তের ভিতর চলে গেল। শরীর চূর্ণ—নড়বার শক্তি নাই। অনেকদিন পরে যখন অস্থিচর্মসার তখন বাহিরে আহারের চেষ্টায় রাত্রে এক-একবার চরতে আসত; ভয়ে দিনের বেলা আসত না, মন্ত্র লওয়া অবধি আর হিংসা করে না। মাটি, পাতা, গাছ থেকে পড়ে গেছে এমন ফল খেয়ে প্রাণধারণ করত।

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita11: “আমি কামড়াতে বারণ করেছি, ফোঁস করে তাঁদের ভয় দেখাস নাই কেন?”

    Sri Ramakrishna Kathamrita11: “আমি কামড়াতে বারণ করেছি, ফোঁস করে তাঁদের ভয় দেখাস নাই কেন?”

    ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    প্রায় এক বৎসর পরে ব্রহ্মচারী (Sri Ramakrishna Kathamrita) সেইপথে আবার এলো। এসেই সাপের সন্ধান করলে। রাখালেরা বললে, সে সাপটা মরে গেছে। ব্রহ্মচারীর কিন্তু ও-কথা বিশ্বাস হল না! সে জানে, যে মন্ত্র ও নিয়েছে তা সাধন না হলে দেহত্যাগ হবে না। খুঁজে খুঁজে সেই দিকে তার নাম ধরে ডাকতে লাগল। সে গুরুদেবের আওয়াজ শুনে গর্ত থেকে বেড়িয়ে এল ও খুব ভক্তিভাবে প্রণাম করলে। ব্রহ্মচারী জিজ্ঞাসা করলে, তুই কেমন আছিস? সে বললে, আজ্ঞে ভালো আছি। ব্রহ্মচারী বললে, তবে তুই এত রোগা হয়ে গিছিস কেন? সাপ বললে, ঠাকুর আপনি আদেশ করেছেন—কারও হিংসা করো না, তাই পাতাটা ফলটা খাই বলে বোধ হয় রোগা হয়ে গিছি! ওর সত্ত্বগুণ হয়েছে কি না, তাই কারু উপর ক্রোধ নাই। সে ভুলেই গিয়েছিল যে, রাখালেরা মেরে ফেলবার যোগাড় করেছিল। ব্রহ্মচারী বলেন, শুধু না খাওয়ার দরুন এরূপ অবস্থা হয় না। অবশ্য আরও কারণ আছে ভাবে দেখে। সাপটার মনে পড়ল যে, রাখালেরা আছাড় মেরেছিল। তখন সে বললে, ঠাকুর মনে পড়েছে বটে, রাখালেরা একদিন আছাড় মেরেছিল। তখন সে বললে, ঠাকুর মনে পড়েছে বটে, রাখালেরা একদিন আছাড় মেরেছিল। তারা অজ্ঞান, জানে না যে আমার মনের কি অবস্থা; আমি যে কাহাকেও কামড়াব না বা কোনরূপ অনিষ্ট করব না, কেমন করে জানবে? ব্রহ্মচারী (Sri Ramakrishna Kathamrita) বললে, ছি! তুই এত বোকা, আপনাকে রক্ষা করতে জানিস না; আমি কামড়াতে বারণ করেছি, ফোঁস করে তাঁদের ভয় দেখাস নাই কেন?

    দুষ্টু লোকের কাছে ফোঁস করতে হয়, ভয় দেখাতে হয়, পাছে অনিষ্ঠ করে। তাদের গায়ে বিষ ঢালতে নাই, অনিষ্ট করতে নাই। 

    ঈশ্বরের (Sri Ramakrishna Kathamrita) সৃষ্টিতে নানারকম জীবন্ত, গাছপালা আছে। জানোয়ারের মধ্যে ভাল আছে মন্দ আছে। বাঘের মতো হিংস্র জন্তু আছে। গাছের মধ্যে অমৃত ন্যায় ফল হয় এমন আছে; আবার বিষফলও আছে। তেমনি মানুষের মধ্যে ভাল আছে, মন্দও আছে; অসাধুও আছে; সংসারী জীব আছে আবার ভক্ত আছে।

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    আরও পড়ুনঃ “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 9: “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 9: “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ভিন্ন প্রকৃতি–Are all men equal?)

    ঈশ্বরের সৃষ্টিতে নানারকম জীবজন্তু, গাছপালা আছে। জানোয়ারের মধ্যে ভাল আছে মন্দ আছে। বাঘের মতো হিংস্র জন্তু আছে। গাছের মধ্যে অমৃতের ন্যায় ফল হয়, এমন আছে; আবার বিষফলও আছে। তেমনি মানুষের মধ্যে ভাল আছে, মন্দও আছে, সাধু আছে, অসাধুও আছে, সংসারী জীব আছে আবার ভক্ত আছে।

    জীব চারপ্রকারঃ বদ্ধজীব, মুমুক্ষজীব, মুক্তজীব ও নিত্যজীব

    নিত্যজীবঃ যেমন নারদাদি। এরা সংসারে থাকে জীবের মঙ্গলের জন্য – জীবদিগকে শিক্ষা দিবার জন্য।

    বদ্ধজীবঃ বিষয়ে আসক্ত হয়ে থাকে, আর ভগবানকে ভুলে থাকে – ভুলেও ভগবানের চিন্তা করে না।

    মুমুক্ষজীবঃ যারা মুক্ত হবার ইচ্ছা করে। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ মুক্ত হতে পারে, কেউ বা পারে না।

    মুক্তজীবঃ যারা সংসার কামিনী-কাঞ্চন আবদ্ধ নয় – যেমন সাধু মহাত্মারা, যাদের মনে বিষয়বুদ্ধি নাই, আর যারা সর্বদা হরিপাদপদ্ম (Sri Ramakrishna Kathamrita) চিন্তা করে।

    “যেমন জাল ফেলা হয়েছে পুকুরে। দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না – এরা নিত্যজীবের উপমাস্থল। কিন্তু সব মাছই জালে পড়ে। এদের মধ্যে কতকগুলি পালাবার চেষ্টা করে। এরা মুমুক্ষজীবের উপমাস্থল। কিন্তু সব মাছ পালাতে পারে না। দু-চারটে ধপাঙ ধপাঙ করে জাল থেকে পালিয়ে যায়, তখন জেলে বলে, ওই একটা মস্ত মাছ পালিয়ে গেল! কিন্তু যারা জালে পড়েছে, অধিকাংশই পালাতে পারে না; আর পালাবার চেষ্টাও করে না। বরং জাল মুখে করে, পুকুরের পাঁকের ভিতরে গিয়ে চুপ করে মুখ গুঁজরে শুয়ে থাকে – মনে করে, আর কোন ভয় নাই, আমরা বেশ আছি। কিন্তু জানে না যে জেলে হড় হড় করে টেনে আড়ায় তুলবে। এরাই বদ্ধজীবের উপমাস্থল।”

    সংসারী লোক – বদ্ধজীব (Sri Ramakrishna Kathamrita)

    বদ্ধজীবেরা সংসারে কামিনী-কাঞ্চনে বদ্ধ হয়েছে, হাত-পা বাঁধা। আবার মনে করে যে, সংসারের ওই কামিনী ও কাঞ্চনেতেই সুখ হবে, আর নির্ভয়ে থাকবে। জানে না যে ওতেই মৃত্যু হবে। বদ্ধজীব যখন মরে, তার পরিবার বলে, তুমি তো চললে, আমার কি করে গেলে? আবার এমনি মায়া যে, প্রদীপটাতে বেশি সলতে জ্বললে বদ্ধজীব বলে, তেল পুড়ে যাবে সলতে কমিয়ে দাও। এদিকে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে রয়েছে!

    বদ্ধজীবেরা ঈশ্বরচিন্তা (Sri Ramakrishna Kathamrita) করে না। যদি অবসর হয় তাহলে হয় আবোল-তাবোল ফালতু গল্প করে, নয় মিছে কাজ করে। জিজ্ঞাসা করলে বলে, আমি চুপ করে থাকতে পারিনা, তাই বেড়া বাঁধছি। হয়তো সময় কাটে না দেশে, তাস খেলতে আরম্ভ করে।” (সকলে স্তব্ধ)

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Humayun kabir: এবার সরাসরি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি! শক্তিপুরে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    Humayun kabir: এবার সরাসরি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি! শক্তিপুরে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন ভোটের আবহ। আর এরই মধ্যে নির্বাচনী জনসভা থেকে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুরে নেমেই বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে কাছে ডেকে বহরমপুর লোকসভা নির্বাচনে ইউসুফ পাঠান যাতে জয়লাভ করে সে বিষয়ে হুমায়ুন কবিরকে (Humayun kabir) নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা মেনেই বুধবার জনসভা করছিলেন হুমায়ুন কবির। 

    হুমায়ুন কবিরের মন্তব্য (Humayun kabir)

    এদিন তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,”কাদের কে বলেছে? কোন ধর্মস্থান ভাঙার কথা? যারা একথা বলে সম্প্রীতি নষ্ট করছে তাদের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কেন কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না? ভোট আগামী ৭ তারিখ, তারপর সবাইকে এই শহরে থাকতে হবে। সেখানে কি করে রাজনীতির নেতৃত্বরা এরকম ভাবে হুমকি দেয়? তাদের ক্ষেত্রে কেন কোন পদক্ষেপ হবে না? কতদিন আর উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এই হুমকি শুনবে। ভোটের জন্য উস্কানি মূলক ভাষণ দেবেন নেতারা। আর তার ফল ভোগ করতে হবে সাধারণ মানুষকে। এ কতদিন ধরে চলবে? মানুষ কবে সজাগ হবে? প্রশ্ন উঠেছে আজ।” 
    একই সঙ্গে এদিন বিজেপি কে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,”কত ধানে কত চাল হয়, দুঘণ্টার মধ্যে তোমাদের কেটে যদি ভাগীরথীর গঙ্গায় না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। এখানে তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো ৩০% লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আর আমরা ৭০%। এখানে কামনগরে তোমরা বেঁচে আছ বলে কাজীপাড়ায় মসজিদ ভাঙবে আর বাকি এলাকার মুসলমান ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনদিন হবে না। বিজেপিকে আমি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলছি কোনও দিন হবে না।”   
    অর্থাৎ যেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার কথা মুখে বলছে সব দলই আর কাজে করছেন অন্য, সেরকমই একটি চিত্র এবার ধরা পরল হুমায়ুন কবিরের (Humayun kabir) সভায়। আর হুমায়ুন কবিরের মন্তব্যের জেরে ফের উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে শক্তিপুরে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিবিআই, কী বলল তদন্তকারী সংস্থা?  

    রামনবমীর দিনও উত্তেজনা 

    প্রসঙ্গত শক্তিপুরে এর আগে রামনবমীর দিনও মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এর জেরে একাধিক পুলিশকর্মী, দুই নাবালক সহ মোট ১৮ জন জখম হয়েছিলেন। শক্তিপুর হাই স্কুল মোড়ের কাছে রামনবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। রামনবমীর মিছিলটি যখন একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই নাকি হামলা চালানো হয়েছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান মুর্শিদাবাদের ডিআইজি সৈয়দ ওয়াকার রাজা। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয় শক্তিপুরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share