Tag: Bengali news

Bengali news

  • India Maldives Relationship: ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান মলদ্বীপের সাসপেন্ডেড মন্ত্রীর!

    India Maldives Relationship: ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান মলদ্বীপের সাসপেন্ডেড মন্ত্রীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রী। যার ফলস্বরূপ, প্রবল চাপে সাসপেন্ড করা হয় তিনজনকে। তার পর কোটি কোটি ঢেউ ভেঙেছে ভারত মহাসাগরের বুকে। ক্রমেই তলানিতে ঠেকেছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক (India Maldives Relationship)। মলদ্বীপের চিনপন্থী মুইজ্জু সরকারের অনুরোধে ইদের ‘তোফা’ পাঠিয়েছে ভারত। তার জেরে দুই দেশের ভাঙা সম্পর্ক যখন জোড়া লাগতে চলেছে, তখন ফের ভারতের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠল সাসপেনসনে থাকা এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন মারিয়ম শিউনা নামে ওই মন্ত্রী। তাতে অবশ্য নেভেনি বিতর্কের আগুন (India Maldives Relationship)।

    মারিয়মের কীর্তি! (India Maldives Relationship)

    ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। নির্বাচনী প্রচার সূত্রে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন মারিয়ম। সে দেশের বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে পোস্টটিতে তিনি ভারতের পতাকার ছবি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য পোস্টটি মুছে দেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁর ওই পোস্টের স্ক্রিনশট। তার পরেই দেশে তো বটেই, ভারতেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন মলদ্বীপের প্রেডিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সরকারের ওই সাসপেন্ডেড মহিলা মন্ত্রী। পরে এক্স হ্যান্ডেলে মারিয়ম লেখেন, “আমার সাম্প্রতিক একটি পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি শুনলাম, এমডিপিকে নিয়ে আমার পোস্টে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে ভারতের জাতীয় পতাকার মিল রয়েছে। আমি এটুকু পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, এটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। এ থেকে যে ভুল বোঝাবুঝির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”

    ভারতের অপমান!

    এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষমা চাইলেও, সমস্যা মেটেনি। কারণ, বিরোধীদের খোঁচা দিতে গিয়ে মারিয়ম যে ছবিটি পোস্ট করেছিলেন, অভিযোগ, সেখানে দলীয় প্রতীকের পরিবর্তে বসিয়েছিলেন ভারতের জাতীয় পতাকার অশোকচক্রের ছবি। সঙ্গে মলদ্বীপের মন্ত্রী লিখেছিলেন, “এমডিপি (মলদ্বীপের বিরোধী দল) একটা বড়সড় পতনের দিকে এগোচ্ছ। মলদ্বীপের জনগণ তাদের সঙ্গে পতনের দিকে এগোতে চায় না।” ঘটনাচক্রে এমডিপি ভারতপন্থী দল হিসেবেই পরিচিত। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই মলদ্বীপের অনুরোধে সে দেশে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, ডিমের মতো কিছু অতি প্রয়োজনীয় জিনিস রফতানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (India Maldives Relationship)।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: এনআরসি চালু হলে ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে! ‘লস্কর-ই-তৈবা’র হুমকি চিঠি শান্তনুকে

    Shantanu Thakur: এনআরসি চালু হলে ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে! ‘লস্কর-ই-তৈবা’র হুমকি চিঠি শান্তনুকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে যদি এনআরসি চালু হয় তাহলে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িকে উড়িয়ে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি ঠাকুরবাড়ির সব সদস্যকেও হত্যা করা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে (Shantanu Thakur) এমনই হুমকি চিঠি পাঠিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা। সেই চিঠি সামনে আসতে দেখা গিয়েছে এমন হুমকির ভাষা। সোমবার দুপুর নাগাদ ডাক মাধ্যমে এই চিঠি পান শান্তনু ঠাকুর। যদিও সেই চিঠিটি হাতে লেখা হয়নি। পরিষ্কার বাংলা ভাষায় সেটিকে টাইপ করা হয়েছে।

    কী লেখা রয়েছে চিঠিতে?

    ছাপা হরফে সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘শান্তনুবাবু (Shantanu Thakur) আশা করি ভাল আছেন। আপনাকে জানাচ্ছি যে, পশ্চিমবঙ্গে যদি এনআরসি হয় এবং এনআরসি-র কারণে মুসলমানদের উপর কোনও অত্যাচার হয় তা হলে পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা ভারত জ্বলবে। আপনাদের ঠাকুর বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে। ঠাকুরবাড়ির কাউকে বাঁচতে দেওয়া হবে না। লস্কর-ই-তৈবার নাম শুনেছেন তো। আমরা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য।’’

    কোথা থেকে এল এমন হুমকি চিঠি?

    প্রসঙ্গত, এই হুমকি চিঠি যেখান থেকে পাঠানো হয়েছে তা ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এনেছেন শান্তনু ঠাকুর নিজেই। ওই চিঠি অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গার হাজিপুর গ্রাম থেকে ওই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। যে দুজন ব্যক্তি তা পাঠিয়েছে, তাদের নাম লেখা রয়েছে নজরুল ইসলাম সাহেব আলি এবং ফজর আলি।

    চলছে বারুনি মেলা

    বর্তমানে মতুয়া সমাজের মধ্যে চলছে বারুনি মেলা। মতুয়া সমাজে এটি অত্যন্ত পবিত্র উৎসব মানা হয়। এই মেলাকে কেন্দ্র করে ঠাকুরনগরে হাজার হাজার ভক্তের ভিড় লেগেই রয়েছে। এই আবহে এমন হুমকি চিঠি আসায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তার। গতমাসের ১২ তারিখে লাগু হয়েছে সিএএ। এখনও ১ মাস পেরোয়নি, তারই মধ্যে লোকসভা ভোটের আগে এমন হুমকি চিঠিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে আলোচনা।

     

    আরও পড়ুুন: “এটা আপনাদের টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের মানসিকতার প্রতিফলন”, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: জাতিভেদ প্রথা দূর করতে ফের সরব হলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: জাতিভেদ প্রথা দূর করতে ফের সরব হলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজে জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে ফের সরব হতে দেখা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতকে। রবিবারই সঙ্ঘ প্রধান হাজির ছিলেন গুজরাটের ভদোদরার একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি সামাজিক সদ্ভাবনার মাধ্যমে জাতিভেদ প্রথা দূর করার কথা বলেন। ভদোদরার ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার জন্ম শতাব্দী সেবা সমিতির উদ্যোগে প্রবুদ্ধ নাগরিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়েই একথা বলেন মোহন ভাগবত। 

    ভারতীয় মূল্যবোধ ও প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি

    সঙ্ঘ প্রধানের মতে, ‘‘ভারতীয় মূল্যবোধ ও দেশের প্রাচীন সংস্কৃতির প্রতি গর্ববোধ – এর মাধ্যমে একটি জাতিভেদহীন সমাজ গঠন সম্ভব। মোহন ভাগবতের সঙ্গে এদিন গুজরাটের ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা যায় ডক্টর জ্যোতি পান্ডিয়াকে। যিনি ছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রাক্তন জাতীয় সহ-সভাপতি। গুজরাটের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের একাংশও হাজির ছিলেন প্রবুদ্ধ নাগরিক সম্মেলনে। স্থানীয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের নেতৃত্বকেও সেখানে দেখা যায়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু, ব্যবসায়ী, ডাক্তার এবং বিভিন্ন পেশার মানুষরা প্রবুদ্ধ নাগরিক সম্মেলন উপস্থিত হয়েছিলেন।

    সামাজিক সদ্ভাবনা সঙ্ঘের উদ্দেশ্য

    এর আগে শনিবারই মোহন ভাগবত বক্তব্য রাখেন ভারুচে। সেখানে ত্রি রেবা সেবা সমন্বয় সমিতির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। প্রসঙ্গত, রবিবারই গুজরাটের ভদোদরাতে পা রাখেন সঙ্ঘ প্রধান। সারা বছর ধরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অসংখ্য কর্মসূচি চলে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশ কিছু কর্মসূচি সামাজিক সদ্ভাবনার ওপরে নেওয়া হয়ে থাকে। বাবা সাহেব আম্বেদকরের জন্ম ও প্রয়াণ বার্ষিকী সাড়ম্বরে পালন করতে দেখা যায় আরএসএস-কে। সামাজিক সদ্ভাবনার ওপর কাজ করার জন্য আরএসএস-এর শাখা সংগঠন বনবাসী কল্যাণ আশ্রম সর্বদাই সক্রিয় রয়েছে। শুধু এদিনই প্রথম নয়, সঙ্ঘের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও বৈঠকে জাতিভেদহীন সমাজের ওপর বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে মোহন ভাগবতকে।

    আরও পড়ুুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে বাংলায় এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি, অনুমান পিকে-র

    Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে বাংলায় এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি, অনুমান পিকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) ছিল বিজেপির কাছে এক বড় টার্নিং পয়েন্ট। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি চমকপ্রদ ফল করে। ১৮ আসনে জয়লাভ করে গেরুয়া শিবির। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির পক্ষে আরও ভালো রেজাল্ট হবে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন একদা তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। শুধু তাই নয়, প্রশান্ত কিশোরের অনুমান বাংলাতে এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি।

    সাক্ষাৎকারে যা বললেন প্রশান্ত কিশোর 

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর এবং সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি আগের থেকে অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে বাংলাতে (Lok Sabha Election 2024)। তিনি আরও জানিয়েছেন বাংলায় এক নম্বর দল হতে পারে বিজেপি। এর পাশাপাশি পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের চমকপ্রদ ফল হতে পারে বিজেপির। শুধুমাত্র আসন সংখ্যা নয়, বাংলাতে বিজেপির ভোট শতাংশও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পিকে। এর পাশাপাশি বিজেপির চমকপ্রদ ফল করবে কর্নাটক, তেলঙ্গনার মতো রাজ্যেও। তামিলনাড়ুতেও বিজেপির জন্য অসাধারণ ফলাফল অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছেন পিকে।

    ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এখন খুব শক্তিশালী

    প্রসঙ্গত, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস (Lok Sabha Election 2024) এমনিতে কোণঠাসা। সাম্প্রতিক সন্দেশখালির মতো ঘটনাও ঘটেছে। যা বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে সন্দেশখালির মতো ঘটনা না ঘটলেও বাংলাতে বিজেপিকে রোখা মুশকিল। এর পাশাপাশি পিকে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এখন খুব শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যত আসনে জিতেছিল এবারে  তার থেকে আসন সংখ্যা তো কমবেই না, উপরন্তু বাড়বে।

    প্রশান্ত কিশোরের বিশ্লেষণ

    প্রশান্ত কিশোরের মতে, ‘‘৫৪৩- লোকসভা আসনের (Lok Sabha Election 2024) মধ্যে ২০৪টি আসন রয়েছে তেলঙ্গানা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, বিহার এবং কেরালা রাজ্যে। তবে ২০১৪ বা ২০১৯ সালে বিজেপি এই সব রাজ্যে সব মিলিয়ে ৫০টি আসনের গণ্ডিও পেরোতে পারেনি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যগুলি থেকে সর্বোমোট ২৯টি ও ২০১৯ সালে ৪৭টি আসন জিতেছিল বিজেপি।’’ তবে এবারের সেই ছবি বদলে যাবে বলে দাবি পিকের। গত দুই লোকসভা ভোটের তুলনায় এইসব রাজ্যগুলিতে বিজেপির ফল ভালো হবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন পিকে। অন্যদিকে, কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে কাঙ্খিত ফলাফল না করতে পারলে রাহুল গান্ধীর সরে দাঁড়ানো উচিত বলেও জানিয়েছেন পিকে।

     

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • TMC attacks on BJP: বীরভূমে বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    TMC attacks on BJP: বীরভূমে বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট, হাতে গুনে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের মন জয় করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দলের প্রার্থীরাই। আর এরই মধ্যে আবারও মারধরের অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে বিজেপির (TMC attacks on BJP) তিন জন কর্মীকে আক্রমণ করা হয়। ঘটনা ঘটেছে বীরভূম জেলায়।

    ঘটনা বীরভূমের কোথায় ঘটেছে (TMC attacks on BJP)?

    ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে বীরভূমের (birbhum) মহম্মদ বাজার এলাকায়। মহম্মদ বাজারের (mohammad bazar) কপিস্টার গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারকাটা গ্রাম থেকে দলীয় বৈঠক করে বাড়ি ফেরার সময় তিন বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই রবিবার রাতে আহত বিজেপি কর্মীদের ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আহতদের দেখতে গিয়েছেন জেলা বিজেপির নেতারা। তবে ঘটনায় তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুনঃ ভোটে বাংলায় এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি, অনুমান পিকে-র

    বাঁশ ও রড দিয়ে মারের অভিযোগ

    ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ হল, অন্ধকার রাস্তায় বাইক নিয়ে আসার সময় কয়েকজন তৃণমূলের (TMC) আশ্রিত দুস্কৃতীরা আচমকা হামলা করে। প্রথমে পথ আটকায়, এরপর বাঁশ ও রড দিয়ে মারধর (TMC attacks on BJP) করা হয়। এরপর কোনক্রমে সেখান থেকে আহত বিজেপি কর্মীরা পালিয়ে আসে মহম্মদ বাজারে। পরে তাদের আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় সিউরি হাসপাতালে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনার খবর পৌঁছাতেই আহতদের দেখতে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছান বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা (Dhruba saha)। তবে কেবল জেলা সভাপতি নয়, সোমবার সকাল হতেই আহতদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধরও (Debashis dhar)। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “জেলার সাধারণ সম্পাদক নরেন মিস্ত্রী, তিনি মিটিং করে ফিরছিলেন, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ (TMC attacks on BJP) করে। আমাদের সভাপতি প্রসেনজিৎ দত্ত ও আমদের যুব নেতাও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযুক্তদের কালকের মধ্যে যদি গ্রেফতার (arrest) না করা হয়, ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” অপর দিকে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধর বলেন, “তৃণমূল হারার ভয়ে এই আচরণ করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবো। কর্মীদের পাশে সব সময় রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদির সমর্থনে ‘বিজেপির বন্ধু’দের মিছিল আমেরিকার ১৬টি শহরে

    PM Modi: মোদির সমর্থনে ‘বিজেপির বন্ধু’দের মিছিল আমেরিকার ১৬টি শহরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর (PM Modi) ক্ষমতায় ফেরাটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বলছে প্রাক-নির্বাচনী নানা সমীক্ষা। তবে তিনি কেন্দ্রে ফিরুন, তা যেমন চাইছেন সিংহভাগ ভারতবাসী, তেমনি চাইছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিজেপির বন্ধুরাও। যার হাতে গরম প্রমাণ মিলল রবিবাসরীয় সকালে। এদিন আমেরিকার ১৬টি শহরে নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে মিছিল করলেন বিজেপির সমুদ্রপারের বন্ধুরা। শোভাযাত্রার নাম ছিল ‘মোদি কা পরিবার মার্চ’।

    ‘ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি’ (PM Modi)

    আমেরিকায় ‘ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি’ (PM Modi) নামে একটি সংগঠন রয়েছে। সে দেশে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে বিজেপির নীতি নিয়ে প্রচার করে এই সংগঠন। এদিন সকালে আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে নারী, পুরুষ ও শিশুরা জড়ো হন ক্যাপিটল হিলে। তাঁদের গায়ে ছিল ‘মোদি কা পরিবার মার্চ’ লেখা টি-শার্ট। বিজেপির পাশাপাশি তাঁদের হাতে ছিল আমেরিকা ও ভারতের জাতীয় পতাকা। এদিন ওয়াশিংটন মনুমেন্টের সামনেও জড়ো হয়েছিলেন মোদির অনেক সমর্থক। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল প্রধানমন্ত্রীরই তৈরি স্লোগান – “আব কি বার ৪০০ পার”, “মোদি ৩.০” এবং “শিখ আমেরিকানস ফর মোদি”।

    ‘মোদি কা পরিবার মার্চ’

    “মোদি গ্যারান্টি”, “ইন্ডিয়া’জ থার্ড লার্জেস্ট ইকনোমি” লেখা পোস্টারও ছিল তাঁদের হাতে ধরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, ‘ঐক্য ও সমর্থন, সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার আইকনিক গোল্ডেন গেট ব্রিজে ৭ এপ্রিল সকাল ১১টায় হয়েছে মোদি কা পরিবার মার্চ।’ এঁদের হাতেও ছিল “আব কি বার ৪০০ পার” লেখা পোস্টার। এখানকার জমায়েতেও উপস্থিত ছিলেন শিশু থেকে বৃদ্ধ-সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। মিছিলে যাঁরা হেঁটেছিলেন তাঁদের অনেকের গায়েই ছিল গেরুয়া পোশাক, বিজেপির ঝান্ডা, ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড। যাঁরা এদিনের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ‘বিজেপি-ইউএসএ ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি ইউএসএ’-র তরফে তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদও জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

    আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, “মোদি কা পরিবার মার্চ” কেবল যে মোদি ফের ক্ষমতায় ফিরুন চাইছে তা নয়, কর্মসূত্রে প্রবাসে বাস করলেও, স্বদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে অংশও নিতে পারেন তাঁরা (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী

    Barrackpore: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী হওয়ার পর থেকে নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাকপুর চষে বেড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে তৃণমূল। এই আবহের মধ্যে এবার সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore) পুরসভার ধনিয়াপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মী কিরণ দে-কে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore) 

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী কিরণবাবু বারাকপুর (Barrackpore) পুরসভার ধনিয়াপাড়ায় পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেকা মুখোপাধ্যায়ের স্বামী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসা বাধে। সুব্রতবাবু কিরণবাবুকে বলেন, স্বাস্থ্য সাথি পান, কন্যাশ্রী পান, লক্ষ্মী ভান্ডার পান লজ্জা করে না তৃণমূলের সমস্ত সুবিধা নিচ্ছেন আর বিজেপি করছেন। এরপরই কিরণ বাবুকে মারধর করে। টিটাগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কিরণ বাবু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তিনি বলেন, যেটা হচ্ছে ভালো হচ্ছে না। আসলে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে, তাই আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসের পরিবেশ করতে চাইছে। এভাবে মানুষকে মেরে ভয় দেখিয়ে কিছু করা যাবে না। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, কোনও হামলা চালানো হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আসলে আমাদের নামে এসব অভিযোগ এনে বিজেপি রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে।

    আরও পড়ুন: “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষকে বাধা, বিজেপি কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ভাটপাড়ায় বিজেপি-র ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ

    বারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে জগদ্দল থানার ভাটপাড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোলঘর রবীন্দ্রপল্লিতে একাধিক ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে পাঁচ-ছয়টি ফ্লেক্স ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছে। রবিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের। বিজেপি কর্মী রাজু শ্রীবাস্তবের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসব করেছে। নির্বাচন কমিশন ও জগদ্দল থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। রাজু বাবুর দাবি, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আসলে এসব করে এলাকায় তৃণমূল ভয় দেখাতে চাইছে। এসব করলে সাধারণ মানুষের ভোট তৃণমূল আর পাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের তাড়া খেলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি

    Balurghat: প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের তাড়া খেলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট আসলেই রাস্তা- ব্রিজের প্রতিশ্রুতি দেয় সবাই। ভোট মিটলে গ্রামমুখো হয় না কেউ। গত কয়েকটি নির্বাচনে একই ছবি। রাজনীতির কারবারিদের এই চাতুরি ধরে ফেলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটদেওরা গ্রামে প্রচারে যান তৃণমূল নেত্রী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা। তাঁকে দেখেই গ্রামবাসীরা প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রীতিমতো তাড়া করেন। ক্ষোভের মুখে পড়ে কার্যত গ্রাম থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন চিন্তামণি।

    গ্রামবাসীদের কী অভিযোগ? (Balurghat)

     বালুরঘাটের (Balurghat)ছোটদেওরা গ্রাম যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। গ্রামের পাশ দিয়ে বইছে কাশিয়াখাঁড়ি। গ্রামের একদিকে কাশিয়াডাঙা গ্রাম, আরেকদিকে দোগাছি ফরেস্ট। গ্রামে প্রায় ১০০ ঘরের বাস। ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪০০। বালুরঘাট শহরে যেতে গেলে খানাখন্দে ভরা মাটির আল ধরে দু’কিলোমিটার ঘুরে বড় রাস্তা ধরতে হয়। অথচ ফরেস্টের ভিতর দিয়ে দোগাছি মোড়ে উঠে পাকা রাস্তা ধরলে খুব কম সময়েই বালুরঘাট শহরে পৌঁছে যাওয়া যায়। বর্ষায় এই শাখা নদী ফুলে উঠলে এই শর্টকাট রাস্তা পার করাই গ্রামবাসীদের দায় হয়ে ওঠে। ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়েরা স্কুল যেতে ভয় পায়। এমনকী শিক্ষকরাও এই কাদামাখা রাস্তা ঠেলে প্রতিদিন স্কুলে আসতে পারেন না। গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন কাশিয়াখাঁড়ির উপর সেতু নির্মাণ ও রাস্তার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এতদিন রাজনৈতিক দলগুলি শুধু তাঁদের দাবি পূরণেরই আশ্বাস দিয়েছে। কেউ কাজ করেনি। এতেই ক্ষুদ্ধ ছোটদেওড়া গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা সরকার বলেন, ‘আমাদের গ্রামে যাওয়া আসার রাস্তা নেই। গ্রামের কোনও উন্নয়ন নেই। আমাদের গ্রামের নাম শুনলে কেউ ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেন না। কারণ, রাস্তা নেই। আমরা ভোট বয়কটের ডাক দিলে সব রাজনৈতিক দল গ্রামে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের ভোট নিয়ে যায়। আমরা বারবার ঠকি। ভোটের পর কোনও দলের লোক আর গ্রামে আসে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যরা পর্যন্ত গ্রামে পা রাখে না। এক স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে নিয়ে আজ গ্রামে ভোট প্রচারে এসেছিলেন সভাধিপতি। আমরা তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছি।’

    আরও পড়ুন: “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষকে বাধা, বিজেপি কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এনিয়ে চিন্তামণি বিহাকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করা হলেও উত্তর মেলেনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মলয় মণ্ডলের বক্তব্য, “ওই গ্রামের মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। ওরা কোনও রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করছে না।”এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি সরকার বলেন, মানুষ বুঝে গিয়েছে তৃণমূলের মিথ্যা কথা, অন্যায়, অত্যাচার। তৃণমূল যে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেই তা ছোট দেওড়ার মানুষ বুঝে গিয়েছে। তাই তৃণমূলের প্রচারে গিয়ে জেলাপরিষদের সভাধিপতি কে তারা খেতে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

    Lok Sabha Elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ফাটল ‘ইন্ডি’ জোটে! রবিবার ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিরুদ্ধে উপত্যকার তিন আসনেই (Lok Sabha Elections 2024) প্রার্থী দিয়ে দিলেন পিডিপির মেহবুবা মুফতি। অনন্তনাগ-রাজৌরি কেন্দ্র থেকে লড়ছেন মুফতি স্বয়ং। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়েছে রাজৌরি ও পুঞ্চের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার পরেই অনন্তনাগ কেন্দ্রের নাম বদলে হয়েছে অনন্তনাগ-রাজৌরি।

    ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! (Lok Sabha Elections 2024)

    বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’তে রয়েছে ভূস্বর্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবার দল। জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্সও রয়েছে ‘ইন্ডি’ জোটে। অনন্তনাগ-রাজৌরি, শ্রীনগর ও বারামুলায় প্রার্থী দিয়েছে ফারুকের দল। জোটের শর্ত হিসেবে তাদের সমর্থন করছে কংগ্রেস। জম্মুর দুটি লোকসভা কেন্দ্রে লড়বে সোনিয়া গান্ধীর দল। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সমালোচনা করে মুফতি বলেন, “তারা (ফারুকের দল) প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে লড়া ছাড়া আমাদের সামনে অন্য কোনও উপায় রাখল না। মুম্বইয়ে ইন্ডি জোটের বৈঠকে ফারুক আবদুল্লাকে (Lok Sabha Elections 2024) বলেছিলাম, আসন সমঝোতা নিয়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিন এবং যথার্থ বিচার করুন। ভেবেছিলাম, তিনি দলের স্বার্থ পাশে সরিয়ে রাখবেন।”

    দিল্লিতে দোস্তি, কাশ্মীরে কুস্তি!

    সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ‘ইন্ডি’ জোটের মহামঞ্চে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ফারুক ও মুফতির দলের নেতাদের। পরে উপত্যকায় ফিরেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেন ফারুক। এদিন মুফতি বলেন, “আমরা কাশ্মীরের তিনটি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। জম্মুতে কংগ্রেসকে সমর্থন করব। কাশ্মীরেও জোট গঠনের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ন্যাশনাল কনফারেন্স নিজেদের মতো করে প্রার্থী দিয়ে দেওয়ায় বাধ্য হয়েই আমাদের আলাদা করে লড়তে হচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: “এটা আপনাদের টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের মানসিকতার প্রতিফলন”, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এনসির প্রার্থী মিঞা আলতাফ। পিডিপি সুপ্রিমো স্বয়ং এই আসনে প্রার্থী। উপত্যকার আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লড়ছেন এই কেন্দ্র থেকে। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল গড়া গুলাম নবি আজাদ। ২০০৪ ও ২০১৪ সালে তৎকালীন অনন্তনাগ কেন্দ্রে জিতেছিলেন মুফতি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয় ফারুকের দল। সেবার এই কেন্দ্রে মুফতির দল চলে গিয়েছিল তৃতীয় স্থানে। এবার ফের একবার ভাগ্য পরীক্ষায় নামছেন মুফতি। তবে এবার তাঁর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে কিনা, তা বলবে সময়। কারণ মুফতির গলার কাঁটা যেমন ফারুকের দলের প্রার্থী, তেমনি গুলাম নবি আজাদও। সেক্ষেত্রে এই কেন্দ্রে এবার পদ্ম ফোটাই স্বাভাবিক (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে শতাব্দী, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে বিজেপি

    Birbhum: শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে শতাব্দী, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম (Birbhum) লোকসভায় প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন। এই অবস্থায় ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করলেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। আর এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে তারা কমিশনে অভিযোগ জানাতে চলেছে।

    শিক্ষকদের নিয়ে সভা তৃণমূলের (Birbhum)

    জানা গিয়েছে, রবিবার বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট শহরের একটি বেসরকারি লজের সভাকক্ষে মহকুমার প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সভায় শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রলয় নায়েক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়, বিধানসভার ডেপুটি  স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভায় কীভাবে দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভোট করতে হবে সেই নির্দেশ দেওয়া হয় দলের তরফে। অভিযোগ, সভায় উপস্থিত অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাই নির্বাচনী কাজের সঙ্গে যুক্ত। কেউ কেউ দু’দিনের প্রশিক্ষণও নিয়ে ফেলেছেন। নির্বাচনী কাজে যুক্ত এমন শিক্ষকদের নিয়ে সভা করা হল কীভাবে, প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: শহরে তাপমাত্রা কমল ৫ ডিগ্রি! বৃষ্টিতে গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি দক্ষিণবঙ্গে

    তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের নেতা কী সাফাই দিলেন?

    যদিও নির্বাচনীআচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রলয় নায়েক। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে সমস্ত মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। ফলে রবিবার ছুটির দিন শিক্ষকরা আমাদের ডাকে এসেছেন। তাঁরা ছুটির সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের সরকারের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরবেন। মানুষের কাছে প্রকল্পের কথা তুলে ধরবেন। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করি না।’

    কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিজেপি

    বিজেপির শিক্ষক সেলের নেতা নীলকণ্ঠ বিশ্বাস বলেন, ‘নির্বাচনী কাজে যুক্ত শিক্ষকরা যদি সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তিনি কেমন ভোট গ্রহণ করবেন সেটা সকলের জানা। নির্বাচনী কাজে যুক্তদের সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। আমরা এনিয়ে কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানাব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share