Tag: Bengali news

Bengali news

  • Rahul Gandhi: মালদায় রাহুল গান্ধীর গাড়িতে পড়ল ইট, ভেঙে চুরমার পিছনের কাচ

    Rahul Gandhi: মালদায় রাহুল গান্ধীর গাড়িতে পড়ল ইট, ভেঙে চুরমার পিছনের কাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় বিহার থেকে মালদায় প্রবেশ করছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় দেওয়ানগঞ্জে জনরোষের মধ্যে পড়েন তিনি। এরপরই তাঁর গাড়িতে পড়ল ইট, ভেঙে চুরমার করা হল পিছনের কাচ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনার সমালোচনা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “বুঝে নিন কে ভাঙতে পারে?”। অপর দিকে আজই মালদায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ সভা রয়েছে। তাই মোদি-বিরোধী ‘ইন্ডি’ জোট কতটা সুরক্ষিত এই রাজ্যে, তা নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরালো হল। আরও একবার প্রশ্ন উঠল, জোটের ভবিষ্যৎ কী?

    কী বললেন অধীররঞ্জন (Rahul Gandhi)?

    ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি আগে থেকেই মমতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। ৩১ জানুয়ারিতেই রাহুলের মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য ভালুকা রোডের গেস্ট হাউস চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। আজ গাড়ির উইন্ড স্ক্রিন পুরোটাই ভেঙে গিয়েছে ইটের আঘাতে। রাহুল গান্ধীর কালো গাড়িতে সঙ্গী ছিলেন অধীরও। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কে ইট মেরে গাড়ির কাচ ভাঙতে পারে, তা বুঝে নিন। বাংলায় রাহুলের (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি প্রবেশের পর থেকেই নানান বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই রাজ্যের শাসক দল যত রকমের বিরোধিতা করা যায়, তা করে চলেছে। কোচবিহার থেকেই এই অসহযোগিতা চলছে।” তাঁর এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য যে তৃণমূলকেই লক্ষ্য করে, তা রাজনৈতিক মহলের একাংশের মানুষ মনে করছেন।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ

    রাহুলের (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রাকে ঘিরে রাজ্যের তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে নানা অভিযোগ বঙ্গ কংগ্রেসের মুখে। রাজ্যের জেলায় জেলায় সরকারি একাধিক অতথিশালায় প্রশাসনের অধিকারিকরা সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছেন। কোথাও কোনও অতিথিশালা, স্টেডিয়াম দেওয়া হচ্ছে না রাহুলের জন্য। মুর্শিদাবাদে যাওয়ার পর যে স্টেডিয়ামের মধ্যে রাত্রিবাসের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে, তা এখনও মমতার সরকার অনুমতি দেয়নি। আগেও রাহুলের নামে পোস্টার, ফ্লেক্স, ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে এই রাজ্যে। সবটা মিলিয়ে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সংঘাত যে লোকসভার ভোটে মোদি বিরোধী জোটে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলতে চলেছে, তা রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন। এই অবস্থায় আসন সমঝোতা এবং সমন্বয় সম্ভব কিনা, তা রাহুলের গাড়ির কাচ ভাঙার পর থেকে আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। উল্লেখ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ কিছুক্ষণের জন্য সাংবাদিক বৈঠক করলেও চুপ ছিলেন গাড়ির কাচ ভাঙার প্রসঙ্গে।  

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘উন্নয়নের রাজ্যে’ বেহাল রাস্তা, বিয়ে হচ্ছে না ছেলে-মেয়েদের! সরব এলাকাবাসী

    South 24 Parganas: ‘উন্নয়নের রাজ্যে’ বেহাল রাস্তা, বিয়ে হচ্ছে না ছেলে-মেয়েদের! সরব এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লকে রাস্তার বেহাল দশা! আর এই কারণে বিয়ে হচ্ছে না এলাকার ছেলে-মেয়েদের। একবার পাত্রপক্ষ বা পাত্রীপক্ষ দেখে গেলে খারাপ রাস্তার জন্য দ্বিতীয়বার এমুখো হতে চাইছে না। সেই সঙ্গে রয়েছে গর্ভবতী মা, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং অসুস্থ রোগীদের নিয়ে চূড়ান্ত ভোগান্তি। প্রশাসনকে জানিয়েও হচ্ছে না লাভ! এলাকায় এই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ শাসক দলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

    কোন রাস্তা বেহাল (South 24 Parganas)?

    মথুরাপুরের (South 24 Parganas) রায়দিঘি বিধানসভার কোম্পানির ঠেক থেকে রাধানগর প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। মাঝেমধ্যেই খনাখন্দ গোটা রাস্তায়। রাস্তায় গাড়ি চলা তো দূরের কথা, চলতে পারে না কোনও ভ্যান কিংবা সাইকেলও। গত ১৫দিন আগে বৃষ্টি হলেও সেই জল এখনও জমে রয়েছে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায়। এলাকার মানুষ এই নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।

    এলাকার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    উল্লেখ্য, তখন রায়দিঘি (South 24 Parganas) বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। তাঁর সময় এই রাস্তাটি তৈরি হয়। তবে রাস্তা যে বছরই তৈরি হয় সেই বছরেই সম্পূর্ণ খারাপ হয়ে যায়। এলাকার মানুষের অভিযোগ ঠিক এমনই। বারবার অভিযোগ করেও দেবশ্রী রায় রাস্তা সংস্কার করেননি। বহু মানুষের আরও অভিযোগ, এলাকার প্রসূতি মা, অসুস্থ রোগী, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের এই খারাপ রাস্তার কারণে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

    রাস্তা খারাপের জন্য হচ্ছে না বিয়ে

    এলাকার (South 24 Parganas) রাস্তা বেহাল থাকার ফলে সমস্যার কথা তুলে ধরতে গিয়ে সোয়াহার বিবি বলেন, “শুধু নেতারা বলে ভোট দাও, কিন্তু রাস্তার বিষয়ে বললে চুপ থাকে। এই রাস্তা খারাপের জন্য আমাদের ছেলেমেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। এলাকার পাত্র-পাত্রীকে একবার দেখাশোনার পর রাস্তার দোহাই দিয়ে আর আসছেন না কেউ। অপর দিকে আমাদের ছেলেমেয়েদের বিয়ের বয়স অতিক্রম করে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা সারা জীবন কি আইবুড়ো থাকবে? এটাই এখন আমাদের কাছে বড় প্রশ্ন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে শাসক দল তৃণমূলের নবনির্বাচিত জেলা (South 24 Parganas) পরিষদের সদস্য এবং ব্লক সভাপতি উদয় হালদার বলেন, “বিধায়ক অলক জলদাতা এই রাস্তা সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে সমস্ত ব্যবস্থা করেছেন। দ্রুত রাস্তার কাজ হবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজপির স্থানীয় নেতা (South 24 Parganas) কৌশিক দাস বলেন, “এই চিত্র শুধুমাত্র রায়দিঘিতে নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই রয়েছে। গোটা সরকারি ব্যবস্থা ভেঙেচুরে গেছে। তৃণমূলের চোরেরা টাকা খেয়ে নিয়েছে। এই রাস্তা আদৌ হবে কিনা, এই নিয়ে সেই আশাতেই এখন দিন গুনছেন এলাকার মানুষ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘কেষ্ট’র হাত ধরে গিয়েছিলেন তৃণমূলে, লোকসভা ভোটের আগে ভুল শুধরে ফিরলেন বিজেপিতেই

    Birbhum: ‘কেষ্ট’র হাত ধরে গিয়েছিলেন তৃণমূলে, লোকসভা ভোটের আগে ভুল শুধরে ফিরলেন বিজেপিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজল শেখ স্বমহিমায় দলে প্রত্যাবর্তনের পর অনেকেই ভেবেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল বোধহয় পিছনের সারিতে চলে গেলেন। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণিত করে কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিহার জেলে থাকা দলের জেলা সভাপতি (Birbhum) সেই অনুব্রত মণ্ডলের ওপরেই আস্থা রাখেন। আর এর কিছুদিনের মধ্যেই বড়সড় বিপর্যয় নেমে এল তৃণমূলে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন শুভ্রাংশ চৌধুরী। দল তাঁকে মহম্মদ বাজারের ব্লক সভাপতিও করেছিল। কিন্তু সবাইকে এক রকম চমকে দিয়ে তিনি ফিরে এলেন তাঁর পুরনো দল বিজেপিতেই। বীরভূম জেলা বিজেপি অফিসে দলের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার উপস্থিতিতে তাঁর বিজেপিতে যোগদান লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলকে অনেকটাই বেকায়দায় ফেলে দিল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

    কী প্রতিক্রিয়া শুভ্রাংশ চৌধুরীর? (Birbhum)

    তৃণমূলে যাওয়ার পরেও তিনি যে এক মুহূর্ত স্বস্তিতে ছিলেন না, তা শুভ্রাংশ চৌধুরীর কথাতেই পরিষ্কার। বিজেপিতে যোগদান করার পর তাঁর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, তিনি এক মুহূর্ত স্বস্তিতে ছিলেন না তৃণমূলে। দল হিসেবে তিনি তৃণমূলে থাকলেও তাঁর মনটা পড়েছিল সব সময় বিজেপিতেই। তিনি আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, আমাকে জোর করে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আপাতত আমি বিজেপিতে যেমন ছিলাম, আগামী দিনেও তেমনই থাকব।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি? (Birbhum)

    বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার বক্তব্য, শুভ্রাংশকে ভয় দেখিয়ে ওরা তৃণমূলে যোগদান করিয়েছিল। তাঁর আরও দাবি, তৃণমূলের অনেকেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। যে কোনও মুহূর্তে যে কেউই যোগদান করবেন। তবে যে কেউ আসতে চাইলেই যে তাঁকে দলে নেওয়া হবে, এরকম কোনও গ্যারান্টি নেই। তাঁর কাজকর্ম, পুরনো ইতিহাস ইত্যাদি খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য অবশ্য পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: অপরাধীদের নিয়ে ঘুরছেন অর্জুন! পুলিশের কাছে নালিশ তৃণমূল বিধায়কের

    Arjun Singh: অপরাধীদের নিয়ে ঘুরছেন অর্জুন! পুলিশের কাছে নালিশ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ফের অর্জুন-সোমনাথ-সুবোধ দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠছে। সাংসদ  অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। একইসঙ্গে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী অর্জুনের (Arjun Singh) বিরুদ্ধে  সমালোচনা করেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বলে সাংসদ এবং বিধায়কদের মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় রাজনৈতিক মহলে  চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    অর্জুনকে (Arjun Singh) পল্টুরাম বললেন সুবোধ

    মঙ্গলবার কাঁচরাপাড়া কাঁপা মোড় সংলগ্ন বাবু ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। রক্তদান শিবিরের মঞ্চ থেকে আবারও বিস্ফোরক সুবোধ এবং সোমনাথ। দুজনেরই আক্রমণের লক্ষ্য ছিল সংসদ অর্জুন সিং(Arjun Singh)। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দলের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বলেন, ২০১৯ সালে বীজপুর থেকে টিটাগড় যে সন্ত্রাস, তাণ্ডব হয়েছিল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও তা করার চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্যের সেরা থানার পুরস্কার পাওয়া বীজপুরকে নতুন করে অশান্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এরপরই সুবোধ অধিকারীর গলায় কার্যত হুঁশিয়ারির সুর। সাংসদ অর্জুন সিং কে নিশানা করে বলেন, ‘ তিনি দাগী আসামীদের নিয়ে বীজপুরে অনেক জায়গায় পিকনিক করছেন। সেই ছবি আমি পুলিশ এবং প্রশাসনকে পাঠিয়েছি।  ২০১৯ সালে প্রতিবাদ হয়েছে। আবারও আমি সাবধান করতে চাই। আবারও যদি এই কাজ করতে যান তাহলে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে এবং সামল দিতে হবে আপনাকে’। সাংসদের নাম না করে সুবোধের কটাক্ষ, পল্টুরাম নীতীশ কুমার এখানেও আছে। যে ছেলেকে বিজেপিতে ঢুকিয়ে রেখেছে এবং নিজে তৃণমূলে ঘোরাঘুরি করছে। অর্থাৎ এক পা বিজেপিতে এবং এক পা তৃণমূলে। আবার আমাদের নামেই গুজব ছড়ানো হচ্ছে আমরা নাকি দিল্লিতে গিয়েছি বিজেপিতে যোগদান করার জন্য! আমরা তো তৃণমূলেই থাকবো, কিন্তু তিনি যে আগামী দিনে আবার পল্টুরাম হবেন না তার গ্যারান্টি কে নেবে? এরপরই মঞ্চের সামনে আসনে বসা মানুষদের উদ্দেশে সুবোধ বলেন, ‘ ২০২৪ সালে আবার অনেক পল্টুরাম পাবেন। তারা অনেক কথা বলবে। কিন্তু, সেদিকে কান দেবেন না’।

    জগদ্দলের বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের নিশানাতেও সেই অর্জুন সিং (Arjun Singh)। একসময়ের মুকুল রায়ের খাস তালুক কাঁচরাপাড়ায় দাঁড়িয়ে সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘এখানে নাকি বড় বড় নেতারা থাকতেন। যারা পাল্টিবাজ। সেই পাল্টিবাজদের মত কিছু নেতা গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছেন আমি এবং সুবোধ নাকি দিল্লিতে রওনা দিয়েছি বিজেপিতে যোগদান করতে।  আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা পাল্টিবাজ নই। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের খুন করার চক্রান্ত করছে সাংসদ। এর আগে ইছাপুরে শহর তৃণমূলের সভাপতি গোপাল মজুমদারের পিছনেও সাংসদের হাত রয়েছে। ভারাটে খুনিরা তা স্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fake ED officer: ভুয়ো ইডির অফিসারের পরিচয় দিয়ে বিয়ের প্রতারণা! সিজিওতে এনে ব্যাপক মার

    Fake ED officer: ভুয়ো ইডির অফিসারের পরিচয় দিয়ে বিয়ের প্রতারণা! সিজিওতে এনে ব্যাপক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভুয়ো ইডির অফিসারের (Fake ED officer) পরিচয় দিয়ে বিয়ে করার চেষ্টা এক যুবকের। সেইসঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যুবক। অভিযুক্তকে একেবারে হাতেনাতে ধরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনেই গণপ্রহার করল প্রতারণার শিকার মেয়ের পরিবার। অভিযুক্ত অবশ্য স্বীকার করেছে আগেও তিনটি পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    অভিযুক্তের পরিচয় কী (Fake ED officer)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ন’মাস আগে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয়। ভুয়ো ইডি অফিসার যুবকের (Fake ED officer) নাম প্রদীপ সাহা। নিজেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এরপর দুই পরিবারেরে মধ্যে সেই মতো কথাবার্তাও এগিয়ে যায়। অভিযুক্তের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।

    তরুণীর পরিবারের অভিযোগ

    ঘটনায় প্রতারিত তরুণীর অভিযোগ হল, “প্রদীপ নিজেক ইডির (Fake ED officer) তদন্তকারী অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল। ইতিমধ্যে বিবাহের কথা বলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েও নিয়েছে। এরপর তার আচরণে সন্দেহ হলে হাত-পা বেঁধে সোজা ইডির দফতর সিজিও-তে নিয়ে আসা হয় প্রদীপকে। সঙ্গে ছিলেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু দফতরে আনার পর প্রদীপের পরিচয় জানা গেল, সে কোনও ইডির অফিসার নয়। এরপর শুরু হল বেধড়ক মারধর।”

    তরুণীর ভাইয়ের বক্তব্য

    তরুণীর ভাই দেবজিৎ সাহা জানিয়েছেন, “সাদি ডট কম ওয়েব সাইট থেকে আমাদের পরিবারের সঙ্গে আলাপ হয়। বিয়ের কথা ঠিক হলে বিয়ের জন্য কার্ড ছাপানো হয়। আমাদের পরিবারের কাছে প্রদীপ জানায় দুর্নীতির তদন্ত করে তার শরীর খারাপ, তাই চিকিৎসার জন্য টাকা প্রয়োজন। এরপর টাকার চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তু পরে সংস্থার দফতরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সেখানে প্রদীপ নামে কেউ কোনও বিভাগে কাজ করে না। এরপর তাকে উত্তমমধ্যম দেওয়া হয়। তার কাছ থেকে ভুয়ো কার্ড এবং ইডি (Fake ED officer) লেখা জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।”

    প্রসঙ্গ ক্রমে জানা গিয়েছে প্রদীপকে এই প্রতারণার কাজে সহযোগিতা করছে তার মা এবং বোন। মূলত মোবাইলের অ্যাপের মধ্যমে সে এই কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। নিজেকে অবশ্য নির্দোষ বললেও তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আপাতত তদন্ত শুরু করেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মমতার জেলা সফরের দিনই সুকান্তর হাত ধরে ৫০০ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে

    Sukanta Majumdar: মমতার জেলা সফরের দিনই সুকান্তর হাত ধরে ৫০০ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সফরে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনই তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল বিজেপি। এদিন জেলার কুশমন্ডিতে এক জনসভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জনসভাতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন ৫০০ জন তৃণমূলকর্মী। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার। জেলাতে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিন ৫০০ জন তৃণমূল কর্মী গেরুয়া শিবিরে যোগ দান করায় লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি কর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

    মমতার সফরের দিনই দেওয়াল লিখন করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) ছাড়াও এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী,  প্রাক্তন জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার সহ অন্যরা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেওয়াল লিখন শুরু করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার । মমতার প্রশাসনিক সভামঞ্চের প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বিজেপির তরফে দেওয়াল লিখন  করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের যুবশ্রী মোড় সংলগ্ন এলাকায় দেওয়াল লিখন শুরু করেন বিজেপি সাংসদ। ‘হীরক রানি বাই বাই, অনাচার থেকে মুক্তি চাই’, ‘মোদি সরকার আরও একবার’, এই সমস্ত স্লোগানকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে দেওয়াল লিখন শুরু করেছে বিজেপি। 

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এদিন জেলার বালুরঘাটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। আর আমার সভা বালুরঘাট থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে হচ্ছে। মামদোবাজি পেয়েছে নাকি যে আমাদেরকে সভা করতে দেবে না। মুখ্যমন্ত্রী তো হেলিকপ্টার করে যাবেন। তাহলেই আমাদের সভা করলে ওনার সমস্যা কোথায়। আমরাও সভা করছি। আর  মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিন ৫০০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করল। পাশাপাশি বালুরঘাটে দেওয়াল লিখন করা হয়। তৃণমূলের সভাতে বিজেপির বিধায়কদের ডাকা হয়নি বলে কোর্টে যাবার হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, তৃণমূলে সন্মান ছিল না। বিজেপিতে এসে আমরা আত্মসন্মান ফিরে পেলাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Begging: মুম্বইয়ের পথে ভিক্ষাবৃত্তি করেই সাড়ে ৭ কোটির মালিক! চেনেন এই ভরতকে?

    Begging: মুম্বইয়ের পথে ভিক্ষাবৃত্তি করেই সাড়ে ৭ কোটির মালিক! চেনেন এই ভরতকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিক্ষুক শব্দটির সঙ্গে পরিচিত সকলেই। আর এই শব্দটি মাথায় আসতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে জরাজীর্ণ শরীর, ছেঁড়া জমাকাপড়, চরম দরিদ্র কোনও মানুষের চেহারা। ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে ভিখারিদের এখনও চোখে পড়ে। রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, মন্দির- কোনও জায়গা বাদ নেই। চলার পথে হাত পেতে টাকা, খাবার চাওয়াটাই ভিক্ষুকের (Begging) পরিচয় প্রকাশ্যে আনে। কিন্তু আজ আমরা এমন এক ভিক্ষুকের সম্পর্কে জানব, যিনি ভিক্ষা করে আজ দেশের ধনী ভিক্ষুকের তকমা পেয়েছেন। যিনি নাকি ভিক্ষাবৃত্তি করেই বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।মুম্বইয়ের ভরত জৈন আজ ভারতের ধনী ভিক্ষুকের পরিচয় পেয়েছেন।l মুম্বইয়ের রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে কীভাবে তিনি এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তা সবাইকেই অবাক করে।

    কেনই বা তিনি ভিক্ষা করেন? (Begging)

    ভরতের আকাশছোঁয়া সম্পত্তির পরিমাণ দেখে অবাক হন বহু মানুষ। কেউ ভালো চোখে, কেউ বা খারাপ চোখেই দেখেন ব্যাপারটিকে। ভরতের প্রথমের দিনগুলি কিন্তু মোটেও বর্তমানের মতো ছিল না। অনেক অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটত তাঁর পরিবারের, জুটত না দু’বেলার খাবার, পরিবার নিয়ে পথে বসে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল তাঁর। টাকাপয়সার অভাবে পড়াশোনাও করতে পারেননি ভরত। তাই সব ইচ্ছাকে বিসর্জন দিয়ে পরিবার ও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে বাধ্য হন তিনি। দীর্ঘদিন থেকে ভরত মুম্বইয়ের রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করছেন। তাঁর নম্র আচরণ অনেক মানুষকে আকর্ষণ করত। ফলে মানুষ তাঁকে ভালোবেসেই ভিক্ষাপ্রদান করত। সেই ভিক্ষার টাকা তিনি অসৎ পথে ব্যয় না করে সঞ্চয় করতে শুরু করেন। আজ তার ফলস্বরূপ ভরতের সম্পত্তির পরিমাণ ৭.৫ কোটি। শুনতে অবাক লাগলেও ভিক্ষা করেই তিনি মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইনকাম করেন। শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ের থানেতে রয়েছে তাঁর দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। সেখানে তিনি তাঁর বাবা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বাস করেন। আবার থানেতে দুটি দোকানও আছে তাঁর,  যেগুলি ভাড়া দেওয়া আছে। সেখান থেকেও তিনি মাসিক ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। প্রতিদিন তিনি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে ভিক্ষা (Begging) আদায় করেন।

    কেন তিনি এত সম্পত্তির মালিক হয়েও ভিক্ষা করেন? (Begging)

    মুম্বই ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস ও আজাদ ময়দানের মতো জায়গায় এখনও ভরতকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েও এখনও পর্যন্ত তিনি ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়েননি।  এক থেকে দু’ঘণ্টা ভিক্ষা করেই তিনি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ইনকাম করেন। তাঁর দুই ছেলে বর্তমানে কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করে। ভরত তাঁর পরিবারের সঙ্গে পারেলের একটি 1BHK ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। পরিবারে অন্যান্য সদস্যরা স্টেশনারি দোকান চালান, অভাব -অনটনের লেশমাত্র নেই ভরতের। পরিবারের সবাই তাঁকে বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তি (Begging) থেকে সরে আসার আর্জি জানালেও তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন। ভরতের মতে, নিজের অতীতকে কখনই ভুলে যেতে চান না। তাই আজও তিনি সেই একইভাবে ভিক্ষাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছেন রাস্তায় রাস্তায়। বাকি বিচার মানুষের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Yogurt: হাড়ের ক্ষয় থেকে ডায়ারিয়া, ওজন ঝরানো, কোন‌ কোন রোগে উপকার দেয় টক দই?

    Yogurt: হাড়ের ক্ষয় থেকে ডায়ারিয়া, ওজন ঝরানো, কোন‌ কোন রোগে উপকার দেয় টক দই?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ব্যস্ত জীবনে বাড়ছে রোগের ভোগান্তি। অনিয়মিত খাওয়া, কম ঘুম কিংবা অতিরিক্ত কাজের চাপ স্বাস্থ্যের একাধিক সমস্যা তৈরি করছে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস থেকে স্থূলতা নানান জীবনযাপন সংক্রান্ত রোগে ভুগছেন‌ বাঙালি। তার উপরে অধিকাংশ বাঙালি মহিলা হাড়ের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই (Yogurt) এই সব সমস্যার দাওয়াই। প্রত্যেক দিন একবার মেনুতে টক দই রাখলে, একাধিক সমস্যা কমবে।

    কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে টক দই? (Yogurt) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দইতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তাই হাড়ের সমস্যা রুখতে খুব সাহায্য করে টক দই। বিশেষত মহিলাদের হাড়ের সমস্যা বাড়ছে। হাড় ক্ষয় রোগের দাপট চল্লিশোর্ধ মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত মহিলারা টক দই খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটবে। ফলে হাড়ের সমস্যাও কমবে‌। 
    টক দইতে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড।‌ তাই টক দই পরিপাকতন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ল্যাকটিক অ্যাসিড ডায়ারিয়া রুখতে সাহায্য করে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যও মোকাবিলা করে। তাই পেটের সমস্যায় বিশেষভাবে সাহায্য করে টক দই। 
    তাছাড়া, স্থূলতা কমাতে টক দই খুব উপকারী। তাই যাদের ওজন‌ দ্রুত বাড়ছে, মেদ কমানো জরুরি, তাদের নিয়মিত টক দই (Yogurt) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইতে এমন একাধিক উপাদান রয়েছে, যা শরীরে মেদ জমতে দেয় না। 
    পাশপাশি, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ মোকাবিলায় টক দই খুব সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দইয়ের মধ্যে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যা পাকস্থলী সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    নিয়মিত টক দই খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর ফলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। 
    তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়া জরুরি।

    কতখানি টক দই খাওয়া প্রয়োজন? (Yogurt) 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দই খুবই উপকারী। কিন্তু এটা প্রয়োজন মাফিক খেতে হবে। তবেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অতিরিক্ত টক দই খেলে আবার অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, দেহের ওজনের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে টক দই খেতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে খুব বেশি হলে ৩০০ গ্রাম টক দই খেতে পারেন। তার বেশি পরিমাণে টক দই কখনই খাওয়া যাবে না। কারণ, টক দইতে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। দেহে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম আবার নানান জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাছাড়া, ফুসফুসের সংক্রমণ থাকলে অতিরিক্ত টক দই সমস্যা তৈরি করে। কারণ, টক দই ঠান্ডা খাবার। তাই বেশি টক‌ দই খেলে কাশির সমস্যা তৈরি হয়। তাই হাঁপানি বা ফুসফুসের কোনো বড় সমস্যা থাকলে টক দই খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাছাড়া, টক দই দ্রুত ওজন‌ কমাতে সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ টক দই খেলে দ্রুত ওজন কমে যায়। যা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। তাই টক দই (Yogurt) খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণে নজরদারি জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: “ভিজে কাপড়ে সারারাত থর থর করে কেঁপেছি”, পুলিশি বর্বরতার কাহিনি শোনালেন মহিলা বিজেপি কর্মীরা

    Barrackpore: “ভিজে কাপড়ে সারারাত থর থর করে কেঁপেছি”, পুলিশি বর্বরতার কাহিনি শোনালেন মহিলা বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বারাকপুরে (Barrackpore) শান্তিপূর্ণ আইন অমান্য কর্মসূচিতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এমনকী মিছিল লক্ষ্য করে পুলিশ পাথর ছুড়েছে। তাতে বহু কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছেন। বাদ যাননি মহিলারা। এমনই অভিযোগ করলেন বারাকপুরের বিজেপি কর্মীরা।

    পুলিশ অমানবিক ও বর্বর আচরণ করেছে (Barrackpore)

    গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশ ৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে দুজন মহিলা কর্মী রয়েছেন। মঙ্গলবার বারাকপুর (Barrackpore) আদালতে যাওয়ার পথে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তাঁরা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালাল। জল কামানে আমাদের জামাকাপড় ভিজে যায়। অপরাধীর মতো আমাদের সঙ্গে পুলিশ ব্যবহার করে। দুই মহিলা বিজেপি কর্মী বলেন, রাতেই মহিলা থানায় আমাদের আনা হয়। শুধু পিচবোর্ডে বসতে দেওয়া হয়। ভিজে কাপড়ে আমরা থাকি। আমাদের কোনও চাদর দেয়নি। প্রচণ্ড শীতে সারারাত ধরে আমরা শুধু থর থর করে কেঁপেছি। জল পর্যন্ত খেতে দেয়নি। রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে আমাদের খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমাদের গায়ে জ্বর চলে আসে। কোনও চিকিৎসা পর্যন্ত করেনি। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে যোগ দিয়েছি বলে পুলিশ এত বর্বর আচরণ করেছে। যদিও বিজেপি কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ তোলায় পুলিশ কর্মীরা তাঁদের বলতে বাধা দেয়। তাদের জোর করে নিয়ে চলে যাওয়া হয়।

    শান্তিপূর্ণ মিছিল লক্ষ্য করে পুলিশ ইট, পাথর ছোড়ে!

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে বারাকপুরের (Barrackpore) ১৫ নম্বর রেল গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। সেখানে সুতলি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে, সুকান্তর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা ছিল জল কামানও। প্রতিটি ব্যারিকেডে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রথম ব্যারিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেডে জমায়েত হন। বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বহু মহিলা কর্মীর ওপর লাঠিপেটা করা হয়। মিছিলের ওপর জলকামান চালানো হয়। সুকান্ত মজুমদারও জল কামানের জলে সম্পূর্ণ ভিজে যান। পুলিশি হামলা বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র কর্মসূচিকে পুলিশ বানচাল করে দেয় বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ। পরে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ চলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: দেশের গোপন তথ্য পাচার! প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১০ বছরের জেল

    Imran Khan: দেশের গোপন তথ্য পাচার! প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১০ বছরের জেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গোপন তথ্য পাচার করেছেন তিনি, এমনই অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে। এবার এই মামলায় তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ছিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত গোপন কূটনৈতিক তথ্য তিনি পাচার করেছেন। এই মামলার শুনানি ছিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালতে মঙ্গলবার। সেখানেই ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের তেহেরিক-ই-ইনসাফের সভাপতি শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও ঐ  একই সাজা ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের বিশেষ আদালত।

    ইমরানের সাজা ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত

    এদিনই ইমরান খানের (Imran Khan) ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত। প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই জেলে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা এই মুহূর্তে চলছে পাকিস্তানের আদালতে। তারই মধ্যে অন্যতম মামলা ছিল কূটনৈতিক তথ্য পাচার। যদিও বরাবরই ইমরানের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগে খারিজ করেছে তাঁর দল এবং এই গোটা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবেই তুলে ধরেছে তারা। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর জন্যই ওই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে ইমরানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে।

    ২০২২ সালে দুর্নীতির অভিযোগে অপসারিত হন ইমরান

    ঠিক দু বছর আগে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসেই অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারিত করা হয় পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। ২০২৩ সালের ৫ অগাস্ট তাঁকে কারাদণ্ড দেয় ইসলামাবাদ কোর্ট। তোশাখানা মামলায় তখন তিন বছরের সাজা ঘোষণা হয় ইমরানের। জানা গিয়েছে, এতদিন অ্যাটাক ডিস্ট্রিক্ট জেলে বন্দি ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। গত ডিসেম্বর মাসেই তিনি জামিন পান। কিন্তু তার সঙ্গে অন্যান্য মামলাগুলি চলায় এতদিন জেলেই ছিলেন ইমরান।

    আরও পড়ুন: শান্তনুতেই আস্থা! সিএএ নিয়ে আশার আলো দেখছেন মতুয়ারা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share