Tag: Bengali news

Bengali news

  • Cooch Behar: ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার! বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূলের

    Cooch Behar: ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার! বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাত আনুমানিক বারোটা সাড়ে বারোটা নাগাদ কোচবিহার (Cooch Behar) ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারী এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শিব বর্মনের বিরুদ্ধে এলাকায় লাগানো বিজেপির ব্যানার ফেস্টুন খোলার অভিযোগ ওঠে। এই সময় ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী পূর্ণ বর্মনের বাড়ির সামনে পতাকা ফেস্টুন খোলার সময় ঘটনা তিনি দেখে ফেলেন। এরপর তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি কর্মীর উপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা করে মারধর করে। ঘটনায় গুরুতর জখম এক বিজেপি কর্মী। অপর দিকে অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।

    আহত বিজেপি কর্মী হাসপাতালে ভর্তি (Cooch Behar)

    তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা চড়াও হয় বিজেপি কর্মী পূর্ণবাবুর উপর। সেই সঙ্গে চলে বেধড়ক মারধর। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কোচবিহার (Cooch Behar) এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার কথা অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের কাছে শিবু বর্মন সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার সকালে আহত পূর্ণ বর্মনকে দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হন কোচবিহার বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। গোটা ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি করে অভিযুক্ত শিব বর্মনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন জেলা বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা (Cooch Behar) সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “গতকাল রাত ১২ টার সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে আমাদের বিজেপির কর্মীর উপর। আসলে তৃণমূলের লোকেরা রাস্তায় লাগানো বিজেপির পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ছিল। ঠিক এমন সময় পূর্ণ বাবু দেখে ফেলায় প্রতিবাদ করেন। আর এই ঘটনায় তাঁকে লাঠি দিয়ে খুব মারধর করে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী। তিনি এখন হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন। তৃণমূল হারার ভয়ে এই আচরণ করছে। আমরা কমিশনে যাবো।”

    আরও পড়ুনঃ নির্বাচনী প্রচারে শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, রাস্তা সারাইয়ের দাবি

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (Cooch Behar) তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “এটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। এখানে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই। বিজেপির জেলা সভাপতির বক্তব্য গ্রহণ যোগ্য নয়। নিশীথ এবং মালতী দেবী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলছে।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রবিবাসরীয় প্রচারে বালুরঘাটে চুটিয়ে জনসংযোগ করলেন সুকান্ত, হল যোগদান পর্ব

    Sukanta Majumdar: রবিবাসরীয় প্রচারে বালুরঘাটে চুটিয়ে জনসংযোগ করলেন সুকান্ত, হল যোগদান পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল প্রায় ৩০ টি পরিবার। রবিবার বিজেপির প্রার্থী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত ধরে হল যোগদান পর্ব। মূলত, বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের খরাইল বুথ থেকে তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার।

    বালুরঘাটে জনসংযোগে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    পাশাপাশি রবিবার সাত সকালে ভোট প্রচারে বের হন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বালুরঘাট পাইকারি বাজারে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোট প্রচার শুরু করলেন তিনি। কথা বললেন ক্রেতা- বিক্রেতা সকলের সঙ্গে। আলোচনায় উঠে এল সিএএ, কৃষক সম্মান নিধির মতো বিভিন্ন বিষয় যা সাধারণ মানুষের জীবনকে ছুঁয়ে যায়। রবিবার সকাল সকাল ভোট প্রচারে বেরিয়ে সুকান্ত বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দিলেন। কিছুদিন আগেই এই পাইকারি বাজার নিয়ে পুরসভার সঙ্গে কৃষকদের সমস্যা হয়েছিল। স্থায়ী বাজার চেয়ে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সুকান্ত মজুমদার এদিন সেই সমস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন, পাইকারি বাজারের বাজার করতে আসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: “গতবারের তুলনায় এবার জয়ের ব্যবধান বাড়বে”, আত্মবিশ্বাসী বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়

    ভোটের দলীয় প্রচার নিয়ে গানের ভিডিও -অডিও রিলিজ

    বালুরঘাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রবিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিগত পাঁচ বছরে সাংসদ হিসেবে তার বরাদ্দ টাকা কোথায় কী খরচ করেছেন তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এছাড়া কোন কোন প্রকল্প তিনি শুরু করেছেন তারও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এছাড়াও লোকসভা ভোটের দলীয় প্রচার নিয়ে একটি গানের ভিডিও -অডিও রিলিজ করেন সুকান্তবাবু, যা ভোট প্রচারে আগামীদিনে গোটা রাজ্যজুড়ে ব্যবহার হবে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, আগামী ৭ এপ্রিল বালুরঘাট ও জলপাইগুড়িতে সভা করতে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, সকালে আমি বালুরঘাট পাইকারি বাজারে প্রচার করলাম। প্রচারে গিয়ে ব্যাবসায়ীদের অভাব অভিযোগ শুনলাম। আমার হাত ধরে ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের একটি বুথ থেকে তৃণমূল ছেড়ে ২৫-৩০ পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে। এছাড়া বিগত পাঁচ বছরে সাংসদ হিসেবে আমার বরাদ্দ টাকা কোথায় কী খরচ হয়েছে তা তুলে ধরেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ভোটবঙ্গে ফের সফরে প্রধানমন্ত্রী, ৪ দিনে ৩ জনসভা উত্তরবঙ্গে

    Narendra Modi: ভোটবঙ্গে ফের সফরে প্রধানমন্ত্রী, ৪ দিনে ৩ জনসভা উত্তরবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটবঙ্গে ফের প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রে খবর, কোচবিহারে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটে রাজ্যে ৩ আসনে নির্বাচন হবে। তার মধ্যে কোচবিহারও রয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রীর এই হাইভোল্টেজ সভা হবে। সূত্রের খবর, কোচবিহারের রাসলীলা ময়দানে সভা হওয়ার কথা। এরপরে আগামী রবিবার বালুরঘাট এবং জলপাইগুড়িতেও সভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

    পাখির চোখ বাংলা

    ভোট ঘোষণার আগেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বাংলায় এসে প্রচারে ঝড় তোলেন। আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসত,শিলিগুড়িতে করেন সভা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ বানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের থেকে এ বারে পশ্চিমবঙ্গে আরও বেশি আসন জিতবে বিজেপি, এমনটা ইতিমধ্যে উঠে এসেছে বিভিন্ন সমীক্ষাতেও। তার কারণ তৃণমূল সরকারের অপশাসন এবং বিজেপির একের পর জনমুখী কর্মসূচি। আর এটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীকে সামনেই রেখেই ইতিমধ্যে সারা দেশে  প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। বাংলাতেও ধরা পড়ছে একই চিত্র। সাত দফার ভোটে এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী ৩০-এর বেশি সভা করবেন বলে ঠিক রয়েছে।

    আগামী রবিবার জোড়া সভা

    বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারের পরে রবিবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) পশ্চিমবঙ্গে জোড়া সভা করবেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের লোকসভা কেন্দ্র হল বালুরঘাট। আগামী রবিবার দুপুর আড়াইটের সময় এখানেই সভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার পর সেখান থেকেই তিনি জলপাইগুড়িতে রওনা হবেন। বিকেল সাড়ে ৪টেয় সেখানে সভা হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। প্রসঙ্গত, কোচবিহারে বিজেপির প্রতীকে লড়ছেন নিশীথ প্রামাণিক। আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি থেকে যথাক্রমে মনোজ টিগ্গা এবং জয়ন্ত রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “এটা পরিবার বাঁচাও, দুর্নীতি লুকাও সমাবেশ”, ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা বিজেপির

    BJP: “এটা পরিবার বাঁচাও, দুর্নীতি লুকাও সমাবেশ”, ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা গণতন্ত্র বাঁচাও সমাবেশ নয়, পরিবার বাঁচাও, দুর্নীতি লুকাও সমাবেশ।” রবিবার এই ভাষায়ই বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’কে নিশানা করল বিজেপি (BJP)। এদিন বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী ইন্ডি জোটের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির প্রসঙ্গ টানেন।

    ত্রিবেদীর নিশানায় ইন্ডি জোট (BJP)

    কংগ্রেসের যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের প্রসঙ্গও টানেন। ডিএমকে এবং আরজেডিও নিশানা করেন সুধাংশু। এক সময় অন্না হাজারের নেতৃত্বে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারত’ শব্দবন্ধে গর্জে উঠেছিল রামলীলা ময়দান। ত্রিবেদী (BJP) বলেন, “এদিন সেই ময়দানের সমাবেশের মূল বক্তব্যই হল, প্রত্যেকেই দুর্নীতির সঙ্গে।” তিনি বলেন, “যিনি অনেক নেতাকে এক সময় চোর বলেছিলেন, তিনিও তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এটা একটা অদ্ভুত দৃশ্য।” দিল্লির এই ময়দানের সমাবেশে এদিন বিজেপি বিরোধী অন্যান্য কয়েকটি দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আপ নেতারাও। সুধাংশুর কটাক্ষ-বাণের অভিমুখ যে সেদিকেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    দুর্নীতি মামলা

    তিনি বলেন, “একাধিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত লালুপ্রসাদ যাদবও এখন তাঁদের নেতা। এঁরা সব এক জায়গায় জড়ো হয়েছেন তাঁদের পুরানো পাপ লুকোতে। এবং মনে রাখতে হবে, এঁরা প্রত্যেকেই রাম মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন। এঁদের মধ্যে অনেকে আবার হিন্দুত্ববাদের মূলোৎপাটন করতে চেয়েছিলেন।” বিজেপির এই মুখপাত্র বলেন, “এই রাজনৈতিক দলগুলি ভারতের রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এমন একটা সময় তারা এটা করছে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে রাজনীতিতে একটা বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হচ্ছে। এবং এই সরকার যখন প্রতিশ্রুতি পূরণ করে চলেছে।” তিনি বলেন, “ওরা হল এমন সব রাজনৈতিক দল, যারা কখনও দেশের উন্নতি চায়নি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মানুষ তাদের মুখের মতো জবাব দেবে।”

    আরও পড়ুুন: দাবদাহে পুড়ছে অযোধ্যা, স্বস্তি দিতে রামলালাকে পরানো হচ্ছে সূতির পোশাক

    প্রসঙ্গত, শনিবারই রামলীলা ময়দানে সমাবেশ করেছিলেন ইন্ডি জোটের নেতারা। দিন কয়েক আগে দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। তার প্রেক্ষিতেই ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন বিরোধীরা (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Birbhum: নির্বাচনী প্রচারে শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, রাস্তা সারাইয়ের দাবি

    Birbhum: নির্বাচনী প্রচারে শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, রাস্তা সারাইয়ের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট প্রচারে বেড়িয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায়। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি -২ নম্বর ব্লকের নোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলপুর গ্রামে। তবে এই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এরকম প্রতিবাদ নতুন কিছু নয়। নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রে আগেও এলাকাবাসী নিজেদের প্রাপ্য ঘর, রাস্তা, পানীয় জল অথবা নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তবে এই ভোটের প্রচারে ঘটনায় তীব্র অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

    রাস্তা সারাইয়ের দাবীতে বিক্ষোভ (Birbhum)

    আজ গোকুলপুর (Birbhum) গ্রামে ভোট প্রচারে যান বীরভূমের তিনবারের সাংসদ ও চতুর্থবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায়। সেই সময় গ্রামবাসীরা রাস্তা সারাইয়ের দাবীতে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের মধ্যে শুভ্র মার্জিত অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন গ্রামের রাস্তা সারাই না হওয়ায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। তাই এদিন তাঁকে সেই ভাঙা-কর্দমাক্ত রাস্তায় পায়ে হেঁটে যাওয়ার দাবী করি আমরা। এই রাস্তা চলাচলের যোগ্য নয়। কোনও টোটো ঢুকতে পারে না। ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছেনা। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিরাট সমস্যা রয়েছে।” পরে শতাব্দী রায় প্রতিশ্রুতি দিলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ সরিয়ে নেন। ঘটনায় বিরাট বিড়ম্বনায় পড়েন এই তৃণমূল প্রার্থী।

    আরও পড়ুনঃ মোদির প্রশংসায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ডালু বাবু, পাল্টা তৃণমূলকে তুলোধনা

    শতাব্দীর বক্তব্য

    এই ঘটনায় এলাকার (Birbhum) গ্রামবাসীদের বক্তব্য, “আমি দেখলাম রাস্তা খুব খারাপ। এখানে কে জন প্রতিনিধি ছিল জানার দরকার নেই, আমি দায়িত্ব নেবো। তবে রাস্তার জন্য ৮০ লক্ষ বাজেট করা হয়েছে। আগামী ১৩ এপ্রিল তারিখের মধ্যে মোটামুটি চলাচলের যোগ্য করা হবে।” ঘটনায় এলাকার মধ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পুরসভার নির্বাচনে বারবার মানুষের অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। একাধিক সময়ে আবার দলীয় কর্মীদের উপর নিজের রাগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। দলের কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। সবটা মিলিয়ে এই তারকা প্রার্থীর প্রচার যে খুব একটা সহজ মসৃণ হচ্ছে না তাও আরও একবার প্রকাশিত হল। এখন মানুষের ভোট কোন দিকে যায় তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • LK Advani: আদবানির বাড়ি গিয়ে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করলেন রাষ্ট্রপতি, হাজির প্রধানমন্ত্রীও

    LK Advani: আদবানির বাড়ি গিয়ে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করলেন রাষ্ট্রপতি, হাজির প্রধানমন্ত্রীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানির (LK Advani) বাড়ি গিয়ে তাঁকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রবিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আদবানির বাড়িতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    এক্স হ্যান্ডেলের পোস্ট 

    রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফ থেকে এদিনই এ বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানির (LK Advani) ঠিক পাশে বসে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করলেন লালকৃষ্ণ আদবানিকে। বর্ষীয়ান নেতার নিজের বাসভবনে এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং  লালকৃষ্ণ আদবানির পরিবারের সদস্যরা।’’

    পাশাপাশি ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘লালকৃষ্ণ আদবানির গোটা জীবন কেটেছে দেশের সেবায়।  ৭ দশকেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি দেশকে সেবা দিয়েছেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেই হোক অথবা উপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, লালকৃষ্ণ আদবানি (LK Advani) সর্বদাই দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ভারতের সাংস্কৃতিক পুনরুত্থানে তাঁর আন্দোলনের ফসল হল রাম মন্দিরের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।’’

    সংক্ষিপ্ত জীবন

    লালকৃষ্ণ আদবানির জন্ম হয় ১৯২৭ সালে, বর্তমান পাকিস্তানের করাচিতে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার ভারতে আসেন। ৯৬ বছর বয়সী এই নেতা বাজপেয়ী সরকারের আমলে ২০০২ সালের জুন মাস থেকে ২০০৪ সালের মে মাস পর্যন্ত দেশের উপ প্রধানমন্ত্রীর (LK Advani) দায়িত্বভার সামলেছেন। এর পাশাপাশি তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্বেও ছিলেন ১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০০৪ সালের মে মাস পর্যন্ত। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০,  ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ এবং ২০০৪ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি বিজেপির সভাপতি ছিলেন। জরুরি অবস্থা সময় এই বিজেপি নেতা ১৯ মাস জেলে বন্দি ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মোদির প্রশংসায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ডালুবাবু, পাল্টা তৃণমূলকে তুলোধনা

    Malda: মোদির প্রশংসায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ডালুবাবু, পাল্টা তৃণমূলকে তুলোধনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির প্রশংসায় কংগ্রেসের ডালুবাবু। তৃণমূলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। এবার অবশ্য লোকসভা ভোটের প্রার্থী হননি তিনি। মালদা (Malda) দক্ষিণের প্রার্থী হয়েছেন তাঁর ছেলে ইশা খান চৌধুরি। তাহলে দলের টিকিট না পেয়ে কি আবু হাসেম খান চৌধুরি ওরফে ডালুবাবু নতুন জল্পনার ইঙ্গিত দিলেন? প্রশ্ন উঠছে। আজ প্রধানমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি। সিএএ নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন তিনি। তবে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হননি বলে জানান।

    ঠিক কী বললেন ডালুবাবু (Malda)?

    মালদায় (Malda) কংগ্রেসের চার বারের সাংসদ ছিলেন আবু হাসেম খান চৌধরি। তিনি বলেন, “কাজের মানুষ এবং ভালো মানুষ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই একটা প্রতীক ছিলেন। এখন ওঁর সামনে লোকেরা চুরি করছে। তৃণমূলের অবস্থা খুব খারাপ। চুরির বোঝায় এখন শেষের প্রহর গুনছে। শেষ আশা একটাই ভোটাররা যদি ক্ষমা করে। তবে তা সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললে সকলেই বলবেন ওঁর সময় শেষের পথে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি লড়াই করছে বিজেপি। প্রত্যেক সপ্তাহে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের ধরপাকড় চলছে। নেতারা জেলে বন্দি। কেউ রেহাই পাচ্ছে না।”

    আরও পড়ুনঃ “গোপাল ভাঁড়কে খুন করেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র”, দাবি মন্ত্রীর, মামলার হুমকি রানিমার

    সিএএ নিয়ে কী বললেন?

    মালাদায় সিএএ নিয়ে ডালু বাবু বলেন, “সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। মুসলমানদের ভুল বুঝিয়ে ভোট নেওয়ার রাজনীতি করছে তৃণমূল। মুসলমানেরা তৃণমূলকে বুঝে গিয়েছেন। এই আইনে ক্ষতি কী সেটা তৃণমূলকে বলতে হবে। এই তৃণমূলের শাসনে অবৈধ বাড়ি ভেঙে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ববি হাকিম কী করছিলেন? পাল্টা বিজেপিতে অনেক ভালো ভালো মানুষ রয়েছেন। মোদি সাহেব অত্যন্ত ভালো মানুষ। তবে তাঁকে খারাপ করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি খারাপ লোক নন। মোদিকে খারাপ দেখিয়ে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির শাসনে থাকা রাজ্যে কেউ অসুরক্ষিত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: “বিজেপির প্রতীকে জয়ী হয়ে আদিবাসী সমাজের জন্য কাজ করব”, বললেন প্রণত টুডু

    Jhargram: “বিজেপির প্রতীকে জয়ী হয়ে আদিবাসী সমাজের জন্য কাজ করব”, বললেন প্রণত টুডু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসকের চাকরি ছেড়ে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হলেন ডাক্তার প্রণত টুডু। গতকাল বিজেপির প্রার্থীর অষ্টম তালিকা প্রকাশিত হলে তাঁর নাম ঘোষণা হয়। অপর দিকে জনজাতি সংরক্ষিত আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন সাঁওতাল সাহিত্যিক কালীপদ সরেনকে। আগের বারের এই কেন্দ্রে বিজেপির জয়ী প্রার্থী ছিলেন কুনার হেমব্রম। কয়েকদিন আগে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন চিকিৎসক প্রণতবাবু। তিনি বলেন, “বিজেপির প্রতীকে জয়ী হয়ে আদিবাসী সমাজের জন্য কাজ করব”। নির্বাচনী প্রচারে এবার দুই ভূমিপুত্রের জমজামাট নির্বাচনী লড়াই হতে চলেছে। বিজেপি অবশ্য আত্মবিশ্বাসী।

    কে বিজেপি প্রার্থী (Jhargram)?

    প্রণতের আদি বাড়ি ঝাড়গ্রাম (Jhargram) লোকসভার অন্তর্গত পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার দিবাটিতে। ডাক্তারি পেশার কাজে ঝাড়গ্রাম শহরে থাকেন তিনি। গত ১২ বছর তিনি রেডিয়োলজি বিভাগে ছিলেন। তিনি বিজেপির কাজের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই যুক্ত ছিলেন। একই সঙ্গে নানা সমাজ সেবা মূলক কাজ, গ্রাম্য এলাকায় স্বাস্থ্য শিবির, জঙ্গল মহলের মনিষীদের জন্ম জয়ন্তী পালন, ভাষা শিক্ষা ইত্যাদি সামজিক কাজের জন্য কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আদিবাসী পিছিয়ে থাকা বর্গের মানুষের জন্য সমাজ সেবা মূলক অনেক কাজ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ অনুব্রতের গড়ে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর, প্রধান ইস্যু ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’

    কী বলেন প্রার্থী হয়ে?

    ঝাড়গ্রামের (Jhargram) বিজেপি প্রার্থী হয়ে প্রণত বলেন, “খুব ভালো লাগছে কেন্দ্র এবং রাজ্য নেতৃত্ব আমার উপর ভরসা করেছেন। বিজেপির প্রতীকে জয়ী হয়ে আমি আদিবাসী সমাজের জন্য সামাজিক কাজ করব। এলাকার মানুষকে অনেক প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। সমাজের কাজের জন্য দল আমাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে। আগামী দিনে ভালো ফল হবে। জয় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুমুন সাহু বলেন, “বিজেপি এত দিন প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছিল না। আমাদের লক্ষ্য জয়ের ব্যবধান বৃদ্ধি করা। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য আরও কাজ করব আমরা। মানুষ তৃণমূলের পাশে রয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “শ্রীলঙ্কাকে কচ্ছতিভু দ্বীপ দিয়েছিল কংগ্রেস, ওদের বিশ্বাস নেই”, তোপ মোদির

    PM Modi: “শ্রীলঙ্কাকে কচ্ছতিভু দ্বীপ দিয়েছিল কংগ্রেস, ওদের বিশ্বাস নেই”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেসকে বিশ্বাস করবেন না। ওরা শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল কচ্ছতিভু দ্বীপ।” রবিবার বোমা ফাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “চোখ খুলে দেওয়া ও চমকে ওঠার মতো বিষয়। নয়া তথ্য উঠে এসেছে। তাতে ফাঁস হয়ে গিয়েছে, দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কচ্ছতিভু দান করে দেওয়া হয়েছিল। এতে প্রত্যেক ভারতীয় ক্ষুব্ধ। মানুষ বুঝে গিয়েছে, আমরা কখনও কংগ্রেসকে ভরসা করতে পারব না।”

    আরটিআইয়ে কী জানা গেল? (PM Modi)

    তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান কে আন্নামালাই তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন, কীভাবে শ্রীলঙ্কার হাতে ‘মা ভারতীর’ অংশ কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করার পর তিনি জানতে পারেন, ১৯৭৪ সালে ইন্দো-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক চুক্তির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার হাতে ১৬৩ একরের কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধী সরকার। সেই সময় ভারত সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তথ্য জানার অধিকার আইনে দ্বীপ হস্তান্তরের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কচ্ছতিভু দ্বীপ

    তথ্য জানার অধিকার আইনে জানা গিয়েছে, ১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল এসম সি সেতালবাদ জানিয়েছিলেন, কচ্ছতিভু দ্বীপের বিষয়টি (PM Modi) নিয়ে দিনের আলোর মতো স্বচ্ছতা না থাকলেও, ওই দ্বীপের ওপর ভারতের বেশি অধিকার আছে। ভারতের হাতেই কচ্ছতিভু দ্বীপ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন সেতালবাদ। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তৎকালীন যুগ্ম সচিব কে কৃষ্ণ রাও জানিয়েছিলেন, কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে শ্রীলঙ্কা যে দাবি করছে, সেটার মজবুত ভিত্তি আছে। তবে কচ্ছতিভু দ্বীপে মাছ ধরার অধিকার পওয়ার জন্য ভারতের হাতে আইনি সুযোগ আছে বলেও সওয়াল করেছিলেন কে কৃষ্ণ রাও। যদিও এখনও কচ্ছতিভু দ্বীপ অঞ্চলে মাছ ধরতে গেলে তামিল মৎস্যজীবীদের ধরপাকড় করে (PM Modi) শ্রীলঙ্কা। অথচ ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে নির্বিঘ্নে মাছ ধরতে পারতেন তামিল মৎস্যজীবীরা। 

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতের গড়ে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর, প্রধান ইস্যু ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: “গতবারের তুলনায় এবার জয়ের ব্যবধান বাড়বে”, আত্মবিশ্বাসী বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়

    Jalpaiguri: “গতবারের তুলনায় এবার জয়ের ব্যবধান বাড়বে”, আত্মবিশ্বাসী বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবাসরীয় প্রচারে ডাবগ্রাম ফুলবাড়িকেই বেছে নিলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকা বিজেপির দখলে রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও এই বিধানসভা এলাকায় লিড ছিল বিজেপি-র। তাই এই এলাকা নিয়ে বেশ নিশ্চিন্ত জয়ন্ত বাবু। রবিবার সকাল থেকেই দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে এই এলাকায় প্রচারে নেমেছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থীর রোড শোয়ে জনজোয়ার দেখা গেল।

    নাম কীর্তন করলেন বিজেপি প্রার্থী (Jalpaiguri)

    প্রচারে গিয়ে বিভিন্ন ট্রেনের স্টপেজ, এলাকার বেশ কয়েকটি স্টেশনকে মডেল স্টেশন তৈরি করার পাশাপাশি জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) সার্কিট বেঞ্চ এবং জলপাইগুড়ি হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করার বিষয়গুলি তুলে ধরছেন জয়ন্তবাবু। শুধু তাই নয়, ভোটের প্রচারে গিয়ে নাম কীর্তন করতে দেখা গেল বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায় কে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের নাথুয়া চরে। শনিবার জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায় রাজগঞ্জ বিধানসভার অধীন বোদাগঞ্জ ভ্রামরী দেবীর মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন। তার পরেই নাথুয়া চরে এক নাম কীর্তন আসরে খোল বাজিয়ে কীর্তন করতে করতে প্রচার সারেন তিনি। এর পরেই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন। প্রথমে টাকিমারি বাজার এলাকায় প্রচার করেন। সঙ্গে দেখা যায় অসংখ্য বিজেপি কর্মীদের। জয়ন্ত রায়ের রাজগঞ্জে প্রচারের প্রথম দিন জনজোয়ার দেখা গেল। টাকিমারি থেকে মিলনপল্লি এলাকায় প্রচার সারেন তিনি। শনিবার সারাদিন রাজগঞ্জের আমবাড়ি, বন্ধু নগর, ভুটকি, কালিনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে ব্যস্ত দেখা যায় জয়ন্ত কুমার রায়কে।

    আরও পড়ুন: দলের দুই গোষ্ঠীর বচসা থেকে হাতাহাতি, ছুটে মন্দিরে আশ্রয় নিলেন তৃণমূল প্রার্থী

    জয়ের ব্যবধান বাড়বে

    রবিবারের প্রচারেও কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, “প্রচারে যেভাবে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে গত লোকসভা ভোটের ফলাফলের চেয়েও ব্যবধান বাড়বে।” এছাড়াও কয়েক দিন আগে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক শিশুর আমবাড়ি ফালাকাটায়। সেই শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share