Tag: Bengali news

Bengali news

  • Indian Student: লন্ডনে ট্রাকের ধাক্কায় ভারতীয় পিএইচডি ছাত্রীর মৃত্যু! 

    Indian Student: লন্ডনে ট্রাকের ধাক্কায় ভারতীয় পিএইচডি ছাত্রীর মৃত্যু! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিদেশের মাটিতে ভারতীয় পড়ুয়ার (Indian Student) মৃত্যু। লন্ডনে সাইকেলে করে নিজের ঘরে ফেরার সময় ট্রাকের ধাক্কায় ছাত্রীটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত ছাত্রীর নাম চেস্থা কোছার। বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর। চেস্থা আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, অশোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেছিলেন। ঘটনার কথা আজ প্রকাশিত হলেও গত সপ্তাহেই এই মৃত্যু ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে।

    গতকালই আবার আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়ায় একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২১ বছরের এক ভারতীয় তরুণীর। নিহত তরুণীর নাম হল আর্শিয়া জোশি। এই বিষয়ে নিউ ইয়র্কের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তরুণীর দেহ যত দ্রুত সম্ভব ভারতে ফেরানো হবে। সূত্রে জানা গিয়েছে ওই তরুণী নিজে দিল্লির বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনায় পরিবারে ব্যাপক শোকের ছায়া। 

    নীতি আয়োগ দফতরের কর্মী ছিলেন চেস্থা (Indian Student)

    গবেষক ছাত্রী (Indian Student) চেস্থা কেন্দ্র সরকারের নীতি আয়োগ দফতরের কর্মী ছিলেন। ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই দফতরে কাজ করেছেন। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে বিহেভিয়ারল সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করছিলেন তিনি। এই কাজের সূত্রেই লন্ডনে থাকছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন অবসর প্রাাপ্ত লেফটন্যান্ট জেনারেল ডক্টর এস পি কোছার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার মহানির্দেশক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কোছার। তিনি অবশ্য প্রথমে সামাজিক মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যুর খবর পান।

    ১৯ মার্চ ঘটেছিল দুর্ঘটনা

    কোছারের একটি পোস্ট থেকে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সাইকেল করে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। লেফটেন্যান্ট কোছার এখন লন্ডনে রয়েছেন। মেয়ের (Indian Student) মৃতদেহ ফিরে পাওয়ার প্রশাসনিক কাজ শেষ হলে ভারতে ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। অপরদিকে লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে ফেরিংডন ও ক্লার্কেনওয়েলের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। ঘটনায় গুরুতর আঘাত পান চেস্থা। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়নি।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রেখা পাত্র বিজেপি-র প্রার্থী হতেই বক্স বাজিয়ে রং খেলায় মাতলেন সন্দেশখালিবাসী

    Sandeshkhali: রেখা পাত্র বিজেপি-র প্রার্থী হতেই বক্স বাজিয়ে রং খেলায় মাতলেন সন্দেশখালিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) নারী নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন। সেই প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট লোকসভায় প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। রেখা পাত্র প্রার্থী ঘোষণা হতেই সন্দেশখালিতে রবিবার রাত থেকে রং খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    সাউন্ড বক্স বাজিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন সন্দেশখালিবাসী (Sandeshkhali)

    গত কয়েকমাস ধরে জ্বলছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। সেখানকার দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে ভয়ে মুখ খোলার সাহস ছিল না কারও। পরবর্তীতে ইডি হানাকে কেন্দ্র করে খানিকটা বিপাকে পড়েন শেখ শাহজাহান। বাধ্য হন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করতে। কিন্তু, শাহজাহানের শাগরেদরা তখনও রীতিমতো নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এক পর্যায়ে এই দ্বীপ এলাকার বাসিন্দাদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। জনরোষ ব্যাপক আকার নেয়। রেখা পাত্রের নেতৃত্বে পথে নেমে আন্দোলন করেন মহিলারা। লোকসভায় এই সন্দেশখালিকে শাসকদলের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করে বিজেপি। প্রতিবাদী মুখ রেখার ওপর আস্থা রাখে পদ্মশিবির। আর তারপরই সন্দেশখালির বাসিন্দারা আনন্দে মেতে ওঠেন। রং খেলায় সামিল হন। সন্দেশখালির পুকুরপাড়ায় এদিন সকাল থেকে জোরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে মহিলাদের নাচ গান চলছে। রং খেলায় মেতে ওঠেন সকলে। তাঁরা বলছেন, “রেখা পাত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাই খুশিতে নাচছি। আমাদের গর্ব যে সন্দেশখালির আন্দোলনকারী মহিলা প্রার্থী হয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: তমলুকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি

    ১৩ বছর হোলি খেলা হয়নি!

    বিজেপি প্রার্থী রেখা বলেন, “সন্দেশখালিতে রবিবার রাত থেকেই রং খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৩ বছর ধরে আমি যে হোলি খেলা চোখে দেখতে পাইনি, সেই হোলি খেলা দেখলাম।”কেন এত বছর রং ছিল না সন্দেশখালিতে? বিজেপি প্রার্থী রেখার কথায়, “আমাদের সন্দেশখালির পরিস্থিতিটাই এমন ছিল। কেউ সাহসই পাননি রাস্তায় বেরিয়ে হোলি খেলবেন। মা বোনেদের বুকে সেই সাহসই ছিল না। এই আন্দোলনের পর সেই সাহসটা বেরিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Holi 2024: “বৈচিত্র্যময় সমাজে প্রাণবন্ত রঙ সহনশীলতার চেতনার প্রতীক”, হোলিতে বার্তা দ্রৌপদী মুর্মুর

    Holi 2024: “বৈচিত্র্যময় সমাজে প্রাণবন্ত রঙ সহনশীলতার চেতনার প্রতীক”, হোলিতে বার্তা দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু হোলিতে (Holi 2024) দেশের সকল নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একই ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক বার্তায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “হোলির শুভ উপলক্ষ্যে, আমি ভারতে এবং বিদেশে বসবাসকারী সমস্ত ভারতীয়দের আমার শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই।” সারা দেশ রঙের উৎসবে মেতে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে পালিত হচ্ছে দোল পূর্ণিমা এবং বসন্ত উৎসব। ছোট থেকে বড় সকল কচিকাচারা মেতে উঠেছে এই রঙের উৎসবে। উত্তর ভারতে পালিত হয়েছে হোলিকা দহন।

    রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বার্তা (Holi 2024)?

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শুভেচ্ছা বিনিময় করে বলেন, “হোলির (Holi 2024) উত্সব আমাদের বৈচিত্র্যময় সমাজে প্রাণবন্ত রঙ এবং সহনশীলতার চেতনার প্রতীক। আনন্দের এই উৎসব মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরও উন্নত করার সুযোগ নিয়ে আসে। রঙের এই অনন্য উৎসব সবার মধ্যে ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও দৃঢ় করে। তাই সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করি। এই আনন্দময় অনুষ্ঠানে, আসুন আমরা আমাদের সমাজ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করি।”

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    দেশবাসীকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, “আমি আমার দেশের সকল দেশবাসীকে হোলির (Holi 2024) শুভেচ্ছা জানাই। স্নেহ ও সম্প্রীতির রঙে সজ্জিত এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব আপনার জীবনে বয়ে আনুক নতুন শক্তি ও উদ্দীপনা।” আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকলের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি এবং নতুন শক্তি কামনা করে রঙের উত্সব হোলিতে জনগণকে নিজের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “সকল দেশবাসীকে রং ও আনন্দের মহান উৎসব হোলির শুভেচ্ছা। সুখের এই উত্সবটি আপনার সকলের জীবনে সমৃদ্ধি এবং সম্প্রীতির রঙ নিয়ে আসুক। নতুন শক্তি সঞ্চারণের মাধ্যম হয়ে উঠুক।”

    একই ভাবে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং হোলি (Holi 2024) উপলক্ষে দেশবাসীকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি এক বার্তায় বলেছেন, “হোলি উৎসবে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা। রঙের এই উৎসব আপনার জীবনে আনন্দ, উদ্দীপনা এবং নতুন শক্তি যোগাবে।”এই হোলির দোল পূর্ণিমায় নবদ্বীপে শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু মর্তে আবির্ভূত হয়েছিলেন। বাঙালির ঘরে ঘরে হরিনাম সংকীর্তন এবং নারায়ণ পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টকে ‘শিবশক্তি’ নাম দেন মোদি, মিলল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    Chandrayaan 3: চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টকে ‘শিবশক্তি’ নাম দেন মোদি, মিলল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণায় বড় সাফল্য আসে গত অগাস্টে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। আর চাঁদে যে পয়েন্টে গিয়ে ভারতের চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ড করেছিল, সেই জায়গার নাম ‘শিবশক্তি’ রেখেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া সেই নাম ‘শিবশক্তি’কে অনুমোদন দিল আন্তর্জাতিক মঞ্চ। ২০২৩ সালের ২৮ অগাস্ট ইসরোর দফতরে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই ঘোষণা করেন। শিবশক্তি নামকরণের কারণ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেন, শিব শব্দের অর্থ মানব সভ্যতার কল্যাণ। শক্তি শব্দ মানব কল্যাণকে টেনে নিয়ে যায়।

    সিলমোহর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন

    চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডিং পয়েন্টকে এবার থেকে আন্তর্জাতিকভাবে শিবশক্তি পয়েন্ট হিসাবে গণ্য করা হবে। শিবশক্তি নামটিতে সিলমোহর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন। জানা গিয়েছে, ১৯ মার্চ এই অনুমোদন মিলেছে প্রতিষ্ঠানের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মঞ্চের তরফে এই অনুমোদন যে কোনও দেশের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে মনে করা হয় (Chandrayaan 3)। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের তরফে যে সমস্ত মহাজাগতিক বিষয়গুলির নামকরণ করা হয়, সেই ‘গেজেটার অফ প্ল্যানেটারি নোমেনক্লিচার’-এ শিবশক্তি নামকরণকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, চাঁদের মাটিতে ওই জায়গাতেই প্রথম নামে চন্দ্রযান-৩ এর বিক্রম ল্যান্ডার।

    চন্দ্রযান মহাকাশে পাড়ি দেয় ২০২৩ সালের জুলাইতে

    ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট, চাঁদের মাটিতে প্রথম নামে বিক্রম ল্যান্ডার। গায়ে কাঁটা দেওয়া মুহূর্তে গোটা দেশ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল। শুরু হয় উৎসব। সফল হয় ইসরোর পরিশ্রম। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রওনা হয় চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) । ১ মাস ৯ দিনের মাথায় দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ বিক্রম। ভারতই হয় প্রথম দেশ যা দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। চন্দ্রপৃষ্ঠে ১০ দিনের অন্বেষণ চালায় রোভার। তার ক্যামেরায় তোলে ল্যান্ডার বিক্রমের ছবিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohamed Muizzu: চিন থেকে ঋণ নেওয়াই কি কাল হল দেশটির? কী বললেন মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি

    Mohamed Muizzu: চিন থেকে ঋণ নেওয়াই কি কাল হল দেশটির? কী বললেন মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একরোখা মনোভাব ত্যাগ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে পরামর্শ মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিকে। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজুকে (Mohamed Muizzu) তাঁর পূর্বসূরি রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ তাঁর অবস্থানের দৃঢ়তা ত্যাগ করার এবং দেশের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে বার্তালাপ করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে কথাবলার জন্য অনুরোধ করেছেন। মালদ্বীপের এই আর্থিক সমস্যা মোকাবেলার জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী বললেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি?

    এদিন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সোলিহ ভারতের সাথে ঋণ পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনায় জন্য বর্তমান রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুকে (Mohamed Muizzu) পরামর্শ দেন। সোলিহ যুক্তি দিয়েছেন যে মালদ্বীপের আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলি প্রাথমিকভাবে চীনের পাওনা ঋণ থেকেই মূলত তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, “ভারতের তুলনায় মালদ্বীপের ঋণ চীনের কাছে দ্বিগুণেরও বেশি। মালদ্বীপকে সাহায্য করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিবেশী ইসলামিক দেশগুলির ইচ্ছার প্রতিও আস্থা প্রকাশ করে কথাবার্তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।” এই প্রসঙ্গে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রাপ্ত সীমিত সহায়তা বলতে ৫০ টন খেজুর মাত্র। আর কিছুই লাভ হয়নি। আমাদের একগুঁয়ে হওয়া বন্ধ করে সংলাপের জন্য চেষ্টা করতে হবে। অনেক দেশ আছে, যারা আমাদের সাহায্য করতে পারে। কিন্তু মুইজ্জু আপোস করতে চান না। আমি মনে করি বর্তমান সরকার এখন এই পরিস্থিতি বুঝতে শুরু করেছে। তাই পদক্ষেপ জরুরি দেশের জন্য।”

    ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি

    মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ে এবং পরে ভারত সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ভারতীয় সামরিক সেনা নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্যে করেছিলেন তিনি। চার মাস আগে দায়িত্ব নেওয়া সত্ত্বেও, মুইজ্জু এখনও ভারত সফর করেননি। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিদের ভারতে প্রথম বিদেশ সফরের ঐতিহ্যকে ভেঙে মুইজু তার প্রথম সফর উপলক্ষে জানুয়ারি মাসে চীন গিয়েছিলেন। তার ভারত বিরোধী বক্তব্য সত্ত্বেও, মালদ্বীপকে ভারত ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসাবে স্বীকার করে ঋণ-ত্রাণ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। গত বছরের শেষ নাগাদ মালদ্বীপকে ভারত প্রায় ৪০০.৯ মিলিয়ন ঋণ দিয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISKCON Mayapur: মায়াপুর ইসকনে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ভক্ত দোল উৎসবে মাতলেন

    ISKCON Mayapur: মায়াপুর ইসকনে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ভক্ত দোল উৎসবে মাতলেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫৩৮ তম মহাপ্রভুর আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে সকাল থেকেই কৃষ্ণ নামে মেতে উঠল নদিয়ার মায়াপুর ইসকন (ISKCON Mayapur)। বেলা বাড়তেই হাজার হাজার ভক্তদের উপস্থিতি দেখা গেল মায়াপুরে। দোল উৎসবের দিন সকাল থেকেই গোটা মায়াপুর জুড়ে কৃষ্ণ নামে মেতে উঠলেন ভক্তরা।

    হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ভক্ত সমাগম (ISKCON Mayapur)

    শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ৫৩৮ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে এক মাস আগে থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল মায়াপুর ইসকন (ISKCON Mayapur) মন্দিরে। মণ্ডল পরিক্রমা থেকে শুরু করে প্রভাত ফেরি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কৃষ্ণ নাম করতে দেখা গিয়েছে ইসকনের প্রভুদের। এদিন দোল পূর্ণিমায় উপলক্ষে ছিল মূল অনুষ্ঠান। প্রায় ৫ হাজারেরও দেশি-বিদেশি ভক্তরা অংশগ্রহণ করেছেন এদিনের এই অনুষ্ঠানে। শুধু তাই নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত এদিন কৃষ্ণ নামে মেতে উঠলেন। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন ভাষায় গীতা পাঠ করা হয়। পাশাপাশি আজকের দিনে রাধা এবং শ্রীকৃষ্ণের অভিষেক করা হয়। মধুসূদন দাস নামে এক ভক্ত বলেন, আমার বাড়়ি বাঁকুড়ায়। গতবার দোলযাত্রার দিন এসেছিলাম। তখন থেকে মায়াপুরে রয়েছি। এবারও দোল উৎসবের দিন সকাল থেকেই নগর প্ররিক্রমায় হাজার হাজার ভক্তদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছি। দোলের দিন সারা পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষ এই মায়াপুরে জমায়েত হন। এখানে আসলেই মন আনন্দে মেতে ওঠে।

    আরও পড়ুন: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    দোলের দিন মায়াপুরে রং খেলা হয় না!

    এ বিষয়ে মায়াপুর ইসকনের (ISKCON Mayapur) জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ৫৩৮ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে গোটা দেশজুড়ে এবং বিদেশি ভক্তরাও মায়াপুরে এসে উপস্থিত হন। মায়াপুর ইস্কনে ভিতরে কোনও বাহ্যিক রঙের ব্যবহার হয় না, শুধুমাত্র কৃষ্ণ নামের যে প্রেম সেই প্রেমের খেলা এখানে হয়। মহাপ্রভু যে কৃষ্ণ নাম জাতির উদ্দেশ্যে ছড়িয়ে দিতে চাইছিলেন মূলত তার সেই চিন্তা ভাবনাকে সামনে রেখেই এই অনুষ্ঠান করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: তমলুকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি

    Abhijit Ganguly: তমলুকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারপতি হিসেবে তাঁর ভূমিকা দেখেছেন রাজ্যবাসী। বহু বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের কাছে তিনি “ভগবান” হয়ে উঠেছিলেন। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সেই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) তমলুক কেন্দ্রে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি। তবে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর তমলুক কেন্দ্রে দাঁড়়ানোর বিষয়ে জল্পনা চলছিল। এবার সেই জল্পনাই সত্যি হল।

    প্রাক্তন বিচারপতির ওপর আস্থা রাখল বিজেপি (Abhijit Ganguly)

    গত ৩ মার্চ, বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তার পরদিনই কলকাতা হাইকোর্টে ছিল তাঁর শেষ দিন। গত ৫ মার্চ রাষ্ট্রপতিকে ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। আদালত কক্ষ ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। হাতে তুলে নেন পদ্মশিবিরের পতাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিলিগুড়ির জনসভার মঞ্চেও দেখা যায় তাঁকে। সেই  সভায় দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন রেখেছিলেন। ইতিমধ্যে প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই নন্দীগ্রামে ১ নম্বর ব্লকের হরিপুরে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়। এবার সেই প্রাক্তন বিচারপতির ওপর আস্থা রাখল বিজেপি।

    আরও পড়ুন: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    তমলুকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী

    তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় তমলুক বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। গতবার লোকসভা নির্বাচনে সেখানে জয়ী হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। যিনি বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বিচারপতি থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। রাতারাতি হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীর ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই ক্যারিশ্মাকে কাজে লাগিয়ে তমলুক কেন্দ্রে গেরুয়া শিবির ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রিয় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিরুদ্ধে ভালো কোনও প্রার্থী খুঁজে পায়নি। তাই, তরুণ প্রার্থী দিয়ে তৃণমূল কতটা লড়াই করতে পারে সেটাই এখন দেখার। রাজ্যের মানুষ এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Holi 2024: রঙের উৎসবে মেতেছে বঙ্গবাসী, জানুন দোল পূর্ণিমার পৌরাণিক মাহাত্ম্য

    Holi 2024: রঙের উৎসবে মেতেছে বঙ্গবাসী, জানুন দোল পূর্ণিমার পৌরাণিক মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোলের উৎসবে মেতেছে বঙ্গবাসী (Holi 2024)। রঙের উৎসবে মেয়েরা সামিল হলুদ শাড়িতে, ছেলেরা পাঞ্জাবিতে। বসন্ত এসে গেছে গানের তালে তালে পালিত হবে দোল। শান্তিনিকেতনের দোল (Holi 2024) আবার বিশেষ জনপ্রিয়। সারা রাজ্য থেকেই মানুষের ভিড় দেখা যায় বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত এই স্থানে। রবি ঠাকুরের গানে, বসন্তের আগমনে এক আলাদা মাত্রা পায় শান্তিনিকেতনের দোল। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ রঙ এবং আবির দিয়ে রাধা ও অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেছিলেন। বিশ্বাস মতে, দোল খেলার উৎপত্তি সেখান থেকেই শুরু। যা আজও সমানভাবে এগিয়ে চলেছে।

    বাংলায় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু দোলযাত্রার (Holi) শুভ সূচনা করেন

    হিন্দু শাস্ত্রবিদরা বলছেন, এই দোল (Holi 2024) পূর্ণিমার দিনটিকে গৌড় পূর্ণিমাও বলা হয়। তার কারণ ১৪৮৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দোল পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম হয়েছিল। পাশাপাশি এই বাংলাতে দোল উৎসবের সূচনাও শ্রীচৈতন্যদেবের হাত ধরে হয়েছিল। ১৫১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি গৃহত্যাগ করে অর্থাৎ নবদ্বীপ ত্যাগ করে বৃন্দাবনে গিয়ে সেখানে রং খেলা দেখে অভিভূত হয়েছিলেন তখন থেকেই নাকি বাংলাতে দোল (Holi) উৎসবের সূচনা হয় ভক্তদের বিশ্বাস এই দোল খেলায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণও হাজির হতেন মহাপ্রভুর সঙ্গে দোল খেলতে।

    রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন

    আবার কোনও কোনও গবেষক মনে করেন, প্রায় ২০০০ বছর আগে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রচলন করেছিলেন দোল উৎসব। সপ্তম শতাব্দীতে সম্রাট হর্ষবর্ধনের লেখা রত্নাবলী নাটকেও হোলি (Holi 2024) খেলার উল্লেখ রয়েছে। শুধু উত্তর ভারত নয় দক্ষিণ ভারতের বিজয়নগরের একটি মন্দিরের গায়ে এক রাজকুমার রাজকুমারীর রং খেলার চিত্রকলা রয়েছে। এখান থেকে বলা হয় যে দোল সারা ভারতবর্ষ ব্যাপী প্রচলিত ছিল।

    পৌরাণিক কাহিনীগুলি জানা যাক……

    ভক্ত প্রহ্লাদের আখ্যান এবং হোলিকা দহন

    অন্যদিকে পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণুর পরমভক্ত ছিলেন অসুর রাজ হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ। নিজেকে ঈশ্বর ঘোষণা করেছিলেন রাক্ষসরাজা। অহংকারী রাজার ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল দিন বা রাত, গৃহের ভিতর বা বাইরে, মানুষ বা পশু কেউই হিরণ্যকশিপুকে বধ করতে পারবেনা। এরপর নিজের পুত্র প্রহ্লাদকে হত্যার পরিকল্পনা নেন রাক্ষসরাজা। নিজের বোন হোলিকার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। হোলিকার ওপর আবার ব্রহ্মার বরদান স্বরুপ একটি চাদর ছিল, যেটি ছিল একধরনের রক্ষা কবচ। এই চাদর গায়ে জড়িয়ে প্রহ্লাদকে নিয়ে অগ্নিকুণ্ডে বসেন হোলিকা। ঠিক তখনই ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় চাদর উড়ে গিয়ে পড়ে প্রহ্লাদের গায়ে। অগ্নিকুণ্ডে দগ্ধ হয়ে যান হোলিকা। এই কারণে দোল উৎসবের আগের দিন হয় হোলিকা দহন। বাংলাতে এটাই প্রচলিত ন্যাড়াপোড়া নামে। ভক্তদের বিশ্বাস, এইদিনে সকল অশুভ শক্তির নাশ হয়। ভগবান বিষ্ণু তথা কৃষ্ণের পূজা করলে জীবনে সমৃদ্ধি নেমে আসে ভক্তদের।

    পুতনা রাক্ষসী বধ

    পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দোল (Holi 2024) পূর্ণিমার দিনে শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করার কথা কোথাও কোথাও বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে হোলিকাকে পুতনার ভূমিকায় রাখা হয় এবং পুতানার বিষ দুধে শ্রীকৃষ্ণ পান করেনি বরং তার রক্ত পান করেন, এইভাবেই ভগবান বধ করেন পুতনাকে। এরফলে শ্রীকৃষ্ণের গায়ের রং নীল হয়ে যায়। বিশ্বাসমতে দোল পূর্ণিমা হল পুতনা বধের পর উৎসব। বিবাহিত নারীরা তাদের পরিবারের কল্যাণ এবং মঙ্গল কামনায় দোল উৎসবে মাতেন এদিন। ভারতের বাইরেও দোল উৎসব ব্যাপকভাবে পালিত হয়।  বৈষ্ণব ধর্ম ছাড়াও শাক্ত-শৈবরাও এই উৎসব পালন করেন। পরিবারিক, বৃহত্তর সমাজ জীবনের ক্ষেত্রে দোল পূর্ণিমার গুরুত্ব অনেক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    Nadia: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের রাজবধূ অমৃতা রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা চলছিল। বিজেপি-র দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ হতেই সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিল পদ্মশিবির। রাজবধূ তথা নদিয়ার (Nadia) রানিমাকে কৃষ্ণনগরে কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি।

    রানিমাকে প্রার্থী করে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি (Nadia)

    গত লোকসভা নির্বাচনে মহুয়ার জয়ের নেপথ্যে ছিল নদিয়ার (Nadia) চাপড়া, পলাশীপাড়া ও কালীগঞ্জ বিধানসভা। ওই তিনটি বিধানসভা থেকে বিপুল ভোট পেয়েছিলেন মহুয়া। গত পাঁচ বছরে কালীগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপির সংগঠন অনেক মজবুত হয়েছে। পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি হওয়ায় ওই বিধানসভায় ছন্নছাড়া অবস্থায় শাসকদল। একমাত্র কাঁটা চাপড়া বিধানসভা। সেখানে এত দিন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও ভোটের মুখে দলত্যাগী নেতাদের আবার দলে এনে বড় ব্যবধানে জিততে চাইছে তৃণমূল। তাই বিজেপিও পাল্টা চাইছে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জিততে। কৃষ্ণনগর উত্তর বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। পদ্ম-শিবির সূত্রে খবর, সেখানে ভোটের ব্যবধান বৃদ্ধি করতে ‘রানিমা’র মতো এক জন স্থানীয়, প্রভাবশালী ও পরিচিত এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মুখকে প্রার্থী করে বাজিমাত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। জেলায় বিজেপির এক নেতা বলেন, “অমৃতা রায় রাজপরিবারের বিভিন্ন সামাজিকঅনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে জনসংযোগ করেন। এ ছাড়াও জগদ্ধাত্রী পুজো, দুর্গাপুজা ও রাজবাড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের রাশ এখন তাঁর হাতে। ভোটারদের মধ্যে আবেগ রয়েছে রাজপরিবার নিয়ে।”

    আরও পড়ুন: বসিরহাট কেন্দ্রে চমক বিজেপির, সন্দেশখালির প্রতিবাদী রেখার ওপর ভরসা মোদির

    প্রার্থী হয়ে কী বললেন রানিমা?

    দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে ১৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় অমৃতার নাম রয়েছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর রানিমা অমৃতা রায় বলেন, “নদিয়ার (Nadia) ইতিহাসে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অবদান সকলে জানেন। ভারতে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের ভূমিকা আজও সবাই মনে রেখেছেন। রাজবধূ নয়, সাধারণ জনতার কণ্ঠ হওয়ার জন্যই ভোটের ময়দানে আসা। আশা করি, মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JNU: প্রথম কোনও নির্বাচনে জেএনইউ-তে চ্যালেঞ্জের মুখে বাম জোট, উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি এবিভিপির

    JNU: প্রথম কোনও নির্বাচনে জেএনইউ-তে চ্যালেঞ্জের মুখে বাম জোট, উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম কোনও নির্বাচনে জেএনইউ-তে (JNU) চ্যালেঞ্জের মুখে বাম জোট। রবিবার ভোট গণনা চলাকালীন একাধিক সংবাদমাধ্যম পূর্বাভাস দিতে শুরু করে বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার গেরুয়া হতে চলেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যালট বাক্স খুলতেই বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। প্রাথমিক ট্রেন্ডে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন এবিভিপির প্রার্থীরা। রবিবার ২৫ মার্চ গণনা শুরু হতেই লড়াইতে একেবারে ‘কাঁটে কি টক্কর’ দেখা যায়। কিন্তু, রাত ১১টার পর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা হতেই দেখা যায়, সেন্ট্রাল প্যানেলের চার আসনেই জিতেছেন বাম জোটের প্রার্থীরা। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন জেএনইউতে উল্লেখযোগ্যভাবে অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে এবিভিপির।

    জোর টক্কর

    এত ভোট আগে কখনও পায়নি আরএসএস অনুপ্রাণিত এই ছাত্র সংগঠন। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এবিভিপি-কে রুখতে সমস্ত বাম ও অতিবাম সংগঠনগুলি নিজেদের মধ্যে জোট করে। এর ফলে বাম ভোট কোনওভাবে ভাগ হয়নি। এতকিছুর পরেও দেখা যায়, এবিভিপির প্রার্থীরা জোর টক্কর দিয়েছেন। ১৯৬৯ সালে সালে জেএনইউ (JNU) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির দাপট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে ছিল ব্যাপক। এবার প্রথম নির্বাচন যখন তাদের দাপট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল।

    একনজরে ভোটের ফলাফল

    প্রেসিডেন্ট পদ

    ধনঞ্জয় (বাম)- ৩,১০০
    উমেশ চন্দ্র আজমীরা (এবিভিপি)- ২,১১৮

    ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ

    অভিজিৎ ঘোষ (বাম)- ২৭৬২
    দীপিকা শর্মা (এবিভিপি)- ১৮৪৮

    সাধারণ সম্পাদক পদ

    অর্জুন আনন্দ (এবিভিপি)- ২৪১২
    প্রিয়ংশী আর্য (বাপসা)- ৩৪৪০

    যুগ্ম সম্পাদক পদ

    গোবিন্দ ডাঙ্গি (এবিভিপি)- ২৫৯১
    মহঃ সাজিদ (বাম)- ৩০৩৫

    রেকর্ড ভোট চলতি বছরে

    জেএনইউ-র (JNU) ছাত্র ইউনিয়নের ভোটে গত ১২ বছরে রেকর্ড ভোট পড়েছে চলতি বছরের ভোটগ্রহণে। ৭৩ শতাংশ ভোট পড়ে। ৭৭৫১ সংখ্যক ভোটার সংখ্যা নিয়ে চার পদের জন্য ভোট হয় জেএনইউয়ের ছাত্র ইউনিয়নে। শেষবার ২০১৯ সালে জেএনইউএর ভোটে ভোট পড়েছিল ৬৭.৯ শতাংশ। এমনটাই বলছে, ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ভোট বেশি পড়লে তা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতারই প্রতিফলন হয় সাধারণত। এবারেও তাই হল। উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি হল এবিভিপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share