Tag: Bengali news

Bengali news

  • Bankura: নিবিড় অরণ্যের মাঝে মল্লরাজাদের গড়ের ভগ্নাবশেষ! ইতিহাসের জ্বলন্ত সাক্ষী জয়পুর ফরেস্ট

    Bankura: নিবিড় অরণ্যের মাঝে মল্লরাজাদের গড়ের ভগ্নাবশেষ! ইতিহাসের জ্বলন্ত সাক্ষী জয়পুর ফরেস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়া জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং অরণ্য ‘জয়পুর ফরেস্ট’। দুপাশে শাল, শিমূলের নিবিড় অরণ্যর বুক চিরে চলে গেছে রাজপথ। মাঝে মধ্যেই দেখা মেলে হাতিদের চলাচল করার জন্য “এলিফ্যান্ট করিডোর” (Bankura)। নিবিড় অরণ্যের মাঝে বাস করে হাতি সহ হরিণ, সজারু, ময়ূর আর নানান প্রজাতির পাখি। অরণ্যের শিহরণ, নিস্তব্ধতা প্রতিনিয়ত গ্রাস করে অরণ্যপ্রেমী পর্যটকের হৃদয়। এই অনাবিল আরণ্যক সৌন্দর্য তো মনপ্রাণ দিয়ে উপভোগ করবেনই। তার সঙ্গেই দেখে নিন ইতিহাসের এক অপূর্ব আর জ্বলন্ত সাক্ষী।

    মল্লরাজাদের গড়ের ভগ্নাবশেষ (Bankura)

    জয়পুর ফরেস্টের মধ্যেই রয়েছে মল্লরাজাদের গড়ের ভগ্নাবশেষ। এখানে এলে অবশ্যই দেখে নিন সুপ্রাচীন গোকুলচাঁদ মন্দিরটি। বাঁকুড়া জেলার বৃহত্তম এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল প্রথম রঘুনাথ সিংহের রাজত্বকালে, ১৬৪৩ সালে। আবার এও বলা হয়, মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয় বীর হাম্বীরের পূর্ববর্তী মল্লরাজা চন্দ্রমল্লের আমলে। ল্যাটেরাইট পাথরে নির্মিত মন্দিরটি দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ৪৫ ফুট এবং উচ্চতায়ও ৪৫ ফুট। এর চুড়াগুলি লক্ষণীয়। মন্দিরটি পূর্বমুখী, পঞ্চরত্ন (Bankura)। এই মন্দিরের প্রধান বিগ্রহ গোকুলচাঁদ। প্রায় পরিত্যক্ত এই মন্দিরটি আজও বাংলার প্রাচীন শিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এর কাছেই জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে এক বিশাল বাঁধ বা সরোবর, নাম  সমুদ্র বাঁধ। একই সঙ্গে অরণ্যর শিহরণ, ইতিহাসের আঘ্রাণ, আর অমলিন প্রকৃতিকে পেতে হলে জয়পুর ফরেস্ট হল অন্যতম সেরা ঠিকানা।

    কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ১২৭ কিমি (Bankura)

    যাতায়াত-কলকাতা থেকে বিষ্ণুপুর বা বাঁকুড়াগামী সব বাসই যাচ্ছে জয়পুরের ওপর দিয়ে। সড়কপথে কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ১২৭ কিমি। বিষ্ণুপুর প্রায় ১৪ কিমি। আর ট্রেনে গেলে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, আরণ্যক এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেনে গিয়ে বিষ্ণুপুর নেমে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে যেতে হবে জয়পুর (Bankura)।
    থাকা খাওয়া-এখানে রয়েছে জঙ্গলের অভ্যন্তরে আরণ্যক রিসর্ট ( ৮২৪০০৮৫২৪৩ ), বনলতা রিসর্ট ( ৯৭৩২১১১৭০৬ ) প্রভৃতি। দুটিতেই খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার ন‍্যাজাট থানার ভাঙ্গিপাড়ার ঘটনা। ২০১৯ সালের ৬ই জুন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিধানসভার ভাঙ্গিপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূলের (TMC) কর্মিসভা হয়। সেই সভার শেষে এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও দেবদাস মণ্ডলের ওপর হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের। সেই সঙ্গে নিখোঁজ হন দেবদাস মণ্ডল।

    পুলিশের তদন্ত কোন পথে (Sandeshkhali)?

    সেই সময় থেকে দেবদাস মণ্ডলের (Sandeshkhali) খোঁজ না পাওয়ায় তাঁর পরিবার ন‍্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগে নাম উঠে আসে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান সহ তাঁর সাগরেদদের। পরবর্তীকালে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ যায় এফআইআর থেকে। তারপর দেবদাসের পরিবার দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি পুনরায় এফআইআরের নির্দেশ দেন এবং শেখ শাহজাহান নাম বহাল রাখা হয়। তারপর কেটে গেল পাঁচটি বছর।

    নিঁখোজের স্ত্রী কী বলছেন?

    আদৌ কি ফিরবে দেবদাস মণ্ডল (Sandeshkhali)? নাকি সেই দিনই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারপর তাঁর দেহ লোপাট করা হয়েছে কোনও মাছের ভেড়িতে। আজও অজানা তাঁর মৃত্যুর রহস্য। এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল।

    বর্তমান অবস্থা

    আজও দেবদাসের খোঁজ পায়নি তাঁর পরিবার। স্ত্রীর দাবি, স্বামী মৃত অথবা জীবিত ফিরে আসুক ঘরে। বর্তমানে শেখ শাহজাহান রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন। পরিবারের (Sandeshkhali) পক্ষ থেকে আদালতের কাছে দাবি করা হয়েছে, দেবদাসের খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্ত করা হোক। তাহলে আসল রহস্য প্রকাশ্যে আসবে। নিহত প্রদীপ মণ্ডলের পরিবার সেই ঘটনার পর থেকে কোথায় আছে, তা এখনও অনেকের অজানা। নিহত সুকান্ত মণ্ডলের পরিবার বলতে একমাত্র তাঁর মা। তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে আর দেখার কেউ নেই। কষ্ট করে সুন্দর একটি পাকা দালান বাড়ি তৈরি করেছিলেন সুকান্ত। বর্তমানে তাঁর সুন্দর একটি বাড়ি থাকলেও সেই বাড়িতে বসবাস করার মতো আর কেউ নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন গ্রামের মানুষ।

    দেবদাস মণ্ডলের পরিবারে বয়স্ক বাবা-মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন দেবদাস। বর্তমান তাঁর সংসারের  খুবই করুণ দশা। তাঁর বর্তমানে একটি ছোট্ট মেয়ে ও একটি ছোট্ট ছেলে রয়েছে। তারা জানে না তাদের বাবা কবে বাড়ি ফিরে আসবে। তাদের মা পথ চেয়ে বসে আছে কবে তাঁর স্বামী ঘরে ফিরবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুরাহা হয়নি সুপ্রিম কোর্টেও, আপাতত লকআপেই কেজরি, ইডির রিপোর্ট তলব

    Supreme Court: সুরাহা হয়নি সুপ্রিম কোর্টেও, আপাতত লকআপেই কেজরি, ইডির রিপোর্ট তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) স্বস্তি পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। ইডির এই গ্রেফতারিকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে ইডির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ এপ্রিল। সেই দিনই রিপোর্ট জমা দিতে হবে ইডিকে।

    কী বললেন কেজরির আইনজীবী? (Supreme Court)

    এদিন কেজরির মামলাটির শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সওয়াল করতে গিয়ে কেজরিওয়ালের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির আর্জি জানাচ্ছি। ইডির গ্রেফতারি ছিল নির্বাচনী প্রচার থেকে কেজরিওয়ালকে দূরে রাখার জন্য।” এত তাড়াতাড়ি শুনানির তারিখ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। দিল্লিতে নির্বাচন হবে এক দফায়, ২৫ মে। শেষ দফার নির্বাচন হবে ১ জুন।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    কেজরিওয়ালই মূল চক্রী!

    আবগারি নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকেই মূল চক্রী হিসেবে দেখিয়েছে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। সেই কারণেই ইডির গ্রেফতারিকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে তিনি যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন, তা ধোপে টেকেনি বলে ধারণা আইনজ্ঞ মহলের। সুপ্রিম কোর্টের আগে কেজরিওয়াল গিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে। সেখানেও স্বস্তি না মেলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দ্বারস্থ হন শীর্ষ আদালতে। সেখানেও হল না সুরাহা। তাই আপাতত পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত লকআপেই থাকতে হচ্ছে আপ সুপ্রিমোকে।

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের আইনজীবীর দাবি ছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন লাগু হয়ে গিয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি। তাই তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তার পরেও (Supreme Court) অবশ্য মেলেনি জামিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Heatwave: গরমে বাড়ছে ক্লান্তি? অতিরিক্ত ঘামে শরীর দুর্বল? কীভাবে এনার্জি ফিরে‌ পাবেন? 

    Heatwave: গরমে বাড়ছে ক্লান্তি? অতিরিক্ত ঘামে শরীর দুর্বল? কীভাবে এনার্জি ফিরে‌ পাবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ প্রত্যেক দিন বাড়ছে। এই আবহাওয়ায় একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত ঘামের জেরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাড়ছে ক্লান্তি। আর তার জন্য কোনও কাজ ঠিকমতো করা হচ্ছে না। গরমের (Heatwave) জেরে নাজেহাল ছোট থেকে বড় সকলেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলেই এই ক্লান্তি দূর করা সম্ভব। প্রয়োজনীয় কাজও ঠিকমতো করা যাবে‌। অতিরিক্ত ঘামের ক্লান্তি কীভাবে কাটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমের ক্লান্তি বাড়ায় ঘাম। ঘাম হলেই শরীরের প্রয়োজনীয় জল বেরিয়ে যায়। আর এর জেরেই ক্লান্তি বাড়ে। তাই শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করতে পারলে এই ক্লান্তি সহজেই কাটানো সম্ভব। তাই এই গরমে পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। বাইরে গেলে অবশ্যই সঙ্গে জলের বোতল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পাশপাশি নুন আর চিনি মেশানো জলের সরবত নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সরবত শরীরের ক্লান্তি দূর করতে বিশেষ সাহায্য করে। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমবে। ফলে গরমের (Heatwave) অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও কমবে।

    রুটিন মাফিক ঘুম দরকার (Heatwave)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে যেন ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত ঘুম না হলেই শরীর ক্লান্ত হবে। আরও বেশি সমস্যা দেখা দেবে। কাজে মনোসংযোগ নষ্ট হবে। তাই রুটিন মাফিক ঘুমোনো দরকার। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস থাকলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। শরীর কম ক্লান্ত হবে।

    অতিরিক্ত মশলা‌ জাতীয় খাবার বাদ

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, এই গরমে (Heatwave)একেবারেই অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। কারণ, এই অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার সহজপাচ‌্য নয়। তাই এর জেরে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিপাক ক্রিয়া ঠিকমতো না হলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আরও বেশি অস্বস্তি বাড়ে। তাই ক্লান্তি দূর করতে হালকা খাবার খাওয়া জরুরি।

    মরশুমি ফল ও ডাব হোক নিত্যসঙ্গী

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গরমকে (Heatwave) কাবু করতে ডাবের জল এবং ফল হোক নিত্যসঙ্গী। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাবের জল শরীরে এনার্জি জোগায়। ডাবের জলে থাকে একাধিক খনিজ পদার্থ। ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। পাশপাশি ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। পাশপাশি লেবু, তরমুজ, মাস্কমেলনের মতো ফল নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন সি এবং শর্করার চাহিদা পূরণ হয়। যা ঘামের ক্লান্তি দূর করতে বিশেষ সাহায্য করে।

    নিয়মিত হালকা শারীরিক কসরত জরুরি

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খুব ভারী শারীরিক কসরত এই সময়ে এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ, গরমে ঘাম হচ্ছে। অনেকেই ক্লান্ত থাকছেন। তার উপরে অতিরিক্ত শারীরিক কসরত শরীরকে আরও ক্লান্ত করে দিতে পারে। তবে‌ একেবারেই শারীরিক কসরত ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। এতে শরীরের পাশপাশি মানসিক চাপও বাড়ে। মানসিক চাপ দূর করতে না পারলে ক্লান্তি ভাব বাড়বে। তাই হালকা শারীরিক কসরত নিয়মিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Heatwave)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: স্বাধীনতার পর প্রথম আসছেন কোনও প্রধানমন্ত্রী, জন-সুনামি হবে মোদির সভায়, দাবি বিজেপির

    Narendra Modi: স্বাধীনতার পর প্রথম আসছেন কোনও প্রধানমন্ত্রী, জন-সুনামি হবে মোদির সভায়, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী জনসভা করতে আসছেন রায়গঞ্জে। বিজেপি নেতা, কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি উন্মাদনা তুঙ্গে সাধারণ মানুষেরও। পাড়ায়-পাড়ায়, হাটে-বাজারে, প্রতিটি চায়ের দোকানের আড্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে চর্চা চলছে।

    মোদির সভার প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে (Narendra Modi)

    জানা গিয়েছে, ১৯৮৬ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় সস্ত্রীক এসেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সেই সময়ও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে দেখার ব্যাপক উৎসাহ দেখা গিয়েছিল। এমনকী ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ও দোকানের ছাদে উঠে সাধারণ মানুষ ভিড় করেছিলেন। একটি ছাদ ভেঙে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন একাধিক মানুষ। পথসভা করলেও কোনও প্রধানমন্ত্রী জনসভা করেননি রায়গঞ্জে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে আগামী ১৬ই এপ্রিল নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকায় সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সভার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এসপিজি কমান্ডোরা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং বিজেপি নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করে, সভাস্থল সহ আসা-যাওয়ার রাস্তা, হেলিপ্যাড এবং গোটা শহরের সার্বিক অবস্থা সমস্তটাই খতিয়ে দেখছেন।

    জন্মের পর প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পাব, বলল রায়গঞ্জবাসী

    ইতিমধ্যে বায়ুসেনার একাধিক MI17 হেলিকপ্টার এসে রায়গঞ্জ স্টেডিয়াম ও মিরুয়ালে অবস্থিত বিএসএফ ক্যাম্পের হেলিপ্যাডে এসে ট্রায়াল দিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সভা ঘিরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো। শুধু বিজেপি নেতা-কর্মী নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও চরম উদ্দীপনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে। গণেশ দাস নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা খুব উৎসাহী, প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখতে পাব। জন্মের পর থেকে এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রীকে রায়গঞ্জে দেখতে পাব।” বাপ্পা সাহা নামে রায়গঞ্জের অপর এক বাসিন্দা বলেন, “এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে সভা করবেন। অবশ্যই দেখতে যাব। আমরা সাধারণ মানুষ খুবই উৎসাহী।” রায়গঞ্জের অপর এক বাসিন্দা তথা ছাত্রী সুস্মিতা দাস বলেন, “প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে আসছেন, আমরা খুবই এক্সাইটেড। খুব ভালো লাগছে যে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে আসবেন। রায়গঞ্জের উন্নয়ন হোক এটাই চাই।” কৌশিক সরকার নামে এক কংগ্রেস কর্মী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তো কোনও দলের নয়, প্রধানমন্ত্রী সবার। এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে আসছেন, অবশ্যই ভালো। সাধুবাদ জানাই।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    জন সুনামি হবে 

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “আগামী কাল লক্ষাধিক মানুষের জন-সুনামি হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ,উদ্দীপনা, রোমাঞ্চ কাজ করছে, তা কল্পনাতীত। আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন বাজারে, দোকানে, প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সভাতে আসার নিমন্ত্রণ করতে গিয়ে তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহ লক্ষ্য করেছে। আমরা চিন্তায় রয়েছি যে এত লোককে কোথায় জায়গা দেব? তাই সাধারণ মানুষের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, এবং প্রধানমন্ত্রীর সভা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সমস্তটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের মুখে আরও এক ডিআইজি বদল, বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ!

    Murshidabad: ভোটের মুখে আরও এক ডিআইজি বদল, বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘তৃণমূলের হয়ে কাজ’ করছেন আইপিএস অফিসার (IPS Officer), সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছিলেন বহরমপুরের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan  Chowdhury)। আর কাকতালীয় ভাবে তার পরেই মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে (DIG) অপসারণ করল নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটের মুখে বাংলার আরও এক অফিসার ডিআইজি মুকেশ কুমারকে সরালো নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডিআইজি পদের জন্য তিন জনের নাম বাছাই করে কমিশনকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। তাঁদের মধ্যে থেকে এক জনকে নতুন ডিআইজি পদে নিয়োগ করবে কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ (Murshidabad)

    কমিশনের তরফে আইপিএস অফিসার মুকেশ কুমারকে ভোটের সঙ্গে যোগ নেই, পুলিশের এমন পদে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেই নির্দেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীরের অভিযোগ, “মুকেশ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এসপি থাকাকালীন থানায় যে কজন ওসি বা আইসি ছিলেন, ডিআইজি হওয়ার পর সেই অফিসারদেরই তিনি আবার থানায় নিয়ে এসেছেন। ওই সব পুলিশ আধিকারিকেরা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দিনের পর দিন কাজ করে গিয়েছেন। এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন এই আইপিএস মুকেশ কুমার।” এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (Election commission ) নজরে এনে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন অধীর। তাঁর মতে, হয়তো তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    আগে চার জেলার জেলাশাসককে সরানো হয়েছিল

    উল্লেখ্য ২০১৯ সালে মুকেশ কুমার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার এসপি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া রেঞ্জের ডিআইজি করা হয়। তবে ঠিক কী কারণে ভোটের মুখে আইপিএস মুকেশ কুমারকে নির্বাচন কমিশন সরাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও এমন ঘটনা প্রথম নয়, লোকসভা ভোটের মুখে (Lok Sabha Vote 2024) এর আগে রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসককেও সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। আর এবার সরানো হল মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০০ কোটি টাকা, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Elections 2024: ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০০ কোটি টাকা, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো টাকা উদ্ধারে জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Elections 2024)। তার ফলও মিলল হাতে হাতে। জানা গিয়েছে, মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি টাকা করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা করে বেআইনি নগদ বাজেয়াপ্ত করছেন কমিশনের আধিকারিকরা। কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এখনও পর্যন্ত ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ৪ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। জারি করা বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, দেশের ৭৫ বছরের লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম সর্বাধিক নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে কমিশন। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছিল বলেও খবর কমিশন সূত্রে।

    ফোর ‘এম’-এর বিরুদ্ধে লড়াই (Lok Sabha Elections 2024)

    ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। নির্বাচন হবে সাত দফায়। শেষ দফার নির্বাচন হবে ১ জুন। ফল ঘোষণা ৪ জুন। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার সময়ই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল, তাদের লড়াই ফোর ‘এম’-এর বিরুদ্ধে। এই ফোর ‘এম’ হল, ‘মানি পাওয়ার’, ‘মাসল পাওয়ার’, ‘মিসইনফর্মেশন’ এবং ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট’ লঙ্ঘন। কমিশন জানিয়েছিল, এই লড়াই তাদের কাছে চ্যালেঞ্জিং। নির্বাচনে মানি পাওয়ার ব্যবহার করে যাতে কোনওভাবেই ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা না হয়, সেজন্য একাধিক কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। তার জেরেই ফি দিন বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ১০০ কোটি করে টাকা।

    মাদক ও খয়রাতি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার মাদক ও খয়রাতি বেড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। কমিশন এ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করেছে ২,০৬৮.৮ কোটি টাকার মাদক। উদ্ধার হওয়া খয়রাতি দ্রব্যের মূল্য ১,১৪২.৪৯ কোটি টাকা। ৪৮৯.৩ কোটি টাকার মদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নন্দীগ্রামে (nandigram) বিভিন্ন প্রকল্পের (government project) লাভ পাওয়া মহিলারা কে কোথায় থাকেন খোঁজ নিতেই শুরু হল বিক্ষোভ। ১০০ দিনের জব কার্ডের (MGNREGA) টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ নিতেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা প্রকাশ মালের ঘোলপুকুর এলাকার বাড়ি ঘেরাও করা হয়। মহিলাদের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। মহিলাদের বিক্ষোভে নন্দীগ্রাম যেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি!

    নন্দীগ্রাম যেন সন্দেশখালি (Nandigram)

    মহিলাদের বিক্ষোভে এযেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি (sandeshkhali) তৈরি হচ্ছে নন্দীগ্রাম (Nandigram)। প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া বাড়ির মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হচ্ছে বলে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। এর পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন এলাকার মহিলারা। সঙ্গে অবশ্য পুরুষরাও ছিলেন। ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে নন্দীগ্রামবাসীর। ফলে ভোটের মুখে তৃণমূল আরও চাপে।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) এক ব্যক্তি বলেন, “আমফানের সময় পাঁচটি বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যদিও আমি বিজেপি করি, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে তৃণমূলের সভায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে বলা হয়েছিল তৃণমূলের মিটিং মিছিলে গেলে এক লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়া হবে। সেই কারণে গোপনে তৃণমূলের মিটিং মিছিলে যেতাম। তিনি কিন্তু বরজের ক্ষতির টাকা আজও তিনি পাননি।” স্থানীয় অপর আরেক এক মহিলা অভিযোগের সুরে বলেন, “আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরা কিছু পাইনি। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের জন্য দরখাস্ত জমা দিয়ে এসেছি। তারপর ফোন করে জিজ্ঞেস করছে কোন বাড়ির মহিলা। আমাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে কেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি নেতার রাজর্ষি লাহিড়ী অভিযোগে করে বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) ঘটনা সন্দেশখালীর প্রাথমিক পর্যায়। আগে কে কোন বাড়ির মহিলা তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর সুন্দরী দেখে তাঁদের প্রথমে দিনের বেলায় মিটিং মিছিল, তারপর রাতে পিঠে বানানোর জন্য ওরা ডাকবে বলে এইসব কাজ করছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে পাল্টা তমলুক তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার (Nandigram) সহ-সভাপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে এসব করা হচ্ছে। আবেদন করলে ভেরিফিকেশন করা আগেও হয়েছে। তবে ভেরিফিকেশন কেন প্রশাসনের বদলে রাজনৈতিক দলের তরফে হবে? মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।”

    পার্টি অফিসে তালা

    অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিবাদে ময়দানে নামে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। পয়লা বৈশাখের সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজেপির দাবি, মমতাকে ক্ষমা চাইতে হবে। পরে অবশ্য তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য নিঝাতে তালা ভেঙে দেন। এতদূর তো ঠিক ছিল বিজেপির পতাকা নিজে খুলে ফেলে দেন তিনি। পতাকা ফেলে দেওয়াকে মোটেই ভাল কাজ বলে আখ্যা দেয়নি রাজনৈতিক মহল। সামাজিক মাধ্যমেও পতাকা ফেলে দেওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছেন নেটিজনেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছে কমিশন, বোকা বানাচ্ছেন মমতা, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছে কমিশন, বোকা বানাচ্ছেন মমতা, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ হতে পারে তাই জলপাইগুড়িতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাচ্ছে না, এমন দাবি একাধিক সভায় করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার রীতি মতো তৃণমূলের এই দাবিকে মিথ্যা বলে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকার। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন,  ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছিল কমিশন তবে বোকা বানাচ্ছেন মমতা।

    ৯ এপ্রিল ২০২৪ এ ক্ষতিপূরম দিতে নির্দেশ দেয় কমিশন

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “জলপাইগুড়ি এবং ময়নাগুড়ির বিধ্বংসী ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা, যারা ঘর বাড়ি-সহ তাঁদের শেষ সহায় সম্বলটুকুও প্রকৃতির রোষে হারিয়েছেন তাঁরা যাতে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুদান পান, তার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন গত ৯ এপ্রিল ২০২৪ এ ক্ষতিপূরণ এবং বাড়ি তৈরির আর্থিক অনুদানের বিষয়টি আদর্শ আচরণ বিধির আওতার বাইরে রেখে অনুমোদন মঞ্জুর করেছেন। শুধু তাই নয় ওই দিনই অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ২০২৪ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়।”

    নিশানায় মমতা ও অভিষেক

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, “অনেক আগেই ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর বাড়ি নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান দিয়ে দেওয়াই যেত, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্র সরকারের নামে মিথ্যাচার করতেই ব্যস্ত। আসলে তাদের উদ্দেশ্য অন্য, তারা এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং চড়িয়ে ভোটের বাজারে নিজেদের লাভের অঙ্ক বাড়িয়ে নিতে চান। সহায় সম্বলহীন, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের এই দুর্দশা এবং কষ্টদায়ক পরিস্থিতির তাদের কাছে কোনও মূল্য নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Basirhat: “বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ দিয়ে মারুন”, প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার হুমকি ভাইরাল

    Basirhat: “বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ দিয়ে মারুন”, প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার হুমকি ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলা রেখা পাত্রকে প্রার্থী করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বুথে বুথে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের। আর শাহজাহানের কীর্তি এবং দুর্নীতি ইস্যুতে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল। তাই, এবার বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বসিরহাটের (Basirhat) এক তৃণমূল নেতা।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Basirhat)

    দলীয় প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলামের সমর্থনে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার বসিরহাট (Basirhat) উত্তর বিধানসভার বিবিপুর বেগমপুর তৃণমূলের পক্ষ থেকে পথসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে ওঠেন তৃণমূলের বিবিপুর বেগমপুরের অঞ্চল সভাপতি মিয়াজুল ইসলাম বাবুয়া। দলীয় সভা থেকে প্রকাশ্যে বলেন, বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ নিয়ে যুব সমাজ তৈরি থাকবেন। মা-বোনেরা ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন। ভোট চাইতে এলেই মা, বোনেরা ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করবেন। আর যুবকরা চেলা কাঠ দিয়ে পেটাবেন। এরপর তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেননি। মুখ্যমন্ত্রী ২ টাকা কিলো চাল সহ সব প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। তাই, বিজেপির কেউ ভোট চাইতে এলেই তাঁদের চেলা কাঠ দিয়ে মারবেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার সেই বক্তব্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সভার পরে, তাঁকে এই ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আরও বেশি বলা উচিত ছিল। যদিও তৃণমূল নেতার বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত দল হচ্ছে তৃণমূল। মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই, এখন এই ধরনের হুমকি দিয়ে আমাদের কর্মীদের আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। সামনে ভোটে ওদের উচিত শিক্ষা দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share