Tag: Bengali news

Bengali news

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট লুটেরারা হুঁশিয়ার!!! বাংলার সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং, এআই প্রযুক্তি

    Lok Sabha Election 2024: ভোট লুটেরারা হুঁশিয়ার!!! বাংলার সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং, এআই প্রযুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট লুটেরারা সাবধান! হুঁশিয়ার দুষ্কৃতীরা! বঙ্গে ভোট লুট রুখতে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে রাজ্যের সব বুথেই ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে এ খবর। কেবল তাই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হবে। রাজনীতির কারবারিদের মতে, প্রতিটি নির্বাচনে প্রায় নিয়ম করে বাংলায় যে অশান্তি এবং ভোট লুট হয়, তা রুখতেই এ রাজ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

    ওয়েব কাস্টিংয়ে জোর (Lok Sabha Election 2024)

    লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময়ই দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, এ বারের ভোটে কোনও ধরনের অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং ওয়েব কাস্টিংয়ের ওপর যে এবার জোর দেওয়া হবে, তারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৫০.৩১ শতাংশ বুথে ওয়েব (Lok Sabha Election 2024) কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার সেটাই বাড়িয়ে একশো শতাংশ করা হল। এ রাজ্যে বুথ রয়েছে ৮০ হাজার ৫৩০টি। সবক’টিতেই হবে ওয়েব কাস্টিং। বাংলার পাশাপাশি পাঞ্জাবের সব বুথেও ওয়েব কাস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যেসব জায়গায় ইন্টারনেটের সমস্যা হবে, সেই সব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে বলেও খবর কমিশন সূত্রে।

    ওয়েব কাস্টিং কী?

    প্রশ্ন হল, ওয়েব কাস্টিং কী? ওয়েব কাস্টিং বলতে বোঝায় লাইভ স্ট্রিমিং। এর সাহায্যে কোন বুথে কী হচ্ছে, অনলাইনের মাধ্যমে তাতে নজরদারি চালাতে পারে কমিশন। কোনও বুথে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে, কমিশনের অফিসে বসেই তা দেখতে পাবেন আধিকারিকরা। সেই মতো দ্রুত নেওয়া যাবে ব্যবস্থা। ওয়েব কাস্টিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন দিক থেকে কোনও একটি বুথের ভোট-ছবি ক্যামেরাবন্দি করা যাবে। সেই সব লাইভ ফিড সংরক্ষণও করা হবে। অল্প আলোয়ও ছবি তোলার ক্ষমতা রয়েছে, ব্যবহার করা হবে এমন ক্যামেরাই।

    আরও পড়ুুন: “নিজেদের আখের গুছোতে ভোটে লড়ছে কংগ্রেস-ইন্ডি”, রাজস্থানে তোপ মোদির

    বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট, বোমাবাজি, খুন-জখম পশ্চিমবাংলার প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের পরিচিত ছবি। অভিযোগ, বাম জমানায় এই দৃশ্য দেখা গেলেও, ছবিটা একটুও বদলায়নি তৃণমূলের আমলেও। এই ছবিটাই হয়তো এবার বদলাবে ওয়েব কাস্টিং এবং এআই প্রযুক্তির দৌলতে (Lok Sabha Election 2024)।

    অতএব, ‘সাধু’ সাবধান!   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “নিজেদের আখের গুছোতে ভোটে লড়ছে কংগ্রেস-ইন্ডি”, রাজস্থানে তোপ মোদির

    PM Modi: “নিজেদের আখের গুছোতে ভোটে লড়ছে কংগ্রেস-ইন্ডি”, রাজস্থানে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই নির্বাচন আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবে।” মঙ্গলবার রাজস্থানের কোটপুটিলে বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’কেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘ওরা লড়ছে আখের গুছোবার জন্য’ (PM Modi)

    তিনি বলেন, “মোদি বলে দেশ থেকে দুর্নীতি হটাবে। আর কংগ্রেস এবং ‘ইন্ডি’ জোট এই নির্বাচনে দেশের জন্য লড়াই করছে না। তারা লড়াই করছে নিজেদের আখের গুছোবার জন্য। তাদের বক্তব্য, দুর্নীতি বাঁচাও। আর মোদি বলছে, দুর্নীতি হটাও।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই প্রথম এমন একটা নির্বাচন হতে যাচ্ছে, যেখানে কংগ্রেস তাদের জয়ের জন্য মানুষকে ভোট দিতে বলছে না, বরং বলছে বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে দেশে আগুন জ্বলবে।”

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    প্রসঙ্গত, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ স্লোগান দিয়ে রবিবারই দিল্লির রামলীলা ময়দানে সভা করেছিলেন ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা। সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানে রাহুল বলেছিলেন, “এই ম্যাচ-ফিক্সড নির্বাচনে যদি বিজেপি জেতে, এবং সংবিধান বদলে দেয়, মনে রাখবেন, তাহলে দেশে আগুন জ্বলবে।” রাহুলের সেই বক্তব্যের দিকেই যে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এদিনের বাক্য-বাণের অভিমুখ, তা বুঝতে রাজনীতিবিদ হতে হয় না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি গোটা দেশকেই একটি পরিবার বলে মনে করে। আর কংগ্রেস দেশের চেয়ে বড় বলে মনে করে তার পরিবারকে। বিজেপি দেশের অহংকারের পতাকাকে উড্ডীন করেছে। আর কংগ্রেস বিদেশে গিয়ে দেশের সম্পর্কে কু-মন্তব্য করেছে।” তিনি বলেন, “মোদি স্ফূর্তি করার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি। জন্মেছে কঠোর পরিশ্রম করতে। দেশে অনেক কিছুই হয়েছে। তবে গত দশ বছরে যা হয়েছে, তা ট্রেলর মাত্র।”

    আরও পড়ুুন: চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান!

    দেশে দারিদ্রের জন্য কংগ্রেসকেই দুষেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “স্বাধীনতার পরে গত ৬০ বছর ধরে দেশে দারিদ্র ছিল। এজন্য দায়ী কংগ্রেস। এর একমাত্র কারণ, কংগ্রেস জমানায় প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য ভারতকে নির্ভর করতে হত অন্য দেশের ওপর। কংগ্রেস কখনওই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার অনুমোদন দেয়নি। কংগ্রেস আমলে ভারতের পরিচয় ছিল সব চেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারী দেশ হিসেবে। আর বিজেপি জমানায় ভারতকে বিশ্ব চেনে অস্ত্র রফতানিকারী দেশ হিসেবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগে সরব দলের নেতারা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Arambagh: তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগে সরব দলের নেতারা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘টাকা নেই, সেই কারণেই এবারে প্রার্থী হতে পারিনি’ আরামবাগের (Arambagh) প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। এরপরই এবার কাটমানি নিয়ে অপরূপার বিরুদ্ধেই সরব হলেন তাঁর দলের একাধিক তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় শোরগোল আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে। লোকসভার ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী বলেছেন বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ? (Arambagh)

    নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, এবার লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ (Arambagh) লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ী সাংসদকে সরিয়ে প্রার্থী করা হয় একেবারে নতুন মুখ মিতালী বাগকে। টিকিট না পাওয়া নিয়ে প্রথমদিকে মুখ না খুললেও সম্প্রতি মনের জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করেন অপরূপা পোদ্দার। দুবারের তৃণমূলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে লড়াই করার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা আমার কাছে নেই।  তাই এবারে প্রার্থী হননি তিনি। এমনকী আমার কাছে টাকা নেই তা হুগলি জেলার দুই মন্ত্রী জানতেন। অপরূপার এই মন্তব্যের পরেই বিস্ফোরক হতে দেখা যায় আরামবাগ ও গোঘাটের একাধিক নেতা তথা প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিদের।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

    বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগে সরব নেতারা

    গোঘাট ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ স্বপন সাহানার অভিযোগ, টাকা না থাকায় প্রার্থী হননি তা পুরোপুরি মিথ্যা কথা বলছেন অপরূপা পোদ্দার। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। বনভূমির কর্মাধ্যক্ষের অভিযোগ, এলাকায় শ্মশান চুল্লির অনুমোদন পাওয়ার পরেও অপরূপা পোদ্দারকে কাটমানির টাকা না দিতে পারায় থমকে রয়েছে সেই কাজ। আবার গোঘাটের তৃণমূল নেতা শুভেন্দু মণ্ডলের অভিযোগ, ক্লাবের জন্য সরকারি পাঁচ লক্ষ টাকা পেতে দিতে হয়েছে কাটমানি। অন্যদিকে খানাকুলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান হাইদার আলির অভিযোগ, পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার পরেও তাঁর স্ত্রীর চাকরির জন্য টাকার দাবি করা হয়েছিল। পাশাপাশি আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি গুনধর খাঁড়ার অভিযোগ, অপরূপা যা বলছেন সবটাই মিথ্যা। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রাক্তন আরামবাগ (Arambagh) সাংসদের বিতর্কিত মন্তব্যের পর বিস্ফোরক তাঁর দলের একাধিক তৃণমূল নেতা। যদিও এই প্রসঙ্গে বর্তমান তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান!

    Sheikh Shahjahan: চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নেতা হওয়ার সুবাদে একের এক অন্যায় করে চলেছিল সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মাথায় দলীয় নেতার আশীর্বাদী হাত থাকায় ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল তৃণমূলের এই ‘বাদশা’। তদন্তকারীরা জেনেছেন, চিংড়ি মাছের ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান। সেই টাকা লেনদেনের নথিও সংগ্রহ করেছে ইডি।

    একের পর এক অনৈতিক কাজ!

    জমি দখল, ভেড়ি দখলের মতো কাজও করে শাহজাহান লুটেছিল কোটি কোটি টাকা। শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) নিয়ন্ত্রিত এসকে সাবিনা ফিশারিজ সংস্থায় ১০৪ কোটি টাকা ঢুকেছিল ম্যাগনাম এক্সপোর্টসের মাধ্যমে। অনুপ কুমার সোম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গত অর্থবর্ষে শাহজাহানের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ৩৩ কোটি টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, শাহজাহানের চিংড়ি মাছের ব্যবসার প্রায় ৪০ শতাংশ মাছের জোগান আসত অন্যের দখল করা ভেড়ি থেকে। তাঁর নিজের ভেড়ি থেকে আসত ১০ শতাংশ মাছ। আর বাকি ৫০ শতাংশ মাছ শাহজাহান কিনতেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।

    মাছ ব্যবসায়ীদের হুমকি দিত শাহজাহান!

    এলাকায় শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) যে একছত্র অধিপতি হতে চেয়েছিলেন, তারও প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, উনিশ সালে স্থানীয় চিংড়ি ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করেন শাহজাহান। সেখানে তাঁদের হুমকি দিয়ে রাখে শাহজাহানের শাগরেদরা। জানিয়ে দেয়, তাঁদের সব মাছ বিক্রি করতে হবে তৃণমূল নেতা (অধুনা বহিষ্কৃত) শাহজাহানকে। অন্যত্র মাছ বিক্রি করলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয় শাহজাহান। প্রাণভয়ে শাহজাহানের ঠিক করে দরেই তাকে মাছ বিক্রি করতেন চিংড়ি ব্যবসায়ীরা। ইডি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অন্তত ২০ জনের নাম জানতে পেরেছে, যারা দখল করা ভেড়ির মালিক। তারা সমস্ত চিংড়ি বিক্রি করত শাহজাহানকে। মাছ বিক্রির টাকা পৌঁছে যেত শাহজাহানের দুই ভাই এবং শাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাদের অ্যাকাউন্টে।

    আরও পড়ুুন: “আপনার বাড়ির নাম যদি বদলে দিই, বাড়িটা আমার হয়ে যাবে?”, চিনকে তোপ জয়শঙ্করের

    শাহজাহানের নির্দেশে সেই টাকা ব্যবহার করা হত জমি কিনতে কিংবা অন্য কোনও কাজে। জমি কেনা হত আবু সিদ্দিকি হাফিজিয়া ট্রাস্টের নামে। এই ট্রাস্টটি শাহজাহানের বাবার নামে। জমি দখলের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে। সোমবার আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, “জমি দখলের কালো টাকা চিংড়ি ব্যবসার লেনদেন হিসেবে দেখানো হত। সেই ব্যবসা শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) মেয়ে শেখ সাবিনার নামে।” ইডির দাবি, চিংড়ি কেনাবেচা করে নয়ছয় করা হয়েছে দুর্নীতির টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
  • Birbhum BJP Candidate: তারাপীঠে পুজো দিয়ে ভোটের ময়দানে নামলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস

    Birbhum BJP Candidate: তারাপীঠে পুজো দিয়ে ভোটের ময়দানে নামলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠে পুজো দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামলেন বীরভূমের (Birbhum) বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর (Debasis Dhar)। তাঁর লড়াই তিন বারের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Ray) বিরুদ্ধে। শীতলকুচির (Sitalkuchi) ঘটনা বদলে দিয়েছে এই পুলিশ অফিসারের জীবন। জানা গিয়েছে, তাঁর অজান্তেই গুলি চলে ছিল। এরপর ঘটনায় অভিযুক্ত করে তাঁকে সাসপেন্ড এবং জেরা করা হয়। তারপরেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তবে এই বিজেপি প্রার্থীর (BJP Candidate) তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “বীরভূমে কোনও কাজ করেননি তিন বারের সাংসদ শতাব্দী রায়। রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী আগে ভাগে পদক্ষেপ নিলে বীরভূম নিয়ে এত অভিযোগ উঠত না।”

    কী বললেন দেবাশীষ ধর?

    লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এদিন দুর্নীতি নিয়েও রাজ্যকে কটাক্ষ করেন দেবাশিস ধর। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্য চুরিতে এমন রেকর্ড করে বসে আছে যে আগামী ১০০ বছরে এই রেকর্ড ভাঙা সম্ভব হবে না। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় না এলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। শীতলকুচির ঘটনার জন্য অনেক মানসিক পরিবর্তন হয়েছে। ওই ঘটনার পর যা হয়েছে তা যদি না ঘটত তাহলে ডিআইজি হতাম, প্রার্থী হতাম না। ২০১১ সাল থেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুলিশমন্ত্রী। তিনি যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেন তাহলে রাজ্যে এত রাজনৈতিক হিংসা হত না। এত দুর্নীতিও হত না। রাজ্যে মানিক ভট্টাচার্য্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল অথবা বালুর মত ব্যক্তিদের ছড়াছড়ি হত না। তৃণমূলের তিনবারের সাংসদ কোনও কাজ করেননি। মানুষের কাছে গিয়ে তিনি ধাক্কা খাচ্ছেন। অন্য রাজ্যে গেলে বাঙালি হিসেবে লজ্জা হয়। এ রাজ্যে শিল্প বলতে মদ আর জমি বিক্রি ছাড়া আর কিছুই নেই।”

    তারা মায়ের কাছে মানব সেবার কামনা

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবার তারাপীঠে (Tarapith) পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী। মায়ের কাছে কী কামনা করলেন জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, “প্রার্থনা করেছি এমন কিছু চমৎকার কর যেন জন্ম জন্মান্তর তোমার সেবা করতে পারি। মানুষের হয়ে কাজ করতে এসেছি। প্রশাসনিক পদে থাকা এবং মানুষের জন্য কাজ করা অনেকটাই আলাদা। আমরা ভোটে জয়ী হবো এতে কোনও সন্দেহ নেই। ব্যক্তিগত কোনও লড়াই নেই। সবটাই রাজনৈতিক লড়াই আমাদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইমেজে লড়াই হবে। আমাদের সরকার এলে রাজ্যের প্রশাসনিক সংস্কার হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল এখানে জিতলে, গুন্ডারা এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে। তাই তৃণমূলকে জেতানো যাবে না। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। ভোট প্রচারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কর্মীদের উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে তৃণমূলকে তোপ (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার জেলার কুশমন্ডির মহিষবাথান এলাকায় ভোট প্রচার সারেন বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মহিষবাথানে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। আগামী পাঁচ বছর পাবেন। এই গ্যারান্টি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, বিরোধীরা মিথ্যে কথা বলছে। প্রচার করছে, দিদি দিচ্ছে। দিদির তো পকেটই নেই। কোথা থেকে দেবেন! পকেট থাকলেও টাকা নেই। তৃণমূলের ময়া মাছ, দাড়কা মাছ সাইজের নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু, কারও বন্ধ হবে না। যদি কারও বন্ধ হয়ে যায় তা চালু করার দায়িত্ব আমার। ছাব্বিশে রাজ্যে বিজেপি সরকার হলে তিন হাজার টাকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করা হবে। কিন্তু তার আগেও সরকার চলে আসতে পারে। তাই তৃণমূলকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

    আরও পড়ুন: বামেদের দখল হওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারের আশ্বাস দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে

    বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমার বলেন, সিএএ নিয়েও তৃণমূল মিথ্যে বলছে। কথা দিয়েছিলাম, বালুরঘাট-শিয়ালদা ট্রেন চালু করব, করেছি। এত সুন্দর ঝাঁ চকচকে ট্রেন গোটা উত্তরবঙ্গে নেই। এবার দিল্লির ট্রেন চলবে। সন্দেশখালিতে তৃণমূল মা-বোনদের সম্মান নিয়ে খেলেছে। এটা আমাদের এখানে হতে দেওয়া যাবে না।’ এদিনের সভা থেকে তিনি আরও বলেন, বাড়ির বউ- মেয়েদের তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ও নেতাদের ধারে পাশে যেতে দেবেন না, তাহলে তাঁদের ইজ্জত লুটে নেবে তৃণমূলের নেতারা। তৃণমূল দল হলো ইজ্জত লুটের দল। এই দল কে কোনও ভাবেই জেতানো যাবে না। তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে।

    ৩০টি আসনে জিতবে বিজেপি!

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘গতবার বিজেপি ১৮টি আসন জেতায় মুখ্যমন্ত্রীর মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বিজয় মিছিল করা যাবে না। এবারে আমরা ৩০টি আসন জিতে গেলে আরও বিজয় মিছিল করা যাবে না। সেজন্য আমরা আগামী ৩ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেব। বিজয় মিছিলও করব। কিন্তু, বিজয় মিছিল করতে গেলে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নরেন্দ্র মোদির কাজ মানুষকে বোঝাতে হবে।’ আর তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রকে জেতানো যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তৃণমূল বিধায়ক লাভলীর স্বামীকে পুলিশের ডিসি পদ থেকে সরাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: তৃণমূল বিধায়ক লাভলীর স্বামীকে পুলিশের ডিসি পদ থেকে সরাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন প্রক্রিয়া (Lok Sabha Election 2024) থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতা পুলিশের ডিসি দক্ষিণ-পশ্চিম সৌম্য রায়কে। সৌম্য রায় হলেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্রর স্বামী। প্রসঙ্গত, এটাই প্রথমবার নয় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে  লাভলী মৈত্র যখন প্রার্থী হন তখনও সৌম্য রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন তাঁকে পদ থেকে সরানোর কথা জানিয়েছে।

    কী লেখা রয়েছে কমিশনের চিঠিতে? 

    নির্বাচন কমিশনের (Lok Sabha Election 2024) তরফ থেকে সৌম্য রায়কে সরানোর কথা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে আইপিএস সৌম্যকে কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ-পশ্চিম বিভাগের ডিসি পদ থেকে সরিয়ে কোনও অ-নির্বাচনী পদে রাখতে হবে। পাশাপাশি কমিশন আরও জানিয়েছে, তাঁকে এমন পদে বদলি করতে হবে, সেই পদের সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কোনও রকমের সম্পর্ক থাকবে না।

    নতুন নাম চেয়েছে কমিশন

    সৌম্যর পদ খালি হওয়ার (Lok Sabha Election 2024) পরে তা পূরণের জন্য তিনজন আধিকারিকের নামও চেয়েছে কমিশন। রাজ্যের কাছে আগামীকাল অর্থাৎ ৩ এপ্রিল দুপুর তিনটের, তিনটি নাম চেয়েছে কমিশন। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। আচরণ বিধি লাগু থাকার সময় নির্বাচন কমিশনের হাতে বিশেষ কিছু ক্ষমতা থাকে। এই বিশেষ ক্ষমতা বলে কমিশন সরকারি অফিসারদের বদলি করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সংঘটিত করা। সেই কথা মাথায় রেখে তৃণমূল নেত্রী তথা বিধায়কের স্বামীকে বদলির সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।

    গতকাল সরানো হয় ২ অফিসারকে

    প্রসঙ্গত, পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরের দুই অফিসারকে গতকালই সরিয়ে দেয় কমিশন। যাঁদের সরানো হয়েছে তাঁরা হলেন, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায়চৌধুরী এবং যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাহুল নাথ। প্রসঙ্গত ভোট ঘোষণার (Lok Sabha Election 2024) পরেই লাগু হয় আদর্শ আচরণবিধি। তখনই কমিশন সরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। এর পাশাপাশি সরানো হয়েছিল চার জেলাশাসককেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: মোদির কল্যাণে গঙ্গার নীচে দিয়ে ছুটছে মেট্রো, হাওড়ায় অটোর দৌরাত্ম্য শেষ

    Kolkata Metro: মোদির কল্যাণে গঙ্গার নীচে দিয়ে ছুটছে মেট্রো, হাওড়ায় অটোর দৌরাত্ম্য শেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো রেল পরিষেবা চালু হওয়ার পরে এক পক্ষও কাটেনি, এরই মধ্যে দ্রুত যাত্রাপথ বদল হয়েছে হাওড়া শহরের বড় অংশের বাসিন্দাদের। হাওড়া ময়দান থেকেই তাঁরা মেট্রো রেলে চড়ে কলকাতায় (Kolkata Metro) চলে যাচ্ছেন। এর ফলে হাওড়া ময়দানের পরে আর বিশেষ যাত্রী পাচ্ছেন না অটোরিকশার চালকরা। হাওড়া থেকেও ফিরতি পথে যাত্রী মিলছে না অনেক রুটেরই। শিবপুর হোক বা শালকিয়া, যাত্রীরা হাওড়া এড়িয়ে সরাসরি হাওড়া ময়দানে চলে আসছেন। তাই রোজগার এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেছে অটোচালকদের।
    হাওড়ার দিকে যাওয়ার পথে অধিকাংশ অটোই হাওড়া ময়দানে খালি হয়ে যাচ্ছে। রুট বজায় রাখতে ফাঁকা অটো নিয়ে হাওড়ায় যেতে হচ্ছে। কিন্তু বেশি বিপত্তি ফেরার পথে। হাওড়া ময়দানের অটো ও টোটোয় সব সময়ই যাত্রী মিলছে, কিন্তু হাওড়া স্টেশনে যাত্রীর প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে ট্রিপের সংখ্যা কমে অর্ধেক হয়ে গেছে অনেক অটোর। রাত নটায় মেট্রো বন্ধ, তার পরে হাওড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী মিলছে আগের মতোই। কিন্তু দিনের বাকি চোদ্দো ঘণ্টা এক রকম মাছি তাড়াতে হচ্ছে অটোচালকদের।

    “আরামে ধর্মতলায় চলে যাচ্ছি” (Kolkata Metro)

    হাওড়া ময়দান পর্যন্ত বাসে এসে সময় বাঁচাতে অনেকেই অটো ধরে হাওড়া স্টেশনে চলে গিয়ে সেখান থেকে বাস ধরতেন। এমনই এক যাত্রী শেখর প্রামাণিক বলেন, মেট্রো হয়ে যাওয়ায় এখন ময়দান থেকে আর অটো ধরে হাওড়ায় যাই না। বাসগুলো ময়দানে দাঁড়িয়ে থাকে অনেকক্ষণ, তাই বাধ্য হয়ে অটো ধরতে হত। হাওড়ায় যেতে সাত টাকা ভাড়া দিতে হত। ইদানিং দশ টাকা তো ন্যূনতম ভাড়া হয়ে গেছে। কিন্তু দশ টাকায় এখন এসি মেট্রোয় বারো মিনিটে ধর্মতলা (Kolkata Metro)। মানে গুঁতোগুঁতি করে যতক্ষণে হাওড়ায় পৌঁছতাম ততক্ষণে আরামে ধর্মতলায় চলে যাচ্ছি। ট্রেনের সময় জেনে গেছি। তাই তেমন অপেক্ষাও আর করতে হচ্ছে না। অটোওয়ালাদের যা মেজাজ, তার থেকে বেঁচেছি। বাসের কন্ডাক্টররা তো এখান থেকে গাড়ি এগোতেই চাইতেন না। এখন ওঁরা বুঝছেন।

    যাত্রী কমে যাওয়ায় ধাক্কা (Kolkata Metro)

    হাওড়ার বাসের গতি নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাই টোটো বা ই রিকশা চালু হওয়ার পরে অনেকেই বাড়তি ভাড়া দিয়ে আরামে ও তাড়াতাড়ি যাওয়ার পন্থা বেছে নিতে শুরু করেন। বিদ্যাসাগর সেতু চালু হওয়ার পঁচিশ বছর পরেও আমতলা ওপি-শ্যামবাজার, চ্যাটার্জিহাট-ধর্মতলা, রামরাজাতলা-রাজাবাজারের মতো রুট টিঁকে ছিল। কিন্তু টোটোর দাপটে দ্রুত সঙ্কটে পড়ে চ্যাটার্জিহাটের বাস উঠে যায়। রুট ছোট করেও অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারেনি আমতলা ওপি রুটের বাস। এখন মেট্রোর ধাক্কায় (Kolkata Metro) চালু থাকা রুটগুলো নতুন করে ধাক্কা খাচ্ছে, বিশেষ করে হাওড়া ময়দান হয়ে হাওড়া স্টেশনগামী অটোর রুট। এতদিন ধীরে ধীরে অটোর সংখ্যা বাড়লেও এবার সমস্যায় পড়ছে তারা। কারণ বিদ্যাসাগর সেতুর সুবিধা সেভাবে পান না শালকিয়া-বালির দিকের বাসিন্দা, কিন্তু মেট্রোর সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন। শালকিয়ার দিয়ে আগে অটোর রমরমাই সবচেয়ে বেশি ছিল। বছর সাত-আট এর সঙ্গে যোগ হয়েছে টোটো। এখন হাওড়া ময়দান থেকে অটোর সমস্যা না হলেও হাওড়া স্টেশনের অটোর পক্ষে দিনের বেলায় যাত্রী কমে যাওয়ার ধাক্কা সামলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Defence Exports: প্রথমবার ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রফতানি ছাড়াল ২১ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি

    India Defence Exports: প্রথমবার ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রফতানি ছাড়াল ২১ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য রেকর্ড পরিমাণ প্রতিরক্ষা সামগ্রী (India’s Defence Exports) রফতানি করল ভারত। সোমবার এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানিয়েছেন ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করেছে ভারত যা আগে কখনও হয়নি।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ট্যুইট 

    এ নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন রাজনাথ সিং। সমাজ মাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন, ‘‘সবাইকে জানাতে পারে আমি আনন্দিত যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রফতানি এক রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য ২১ হাজার (India’s Defence Exports) কোটি টাকারও বেশি প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করা গিয়েছে।’’

    আগের অর্থবছরে তুলনায় এই রফতানির পরিমাণ ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

    কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আরও জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ভারত ২১ হাজার ৮৩ কোটি টাকার (India’s Defence Exports) প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করতে পেরেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর মতে, আগের অর্থ বছরে তুলনায় এই রফতানির পরিমাণ ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে নাইজেরিয়াতে প্রবাসী ভারতীয়দের একটি সম্মেলনে যোগদান করেন রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার কথা বলেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতিরক্ষা রফতানিতে অগ্রগতির (India’s Defence Exports) লক্ষ্যে ভারতের স্লোগান হল, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া-মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড।’’

    আরও পড়ুন: ভোটের উত্তাপে রাজ্যের স্কুলগুলিতে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, বাড়ল দিনও, কবে থেকে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyber Crime in Mewat: হরিয়ানার নুহ পুলিশের জালে ৪২ সাইবার দুষ্কৃতী, উদ্ধার প্রচুর মোবাইল ও সিম

    Cyber Crime in Mewat: হরিয়ানার নুহ পুলিশের জালে ৪২ সাইবার দুষ্কৃতী, উদ্ধার প্রচুর মোবাইল ও সিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার অপরাধের (Cyber Crime) বিরুদ্ধে নজির গড়ল হরিয়ানার নুহ পুলিশ। পুলিশের পাতা ফাঁদে ধরা পড়েছে ৪২ জন সাইবার অপরাধী। দেশব্যাপী সাইবার প্রতারণার মামলার বিষয়ে দু’ দিনে নুহ ও মেওয়াতের (mewat) বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের নাম দীন মোহাম্মদ, আসিফ, আরিফ, সরফরাজ, সাকিব, ইজাজ, মুনাজির পবলে সহ আরও অনেক। পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার থেকে এই অভিযান চলে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। অভিযান শেষে অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৫০টি মোবাইল, জাল আধার কার্ড (fake adhar card), প্রচুর জাল নথি, ৯০ টিরও বেশি সিম কার্ড, নগদ টাকা এবং বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে (arrested) আইপিসি ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারা প্রয়োগ করে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আগেও ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ পোর্টালের মাধ্যমে গ্রেফতার

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ বছরের এপ্রিল মাসের পর সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান। এর আগে পুলিশ একটি অভিযানে ১৪ টি গ্রাম থেকে ৬৬ জন সাইবার প্রতারণায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। সেই অভিযানের সময় ৫০০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ একটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে জানিয়েছে, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ইন্টিগ্রেটেড সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের (i4C) বিশেষ প্রতিবিম্ব পোর্টালের (protibimb portal) সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুষ্কৃতীদের। পোর্টালটি এই বছর চালু হয়েছে। এটি মূলত প্রতারকদের সিম এবং আইএমইআই নম্বর রিয়েল-টাইম ভিত্তিতে চিহ্নিত করে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।”

    পুলিশ সুপারের বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে হরিয়ানা রাজ্যের ডিজি শত্রুজিৎ কাপুর বলেন, “প্রতিবিম্ব পোর্টাল পুলিশকে রাজ্য জুড়ে ৫৯৪ টি সাইবার জালিয়াতির অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। এই প্রতারকদের মধ্যে ১০১ জন নুহ এবং পার্শ্ববর্তী শহর আলওয়ার এলাকায় ছিল। সন্দেহভাজনদের রিয়েল-টাইম অবস্থানের ডেটা ও তাদের ফোন নম্বরগুলি স্থানীয় পুলিশ এবং পঞ্চকুলায় অবস্থিত সাইবার ক্রাইম কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছিল।” এই প্রসঙ্গে শত্রুজিৎ কাপুর আরও জানিয়েছেন, “ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক সিম কার্ড এবং জাল আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তারা কতগুলি মামলায় জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” সাইবার ক্রাইম থানার এসএইচও, ইন্সপেক্টর বিমল রাই বলেছেন, “পুলিশের যৌথ উদ্যোগে সাইবার প্রতারকদের ধরা হয়েছে। পুলিশ দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে, এই জালিয়াতির সাথে যুক্ত আরও অপরাধীদের ধরতে এই অভিযান চলবে।” একই ভাবে নুহ পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট, নরেন্দ্র বিজার্নিয়া সাইবার অপরাধীদের জন্য কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন।

    আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রে ঝড় তুলবেন মোদি, সভা জলপাইগুড়িতেও

    কীভাবে চলত সাইবার প্রতারণা?

    সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ভুয়ো বিজ্ঞাপন (fake advertisement), চাকরির (fake job) ভূয়ো প্রস্তাব সহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করত। নুহ পুলিশের মুখপাত্র কিশান কুমার বলেছেন, “প্রতারকেরা লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের টার্গেট খুঁজত। এরপর চাকরি খুঁজতে আসা তরুণীদের ভিডিয়ো কল করে তাদের ছবি অপপ্রয়োগ করে হুমকি ও যৌন নির্যাতন করত। আর যুবকদের লোভনীয় রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকানো হত।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share