Tag: Bengali news

Bengali news

  • Suvendu Adhikari: বারাকপুরকাণ্ডে মমতার পুলিশকে ‘হিংস্র নেকড়ে’-র সঙ্গে তুলনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বারাকপুরকাণ্ডে মমতার পুলিশকে ‘হিংস্র নেকড়ে’-র সঙ্গে তুলনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে বিজেপির আইন অমান্যকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা দেখা গেল। সোমবার বিজেপি কর্মীদের আন্দোলনকে দমন করতে পুলিশ ইটবৃষ্টি, জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল, লাঠিচার্জ সবকিছুই করে। বিজেপি কর্মীদের দিকে তেড়ে গিয়ে পুলিশ চড়-থাপ্পড়, লাথিও মারতে থাকে। ইতিমধ্যে পুলিশের এহেন আচরণকে কাঠগড়ায় তুলেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশের ভূমিকাকে ‘হিংস্র নেকড়ে’-র সঙ্গে তুলনা করছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর আরও  অভিযোগ, ‘‘এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খুঁজে খুঁজে, বেছে বেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের পেটানো হয়েছে। তৃণমূলের উদ্দেশে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে এই ঘটনাগুলি ঘটানো হয়েছে। বিজেপি এর শেষ দেখে ছাড়বে।”

    কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এই কর্মসূচিতে যা যা ঘটেছে, তা ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন। কোনও প্ররোচনা ছাড়াই হিংস্র নেকড়ের মতো পুলিশ শুধু জলকামান ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হয়নি। জলকামানের পরে আমাদের কর্মী-সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, তখন এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খুঁজে খুঁজে, বেছে বেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পেটানো হয়েছে। ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। ৬ জনকে বারাকপুর হাসপাতাল থেকে কল্যাণী এইমসে স্থানান্তর করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বারাকপুর বিজেপির ১৫ জন একনিষ্ঠ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি পুলিশের এই আচরণের নিন্দা করছি। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।’’

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ১৫ নম্বর রেল গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। সেখানে সুতলি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সুকান্তর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা ছিল জলকামানও। প্রতিটি ব্যারিকেডে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রথম ব্যারিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেডে জমায়েত হন। বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বহু মহিলা কর্মীর ওপর লাঠিপেটা করা হয়। মিছিলের ওপর জলকামান চালানো হয়। সুকান্ত মজুমদারও জল কামানের জলে সম্পূর্ণ ভিজে যান। পুলিশি হামলা বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র কর্মসূচিকে পুলিশ বানচাল করে দেয় বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার ৩০/০১/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার ৩০/০১/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) পেটের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    বৃষ

    ১) বাড়তি ব্যবসায় ভাল লাভ হতে পারে।

    ২) নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসার জন্য বাড়তি অর্থ বিনিয়োগ প্রয়োজন। 

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ।

    সিংহ

    ১) আয় ভাল থাকলেও অভাব সহজে দূর হবে না।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুবিবেচক ব্যক্তি হিসাবে উন্নতির যোগ। 

    কন্যা

    ১) মিথ্যা বদনাম রটতে পারে।

    ২) ব্যবসায় পরিশ্রম বৃদ্ধি পেলেও লাভ ভাল হবে। 

    তুলা

    ১) পিতামাতার সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে।

    ২) চোখের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন। 

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের বাকপটুতায় সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবেন।

    ২) জনহিতকর কাজে সুনাম পাবেন। 

    ধনু

    ১) সন্তানের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন। 

    মকর

    ১) শত্রুদের থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) বাড়তি খরচ হতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) কোনও বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) মানসিক অস্থিরতার জন্য কোনও ভাল কাজ হাতছাড়া হতে পারে। 

    মীন

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: সেচ দফতরের কড়া সমালোচনায় অর্জুন! তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    Arjun Singh: সেচ দফতরের কড়া সমালোচনায় অর্জুন! তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গা ভাঙনে সেচ দফতরের কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে কড়া সমালোচনা করলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। গারুলিয়া পুরসভার কাঙ্গালী ঘাট এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের সেচ দফতরের  পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে গঙ্গা বাঁধানোর কাজ চলছে। সেই কাজের অবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবার গারুলিয়াতে যান অর্জুন সিং। পাথরের বোল্ডার না দিয়ে শাল-বল্লা দিয়ে গঙ্গা ভাঙনের উদ্যোগ নেওয়ায় সেচ দফতরের কড়া সমালোচনা করেন অর্জুন সিং।

    ফের ভাঙনের আশঙ্কা করলেন অর্জুন (Arjun Singh)

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে বড় বড় বোল্ডার দিয়ে পার বাঁধানো উচিত। না হলে ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। শাল-বল্লা দিয়ে ভাঙ্গন মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কারণ, এর আগে এভাবে  কাজ করা হলেও ফের ভাঙন হয়েছে সেই এলাকায়। দেড় কোটি টাকা খরচ করে অবৈজ্ঞানিকভাবে কাজ করছে সেচ দফতর। এতে ভাঙন মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। হুগলির চন্দননগরের উদাহরণ টেনে অর্জুন বলেন, ওই এলাকায় বোল্ডার দিয়ে কাজ করা হয়েছে বলে ভাঙন হয়নি। আর এই এলাকায় গঙ্গার পার কাঁচা বলে বার বার ভাঙন হচ্ছে। ঘটনা ক্রমে, রাজ্যের সেচ মন্ত্রী হচ্ছেন পার্থ ভৌমিক। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ২০১৯ সালের পর থেকে পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে অর্জুনের রাজনৈতিক কিছুটা দূরত্ব রয়েছে। অর্জুনের বিরুদ্ধে গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। তাঁরা দুজনেই সেচমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এমনিতেই সোমনাথ-সুবোধের সঙ্গে অর্জুনের দ্বন্দ্ব বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আবহে সেচ দফতরের কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় পার্থ এবং অর্জুনের দূরত্ব আরও বাড়ল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের নতুন করে মাথাচাড়া দেবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: সরকারি অতিথি নিবাসে রাহুলের মধ্যাহ্নভোজে মমতার পুলিশের না

    Rahul Gandhi: সরকারি অতিথি নিবাসে রাহুলের মধ্যাহ্নভোজে মমতার পুলিশের না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে চাইলেও জোটের বিপক্ষে কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীরা। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মমতার পুলিশ ও প্রশাসনের বার বার হেনস্থা হয়ে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভের প্রকাশ ঘটল জলপাইগুড়ি জেলায় কংগ্রেসের এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের কর্মসূচিতে। বাংলায় ইন্ডি জোট ঘেঁটে ঘ হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মনে করছে।

    তৃণমূলের সঙ্গে জোটে আপত্তির কথা জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস কর্মীরা

    রবিবার সকালে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ কর্মসূচির আগে জলপাইগুড়ির কংগ্রেস অফিসে জয়রাম রমেশ সাংবাদিক বৈঠক করেন। এর কিছু আগে নীতীশ কুমার ‘ইন্ডি’ জোট ছেড়েছেন। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে চলতি টানাপড়েন নিয়ে বলেন, “কখনও তৃণমূলের কেউ কোনও কথা বলে দেন, কখনও আমাদের দলের কেউ উত্তর দেন। কখনও আমাদের দলের কেউ বলেন, কখনও তৃণমূলের কেউ উত্তর দেন। গণতন্ত্রে এমনই চলে। ইন্ডি জোটে গণতন্ত্র আছে, এখানে একনায়কতন্ত্র নেই।” একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবারও বলেননি তিনি ইন্ডি জোটে নেই। আবার বলছি, মমতা ইন্ডি জোটের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।”কিন্তু জলপাইগুড়িতে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মনোভাব ছিল এর উল্টো। সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই জয়রামের পাশ থেকে উঠে যান জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত। পরে জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “এটা (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতামত হতে পারে। তবে নীচুতলার কংগ্রেস কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও দিন ক্ষমা করবে না।”

    স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা কী বললেন?  

    কংগ্রেস কর্মীরা বলেন, একাধিক জায়গায় দলের ফ্লেক্স ছিড়ে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় জয়রামের সঙ্গে একমত হতে পারছি আমরা। কারণ, গত ২৫ জানুয়ারি কোচবিহারে যখন রাহুলের (Rahul Gandhi) ‘ন্যায় যাত্রা’ ঢোকে, তখন থেকেই তৃণমূল নানাভাবে কংগ্রেসের বিরোধিতা করে আসছে। ‘বাংলায় বিজেপিকে আটকাতে দিদিই একাই যথেষ্ট’- এমন লেখা পোস্টার নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ব্যানার ছেড়া, কালো পতাকা দেখানো।

     সরকারি অতিথি নিবাসে মধাহ্নভোজে অনুমতি পেল না রাহুল (Rahul Gandhi)

    কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদায় ৩১ জানুয়ারি রাহুলের (Rahul Gandhi) কর্মসূচি রয়েছে। সেই মতো ওইদিন রাহুলের রতুয়া সেচ দফতরের অতিথি নিবাসে মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করেছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। কিন্তু, মমতার পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। মুর্শিদাবাদে ১ ফেব্রুয়ারি  কর্মসূচি রয়েছে রাহুলের। সেখানেও কংগ্রেস কর্মীদের রাতে থাকার জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। মমতার প্রশাসন তাতেও আপত্তি জানিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে ইন্ডি জোট নিয়ে কংগ্রেস কর্মীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election: ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি রাজ্যসভার আসনে ভোট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন

    Rajya Sabha Election: ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি রাজ্যসভার আসনে ভোট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পাঁচ আসন সহ ১৫টি রাজ্যের রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) মোট ৫৬টি আসনে ভোট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এই ৫৬টি আসনের বর্তমান সাংসদের মধ্যে ৫০ জনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ এপ্রিলেই। বাকি ৬ জনের মেয়াদ শেষ হবে ৩ এপ্রিল। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মোট ৫টি রাজ্যসভার আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশের ৩, বিহারের ৬, ছত্তিশগড়ের ১, গুজরাতের ৪, হরিয়ানার ১, হিমাচল প্রদেশের ১, কর্নাটকের ৪, মধ্যপ্রদেশের ৫, মহারাষ্ট্রের ৬, তেলঙ্গানার ৩, উত্তরপ্রদেশের ১০, উত্তরাখণ্ডের ১, ওড়িশার ৩ এবং রাজস্থানের ৩ আসনে ভোট হবে এই দফায়।

    নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে কী জানালো (Rajya Sabha Election) ?

    নির্বাচন কমিশন সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাজ্যসভার (Rajya Sabha Electoin) শূন্য হতে চলা আসনগুলির জন্য ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৬ ফেব্রুয়ারি জমা পড়া মনোনয়নপত্রগুলিকে পরীক্ষা করে দেখা হবে এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ২০ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট গণনা ও ফলপ্রকাশ করা হবে। বাংলার ক্ষেত্রে রাজ্যসভার যে ৫ টি আসনের সাংসদদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে , তাঁরা হলেন নাদিমুল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, সুভাশিষ চক্রবর্তী, শান্তনু সেন ও অভিষেক মনু সিংহভি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ৪টি আসনের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে তৃণমূলের ৪ প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। পঞ্চম আসনটি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে। গতবার ওই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে বিজয়ী হয়েছিলেন অভিষেক মনু সিংভি। এবার প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা বাড়ায় তারা পঞ্চম আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিধানসভার সাপেক্ষে জয় কতটা নিশ্চিত?

    বিধানসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে খাতায়কলমে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৬। এছাড়া অন্য দল থেকে আসা বিধায়ক মিলিয়ে সেই সংখ্যা ২২৫। সেক্ষেত্রে বিধায়কের সংখ্যার নিরিখে রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) চারটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। রাজ্যে বিজেপির যেহেতু ৬৭ জন বিধায়ক রয়েছে তাই একটি আসন বিজেপি প্রার্থী দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই প্রশ্ন উঠছে অভিষেক মনু সিংভিকে নিয়ে। গতবার কংগ্রেসের প্রার্থী সিংভিকে সমর্থন জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস ফের তাঁকে প্রার্থী করবে কিনা বা সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস কী অবস্থান নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    কংগ্রেসকে কী ভোট দেবে তৃণমূল?

    লোকসভা ভোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রদেশ কংগ্রেস। তৃণমূল ইতিমধ্যে দুটি আসন ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে রাজ্যে এসেছিল এআইসিসি প্রতিনিধি দল। অবশ্য বঙ্গ কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে কংগ্রেসে বাঁচিয়ে রাখতে হলে শাসকদলের হাত ধরলে চলবে না। তাই লোকসভা ভোটে যদি তৃণমূলের হাত না ধরে কংগ্রেস, তবে তার প্রভাব রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) ভোটে পড়তে পারে। যদিও অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে তৃণমূলের সস্পর্ক ভালো। আইনজীবী সিংভি তৃণমূল হয়ে মামলাও লড়েন। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে গররাজি হবে না দল। আবার দলের একাংশের মতে, অন্য দলের প্রার্থীকে সমর্থন না করে নিজের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়া উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amitabh Bachchan: এই বয়সে অমিতাভ বচ্চন হঠাৎ রেখার সঙ্গে তোলা ছবি শেয়ার করলেন কেন?

    Amitabh Bachchan: এই বয়সে অমিতাভ বচ্চন হঠাৎ রেখার সঙ্গে তোলা ছবি শেয়ার করলেন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অষ্টাদশ শতাব্দী ও নব্বইয়ের দশকে সব থেকে চর্চিত জুটি অমিতাভ বচ্চন এবং রেখা। বর্তমানে যে চর্চা কমেছে, তা নয়। হামেশাই বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মত বর্তমান এই জুটিকে নিয়ে। এক সময় বলিউডের স্বর্ণযুগের সেরা জুটি হিসেবে পরিচিত ছিলেন অমিতাভ (Amitabh Bachchan) ও রেখা। চর্চার বিষয় কতটা সঠিক কতটা ভুল, তা অমিতাভের স্ত্রী জয়া বচ্চনের অনেক আচরণ বারবার মানুষকে বুঝিয়ে দিয়ে গেছে, কিছুটা হলেও চর্চার বিষয়বস্তু সত্য। আবার অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জয়া বচ্চন এবং রেখাকে একসঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। এবার ৮১ বছর বয়সে অমিতাভ বচ্চন হঠাৎ শেয়ার করলেন রেখার সঙ্গে তোলা একটি ছবি। এরপর থেকে বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে আবার তাঁদেরকে নিয়ে নতুন চর্চায় মেতেছে ভক্তবৃন্দ ও নেটিজেনরা।

    কী ছবি শেয়ার করেছেন তিনি? কী লিখেছেন সেখানে? (Amitabh Bachchan)

    বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অমিতাভ এবং রেখাকে একসঙ্গে দেখা যায় না। কিন্তু অমিতাভ (Amitabh Bachchan) ৮১ বছর বয়সে তাঁর ব্লগে রেখার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। শুধু তাই নয়, ব্লগের ওপরে তিনি লিখেছেন “এর পিছনে থাকা ইতিহাস কম নয়।” আর ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে মাইক হাতে দাঁড়িয়ে আছেন অমিতাভ বচ্চন এবং পাশে দাঁড়িয়ে আছেন রেখা। এছাড়াও তিনি আরেকটি ছবির সাথে ক্যাপশনে লিখেছেন “আহ… এই ছবির নেপথ্যে একটা বিরাট গল্প রয়েছে। একদিন নিশ্চয়ই আপনাদের সঙ্গে সেটি ভাগ করে নেব।” ছবি থেকে বোঝা যায়, ‘ভুলে বিসরে নগমে’ নামক এক মিউজিক্যাল শো-এর ফাঁকে এই ছবিটি তোলা হয়। ছবিতে আরও দেখা যায় ফিট সাদা ব্লেজার আর প্যান্টে বিগ বি। আর কালো শাড়িতে রেখা।

    কখন শেয়ার করলেন এই ছবি? (Amitabh Bachchan)

    রাম মন্দিরের রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে সেখানে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই অমিতাভ তাঁর ইনস্টাগ্রাম ব্লগে এই ছবিটি শেয়ার করেছেন। যা অনেককেই অবাক করেছে। এছাড়াও তিনি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো একটি মুহূর্তের ছবিও তিনি (Amitabh Bachchan) ব্লগে তুলে ধরেছেন। সেই ছবিতে বন্ধুদের তালিকায় রয়েছেন বিনোদ খান্না, রাজ কাপুর, রনধীর কাপুর, মেহমুদ, কল্যাণ, শাম্মী কাপুর, রেখা প্রমুখ। বলতে গেলে একপ্রকার স্মৃতিচারণের উদ্দেশ্যেই এমন ছবি শেয়ার করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর মিছিলে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর মিছিলে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে আইন অমান্য কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাকপুর। মূলত, বিজেপি-র পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে বারাকপুর পুলিশ কমিশনার অফিস ঘেরাও করার ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূচি শুরুর আগে মিলল বোমা। যা নিয়ে মিছিলের শুরুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে, মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের ওপর পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান চালানো হয়। পুলিশই প্রথম বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। বহু বিজেপি কর্মী জখম হয়। জখম হয়েছেন পুলিশ কর্মীও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ১৫ নম্বর রেল গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কর্মী সমর্থকরা জমায়েত হন। সেখানে সুতলি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে, সুকান্তর (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা ছিল জল কামানও। প্রতিটি ব্যারিকেডে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রথম ব্যারিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেডে জমায়েত হন। বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বহু মহিলা কর্মীর ওপর লাঠিপেটা করা হয়। মিছিলের ওপর জলকামান চালানো হয়। সুকান্ত মজুমদারও জল কামানের জলে সম্পূর্ণ ভিজে যান। পুলিশি হামলা বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র কর্মসূচিকে পুলিশ বানচাল করে দেয় বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ।

    পুলিশি নির্যাতন নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল যাচ্ছিল। সেখানে আমাদের দলীয় কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইড ছোঁড়ে। এরপরই কর্মীরা প্রতিবাদ করলে গন্ডগোল লাগে। পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এসব করেছে। অন্য জায়গায় পুলিশ ভয়ে টেবিলের তলায় লুকায়। আর এখানে পুলিশ নিজের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। আমরা সমস্ত স্তরে জানিয়েছি। আমাদের বহু কর্মী জখম হয়েছে। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারছে না, অথচ আমাদের বহু কর্মীকে ওরা গ্রেফতার করেছে। পুলিশের প্ররোচনাতেই সব হয়েছে। এই ঘটনার আমি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। পুলিশ নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: ইডির দেওয়া সময় অতিক্রম করে গেলেও দেখা মিলল না শাহজাহানের

    Shahjahan Sheikh: ইডির দেওয়া সময় অতিক্রম করে গেলেও দেখা মিলল না শাহজাহানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির দেওয়া সময় অতিক্রম করে গেল। দেখা মিলল না তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh)। সন্দেশখালিতে সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের শিকার হতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তিনজন অফিসারকে। আজ ঘটনার ২৪ দিন পার হলেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন না এই তৃণমূল নেতা। ইডির অনুমান বাংলাদেশে গাঢাকা দিয়েছেন।

    বাড়িতে নোটিশ দিয়েছিল ইডি (Shahjahan Sheikh)

    সন্দেশখালিতে দুবার অভিযান চালিয়েও ধরতে পারেনি তদন্তকারী অফিসারেরা। গত বুধবার তাঁর বাড়িতে এক কোম্পানি বাহিনী নিয়ে তল্লাশি করতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু খোঁজ মেলেনি শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh)। তদন্তকারী অফিসারেরা এই তৃণমূল নেতার বাড়িতে নোটিশ দিয়ে বলে আসেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় সল্টলেকের ইডির দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সেইসঙ্গে পাসপোর্ট, ভোটার, আধার, ছবি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আজও সেই নির্ধারিত দিনে দেখা মেলেনি তৃণমূল নেতার। এমনকী তাঁর পক্ষাবলম্বন করে কোনও আইনজীবীরও দেখা মেলেনি এদিন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ আসেননি বলে জানা গিয়েছে।

    না আসায় ইডির পদক্ষেপ কী হবে?

    শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) সত্যিই ইডির ডাকে আসবেন কি না এই নিয়ে সংশয় প্রথম থেকেই ছিল। তবে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মহলে খবর, এদিন সিজিওতে আসলেই গ্রেফতার হতে পারেন। আবার অন্যরকম ভাবে আত্মসমর্পণ করতেও পারেন শাহজাহান। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তৃণমূলের এই নেতা না এলেও ইডি তদন্ত যেমন ভাবে চালাচ্ছে ঠিক তেমনি ভাবে চালাবে। এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে অনেক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি ভালো করে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সম্পত্তির কেনাবেচার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে অর্থ তছরুপের মামলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাঁর নিরুদ্দেশ সম্পর্কে ইডির অনুমান বাংলাদেশে গিয়ে গাঢাকা দিয়েছেন তিনি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম নিখোঁজ সম্পর্কে বলেন, “শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) যা করেছে অন্যায় করেছে। আমি গণমাধ্যমে দেখেছি। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা করেছে অত্যন্ত অন্যায়।” এখন দল দূরত্ব তৈরি করছে কিনা তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

    আবার বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর শাহজাহান সম্পর্কে বলেন, “এই তৃণমূল নেতা মায়নামারে পালিয়ে গিয়েছে।” মাঝে একটি অডিও বার্তা সামাজিক মাধ্যমে শোনা গিয়েছিল। তবে এই তৃণমূল নেতা কোথায় আছে সেটাই প্রশাসনের কাছে একটি বড় প্রশ্ন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Obesity: সন্তানের স্থূলতা রুখতে অপরিকল্পিত ডায়েট কোন বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    Obesity: সন্তানের স্থূলতা রুখতে অপরিকল্পিত ডায়েট কোন বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। ভারতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই রোগ (Obesity)। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, আগামী কয়েক বছরেই শিশুদের মধ্যে মহামারির আকার নেবে স্থূলতা। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কিন্তু স্থূলতা রুখতে সচেতনতা জরুরি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের স্থূলতা রুখতে অনেক অভিভাবক ডায়েট করছেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই ডায়েট অবৈজ্ঞানিক। ফলে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এদিকে শারীরিক জটিলতাও দেখা গিয়েছে। 

    কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে? (Obesity)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতা অধিকাংশ শিশুদের এখন অন্যতম সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যা মোকাবিলা করতে অনেকেই আবার অপরিকল্পিত ডায়েট করছেন। বিশেষত অভিভাবকদের একাংশ শিশুদের জোর করে ডায়েট করাচ্ছেন।‌ আর তাতেই বাড়ছে বিপত্তি। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের চাহিদা ও প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডায়েট না করলেই সমস্যা হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ বলছেন, বহু অভিভাবক স্যালাড, চিয়া সিড, ডিমের সাদা অংশ শিশুদের খাওয়াচ্ছেন।‌ অনেকেই স্থূলতা রুখতে শিশুদের ভাত কিংবা রুটির পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে কিন্তু শিশুদের মারাত্মক এনার্জির ঘাটতি হচ্ছে। আবার শুধুমাত্র সিদ্ধ বা স্যালাড জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হওয়ার জেরে অন্য ধরনের খাবার একেবারেই হজম করার শক্তি পাচ্ছে না। এগুলো বাড়তি সমস্যা তৈরি করছে। অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চাদের দ্রুত ওজন কমে যাচ্ছে। এর ফলে তারা দুর্বল হয়ে পড়ছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। আবার অনেক সময়েই একেবারে ভিন্ন স্বাদের খাবার খাওয়ার জেরে তাদের খাওয়ার ইচ্ছে ও চাহিদা চলে যাচ্ছে। এর জেরে নানা রকমের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হচ্ছে। শরীরের প্রয়োজন বুঝে ডায়েট না করলে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর জেরে মানসিক অস্থিরতাও তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর ফলে শিশুদের মধ্যে অমনোযোগী মনোভাব বাড়বে। তাছাড়া, শিশুদের একাংশ ধৈর্য হারাবে। এগুলো স্থূলতা (Obesity) রুখলেও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই সমস্যা তৈরি করবে। 

    কীভাবে স্থূলতা রুখতে হবে? (Obesity) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জরুরি। কোনও অপরিকল্পিত ডায়েট নয়। বরং পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মতোই খাবার দিতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে ধরনের খাবারে শিশু অভ্যস্ত, তাকে সেই খাবারের মধ্যেই ডায়েট করতে হবে। অর্থাৎ, যেসব শিশুরা ভাত, রুটি, মাছ, মাংসের পদ খেতে অভ্যস্থ, হঠাৎ তাকে শুধুই স্যালাড আর চিয়া সিড টক দই দিলে, তার শরীরে উপকার হবে না। বরং একাধিক শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। বরং সে কতখানি খাবে সে ব্যাপারে তাকে বোঝানো দরকার। পাশপাশি শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোনোভাবেই জোর করে ডায়েট করানো‌ চলবে না। বরং নানান থেরাপির মাধ্যমে শিশুকে বোঝাতে হবে কেন স্থূলতা রুখতে হবে। কেন তাকে ডায়েট করতে হচ্ছে। তবেই বেশি কার্যকর হবে। তবে প্রথম থেকেই অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। তাতে স্থূলতার সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়। আর বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শুধু ডায়েট নয়। শিশুদের স্থূলতার (Obesity) সমস্যা রুখতে শরীরচর্চা অত্যন্ত জরুরি। তাই নিয়মিত যাতে সন্তান শরীর চর্চা করে সে দিকেও অভিভাবকদের নজর দিতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Teacher: স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট, প্রায় ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর প্রাথমিকের নিয়োগে রইল না বাধা

    Primary Teacher: স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট, প্রায় ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর প্রাথমিকের নিয়োগে রইল না বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক (Primary Teacher) নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিল দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবে পর্ষদ। এর পাশাপাশি প্যানেল প্রকাশের বাধাও তুলে নিলেন বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসান উদ্দিন আমানুল্লাহ এর বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই এককথায় সিলমোহর দিল।

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় পর্ষদ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১২ হাজার শিক্ষকের (Primary Teacher) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে প্রথমে জানানো হয়, যাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরাও ওই নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। এরপরেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেন। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়।

    মামলা গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালতে

    ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ জিন্দালের বেঞ্চ জানায়, আদালত নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্ষদ কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করতে পারবে না। তারপর থেকে মামলাটির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে চলছিল এবং একাধিকবার এই শুনানি পিছিয়ে যায়। চলতি মাসের ২২ তারিখ প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদের কাছে তথ্য জানতে চায় শীর্ষ আদালত। ঠিক কত শূন্য পদ রয়েছে এবং তার মধ্যে কতজন যোগ্য তার খসড়া প্যানেল আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ঠিক তারপরেই সোমবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দিল শীর্ষ আদালত। এরপর পর্ষদ (Primary Teacher) নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share