Tag: Bengali news

Bengali news

  • Suvendu Adhikari: “দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মমতা ও তাঁর শাগরেদ পার্থ,” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মমতা ও তাঁর শাগরেদ পার্থ,” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সোমবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ বরাহারে জনসভা করতে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি মঞ্চে রয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার, জেলার তিন বিজেপি বিধায়ক, সন্দেশখালির তিন মহিলা সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।  

    তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন সুকান্ত

    মঞ্চ থেকে সুকান্ত বলেন, কয়লা চুরি, বালি চুরির পাশাপাশি সবুজ সাথির সাইকেল চুরি করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকে সভা করে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে এই সভা হয়।  সুকান্ত মজুমদারের হয়ে সভাতে আসেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । সভা থেকে সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, তৃণমূল মানুষদেরকে ভয় দেখাচ্ছে যে আধার কার্ড বাতিল হবে। আমি এই মঞ্চ থেকে বলছি, একটা আধার কার্ড বাতিল হবে না। আধার কার্ড বাতিল না হলে তৃণমূল নেতাদেরকে বিজেপি কর্মীরা জুতার বাড়ি মারবেন, আমি এই মঞ্চ থেকে বলে গেলাম। আমি আরও এই মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের বলছি, আপনারা লাঠিতে তেল দিয়ে রাখুন, ভোটের দিন তৃণমূল খেলা হবে বলে ছাপ্পা দিতে আসলেই ছক্কা মেরে দেবেন।

    আরও পড়ুন: ভোটের পরেই কি মুখ্যমন্ত্রী বদল! ইঙ্গিত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Suvendu Adhikari)

    এস‌এসসির চাকরিতে অতিরিক্ত শিক্ষক পদ তৈরিতে অভিযুক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ২০২২ সালের ৫ মে মন্ত্রীসভায় উপস্থিত সকলকে সিবিআই হেফাজত নেওয়ার দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । সোমবার বিকেলে কুমারগঞ্জের জনসভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “ডিভিশন বেঞ্চ অতিরিক্ত পদ তৈরি কারীদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।” তা হলে ২০২২ সালের ৫ মে মন্ত্রী সভার বৈঠক করে বাড়তি শিক্ষক পদ অনুমোদন করা হয়েছিল। ওই বৈঠকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের অবিলম্বে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হোক বলে শুভেন্দু দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, “যাদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু, এদের দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শাগরেদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৩০ লক্ষ কর্ম প্রার্থীর সর্বনাশ করেছিলেন যাঁরা আজ তাঁদের সর্বনাশ হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ভোটের মুখে অর্জুনের গড়ে রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Barrackpore: ভোটের মুখে অর্জুনের গড়ে রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের রক্ত ঝড়ল বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভার বাসুদেবপুর থানার জগদ্দল বিধানসভার  কাউগাছি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অম্বিকাপল্লিতে। বিজেপির জগদ্দল মণ্ডল-৪-এর  সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব করকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে তাঁর বাড়িতে দেখতে যান অর্জুন সিং।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপ্লববাবু স্থানীয় বিজেপি নেতা। বারাকপুরে (Barrackpore) দলীয় প্রার্থীর হয়ে দেওয়াল লিখন, বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন তিনি। শাসক দলের স্থানীয় নেতারা তা মেনে নিতে পারছে না বলে বিজেপির অভিযোগ। হনুমান জয়ন্তী পুজো নিয়ে বিপ্লববাবুর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী বিশাল সিংয়ের বচসা হয়। বিশাল তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। সোমবার ভোর রাতে বাড়ির বাইরে শৌচালয়ে যেতেই তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মী বিশালের লোকজন হামলা চালায়। বিপ্লববাবুর বাঁ হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আক্রান্ত বিজেপি নেতা বিপ্লব কর বলেন, আসলে এলাকায় আমি বিজেপির নেতৃত্ব দিই। সেটা তৃণমূলের লোকজন মেনে নিতে পারে না। তাই, সামান্য কারণে আমার সঙ্গে ঝগড়া করে পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আসলে পাড়ার মন্দিরে হনুমান জয়ন্তী পালন করা নিয়ে তৃণমূল কর্মী বিশাল সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়েছিল। সকলের অনুমতি ছাড়া হনুমান জয়ন্তী করা যাবে না বলে বিশালকে আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম। সেটা ও মেনে নিতে পারিনি। সামান্য বিষয় নিয়ে ও আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, আসলে তৃণমূল এলাকায় তোলাবাজি করে। পুজোর নাম করে তোলাবাজির চেষ্টা করছিল। আমাদের ওই এলাকার দলীয় নেতা তার প্রতিবাদ করেছিল। তাই ওর ওপরে এরকম হামলা হল। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। যদিও এই ঘটনা নিয়ে কাউগাছি-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ-প্রধান শেখ ইমতিয়াজ আলি বলেন, এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। পড়শিদের মধ্যে কোনও কারণে ঝামেলা হয়েছে। অকারণে রাজনীতিকে জড়াচ্ছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: সুরাট লোকসভা কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতল বিজেপি

    Loksabha Election 2024: সুরাট লোকসভা কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় গেরুয়া শিবিরের। মোদি-শাহের রাজ্য গুজরাটের সুরাট আসনটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতল বিজেপি। ওই আসন থেকে ভোটের আগেই সাংসদ নির্বাচিত হয়ে গেলেন বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালাল। রবিবারই দক্ষিণ গুজরাতের এই কেন্দ্রের আসনে কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভনির মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। সোমবার ওই আসনে বাকি ৮ জন বিরোধী প্রার্থী নিজেরাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। যার ফলে এদিনই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) প্রথম সাংসদ হয়ে গেলেন মুকেশ দালাল।

    ৭ মে গুজরাটের ২৬ আসনেই এক দফাতে ভোট

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই অরুণাচল প্রদেশে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেখানেও ৭ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় (Loksabha Election 2024) যেতেন বিজেপি প্রার্থীরা, যার মধ্যে ছিলেন ঐ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। আগামী ৭ মে গুজরাটের ২৬ আসনেই এক দফাতে ভোট হতে চলেছে এবং সোমবারই ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। জানা গিয়েছে ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীর প্রস্তাবকদের যে সই ছিল সেখানেই গরমিল ধরা পড়ে। তারসঙ্গে ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার।

    আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালের জামিন চেয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    কী বলছেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    দালালের জয়ে উল্লসিত গুজরাত বিজেপির সভাপতি সিআর পাটিল সোমবার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘সুরাত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রথম ‘পদ্ম’ উপহার দিল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য সুরাত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মুকেশভাই দালালকে অভিনন্দন।” প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৮০ সালের লোকসভা ভোটে (Loksabha Election 2024) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জম্মু-কাশ্মীরে শ্রীনগর থেকে জয়ী হয়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা। ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশে লোকসভার উপ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “সিয়াচেন ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বললেন রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: “সিয়াচেন ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিয়াচেন (Siachen) ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বলে মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন পরিদর্শনে গিয়ে এমনই বললেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Ministar)। সোমবার সকালেই দিল্লি থেকে সিয়াচেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সিয়াচেনে পৌঁছে তিনি বেস ক্যাম্পে (Siachen base camp) বীর সৈনিকদের স্মৃতিসৌধে পুস্তস্তবক অর্পণ করে সাহসী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    কী বললেন রাজনাথ?

    রাজনাথ সিং পৌঁছতেই জওয়ানরা ‘ভারত মাতা কি জয়’ প্রতিধ্বনিতে সিয়াচেন মুখরিত করে তোলেন। এরপর সেখানকার বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে সময় কাটান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সিয়াচেন হিমবাহের কুমার পোস্টে মোতায়েন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করে মিষ্টিমুখও করেন তিনি। এরপর রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে আপনারা যেভাবে দেশকে রক্ষা করেছেন, তার জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই। সিয়াচেন কোনও সাধারণ জায়গা নয়। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অধ্যাবসার প্রতীক। আমাদের জাতীয় সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব করে সিয়াচেন। আমাদের রাজধানী দিল্লি, মুম্বই আমাদের অর্থনৈতিক রাজধানী, আমাদের প্রযুক্তির রাজধানী বেঙ্গালুরু, কিন্তু সিয়াচেন বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী।”

    আরও পড়ুনঃহাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    ৪০ বছর পূর্ণ ‘অপারেশন মেঘদূত’

    জানা গেছে, এই অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডের সাথে এদিন সাক্ষাত করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ১৩ এপ্রিল ভারতীয় সেনাবাহিনীরা পাকিস্তানকে পরাজিত করে সিয়াচেনকে রক্ষা করে ‘অপারেশন মেঘদূত’ মিশনের মাধ্যমে। ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ সালে ‘অপারেশন মেঘদূত’ ৪০ বছর পূর্ণ করেছে। সেই স্মৃতির উদযাপনেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সিয়াচেন পরিদর্শন। উল্লেখ্য, প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় কারাকোরাম পর্বতমালায় অবস্থিত। সিয়াচেন হিমবাহ বিশ্বের সর্বোচ্চ সামরিক অঞ্চল হিসাবে পরিচিত, যেখানে সৈন্যদের তুষারপাত (snowfall) এবং প্রবল ঝড়ের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করে দেশকে রক্ষা করতে টিকে থাকতে হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Pradesh: ফের ভোট অরুণাচলে! ৮টি বুথে হবে পুনর্নির্বাচন, জানাল কমিশন

    Arunachal Pradesh: ফের ভোট অরুণাচলে! ৮টি বুথে হবে পুনর্নির্বাচন, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের ৮টি বুথে ফের পুনর্নির্বাচন হবে। অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) মুখ্যনির্বাচনী অধিকারী লিকেন কোয়ু সোমবার জানিয়েছেন, “আগামী ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ওই বুথগুলিতে ফের ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত শুক্রবার ভোট গ্রহণে অনিয়ম, হিংসা ও ইভিএম মেশিনে গোলযোগের কারণে পুনর্নির্বাচনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” উল্লেখ্য উত্তরপূর্ব অঞ্চলের মধ্যে মণিপুরে কিছু কেন্দ্রে আরও একবার ভোট নেওয়ার কথা কমিশন আগেই জানিয়েছে।  

    কোন কোন বুথে পুনর্নির্বাচন (Arunachal Pradesh)?

    অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) যে বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচন হবে তার মধ্যে রয়েছে, তার মধ্যে হল, পূর্ব কামেং জেলার বামেং বিধানসভা কেন্দ্রের সারিও, কুরুং কুমেয়ের নিয়াপিন বিধানসভা আসনের লংটে লথ, ডিংসের, বগিয়া সিয়ুম, জিম্বারি এবং আপার সুবনসিরি জেলার নাচো বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে লেঙ্গি ভোটকেন্দ্র। এছাড়া সিয়াং জেলার রামগং বিধানসভা কেন্দ্রের বোগনে এবং মোলোম বুথেও পুনর্নির্বাচন হবে।

    আরও পড়ুনঃ অঙ্কিতা-ববিতার পর এবার চাকরি গেল অনামিকারও, হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ

    ২০১৯ সালে নিরঙ্কুশ জয় পায় বিজেপি

    শুক্রবার অরুণাচল (Arunachal Pradesh) প্রদেশের দুটি লোকসভা আসনের পাশাপাশি বিধানসভার ভোটগ্রহণ হয়েছে। এই রাজ্যের ৬০টি বিধানসভার (Assembly election) মধ্যে ইতিমধ্যেই সাতটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি। কংগ্রেস ২০১৪ সালে বিধানসভা ভোটে জিতে অরুণাচল প্রদেশের সরকার গঠন করলেও পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পেমা খাংডু। এরপর তিনি সেখানে বিজেপির (BJP) হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন। ২০১৯ সালের ভোটে সেখানে নিরঙ্কুশ জয় পায় বিজেপি। এবার ময়দানে কংগ্রেস (congress), এনপিপি সহ একাধিক দল থাকলেও সেখানে বিজেপির ক্ষমতা ফিরে আসার বিষয় কার্যত নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভার ভোটের গণনা দেশ জুড়ে ৪ জুন হলেও অরুণাচলের বিধানসভার ভোটের গণনা হবে ২ জুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: কেজরিওয়ালের জামিন চেয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    Arvind Kejriwal: কেজরিওয়ালের জামিন চেয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) Extraordinary Bail চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। সোমবারই তা খারিজ হয়ে গেল। ওই আর্জিতে বলা হয়েছিল, কেজরিওয়ালের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ পূর্ণ হওয়া এবং যতক্ষণ না সমস্ত মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত যেন জামিন মঞ্জুর করা হয়। দিল্লি হাইকোর্টের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনমিত মিত্র প্রীতম সিং-এর ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীর আর্জি খারিজ করে দেয় এবং এর পাশাপাশি আবেদনকারীকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

    ভিত্তিহীন আর্জি

    এর কারণ হিসেবে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে আর্জি একেবারেই ভিত্তিহীন। এর স্বপক্ষে কোনও কারণ নেই। এমনকি এই জনস্বার্থ আবেদনের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) আবেদনকারীকে কোনও পাওয়ার অফ অ্যাটর্নিও দেননি। দিল্লি হাইকোর্টেবল সাফ জানিয়েছে, আম আদমি পার্টির নেতা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন আদালতেরই নির্দেশে। জানা গিয়েছে, এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন ‘উই দা পিপল অফ ইন্ডিয়া’ নামে আইন বিষয়ের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্র। আদালতের আরও মন্তব্য একজন উচ্চ সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিকে এ ধরনের Extraordinary Bail দেওয়া যায় না।

    আবেদনকারীর বক্তব্য

    ওই আবেদনকারী আরও জানিয়েছেন, তাঁর আবেদন যে তিহার জেলে অসংখ্য দাগী অপরাধী সাজা কাটছে। তাদের মধ্যে বোম বিস্ফোরণ, ধর্ষণ খুন ডাকাতি এই সমস্ত মামলার অপরাধীরা রয়েছে। এরকম একটি পরিবেশে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে অস্থায়ী বিচারপতি মনমোহন আবেদনকারীর উদ্দেশে বলেন, আপনি কি রোজ আইনের ক্লাসে উপস্থিত থাকেন? আমার তো মনে হয় না! তার কারণ আপনি আইনের মূলনীতি আদর্শের কিছুই বোঝেন না।

    কেজরিওয়ালের আইনজীবীও এই জনস্বার্থ মামলার বিরোধী

    আদালত এদিন আরও বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছে, আবেদনকারী পার্সোনাল বন্ডে কেজরিওয়ালের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তদন্তে মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রভাব খাটাবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ওই আবেদনকারী। ঘটনাক্রমে কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) হয়ে মামলা লড়ছেন যিনি রাহুল মেহেরা, তিনিও এই পিটিশনের বিরোধ করেছেন। এটিকে তিনি বলেছেন যে পাবলিসিটির জন্য এ ধরনের পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। প্রসঙ্গত আবগারি দুর্নীতি মামলায় মার্চের ২১ তারিখে গ্রেফতার হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: অঙ্কিতা-ববিতার পর এবার চাকরি গেল অনামিকারও, হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ

    SSC Recruitment Scam: অঙ্কিতা-ববিতার পর এবার চাকরি গেল অনামিকারও, হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার জায়গায় ববিতা, তার জায়গায় অনামিকা। মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো আদালতের নির্দেশে এবার অনামিকারও স্কুল শিক্ষিকার চাকরি গেল। নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় সোমবার হাইকোর্ট প্রায় ২৬ হাজার জনের নিয়োগ বাতিলের রায় দিয়েছে। সেই তালিকায় শিলিগুড়ির অনামিকা রায়ের নাম রয়েছে। তিনি মনে করেন,  অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের চাকরি যাচ্ছে, বারবার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এক বড় মানসিক ধাক্কা।

    কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন অনামিকা?(SSC Recruitment Scam)

    নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় তৃণমূল নেতা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি যায়। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই পদে চাকরি পান শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। ফের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০২৩ সালে চাকরি যায় ববিতার। তাঁর জায়গায় চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া জলপাইগুড়ির জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের হরিহর হাইস্কুলে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। সোমবার তারও চাকরি গেল।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

     হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ অনামিকা

    এদিন হাইকোর্টের রায় বের হওয়ার আগেই স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনামিকা। স্কুলে বসে চাকরি হারানোর খবর পান তিনি। চাকরি যাওয়ার খবর শোনার কিছুক্ষণ বাদেই ফিরে আসেন শিলিগুড়ির পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লির বাড়িতে। তিনি বলেন, মামলা করেছিলাম। এদিন রায় বের হবে জানতাম। কিন্তু, এই ধরনের রায় হবে ভাবতেও পারিনি। বিচার ব্যবস্থার প্রতি যে আস্থা ছিল তা কিছুটা ক্ষুন্ন হল। অযোগ্যদের জন্য এই রায়। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের চাকরি যাচ্ছে। বারবার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এভাবে চাকরি হারানোটা বড় মানসিক ধাক্কা। যারা অযোগ্য তাদের বাতিল করতে পারত। কেননা সিবিআই তদন্ত করে নিশ্চয় বের করেছে কাদের নিয়োগে অনিয়ম রয়েছে। হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ অনামিকা। চাকরি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব। আমি চাকরি ফিরে পাব। কেননা আমার নিয়োগে কোথাও কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) হয়নি। 

     তৃণমূল সরকারকে বরখাস্তের দাবি রাজু বিস্তার

    বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা বলেন, যাদের চাকরি গেল তাদের কোনও দোষ নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে, আদালতের রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বরখাস্ত করা দরকার। কেননা তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী ও তাদের ‘চামচা’রা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে। তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সবচেয়ে হাস্যকর বিষয়, যে সরকার নিয়োগ দুর্নীতি করেছে, সেই সরকারই আবার আদালতে গিয়ে বলছে নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। তাই আগে তৃণমূল সরকারকে বরখাস্ত করা দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: একমাত্র চাকরি যায়নি এই শিক্ষিকার, সেই সোমা দাস কী বলছেন?

    Recruitment Scam: একমাত্র চাকরি যায়নি এই শিক্ষিকার, সেই সোমা দাস কী বলছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta highcourt) নির্দেশে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে সোমবার। চাকরি হারালেন প্রায় ২৬ হাজার সরকারি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী। শুধু চাকরি যায়নি একজনের। ব্যতিক্রমী ভাবে বহাল রইল বীরভূমের শিক্ষিকা সোমা দাসের (soma das) চাকরি। তিনি নলহাটির (nalhati) এক নম্বর ব্লকের মধুরা হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষিকার পদে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু কোন যুক্তিতে তাঁর চাকরিতে বহাল রাখল আদালত? এটাও একটা মানুষের মনে প্রশ্ন।

    চাকরিতে বহাল রাখল শুধু সোমা

    সোমবার শিক্ষক দুর্নীতি (ssc) মামলার ২৮১ পাতার রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি জানিয়েছেন, “সোমা দাস যেহেতু ক্যান্সার আক্রান্ত। তাই মানবিকতার স্বার্থে তাঁর চাকরি বাতিল করা হয়নি। তিনি আগের মতই শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করতে পারবেন।” চাকরি যায়নি শুনে খুশি হয়েছেন সোমা। তিনি বলেন যোগ্য প্রার্থীদের পাশে আছি তাঁরা যেন চাকরি পান।

    প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন সোমা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের নির্দেশে বছর খানেক আগে চাকরিতে যোগদানের সুপারিশ পত্র পেয়েছিলেন বীরভূমের (birbhum) সোমা দাস। কলকাতা হাইকোর্টের আবেদনকে মান্যতা দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যেহেতু সোমা দাস ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই তাঁকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়। এরপর তিনি বীরভূমের নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের মধুরা হাইস্কুলের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সোমার চাকরি পাওয়ার রাস্তা মসৃণ ছিল না। ২০১৯ সালে কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে যে চাকরি প্রার্থীরা কয়েক মাস আন্দোলন অনশন চালিয়েছিল তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    কী বললেন সোমা?

    বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দার সোমা। তাঁর কর্কট রোগের চিকিৎসা চলছিল। পরবর্তীকালে তিনি চাকরি পেলেও সেদিনের আন্দোলনের কথা আজও মনে রয়েছে সোমা দাসের। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তাঁর চাকরি বহাল থাকলে সহযোদ্ধাদের প্রতি তার সমর্থন আজও রয়েছে আগের মতই। বাংলার শিক্ষিকা সোমা এদিন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “দুর্নীতি যে হয়েছিল তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সবার আগে দুর্নীতিকে চিহ্নিত করে দেন। তাঁকে নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তিনি যা বলে ছিলেন যা করে ছিলেন আজকের রায় সেই বিচারেরই সত্যতা প্রমাণ করল। আজও অনেক যোগ্য প্রার্থী চাকরি পায়নি। তাঁদের জন্য খারাপ লাগছে। আমি চাইব তাঁদের যেন দ্রুত চাকরি হয়। চাকরি হওয়ার মতন উপযুক্ত পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    SSC Recruitment Scam: হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Recruitment Scam) মামলায় যুগান্তকারী রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সোমবার বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের প্যানেল। চাকরি খুইয়েছেন ২৩ হাজার ৭৫৩ জন। হাইকোর্টের নির্দেশে দেখা দিয়েছে জটিলতা। বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশন।

    কী হবে চাকরি খোয়ানোদের নিয়ে? (SSC Recruitment Scam)

    এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার। পরের দফার নির্বাচন হবে ২৬ এপ্রিল। এই দফায় যাঁরা ভোটের ডিউটিতে যাবেন, তাঁদের ট্রেনিং হয়ে গিয়েছে। ভোট নিতে যাওয়ার আগে যে প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়, তাও নিয়েছেন তাঁরা। তবে হাইকোর্টের এদিনের রায়ে চাকরি গিয়েছে এঁদের অনেকেরই। এমতাবস্থায় তাঁরা ভোটের ডিউটিতে (SSC Recruitment Scam) যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চাকরি খোয়ানো অযোগ্য শিক্ষকরা ভোটের ডিউটিতে যেতে পারবেন কিনা, চাকরি না থাকায় তাঁরা আদৌ যেতে রাজি হবেন কিনা, যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকে তাঁরা আর সরকারি কর্মী নন, তাই তাঁদের দিয়ে নির্বাচন করানো যাবে কিনা, এসব হাজারো প্রশ্ন উঠছে।

    কী বলছে কমিশন?

    রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের অ্যাডিশনাল সিইও অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “আমাদের ভোটকর্মীদের মধ্যে একটা অংশ শিক্ষক। তবে ভোট কর্মীদের ২০-২৫ শতাংশ রিজার্ভ থাকে। তাই তাঁদের দিয়েই ভোট করিয়ে নিতে পারব।” তিনি বলেন, “রিজার্ভ ফোর্সে থাকা ভোট কর্মীদের ডিসি অফিসে রিপোর্ট করার চিঠি চলে গিয়েছে। তাঁরা ডিসি অফিসে চলে যাবেন। ভোটের ডিউটি বণ্টনের দিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের রিজার্ভ ভোট কর্মী দিয়ে রিপ্লেস করা হবে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দয়ালু, তাই পুরো প্যানেল বাতিল করেননি’’, নিয়োগ-মামলায় হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১২ হাজার ৯৪৬ জন সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছিলেন। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৭৫৬ জন। গ্রুপ সি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল ২ হাজার ৬৭ জনকে। আর গ্রুপ ডি পদে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৫৫০ জন (SSC Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    Recruitment Scam: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন পুরোদস্তুর ভোটের হাওয়া। আর এরই মধ্যে রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam ) নিয়ে বিরাট রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court )। একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের ১২ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। অতিরিক্ত পদে নিয়োগকারীদের প্রয়োজনে নেওয়া যাবে হেফাজতে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। রাজ্য জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য (Recruitment Scam)

    তবে আদালতের এই রায়ে সম্পূর্ণ খুশি হতে পারছেন না আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র সহ অন্যান্যরাও। উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে এই রাসমণিই এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানের ১০০০তম দিনে প্রতিবাদ স্বরূপ নিজের মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন। মঙ্গলবার বিচারপতির রায় শুনে রাসমণি বলেন, “আদালত ও বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা ছিল। যারা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছে তারা যে যথাযথ শাস্তি পেয়েছে সেটা কাম্য। সত্যের জয় হয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “প্যানেল বাতিল (Recruitment Scam) আমাদের দাবি ছিল না। আমাদের দাবি ছিল যে অন্যায় আমাদের সঙ্গে হয়েছে, যে চাকরিটা আমাদের চুরি হয়েছে, সেটা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম, আমাদের ওএমআর সঠিক। আমরা র‌্যাঙ্কেও এসেছিলাম। তা হলে চাকরিটা কেন আমাদের দেওয়া হল না? আজকে রায়দানে পুরোপুরি খুশি হতে পারছি না। এখনও তো অনিশ্চয়তা রয়েছে। নতুন নিয়োগ (Recruitment) কবে হবে, কতদিনে প্যানেল প্রকাশ হবে তা এখনও সম্পূর্ণ দৃশ্যমান নয় আমাদের কাছে।”

    আরও পড়ুনঃ “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই”, দাবি সুকান্তর

    অন্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি

    সর্বোপরি ধর্নামঞ্চে থাকা অন্য চাকরিপ্রার্থীদেরও বক্তব্য, “অবৈধ উপায়ে চাকরি (Recruitment Scam) পাওয়া ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কেন বঞ্চিত করা হবে।” উল্লেখ্য মঙ্গলবার আদালতের তরফে বলা হয়েছে, টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট (OMR Sheet) পুনর্মূল্যায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সমস্ত ওএমআর শিটের কপি আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share