Tag: Bengali news

Bengali news

  • Mithun Chakraborty: লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে মেগা প্রচারে নামছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী

    Mithun Chakraborty: লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে মেগা প্রচারে নামছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরামর্শে এবার ফের ভোট প্রচারের ময়দানে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এবার তাঁর প্রচার শুরু হবে উত্তরবঙ্গ থেকে। তাঁর অবতরণে বিজেপির প্রচারে এখন হাইভোল্টেজ গতি লাভ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী রবিবার ১৪ এপ্রিল আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে আরও একবার মোদি সরকার গঠনের জন্য প্রচার শুরু করবেন তিনি। এরপর টানা তিন দিন উত্তরবঙ্গ সফরে থাকবেন তিনি। প্রথম দাফায় লোকসভার প্রচার এই রাজ্যে বেশ জমজমাট।

    র‍্যালি ও সভা করবেন মিঠুন

    আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ও কোচবিহারে (Coochbihar) দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিঠুনের র‍্যালি ও সভা রয়েছে। স্থানীয় দলীয় কর্মীদের আহ্বানে বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক বৈঠকেও অংশ নেবেন তিনি, এমনটাই বিজেপি সূত্রে খবর। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন পাখির চোখ বিজেপির। সেই লক্ষ্যেই উত্তরবঙ্গে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে দলের উঁচুতলা থেকে নিচুতলার সমস্ত নেতা-কর্মীরা। কারণ উত্তরবঙ্গ এখনও বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তবে দক্ষিণবঙ্গেও তারা প্রচারে হেলাফেলা করতে রাজি নয়। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি আসনে তাদের বাড়তি সুবিধা রয়েছে। সেই সমস্ত আসনেও মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামানো হবে এমনটাই দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। যেহেতু দক্ষিণবঙ্গে পরবর্তী দফাগুলিতে ভোট রয়েছে তাই আগেভাগে উত্তরবঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামাচ্ছে পদ্ম শিবির। প্রথম দফায় আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে ভোট রয়েছে। উত্তরবঙ্গের এই সমস্ত আসনে আগেভাগেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রচার করে গিয়েছেন। শেষ বেলার প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামিয়ে বাজিমাত করতে চায় বঙ্গ বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ গাজন সন্ন্যাসীদের সঙ্গে ঢাক বাজিয়ে ভোট প্রচার করলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    বিজেপির তারকা প্রচার মিঠুন

    রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই প্রচারে তারকা প্রচারক হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির হয়ে সুর চড়িয়েছেন। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাঁর ঠাসা কর্মসূচি ছিল এবারে। আবার লোকসভার ময়দানে তারকা প্রচারক হিসেবে দেখা যাবে এই মহাগুরুকে। অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে বাংলার আবেগ জড়িয়ে আছে। সেই আবেগকেই কাজে লাগাতে চায় পদ্মফুল শিবির। শেষ বেলায় বাজিমাত করতে নিশীথ প্রামাণিক, মনোজ টিগ্গা এবং জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে জনসভা, রোড শো সহ একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • National Herald: ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় সায়, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    National Herald: ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় সায়, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক আট দিন পরেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফার ওই নির্বাচনে লড়াইয়ের (National Herald) ময়দানে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিরোধী ছাব্বিশটি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’। এমনিতেই দীর্ঘদিন ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে থাকায় কংগ্রেসের কোষাগারের হাল হয়েছে হাঁড়ির।

    বিপাকে কংগ্রেস (National Herald)

    এমতাবস্থায় আরও বিপাকে পড়ল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পত্তি সাময়িক বাজেয়াপ্ত করায় সায় দিলেন পিএমএলএ বিষয়ক বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। গত নভেম্বরেই ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল কংগ্রেসের ওই সম্পত্তি। পিএমএলএ কর্তৃপক্ষের জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, যেসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ইক্যুইটি শেয়ার ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল, তা অবৈধভাবে আয় ও অর্থ পাচারের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।

    বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি

    ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) সংবাদপত্র, তার প্রকাশনা সংস্থা এজেএল এবং পরিচালন তথা মালিক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকায়। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার। সেই বন্ধ সংস্থাই অধিগ্রহণ করে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। এর পরেই ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি চলে আসে ইয়ং ইন্ডিয়ার দখলে। সঙ্গে আসে ৯০ কোটি টাকা দেনার দায়ও। এই দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয় কারণ দর্শিয়ে কংগ্রেসের তরফে মকুব করে দেওয়া হয় দেনার টাকা। এই সময়ই ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ফের চর্চায় আসে ইয়ং ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল হেরান্ডের দুর্নীতির অভিযোগ। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার মালিকানাধীন ছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড, বাজারে তাদের ঋণ ছিল ৯০ কোটি টাকা। এই টাকার বেশিরভাগটাই নেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের কাছ থেকে। মালিকানা হাতবদলে বেআইনি কোনও লেনদেন হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত। এই মামলায় প্রথমে সোনিয়া এবং পরে রাহুল গান্ধীকেও দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল (National Herald) ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Howrah: ব্যাগ খুলতেই থ পুলিশ, টাকায় ঠাসা প্যাকেট, হাওড়া ব্রিজের কাছে একী কাণ্ড?

    Howrah: ব্যাগ খুলতেই থ পুলিশ, টাকায় ঠাসা প্যাকেট, হাওড়া ব্রিজের কাছে একী কাণ্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে হাওড়া (Howrah) স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে ২৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এই টাকার মধ্যে সব ছিল ৫০০ টাকার নোট। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের ভোটের মুখে হাওড়া ব্রিজের আগেই গোলাবাড়ি থানা এলাকায় একটি গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। সবমিলিয়ে ৫৮ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। ওই গাড়িতে ছিলেন প্রশান্ত কুমার সোনি ও ভূপিন্দ্রর সিং নামে দুই যুবক। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন কর্তব্যরত পুলিশ। কথায় অসঙ্গতি থাকায়, তাদের আটক করা হয়।

    হাওড়া ব্রিজের কাছে বাজেয়াপ্ত করা হল টাকা (Howrah)

    জেরায় জানা গিয়েছে, প্রশান্ত ও ভূপিন্দ্রর মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই যুবক উত্তরপ্রদেশ থেকে একটি ট্রেনে চাপেন। সেখান থেকে চম্বলে স্টেশনে আসেন। পরে, চম্বল এক্সপ্রেস ধরে বর্ধমান স্টেশনে নামেন। তারপর একটি লোকাল ট্রেনে করে কোন্নগর আসেন। সেখান থেকে আবার হলুদ ট্যাক্সি ভাড়া করে কলকাতার পথে রওনা দিয়েছিলেন। ঠিক হাওড়া (Howrah) ব্রিজে ওঠার আগে গোলাবড়ি থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা ওই ট্যাক্সিটিকে আটকায়। চলছিল নাকা চেকিং। গাড়িটিতে পুলিশ তল্লাশি চালালে দুটি ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যাগ খুলতেই থ হয়ে যান পুলিশ কর্মী। দুটি ব্যাগের মধ্যে প্যাকেটের ভিতরে টাকায় ঠাসা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের গড়ে বিজেপি নেতার ছেলেকে ‘অপহরণ’ তৃণমূলের! মামলা হাইকোর্টে

    পুলিশের কমিশনারের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া (Howrah) সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী বলেন,  নাকা তল্লাশি চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে অবৈধভাবে ওই টাকা নিয়ে আসা হয়েছে। ভোটের মুখে এত টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার। এই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে দুই যাত্রী কোথায় যাচ্ছিলেন, তা নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। আটক হওয়া যুবকরা বলেন, বড়বাজারে সোনা কিনতে যাচ্ছিলাম। তবে, ওই টাকার কোনও বৈধ কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি। গোলাবাড়ি থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আয়কর দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে। আয়কর দফতরের আধিকারিকদের হাতে ওই টাকা তুলে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gajan Utsav: বঙ্গবাসী মেতেছে গাজন উৎসবে! এর প্রচলন কবে থেকে জানেন?

    Gajan Utsav: বঙ্গবাসী মেতেছে গাজন উৎসবে! এর প্রচলন কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র শেষে গাজনের ঢাক (Gajan Utsav)। গ্রাম থেকে শহর শোনা যাচ্ছে ঢাক-ঢোল-কাঁসরের আওয়াজ। বাংলা বছরের শেষ উৎসব হল গাজন। এই উৎসবে দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। গাজন উৎসবে জাতপাতের বেড়াজাল টপকে সকলেই সামিল হন শিব আরাধনায়। তবে এর পাশাপাশি আমাদের জেনে রাখতে হবে, গাজন উৎসব ধর্মরাজকে কেন্দ্র করেও হয়।

    গাজন শব্দের উৎপত্তি 

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, গাজন (Gajan Utsav) শব্দের উৎপত্তি ‘গর্জন’ থেকে। অনেকের ধারণা, শিব সাধনার সময় সন্ন্যাসীদের হুঙ্কার বা রব থেকেই গাজন শব্দের উৎপত্তি। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণেও মেলে গাজনের উল্লেখ। পুরাণের প্রকৃতিখণ্ডে  লেখা রয়েছে, ‘‘চৈত্র মাস্যথ মাঘেবা যোহর্চ্চয়েৎ শঙ্করব্রতী। করোতি নর্ত্তনং ভক্ত্যা বেত্রবানি দিবাশিনম্।। মাসং বাপ্যর্দ্ধমাসং বা দশ সপ্তদিনানি বা। দিনমানং যুগং সোহপি শিবলোক মহীয়তে।।’’ এর অর্থ চৈত্রে কিংবা মাঘে এক-সাত দশ-পনেরো কিংবা তিরিশ দিন হাতে বেতের লাঠি নিয়ে শিবব্রতী হয়ে নৃত্য ইত্যাদি করলে মানুষের শিবলোক প্রাপ্ত হয়।

    জনশ্রুতি অনুযায়ী, শিবের সঙ্গে কালির বিবাহ সম্পন্ন হয়

    অনেক গবেষকের ধারণা, গাজন (Gajan Utsav) উৎসবে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব। আবার বাংলার মঙ্গলকাব্যতেও গাজনের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন ধর্মমঙ্গল কাব্যে রয়েছে এর বিস্তৃত বিবরণ। তবে অন্য একটি অংশের মতে, গা শব্দ বলতে গ্রামকে বোঝায়। আর, জন শব্দ বলতে জনসাধারণকে বোঝায়। অর্থাৎ গ্রামের জনসাধারণের যা উৎসব তাই গাজন। জনশ্রুতি রয়েছে, গাজনই হল সেই দিন যেদিন শিবের সঙ্গে কালির বিবাহ সম্পন্ন হয়। আরও লৌকিক কথা হল, গাজনের সন্ন্যাসীরা হলেন আসলে শিবের বরপক্ষ।

    গাজন উৎসবের তিনটি অংশ

    গাজন উৎসবের তিনটি অংশ থাকে। যথা- ঘাট সন্ন্যাস, নীলব্রত এবং চড়ক। অনেক জায়গাতে গাজন উৎসব (Gajan Utsav) চৈত্র মাসের প্রথম দিন থেকেই ভক্ত সন্ন্যাসীরা পালন করতেন, সেটা অনেক আগেকার কথা অবশ্য। তবে বর্তমান সময়ে চৈত্র সংক্রান্তির সাত দিন আগে অথবা তিন দিন আগে থেকেই কঠোরব্রত পালন করেন সন্ন্যাসীরা। এই সময়ে পরিচ্ছন্ন বস্ত্র ধারণ করে হবিষ্যান্ন গ্রহণ করেন সন্ন্যাসীরা।

    অনেক জায়গাতে মুখোশ নৃত্যের প্রচলন দেখা যায়

    গাজনে অনেক জায়গাতে মুখোশ নৃত্যের প্রচলন দেখা যায়। যা স্থানীয় ভাষায় বোলান গান নামেও পরিচিত। এগুলি বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া বীরভূম জেলাতে দেখা যায়। এই সময়ে শিব-গৌরী সাজেন অনেকেই। এর পাশাপাশি নন্দী, ভৃঙ্গি ভুত-প্রেত, দৈত্য, দানব প্রভৃতি ধরনের সং সেজেও নৃত্য করেন সবাই (Gajan Utsav)। লৌকিক ছড়া, আবৃত্তি গানও করা হয়। গাজনের ঠিক পরের দিন অনুষ্ঠিত হয় নীল পুজো। গ্রাম্য মহিলারা সন্তানদের মঙ্গল কামনায় এ দিন ফল, আতপ চাল, অর্থ দান করে থাকেন।

    প্রথম চড়ক পুজোর প্রচলন কবে

    পৌরাণিকভাবে গাজন উৎসবের (Gajan Utsav) সূচনা নিয়ে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে। কথিত আছে, বান নামে এক রাজা ছিলেন প্রবল শিব ভক্ত। তিনি দেবাদিদেব মহাদেবকে তুষ্ট করতে কঠোর তপস্যা করেন। শিব ভক্তির সেই সূত্র মেনে এখনও পর্যন্ত সন্ন্যাসীরা চড়কের বান পরেন। কাঁটার উপরে ঝাঁপও দেন। গাজন যেন এক প্রকার কৃচ্ছসাধনের ব্রত পালন করেন সন্ন্যাসীরা। আগুন ঝাঁপ, কাঁটা ঝাঁপ কপাল ফোঁড়া ইত্যাদি দেখা যায়। গবেষকরা বলছেন, ১৪৮৫ সালের রাজা সুন্দর আনন্দ ঠাকুর প্রথম চড়ক পুজোর প্রচলন করেন। সেই থেকেই এই প্রথা মেনে আসছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।

    অন্ত্যজ শ্রেণির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই সন্ন্যাস ধর্ম পালন করেন

    গাজনের এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভূত-প্রেত, পুনর্জন্ম প্রভৃতি বিষয়। এক সময়ে গাজনের (Gajan Utsav) সন্ন্যাসীরা হুড়কো দিয়ে নিজেদেরকে চাকার সঙ্গে বেঁধে দ্রুত বেগে ঘুরতেন। সেসময় ব্রিটিশ সরকার আইন প্রণয়ন করে এই নিয়ম-নীতি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে বর্তমান সময়ে আজও অনেক স্থানে এই রীতি দেখা যায়। গাজনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এই সময়ে অন্ত্যজ শ্রেণির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই সন্ন্যাস ধর্ম পালন করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় শিব-পার্বতী সেজে কেউ কেউ ভিক্ষা পাত্র নিয়ে বের হন। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে আতপ চাল, কাঁচা আম, কাঁচা কলা প্রভৃতি সংগ্রহ করেন।

    মালদহ জেলায় গম্ভিরা উৎসব পালিত হয় এই সময়

    পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই গাজন উৎসব দেখা যায়। মালদহ জেলায় গম্ভিরা উৎসব (Gajan Utsav) পালিত হয় এই সময়। কোথাও তা চৈত্র সংক্রান্তি থেকে হয়, কোথাও তা আবার পয়লা বৈশাখে হয়। চার দিন ধরে চলে এই উৎসব। একদিকে যেমন শিব আরাধনা চলে, তেমনই অন্যদিকে দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার কথা ভক্তরা দেবাদিদে মহাদেবের উদ্দেশে বলতে থাকেন। সেখানে সমস্ত ধরনের কথাই খোলামেলা বলা হয়। রাজনীতি থেকে জীবনের বঞ্চনা কোনও কিছুই বাদ যায় না। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি কলকাতাতেও দেখা যায় চৈত্র সংক্রান্তির সং সাজা। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে সঙ বের হয়। কলকাতার জেলে পাড়ার সঙ্গে কথাও কম বেশি সকলেই জানেন। এর পাশাপাশি কালীঘাটের নকুলেশ্বর তলা সহ বেশ কিছু জায়গায় আজও গাজন পালিত হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chatterjee: ডেবরায় মহিলাদের সঙ্গে খুন্তি নেড়ে রান্না করে ভোটের প্রচারে হিরণ চট্টোপাধ্যায়

    Hiran Chatterjee: ডেবরায় মহিলাদের সঙ্গে খুন্তি নেড়ে রান্না করে ভোটের প্রচারে হিরণ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (lok sabha vote 2024) হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। আর এরই মধ্যে ভোটের ময়দানে প্রচারে (election campaign) ঝড় তুলছেন সব দলের প্রার্থীরাই। আর এই প্রচারে বেরিয়েই বিভিন্ন ধরনের অভিনব প্রচার করতে দেখা গিয়েছে প্রার্থীদের। এবারের নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম নেই। কেউ প্রচারে বেরিয়ে রান্না করছেন তো কেউ আবার পরিবেশন করছেন। কেউ বিক্রি করছে সবজি, কেউ তো আবার সেলুনে ঢুকে চুলও কেটে দিচ্ছেন। আর এবার সরাসরি ভোটারের রান্নাঘরে ঢুকে গেলেন বিজেপি প্রার্থী। প্রচারে বেরিয়ে এবার এমনই জনসংযোগ করলেন ঘাটালের (ghatal) বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। বিজেপির এই তারকা প্রার্থীকে (Hiran Chatterjee) হঠাৎই বাড়িতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরা। ভোট প্রচারে রান্না ঘরও একটি প্রচারের বড় জায়গা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

    মহিলাদের সঙ্গে জমিয়ে রান্না হিরণের (Hiran Chatterjee)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ১০ এপ্রিল ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ডেবরা নামক একটি জায়গায় প্রচার করছিলেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। আর এদিন প্রচারের ফাঁকেই তিনি এখানকার এক ব্যক্তির রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন। এরপর সেখানে গিয়ে বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে জমিয়ে রান্না করেন। কেবল রান্নাই নয়, এদিন তিনি সেই বাড়িতেই দুপুরের খাবার খান। মেনুতে ছিল খোসলা শাক, ইঁচড়ের তরকারি, বড়া ভাজা ও মাছ ভাজা।

    দেব বনাম হিরণ

    প্রসঙ্গত বলা যায়, এবারের ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee) প্রতিপক্ষ হয়ে ময়দানে নেমেছে আরেক তারকা তৃণমূল (TMC) প্রার্থী দেব (dev) ওরফে দীপক অধিকারী। তাই ঘাটালের রাজনৈতিক ময়দানে ভোটের খেলা যে বেশ জোরদার হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাই ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে নানান কায়দায় ঝড় তুলছেন এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।

    আরও পড়ুনঃ ইরানের চাবাহারের পর এবার মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের রাশ নিল ভারত, টেক্কা চিনকে?

    সামজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া

    আর বিজেপি প্রার্থী হিরণের এদিনের এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) নানান প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে অনুরাগীরা তাঁর এই প্রচারকে অভিনব প্রচার বলেছেন। আবার কেউ কেউ লিখেছেন আজকাল ভোট প্রার্থীরা নাকি ফুড ব্লগারে পরিণত হয়েছেন। সামজিক মাধ্যমে এখন হিরণ রাজনৈতিক হিরো। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় জনসংযোগ বাড়াতে প্রচারে বেরিয়ে তিনি এক ব্যক্তির গায়ে সাবান মাখিয়ে দিয়েছিলেন। সেবারও সেই ছবি তুমুল ভাইরাল হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Myanmar Sittwe Port: ইরানের চাবাহারের পর মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের রাশ নিল ভারত, টেক্কা চিনকে?

    Myanmar Sittwe Port: ইরানের চাবাহারের পর মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের রাশ নিল ভারত, টেক্কা চিনকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের চাবাহার বন্দরের পর এবার দ্বিতীয় ওভারসিজ বন্দর পরিচালনার অধিকার পেল ভারত। সিটওয়ে (Myanmar Sittwe Port) নামের এই বন্দরটি রয়েছে কালাদান নদীর ওপর। এই বন্দর পরিচালনার জন্য ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডের একশো শতাংশ মালিকানাই পোর্টস, শিপিং এবং জলপথ মন্ত্রকের।

    চিন-ভারত রেষারেষি! (Myanmar Sittwe Port)

    বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারে মেতেছে চিন ও ভারত। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরের দায়িত্ব নিয়েছে চিন। আফ্রিকার ডিজবাউটি বন্দরের দায়িত্বও নিয়েছে ড্রাগনের দেশ। বাংলাদেশ ও মলদ্বীপের বন্দরেও লগ্নি করবে বলে ওই দুই দেশের সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে বেজিং। চিনের এই অর্থনৈতিক আগ্রাসনের জেরে উদ্বেগে ভারত। তার পরেই একের (Myanmar Sittwe Port) পর এক ওভারসিজ বন্দর পরিচালনার ভার নিতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। এই তালিকায় প্রথমেই ছিল ইরানের ছাবাহার বন্দর। এবার তালিকায় ঢুকে পড়ল মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরও। এই বন্দরটি কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট পরিবহন প্রকল্পের অংশ। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল, কলকাতার সমুদ্র বন্দরকে সমুদ্রপথে সিটওয়ে বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা। গত বছরের মে মাস থেকে সিটওয়েতে নোঙর করছে মালবাহী জাহাজ।

    ভারতীয় জাহাজকে স্বাগত মায়ানমারে

    কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে যায় প্রথম জাহাজটি। জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে ভারতের তরফে উপস্থিত ছিলেন পোর্টস, শিপিং ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল এবং মায়ানমারের তরফে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডমিরাল তিং আং সান। মায়ানমারের এই বন্দরের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজাগের যোগাযোগ সুগম হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাইপাসের মাধ্যমে পৌঁছে যাওয়া যাবে বাংলাদেশে। মায়ানমারের এই বন্দরের মাধ্যমে যে লেনদেন হবে, পুরোটাই হবে ভারতীয় মুদ্রায়। জানা গিয়েছে, বন্দর পরিচালনার পুরো দায়িত্বই থাকবে ভারতের হাতে। ভারতের নিজস্ব বন্দরগুলির রাশ যেভাবে রয়েছে স্বদেশের হাতে, তেমনিই সিটওয়ের রশিও থাকবে ভারতের হাতে। মনে রাখতে হবে, ছাবাহার বন্দরের চেয়েও সিটওয়েতে (Myanmar Sittwe Port) ভারতের দখলদারি বেশি। কারণ, ছাবাহারে মাত্র দুটি টার্মিনাল পরিচালনা করতে পারে ভারত। সিটওয়ের ক্ষেত্রে করবে পুরোটাই।

    কী লাভ হল ভারতের?

    সিটওয়ের ক্ষেত্রে চুক্তি পুনর্নবীকরণ হবে প্রতি তিন বছর অন্তর। বন্দরের লিজের মেয়াদ দীর্ঘ হওয়ায় উপকৃত হবে ভারত। যুদ্ধবিধ্বস্ত রাখাইন প্রদেশের সিটওয়ে বন্দরটিতে ভারত বিনিয়োগ করবে ৪৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কালদান মাল্টি মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের অধীনে হবে সিটওয়ের কাজ। কালদান মাল্টি মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের জলপথ ও সংযোগকারী রাস্তা চালু হয়ে গেলে সিটওয়ে বন্দরের মাধ্যমে ভারতের পূর্ব উপকূলকে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। মিজোরাম ও হলদিয়া বা কলকাতা বা কালাদান নদীর মধ্যে দিয়ে যে কোনও ভারতীয় বন্দরের মধ্যে একটি বিকল্প জলপথ হয়ে উঠবে। যে পথে অনায়াস হবে কার্গোশিপ পরিবহন। কালদান প্রজেক্টের মাধ্যমে উপকৃত হবে উত্তরপূর্বের রাজ্য ত্রিপুরাও। জানা গিয়েছে, সিটওয়ে বন্দরের রাশ ভারতের হাতে চলে আসায় কলকাতা ও ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা এবং মিজোরামের রাজধানী আইজলের মধ্যে পণ্য পরিবহন খরচ কমে যাবে পঞ্চাশ শতাংশ। সময়ও প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    উদ্বেগের কারণ

    গৃহযুদ্ধে দীর্ণ মায়ানমার (Myanmar Sittwe Port)। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সে দেশে চলছে সেনার শাসন। তা সত্ত্বেও মায়ানমারকে ভারত বরাবর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে তার ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কারণে। আরও একটি কারণ রয়েছে। সেটি হল, উত্তর-পূর্বের কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ভারতের প্রয়োজন মায়ানমারের সাহায্য। এমতাবস্থায় মায়ানমারের একটি বন্দরের রাশ হাতে নেওয়ায় অ্যাডভান্টেজ নয়াদিল্লি। মায়ানমারের এই বন্দরের রাশ ভারতের হাতে এলেও, উদ্বেগ কমেনি এতটুকুও। কারণ যে রাখাইন প্রদেশে সিটওয়ে বন্দরটি রয়েছে, সেটি সামরিক শাসক ও বিদ্রোহীদের সংঘাতে দীর্ণ। সিটওয়ে প্রকল্পটির আয়ু কতদিন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ বিদ্রোহীরা রাখাইন প্রদেশের দখল নিয়ে নিলে, এই বন্দরে কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে ভারতের। তবে ভূকৌশলগত অবস্থান বিবেচনা করেই সিটওয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ভারত (Myanmar Sittwe Port)।

    আরও পড়ুুন: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Keshpur: “দলীয় কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারল তৃণমূল,” বললেন বিজেপি জেলা সভাপতি

    Keshpur: “দলীয় কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারল তৃণমূল,” বললেন বিজেপি জেলা সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর (Keshpur)। এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনটাই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। ভোটের মুখে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলল বিজেপি। এই ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Keshpur)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশপুর (Keshpur) ব্লকের ২ নম্বর অ়ঞ্চলের গোপীনাথপুর এলাকায় বিজেপির স্থানীয় এক বুথ সভাপতি অঙ্কন নিয়োগীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। দলীয় পতাকা লাগানোর সময় এই হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি দলীয় পতাকা ছিঁড়়ে দেওয়া হয়েছে। দুটি ঘটনাতেই অভিযুক্ত তৃণমূল। খবর পেয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাস আহত বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আনন্দপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের গড়ে বিজেপি নেতার ছেলেকে ‘অপহরণ’ তৃণমূলের! মামলা হাইকোর্টে

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এ-প্রসঙ্গে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, কিছুদিন আগে কেশপুরে (Keshpur) এসে দেব বলে গিয়েছিলেন, আমি চাইনা এই সন্ত্রাস হোক, রক্ত ঝড়ুক। তিনি চলে যেতেই আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল। এলাকায় দলীয় পতাকা লাগানোর সময় আমাদের এক সক্রিয় বিজেপি কর্মী অঙ্কন নিয়োগীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে দলীয় কর্মীরা পতাকা লাগাচ্ছিলেন। ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাতে আসে তৃণমূলের লোকজন। আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করলে পালিয়ে যায়। আমি সাংসদ ও এখানকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে সন্ত্রাস না করার অনুরোধ করবো। এলাকার গরিব মানুষের প্রাপ্য অধিকার তৃণমূল চুরি করেছে। মানুষ পাশে নেই তৃণমূলের। নির্বাচনের ফলে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। যদিও স্থানীয় তৃণমূলে নেতৃত্বের বক্তব্য,  হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। আমাদের দলের নামে বদনাম দিচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি নেতার ছেলেকে ‘অপহরণ’ তৃণমূলের! মামলা হাইকোর্টে

    South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি নেতার ছেলেকে ‘অপহরণ’ তৃণমূলের! মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল বিজেপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ডহারবার থেকে বিজেপি নেতা তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলেকে অপহরণের অভিযোগে সরব হলেন গেরুয়া নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। অপহরণ করে দলবদলের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবারের বজবজ ২ নম্বর ব্লকের নোদাখালি থানার সাতগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কৌশিক খাঁড়ার ছেলে বিগত ১ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ। এরপর থানায় এফআইআর দায়ের করতে গেলে তা নেওয়া হয় না এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। ৫ তারিখ ডায়মন্ড হারবারের এসপি-এর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানায় পরিবার। কিন্তু, প্রায় ১০ দিন হতে চলল এখনও কোনও খোঁজ নেই। স্বাভাবিকভাবে পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত। কৌশিকবাবু বলেন, ছেলে খোঁজে এক তৃণমূল নেতার কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য বলেন। দলে যোগ দিলে এক সপ্তাহের মধ্যে ছেড়ে দেবে।

    আরও পড়ুন: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

    মামলা গড়াল হাইকোর্টে

    বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, ডায়মন্ড হারবারের আর এক পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ সামন্তের মেয়েকেও অপহরণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এলেই সব সমাধান হয়ে যাবে বলে হুমকি আসছে প্রতিনিয়ত। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ছেন তিনি। তিনি, এটাই কি ডায়মন্ড হারবার মডেল? এখানে তৃণমূল কীভাবে ভোট করাবে তা বোঝাই যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    যদিও এই বিষয় বুধবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুপান্তর সেনগুপ্ত বলেন, ইতিমধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে নোদাখালি থানাতে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ আমরা খতিয়ে দেখছি। এর সঙ্গে কোন রাজনৈতিক যোগ আছে কিনা সে বিষয়েও খতিয়ে দেখছি। আমরা খুব শিগগিরই নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পাব এমনটাই আশা করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “৩৭০ ধারা রদ করায় অম্বেডকরের আত্মা আশীর্বাদ করছেন”, বললেন মোদি

    PM Modi: “৩৭০ ধারা রদ করায় অম্বেডকরের আত্মা আশীর্বাদ করছেন”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করায় বিআর অম্বেডকরের (সংবিধান রচয়িতা) আত্মা আমায় আশীর্বাদ করবেন।” বুধবার নাগপুরের কানহান শহরের এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ৩৭০ ধারা রদ (PM Modi)

    সেখানে এনডিএ প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরের যে বিশেষ মর্যাদা ছিল তা লোপ করা হয়েছে। তাই অম্বেডকরের আত্মা আমায় আশীর্বাদ করবেন।” দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে গিয়ে বিরোধীরা বলেছিলেন, মোদি ফের ক্ষমতায় এলে বিপন্ন হবে সংবিধান এবং গণতন্ত্র। এদিনের সভায় তারই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এসব কথা বলে বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। বিরোধীরা তাঁকে আক্রমণ শানানোয় আদতে যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর আসন বাড়বে, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    বিরোধীদের নিশানা মোদির

    তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে সংবিধানের যদি এতই গুরুত্ব ছিল, তাহলে কেন তা গোটা দেশে প্রয়োগ করা হয়েছিল না? কেন ভূস্বর্গ থেকে রদ করা হয়নি ৩৭০ ধারা? বিরোধীরা এটা করেননি, কারণ বিচ্ছন্নতাবাদীদের সম্পর্কে তাঁদের দুর্বলতা ছিল।” তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা রদ হওয়ায় কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের দলিত এবং উপজাতির মানুষও সাংবিধানিক অধিকার পাচ্ছেন। কংগ্রেসের রাজত্বে তো ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি হত।” তাঁর তোপ, “বিরোধীরা দেশের ঐতিহ্য-বিরোধী, উন্নয়ন-বিরোধী।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করায় অম্বেডকরের আত্মা আমায় আশীর্বাদ করবেন।”

    আরও পড়ুুন: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

    তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে উন্নয়নের বাকি থাকা কাজগুলি সেরে ফেলতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে যে কাজ আমি করেছি, সেটা ট্রেলর মাত্র, মেইন কোর্স এখনও বাকি রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামী পাঁচ বছরে, আপনাদের স্বপ্ন হল মোদির সংঙ্কল্প। আমার জীবনের প্রতিটি ক্ষণ, মুহূর্ত আপনাদের কল্যাণে নিয়োজিত এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ হবে ২৪x৭।” বিজেপির এই তারকা প্রচারক (PM Modi) বলেন, “আসন্ন নির্বাচন কেবল সাংসদ নির্বাচনের জন্য নয়, এই ভোট আগামী হাজার বছরে ভারতের ভিত্তিকে মজবুত করবে।” প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্রে নির্বাচন হবে প্রথম দফায়, ১৯ এপ্রিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন।” বুধবার এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশের কঠিন কাজগুলি করতেই যে ঈশ্বর তাঁকে বেছে নিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভগবানের দান (PM Modi)

    তিনি বলেন, “শোনার ক্ষমতাটাও নেতৃত্ব দেওয়ার একটা বড় গুণ। ভগবান আমায় এই গুণটি দিয়েছেন। আমি নিয়মিত এর চর্চাও করি। আরও একটি গুণ আমায় ভগবান দিয়েছেন, সেটি হল আমি সব সময় কাজেই রয়েছি। ফোন কল করে কিংবা মেসেজ করে বা অন্য কিছু করে সময় নষ্ট করি না। যখনই আমি কিছু করি, তখনই আমি তাতে একশো শতাংশ নিয়োজিত হই, সেই কাজের সাগরে ডুবে যাই।”

    আদর্শ নেতার গুণ

    একজন ভালো নেতার কী কী গুণ থাকা উচিত, এই সাক্ষাৎকারে তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তাঁর মতে, নেতার ওপরতলা থেকে নিচুতলা পর্যন্ত সমস্ত খবরাখবর নখদর্পনে থাকবে। তৃণমূল স্তরেও থাকবে তাঁর নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ। সেই যোগাযোগ এমনই হবে, যে যখনই কোনও ঘটনা ঘটবে, তখনই সেটি সরাসরি তাঁর কানে পৌঁছবে।

    আরও পড়ুুন: ভারতে আসছেন টেসলা কর্তা, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরেই লগ্নির ঘোষণা মাস্কের!

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম (গুজরাটের), রাত তিনটেয় একজন ফোন করেছিলেন। কার্জন নামে একটি শহর থেকে কলটা এসেছিল। সচরাচর এত রাতে কেউ একজন মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও বিষয়ে সতর্ক করেন না। কিন্তু আমার অধঃস্তনরা আমার কাজের ধরন জানতেন। তাই তাঁরা আমায় সতর্ক করে দিয়েছিলেন। ওই শহরে একটি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন লোকটি। তিনি বলেছিলেন, আগের দিন আমি যখন তাঁর বাড়িতে খেতে গিয়েছিলাম তখন তিনি আমায় দেখেছিলেন। তাই আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি সরাসরি আমায় ফোন করেছিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কারণ কী? তিনি আমায় বলেছিলেন, তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে রেল লাইন গিয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটানো হতে পারে সেখানেই। সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাটি জেলা প্রশাসনকে জানাই, রেলের আধিকারিকদের জানাই, ঘটনাটির বিষয়ে খোঁজ নিতে। তাঁরা কেউই আগে এ ব্যাপারে কোনও খবর পাননি। তার জেরেই সেবার রোখা গিয়েছিল দুর্ঘটনা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি প্রতি মাসে হাজার হাজার চিঠি পাই। সেগুলি পড়ে দেখি আমায় নিয়ে মানুষের আবেগ-আশা-ভরসা কতখানি। মন কি বাতের অনুষ্ঠান শুনেই তাঁরা আমায় চিঠি দেন (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share