Tag: Bengali news

Bengali news

  • Indian Railways: কয়েক সেকেন্ডেই পৌঁছে যাবেন এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে! জানেন কোথায়?

    Indian Railways: কয়েক সেকেন্ডেই পৌঁছে যাবেন এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে! জানেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চাকরি প্রদানকারী সরকারি সংস্থা। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সঙ্গে এমন অনেক মজার তথ্য রয়েছে, যা জানলে আপনি অবাক হবেন। আজ এমন একটি রেল স্টেশন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যেখানে একটি স্টেশনের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে দুটি স্টেশনের নাম! আসুন, জেনে নেওয়া যাক কোথায় নির্মিত হয়েছে এই অনন্য রেল স্টেশন!

    অন্য রকমের চিত্র (Indian Railways)

    স্টেশন কিন্তু একটাই। কিন্তু স্টেশনের নাম রয়েছে আলাদা আলাদা। ইয়ার্কি বা কল্পনা বলে মনে হচ্ছে তো? না, এই আজব স্টেশনটির নাম বীরভূমের সাঁইথিয়া স্টেশন। খাতায় কলমে বীরভূম জেলায় রয়েছে স্টেশনটি। আর এই স্টেশনে এলেই আপনি দেখতে পাবেন একদম অন্য রকমের চিত্র, যা কিছুটা হলেও আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে।

    দু সেকেন্ডের মধ্যে এক স্টেশন থেকে অন্যতে

    বীরভূমের এই স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে আপনি থাকবেন আহমদপুর জংশন, আবার দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকলেই আপনি পৌঁছে যাবেন সোজা সাঁইথিয়া। তবে এই দুটি স্টেশনের দূরত্ব মাত্র দু সেকেন্ডের। তবে একটাই রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে (Indian Railways) ভিন্ন কেন নাম, এই বিষয়ে যদিও কারও কিছু জানা নেই। তবে বীরভূমের সাঁইথিয়া রেল স্টেশনের এই দুই ভিন্ন নাম কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়।

    চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Indian Railways)

    ভারতের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন স্টেশনগুলির মধ্যে একটি এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরকে রেল-পরিষেবা প্রদান করে। পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে স্টেশনটি। এই স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় ৬০ টি ট্রেনের আগমন রয়েছে। সাঁইথিয়া জংশন বীরভূম জেলার তৃতীয় ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন। তবে এই স্টেশনের দুই ভিন্ন নাম বিভ্রান্ত করছে রেল যাত্রীদের। ওই এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা চরণ মণ্ডল জানান, তাঁরা প্রত্যেকদিন আসেন এই স্টেশন ঘুরতে। তবে তাঁদের নজরে আসেনি এই বিষয়টি। রেল কর্তৃপক্ষের কোনও এক ভুলের কারণে হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন সকলেই। তবে বিষয় যাই হোক, বীরভূমের এই স্টেশনকে (Indian Railways) নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “ভারত নয়, পাকিস্তানে ভোটের জন্য ইস্তাহার বানিয়েছে কংগ্রেস”, তোপ হিমন্তর

    Lok Sabha Elections 2024: “ভারত নয়, পাকিস্তানে ভোটের জন্য ইস্তাহার বানিয়েছে কংগ্রেস”, তোপ হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত নয়, পাকিস্তানে নির্বাচনের জন্য ইস্তাহার তৈরি করেছে কংগ্রেস।” শনিবার গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024) নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। হিমন্তকে পাল্টা দিয়েছে কংগ্রেসও। তাদের বক্তব্য, ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বোঝার ক্ষমতা নেই হিমন্তর। এদিন কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা তোষণের রাজনীতি। এই ইস্তাহার দেখে মনে হচ্ছে, এটা ভারতের জন্য নয়, পাকিস্তানের নির্বাচনের জন্য করা হয়েছে।”

    কী বললেন হিমন্ত? (Lok Sabha Elections 2024)

    তিনি বলেন, “দেশে কোনও ব্যক্তি তিনি হিন্দুই হোন বা মুসলমান, কেউই তিন তালাক ফিরিয়ে আনতে চান না। বাল্যবিবাহ বা বহুগামিতাও সমর্থন করেন না। কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এরা সমাজকে বিভক্ত করে দেবে।” হিমন্তর আগে এদিন (Lok Sabha Elections 2024) কংগ্রেসের ইস্তাহারকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেছিলেন, “ইস্তাহারে গুচ্ছ গুচ্ছ মিথ্যা কথা বলে কংগ্রেস নিজেদের মুখোশ খুলে দিয়েছে। প্রতিটি পাতায় ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে। স্বাধীনতার আগে মুসলিম লিগের ভাবনার প্রতিফলন রয়েছে এই ইস্তাহারে। এখানে কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের চিন্তাধারার প্রতিফলনও ঘটেছে।”

    ‘অসমের সব আসনেই জয়ী হবে বিজেপি’

    অসমে লোকসভার আসন রয়েছে ১৪টি। সব ক’টিতেই বিজেপি জয়ী হবে বলেও আশাবাদী হিমন্ত। তিনি বলেন, “বিজেপি একটি আন্দোলনের রূপ ধারণ করেছে, যা দেশকে বিশ্বগুরু করে তুলবে।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ আমাদের দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। বিজেপি দেশের জন্য কাজ করেছে। দেশ আমাদের ধর্ম। আমি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেসকে শেষ না করা পর্যন্ত থামবেন না রাহুল”, মধ্যপ্রদেশে কটাক্ষ-বাণ রাজনাথের

    এদিকে, এদিনই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। তিনি বলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই সব প্রতিশ্রুতির কিছুটাও যদি তারা পূরণ করতে পারত, তাহলে ভারত আজ আরও শক্তিশালী দেশ হত। আমাদের ইস্তাহারপত্র দেখুন। ১৯৮৪ সাল থেকে আমরা রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলে এসেছি। সেই সময় থেকে বিরোধীরা মন্দির তৈরির তারিখ নিয়ে কটাক্ষ ভরা প্রশ্ন করত। তবে এখন অযোধ্যার মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন (Lok Sabha Elections 2024) রামলালা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

     

  • Bandel Church: ব্যান্ডেল চার্চের জন্য ৭৭৭ বিঘা জমি দিয়েছিলেন শাহজাহান, কেন জানেন?

    Bandel Church: ব্যান্ডেল চার্চের জন্য ৭৭৭ বিঘা জমি দিয়েছিলেন শাহজাহান, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার খুব কাছেই হুগলি জেলার এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং পিকনিক স্পট ব্যান্ডেল।.এক সময় এখানে আধিপত্য ছিল পর্তুগিজদের। ১৫৩৭ সালে নবাবকে সাহায্য করার বিনিময়ে পর্তুগিজ অ্যাডমিরাল সাম্পাইরো এখানে পর্তুগিজ কলোনি গড়ে তোলার অনুমতি পান। ১৫৭১ সালে তাঁরা এখানে একটি বন্দর গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন। ১৫৭৯ তে মুঘল সম্রাট আকবর এখানে পর্তুগিজদের নগর পত্তনের অধিকার দেন এবং ওই একই সময় পর্তুগিজরা এখানে বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এজন্য তাঁরা গোয়া থেকে অগাস্টিয়ান (Augustian) সন্ন্যাসীদের নিয়ে আসেন। ১৫৯৯ তে নির্মিত হয় এই ‘ব্যান্ডেল চার্চ’ (Bandel Church)। পর্তুগিজদের গড়া রোমান ক্যাথলিক এই চার্চই হল এখানকার প্রধান আকর্ষণ। এটিই হল বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন চার্চ।

    চার্চের জন্য অর্থবরাদ্দ (Bandel Church)

    মুঘলদের আক্রমণের ফলে এই চার্চটির একবার ক্ষতিও হয়। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আদেশে এই চার্চের ফাদার জোয়ান দ্য ক্রুজ (Joan Da Cruz) সহ বেশ কয়েকজন খ্রিষ্টানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রা ফোর্টে। শাহজাহানের আদেশে তাঁদের হাতির পায়ের তলায় পিষে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে ফাদার জোয়ানের জন্য নির্দিষ্ট হাতিটি ফাদারকে পদপিষ্ট না করে তাঁকে পিঠে বসিয়ে সম্রাটের কাছে নিয়ে যায়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে হাতিটি এমন আচরণ করে যেন মনে হয় সে সম্রাটের কাছে ফাদারের প্রাণভিক্ষা করছে। হাতিটির হাঁটু মুড়ে ফাদারের এইভাবে প্রাণভিক্ষার চেষ্টা দেখে সম্রাটের হৃদয় উদ্বেলিত হয়ে ওঠে এবং তিনি ফাদারসহ বাকি বন্দিদেরও মুক্তি দেন। শুধু তাই নয়, তিনি চার্চটিকে সংস্কার করার জন্য বেশ কিছু অর্থ বরাদ্দ করেন এবং ৭৭৭ বিঘা জমি দেন চার্চের জন্য ১৬৩৩ সালে (Bandel Church)।

    দেখার আছে অনেক কিছুই

    চার্চটির সামনের অংশ গ্রিসের ডোরিক স্থাপত্যে নির্মিত। ভিতরে যিশুর জীবনের বিভিন্ন আখ্যান তুলে ধরা হয়েছে পেইন্টিংয়ে। এই অসাধারণ স্থাপত্য এবং শিল্পকর্ম উৎসর্গ করা হয়েছে নোসা সেনোরা ডি রোজারিওকে। কাঁচের পাত্রে রাখা আছে তাঁর মুর্তি। এর পাশেই মা মেরির আবির্ভাবস্থানে ১৮৫৮ সালে লুর্ভের রেপ্লিকার অনুকরণে গুহা তৈরি করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালে এই চার্চকে ব্যাসিলিকা বা ঈশ্বরের প্রাসাদ (Bandel Church) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৪৯ সালের ২৮ অক্টোবর এই চার্চের ৩৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গঙ্গার তীরে মা মেরির স্মরণে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ক্রশ মেমোরিয়াল অল্টার’। এছাড়াও এখানে অন্যতম দ্রষ্টব্য প্রার্থনা গৃহ, সমাধি, একটি সুবিশাল জাহাজের হাল প্রভৃতি। আর আছে গঙ্গার অপরূপ মোহময়ী রূপ। ইচ্ছে হলে বা হাতে সময় থাকলে ঘুরে নিতে পারেন নিকটবর্তী ইমামবাড়া। ১৮৬১ সালে দানবীর হাজি মোহম্মদ মহসিন প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই মার্বেল পাথরের অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। দেখে নিন সূর্য ঘড়ি এবং ৩৫ মিটার উঁচু ক্লক টাওয়ারটিও।

    যাবেন কীভাবে? (Bandel Church)

    যাতায়াত-হাওড়া স্টেশন থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় ট্রেন যাচ্ছে ব্যান্ডেল। দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। এখানে থাকার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। কলকাতা থেকে সকালে এসে সারা দিন ঘুরে আবার সন্ধ্যায় ফিরে যাওয়া যায় কলকাতায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “কংগ্রেসকে শেষ না করা পর্যন্ত থামবেন না রাহুল”, মধ্যপ্রদেশে কটাক্ষ-বাণ রাজনাথের

    Rajnath Singh: “কংগ্রেসকে শেষ না করা পর্যন্ত থামবেন না রাহুল”, মধ্যপ্রদেশে কটাক্ষ-বাণ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী যতক্ষণ না কংগ্রেসকে শেষ করছেন, ততক্ষণ তিনি থামবেন না।” শনিবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে রাহুলকে তুলনা করে তিনি বলেন, “ভারতীয় রাজনীতিতে সেরা ফিনিশার হলেন রাহুল গান্ধী।”

    কংগ্রেস ও দুর্নীতির সম্পর্ক (Rajnath Singh)

    ‘দুর্নীতির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক কোনওদিন ছিন্ন হবে না’ বলেও এদিন মন্তব্য করেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, “একটা সময় গোটা দেশ শাসন করত কংগ্রেস। আর আজ? কংগ্রেসের দখলে রয়েছে দু’তিনটি রাজ্যের শাসনভার। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, কেন কংগ্রেসের এমন হাল।” এরপর উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন রাজনাথ (Rajnath Singh), “ক্রিকেটে সেরা ফিনিশার কে?” সভা গর্জন করে ওঠে, “ধোনি, ধোনি”।

    ভারতীয় রাজনীতির সেরা ফিনিশার!

    এর পরেই প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, “আর আমায় যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন, ভারতীয় রাজনীতিতে সেরা ফিনিশার কে, তাহলে আমার জবাব হবে রাহুল গান্ধী। এই কারণেই এত সংখ্যক নেতা কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।” তার পরেই প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, “রাহুল গান্ধী যতক্ষণ না কংগ্রেসকে শেষ করছেন, ততক্ষণ তিনি থামবেন না।” কংগ্রেসকে আক্রমণ শানাতে নিয়ে রাজনাথ অনিবার্যভাবেই টেনে এনেছেন দুর্নীতির প্রসঙ্গ। একটি জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার গানের কলি তুলে ধরে রাজনাথ বলেন, “কংগ্রেস ও দুর্নীতির মধ্যে সম্পর্ক হল এমনটা…কংগ্রেস দুর্নীতিকে বলে, তু চল, ম্যাঁয় আয়ি।”

    আরও পড়ুুন: ‘আমি অভিভূত’, গাজিয়াবাদে রোড-শো করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘এক দেশ এক নির্বাচনে’র পক্ষেও এদিন ফের একবার সওয়াল করতে শোনা যায় রাজনাথকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “এতে দেশের অনেক টাকা বাঁচবে। গণতন্ত্র আরও পোক্ত হবে।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই সব প্রতিশ্রুতির কিছুটাও যদি তারা পূরণ করতে পারত, তাহলে ভারত আজ আরও শক্তিশালী দেশ হত। আমাদের ইস্তাহারপত্র দেখুন। ১৯৮৪ সাল থেকে আমরা রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলে এসেছি। সেই সময় থেকে বিরোধীরা মন্দির তৈরির তারিখ নিয়ে কটাক্ষ ভরা প্রশ্ন করত। তবে এখন অযোধ্যার মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন রামলালা।” ২০৪৫ সালের মধ্যে ভারত ‘সুপার পাওয়ার’ হবে বলেও ঘোষণা করেন রাজনাথ (Rajnath Singh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Ram Temple: রামনবমীতে অতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা, সামাল দিতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত রাম মন্দির ট্রাস্ট্রের

    Ram Temple: রামনবমীতে অতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা, সামাল দিতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত রাম মন্দির ট্রাস্ট্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ এপ্রিল রাম নবমী। তার আগে রয়েছে বাঙালির নববর্ষ। স্বাভাবিকভাবেই অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শন করতে ভিড় করবেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। রাম নবমীর ভিড় সামাল দিতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। শুক্রবার অযোধ্যার মণিরাম ছাবনিতে বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাস্টের কর্তারা।

    প্রসার ভারতীতে অনুষ্ঠান সম্প্রচার (Ram Temple)

    রাম মন্দিরের অসমাপ্ত নির্মাণ কার্য নিয়েও হয়েছে আলোচনা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র, কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ দেব গিরি এবং অন্য সদস্যরা। বৈঠকে স্থির হয়েছে, প্রসার ভারতীর অনুষ্ঠান দেখানো হবে ১০০ এলইডি স্ক্রিনে। অযোধ্যা শহরজুড়েই বসানো হবে এই স্ক্রিনগুলি। রামনবমীর অনুষ্ঠানও প্রদর্শিত হবে ওই স্ক্রিনগুলিতে। মন্দিরের প্রথম তলে রাম দরবার নির্মাণের বিষয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে দেব-দর্শনের জন্য সাতটি লাইন করা হবে। এই লাইনগুলি দিয়েই ভক্তরা করতে পারবেন দেব দর্শন।

    বাড়ছে দেব-দর্শনের সময়!

    দেব-দর্শনের সময় নিয়েও আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে (Ram Temple)। ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, “বর্তমানে মন্দির খোলা থাকে ১৪ ঘণ্টা। রাম নবমী উপলক্ষে সেটা বাড়িয়ে ২০ ঘণ্টা করা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা চলছে। রামনবমীর দিন দর্শনার্থীরা প্রসাদ পাবেন। রামনবমীর অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে প্রসার ভারতীতে। অযোধ্যা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হবে ১০০টি এলইডি স্ক্রিন। রাম নবমীর অনুষ্ঠান প্রদর্শিত হবে ওই স্ক্রিনগুলিতে।” রামনবমীর অনুষ্ঠান নিজের নিজের এলাকায় পালন করার পরামর্শও দেন চম্পত। তিনি বলেন, “রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যায় জমায়েত হবে কয়েক লাখ মানুষের। ভক্তরা যাতে নির্বিঘ্নে দেব-দর্শন করতে পারেন, তাই আমরা সাতটি লাইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে চারটি লাইন রয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে যোগ হবে অতিরিক্ত তিনটি লাইন।”

    আরও পড়ুুন: ‘আমি অভিভূত’, গাজিয়াবাদে রোড-শো করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রখর গ্রীষ্মের জেরে ভক্তরা যাতে কষ্ট ভোগ না করেন, সেজন্য শেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে মন্দির কমিটির তরফে। শেড নির্মাণ করা হবে বিড়লা ধর্মশালা থেকে রাম মন্দির মার্গ পর্যন্ত। এই শেডের নীচেই লাইন দিয়ে দাঁড়াবেন দর্শনার্থীরা (Ram Temple)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন তৃণমূল জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। আর এ নিয়েই বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের অনুগামীদের সঙ্গে শুরু হয় তৃণমূলের একাংশের কোন্দল। এই দ্বন্দ্বের মাঝেই জাকিরের তৈরি করা নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন বাইরন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    জোর করে বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না (Murshidabad)

    তৃণমূলের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গে সাগরদিঘির বিধায়কের লড়াই দীর্ঘ দিনের। বস্তুত, বিড়ি ব্যবসায় দু’জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক ময়দানেও। নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন জাকির। সেই কমিটি ভেঙে দেন বিধায়ক বাইরন। এই প্রসঙ্গে বাইরন বলেন, “সাগরদিঘিতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য পৃথক কমিটি, কনভেনার, পর্যবেক্ষকের পদ তৈরি করে নির্বাচনী প্রচার চালানোর কথা বলা হচ্ছে। তবে জেলার অন্য বিধানসভার ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা খলিলুর রহমানের হয়ে ‘খাটবেন’, তাঁদের নিয়ে কমিটি তৈরি করব। জোর করে বাইরে থেকে কেউ কিছু চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না।” জাকিরের নাম না করে তিনি আরও বলেন, “জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অন্য এক বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জোর করে কোনও কমিটি তৈরি করে দেবে, আর আমরা বসে বসে দেখব, এটা হতে পারে না। পাশাপাশি তৃণমূলের জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী খলিলুর রহমানকে সর্বাধিক ভোটে জয়যুক্ত করব।”

    আরও পড়ুন: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    জাকির কী সাফাই দিলেন?

    বাইরনের নির্বাচন কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভালোভাবে মেনে নেননি জাকির। তিনি বলেন, “আমি একক সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও কমিটি করিনি। দল যেটা অনুমোদন করেছে, সেটাই হয়েছে। কে মানবে, কে মানবে না সেটা দল দেখবে।”

    কটাক্ষ করেছে বিজেপি

    বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, “ভাগের বখরা নিয়ে টানাটানি হলে তৃণমূলের মধ্যে একটু গুঁতোগুঁতি হয়, এটা আমরা সব জায়গাতেই দেখছি। সাগরদিঘিও তার ব্যতিক্রম নয়। তৃণমূলের ওপর মানুষের আস্থা নেই। কয়েকদিন আগে অনুন্নয়ন নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ঘেরাওয়ের ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘আমি অভিভূত’, গাজিয়াবাদে রোড-শো করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Lok Sabha Elections 2024: ‘আমি অভিভূত’, গাজিয়াবাদে রোড-শো করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তার আগে এই প্রথম রোড-শো করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে প্রধানমন্ত্রীর ওই রোড-শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। গাজিয়াবাদে এবার পদ্ম-প্রার্থী অতুল গর্গ। তাঁর সমর্থনেই এদিন রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর হাতে পদ্ম (Lok Sabha Elections 2024)

    প্রধানমন্ত্রীর হাতে ধরা ছিল দলীয় প্রতীক পদ্ম। প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে এদিন গাজিয়াবাদে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী যখন হাত নাড়াচ্ছেন, তখন এলাকা কাঁপছে ‘হর হর মোদি’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে। প্রধানমন্ত্রীর (Lok Sabha Elections 2024) রোড-শো শুরু হয় মালিবাদ চকে। শেষ হয় দেড় কিলোমিটার দূরের চৌধুরী মডে গিয়ে। রোড-শোয়ে যোগ দিয়ে আমজনতার যে সমর্থন তিনি পেয়েছেন, তাতে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে এক ঝলক চোখের দেখা দেখতে ভিড় করেছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষও।

    ‘নব ভারতের রূপকার’কে এক ঝলক দেখতে ভিড়

    মহিলাদের অনেকেই হলুদ শাড়ি পরেছিলেন। মাথায় পাগড়ি বেঁধেছিলেন গেরুয়া রংয়ের। প্রখর রোদ উপেক্ষা করেও তাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন ‘নব ভারতের রূপকার’কে এক ঝলক দেখতে। জনতার এই আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকেও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “বিশেষত যুব শক্তি ও নারী শক্তিকে রোড-শোয়ে প্রচুর পরিমাণে অংশ নিতে দেখে আমি আপ্লুত। এতেই স্পষ্ট যে, আমাদের সুশাসনে মানুষ খুশি।” তিনি বলেন, “আগামী বছরগুলিতে আমরা গাজিয়াবাদে আরও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করব। আমার লক্ষ্যই হল কীভাবে জীবনের মানোন্নয়ন করা যায়, কীভাবে মানুষকে আরও বেশি করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়। শিক্ষা, পরিবহণ এবং আরও অনেক কিছুর মানোনয়ন্নন ঘটাতে হবে। আমরা গাজিয়াবাদ থেকে তরুণদের চাই, যারা ভারতের বৃদ্ধিকে নিয়ে যাবে উন্নতির শিখরে। গাজিয়াবাদ সব সময় বিজেপিকে সমর্থন করে এসেছে। আমাদের পার্টি সর্বদা গাজিয়াবাদের উন্নয়নে সচেষ্ট। গত দশ বছরে উন্নয়নমূলক কাজ, বিশেষত শহুরে পরিকাঠামোর উন্নয়ন, যোগাযোগ ও হাউজিংয়ের ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। তার জেরে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন হয়েছে অনায়াস।” প্রসঙ্গত, গাজিয়াবাদে নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) হবে ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফায়।

    আরও পড়ুুন: “মোদিই আমাদের রক্ষাকর্তা, ভোটটা তাঁকেই দেব”, বলছেন উত্তরপ্রদেশের হিন্দু শরণার্থীরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Locket Chatterjee: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Locket Chatterjee: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে এবার বাঁশবেড়িয়ায় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে বাঁশবেড়িয়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সেনপুকুর এলাকায় লকেটকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে। হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এর এসবই হয়েছে তৃণমূলের মদতে। ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও জানানো হয়েছে।   যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Locket Chatterjee)

    ২০১৯ সালে হুগলি আসন বিজেপির কাছে হেরেছে তৃণমূল। এবারও বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (Locket Chatterjee) এই লোকসভায় প্রার্থী করেছে। জনসংযোগে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে লকেট। এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এই আবহের মধ্যে শনিবার রাতে বাঁশবেড়িয়ার সেনপুকুর এলাকায় কালীপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন এখানকার বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান সেরে ফেরার সময় তাঁর ওপর হামলা হয়। গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সপ্তগ্রামের বাঁশবেড়িয়ায় কালীতলায় যাই। কালীপুজোয় গিয়েছিলাম। ফেরার সময় গাড়িতে উঠেই দেখি কিছু লোক হাতে তাঁদের বাঁশ। তাতে কালো পতাকা লাগানো। তাঁরা আসছেন। অশ্রাব্য কথা, গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছেন। আমার গাড়ি ঘিরে গাড়িতে মারতে থাকে। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের বোঝাতে গেলেও শোনেননি। আমি ভিডিও করছি বলে ওরা আরও বেশি করে করছে। এরপর ভিডিওটা বন্ধ করে দিই। আমার সিটের পাশের কাচ ভাঙার চেষ্টা হয়েছে, একজন গাড়িতে ওঠারও চেষ্টা করেন। ড্রাইভার ধাক্কা দিয়ে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন। আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে, বাঁশবেড়িয়ার উপ পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এসব হয়েছে। একজন প্রার্থীর যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে ভোটারদের কী অবস্থা!” অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার তিনি আবেদন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কী বললেন?

    বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, স্থানীয় কাউন্সিলর শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে। কারণ, তারা জানে মমতার পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত যে এবারও ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বাঁশবেড়িয়ার উপপুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, কিছু লোক কালো পতাকা নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিলেন। আমি তাঁদের সরাতে গেলে লকেটের (Locket Chatterjee) নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে ধাক্কা দেন। তাতে আমার আঘাত লাগে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Ram Navami: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর শান্তিপূর্ণ রাম নবমীর মিছিলে হামলা চালিয়ে ছিল বহিরাগতরা। বিশেষ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেই এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। পর পরই দুবারই ওই সম্প্রদায়ের লোকজন রাম নবমীর (Ram Navami) মিছিলে হামলা চালিয়ে অশান্ত করে তুলেছিল হাওড়া শহর। আর এসবের জন্য রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার হাওড়া শহরের জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল না হাওড়া সিটি পুলিশ। পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছে উদ্যোক্তারা। অনুমতি না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাঁরা। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    ঠিক কী ঘটেছিল গত দুবছর? (Ram Navami)

    ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে শিবপুর এবং হাওড়া থানা এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ এবং গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। শিবপুরের পিএম বস্তি এবং চওড়া বস্তি এলাকায় শোভাযাত্রা এগোনোর সময় পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি জি টি রোডের দু পাশে একাধিক দোকানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট চালানোর ঘটনা ঘটে। একাধিক বাইক এবং গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। গতবার সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাজ্য পুলিশের তদন্তভার হাইকোর্টের নির্দেশে এনআইএ হাতে যায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার বেশি পুলিশ মোতায়েন করে অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে অন্য পদ্ধতি নিয়েছে হাওড়া পুলিশ।

    শোভাযাত্রার রুট পরিবর্তনে আপত্তি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    ১৭ এপ্রিল রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা হওয়ার কথা। প্রতিবছরের মতো এবারেও শিবপুর কাজীপাড়ার কাছে নরসিংহ মন্দির থেকে জি টি রোড হয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত শোভাযাত্রার আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অঞ্জনি পুত্রসেনা এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠন। এ ব্যাপারে গত দুমাস ধরে তারা হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে মিছিলের অনুমতির জন্য আবেদন করে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে আগের রুটের তাদের লিখিত কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রার রুট পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। শোভাযাত্রা জিটি রোড দিয়ে না গিয়ে ফরশোর রোড দিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে। এছাড়া আরও বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেমন দুশো জন অংশগ্রহণকারী ও চল্লিশ জন ভলান্টিয়ার ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না শোভাযাত্রায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেতে হবে। কিন্তু পুলিশের এই প্রস্তাব মানতে নারাজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    আরও পড়ুন: “হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল ধৃতরা”, আদালতে আর কী কী জানালো এনআইএ?

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

     বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাওড়ার সভাপতি ইন্দ্রদেও দুবে বলেন, প্রতি বছর যে রুট দিয়ে যাওয়ার কথা, সেই রুট দিয়ে শোভাযাত্রার (Ram Navami) অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তা দেওয়া হয়নি। আসলে মাত্র দুশো মিটার রাস্তায় ঝামেলা হয়। অথচ সেখানে শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ পুলিশ। উল্টে তাদের শোভাযাত্রায় শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলেই পুলিশ ও সরকার এই নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁদের ফরশোর রোড দিয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে যেতে বলছে। কিন্তু ওই রোড পুরোপুরি ফাঁকা। তাই তারা ওই রোড দিয়ে যাবেন না। ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা। আদালতের ওপর আমাদের আস্থা আছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, প্রশাসন এখন পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। এখানে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। যে কেউ হাইকোর্টে যেতে পারেন। তবে গত দুবছর গন্ডগোলের প্রেক্ষিতে তার আশা বিচারপতিরাও গোটা ঘটনা বিবেচনা করে দেখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: “হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল ধৃতরা”, আদালতে আর কী কী জানালো এনআইএ?

    NIA: “হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল ধৃতরা”, আদালতে আর কী কী জানালো এনআইএ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তলব করার পরও হাজিরা দেননি। এরপর সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে হানা দিয়েছিল এনআইএ (NIA)। বিস্ফোরণ মামলার ঘটনার তদন্তে গিয়ে তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন এনআইএ-এর আধিকারিকরা। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। শনিবারই ধৃতদের এনআইএ বিশেষ আদালতে তোলা হয়। এই দু’জনকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারক সেই নির্দেশ মঞ্জুর করেন।

    বাজেয়াপ্ত নগদ টাকা, মোবাইল (NIA)

    ধৃত দুজনকে আদালতে তোলার পর এনআইএ-এর (NIA) পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়েই গ্রামে গিয়েছিল। শনিবার সকালের হামলার ঘটনায় বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানা সরাসরি যুক্ত ছিল। একজন আধিকারিক জখম হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়িও। ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে চার জন গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে যখন দু’বার হাজিরা এড়িয়েছিল, তখনই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এনআইএ। মামলার তদন্তে ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল ও বেশ কিছু রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    এনআইএ-এর আইনজীবী কী বললেন?

    অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ডাকা হয়েছিল, আবার মাঝে ডাকল না। এখন নির্বাচনের আগে ডাকা হল। কেন? ভোট আসলে ডাকা হচ্ছে কেন?’ এই যুক্তিতে অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘নির্দিষ্ট ভাবে একটি রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করা হচ্ছে।’ যদিও সেই যুক্তি উড়িয়ে দেন এনআইএ-র আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নীতি নিয়ে এনআইএ (NIA) চলে না। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গিয়েছে এনআইএ-র কাছে। এখনও চার জন পলাতক, তাদেরও ধরতে হবে। কোনও যোগসূত্র না থাকলে গ্রেফতার হত না। যদি এদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না থাকে, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share