Tag: Bengali news

Bengali news

  • Nadia: ৩৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য, ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন মোদি

    Nadia: ৩৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য, ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া (Nadia) জেলায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই টাকায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর শিমুলতলায় একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। এদিন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার সিংহ, বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারসহ একাধিক আধিকারিকরা।

    ৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর শিমুলতলায় ওই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে জেলায় কর্মরত কেন্দ্রীয় জওয়ানদের পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করেন। শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীর ছেলেমেয়েরা নয় সাধারণ পরিবারের ছেলে মেয়েরাও এখানে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে থাকে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা দফতরের তরফে ৩৬ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ঠিক হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে প্রায় সাত একর জমির ওপর নতুন বিল্ডিং তৈরি করা হবে। এদিন উপস্থিত হয়ে বিএসএফের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার সিংহ বলেন, বহুদিন ধরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বহু ছেলেমেয়ে সেখানে পড়াশুনা করে। স্কুলে  পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন ছিল। শিক্ষা দফতর বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে সেই প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন। প্রায় দুই হাজার পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। নতুন করে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো তৈরির জন্য এই টাকা বরাদ্দ করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, দিন দিন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার উন্নতি ঘটছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করায় নতুন বিল্ডিং তৈরি করা হবে। এই স্কুলে প্রচুর সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে। নতুন করে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিন তার সূচনা হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Botanical Garden: বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৃত্রিম অরণ্যের মাঝেই তৈরি হল বুনো ফলের আলাদা বাগান

    Botanical Garden: বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৃত্রিম অরণ্যের মাঝেই তৈরি হল বুনো ফলের আলাদা বাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের মধ্যে গহন অরণ্যের অনুভূতি দিতে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে (Botanical Garden) তৈরি করা হয়েছিল কৃত্রিম অরণ্য। এবার এই জাতীয় উদ্যানে তৈরি করা হল খাওয়ার যোগ্য বুনোফল গাছের আলাদা বিভাগ বা বাগান, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ওয়াইল্ড এডিবল ফ্রুট, অর্থাৎ যেসব ফল চাষ না করে সরাসরি বন থেকে সংগ্রহ করা হয় খাওয়ার জন্য। এই ধরনের গাছ দ্রুত কমে যাচ্ছে বলেই গত কয়েক বছরে দু্ষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে ফলসার মতো ফল। বোট্যানিক্যাল গার্ডেনে এই বিভাগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব নমিতা প্রসাদ। বোট্যানিক সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে ১৬ ফেব্রুয়ারি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের একবিশংতি বিভাগে (ডিভিশন নম্বর XXI) এটি চালু হয়।

    বন্য উদ্ভিদও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন (Botanical Garden)

    আমলকি, জামরুলের মতো অনেক ফলই এদেশে সেভাবে চাষ হয় না। বন থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই ধরনের ফলগাছের বিভাগ উদ্বোধন করে বোট্যানিক গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর ডক্টর দেবেন্দ্র সিং বলেন, কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের অধীন সংস্থা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এইসব গাছের অস্তিত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করা, খাওয়ার উপযুক্ত বুনোফল বিভাগের সাহায্যে ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি বোঝানো হবে, এইসব গাছের অস্তিত্ব বজায় রাখতে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বন্যপ্রাণীদের মতো বন্য উদ্ভিদও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। এইসব গাছের অস্তিত্ব এখন ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে তা রেকর্ড করা, এখনও এই ধরনের গাছের যত প্রজাতি টিকে রয়েছে সেগুলি সংরক্ষণ করার দিকে বনমন্ত্রক নজর দিচ্ছে। কারণ ক্রমাগত বন সাফ করে বসতি গড়া ও কৃষিজমির আয়তন বৃদ্ধি হচ্ছে বলে বন্য গাছগাছালির অস্তিত্বও ক্রমেই সঙ্কটে পড়ে যাচ্ছে। এছাড়া নির্বিচারে গাছকাটা তো আছেই। তাছাড়া বাস্তুতন্ত্রে এইসব গাছের ভূমিকা এবং এদের সংরক্ষণ এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই ব্যাপারে বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় তৈরি করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে ওটা এইসব গাছ এবং এইসব পরিবেশে বসবাসকারী মানুষজনের এইসব গাছ সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবে যেসব জ্ঞান  রয়েছে, সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সেসব কাজে লাগানোও উদ্দেশ্য। তাছাড়া গবেষণার জন্য (Botanical Garden) প্রয়োজনীয় রিসোর্স দেওয়ারও বন্দোবস্ত হয়েছে।

    গাছ সংরক্ষণ করার বিষয়ে আলোচনা (Botanical Garden)

    জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পদ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের যে পরিবর্তন হচ্ছে, সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এইসব গাছ সংরক্ষণ করার বিষয়ে আলোচনা করেন নমিতা প্রসাদ। তিনি নিজে এখানে একটি কমলালেবু গাছ রোপন করেন। বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশক ডঃ এ এ মাও বলেন, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য খাদ্যের উপযোগী উদ্ভিদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইসব গাছ থেকে আমরা পুষ্টি ও ওষুধ পাই। তাছাড়া আমাদের কৃষ্টির সঙ্গেও এর সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে এইসব গাছের সঙ্কট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এদিন তিনি একটি ফলসা গাচের চারা পোঁতেন। এছাড়াও বসানো হয় বনজাম, পিয়াল, বহুবারা, আঁশফল, কেন্দু, জলপাই, পানিয়ালা, তমাল, খিরনি, ভল্লাত সহ বিভিন্ন গাছের চারা অনুষ্ঠানে বরিষ্ঠ বিজ্ঞানীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন (Botanical Garden) ডঃ মানস ভৌমিক, ডঃ সি মুরুগান, ডঃ প্রতিভা গুপ্ত, ডঃ জে জয়ন্তী, ডঃ কণাদ দাস প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pneumonia: বসন্তেও চোখরাঙানি নিউমোনিয়ার! শিশুদের জন্য কি বাড়তি বিপদ? কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    Pneumonia: বসন্তেও চোখরাঙানি নিউমোনিয়ার! শিশুদের জন্য কি বাড়তি বিপদ? কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শুরুতেই ফুসফুসের নানা সমস্যা দেখা দেয়। বয়স্ক থেকে শিশু, অনেকেই ফুসফুসের নানা রোগে (Pneumonia) আক্রান্ত হয়। কিন্তু চলতি বছরে শীতের শেষেও বিপদ কাটছে না। ফুসফুসের রোগে নাজেহাল অনেকেই‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগাম সতর্কতা জরুরি। না হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। তাই প্রয়োজন‌ বাড়তি সুরক্ষা।

    কোন বিপদের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে। হঠাৎ করেই উধাও শীত। হালকা গরমের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বসন্তের এই সময়ে বাড়ছে নিউমোনিয়ার দাপট। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ শীতের শুরুতে কিংবা শীত বাড়লে ফুসফুসের এই সমস্যা (Pneumonia) দেখা দেয়। কিন্তু চলতি বছরে বসন্তেও দাপট দেখাচ্ছে নিউমোনিয়া। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই বিপদ আরও বেশি বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কলকাতার একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের শিশুরা। যাদের অধিকাংশের বয়স পাঁচের কম। ফুসফুসের জটিল সংক্রমণ থেকেই ফুসফুসের ভিতরে এক ধরনের জল জমছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম নিউমোনিয়া।

    কেন শিশুদের জন্য বিপদ?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুদের অধিকাংশের নিউমোনিক্কাল ভ্যাকসিন নেওয়া নেই। নিউমোনিয়া রুখতে সদ্যোজাতের নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন জরুরি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সচেতনতার অভাবে অভিভাবকেরা এই টিকাকরণে গুরুত্ব দেননি। যার জেরে ফুসফুসের সংক্রমণ বড় আকার নেয়। পাশপাশি বাতাসে দূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুসফুসের যে কোনও রোগের অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। কলকাতা ও আশপাশের এলাকা একেবারেই পরিচ্ছন্ন নয়। বাতাস দূষিত। তাই ফুসফুসের সমস্যা বাড়ছে। যার খেসারত দিচ্ছে শিশুরা। তাছাড়া, হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে শরীরে একাধিক ভাইরাস ঘটিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যার প্রভাব ফুসফুসের উপরে পড়ছে (Pneumonia)। তাই বিপদ বাড়ছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো দ্রুত নিউমোক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। এই টিকা দেওয়া থাকলে নিউমোনিয়ার মতো জটিল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই কিছুটা সহজ হয়। বড় বিপদ এড়ানো যায়। পাশপাশি আবহাওয়ার এই বদলে শিশুদের বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। কোনও ভাবেই ফ্যান কিংবা এসি চালানো যাবে না। হঠাৎ গরম মনে হলেও এসির হাওয়া বিপদ বাড়াবে। কারণ, এর জেরে ভাইরাসঘটিত একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি। তরল খাবার অতিরিক্ত খাওয়ানো জরুরি। বেশি পরিমাণে জল খাওয়াতে হবে। কারণ, আবহাওয়ায় শুকনো ভাব দেখা দিচ্ছে। এর জেরে শরীরে জলের পরিমাণ যাতে না কমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশপাশি তরমুজ, ড্রাগন ফ্রুটের মতো রসালো ফল এবং নানা প্রকার লেবু আরও বেশি পরিমাণে খাওয়ানো দরকার। যাতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। তাতে ফুসফুসের সংক্রমণের (Pneumonia) ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ত্রিকোণ প্রেমের জের! আইনজীবীর গাড়িতে মিলল সেভেন এমএম, দেশি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি

    Nadia: ত্রিকোণ প্রেমের জের! আইনজীবীর গাড়িতে মিলল সেভেন এমএম, দেশি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির মিলননগর বাজারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিস বিশ্বাস নামে এক দুষ্কৃতীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। যদিও পুলিশের দাবি, নাকা চেকিংয়ের সময় গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলে পুলিশ। পরিচয় জানার পরই হতবাক হয়ে যায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দুজন আইনজীবী রয়েছেন। তাঁদের নাম প্রসেনজিৎ দেবশর্মা ও সুদীপ ব্রহ্ম। এছাড়াও একজন আইনের ছাত্র, একজন ল ক্লার্ক এবং একজন কুখ্যাত সমাজবিরোধী রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে মাদক মামলায় আশিস বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। স্বামীকে ছাড়ানোর জন্য তাঁর স্ত্রী নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট আদালতের আইনজীবী প্রসেনজিৎ দেবশর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিয়মিত আইনজীবীর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখতেন। সেই সুবাদে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জেলে বসেই তার আঁচ পান আশিস। জেল থেকেই স্ত্রীকে খুন করার হমকি দিয়েছিলেন আশিস। তাঁর স্ত্রী বিষয়টি প্রেমিক আইনজীবীকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু, হুমকির বিষয়টি কথার কথা ভেবে সেভাবে তাঁরা গুরুত্ব দেননি। ফলে মেলামেশা বন্ধ হয়নি। ওদিকে জেল থেকে বেরিয়ে তাঁর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে স্ত্রীর ওপর। নৃশংসভাবে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ফের জেলে যান আশিস। জেল থেকে বেরিয়ে স্ত্রীর মতো তাঁর প্রেমিক আইনজীবীকে খুন করার হুমকি দিয়ে যান। কয়েকদিন আগে আশিস জামিনে মুক্তি পান। পথের কাঁটা সরাতে এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গাড়ি করে আশিসের ওপর হামলা চালানোর ছক কষেন ওই আইনজীবী।

    ধৃতদের কাছে থেকে কী কী বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    জানা গিয়েছে, গাড়ির মধ্যে একটি সেভেন এমএম এবং একটি দেশি পিস্তল সহ ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে রানাঘাট আদালতে পাঠায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। বিচারক ৭দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “পানীয় জলের টাকাও হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবু”, শাস্তির দাবি গ্রামবাসীদের

    Sandeshkhali: “পানীয় জলের টাকাও হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবু”, শাস্তির দাবি গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল দুষ্কৃতীরা পানীয় জলটুকুও দেয়নি বলে অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক হয়েছেন গ্রামের প্রতিবাদী মহিলারা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দাড়ির জঙ্গলের মানুষের পানীয় জল আনতে যেতে হয় প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে। বাড়ির কাছে কল বসলেও এক বছরের বেশি সময় ধরে জল আসছে না বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। ঘরে ঘরে জল পৌঁছানোর প্রকল্পের গোটা টাকাটাই হজম করে নিয়েছে তৃণমূলের পলাতক নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর অনুগামী শিবু-উত্তমরা।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ কী (Sandeshkhali)?

    এলাকার মানুষের অভিযোগ, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরকারি জলের প্রকল্পের গোটা টাকা হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবুরা। গ্রামবাসীরা হাতেনাতে প্রমাণ দিয়ে বলছেন, “এই যে কল আছে, পাইপ আছে কিন্তু নেই জল। সন্দেশখালির বিরাট এলাকা জুড়ে একই অবস্থা। এলাকার মানুষের পানীয় জলের সুবিধার কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন এবং তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। গ্রীষ্মের গরমে এই জলের সঙ্কটে হাহাকার ব্যাপক মাত্রা নেবে। কিন্তু প্রশাসনকে বলে কী লাভ? প্রশাসন চলে শাহজাহানের কথায়।”

    মুখ খুললেই রক্ষা নেই

    এলাকার (Sandeshkhali) বাসিন্দাদের বক্তব্য হল, “এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেল পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু জল নেই। আগেও পাইপ বসানো হয়েছিল কিন্তু জল নেই। মাত্র একটাই টিউবওয়েল। আর এলাকার ১০০টি পরিবার জল খায়। এলাকার নেতা হলেন শিবু-উত্তম। অভিযোগ, সমস্যার কথা বলে বলে লাভ নেই। রাত হলেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে ওরা। মুখ খুললেই রক্ষা নেই। আমরা নিরুপায়।”

    শিবু-উত্তমরাই মেরে খাচ্ছে টাকা

    আরও এক বাসিন্দা (Sandeshkhali) বলেন, “এলাকায় জলের ভীষণ সমস্যা। পানীয় জল নেই। অনেক দূর থেকে জল আনতে হয়। নির্বাচনের সময় নিজেদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য ভোট দিতে দেয় না এই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমাদের জন্য সরকারের বরাদ্দ টাকা শিবু-উত্তমরাই মেরে খাচ্ছে। পানীয় জলের টাকা, ঘরের টাকা সব কিছু লুট করেছে এই তৃণমূলের নেতারা। গ্রেফতার হয়েছে, এবার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই ওদের।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kangaroo Lizard: ভারতে আবিষ্কৃত হল ক্যাঙ্গারু টিকটিকির নতুন প্রজাতি

    Kangaroo Lizard: ভারতে আবিষ্কৃত হল ক্যাঙ্গারু টিকটিকির নতুন প্রজাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল ভারতের কেরল রাজ্যের আগামিডে টিকটিকির একটি নতুন প্রজাতির কথা বর্ণনা দিয়ে সন্ধান দিয়েছেন। নতুন শনাক্ত করা এই প্রজাতিটি হল আগস্তিয়াগামার অন্তর্গত। এটি আগামিডে প্রজাতির স্থলজ, কীটনাশকারী টিকটিকির একটি পূর্ববর্তী প্রজাতি বলে জানা গিয়েছে। এই প্রজাতির টিকটিকিকে মূলত ভারতের তামিলনাড়ু এবং কেরল রাজ্যের ক্যাঙ্গারু টিকটিকির (Kangaroo Lizard) প্রজাতির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    গবেষকদেরর মতামত

    কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সন্দীপ দাস এই প্রজাতির সম্পর্কে বলেছেন, “দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কার বনাঞ্চলের স্থলভাগে এই আগামিডগুলিকে জিনগত এবং রূপগত ভিত্তিতে দুটি পৃথক শ্রেণী যথা-অগাস্থ্যাগামা এবং ওটোক্রিপ্টিসের শ্রেণীতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছিলেন যে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা ক্যাঙ্গারু টিকটিকিগুলি (Kangaroo Lizard) পশ্চিমঘাটের টিকটিকির সঙ্গে একত্রিত ছিল। নতুন এই প্রজাতির টিকটিকি ৩ থেকে ৪.৩ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে ছোট আকারের হয়ে থাকে। এটি সামগ্রিক আকৃতি, আকার এবং রঙে অগস্ত্যগামা বেডডোমির মতোই দেখতে হয়।”

    চিরহতিৎ বনে বাসস্থান

    বর্তমানে ভারতের কেরল রাজ্যের ইদুক্কি জেলার চিরহরিৎ বনের ৬৩৬-৮৩৫ মিটার উচ্চতার গাছের মধ্যে দেখা যায় এই টিকিটিকির প্রজাতি। রাস্তার পাশে লাগানো গাছপালার মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। মার্চ থেকে মে মাস হল এদের প্রজননের সময়। পুরুষদের গলায় ক্রিমি দাগ দেখা যায়। জুন এবং জুলাই মাসে সদ্য জন্ম নেওয়া এই প্রজাতির ক্যাঙ্গারু টিকটিকিকে (Kangaroo Lizard) পর্যবেক্ষণ করা যায়। অগাস্থ্যগামার দ্বিতীয় প্রজাতির এই টিকটিকিগুলি সরীসৃপ প্রজাতির হয়ে থাকে।

    গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায় দেখা যায়

    অগস্ত্যগামা বেডডোমিগুলি বিভিন্ন প্রকারের আবাসস্থলে বাস করে থাকে। যেমন দক্ষিণ ভারতের পাহাড়ের চূড়ায় ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বন, পশ্চিম উপকূলীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় চিরহরিৎ বন এবং পশ্চিম উপকূলীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় আধা-চিরসবুজ বনে লক্ষ্য করা যায়। তবে এখন কেবলমাত্র দক্ষিণ ভারতের আর্দ্র মিশ্র পর্ণমোচী বন, গ্রীষ্মমন্ডলীয় আধা-চিরসবুজ এবং চিরহরিৎ বন থেকেই সমীক্ষা করে ক্যাঙ্গারু টিকটিকি (Kangaroo Lizard) প্রজাতির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিল, হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিল, হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি প্রসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একই ভাবে তৃণমূলের গ্রেফতার হওয়া নেতাদের প্রশ্নে প্রশাসনকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে সাংবাদিক গ্রেফতার প্রসঙ্গে অসন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখা গেল রাজ্যপালকে। বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর এই ধরনের মনোভাব ব্যক্ত করার পর ইসলামপুর সার্কিট হাউস থেকে চোপড়ার চেতনাগছের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

    চোপড়ায় মাটি ধসে চার শিশুমৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এদিন দার্জিলিং মেলে কিষাণগঞ্জ রেল স্টেশনে নামেন রাজ্যপাল। এরপর তিনি সড়কপথে ইসলামপুরের সার্কিট হাউসে পৌঁছান এবং সেখানে তাঁকে অভিনন্দন জানান রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানী। সেখানে ছিলেন উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। ইসলামপুর সার্কিট হাউসে রাজ্যপালকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। 

    চোপড়ায় গেলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)

    ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) সার্কিট হাউসে ঘন্টাখানেক বিশ্রাম নেওয়ার পরে সড়কপথে চোপড়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিনি। সার্কিট হাউস থেকে বের হওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। তিনি সন্দেশখালিতে সাংবাদিক গ্রেফতার প্রসঙ্গে উস্মা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে ফের পুলিশের বাধা দেওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গেও সরব হন। ১৪৪ ধারা প্রসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানান। চোপড়ায় গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফের সাথে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    তৃণমূল মন্ত্রীর বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানী বলেন, “আমাদের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) কাছে গিয়ে চোপড়ায় (Uttar Dinajpur) চার শিশুমৃত্যুর ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি তাঁকে চোপড়ার ওই এলাকা পরিদর্শনের কথাও বলেছিলাম আমরা। আমাদের কথায় সাড়া দিয়ে রাজ্যপাল ইসলামপুরে এসেছেন। রাজ্যপালের এই উদ্যোগে আমরা খুশি। বিএসএফের সঙ্গে সাধারণ মানুষের লড়াই হয়েছে। ড্রেনে পড়ে চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আশা করি তিনি এই বিষয়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে পদক্ষেপ করবেন।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সন্দেশখালির আঁচ লাগল হাওড়ায়! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঝাঁটা-লাঠি হাতে মহিলারা

    Howrah: সন্দেশখালির আঁচ লাগল হাওড়ায়! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঝাঁটা-লাঠি হাতে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বুথে লাইনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোটে জিতিয়েছিলেন। আশা ছিল উন্নয়ন করবেন। কিন্তু, জেতার কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত সদস্য শেখ খলিল স্বমূর্তি ধারণ করেছেন। উন্নয়ন তো দূরের কথা, এলাকার মানুষের নিত্য প্রয়োজনের ব্যবহার করা দিঘি ভরাট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) পাঁচলার দিঘির পাড় এলাকায়। সন্দেশখালির মতো তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এলাকার মহিলারা গর্জে উঠেছেন।

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঝাঁটা-লাঠি হাতে মহিলারা (Howrah)

    হাওড়ার (Howrah) পাঁচলায় ৩৬০ বিঘা এলাকা জুড়ে দিঘিটি রয়েছে। এই দিঘির ওপর ভর করেই আশপাশের এলাকায় চাষবাস হয়। কারণ, আশেপাশের তিন ফসলি জমির চাষবাস থেকে শুরু করে পুজোর সমস্ত জলের সরবরাহ এই দিঘি থেকেই করা হয়। সেই দিঘি বুজিয়ে দিলে সমস্যায় পড়বেন বাসিন্দারা। দিঘির জলই দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, দিঘি ভরাটের প্রতিবাদ করায় খলিলের গুন্ডাবাহিনী গ্রামের মহিলাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে। এমনকী মহিলা ও বৃদ্ধাদের মারধর করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় শাড়ি-ব্লাউজ। দিঘি ভরাটের প্রতিবাদ করায় তাঁদের ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন বাসিন্দারা। পাশপাশি এলাকার মহিলা ও পুরুষদের মারধর করা হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার বলেন, রবিবার তৃণমূল নেতা খলিল এসে আমার চাষের জমি নষ্ট করে দিয়ে গেছে। দিঘি থেকে জল নিতে পারছি না। সারা বছর আমাদের সব কাজ এই দিঘির জল দিয়েই করতে হয়। এই অবস্থায় বড় সমস্যাতে পড়েছি আমরা। মহিলাদের ওপর তৃণমূল বাহিনী নির্যাতন করায় সোমবার হাতে লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন স্থানীয় মহিলারা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পাঁচলা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই দিঘি ভরাট বন্ধ করতে হবে। এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিও জানান বাসিন্দারা। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতির পরেই সন্দেশখালিতে পৌঁছালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে পেয়ে নির্যাতিত মানুষ যেন বটবৃক্ষের আশ্রয় পেলেন। উলুধ্বনি, পুষ্পবর্ষণ করে স্বাগত জানালেন এলাকার মানুষ। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। একে একে শুভেন্দু শুনলেন সব অত্যাচার, নির্যাতনের কথা। সেই সঙ্গে নিপীড়িত মানুষকে আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনারা পাশে থাকুন। সন্দেশখালির সব কিছুর পরিবর্তন হবে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখলিতে পা রেখে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সংবিধানের জয়, গণতন্ত্রের জয়, সন্দেশখালির মা-বোনের জয়। গুন্ডারা জেলে যাবে। মমতার দিন শেষ, ফিনিশ। পরিবর্তনের ভরকেন্দ্র হচ্ছে আজকের সন্দেশখালি। তৃণমূলের পিঠে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে এই জনজাগরণ। নন্দীগ্রামে আমরা ভয় পাইনি, আপনারাও ভয় পাবেননা। এলাকার মানুষ শান্তি চায়। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চায় মানুষ। ওর পালানোর উপায় নাই।” শেখ শাহজাহান সম্পর্কে এলাকার মানুষ বলেন, “আমরা জীবন দেব, কিন্তু আন্দোলন থামাব না।” স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আমার ৭ বিঘা জমি কেড়ে নিয়ে গেস্ট হাউস বানিয়েছে ওরা। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করেছে তৃণমূলের নেতারা। মমতা ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা কোনও ভোট দিতে পারিনি এলাকায়।”

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    এদিকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যাওয়ার আগেই এলাকার ১২টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষ উঠল ১৪৪ ধারা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশিন বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়ে বলেন, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন। তবে এলাকায় যাতে কোনও রকম শান্তিভঙ্গ না হয়, নজর রাখতে হবে। সবটাই দেখার দায়িত্ব পুলিশের।” অপর দিকে রাজ্যের পুলিশ শেখ শাহজাহানকে রক্ষা করছে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। প্রধান বিচারপতি এই তৃণমূল নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না জানি না, তবে মনে হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে। তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ জারি করব। আশা করি পুলিশ আদালতকে সাহায্য করবে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তৃণমূল নেতাদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ার অপরাধে বন্ধ হয়ে গেল আবাস যোজনার বাড়ি

    Durgapur: তৃণমূল নেতাদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ার অপরাধে বন্ধ হয়ে গেল আবাস যোজনার বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনে আবেদন করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের (Durgapur) ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙার একাধিক বাসিন্দা। তালিকায় নাম দেখে তাঁরা খুশিও হয়েছিলেন। বাড়ি তৈরির জন্য তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকাও ঢোকে। শুরু হয় ঘর তৈরির কাজ। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Durgapur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দুর্গাপুরের (Durgapur) রায়ডাঙার প্রায় ২০ জন বাসিন্দা পুরসভায় চিঠি দেন। তাঁদের বক্তব্য, আবাস যোজনায় আমাদের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরে পুরসভা পরিদর্শন করে। এর পরে পুরসভা থেকে বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। বাড়ির নির্মাণকাজও শুরু হয়। কিন্তু, একতলার কিছুটা দেওয়াল গাঁথার কাজ হওয়ার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। আসলে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই এলাকার চারজন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাঁদের কাছে টাকা চাইতে শুরু করেন। কাজ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের সবার কাছে ২০ হাজার টাকা করে চাওয়া হয়। তাঁরা দাবি মতো সেই টাকা দিতে রাজি হননি। তারপর থেকে তাঁদের গালিগালাজ করা হয়। এমনকী বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আর তাঁদের সেই হুমকি সত্যি হল। সরকারি প্রকল্পের কাজ কাটমানি না দেওয়ায় বন্ধ হয়ে গেল। এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা ভাঙা টালির চালের ঘরে বসবাস করি। পাকা বাড়ি পেলে নিশ্চিন্ত হব। কাটমানি দিতে পারিনি বলে আমাদের বাড়ি হবে না।” পুর কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল নেতৃত্ব কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দুর্গাপুর (Durgapur) পুরসভার প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি পুলিশকে খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। পুরসভার সচিব ও সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদেরও খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আমরা সমর্থন করি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share