Tag: Bengali news

Bengali news

  • Rupali Ganguly: বাঙালি সাজে পদ্ম পার্টিতে যোগ ‘অনুপমা’র, কী বললেন রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়?

    Rupali Ganguly: বাঙালি সাজে পদ্ম পার্টিতে যোগ ‘অনুপমা’র, কী বললেন রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন চলছে। সবে মাত্র শেষ হয়েছে দু’টি দফার নির্বাচন। এখনও বাকি পাঁচটি দফা। তৃতীয় দফার নির্বাচন হবে ৭ মে। এমতাবস্থায় বুধবার বিজেপিতে যোগ দিলেন হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাঙালি শিল্পী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায় (Rupali Ganguly)। মুম্বই থেকে দিল্লি উড়ে গিয়ে তিনি হাতে তুলে নেন গেরুয়া ঝান্ডা। উত্তরীয় পরিয়ে, হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে পদ্ম শিবিরে তাঁকে স্বাগত জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রূপালির সঙ্গে এদিন বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিষ অমেয় জোশীও।

    কী বললেন রূপালি? (Rupali Ganguly)

    গৈরিক শিবিরে যোগদান পর্ব সেরে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন রূপালি (Rupali Ganguly)। বলেন, “উন্নয়নের মহাযজ্ঞ দেখে আমারও রাজনীতিতে যোগ দিতে মন চাইছিল। নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলেরই এতে শামিল হওয়া উচিত। ঈশ্বরের আশীর্বাদে কিছু মানুষের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়। সেখান থেকেই আমার এই সিদ্ধান্ত।”

    রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়

    জন্মসূত্রেই চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রূপালি। মুম্বইয়ের প্রবাসী বাঙালি পরিবারে জন্ম, ১৯৭৫ সালের ৫ এপ্রিল। বাবা অনিল গঙ্গোপাধ্যায় চিত্র পরিচালক তথা চিত্রনাট্যকার। ভাই বিজয় কোরিওগ্রাফার। এক সময় থিয়েটারেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। বাবার পরিচালনায় সাত বছর বয়সে অভিনয় সাহেব ছবিতে। টেলিভিশনে বিপুল জনপ্রিয়তা পান রূপালি। ‘সঞ্জীবনী’, ‘অনুপমা’র মতো সিলিয়াল তাঁকে জনপ্রিয়তা এনে দেয় সর্বভারতীয় স্তরে।

    পদ্ম আঁকা গেরুয়া শাড়ি, হাতে শাঁখা-পলা-নোয়া – একেবারে বাঙালি সাজে সজ্জিত হয়ে গেরুয়া খাতায় নাম লেখান রূপালি। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখানো পথে চলতে চাই। দেশের সেবায় নিযুক্ত হতে চাই। অমিত শাহের নেতৃত্বে এগোতে চাই। এমন কিছু করতে চাই, যাতে আজ যাঁরা আমায় দলে নিলেন, একদিন তাঁরা আমায় নিয়ে গর্ব বোধ করেন।”

    আরও পড়ুুন: ফের সন্দেশখালিতে হানা, শাহজাহানের ভাই সিরাজের বাড়িতে তলবের নোটিস দিল সিবিআই

    মার্চ মাসে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন রূপালি। পরে ইনস্টাগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের মুহূর্তকে জীবনের সব থেকে সেরা ও স্মরণীয় দিন বলে উল্লেখ করেছিলেন এই বঙ্গকন্যা। লিখেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ আমার কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো (Rupali Ganguly)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Vidyasagar University: তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পরীক্ষা স্থগিত

    Vidyasagar University: তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পরীক্ষা স্থগিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক দশকের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে মঙ্গলবার মেদিনীপুর সহ সমগ্র জঙ্গলমহলের উষ্ণতম দিন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। শুধু মঙ্গলবার বলে নয় গত কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তীব্র দাবদাহ চলছে। পূর্বাভাস মতোই, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া সহ সমগ্র জঙ্গলমহল জুড়ে সকাল ৯টা থেকেই বইতে শুরু করে লু বা গরম বাতাস। গনগনে আগুনের তাপে সকাল থেকেই পুড়ছেন মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলবাসী। এই অবস্থায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় (Vidyasagar University) সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার একটি নোটিস দিয়ে এই ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিসে কী রয়েছে? (Vidyasagar University)

    নোটিসে জানানো হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য ২ এবং ৪ মে যে পরীক্ষাগুলি হওয়ার কথা ছিল, তা মুলতুবির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) অধীনে থাকা সমস্ত কলেজে ওই দু’টি তারিখে যাবতীয় পরীক্ষা আপাতত বাতিল করা হল। বিএড, বিপিএড, বিএফএসসি, বিএসসি (অনার্স) কৃষিবিদ্যা, বিএড স্পেশাল, ডিওসিএ এবং তৃতীয় বর্ষের যে সব পরীক্ষা ছিল, তা মুলতুবি করা হচ্ছে। ওই দু’টি তারিখে যে পরীক্ষাগুলি ছিল, তা পরে কবে নেওয়া হবে তা পরবর্তী তা পরবর্তী নোটিসে জানানো হবে। তবে ৬ মে যে পরীক্ষাগুলি রয়েছে, সেগুলি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণের ৮ জেলায়, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ফুটিফাটা জমি

    মেদিনীপুর ও সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা কত ছিল?

    আবহাওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ জেলা শহর মেদিনীপুর ও সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা ছিল ৪৬.৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস! যা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল চলতি মরশুমের যথাক্রমে ২০ ও ২৭ এপ্রিলের ‘সর্বোচ্চ তাপমাত্রা’র রেকর্ড! ওই দু’দিন জেল শহর তথা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪৫.৯৯ এবং ৪৫.৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মে মাসের প্রথম সপ্তাহেও তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার মিলবে না। আগামী ৫ মে পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলতে পারে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। রবিবার থেকে রাজ্যের কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bomb Threat: ১০০টি স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! দিল্লি, নয়ডায় বোমাতঙ্ক, কী মিলল?

    Bomb Threat: ১০০টি স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! দিল্লি, নয়ডায় বোমাতঙ্ক, কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহেই দিল্লির (Delhi) প্রায় শতাধিক স্কুলে বোমাতঙ্ক (Bomb threat)। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই স্কুলগুলি খালি করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বম্ব স্কোয়াড এবং দিল্লি দমকল বাহিনী। তবে এখনও পর্যন্ত স্কুলে কোনও বোমা উদ্ধার হয়নি ।

    ঠিক কী ঘটেছিল (Bomb threat)? 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে দিল্লির প্রায় ১০০ টি স্কুল বোমাতঙ্কের (Bomb threat) হুমকি ই-মেল পেয়েছে। জানা গিয়েছে, চাণক্যপুরীর সংস্কৃত স্কুল, ময়ূর বিহারের মাদার মেরি স্কুল, দ্বারকার দিল্লি পাবলিক স্কুল রয়েছে এই তালিকায়। ই-মেল পেয়েই তড়িঘড়ি খালি করে দেওয়া হয়েছে স্কুল চত্বর। স্কুল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পড়ুয়াদের। 

    ঘটনার তদন্তে দিল্লি পুলিশ

    পুরো ঘটনায় তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মঙ্গলবার একই প্যাটার্নে মেলগুলি পাঠানো হয়েছে৷ তারিখের কোনও উল্লেখ নেই৷ তবে বিসিসি-র উল্লেখ রয়েছে, যার অর্থ একটি মেল একাধিক জায়গায় পাঠানো হয়েছে৷ সেই বিষয়েই তদন্ত চলছে৷ সন্দেহ করা হচ্ছে, এর পিছনে একজন ব্যক্তিই রয়েছেন ৷ আইপি অ্যাড্রেস ও প্রযুক্তির সাহায্যে কে এই মেল পাঠিয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে৷ দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল-সহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ই-মেলের উৎস খুঁজছে ৷ এ প্রসঙ্গে পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন,ভোর ৪টে নাগাদ এই স্কুলগুলির (Delhi School) অফিসিয়াল ইমেল আইডিতে ইমেল করে বোমা হামলার হুমকি (Bomb threat) দেওয়া হয়। 

    দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা এ ঘটনায় একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, “আমি আজকের এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং দিল্লির স্কুলে বোমা হামলার (Bomb threat) বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছি। দিল্লি পুলিশকে স্কুল চত্বরে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালাতে বলা হয়েছে৷ অপরাধীদের শনাক্ত করার পাশাপাশি আমি অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানাচ্ছি”।

    আরও পড়ুন: ফের সন্দেশখালিতে হানা, শাহজাহানের ভাই সিরাজের বাড়িতে তলবের নোটিস দিল সিবিআই

    উল্লেখ্য, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে আরকে পুরমের দিল্লি পুলিশ স্কুলেও একই ধরনের হুমকি (Bomb threat) মেল পাঠানো হয়েছিল। যদিও এবারের ঘটনাটিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ‘ভুয়ো’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিভাবকদের খবর দিয়ে পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরত পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে। পড়ুয়াদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে স্কুলগুলির বাইরে ভিড় জমিয়েছেন আতঙ্কিত অভিভাবকেরা। ফলে স্কুলগুলির বাইরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 5: “টাকায় কি হয়? ভাত হয়, ডাল হয়, থাকবার জায়গা হয়–এই পর্যন্ত, ভগবানলাভ হয় না”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 5: “টাকায় কি হয়? ভাত হয়, ডাল হয়, থাকবার জায়গা হয়–এই পর্যন্ত, ভগবানলাভ হয় না”

     

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    সংসার জল, আর মনটি যেন দুধ। যদি জলে ফেলে রাখ, তাহলে দুধে-জল মিশে এক হয়ে যায়, খাঁটি দুধ খুঁজে পাওয়া যায় না। দুধকে দই পেতে মাখন তুলে যদি জলে রাখা যায় তাহলে ভাসে। তাই নির্জন সাধনা দ্বারা আগে জ্ঞানভক্তিরূপ মাখন লাভ করবে। সেই মাখন সংসার-জলে ফেলে রাখলেও মিশবে না, ভেসে থাকবে।

    সঙ্গে সঙ্গে বিচার করা খুব দরকার। কামিনী-কাঞ্চন অনিত্য। ঈশ্বরই (Sri Ramakrishna Kathamrita) একমাত্র বস্তু। টাকায় কি হয়? ভাত হয়, ডাল হয়, থাকবার জায়গা হয়–এই পর্যন্ত। ভগবানলাভ হয় না। তাই টাকা জীবনের উদ্দেশ্য হতে পারে না-এর নাম বিচার, বুঝেছ?

    মাস্টার–আজ্ঞে হ্যাঁ, প্রবোধচন্দ্রোদয় নাটক আমি সম্প্রতি পড়েছি, তাতে আছে ‘বস্তু বিচার’! শ্রীরামকৃষ্ণ—হ্যাঁ বস্তুবিচার এই দেখ, টাকাতেই বা কি আছে, আর সুন্দর দেহেই বা কি আছে! বিচার কর, সুন্দরীর দেহেতেও কেবল হাড়, মাংস, চর্বি, মল, মূত্র–এই সব আছে। এই সব বস্তুতে মানুষ ঈশ্বরকে ছেড়ে কেন মন দেয়? কেন ঈশ্বরকে ভুলে যায়?

    ঈশ্বরদর্শনের উপায়

    মাস্টার—ঈশ্বরকে কি দর্শন করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ–হ্যাঁ, অবশ্য করা যায়। মাঝে মাঝে নির্জনে বাস; তাঁর নামগুণগান, বস্তুবিচার–এই সব উপায় অবলম্বন করতে হয়।

    মাস্টার–কী অবস্থায় তাঁকে দর্শন হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ–খুব ব্যাকুল হয়ে কাঁদলে তাঁকে দেখা যায়। মাগছাগলের জন্য লোকে একঘটি কাঁদে, টাকার জন্য লোকে কেঁদে ভাসিয়ে দেয়, কিন্তু ঈশ্বরের জন্য কে কাঁদছে? ডাকার মতো ডাকতে হয়।

    এই বালিয়া ঠাকুর গান ধরিলেনঃ

    ডাক দেখি মন ডাকার মতো কেমন শ্যামা থাকতে পারে।

    কেমন শ্যামা থাকতে পারে, কেমন কালী থাকতে পারে।।

    মন যদি একান্ত হও, জবা বিল্বদল লও,

    ভক্তি-চন্দন মিশাইয়ে (মার) পদে পুষ্পাঞ্জলি দাও।।

    ব্যাকুলতা হলেই অরুণ উদয় হল। তারপর সূর্য দেখা দিবেন। ব্যাকুলতার পরই ঈশ্বরদর্শন (Sri Ramakrishna Kathamrita)।

    তিন টান একত্র হলে তবে তিনি দেখা দেন—বিষয়ীর বিষয়ের উপর, মায়ের সন্তানের উপর আর সতীর পতির উপর টান। এই তিন টান যদি কারও একসঙ্গে হয়, সেই টানের জোরে ঈশ্বরকে লাভ করতে পারে।

    কথাটা এই ঈশ্বরকে (Sri Ramakrishna Kathamrita) ভালবাসতে হবে। মা যেমন ছেলেকে ভালবাসে, সতী যেমন পতিকে ভালবাসে, বিষয়ী যেমন বিষয় ভালবাসে। এই তিনজনের ভালবাসা, এই তিন টান একত্র করলে যতখানি ঈশ্বরকে দিতে পারলে তাঁর দর্শন লাভ হয়।

    ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকা চাই। বিড়ালের ছানা কেবল মিউ মিউ করে মাকে ডাকতে জানে। মা তাকে যেখানে রাখে, সেইখানেই থাকে – কখনো হেঁশেলে, কখন বা বিছানার উপর রেখে দেয়। তার কষ্ট হলে সে কেবল মিউ মিউ করে ডাকে, আর কিছু জানে না। মা যেখানেই থাকুক, এই মিউ মিউ করে ডাকে, আর কিছু জানে না। মা যেখনেই থাকুক, এই মিউ মিউ শব্দ শুনে এসে পড়ে।”

    আরও পড়ুনঃ”এইটি জেনো যে, নিরাকারও সত্য, তোমার যেটি বিশ্বাস, সেইটিই ধরে থাকবে”

    আরও পড়ুনঃ “শেষরাত্রে ঘুম ভেঙে যেত আর কাঁদতুম, বলতুম, মা, কেশবের অসুখ ভালো করে দাও”

    আরও পড়ুনঃ”ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন! পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব”

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৫ম পরিচ্ছেদ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 6: “ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 6: “ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে”

     

    সংসারর্ণবঘোরে যঃ কর্ণধারস্বরূপঃ।

    নমোহস্ত রামকৃষ্ণায় তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।

     

    ভক্তির উপায়

    মাষ্টার (বিনীতভাবে)-ঈশ্বরে কি করে মন হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বরের (Sri Ramakrishna Kathamrita) নামগুণগান সর্বদা করতে হয়। আর সৎসঙ্গ-ঈশ্বরের ভক্ত বা সাধু, এঁদের কাছে মাঝে মাঝে যেতে হয়। সংসারের ভিতর ও বিষয়কাজের ভিতর রাতদিন থাকলে ঈশ্বরে মনে হয় না। মাঝেমাঝে নির্জনে গিয়ে তাঁর চিন্তা করা বড় দরকার। প্রথম অবস্থায় মাঝে মাঝে নির্জন না হলে ঈশ্বরে মনে রাখা বড়ই কঠিন।

    যখন চারাগাছ থাকে, তখন তার চারিদিকে বেড়া দিতে হয়। বেড়া না দিলে ছাগল-গরু খেয়ে ফেলে।

    “ধ্যান করবে মনে, কোণে ও বনে। আর সর্বদা সদসৎ বিচার করবে। ঈশ্বরই (Sri Ramakrishna Kathamrita) সৎ-কিনা নিত্যবস্তু, আর সব অসৎ-কিনা অনিত্য। এই বিচার করতে করতে অনিত্য বস্তু মন থেকে ত্যাগ করবে।”

    মাস্টার (বিনীতভাবে)–সংসারে কিরকম করে থাকতে হবে?

    গৃহস্থ সন্ন্যাস উপায় নির্জনে সাধন

    শ্রীরামকৃষ্ণ –সব কাজ করবে কিন্তু মন ঈশ্বরেতে রাখবে। স্ত্রী, পুত্র, বাপ, মা—সকলে নিয়ে থাকবে ও সেবা করবে। যেন কত আপনার লোক। কিন্তু মনে জানবে যে তারা তোমার কেউ নয়।

    “বড় মানুষের বাড়িতে দাসী সব কাজ কচ্ছে, কিন্তু দেশে নিজের বাড়ির দিকে মন পড়ে আছে। আবার সে মনিবের ছেলেদের আপনার ছেলে মতো মানুষ করে। বলে ‘আমার রাম’ ‘আমার হরি’, কিন্তু মনে বেশ জানে এরা আমার কেউ নয়।

    “কচ্ছপ জলে চরে বেড়ায়, কিন্তু তার মন কোথায় পড়ে আছে জানো?–আড়ায় পড়ে আছে। যেখানে তার ডিমগুলি আছে। সংসারের সব কর্ম করবে, কিন্তু ঈশ্বরে মন ফেলে রাখবে।

    “ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে। বিপদ, শোক, তাপ–এসবে অবৈধ হয়ে যাবে। আর যত বিষয়- চিন্তা করবে ততই আসক্তি বাড়বে।

    “তেল হাতে মেখে তবে কাঁঠাল ভাঙতে হয়! তা না হলে হাতে আঠা জড়িয়ে যায়। ঈশ্বরে ভক্তিরূপ তেল লাভ করে তবে সংসারের কাজে হাত দিতে হয়।

    “কিন্তু এই ভক্তিলাভ করতে হলে নির্জন হাওয়া চাই। মাখন তুলতে গেলে নির্জনে দই পাততে হয়। দইকে নাড়ানাড়ি করলে দই বসে না। তারপর নির্জনে বসে, সব কাজ ফেলে দই মন্থন করতে হয়। তবে মাখন তোলা যায়।

    “আবার দেখ, এই মনে নির্জনে ঈশ্বরচিন্তা (Sri Ramakrishna Kathamrita) করলে জ্ঞান বৈরাগ্য ভক্তিলাভ হয়। কিন্তু সংসারে ফেলে রাখালে ওই মন নীচ হয়ে যায়। সংসারে কেবল কামিনী-কাঞ্চন চিন্তা।

    আরও পড়ুনঃ “শেষরাত্রে ঘুম ভেঙে যেত আর কাঁদতুম, বলতুম, মা, কেশবের অসুখ ভালো করে দাও”

    আরও পড়ুনঃ “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

    আরও পড়ুনঃ “এইটি জেনো যে, নিরাকারও সত্য, তোমার যেটি বিশ্বাস, সেইটিই ধরে থাকবে”

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৫ম পরিচ্ছেদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফের সন্দেশখালিতে হানা, শাহজাহানের ভাই সিরাজের বাড়িতে তলবের নোটিস দিল সিবিআই

    Sandeshkhali: ফের সন্দেশখালিতে হানা, শাহজাহানের ভাই সিরাজের বাড়িতে তলবের নোটিস দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিনকে এর আগে তলব করেছিল ইডি। তিনি সেই ডাকে সাড়া দেননি। তার পর ইডির তরফে লুকআউট নোটিস জারি করা হয় তাঁর নামে। এ বার সিরাজকে ডেকে পাঠাল সিবিআইও। বুধবার সকালে সন্দেশখালিতে ফের হানা দেয় সিবিআই।

    সিরাজ ডাক্তারের বাড়িতে নোটিস (Sandeshkhali)

    শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিন পেশায় হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসক। এলাকায় তাঁর ক্লিনিকও ছিল। তিনি সিরাজ ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার (Sandeshkhali) ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তিনি ফেরার। ইডির পর এদিন সিবিআই টিম সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকায় যায়। শাহজাহান মার্কেটে গিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকায় শাহজাহানদের বাড়ির সামনে যান সিবিআইয়ের একটি দল। সিরাজের বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু, কোনও সাড়া মেলেনি। তালাবন্ধ বাড়ির বাইরে নোটিস সেঁটে দিয়ে এসেছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, ৬ মে তলব করা হয়েছে সিরাজকে।

    আরও পড়ুন: বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণের ৮ জেলায়, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ফুটিফাটা জমি

    ফের সন্দেশখালিতে সিবিআই

    কিছুদিন আগে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল সিবিআই। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর পর সেখানে সিবিআই ডেকে পাঠায় এনএসজিকে। ‘ক্যালিবার’ যন্ত্র নিয়ে তারা দিনভর সন্দেশখালিতে বোমার খোঁজে তল্লাশি চালায়। কয়েকটি বোমা নিষ্ক্রিয়ও করা হয়। সে দিনের উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে সিবিআইকে রিপোর্ট দিয়েছে এনএসজি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের আবহে বাংলার রাজনীতি নতুন করে আলোড়িত হয়েছে। ইডি এবং সিবিআইয়ের তরফে পৃথকভাবে আদালতে দাবি করা হয়েছে, সন্দেশখালিতে যে জমিগুলি শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা দখল করেছিলেন, সেই টাকাতেই কেনা হয়েছে অস্ত্র। সন্দেশখালিতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র এবং রসিদও পেয়েছে সিবিআই। কলকাতার দোকান থেকে শাহজাহানের নামে কেনা অস্ত্রের রসিদও ছিল তার মধ্যে। শাহজাহান বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। সন্দেশখালির ঘটনায় এবার সিরাজকে খুঁজছেন তদন্তকারীরা। এবার তাঁর হদিশ পেতেই বুধবার ফের সন্দেশখালিতে হানা দেয় সিবিআই। সিরাজের বাড়িতে রান্না চলছিল। সিবিআই আসছে দেখে রান্না মাঝ পথে ফেলে চলে গিয়েছে বাড়ির লোকজন। শাক ভাজা পড়ে রয়েছে রান্না ঘরে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Education: দিনরাত পড়েও সন্তান পরীক্ষায় বসেই সব ভুলে যাচ্ছে? কীভাবে বাড়বে মনঃসংযোগ?

    Child Education: দিনরাত পড়েও সন্তান পরীক্ষায় বসেই সব ভুলে যাচ্ছে? কীভাবে বাড়বে মনঃসংযোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সময় মতো নিয়মিত পড়তে বসে। দিনের অনেকটা সময় পড়াশোনায় বরাদ্দ থাকে। তারপরেও পরীক্ষায় বসে অনেক সময়েই ভুল হয়ে যায়। বারবার চর্চার পরেও মনে থাকে না অনেক বিষয়। অনেকের সন্তান এই সমস্যায় ভুগছে। আর তার জেরে দুশ্চিন্তা বাড়ছে বাবা-মায়ের। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কয়েকটা‌‌ বিষয়ে অভিভাবকেরা নজরে রাখলেই সন্তানের এই সমস্যা কমবে। মনঃসংযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর (Child Education) কিছু সহজ কৌশল প্রথম থেকেই রপ্ত করা জরুরি। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাহলেই সন্তান একাধিক কাজ সহজে করতে পারবে। কিন্তু কোন দিকে বাড়তি নজর বাড়াবে স্মৃতিশক্তি ও মনঃসংযোগ?

    পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যিক (Child Education)

    আধুনিক জীবনে বাড়ছে ব্যস্ততা। আর তার জেরেই কমছে ঘুমের সময়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘুম পর্যাপ্ত না হওয়ার জেরে বাড়ছে সমস্যা। বিশেষত মনঃসংযোগ আর স্মৃতিশক্তিজনিত সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ঘুম পর্যাপ্ত না হলে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। আর তার জেরে মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে। ক্লান্তিবোধ বাড়ে। ফলে মনঃসংযোগ করতেও অসুবিধা হয়। তাই রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অনেক পড়ুয়াকেই খুব ভোরে স্কুলে যেতে হয়। কিন্তু তারাও গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকে‌। ফলে তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। যার জেরে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। তাই রাত বেশি জাগা যাবে না বলেই সাফ‌ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    খাদ্যাভ্যাসে বদল জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্মৃতিশক্তি (Child Education) বাড়াতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। তাই সন্তানের খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, চিনি বা চিনিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যান্ডি, চকলেট, চিনি খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে। নিয়মিত বাদাম, আখরোট জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত বাদাম জাতীয় খাবারের পাশাপাশি সবুজ ও রঙিন সবজি খেতে হবে। যেমন, কুমড়ো, গাজর, টমেটো, পালং শাক, পটল জাতীয় সবজি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এর পাশপাশি, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন লেবু, কিউই নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই মনঃসংযোগ বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।

    যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত হোক সন্তান (Child Education)

    নিয়মিত দিনের কিছুটা সময় সন্তানকে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত করতে হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস বিশেষত মেডিটেশন মনোসংযোগ বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে সন্তানের শরীর ও মনের একাধিক সমস্যা কমবে। মনঃসংযোগ বাড়বে। মনে রাখার ক্ষমতাও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    পড়ার পাশপাশি সৃজনশীল কাজ শেখা

    পরিবারের সকলের জন্য সপ্তাহে একদিন রান্না করা কিংবা গান‌ শেখা, ছবি আঁকা, যে কোনও এক ধরনের সৃজনশীল কাজ করার অভ্যাস থাকা জরুরি বলেই মনে করছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও কাজে একঘেয়েমি হলেই তার প্রতি আকর্ষণ কমতে থাকে। দিনরাত লাগাতার শুধু পড়াশোনার চাপ তৈরি হলে, পড়ুয়াদের সেই একঘেয়েমি লাগবে। তখন মনঃসংযোগ নষ্ট হবে‌। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমবে। তাই পড়াশোনার (Child Education) পাশাপাশি অন্য কোনও সৃজনশীল কাজ করা জরুরি। অন্তত সপ্তাহে একদিন ভিন্ন রকম কাজ করলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়বে। মানসিক চাপ তৈরি হবে না। এমনটাই জানাচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Violence: সন্দেশখালির সেই ব্যাগে কী ছিল সিবিআইকে জানাল এনএসজি

    Sandeshkhali Violence: সন্দেশখালির সেই ব্যাগে কী ছিল সিবিআইকে জানাল এনএসজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (অবশ্য গ্রেফতার হতেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়) গড়ে (Sandeshkhali Violence) অভিযান শেষে শুক্রবার একটি ব্যাগ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল এনএসজি। সেই ব্যাগে কী ছিল, তা নিয়ে কৌতূহলের অন্ত ছিল না। তবে এনএসজির নিয়ে যাওয়া ব্যাগে কী ছিল, তা জানা গেল এবার, এনএসজি রিপোর্ট দেওয়ার পর। সিবিআইকে দেওয়া রিপোর্টে এনএসজি জানিয়েছে, ওই ব্যাগে দুটি বিদেশি আগ্নায়াস্ত্র ছিল। বেশ কিছু কার্তুজ ও বিস্ফোরকও মিলেছে। এনএসজির রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই মামলায় প্রায় দশজনকে তলব করা হচ্ছে। এনএসজি যে রিপোর্ট দিয়েছে, সিবিআই তা আদালতে দেবে বলেও জানা গিয়েছে।

    উদ্ধার অস্ত্র (Sandeshkhali Violence)

    শুক্রবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Violence) প্রথমে অভিযান চালায় সিবিআই। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু অস্ত্র। সিবিআইয়ের তরফে খবর দেওয়া হয় এনএসজিকে। ক্যালিবার যন্ত্র নিয়ে এসে দিনভর সন্দেশখালিতে অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি চালায় এনএসজি। নিষ্ক্রিয় করা হয় বেশ কিছু অস্ত্র। বন্দুক, পিস্তল, কার্তুজ ও কয়েকটি রশিদও পায় সিবিআই। সেই রশিদে নাম ছিল শাহজাহানের। কলকাতার একটি দোকান থেকে কেনা হয়েছিল ওই কার্তুজ। সিবিআইয়ের দাবি, সেদিন যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল, তার মধ্যে একটি আবার শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগিরের।

    সিবিআইয়ের অভিযান

    শুক্রবার সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali Violence) দুটি ঠিকানায়। সেখানে তিন দিক ভেড়ি দিয়ে ঘেরা একটি পাকা বাড়ির মেঝে খুঁড়ে বিভিন্ন মাপের সাতটি রিভলভার পেয়েছিল তারা। এর মধ্যে তিনটি রিভলভার ও পিস্তল বিদেশি। এর মধ্যে একটি পিস্তল রয়েছে, যেটি ব্যবহার করে পুলিশ। দেশি একটি রিভলভারও রয়েছে। কার্তুজ মিলেছিল সাড়ে তিনশোর মতো।

    আরও পড়ুুন: “মোদি জমানায় গণতন্ত্র বিপন্ন! মিথ্যা কথা”, দাবি সুব্রহ্মণ্যমের

    অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট বসিরহাট মহকুমা আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র নিজেদের কাছে রাখার আবেদনও জানানো হয়েছিল। সিবিআইয়ের আবদেন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। জানা গিয়েছে, আবুল স্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Unemployed Workers: শ্রমিক দিবসেই কর্মহীন শয়ে শয়ে শ্রমিক

    Unemployed Workers: শ্রমিক দিবসেই কর্মহীন শয়ে শয়ে শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বন্ধ হয়ে গেল আরও একটি চা বাগান (Tea Garden)। শ্রমিক দিবসের দিনই কাজ হারালো প্রায় হাজারের কাছাকাছি শ্রমিক। ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কর্মহীন শ্রমিকদের (Unemployed Workers) কপালে। মে দিবসের দিন সকালেই ডুয়ার্সের (Dooars) এক চা বাগানে কাজ বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে চা বাগানের মালিক কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরেই মে দিবসে কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ৮৩০ জন শ্রমিক।  

    ঠিক কী ঘটেছিল (Unemployed Workers)?

    জানা গিয়েছে, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই পাওনাগন্ডা নিয়ে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষ চলছিল। পিএফ, গ্র্যাচুইটির মতো বিভিন্ন পাওনা বাকি ছিল। শুধু তাই নয়, শ্রমিকদের ৩ পাক্ষিক সপ্তাহের মজুরিও বকেয়া ছিল বলে অভিযোগ। যার জেরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কর্মরত শ্রমিকরা। এরপর ২৭ এপ্রিল নিজেদের বকেয়া অর্থ বুঝতে চেয়ে শ্রমিকদের (Unemployed Workers) একাংশ বানারহাট থানায় গিয়ে অবস্থানে শামিল হন। বানারহাট বিডিও অফিসে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও ডাকা হয়। তবে মালিকপক্ষের কেউ উপস্থিত না থাকায় সেই বৈঠক ভেস্তে যায়। কিন্তু মালিকপক্ষের তরফে একটি চিঠি দিয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়, মঙ্গলবার বকেয়া মজুরির এক কিস্তির টাকা তাঁরা মিটিয়ে দেবেন। সেই টাকা গতকাল দিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরই রাত্রিবেলা কর্মবিরতির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পুলিশ-প্রশাসনকেও মালিক পক্ষ জানিয়ে দেয় নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা। বাগানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। এরপর সকালে শ্রমিকরা কাজে এসে দেখেন বাগানে তালা ঝুলছে।

    চা শ্রমিক নেতার বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে চা শ্রমিক নেতা অজয় মাহালি বলেন, “কোন সমস্যা থাকলে মালিকপক্ষ তা আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে পারতেন। সেটা না করে শ্রমিক দিবসের ঠিক আগের রাতে এভাবে বাগান বন্ধ করে চলে যাওয়ার ঘটনার ঘোর নিন্দা জানাই। হাজার শ্রমিক কর্মহীন (Unemployed Workers)।”

    আরও পড়ুন: জানেন কি কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটিতে!

    মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তার পরেই এল কাজ বন্ধের নোটিশ

    প্রসঙ্গত, শ্রমিক দিবস (International labour day) উপলক্ষে সকালেই মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুখ্যমন্ত্রী তার শুভেচ্ছা বার্তায় লেখেন,”আমাদের সকল শ্রমিক (Unemployed Workers) ভাই বোনকে জানাই আন্তর্জাতিক  শ্রমিক দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। শ্রমিকরা আমাদের সমাজের সম্পদ। তাদের নিয়ে আমরা গর্বিত। আমি সব সময় তাদের পাশে থাকি। বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার মত যুগান্তকারী প্রকল্প চালু করা থেকে, কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত রাজ্যের ৫৯ লক্ষ গ্রামীণ শ্রমিকের টাকা রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকে মিটিয়ে দেওয়া, বরাবর আমরা সকল ক্ষেত্রে শ্রমিক ভাই বোনদের পাশে থেকেছি আগামীতেও থাকবো।” আর মুখ্যমন্ত্রী এই বার্তার পরেই জানা গেল উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি মহাকুমার বারানহাট (Banarhat) ব্লকের তোতাপাড়া চা বাগানে কাজ বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • 8th Pay Commission: মহার্ঘ ভাতায় ঘাম ছুটছে রাজ্যের! কেন্দ্র অষ্টম পে কমিশনের পথে

    8th Pay Commission: মহার্ঘ ভাতায় ঘাম ছুটছে রাজ্যের! কেন্দ্র অষ্টম পে কমিশনের পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার তাঁদের কর্মীদের দাবি অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) দিতে গড়িমসি করছে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার সেই পথে হাঁটছে না। কেন্দ্র সরকারের কর্মীদের জন্য দারুণ খুশির খবর। শীঘ্রই গঠন হতে চলেছে অষ্টম পে কমিশন (8th Pay Commission)। লোকসভা নির্বাচনের পরেই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সরকারি কর্মীদের জন্য আবার দারুণ ঘোষণা হতে চলেছে ভোট মিটলেই। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার (Central Govt) ৪ শতাংশ অতিরিক্ত মহার্ঘ ভাতা বরাদ্দ করেছে। ফলে মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ।

    লোকসভা ভোটের পরেই সিদ্ধান্ত (8th Pay Commission)

    ইন্ডিয়ান রেলওয়ে টেকনিক্যাল সুপারভাইজার অ্যাসোসিয়েশন তাঁদের কর্মীদের অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) গঠনের দাবি নিয়ে মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখেছে। সংগঠনের দাবি সরকারের হাতে অনেক সময় আছে। লোকসভা ভোটের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে সরকারের তরফে। অষ্টম পে কমিশন (8th Pay Commission) গঠন করার ব্যাপারে সরকার জানিয়েছে এখনই তাদের কাছে কোন প্রস্তাব আসেনি। যেহেতু ভোট চলাকালীন আদর্শ আচরণ বিধি লাগু আছে তাই সরকার এখনই এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা আইনত করতে পারে না। প্রতি বছর ১০ বছর অন্তর পে কমিশন গঠন হয়ে থাকে। পে কমিশনের উদ্দেশ্য সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো খতিয়ে দেখা, বেতন কাঠামো বৃদ্ধি ও সুযোগ-সুবিধা গুলির সেই সময় দাঁড়িয়ে কতটা প্রয়োজন আছে কিংবা তাতে কতটা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে তা খতিয়ে দেখা এবং সেই সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

    আরও পড়ুন: হাতের আঙুলের গঠন বলে দেবে আপনি কেমন! জানেন কীভাবে?

    রাজ্য সরকারের পে কমিশনে গড়িমসি

    তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম পে কমিশন জানিয়েছিল এ বিষয়ে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যদিও কেন্দ্র সরকার সহ বিভিন্ন রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পের জেরে যে পরিমাণ আর্থিক বোঝা রয়েছে তাতে কেন্দ্র হোক বা রাজ্য সরকার কোন সরকারই এই কমিশনের বিষয়ে স্থায়ী সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। যদিও ১০ বছর অন্তর কেন্দ্র সরকার এই কমিশন গঠন করা জারি রেখেছে। কেন্দ্র সরকার ঠিকঠাক সময়ে পে কমিশন গঠন করলেও রাজ্য সরকার বরাবরই পে কমিশন গঠনের গড়িমসি করে এসেছে। মোদি সরকারের আমলে পে কমিশন গঠন ও সরকারি কর্মীদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি। এমনকি সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রেও ওয়ান ব্যাংক ওয়ান পেনশন চালু করার বিষয়ে সদিচ্ছা দেখিয়েছে কিন্তু সরকার। অথচ রাজ্য সরকার এখনও সপ্তম পে কমিশনের সুযোগ সুবিধা কর্মীদের দিতে গড়িমসি করছে। অষ্টম পে কমিশন (8th Pay Commission) গঠন ও চালু হয়ে গেলে রাজ্য সরকারের কর্মীরা সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে প্রায় কুড়ি বছর পিছিয়ে পড়বে। ফলে রাজ্য সরকারের উপরে পে কমিশন সুযোগ-সুবিধা চালু করার বিষয়ে চাপ বাড়বে।

    ওয়াকিবহাল মহলের মত লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী (Kanyashree) সহ রাজ্য সরকার যে পরিমাণ দান খয়রাতির প্রকল্প চালু রেখেছে তাতে সরকারি কর্মীদের ন্যায্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share