Tag: Bengali news

Bengali news

  • Purulia: ৩ ফেব্রুয়ারি হবে ঝালদা পুরপ্রধানের নির্বাচন, নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    Purulia: ৩ ফেব্রুয়ারি হবে ঝালদা পুরপ্রধানের নির্বাচন, নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সকল জল্পনার অবসান ঘটালো আদালত। পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদা পুরপুধান নির্বাচন হবে আগামী মাসের ৩ ফেব্রুয়ারি। বর্তমানে পুরসভার কাজ দেখাশোনা করবেন ঝালদা মহকুমা শাসক। পুরভোটের পর থেকেই এই পুরসভাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। একজন কংগ্রেস কাউন্সিলরের মৃত্যুকে ঘিরে রাজ্য জুড়ে রাজনীতির অন্দরমহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।

    তৃণমূল পুরপ্রধান অপসৃত হয়েছিলেন (Purulia)

    এই জানুয়ারি মাসের গত ১৭ তারিখ ঝালদা (Purulia) পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ করেন দলের পাঁচ তৃণমূল কাউন্সিলর এবং দুই কংগ্রেস কাউন্সিলর। কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ৭-০ ভোটে পরাজিত হন আগের পুরপ্রধান। এরফলে ঝালদা পুরসভায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তৃণমূলের একাংশের দাবি ছিল পদ থেকে চ্যুত হলেও চেয়ার ধরে বসেছিলেন রত্না। যে তলবি সভায় অপসারণের কথা বলা হয় সেই সভাকে বৈধ বলেননি রত্না। তাঁর যুক্তি ছিল ওই তলবি সভার আগেই ২৭ জানুয়ারি তলবি সভার বিজ্ঞপ্তি ডেকা হয়েছিল। অবশ্য এই তলবি সভার বিজ্ঞপ্তির দিকে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। ফলে ঝালদা পুরসভার মধ্যে তৃণমূল দল, তৃণমূল কাউন্সিলর এবং পুরপ্রধানকে নিয়ে ব্যাপক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে।

    পুরসভার বিরোধী দলনেতা মামলা করেন কোর্টে

    ঝালদা (Purulia) পুরসভার শাসক দল তৃণমূলের কাউন্সিলার এবং কংগ্রেসের দ্বারা পুরপ্রধান পদচ্যুত হন। এরপর পুরপ্রধান নির্বাচনের জন্য মহকুমা শাসকও তেমন ব্যবস্থা নিচ্ছিলেন না। অবশেষে পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল হাইকোর্টে এই বিষয় নিয়ে মামলা করেন। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়ে বলেন যে আগামী ৭ দিন পর অনাস্থা আনা সাত সদস্যের মধ্যে যে কোনও তিনজন পুরপ্রধান নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন। তার পরেই ৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করেছেন অনাস্থা আনা কাউন্সিলররা।

    কংগ্রেস কাউন্সলের বক্তব্য

    ঝালদা (Purulia) পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল বলেন, “হাইকোর্টে আমার পিটিশনের ভিত্তিতে বিচারপতি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, অনাস্থা আনা কাউন্সিলরদের মধ্যে তিনজন পুরপ্রধান নির্বাচনের দিন ধার্য করবেন। সেই নির্দেশকে মাথায় রেখে আমরা আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পুরপ্রধান নির্বাচনের দিন ঠিক করেছি।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: জমির মিউটেশন ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার! নোটিশ দেখেই চক্ষু চড়ক গাছ বিচারপতির

    North 24 Parganas: জমির মিউটেশন ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার! নোটিশ দেখেই চক্ষু চড়ক গাছ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দা পুরসভায় (North 24 Parganas) জমির মিউটেশন ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার! এই নোটিশ দেখে কার্যত বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। মূল অভিযোগ খড়দা পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। জমির মিউটেশনে বিপুল পরিমাণে টাকা কেন? সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। এই নিয়ে জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ঠিক কী কারণে নোটিশ(North 24 Parganas)?

    একটি সংস্থা নিজেদের কোম্পানি খোলার জন্য একটি বড় জমি কেনে। জমির অবস্থান খড়দা থানা (North 24 Parganas) সংলগ্ন বিটিরোডের ধারেই। জমির পরিমাণ হল ২১ একর এবং জমির ক্রয়মূল্য বাবদ দিয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এপরপর নিজেদের কোম্পানির গুদামঘর তৈরির জন্য জমির মিউটেশন করতে চেয়ে স্থানীয় পুরসভায় আবেদন করা হয়। এরপর পুরসভার চেয়ারম্যান নিজের স্বাক্ষর করা একটি নোটিশ পাঠায় ওই সংস্থাকে। ৯ নভেম্বের ২০২৩ সালে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নোটিশে এটাও বলা হয় যে জামি মিউটেশন করতে গেলে এই টাকা পুরসভায় জমা করতে হবে। এরপর ওই কোম্পানির তরফ থেকে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সুবিচার চেয়ে। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি এই বিপুল পরিমাণের টাকার অঙ্ক দেখে রীতিমত হতচকিত হয়ে যান। তাঁর চক্ষু একেবারে চড়ক গাছে উঠে যায়।

    বিচারপতির নির্দেশ

    পুরসভার কোন আইনের পরিপ্রেক্ষিতে এতো বিপুল পরিমাণে টাকা চেয়ে নোটিশ দিয়েছে সেই বিষয়ে জানতে চান বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। সেই সঙ্গে এই নোটিশকে খারিজ করে দেন বিচারপতি এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে আইন মেনে কোম্পানির জমিকে মিউটেশন করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশপাশি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas)  জেলা শাসকের কাছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা চাওয়ার প্রেক্ষিতকে সামনে রেখে বিশেষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    কী বলল খড়দা পুরসভা?

    খড়দা পুরসভার(North 24 Parganas) চেয়ারপার্সন নীলু সরকার বলেন, “সাধারণত আমরা জমির মিউটেশন করার ক্ষেত্রে নির্ধারিত জমির মূল্যের উপর ১ শতাংশ করে নিয়ে থাকি। আর এই করের উপর নির্ভর করে পুরসভার বাকি কাজ চলে। এতো কর্মী যাঁদের বেতন দেওয়া, সাফাই কাজের সরঞ্জাম কেনা ইত্যাদিতে আমরা নাগরিক সমাজের পরিষেবার কাজ করে থাকি। পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবা, অ্যাম্বুল্যান্স চালাতেও এই খরচ বহন করে থাকি আমরা। আইন মেনে আমরা কাজ করেছি। জেল শাসকের চিঠি পেয়েছি। পুরসভা যেকোনও টাকা নিলে বিনিময়ে রিসির্ভ কপি দিয়ে থাকি আমরা। তবে ব্যক্তি গত ভাবে আমরা কোনও টাকা নিয়ে থাকি না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে

    Asansol: জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফতেপুর গ্রামে। পুলিশের নির্দেশে অনুষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Asansol)

    আসানসোল (Asansol) পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফতেপুর গ্রামের ষোলোআনা কমিটি নামে স্থানীয় কমিটির উদ্যোগে সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করা হয়। এই কমিটির কর্মকর্তারা সকলেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। আর এই কমিটিকে না জানিয়ে গ্রামের একটি অংশ সাধারণতন্ত্র দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারাও তৃণমূল সমর্থক। তারা কম্বল বিলির সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে পাশের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় নুনিয়ার বাবা রোহিত নুনিয়াকে। অথচ ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমিত মাঝিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রোহিতবাবুর বিরুদ্ধে পাশের ওয়ার্ডে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। এই দাবিতে ফতেপুর গ্রামের একটি অংশ এর আগে আন্দোলনও করেছিলেন। তাঁকে গ্রামে আমন্ত্রণ জানানোই তৃণমূলের অন্যপক্ষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। উত্তেজনার খবরের আঁচ আগেই পেয়েছিল পুলিশ। তাই এই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রোহিত দলবল নিয়ে সকালে ঢুকে পড়ে গ্রামে। আর তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। গ্রামের এক পক্ষের অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলরকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে রোহিত নুনিয়াকে কেন আমন্ত্রণ করা হল? সেই নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। পরে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে যে জায়গায় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেখান থেকে পতাকা স্তম্ভ তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য একটি জায়গায়।  সেখানে পতাকা উত্তোলন করেন রোহিত নুনিয়া। কম্বল বিলি হয় গ্রামের বাইরে।

    স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুমিত মাঝি বলেন, রোহিত নুনিয়া একজন তোলাবাজ, জমি মাফিয়া। জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার তাঁর কাজ। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রামের ষোলোআনা কমিটি। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর স্থানীয় কাউন্সিলর খুব ভাল ছেলে। প্রয়োজনে এই বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিজের দফতরের দুর্নীতির কথা ভালোভাবে জানতেন বালু, দাবি ইডির

    Ration Scam: খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিজের দফতরের দুর্নীতির কথা ভালোভাবে জানতেন বালু, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) এসএসকেএম থেকে দিন কয়েক আগেই জেলে ফিরেছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরই মধ্যে ইডির পেশ করা রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রমারফত জানা গিয়েছে, আদালতে পেশ করা রিপোর্টে ইডি দাবি করেছে, খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিজের দফতরের রেশন বণ্টনের দুর্নীতির কথা ভালোভাবে জানতেন বালু।

    চুরির কথা জানতেন বালু, তা ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টাও করেন তিনি

    ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে চালকল, গমকল মালিক থেকে শুরু করে ডিলার ডিস্ট্রিবিউটরের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে রেশন চুরির। এবিষয়ে এফআইআর দায়ের হওয়া, সিআইডি তদন্ত এই সব কিছুই বিষয়েই অবহিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় এবং তা তিনি গত ৩১ অক্টোবর জেরায় স্বীকার করেছেন। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রহণ করেননি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এটাই নতুন নয় এর আগেও ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Ration Scam) নির্দেশে টাকা তুলতেন তাঁর প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক।

    গত বছরের ২৬ অক্টোবর গ্রেফতার হন বালু

    রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তাঁর বাড়িতে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ২৬ অক্টোবর দুর্গাপুজোর পরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। সম্প্রতি রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। এবং সেখানে কয়েকশো কোটি টাকা দুর্নীতির কথা উল্লেখ করা হলেও ইডি এখন জানাচ্ছে যে দুর্নীতির পরিমাণ হাজার কোটি। এক দশক ধরে এই দুর্নীতি চলছে বলেও তদন্তকারী অফিসারদের দাবি। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘একা জ্যোতিপ্রিয় এই বিরাট বড় স্ক্যামটার সঙ্গে যুক্ত ছিল, একথাটা আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না। এই চক্রের সঙ্গে পুরো তৃণমূলই জড়িত। আসলে দল এবং প্রধান মাথাদের বাঁচাতেই তদন্তকারীদের কাছে এমন কৌশলী মন্তব্য করেছেন।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘আমি গর্বিত, সবাইকে ধন্যবাদ’’, পদ্মভূষণ পেয়ে আপ্লুত মিঠুন চক্রবর্তী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত, বিশেষ বেঞ্চ গঠন শীর্ষ আদালতের

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত, বিশেষ বেঞ্চ গঠন শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের সংঘাত নিয়ে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ওই বিশেষ বেঞ্চ শনিবার অর্থাৎ আজই শুনানি করবে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ওই বিশেষ বেঞ্চ। শনিবার আদালত ছুটি রয়েছে, তবুও ওই দিনেই বসবে বিশেষ বেঞ্চ। আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুনানি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

    সংঘাতের কারণ কী 

    মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির বিষয়ে অনিয়ম সামনে আসতেই, মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর প্রথমে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর-ও খারিজ করে দেয় বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা কার্যকর হবে না বলে তখন জানিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। অর্থাৎ, এই মামলায় সিবিআইকে তিনি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। এখানেই শুরু দয় সংঘাত।

    পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতির সংঘাতের ঘটনায় শনিবার আদালত ছুটির দিনেও বসবে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। তাতে থাকবেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলার শুনানি।

    রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করছেন বিচারপতি সেন, অভিযোগ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশনামায় জানিয়েছিলেন, বড়দিনের ছুটির আগে বিচারপতি সেন তাঁর চেম্বারে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে ডেকে পাঠান। সেখানে বিচারপতি সেন বলেন, প্রথমত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ রয়েছে। তাঁকে বিরক্ত করা চলবে না। দ্বিতীয়ত, অমৃত সিংহের এজলাসের ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, নিয়োগ দুর্নীতির দু’টি মামলা খারিজ করতে হবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, বিচারপতি সেন ব্যক্তিগত স্বার্থে ওই সব নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিচারপতির সেন স্পষ্টতই একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। ওই মামলায় রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন বিচারপতি সেন। তিনি কয়েক জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের উচিত তাঁর (বিচারপতি সেনের) সমস্ত নির্দেশ খারিজ করা।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার ২৭/০১/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার ২৭/০১/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) নিজের অজান্তেই এমন কিছু কাজ করবেন, যাতে সকলের প্রীতি সম্ভব হবে।

    ২) বন্ধুরা আপনাকে ঠকাতে পারেন।

    বৃষ

    ১) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ২) ভ্রমণের ব্যাপারে বাড়িতে আলোচনা হতে পারে। 

    মিথুন

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাধতে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা। 

    কর্কট

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে। 

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। 

    কন্যা

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যার পরিমাণ বাড়তে পারে। 

    তুলা

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) স্ত্রীর জন্য মায়ের সঙ্গে বিবাদ ও মনঃকষ্ট। 

    বৃশ্চিক

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে। 

    ধনু

    ১) ব্যবসায় অশান্তি হতে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    মকর

    ১) শারীরিক কারণে ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল থাকবে।

    কুম্ভ

    ১) চিকিৎসার জন্য খরচ নিয়ে চিন্তা।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে। 

    মীন

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভাল সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মান মুখোশ শিল্পী নেপালচন্দ্র সূত্রধরকে, খুশির মাঝেও আক্ষেপ পরিবারে

    Purulia: মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মান মুখোশ শিল্পী নেপালচন্দ্র সূত্রধরকে, খুশির মাঝেও আক্ষেপ পরিবারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হল পুরুলিয়ার (Purulia) মুখোশ শিল্পী প্রয়াত নেপালচন্দ্র সূত্রধরকে। নিজের জীবন দিয়ে ছৌ নাচের মুখোশ নির্মাণের শিল্পে বিশেষ অবদান রেখে গিয়েছেন তিনি। এটা তারই স্বীকৃতি। ভারত সরকারের ২০২৪ সালের পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এই খবরে পরিবারের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস। কিন্তু সেই সঙ্গে রয়েছে আক্ষেপও।

    মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে মুখোশ বানাতেন (Purulia)

    নেপালচন্দ্র সূত্রধর পুরুলিয়ার (Purulia) চড়িদা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মাত্র আট বছর বয়স থেকে নিজের হাতে ছৌ নাচের মুখোশ নির্মাণের কাজ করতেন। তাঁর নির্মিত মুখোশ দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছিল। পরিবারে গত তিন পুরুষ ধরে এই মুখোশ বানানোর কাজ চলে বলে জানা গিয়েছে। একাধিক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক কর্মশালায় প্রশিক্ষকের কাজ করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর এই সম্মাননাতে পরিবারের মধ্যে খুশি সবাই। কিন্তু সেই সঙ্গে যিনি এই সম্মাননার অধিকারী, তিনি আজ এই পৃথিবীতে নেই, এটা ভেবেই আক্ষেপের সুর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।

    ২০২৩ সালের নভেম্বরে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর

    পুরুলিয়ার (Purulia) এই খ্যাতনামা শিল্পী ছৌ নাচের মুখোশ নির্মাণে বিরাট পারদর্শী ছিলেন। অপরূপ চোখ ধাঁধানো মুখোশ নির্মাণে ব্যাপক সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এবার এই শিল্পীকে মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করল ভারত সরকার।

    পরিবারের বক্তব্য

    উল্লেখ্য ছৌ নাচ হল পুরুলিয়ায় (Purulia) খুব বিখ্যাত একটি লোকনৃত্য শিল্প। দেশে-বিদেশে এই লোকনৃত্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নেপালচন্দ্র সূত্রধরের নাতি জয়ন্ত সূত্রধর বলেন, “আমরা দাদুর এই সম্মানে পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে খুশি। দাদু আজ জীবিত থাকলে এই সম্মানে আমরা আরও বেশি আনন্দিত হতাম।” এলাকাবাসীর বক্তব্য, “ছৌ নাচের জন্য এই মুখোশ একান্ত অপরিহার্য। নেপালবাবু এই মুখোশের জন্য অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন। গ্রামের এই শিল্পী হিসাবে তাঁর সম্মান জেলাবাসীর কাছে শিল্পীর মুকুটে নয়া পালকের সমতুল্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “এত বড় সম্মান কোনওদিন ভাবতে পারিনি”, পদ্মশ্রী পেয়ে গীতা ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    Cooch Behar: “এত বড় সম্মান কোনওদিন ভাবতে পারিনি”, পদ্মশ্রী পেয়ে গীতা ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাওয়াইয়া গান একটি ব্যাপক জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত। এই গানের বিশিষ্ট গায়িকা গীতা রায় বর্মণকে দেওয়া হচ্ছে পদ্মশ্রী সম্মান। গতকাল বৃহস্পতিবার এই পুরস্কারের কথা শুনে অত্যন্ত উৎফুল্ল হয়েছেন তিনি। কোচবিহার (Cooch Behar) জেলায় এই নিয়ে খুশির আবহ। পুরস্কারের কথা শুনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

    ছোটবেলা থেকে গান করেন গীতা(Cooch Behar)?

    কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙ্গার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গীতা রায় বর্মণ। ছোটবেলা থেকেই ভাওয়াইয়া গানের মধ্যে দিয়ে তাঁর বেড়ে ওঠা। ১৯৯৭-৯৮ সালে রাজ্য ভাওয়াইয়া উৎসবে প্রথম স্থান পেয়েছিলেন তিনি। গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে আকাশবাণীতে গান গেয়ে চলেছেন তিনি। বর্তমানে রেডিও সেন্টারের এ গ্রেডের শিল্পী। তাঁর দুই ছেলে। স্বামী মনোরঞ্জন বর্মণ পেশায় একজন স্কুলশিক্ষক।

    কী বললেন গীতা?

    পদ্মশ্রী সম্মানের কথা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত এবং অভিভূত এই সঙ্গীত শিল্পী। গীতা (Cooch Behar) বলেন, “খবর পাওয়ার পর আমার শরীর কাঁপছিল। এত বড় সম্মান কোনও দিন ভাবতে পারিনি। এই ভাওয়াইয়া গানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার একমাত্র স্বপ্ন। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যাতে এই গানকে বাঁচিয়ে রাখে, সেই দিকে আমার নজর থাকবে। সকল সঙ্গীতের গুরুকে আমার বিনম্র প্রণাম জানাই। তাঁদের আশীর্বাদই আমার চলার পথকে সুগম করেছে।”

    প্রজাতন্ত্রের আগের দিন পদ্ম পুরস্কার ঘোষণা

    প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগের দিন ভারত সরকার পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের নামের তালিকা ঘোষণা করেছে। এবার সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মবিভূষণ দেওয়া হচ্ছে মোট ৫ জনকে। পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হচ্ছে মোট ১৭ জনকে। এর মধ্যে বাংলার রয়েছে মোট ৩ জন। পদ্মশ্রী পুরস্কারে দেশে মোট রয়েছেন ১১০ জন। যার মধ্যে বাংলার রয়েছেন ১১ জন। এই ১১ জনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের (Cooch Behar) শিল্পী গীতা রয়েছেন। পদ্মভূষণ সম্মান বাংলা থেকে পাচ্ছেন বিশিষ্ট অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এবং সঙ্গীত শিল্পী ঊষা উত্থুপ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indo–Myanmar Border: পাকিস্তান, বাংলাদেশের পরে মায়ানমার সীমান্তে বসছে কাঁটাতারের বেড়া

    Indo–Myanmar Border: পাকিস্তান, বাংলাদেশের পরে মায়ানমার সীমান্তে বসছে কাঁটাতারের বেড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা মতো এবার বেড়া বসছে ভারত মায়ানমার সীমান্তে (Indo–Myanmar Border)। প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত এই সীমান্তে কোনও বেড়া ছিল না। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ বর্ডারেই ছিল বেড়া। জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গল ঘেরা মায়ানমারের দুর্গম সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে একটি রাষ্ট্রের সংস্থাকে। যার নাম, ‘বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন’। ভারতবর্ষের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বেশিরভাগ সড়ক এবং পরিকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে এই সংস্থা। সাধারণভাবে ভারতীয় সেনার এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিককে ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’- এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    গত সপ্তাহেই ইঙ্গিত দেন অমিত শাহ 

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অসমের তেজপুরে সভায় তিনি জানিয়েছিলেন, মায়ানমার সীমান্তকে কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা হবে। আবার গুয়াহাটিতে অসম পুলিশের একটি কর্মসূচিতে অমিত শাহ নিজের বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্তের (Indo–Myanmar Border) মতোই মায়ানমার সীমান্তকে সুরক্ষিত করা হবে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “অসমের সমস্ত বন্ধুকে জানাতে চাই, নরেন্দ্র মোদীর সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মায়ানমার সীমান্ত ধরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে।”

    মায়ানমারের অনুপ্রবেশ কেন্দ্রের কাছে চিন্তার বিষয়

    জানা গিয়েছে, মায়ানমারে বর্তমানে যে সামরিক জুন্টা সরকার চলছে, সেই সরকারের সঙ্গে তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে। শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। এর ফলে অসংখ্য শরণার্থী মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন। এটাই কেন্দ্রের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, মায়ানমার সীমান্তের (Indo–Myanmar Border) কয়েকটি এলাকায় ইতিমধ্যে বেড়া বসানোর কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। মণিপুরের দশ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া বসানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে চলছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে মায়ানমারের স্থল সীমান্ত রয়েছে ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার। মায়ানমারের সীমান্তে (Indo–Myanmar Border) ভারতের রাজ্যগুলি হল নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুর।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: স্কুলের স্পোর্টসে শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা তুলছে তৃণমূল, অভিযোগে তোলপাড়

    Jalpaiguri: স্কুলের স্পোর্টসে শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা তুলছে তৃণমূল, অভিযোগে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জেলা স্কুল স্পোর্টসে শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। মূল অভিযোগের তির তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের দিকেই। উল্লেখ্য কিছু দিন আগেও রায়গঞ্জের এক স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল জেলায়।

    কত টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ (Jalpaiguri)?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার প্রাথমিক, নিম্ন বুনিয়াদি, মাদ্রাসা এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলির ৪০ তম বার্ষিক শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আগামী ২৭ ও ২৮ শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ধূপগুড়ি ৩ নং, ধূপগুড়ি ৪ নং এবং ধূপগুড়ি পশ্চিম মণ্ডলের ব্যবস্থাপনায় ধূপগুড়ি পৌর ফুটবল ময়দানে এটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। প্রতিবারের মতো এবারেও প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার যাবতীয় খরচ বহন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে যে এই জাতীয় কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে কোনও প্রকার চাঁদা আদায় করা যাবে না। কিন্তু এবার সেই নির্দেশিকা অমান্য করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে জোর করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত শিক্ষক সংগঠনের বিরুদ্ধেই। প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা এবং অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে। নজিরবিহীন এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিক্ষকমহলে। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দলের শিক্ষক সংগঠনের একাংশ সদস্য।

    বিজেপ প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য

    অপর দিকে বিজেপি প্রভাবিত বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সঙ্ঘের জেলা (Jalpaiguri) সম্পাদক জয়ন্ত কর বলেন, “সরকারি খেলা বরাবর সরকারি অর্থেই হয়। কিন্তু এবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুল বদল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা যাবে না। এরা সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় মঞ্চ বানিয়ে ফেলেছে। ফলে সরকারি খেলা আর সরকারি থাকছে না। কার্যত তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। তাই আমরা এই জাতীয় ঘটনার প্রতিবাদ লিখিত আকারে জানিয়েছি। আমরা দাবি করছি, সমস্ত শিক্ষক সংগঠনকে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করতে হবে। ক্রীড়া পরিচালনার পর সমস্ত স্বীকৃত শিক্ষক সংগঠনকে ডেকে স্বচ্ছতার সাথে আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করতে হবে।

    বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য

    বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-র জেলা (Jalpaiguri) সম্পাদক বিপ্লব ঝা বলেন, “এবছর জলপাইগুড়ি জেলার প্রাথমিক স্তরের শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা, প্যারাটিচার এবং এসএসকের সহায়ক-সহায়িকাদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অদ্ভূত কায়দায় নিমন্ত্রণপত্রে কাউন্টার পার্ট করা হয়েছে। তার একটি অংশে হাতে লিখে অর্থ নেওয়া হচ্ছে এবং অন্য পার্ট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করে প্রতিবাদপত্র সংসদ দফতরে জমা দিয়েছি।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা (Jalpaiguri) সভাপতি তথা স্পোর্টস কমিটির কো-অর্ডিনেটর স্বপন বসাক বলেন, “স্পোর্টস সংক্রান্ত মিটিংগুলিতে চাঁদা আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আর তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে চাঁদা আদায় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের স্পোর্টসের জন্য ইতিমধ্যে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে শিক্ষা দফতর। সুতরাং চাঁদা আদায়ের প্রশ্নই উঠছে না। যদি কেউ চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করে থাকেন, তবে নিশ্চয়ই তার তদন্ত হবে।”

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য

    জেলা (Jalpaiguri) প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্য মোহন রায় বলেন, “সরকারি নির্দেশ রয়েছে শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা যাবে না। চাঁদা আদায় করা হচ্ছে এই জাতীয় অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে না করে আমার কাছে করুক। তবে আমি এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি।” ডিআই (প্রাইমারি) শ্যামলচন্দ্র রায় টেলিফোনে বলেন, “চাঁদা তোলার নির্দেশ আমরা দিইনি। আর এই জাতীয় অভিযোগ যদি আমার কাছে আসে, তবে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share