Tag: Bengali news

Bengali news

  • Love Jihad: ফের লাভ জিহাদের বলি যুবতী, পুনম খুনে কাঠগড়ায় নিজাম

    Love Jihad: ফের লাভ জিহাদের বলি যুবতী, পুনম খুনে কাঠগড়ায় নিজাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের লাভ জিহাদের (Love Jihad) বলি যুবতী। এবার ঘটনাস্থল টিনশেল টাউন মুম্বই। নভি মুম্বইয়ের উরান শহরের ঘটনা। কম্বলে মোড়া অবস্থায় উদ্ধার হয় বছর সাতাশের পুনম ক্ষীরসাগরের ক্ষতবিক্ষত দেহ। জানা গিয়েছে, নিজাম নামে পেশায় ট্যাক্সিচালক এক যুবকের সঙ্গে বছর চারেক ধরে সম্পর্ক ছিল পুনমের। ঘটনার জেরে মুম্বইবাসীর স্মৃতিতে ফের টাটকা হয়ে উঠল দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনের ঘটনা।

    পুনমকে নিয়ে যায় নিজাম (Love Jihad)

    জানা গিয়েছে, ১৮ এপ্রিল নিজাম মানখুর্দ এলাকা থেকে পুনমকে নিয়ে যায় ঠানে জেলার কল্যাণ এলাকায়। তার পরের দিনই উদ্ধার হয় পুনমের লাশ। উরান এলাকায় কম্বলে মোড়া অবস্থায় পড়েছিল তাঁর দেহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে  ২৫ এপ্রিল (Love Jihad) ওই যুবতীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ১৯ এপ্রিল পুনম নিখোঁজ হয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা নিজামের নাম। পেশা সূত্রে সে থাকে মুম্বইয়ে। নিজামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    নিজাম বিবাহিত, রয়েছে সন্তানও

    জানা গিয়েছে, নিজাম যে বিবাহিত, তা জানতেন না পুনম। নিজামের যে একটি সন্তান রয়েছে, তাও জানতেন না ওই যুবতী। নিজামের সঙ্গে পুনমের আলাপ ফোনে। পরে সম্পর্ক গাঢ় হয়। নিজের বিবাহিত জীবনের কথা চেপে যায় নিজাম। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার সদস্য তথা বিজেপি নেতা মঙ্গল প্রভাত লোধা দেখা করেন পুনমের পরিবারের সঙ্গে। আশ্বাস দেন পাশে থাকার। তিনিই জানান, নিজামই পুনমকে কল্যাণ এলাকায় নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই ঘটে খুনের ঘটনা। শহরে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশির ভিড় বাড়ায় যে এই ঘটনা ঘটছে, তাও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: আমেঠি, রায়বরেলিতে প্রার্থী হতে চাইছেন না রাহুল, প্রিয়ঙ্কা! কেন জানেন?

    ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর দিল্লির ছতরপুরের কাছের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছিল নিখোঁজ তরুণী শ্রদ্ধা ওয়ালকারের দেহ। শ্রদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁরই ছায়াসঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। পুলিশের চার্জশিটেও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ১৮ মে দিল্লির মেহেরৌলিতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করেন আফতাব। আমেরিকার এক ওয়েব সিরিজ থেকে প্রেরণা পেয়ে শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব (Love Jihad)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। মহিলাদের ভয় দেখাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা।” বুধবার নওদায় বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির মনোনীত প্রার্থী নির্মল কুমার সাহার সমর্থনে বিজয় সংকল্প সভায় যোগ দিয়ে একথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাজ্যে ৫০ লক্ষ চাষির অ্যাকাউন্টে কিষান সন্মান নিধির কিস্তির টাকা ঢুকেছে। রাজ্যের কোনও বিজেপি নেতা বলেছেন, ভোট না দিলে এই প্রকল্পের টাকা বন্ধ হয়ে যাবে। এটা তৃণমূলই বলতে পারে।

    তৃণমূল শাহজাহান তৈরি করে (Suvendu Adhikari)

    এদিন মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে আপনার মূল্যবান ভোটটি নষ্ট করা। তৃণমূল কংগ্রেসকে এখন লোকে চোর বলে, এই দলটি আপাদমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি বলেন, প্রচুর সংখ্যালঘু মানুষ এখানে আমার কথা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছেন। আপনারা মমতার কাছে হচ্ছেন, তেজপাতা যেটা তরকারিতে লাগে, কিন্তু খাওয়া যায় না। ভারতীয় জনতা পার্টি শুধু হিন্দুদের পার্টি নয়। ভারতীয় জনতা পার্টি ভারতীয়দের পার্টি। যারা বন্দে মাতরম বলেন, জাতীয় সংগীত গান, ২৬ শে জানুয়ারি ১৫ ই আগস্ট দেশের পতাকা তোলেন তাদের পার্টি। গরিবের মাথায় ছাদ, পেটে ভাত আর হাতে কাজ। এটাই হলো বিজেপির স্লোগান। নরেন্দ্র মোদির ১৭৫টি প্রকল্পের মধ্যে কোন স্কিমটা শুধুমাত্র কোনও ধর্ম সম্প্রদায়ের জন্য সেটা বলুন। আর তৃণমূলের লোকেরা বিভাজনের রাজনীতি করেন, আর শাহজাহান শেখদের মতো ডাকাত, ধর্ষণকারী তৈরি করেন। তিনি এই মঞ্চ থেকে বলেন, মুর্শিদাবাদের আনাচে-কানাচে এরকম শাহজাহান ছড়িয়ে আছে। এদের কাজ কেন্দ্র থেকে আপনাদের জন্য যে অর্থ পাঠানো হয় সেগুলো তছরুপ করা, নিজেদের বড়লোক বানানো।

    বহরমপুরে রোড শোয়ে জনজোয়ার

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,আজ কোথায় এক জায়গায় অধীর চৌধুরী বলেছেন, তৃণমূলের চেয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়া ভালো, একদম বিভ্রান্ত হবেন না। কেন বলছে জানেন, গতবারে অধীর চৌধুরীর নওদায়, বেলডাঙ্গায়, রেজিনগরে, ভরতপুরে হেরেছিল। লিড পেয়েছিল বহরমপুর আর কান্দিতে। এই অধীর চৌধুরী পাঁচ বছর পার্লামেন্টে যে ভাষায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নর্দমার সঙ্গে তুলনা করেছেন। এ বিষয়ে পার্লামেন্ট উত্তাল হয়েছিল, তাঁকে ক্ষমা চাওয়া করেছিল। এই অধীর চৌধুরী বুঝে নিয়েছে এবারে জেতা হচ্ছে না। আর একজন ইউসুফ পাঠান। মমতার মুখে বারবার শোনা যায়, মোদিজি বহিরাগত , অমিত শাহ বহিরাগত। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউসুফ পাঠানকে কোথা থেকে এনেছেন। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দোষ গুণ কিছু দেখতে পান না বলে আজকে তাঁর দলের মন্ত্রীরা জেলের ভিতর বসে আছেন। শুভেন্দু অধিকারী এদিন সন্ধ্যায় বহরমপুর শহরে রোড শো করেন। রোড শোয়ে উপচে ভিড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ফের বাংলা সফরে প্রধানমন্ত্রী, যান চলাচলে রাশ, জানুন কবে, কোথায়

    PM Modi: ফের বাংলা সফরে প্রধানমন্ত্রী, যান চলাচলে রাশ, জানুন কবে, কোথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বাংলা সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে শুক্রবার তেহট্টে সভা করবেন তিনি। কৃষ্ণনগর ছাড়াও বর্ধমান পূর্ব এবং বোলপুরেও জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফরকে ঘিরে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

    পুলিশের বিজ্ঞপ্তি (PM Modi)

    কলকাতা পুলিশ কমিশনারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতি ও শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কয়েকটি রাস্তা সাময়িক বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ১১টা ও শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে (PM Modi)। নির্ধারিত সময়ের বাইরে প্রয়োজনে আরও কিছুক্ষণ যান নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে বলে খবর কলকাতা পুলিশ সূত্রে। যান চলাচলের পাশাপাশি কয়েকটি রাস্তায় পার্কিং নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বন্ধ থাকবে ট্রাম চলাচল।

    কোন কোন রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ?

    পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (PM Modi) সন্ধে ৬টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উল্টোডাঙা উড়ালপুল, ইএম বাইপাস, মা উড়ালপুল, এজেসি বোস উড়ালপুল, হসপিটাল রোড, লাভার্স লেন, খিদিরপুর রোড, জেনসন অ্যান্ড নিকলসন আইল্যান্ড, রেড রোড, আরআর অ্যাভেনিউ এবং রাজভবন দক্ষিণ গেটে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে খিদিরপুর রোড, জেনসন অ্যান্ড নিকলসন আইল্যান্ড, রেড রোড, আরআর অ্যাভেনিউ এবং রাজভবন দক্ষিণ গেট এবং ১১ ফারলং গেটে।

    আরও পড়ুুন: আমেঠি, রায়বরেলিতে প্রার্থী হতে চাইছেন না রাহুল, প্রিয়ঙ্কা! কেন জানেন?

    বৃহস্পতি ও শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়ে ভারী পণ্যবাহী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত রাজভবনের আশপাশ এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রকে পাখির চোখ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির অমৃতা। অমৃতা কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সদস্য। বোলপুরও বিজেপির কাছে যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। কারণ এবার নির্বাচন হতে চলেছে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনেও সভা করবেন তিনি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Adhir Chowdhury: বিজেপিকে ভোট দিতে বললেন অধীর! ভিডিও নিয়ে তোলপাড়, তৃণমূলের কারসাজি বলছে কংগ্রেস

    Adhir Chowdhury: বিজেপিকে ভোট দিতে বললেন অধীর! ভিডিও নিয়ে তোলপাড়, তৃণমূলের কারসাজি বলছে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুর লোকসভার কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। এমনই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। আর বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন অধীর? (Adhir Chowdhury)

    মঙ্গলবার জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী মোর্তাজা হোসেনের সমর্থনে সভা করতে গিয়েছিলেন অধীর (Adhir Chowdhury)। সেই সভায় ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমও। একটি ভিডিও (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে অধীরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে, তার থেকে ভাল বিজেপিকে ভোট দিয়ে জেতানো।” কয়েক সেকেন্ডের সেই ভিডিও তৃণমূল নেতারা শেয়ার করেছেন। এই প্রসঙ্গে এক সিপিএম নেতার কথায়, “ওই কথার পরে অধীর বলেছেন, বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীকে জেতাতে হবে। কিন্তু, তৃণমূল একটি অংশই তুলে ধরে অপপ্রচার করছে। তবে, ভোটের মুখে অধীরের মুখে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের কাছে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তৃণমূলের কারসাজি

    এই বক্তব্য নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “যে ভিডিও সমাজ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তা তৃণমূল তৈরি করেছে। এরকম কথা অধীর চৌধুরী বলেননি। আসলে ওই ভিডিও কারসাজি করে তৃণমূল বাজারে ছেড়েছে। তৃণমূল মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনটি আসনেই হারবে বলে ভয় পেয়েছে। তাই এই সব করছে। সাধারণ মানুষ সব জানেন, অধীরের বিরুদ্ধে এই ধরনের অপপ্রচার সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না। তৃণমূল থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অধীরের জনপ্রিয়তার কাছে তৃণমূল ধারে কাছে যেতে পারছে না। তাই, এসব কুৎসা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 8: “সাধু, অসাধু, ভক্ত, অভক্ত-সকলেরই হৃদয়ে নারায়ণ আছেন, কিন্তু দুষ্টু লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে না”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 8: “সাধু, অসাধু, ভক্ত, অভক্ত-সকলেরই হৃদয়ে নারায়ণ আছেন, কিন্তু দুষ্টু লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে না”

     

    ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    একটা গল্প শোন্‌। কোন এক বনে একটি সাধু থাকেন। তাঁর অনেকগুলি শিষ্য। তিনি একদিন শিষ্যদের উপদেশ (Sri Ramakrishna Kathamrita) দিলেন যে, সর্বভূতে নারায়ণ আছেন, এইটি জেনে সকলকে নমস্কার করবে। একদিন একটি শিষ্য হোমের জন্য কাঠ আনতে বনে গিছল। এমন সময়ে একটা রব উঠল, ‘কে কোথায় আছ পালাও-একটা পাগলা হাতি যাচ্ছে।’ সবাই পালিয়ে গেল, কিন্তু শিষ্যটি পালাল না! সে জানে যে হাতিও যে নারায়ণ তবে কেন পালাবে? এই বলিয়া দাঁড়িয়ে রইল। নমস্কার করে স্তবস্তুতি করতে লাগল। এদিকে মাহুত চেঁচিয়ে বলছে, ‘পালাও পালাও’; শিষ্যটি তবুও নড়ল না। শেষে হাতিটা শুঁড়ে করে তুলে নিয়ে তাকে একাধারে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেল। শিষ্য ক্ষতবিক্ষত হয়ে ও অচৈতন্য হয়ে পড়ে রইল।

    “এই সংবাদ পেয়ে গুরু ও অন্যান্য শিষ্যেরা তাকে আশ্রমে ধরাধরি করে নিয়ে গেল। আর ঔষধ দিতে লাগল। খনিকক্ষণ পরে চেতনা হলে ওকে কেঊ জিজ্ঞাসা করলে, ‘তুমি হাতি আসছে শুনেও কেন চলে গেলে না?’ সে বললে, গুরুদেব (Sri Ramakrishna Kathamrita)  আমায় বলে দিয়েছিলেন যে, নারায়ণই মানুষ, জীবজন্তু সব হয়েছেন। তাই আমি হাতি নারায়ণ আসছে দেখে সেখান থেকে সরে যাই নাই।’ গুরু তখন বললেন, ‘বাবা, হাতি নারায়ণ আসছিলেন বটে, তা সত্য; কিন্তু বাবা, মাহুত নারায়ণ তো তোমায় বারণ করেছিলেন। যদি সবই নারায়ণ তবে তার কথা বিশ্বাস করলে না কেন? মাহুত নারায়ণের কথাও শুনতে হয়।’ (সকলের হাস্য)           

    শাস্ত্রে আছে অপো নারায়ণঃ জল নারায়ণ। কিন্তু কোন জল ঠাকুর সেবায় চলে; আবার কোন জলে আঁচানো, বাসনমাজা, কাপড়কাচা কেবল চলে; কিন্তু খাওয়া বা ঠাকুরসেবা (Sri Ramakrishna Kathamrita) চলে না। তেমনি সাধু, অসাধু, ভক্ত, অভক্ত-সকলেরই হৃদয়ে নারায়ণ আছেন। কিন্তু অসাধু, অভক্ত, দুষ্টু লোকের সঙ্গে ব্যবহার চলে না। মাখামাখি চলে না। কারও সঙ্গে কেবল মুখের আলাপ পর্যন্ত চলে, আবার কারও সঙ্গে তাও চলে না। ওইরূপ লোকের কাছ থেকে তফাতে থাকতে হয়।”

    একজন ভক্ত—মহাশয়, যদি দুষ্টু লোকে অনিষ্ট করতে আসে বা অনিষ্ট করে, তাহলে কি চুপ করে থাকা উচিত?

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: খড়গ্রামে গুলি, নবগ্রামে বোমা! মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ

    Murshidabad: খড়গ্রামে গুলি, নবগ্রামে বোমা! মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সভার দিনেই মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) চলল গুলি। এদিন জেলায় সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সভা শুরু আগে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে বচসা। হাতাহাতির মাঝেই গুলি চালানোর অভিযোগ। বুধবার দুপুরে দিয়ারা মল্লিকপুর গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ও ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা জিতা খাতুন ও তার অনুগামীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। হাতাহাতিতে চলাকালীন এক যুবক পিস্তল বের করে পর পর দুই রাউণ্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। 

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনায় কংগ্রেসের (INC) ব্লক সভাপতি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)  অঞ্চল সভাপতি আলতামাস কবীরের বিরুদ্ধে। যদিও গুলি চলার ঘটনা অস্বীকার করে, ঘটনাকে পারিবারিক অশান্তি বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়গ্রাম থানার পুলিশ। লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) সভার দিন দিবালোকে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রশাসনের সতর্কতা প্রশ্নের মুখে। গুলি চলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। 

     নবগ্রামে বোমা উদ্ধার 

    অন্যদিকে এদিন বোমা উদ্ধার হল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)  নবগ্রামে। বুধবার সকালে রাস্তার পাশের একটি ঝোপে ব্যাগভর্তি তাজা বোমা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই এলাকা ঘিরে রাখে। বোমা উদ্ধারের জন্য খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে (Bomb Squad) । জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রাম থানা এলাকার মুহুরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গ্রামদিঘি এলাকার রাজ্য সড়কের পাশের ঝোপে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। ব্যাগটিতে প্রচুর তাজা বোমা রাখা ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা ভেবে এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে (Bomb Squad)। মনে করা হচ্ছে ভোটে ব্যবহারের জন্য বোমা নিইয়ে আশা হয়েছিল। কিন্তু শেষ প্রাপকের কাছে পৌঁছনর আগেই তা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত রাজ্য জুড়ে যে পরিমাণ বোমা উদ্ধার হচ্ছে তাতে ভোটর আবহ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) পৌঁছলে অশান্তি বাড়ার ইঙ্গিত মিলেছে।

    আরও পড়ুন: রাতভর বিদ্যুৎহীন এলাকা! রাস্তাতেই রাত কাটালেন দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দারা

    তৃণমূলকে আক্রমণ সুকান্তর

    বারবার বোমা উদ্ধারে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন,”তৃণমূলের বোমা তৈরি কুটির শিল্পে পরিণত হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: আমেঠি, রায়বরেলিতে প্রার্থী হতে চাইছেন না রাহুল, প্রিয়ঙ্কা! কেন জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: আমেঠি, রায়বরেলিতে প্রার্থী হতে চাইছেন না রাহুল, প্রিয়ঙ্কা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নপত্র পেশের জন্য হাতে সময় মাত্র দু’দিন। অথচ একদা গান্ধী পরিবারের খাসতালুক আমেঠি ও রায়বরেলিতে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি কংগ্রেস (Lok Sabha Elections 2024)। এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে দলের নিচুতলার কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, “চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই এই দুই কেন্দ্র নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।” কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই দুই কেন্দ্রে লড়তে রাজি নন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। দলের সভাপতিকে সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন তাঁরা।

    স্মৃতির কাছে হার (Lok Sabha Elections 2024)

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে হেরে গিয়েছিলেন রাহুল। সেবারও আমেঠির পাশাপাশি রাহুল প্রার্থী হয়েছিলেন ওয়েনাড়েতেও। ওয়েনাড়ে জেতায় মুখ রক্ষা হয়েছিল রাহুলের। সূত্রের খবর, আমেঠিতে ফের হেরে আর মুখ পোড়াতে রাজি হননি রাহুল। সেই কারণেই দলীয় সভাপতিকে জানিয়ে দিয়েছেন আমেঠিতে প্রার্থী হতে চান না তিনি। আমেঠি গান্ধী পরিবারকে শূন্য হাতে ফেরালেও, রায়বরেলিতে জিতেছিল কংগ্রেস (Lok Sabha Elections 2024)।

    রায়বরেলিতেও প্রার্থী হতে চাইছে না গান্ধী পরিবার

    জয়ী হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তবে বয়সের কারণে এবার আর প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি। তাই খোঁজা হচ্ছিল নতুন মুখ। জল্পনা ছড়িয়েছিল, মায়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী হবেন মেয়ে প্রিয়ঙ্কা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চাননি প্রিয়ঙ্কাও। তাঁর যুক্তি, সোনিয়া রাজ্যসভার সাংসদ, ওয়েনাড়ে জিতবেন রাহুল। তাই রায়বরেলিতে তিনিও প্রার্থী হলে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলবে বিজেপি। হাত শিবির সূত্রে খবর, প্রিয়ঙ্কাকে আমেঠিতে লড়তে বলা হয়েছিল। এই কেন্দ্রেও দাঁড়াতে চাননি তিনি। হেরো সিটে দাঁড়িয়ে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হয়ে (যার সম্ভাবনাই বেশি) সংসদীয় রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করতে নিমরাজি প্রিয়ঙ্কা। সেই কারণেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের হাতে আর আটচল্লিশ ঘণ্টা সময় থাকলেও, আমেঠি এবং রায়বরেলি কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে দোটানায় কংগ্রেস।

    আরও পড়ুুন: বাঙালি সাজে পদ্ম পার্টিতে যোগ ‘অনুপমা’র, কী বললেন রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়?

    এদিকে, মঙ্গলবারও আমেঠির একটি পার্টি অফিসের বাইরে কংগ্রেস কর্মীরা আওয়াজ তোলেন, “অমেঠি মাঙ্গে গান্ধী পরিবার।” আমেঠি ও রায়বরেলি এই দুই কেন্দ্রেই নির্বাচন ২০ মে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ মে। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্মৃতি। আর প্রার্থীর নামই ঘোষণা করতে পারেনি কংগ্রেস (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Birbhum: যোগীর সভায় যাওয়ার কারণে বিজেপি কর্মীকে বেধড়়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Birbhum: যোগীর সভায় যাওয়ার কারণে বিজেপি কর্মীকে বেধড়়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিত্যনাথ যোগীর জনসভায় গিয়েছিলেন। এটাই বিজেপি কর্মীর অপরাধ। আর তার জেরেই প্রকাশ্যেই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি থানার গাংটে গ্রামে। আহত বিজেপি কর্মীর নাম মিলন বেদে। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত। ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও  দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী মিলনবাবুর বাড়ি বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি থানার গাংটে গ্রামে। মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়িতে যোগী সভা করতে আসেন। সেই সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন মিলনবাবু। সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এমনকী ছেলেকে মারতে দেখে তাঁর মা বাঁচাতে যান। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁর মাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানার পরই গ্রামে যায় পুলিশ। জখম বিজেপি কর্মী ও তাঁর মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জখম বিজেপি কর্মী মিলন বেদে বলেন, যোগীর সভা থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় তৃণমূল দুষ্কৃতী গ্রামের মধ্যে আমার ওপর হামলা করে। মদ খেয়ে ছিল সকলে। আমার মাকেও মেরেছে তৃণমূলের বুথ সভাপতি। আবার বিজেপির মিটিংয়ে গেলে আরও খারাপ অবস্থা করব বলে হুমকি দিয়ে যায়। চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, আসলে যোগীর জনসভায় জমায়েত দেখে তৃণমূলের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এখন এভাবে কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস করে মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এটা ওদের পারিবারিক ঘটনা। নিজেদের মধ্যে বিবাদ হচ্ছিল। সেই কারণেই হয়েছে। রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 7: “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 7: “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

    সর্বভূতস্থমাত্মানং সর্বভূতানি চাত্মনি।

    ঈক্ষতে যোগযুক্তাত্মা সর্বত্র সমদর্শনঃ।।

    নরেন্দ্র, ভবানাথ, মাস্টার

    মাস্টার তখন বরাহনগরে ভগিনীর বাড়িতে ছিলেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Sri Ramakrishna Kathamrita) দর্শন করা অবধি সর্বক্ষণ তাহারই চিন্তা। সর্বদাই যেন সেই আনন্দময় মূর্তি দেখিতেছেন ও তাঁহার সেই অমৃতময়ী কথা শুনিতেছেন। ভাবিতে লাগিলেন, এই দরিদ্র ব্রাহ্মণ কিরূপে এই সব গভীর তত্ত্ব অনুসন্ধান করিলেন ও জানিলেন? আর এত সহজে এই সকল কথা বুঝাইতে তিনি এ–পর্যন্ত কাহাকেও কখনও দেখেন নাই। কখন তাঁহার কাছে যাইবেন ও আবার তাঁহাকে দর্শন করিবেন এই কথা রাত্রিদিন ভাবিতেছেন।

    দেখিতে দেখিতে রবিবার আসিয়া পড়িল। বরাহনগরের নেপালবাবুর সঙ্গে বেলা ৩টা-৪টার সময় তিনি দক্ষিণেশ্বরের বাগানে আসিয়া পৌঁছিলেন। দেখিলেন, সেই পূর্বপরিচিত ঘরের মধ্যে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ছোট তক্তপোশের উপর বসিয়া আছেন। ঘরে একঘর লোক। রবিবারে অবসর হইয়াছে, তাই ভক্তেরা দর্শন করিতে আসিয়াছেন। এখনও মাস্টারের সঙ্গে কাহার আলাপ হয় নাই। তিনি সভামধ্যে একপার্শ্বে আসন গ্রহণ করিলেন। দেখিলেন, ভক্তসঙ্গে সহাস্যবদনে ঠাকুর কথা কহিতেছেন।

    একটি ঊনবিংশতিবর্ষ বয়স্ক ছোকরাকে উদ্দেশ করিয়া ও তাঁহার দিকে তাকাইয়া ঠাকুর যেন কত আনন্দিত হইয়া অনেক কথা বলিতেছেন। ছেলেটির নাম নরেন্দ্র (Sri Ramakrishna Kathamrita)। কলেজে পড়েন ও সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে যাতায়াত করেন। কথাগুলি তেজঃপরিপূর্ণ। চক্ষু দুটি উজ্জ্বল, ভক্তের চেহারা।

    মাস্টার অনুমানে বুঝিলেন যে, কথাটি বিষয়াসক্ত সংসারী ব্যক্তির সমন্ধে হইতেছিল। যারা কেবল ঈশ্বর ঈশ্বর করে, ধর্ম ধর্ম করে তাদের ওই সকল ব্যক্তিরা নিন্দা করে। আর সংসারে কত দুষ্টু লোক আছে, তাদের সঙ্গে কিরূপ ব্যবহার করা উচিত–এ সব কথা হইতেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রের প্রতি) – নরেন্দ্র তুই কি বলিস? সংসারী লোকেরা কত কি বলে! কিন্তু দেখ, হাতি যখন চলে যায়, পেছনে কত জানোয়ার কত রকম চিৎকার করে। কিন্তু হাতি ফিরেও চায় না। তোকে যদি কেউ নিন্দা করে, তুই কি মনে করবি?

    নরেন্দ্র – আমি মনে করব কুকুর ঘেউ ঘেউ করছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে) – না রে, অতদূর নয়। (সকলের হাস্য) ঈশ্বর সর্বভূতে (Sri Ramakrishna Kathamrita) আছেন। তবে ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়। বাঘের ভিতরেও নারায়ণ আছেন; তা বলে বাঘকে আলিঙ্গন করা চলে না। (সকলের হাস্য) যদি বল বাঘ তো নারায়ণ, তবে কেন পালাব। তার উত্তর – যারা বলেছে “পালিয়ে এস” তারাও নারায়ণ, তাদের কথা কেন না শুনি?

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে”

    আরও পড়ুনঃ “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

    আরও পড়ুনঃ “টাকায় কি হয়? ভাত হয়, ডাল হয়, থাকবার জায়গা হয়–এই পর্যন্ত, ভগবানলাভ হয় না”

        

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Load Shedding: রাতভর বিদ্যুৎহীন এলাকা! রাস্তাতেই রাত কাটালেন দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দারা

    Kolkata Load Shedding: রাতভর বিদ্যুৎহীন এলাকা! রাস্তাতেই রাত কাটালেন দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই গরমের জ্বালায় নাজেহাল জীবন। ফ্যানের তলা থেকে ১ সেকেন্ডের জন্যেও সরা দায়। আর এই গরম পড়তেই লোডশেডিং (Load Shedding) জ্বালায় কার্যত বেহাল অবস্থা শহরবাসীর। তবে শুধু গ্রাম বা জেলা নয়, জেলার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শহরেও লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণাও। এমনই পরিস্থিতির সাক্ষী থাকল  দক্ষিণ দমদম (South dumdum) পৌরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ দাড়ির নেহেরু কলোনি। 

    রাতভোর বিদ্যুৎহীন এলাকা (Load Shedding) 

    সোমবার রাতভোর বিদ্যুৎহীন (Load Shedding) ছিল দক্ষিণ দমদম পৌরসভা এলাকার একাংশ। ফলে এই গরমে ঘরে থাকতে না পেরে সারারাত জেগে হাত পাখা নিয়ে রাস্তাতেই বসে ছিলেন মহিলারা। ফলে নিদ্রাহীন রাত কাটিয়ে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ

    একাধিকবার সিইএসসির কাস্টমার কেয়ারে (CESC customer care) ফোন করেও মেলেনি সাড়া। এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর। ফলত, গরমের মধ্যে চরম বিপাকে স্থানীয় মানুষজন। এ প্রসঙ্গে শঙ্করী বসু নামের এক বৃদ্ধা বলেন, “কালকে কারেন্ট গিয়েছে। সারা রাত জেগে বসে আছি। এখনও লোডশেডিং (Load Shedding)। সারা রাত ঘুম হচ্ছে না। ছেলেরা কাজে যেতে পারছে না। দু’দিন ছাড়া ছাড়া কারেন্ট যাচ্ছে। সিইএসসি কোনও উত্তরই দিচ্ছে না।” 

    আরও পড়ুন: মহার্ঘ ভাতায় ঘাম ছুটছে রাজ্যের! কেন্দ্র অষ্টম পে কমিশনের পথে

    সিইএসসির দাবি

    তবে অত্যাধিক পরিমাণে অনুমোদনহীন এসি ব্যবহার এই সমস্যার মূল কারণ বলেই জানিয়েছে সিইএসসি। সিইএসসি-র সূত্রে খবর, এসি-র জন্য যা আবেদন জমা পড়ে বাজারে বিক্রি হয় তার থেকে বেশি। অধিকাংশেরই অনুমোদন নেই। ফলে অনুমোদনহীন এসি গুলির বাড়তি লোডই বহু জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন (Load Shedding) হওয়ার অন্যতম কারণ।

    তবে এটাই প্রথমবার নয়। গরম পড়লে প্রতিবছরই এই সমস্যার সম্মুখীন হয় শহরবাসী। আসলে নিজেদের ভালো থাকার জন্য অনুমতি ছাড়া এসি লাগাচ্ছে সবাই। আসলে এসি লাগাতে গেলে তার আগে অনুমতি নিতে হয় কিন্তু সে তো অনেক হ্যাপা তাই অনুমতি ছাড়াই এসি লাগাচ্ছে অনেকে। আর তার জেরেই প্রত্যেক রাত বিদ্যুৎহীন (Load Shedding)ভাবে কাটাচ্ছে শহরবাসীর। শুধুমাত্র বিদ্যুৎহীন থাকাই নয় কখনো কখনো দীর্ঘ সময়ের জন্য লো ভল্টেজের সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছে শহরবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share