Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi:  তিন মাস বন্ধ থাকবে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’, কেন জানেন?

    PM Modi:  তিন মাস বন্ধ থাকবে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের বাদ্যি। তাই আগামী তিন মাস আর শোনা যাবে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাত। রবিবার সম্প্রচারিত হল মন কি বাত অনুষ্ঠানের ১১০তম পর্ব। এদিনই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন আপাতত তিন মাস আর সম্প্রচারিত হবে না মন কি বাতের অনুষ্ঠান।

    মন কি বাত

    তিনি বলেন, “সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে আগামী তিন মাস আর সম্প্রচারিত হবে না মন কি বাতের অনুষ্ঠান।” নয়া ভোটারদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুরোধও জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আগামী মাসেই ঘোষণা হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। তিনি বলেন, “মন কি বাতের ১১১তম অনুষ্ঠানটি ফের সম্প্রচারিত হবে লোকসভা নির্বাচন-পর্ব মিটে যাওয়ার পর।” সংখ্যাটির শুভত্বও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    হ্যাসট্যাগ মন কি বাত

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আগামী তিন মাসের জন্য বন্ধ থাকতে পারে মন কি বাতের অনুষ্ঠান। তবে এই সময় দেশের গতি রুদ্ধ হবে না।” সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাসট্যাগ মন কি বাত সম্পর্কে জানা যাবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। মন কি বাতের ইউটিউব এপিসোডগুলিও শোনার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ফের ঝাঁটা হাতে রাস্তায় মহিলারা, তাড়া খেয়ে তৃণমূল নেতা আশ্রয় নিলেন অন্যের বাড়িতে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারতের নারীশক্তি প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উন্নতির নয়া উচ্চতা স্পর্শ করছে। আজ গ্রামে গ্রামে ড্রোন দিদির আলোচনা হচ্ছে। নমো ড্রোন দিদি এখন সবার মুখে মুখে ফিরছে। এই নমো ড্রোন দিদি হয়ে উঠছে দেশের কৃষিকে আধুনিক করার বড় মাধ্যম। রাসায়নিক পদার্থের জেরে আমাদের মাতৃভূমি যে দুর্ভোগ, যে যন্ত্রণা ভোগ করছে, তাকে বাঁচাতে বড় ভূমিকা পালন করছে দেশের মাতৃশক্তি।” তিনি বলেন, “পর্যটন, সামাজিক নানা বিষয় থেকে শুরু করে জনসংযোগের কনটেন্ট প্রশংসার যোগ্য। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি, কারণ সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন একটি নয়া অভিযান শুরু করেছে। মেরা পহেলা ভোট – দেশকে লিয়ে শীর্ষক কর্মসূচিতে বিশেষভাবে ফার্স্ট টাইম ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, হাসি মুখে কীর্তনে মজে দুই মন্ত্রী

    Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, হাসি মুখে কীর্তনে মজে দুই মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali), অপর দিকে এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী কীর্তনে মজেছেন। তৃণমূলের এই মন্ত্রীদের আজ রবিবার পেয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পলাতক নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ গর্জে উঠেছেন। সন্দেশখালি ২ অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতিকে গ্রামবাসীরা হাতে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করেছেন এবং ভয়ে তিনি অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

    হাসি মুখে বাদ্যযন্ত্রে মজে মন্ত্রী পার্থ (Sandeshkhali)

    শনিবারের পর আজ রবিবার নতুন করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর এলাকা। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে এলাকার মানুষ। অন্যদিকে দিল্লি থেকে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সন্দেশখালি যেতে গেলে ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বোস গতকালের পর আজ ফের সন্দেশখালি পৌঁছান। তাঁদের অন্য মেজাজে দেখা গেল এদিন। গলায় খোল ঝুলিয়ে হাসিমুখে বাদ্যযন্ত্র বাজাতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থকে।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “অনেক অভিযোগ প্রশমিত হয়েছে। মানুষের ক্ষোভ অনেক কমে গিয়েছে। মেয়েদের যে অভিযোগগুলি হাইলাইট করা হয়েছিল, তা মিথ্যা। জমি যদি কারও গিয়ে থাকে তাহলে ফেরত পাবেন।” আবার মন্ত্রী সুজিত বোস বলেন, “কার্যত রাজনীতি করতে এইসব কিছু জিইয়ে রাখা হচ্ছে। কিন্তু এই আন্দোলন বেশি দিন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। কিছু মানুষকে দিয়ে জোর করে এইসব কাজ করানো হচ্ছে। কারা করছে আমরা বুঝতে পারছি। বেড়মজুরে (Sandeshkhali) দাঁড়িয়ে সবটাই দেখলাম।”

    ক্ষুব্ধ মহিলার বক্তব্য

    এই কথার প্রতিবাদে এলাকার (Sandeshkhali) এক মহিলা বলেন, “আমাদের বেলায় আইন, আর ওদের বেলায় আইন নেই। এত অভিযোগ যে শেষ করতে পারবো না। এই ঝাঁটা দিয়ে সব আবর্জনা ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ইচ্ছে মতো খেলা করছে। শুধু আনন্দ উপভোগ করতে চাইছেন। আমরা কোনও মন্ত্রীকে চাই না। মন্ত্রী কী করে বললেন ঝামেলা নেই! উনি কি ঘুমোচ্ছিলেন?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘শ্রীকৃষ্ণের নগরী চোখে দেখার সুযোগ পেলাম’’, জলের তলায় দ্বারকা পরিদর্শন করে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘শ্রীকৃষ্ণের নগরী চোখে দেখার সুযোগ পেলাম’’, জলের তলায় দ্বারকা পরিদর্শন করে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাক্ষাদ্বীপের পরে এবার দ্বারকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর গুজরাট সফরে ফের একবার চমক দিলেন। গুজরাটের দ্বারকা উপকূলে আরব সাগরে স্কুবা ডাইভিং করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কমলা রঙের পাঞ্জাবি ছিল তাঁর পরনে। নিজের স্কুবা ড্রাইভিং-এর ছবি এক্স হ্যান্ডেলে এদিন আপলোডও করেন মোদি (PM Modi)। তাতে লেখেন, ‘‘শ্রীকৃষ্ণের নগরী চোখে দেখার সুযোগ পেলাম।’’ প্রসঙ্গত, রবিবার সকালেই দ্বারকায় দেশের দীর্ঘতম কেবল ব্রিজ সুদর্শন সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর পৌঁছান দ্বারকাধীশ মন্দিরে। এরপর একটি বোটে সওয়ার হয়ে পাঞ্চকুনি সমুদ্র সৈকতে যান মোদি। সেখানেই ডিপ ওয়াটার স্কুবা ডাইভিং করলেন নরেন্দ্র মোদি।

    এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    ধর্মীয় নগরী হিসেবে দ্বারকা প্রসিদ্ধ। মনে করা হয়, শ্রী কৃষ্ণের হাতে গড়া নগরী বর্তমানে জলের তলায় রয়েছে। গুজরাটের এই স্থান পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) নিজের স্কুবা ড্রাইভিং-এর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘‘জলের তলায় ডুবে যাওয়া দ্বারকা নগরীতে গিয়ে প্রার্থনা করার অভিজ্ঞতা দৈবিক ছিল। একটি আধ্যাত্মিক অনুভূতি হল। শ্বাশত শক্তি এবং প্রাচীন যুগের সান্নিধ্যে আসার এই অভিজ্ঞতা কোনওদিন ভুলব না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ সকলের মাথায় সর্বদা থাকুক।’’

    দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্নপূরণ, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর 

    এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘আমি গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলাম। প্রাগৈতিহাসিক দ্বারগা নগরী দর্শন করেছি। পুরাতত্ত্ববিদেরা বহুবার এই নগরীর কথা উল্লেখ করেছেন। সমুদ্রের নীচে হারিয়ে যাওয়া শ্রীকৃষ্ণের নগরী চোখে দেখার সুযোগ পেলাম আজ। তিনি নিজে হাতে এই নগরী তৈরি করেছিলেন। অসাধারণ শিল্প স্থাপত্য ছিল। আমি দৈব অনুভূতি লাভ করেছি। দ্বারকাধীশের পায়ে নতজানু। আমি সঙ্গে করে একটি ময়ূরের পালক নিয়ে গিয়েছিলাম। ভগবানের চরণে সেটি রেখে এসেছি। বহুদিন থেকেই এই সমুদ্রের নীচের দ্বারকা নগরী দেখার ইচ্ছে ছিল মনে। আজ সেটি দর্শনের পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছি। দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্নপূরণ হল আজ।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: এ যেন অন্য  সন্দেশখালি, বাঁধের গা থেকে উধাও ইট! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Sandeshkhali: এ যেন অন্য সন্দেশখালি, বাঁধের গা থেকে উধাও ইট! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক আরেক সন্দেশখালির খোঁজ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগে সরব এলাকাবাসী। এলাকার মানুষের অভিযোগ, পুই তেঁতুলতলায় রায়মঙ্গল নদীর বাঁধের গা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ইট। রায়মঙ্গলের এক পাশে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এবং অপর পাশে গোসাবা। সেখানে মূলত অভিযোগ, বাঁধের ইট নদীবাঁধকে রক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু তা কার্যত দিনে দিনে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, “এলাকায় কালোবাজারি চলছে। প্রকাশ্য দিনেদুপুরে চুরি হচ্ছে ইট।”

    ইট পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (Sandeshkhali)

    স্থানীয় (Sandeshkhali) মানুষদের অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতা বাঁধের ইট খুলে বিক্রি করছেন। কোনও সময় গ্রামের বাইরে আবার কোনও সময় খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে এই ইট। কার্যত এলাকায় কালোবাজারি চলছে। আর এই কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গ্রামের তৃণমূল নেতা নিত্যানন্দ চক্রবর্তী। তিনি আবার এলাকার তৃণমূল নেতা রঞ্জন মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, “রঞ্জনবাবু তো এসেছিলেন এলাকায়, তাঁদের নির্দেশে ইটগুলো তুলে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় ক্লাবেও কিছু ইট পাচার করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের মারবে।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিত্যান্দ চক্রবর্তী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই ইটগুলি রাস্তা নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কোনও ইট বিক্রি করা হয়নি। সবটাই পাবলিকের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। টাকা নিয়ে ইট দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।” অপর দিকে রঞ্জন মণ্ডল বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। বিক্রি যে করা হয়েছে তার প্রমাণ দিতে বলুন। আমি রাজনীতিতে আসার আগে আমার যা সম্পত্তি ছিল আর এখন যা সম্পত্তি হয়েছে সেই বিষয়ে হিসেব নিলেই সব বোঝা যাবে। মানুষের সেবা করা আমার অপরাধ হয়ে গিয়েছে।” অপর দিকে এলাকার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমি এমন কোনও খবর পাইনি। এখানে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও বিষয় নেই।”

    তৃণমূলের রাজত্বে মানুষের ক্ষোভে এই পুই তেতুলতলা এখন নতুন এক সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পরিণত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফের ঝাঁটা হাতে রাস্তায় মহিলারা, তাড়া খেয়ে তৃণমূল নেতা আশ্রয় নিলেন অন্যের বাড়িতে

    Sandeshkhali: ফের ঝাঁটা হাতে রাস্তায় মহিলারা, তাড়া খেয়ে তৃণমূল নেতা আশ্রয় নিলেন অন্যের বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ঝাঁটা হাতে রাস্তায় বের হলেন মহিলারা। রবিবারও তৃণমূল নেতাদের ওপর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ল জনতার। বেড়মজুরে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা অজিত মাইতিকে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। অজিত দৌড়ে পালিয়ে একজনের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তাড়া করে সেখানে পৌঁছে যান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা। তাঁদের দাবি, এখনই গ্রেফতার করতে হবে অজিতকে। পরে, পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত জনতাতে সামাল দেয়। পরে, তৃণমূল নেতা অজিতকে আটক করে পুলিশ।

    দরজা খুলবেন না, মেরে দেবে, আর্জি তৃণমূল নেতার (Sandeshkhali)

    রাজ্যের দুই মন্ত্রী- সুজিত বসু এবং পার্থ ভৌমিক এলাকাবাসীর কথা শুনবেন বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। মূলত রবিবার বেলায় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে দেখতে পেতেই খেপে ওঠেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা ধাওয়া করেন অজিতকে। অজিত প্রাণ বাঁচাতে দৌড় লাগান। দৌড়ে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি। আর ঢুকেই দরজায় তালা মেরে দেন। এ দিকে ওই বাড়ির লোক তখন বাইরে স্নান করছিলেন। স্নান সেরে ঘরে ঢুকতে গিয়ে তিনি দেখেন, দরজায় তালা! ওই ব্যক্তির দাবি, নিমন্ত্রণ আছে বলে সকাল সকাল স্নান সেরে পোশাক পরতে ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন দরজায় তালা! আর ভিতর থেকে। অজিতের আর্তি, “দাদা, দরজা খুলবেন না! ওরা আমাকে মেরে ফেলবে!” অজিতের বক্তব্য, ২০১৯ সালে মারধর করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আনা হয়েছিল। মারধরের নেতৃত্বে ছিলেন সিরাজ ডাক্তার। অজিতের দাবি, মারধরের পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, অসত্য বলছেন অজিত। তিনি নিজেও জমি দখলে যুক্ত ছিলেন। তাই তাঁকে এখনই গ্রেফতার করতে হবে।

    অজিতকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে

    এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মন্ত্রী পার্থকে। তিনি বলেন, “কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা অত্যাচার করেছেন, দল তাঁদের পাশে নেই।” অজিতকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ১০০০ হাজার টাকা অনুদান চাই না, গর্জে উঠলেন মহিলারা

     রবিবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। তাঁদের দাবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে। একদিকে মন্ত্রীরা যখন সন্দেশখালির এক প্রান্তের ক্ষোভ শান্ত করছেন, সেই সময় ফের মহিলাদের একাংশের অভিযোগে জ্বলেছে বেলমজুর। এক মহিলা বলেন, “শেখ শাহজাহান, সিরাজ ডাক্তার, অজিত মাইতির গ্রেফতারি চাই।” অপরদিকে, আরও একজন রণচণ্ডী রূপ ধারণ করেন। বলেন, “আমাদের চাই না ১০০০ টাকা। আমাদের স্বামীরা খেটে খাওয়াতে পারে। কেন পুলিশ আমাদের বাড়ির ছেলেদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে?”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে’’, দিল্লিতে জেএনইউ-র সেমিনারে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে’’, দিল্লিতে জেএনইউ-র সেমিনারে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিকে সিরিয়া’র সঙ্গে তুলনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার দিল্লিতে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেমিনারে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি তৃণমূলের সংগঠনকে হামাস জঙ্গিদের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি এবং বলেন, ‘‘হামাস যা করছে বাংলাতে তাই হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ও দিদি নয়। দিদির নামের সঙ্গে এক মমতা জড়িয়ে, ওটা একটা মানবিক ব্যাপার। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুধু নিষ্ঠুরতা। আমি নন্দীগ্রামে ওনাকে হারিয়েছিলাম। তারপরে আমার বিরুদ্ধে তিনি ৪২টা কেস করেছেন। এতটাই নিষ্ঠুর মহিলা।’’

    ভোট পরবর্তী হিংসা

    বাংলার ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসাও এদিন জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে তুলে ধরেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘১৫ রাজ্যে ভোট হয়েছে। কিন্তু, একটা রাজ্যেও ভোট পরবর্তী হিংসার কথা বলতে পারেন? শুধু বাংলায় হয়েছে। ভোট গণনাকেন্দ্র লুঠ করা হয়েছে। ৫৭ বিজেপি কর্মীকে রেজাল্ট বের হওয়ার পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ১ লক্ষ হিন্দু, বিশেষ করে তফসিলি জাতি উপজাতির লোকেদের ঘর ছাড়তে হয়েছে। অসমে সর্বানন্দ সোনওয়াল তখন মুখ্যমন্ত্রী। উনি আশ্রয় শিবির দিয়েছিলেন। বিহার, ওড়িশায় পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল।’’

    একযোগে আক্রমণ সিপিএম-তৃণমূলকে

    জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্রদের কার্যকলাপ বরাবরই বিতর্ক টেনেছে। উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগও। হিন্দু সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছেন বামপন্থী ছাত্র নেতারা। জেএনইউ-তে দাঁড়িয়ে সিপিএম-তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এবং বলেন, ‘‘সিপিএম-তৃণমূলের সেটিং রয়েছে। ডিওয়াইএফআই-এসএফআই মমতাকে চোর বলতে বলে, আর ওদের কাকা-জ্যাঠা সীতারাম-ইয়েচুরি বেঙ্গালুরুতে, পাটনা, দিল্লিতে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করে, খাওয়া-দাওয়া করে। সেটিং করে।’’

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    এদিন জেএনইউ-এর সেমিনারে বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালিকে দেশের মধ্যে অন্য দেশ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক আগে থেকেই সন্দেশখালিতে আসলে একটা দেশের মধ্যে অন্য একটা দেশ হয়ে গিয়েছিল। যেন দেশের মধ্যে অন্য একটা রাষ্ট্র।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে। জেএনইউ সর্বদা গণতন্ত্রের কথা বলা হয়। জোর গলায় এখানে গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করা হয়। কিন্তু এই গণতন্ত্র কীরকম? এখানে কিছু পড়ুয়া আছে যাঁরা নিজেরাই নিজেদের লেফট-লিবারেল বলে দাবি করে। কিন্তু, চোদ্দো সালের আগে লেফট-লিবারেলদের কতটা গণতন্ত্র এখানে ছিল তা সবাই জানাই। কত ছাত্রদের কত সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এরকমই একটা পরিবেশ সন্দেশখালিতে তৈরি করে রাখা হয়েছিল।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘জেলায় জেলায় শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘জেলায় জেলায় শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু সন্দেশখালি নয়, জেলায় জেলায় একজন করে শেখ শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তারা  করে কম্মে খাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও সন্দেশখালির ঘটনায় নীরব রয়েছেন। মূল অভিযুক্তকে আড়াল করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের সঙ্গে ছলনা করছেন। রবিবার দিল্লি থেকে বালুরঘাট যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

      শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়া নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    সন্দেশখালি ইস্যুতে এদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হন। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, সন্দেশখালিতে জমি দখল, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরও পুলিশ মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে এখনও গ্রেফতার করেনি। পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে না। কেননা শেখ শাহজাহানের হয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফাই গেয়েছেন। তিনি হোম মিনিস্টার। তার অধীনে রয়েছে পুলিশ। তাই পুলিশ কীভাবে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে? তবে, তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করাতে বাধ্য করাবে।

    পুলিশ দেখলে ক্ষেপে যাচ্ছে সন্দেশখালিবাসী

    রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে নয়, তাঁর সাম্রাজ্য সামলাতে গিয়েছিলেন। শাহজাহান তাজমহল বানাচ্ছেন। তাই ডিজি গিয়েও শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারেননি।  বরং পুলিশ দেখলে সন্দেশখালির মানুষ এখন  ক্ষেপে যাচ্ছেন। কেননা এই পুলিশই দিনের পর দিন শাহজাহানদের নিয়ে রেইকি করেছে কবে কোন সুন্দরী মহিলাকে কীভাবে রাতে তুলে আনতে হবে। পুলিশের ওপর এলাকার মানুষের কোনও ভরসা নেই। পুলিশ দেখলেই তারা ক্ষেপে উঠছে। সন্দেশখালির মতো রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই নারীদের ওপর নির্যাতন ও জমি দখল চলছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, শিলিগুড়িতেও তৃণমূলের মদতে জমি দখল চলছে। তৃণমূল নেতাদের এই কাজে সহযোগিতা করে বিএলআরও, ডিএম’রা পয়সা পাচ্ছেন। তাই তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় এলে বিএলআরও ডিএম’দের জেলে ভরবো।

    ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    কোনও জোট করে কংগ্রেস সুবিধা করতে পারবে না বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস এখন ডুবন্ত জাহাজ। বেঁচে থাকার  জন্য খড়কুটোর মতো কখনও কংগ্রেস কখনও  সিপিএমকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। কখনও সাপের কখনও ব্যাঙের গালে চুমু খেয়ে কংগ্রেসের লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kidney Disease: পাঁচ ঘরোয়া উপাদানেই সুস্থ থাকবে কিডনি! কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা জরুরি?

    Kidney Disease: পাঁচ ঘরোয়া উপাদানেই সুস্থ থাকবে কিডনি! কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়লেই বিপদ, এমন আর নয়। কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। আর তার জেরে বিস্তর ভোগান্তি। স্বাভাবিক জীবন‌যাপন ব্যাহত হচ্ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি হয়ে উঠছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু বিষয় খেয়াল করলেই কিডনি সুস্থ (Kidney Disease) রাখা সম্ভব। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি কিডনির সমস্যা বাড়ছে। শুধু বয়স্কদের নয়। কমবয়সীদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কিডনির একাধিক রোগে কাবু অনেকেই। তার জেরেই সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি, ডায়ালিসিস সেন্টারে রোগীর লম্বা লাইন। দীর্ঘ ভোগান্তির পরেও আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না অনেকেই। তাই প্রথম থেকেই কয়েকটি বিষয়ে সতর্কতা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদান সুস্থ রাখবে কিডনি? (Kidney Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতিদিন অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লিটার জল খাওয়া দরকার। বিশেষত যাঁরা দিনের অনেকটা সময় বাড়ির বাইরে থাকেন, তাঁদের জলের পরিমাণের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ, শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে, সবচেয়ে বেশি কুপ্রভাব পড়ে কিডনিতে। কিডনি সুস্থ এবং সক্রিয় রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগীর পর্যাপ্ত জল খাওয়ার অভ্যাস নেই। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। 
    দিনে অন্তত একবার প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেতেই হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনিকে সক্রিয় ও সুস্থ রাখতে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার সবচেয়ে কার্যকরী। কারণ, এতে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা কিডনিকে সুস্থ (Kidney Disease) রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আর টক দই এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, টক দই খেলে শরীরে প্রচুর ভালো ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। তাই নিয়মিত এক কাপ টক দই খাওয়া দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার (Kidney Disease)

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার কিডনি ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে যেমন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে, তেমনি কিডনির সক্রিয়তাও বাড়ে। তাই নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে কিডনি ভালো থাকবে। তাই যে কোনও এক ধরনের লেবু, যেমন, পাতিলেবু, কমলালেবু, মৌসম্বি লেবু দিনে অন্তত একটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এতে শরীরে ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণ হবে। 
    ক্র্যানবেরি জুস কিংবা ড্রাই ফ্রুটস হিসাবে ক্র্যানবেরি খেলে কিডনি ভালো (Kidney Disease) থাকবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ক্র্যানবেরিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন রুখতেও এই ফলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাশপাশি কিডনি সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে‌।

    মদ্যপান ও কফি পানে রাশ (Kidney Disease)

    কিডনি সুস্থ রাখতে মদ্যপান ও কফি পানে রাশ টানতে হবে বলেই সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই পানীয় কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। এই দুই পানীয়র জেরে শরীরে প্রচুর পরিমাণে টক্সাইট বেড়ে যায়। কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। কিডনির কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় (Kidney Disease)। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে কফি আর মদ্যপানে রাশ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Holi 2024: দোলের দিনেই চন্দ্রগ্রহণ, কখন করবেন হোলির পুজো?

    Holi 2024: দোলের দিনেই চন্দ্রগ্রহণ, কখন করবেন হোলির পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের দোল পূর্ণিমা পড়েছে সোমবার। দোল পূর্ণিমার তিথি হল গুরুত্বপূর্ণ তিথি। এই দিন শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথি। বাড়িতে নিতাই-গৌরাঙ্গের আরাধনা করা হয়। একই সঙ্গে রাধা-কৃষ্ণের বসন্ত রাস পালিত হয়। কেউ কেউ আবার বাড়িতে সত্যনারায়ণের পুজোও করে থাকেন। এই দোল পূর্ণিমার হোলিতেই (Holi 2024) হতে চলেছে চন্দ্রগ্রহণ।

    চন্দ্রগ্রহণের সময় কখন?(Holi 2024)

    দোল পূর্ণিমার দিনে চন্দ্রগ্রহণের সময় শুরু হবে সকাল ১০ টা ২৩ মিনিটে, আর গ্রহণ ছাড়বে বিকেল ৩ টে ০২ মিনিটে। মোট ৪ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট সময় ধরে চন্দ্রগ্রহণ চলবে। তবে এই হোলিতে (Holi 2024) গ্রহণ ভারত থেকে দেখা যাবে না। দেখা যাবে উত্তর এবং পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর-দক্ষিণ আমেরিকা থেকে। তবে প্রশান্ত মহাসাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু কিছু জায়গা থেকে দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ।

    বাড়িতে কোন সময়ে পুজো করবেন?

    ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ছিল মাঘী পূর্ণিমা। এবার পরের ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা হল ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে। এই দিনেই পড়ছে দোল পূর্ণিমা এবং চন্দ্রগ্রহণ। এই গ্রহণের সময় পুজো না করার কথা বলা হয়েছে শাস্ত্রে। তাই হোলিতে (Holi 2024) গ্রহণের সময়কে বাদ করে যে কোনও শুভ কাজ করতে হবে। এই দিন সত্যনারায়ণের পুজো করতে গেলে সন্ধ্যে ৫ টা ৪৫ মিনিট থেকে ৭টা ২১ মিনিটের মধ্যে ব্রতের পুজো করতে হবে।

    কোথায় কোথায় দেখা যাবে গ্রহণ?

    হোলির (Holi 2024) দিন চাঁদের গ্রহণ দেখা যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, দক্ষিণ নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ড থেকে। হোলির দহন উৎসব পালন হবে ২৪ মার্চ এবং হোলির রঙের উৎসব পালিত হবে ২৫ মার্চ। হিন্দু শাস্ত্রের পঞ্জিকা অনুসারে পূর্ণিমা লাগবে ২৪ মার্চ সকাল ৯ টা ৫৪ মিনিট আর পূর্ণিমা ছেড়ে যাবে ১২ টা ২৯ মিনিটে। চন্দ্রগ্রহণের দিনেই দোল পূর্ণিমা এবং হোলি পালিত হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন নন্দীগ্রামের নির্যাতিতাদের

    Nandigram: সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন নন্দীগ্রামের নির্যাতিতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন নির্যাতিতারা। এই নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ালেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) নির্যাতিতারা। এই লড়াই চেনা ঠেকছে নন্দীগ্রামের রাধারানি আড়ি, কল্পনা মুনিয়ান, হৈমবতী দাসদের। দেড় দশকের ব্যবধানে রাজ্যের দুই প্রান্তের নির্যাতিতাদের স্বর মিলে যাচ্ছে।

    সন্দেশখালির অত্যাচার নিয়ে সরব নন্দীগ্রামের নির্যাতিতারা (Nandigram)

    ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে (Nandigram) গুলি চালনার পরে রাধারানিকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের ‘হার্মাদ বাহিনী’র বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। পরে ফিরেছেন গোকুলনগরের বাড়িতে। ৬৬ বছরের রাধারানি বলেন, বাড়িতে টিভি নেই। লোকজনের মুখে শুনছি, সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। তবে তারাও আমাদের মতো আন্দোলন করছে জেনে ভাল লাগছে। তবে, কেউ আর আমাদের খোঁজ রাখে না। যা বুঝলাম, যে যখন শাসক,দুর্বৃত্তরা তার ছত্রছায়াতেই থাকে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে সোনাচূড়ার কল্পনা মুনিয়ান এবং হৈমবতী দাসকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। নিশানায় ছিল সেই ‘হার্মাদ বাহিনী’। পরে স্থানীয়রাই তাঁদের এগরার কাছে উদ্ধার করে। কল্পনাও বলছেন, “এই অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে সন্দেশখালির শাহজাহানদের গ্রেফতার করা উচিত।” কল্পনার বাড়ির কাছেই থাকেন হৈমবতী। তিনি বলেন, “বরাবর শাসকদের লক্ষ্য মহিলারা। বয়স হয়ে গিয়েছে। তবু সন্দেশখালিতে গিয়ে অত্যাচারিত মা- বোনেদের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দু’দিন আগেই দাবি করেছেন, “দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হতে চলেছে সন্দেশখালি।” একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের গলাতেও।  নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, এসবের পিছনে রাজনীতি আছে। সন্দেশখালি আর নন্দীগ্রাম এক নয়।  বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন,  “নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবার থেকে অত্যাচারিত মায়েরাও তৃণমূলের দ্বিচারিতা বুঝে এখন তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাই তাঁদের গায়ের রাজনীতির রং লাগাতে চাইছে তৃণমূল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share