Tag: Bengali news

Bengali news

  • Malda: ১০০ দিনের টাকা না পাওয়ার জন্য রাজ্যের গাফিলতিকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Malda: ১০০ দিনের টাকা না পাওয়ার জন্য রাজ্যের গাফিলতিকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে বলে বার বার অভিযোগ করে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ সঠিক নয়, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বুধবার মালদার (Malda) মানিকচকের মথুরাপুরে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা না পাওয়ার দায় রাজ্য সরকারের ওপরেই চাপালেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল। রাজ্যের দাবিমতো আটকে থাকা বরাদ্দ কবে ছাড়া হবে, এপ্রশ্নেও কোনও আশ্বাস দেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

     টাকা আটকে রাখা নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Malda)

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পে রাজ্যেরই গাফিলতি রয়েছে। জবাব তাঁদেরকেই দিতে হবে। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। তাছাড়া শুধু পশ্চিমবঙ্গের টাকা আটকে রাখা হবে কেন? আসলে এটা নিয়ে তৃণমূল দিল্লিতে ধর্না দিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছে। তাদের কিছু কাগজপত্র চেয়েছিল, সেটা তারা এখনও জমা দিতে পারেনি। আসলে এই প্রকল্পের কাজের ক্ষেত্রে কিছু গাফিলতি রয়েছে বলেই তাদের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। আর অকারণে তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারকে টাকা আটকে রাখার জন্য দায়ী করছে। এটা একেবারেই ঠিক নয়। পাশাপাশি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দিরকে ঘিরে আবেগ রয়েছে। তবে, বিজেপি রামের আবেগ নয়, মোদির নেতৃত্ব আর উন্নয়ন কর্মসূচিকে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে যাবে।

    রাজ্যের দুই মন্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে, ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবিকে নস্যাৎ করেছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও সাবিনা ইয়াসমিন। এদিন মালদার (Malda) ইংরেজবাজারে হস্তশিল্প মেলায় যোগ দিতে এসে রাজ্যের দুই প্রতিমন্ত্রী ১০০ দিনের প্রকল্প টাকা আটকে রাখা নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকায় সরব হন। সাবিনা বলেন, কেউ কোনও দুর্নীতির অভিযোগ কাগজ-কলমে অন্তত বলতে পারেননি। অথচ, টাকা দেওয়ার কথা হলেই মুখে দুর্নীতির কথা বলছেন কেন্দ্রের মন্ত্রী ও বিজেপির নেতারা। বেচারাম মান্না বলেন, এপর্যন্ত ৬৮বার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসেছে। তারা যা যা তথ্য চেয়েছিল, সমস্ত তথ্য দফতর থেকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’-এ সুকান্ত, গ্রামের বৃদ্ধদের পা ধুয়ে দিলেন সাংসদ

    Sukanta Majumdar: ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’-এ সুকান্ত, গ্রামের বৃদ্ধদের পা ধুয়ে দিলেন সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের আঙ্গারিবন গ্রামে গ্রাম সম্পর্ক অভিযান করা হয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এদিন তিনি নিজে হাতে গ্রামের বেশ কয়েকজন বৃদ্ধের পা ধুয়ে দেন।

    শেখ শাহজাহান নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমি কুশমন্ডির আঙ্গারিবন গ্রামে এসেছি গ্রাম সম্পর্ক অভিযানে। এখানে এসে মানুষের ভালো সাড়া পেয়েছি। এদিন নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির হানা নিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত আমি বলি এর আগে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি যখন তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, তখন ইডি অফিসারদের ওপর তৃণমূলের হার্মাদরা হামলা করে। কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসারদের মাথায় অশোকস্তম্ভ থাকে। অশোকস্তম্ভের সিংহকে আঘাত করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। সেই সিংহ এখন জেগে উঠেছে। সেই চুনোপুটি পোকামাকড়রা গর্তে লুকিয়ে রয়েছে। শাহজাহান এখন গর্তে গর্তে লুকিয়ে বেড়াচ্ছে। চিন্তা নেই, এই সিংহ জাগলে অনেক ইঁদুর পোকামাকড়কে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। শাহজাহানকে বেরিয়ে আসতে হবে।

    অনুব্রত ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি

    প্রসন্নকুমার রায়কে ইডি-র তলব নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রসন্ন রায়ের নাম এর আগেও উঠে এসেছে। তিনি পার্থ চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি। তদন্ত হওয়া উচিত। তাঁর কী অপরাধ আছেে, তা সব তদন্ত করে দেখে যদি অপরাধী হয় তাকে কান ধরে জেলে ঢোকানো উচিত। কালীঘাটে মমতার বৈঠকের পর সাংসদ শতাব্দী রায় সাংগঠনিক বৈঠকে আলোচনার বিষয়টি মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেন। অনুব্রত মণ্ডলকে সম্মান দেওয়ার কথা বলা হয়। একইসঙ্গে জেলায় ফিরলে তাঁকে দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তৃণমূল সাংসদ জানান। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন অনুব্রত মণ্ডল যদি জেলের ভেতরে মুখ খুলে দেন, তাহলেই তার সাধের ভাইপো আর জেলের বাইরে থাকবে না। তাই, কেষ্টকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। আসলে ভাইপোকে বাঁচাতে অনুব্রতকে সম্মান দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন মমতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ropeway: লক্ষ্য পার্বত্য অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা, দু’শোর বেশি ‘রোপওয়ে’ প্রকল্পের সূচনা কেন্দ্রের

    Ropeway: লক্ষ্য পার্বত্য অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা, দু’শোর বেশি ‘রোপওয়ে’ প্রকল্পের সূচনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গাদকারি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন ‘ন্যাশনাল রোপওয়ে (Ropeway) ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে পর্বতমালা পরিযোজনা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ২০০-র বেশি রোপওয়ে প্রজেক্টের। যার জন্য ব্যয় হবে আনুমানিক ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী পাঁচ বছর ধরে চলবে এই প্রজেক্ট। মঙ্গলবার ২৩ জানুয়ারি এই প্রজেক্টের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারি এবং তিনি বলেন, ‘‘রোপওয়ে (Ropeway) ব্যবস্থার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের গ্রামীণ এলাকায় ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং তা পরিবেশ দূষণও কমাবে। এর পাশাপাশি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার দূরত্বও কমে আসবে।’’

    দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে 

    সারা দেশে রোপওয়ে (Ropeway) নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পক্ষেও মঙ্গলবার সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত সামগ্রিকভাবে রোপওয়ে ব্যবস্থাগুলিকে উন্নত করার জন্য। এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে দেশ।’’ তাঁর মতে, ‘‘রোপওয়ে ব্যবস্থার মাধ্যমেই পর্যটন শিল্পকে প্রমোট করা যাবে। পার্বত্য অঞ্চলের গ্রামের এবং শহরগুলির যোগাযোগ ব্য়বস্থাও গড়ে উঠবে।’’ এই প্রকল্পের রোপওয়ে ব্যবস্থা পরিবেশবান্ধব ভাবে গড়ে উঠবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘‘এই প্রকল্পে বেসরকারি সংস্থাগুলিও বিনিয়োগ করতে পারবে।’’

    হিমাচল ও হরিয়ানাতে রোপওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মঙ্গলবারই হিমাচল প্রদেশের দুটি রোপওয়ে (Ropeway) প্রজেক্টের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই দুটি হল হিমাচল প্রদেশের বিজলি মহাদেব প্রজেক্ট এবং অন্যটি হলো হরিয়ানার ধোসি পাহাড়ের উপর রোপওয়ে প্রজেক্ট। গাদকারি আরও জানান, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে এবং তা অচিরেই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে চলে আসবে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রের উন্নয়নের মাধ্যমেই তা সম্ভব হবে।

     

    আরও পড়ুুন: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    Indi Alliance: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোট (Indi Alliance) গঠন করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করার স্বপ্ন দেখছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই জোট এখনও ফলপ্রসূ হয়নি। তবে, গুয়াহাটিতে রাহুলের বক্তব্যের পরে বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট নিয়ে খানিকটা ‘ইতিবাচক’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল। কিন্তু, বুধবার মমতার বক্তব্যের পরে স্পষ্ট যে, পশ্চিমবঙ্গে কোনও জোট বা আসন সমঝোতা হচ্ছে না। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনেই প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল।

    তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে রাহুল ঠিক কী বলেছিলেন? (Indi Alliance)

    মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে রাহুল বলেছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে আসন বোঝাপড়ার প্রক্রিয়া রয়েছে, তা চলছে। তার ফলাফল আসবে। ওই বিষয়ে আমি এখানে কোনও মন্তব্য করব না। মমতাজির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ও দলের সম্পর্ক খুবই ভালো। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কেউ কিছু বলে দেন। ওঁদের কেউ কিছু বলেন। এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু, এতে আসন বোঝাপড়ায় কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

    রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে কী বললেন মমতা?

    দুদিন আগে পার্ক সার্কাসের মঞ্চ থেকে মমতা ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) সমালোচনা করেছিলেন। কংগ্রেসের নাম না করে বলেছিলেন, “আমি বলেছিলাম, যে রাজ্যে, যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, তারা সেই রাজ্যে লড়ুক। আর আপনারা ৩০০ আসনে একা লড়াই করুন। আমরা সাহায্য করব। বাকি আসনে আমরা লড়়াই করব। তারা বলছে, তাদের মর্জিমতো হবে।” বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে যাওয়ার আগে মমতাকে ওই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ মমতা জানিয়ে দেন, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, “আমার কারও সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। আমার প্রস্তাব প্রথম দিনেই প্রত্যাখ্যান করেছে! আমার সঙ্গে কারও কোনও আলোচনা হয়নি। অ্যাবসলিউটলি মিথ্যা কথা!” তিনি আরও বলেন, “এই যে আমাদের রাজ্যে আসছে, আমাকে তো একবারও বলেনি!” মমতা বলতে চেয়েছেন রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র কথা। অসম থেকে রাহুল তাঁর যাত্রা নিয়ে বৃহস্পতিবারেই কোচবিহার দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করবেন। তার এক দিন আগে মমতার কথায় স্পষ্ট যে, ইন্ডিয়া’র শরিক হিসেবে তৃণমূল ওই যাত্রায় অংশ নেবে না। দুদিন আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় সব আসনে লড়াই করার জন্য দলীয় নেতাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আর অধীর চৌধুরীকে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত ইডি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকল তালা ভেঙে, উধাও ‘তৃণমূলের বীরপুঙ্গবরা’

    ED: ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত ইডি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকল তালা ভেঙে, উধাও ‘তৃণমূলের বীরপুঙ্গবরা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ দিন পর বুধবার ফের সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার ডেরায় হানা দিল ইডি (ED)। তাঁর বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে কী উদ্ধার হয় তা নিয়ে রাজ্যবাসীর নজর ছিল। এদিন শাহজাহানের বাড়িতে হানার সময় রাজ্য পুলিশের পাশাপাশ রাজ্য পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত র‍্যাফকে দেখা গিয়েছে। তাঁরা হেলমেট পরিহিত। হাতে লাঠি বা আধুনিক অস্ত্র। শাহজাহানের বাড়ির ফটকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের জওয়ানরা। সঙ্গে রয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরাও। এবার ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত হয়ে তৃণমূল নেতার ঘরের তালা ভেঙে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর একের পর এক ঘরে ঢুকে চলে তল্লাশি। নামিয়ে আনা হয় সুটকেস। ভাঙা হয়েছে আলমারির তালা।

    তল্লাশি চালিয়ে কী মিলল? (ED)

    বুধবার সাতসকালে শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডির (ED) ছয় আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এ ছাড়া এক জন আছেন শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য। তাঁরা একের পর এক ঘরে যান। সমস্ত ঘরে তল্লাশি চালান। আসবাবপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে পৌঁছে যান রান্নাঘরেও। ঘরের ভিতরে থাকা আলমারির তালা ভাঙা হয়েছে। সুটকেস নামিয়ে খোলা হয়েছে। কিন্তু, রান্নাঘরের সিঙ্ক থেকে বাসনকোসন আর আলমারি এবং সুটকেস থেকে জামাকাপড় ছাড়া কিচ্ছু মেলেনি।

    নিরাপত্তায় মোড়া গোটা এলাকা, বন্ধ শাহজাহান মার্কেট

    ১৯ দিন আগে ইডি (ED) হানার সময় সন্দেশখালির শাহজাহানের বাড়ির সঙ্গে বুধবারের তাঁর বাড়ি ও আশপাশের পরিবেশের চেহারা একেবারেই আলাদা। এদিন সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযান চালানোর সময় বাড়ির সামনে নেই কোনও জনতার ভিড়়। তৃণমূল নেতার নামাঙ্কিত শাহজাহান মার্কেটের একটি দোকানও খোলেনি। বাজারে দেখা গেল সুনসান ছবি। আদালতের নির্দেশে তৃণমূল নেতার বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে সন্দেশখালির বাজারেও সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিল পুলিশ। সাধারণ মানুষের আনাগোনাও একেবারেই হাতেগোনা। সমস্ত এলাকা দখল নিয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং সিআরপিএফ। শাহজাহানের বাড়ি থেকে বড় রাস্তায় যাওয়ার জন্য রয়েছে এক চিলতে রাস্তা। সেই ১০০ মিটার রাস্তাও পুরোপুরি মোড়া খাকি, জলপাই পোশাক পরিহিত দীর্ঘদেহীদের দিয়ে। বড় রাস্তার দখলও পুরোপুরি নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে। জায়গায় জায়গায় তাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সকাল থেকে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সেরকম গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাননি ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ২৫ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করছেন মোদি

    Narendra Modi: ২৫ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করছেন উত্তরপ্রদেশ থেকেই। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারে দামামা বাজাবেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। আগামী ২৫ জানুয়ারি হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশের ওই মেগা সভা। ভারতীয় জনতা পার্টির সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সাধারণভাবে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে লোকসভা ভোট শুরু হওয়ার কথা। তা চলবে মে মাস। এখন দেখার নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশ হয়। বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, তৃতীয়বারের জন্য তৈরি হতে চলেছে মোদি সরকার (Narendra Modi)। ছন্নছাড়া বিরোধী নেতৃত্ব, আভ্যন্তরীণ বিবাদে অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে ইন্ডি জোট। রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতা এখনও করে উঠতে পারেনি তারা। এই অবস্থায় বিজেপির জয় সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    আরও পড়ুুন: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    মেগা সভার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ওই মেগা সভার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, পশ্চিম উত্তর প্রদেশের ১৪ টি আসনের মধ্যে ৮টিতেই জয়লাভ করেছিল বিজেপি। যে সিট গুলিতে জয় আসেনি সেগুলিতেও ঝাঁপাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এবং এই বুলন্দশহরকে নির্বাচনী প্রচারের  জন্য। বিজেপি শিবিরের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সভায় হাজির হবেন কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) এই সভা হতে চলেছে বুলন্দশহরের নবোদা নামের গ্রামে।

    উত্তরপ্রদেশে বইছে গেরুয়া সুনামি

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইন্ডি জোট মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে উত্তরপ্রদেশে। অলিখিতবাবে রাজনীতিতে পরিচিত শব্দ রয়েছে, দিল্লির রাস্তা লক্ষ্ণৌ হয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশে এই মুহূর্তে গেরুয়া সুনামি চলছে। গত ৭ বছর ধরে যোগী সরকারের সুশাসনের সঙ্গে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে রাম মন্দিরও। দলে দলে মানুষ এই মুহূর্তে অযোধ্যামুখী। এর সুফল বিজেপি পাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: উত্তরবঙ্গবাসীকে রাম মন্দির দর্শন করাবে সঙ্ঘ পরিবার, তালিকায় কারা?

    Ram Mandir: উত্তরবঙ্গবাসীকে রাম মন্দির দর্শন করাবে সঙ্ঘ পরিবার, তালিকায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে দেশ জুড়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। মন্দির দর্শন করার জন্য লক্ষ লক্ষ ভক্ত অযোধ্যায় ভিড় করছেন। রাম মন্দির সংক্রান্ত যে কোনও কর্মসূচিকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ গুরুত্ব দিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাইছে। এবার সেই ঐতিহ্যপূর্ণ রাম মন্দির দর্শন করাতে উদ্যোগী হল সঙ্ঘ পরিবারের বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    তালিকায় কারা রয়েছেন? (Ram Mandir)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগে অযোধ্যার পূজিত চাল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। উত্তরবঙ্গের ২২ লক্ষ পরিবারে চাল পৌঁছে দিয়ে জনসংযোগ করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। সেই সূত্র ধরে সঙ্ঘ নেতাদের একাংশের ধারণা, তাঁরা সফল হয়েছেন। এবার রাম মন্দির নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম ট্রেনটি আলিপুরদুয়ার থেকে ছাড়ার কথা। পরের ধাপে এনজেপি থেকে ছাড়বে আরও একটি ট্রেন। প্রথম ধাপে উত্তরবঙ্গ থেকে দু’হাজারেরও বেশি মানুষকে অযোধ্যায় নিয়ে যাবে তারা। সে জন্য একটি ট্রেনও ভাড়া করা হয়েছে বলে খবর। অযোধ্যায় যেতে আগ্রহী অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযাগ করছেন। তালিকার প্রথম দিকে রয়েছেন করসেবকেরা। উত্তরবঙ্গে এখনও একশো জনের মতো করসেবক রয়েছেন। তাঁদের পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। করসেবক ছিলেন, কিন্তু মৃত্যু হয়েছে, সে রকম পরিবারের অন্তত দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হবে রাম মন্দির দর্শন করাতে। একই সঙ্গে রয়েছেন সঙ্ঘের কার্যকর্তারাও। পরের ধাপে সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গের সম্পাদক কী বলেন?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গের সম্পাদক (সংগঠন) অনুপকুমার মণ্ডল বলেন, করসেবকদের মন্দির দর্শন করিয়ে আবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। বাকিদের নিজেদের খরচেই যেতে হবে। দক্ষিণবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ থেকে আপাতত একটি করে ট্রেন ধরা হয়েছে। তবে, এখন রাম মন্দিরে (Ram Mandir) ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে। তাই, ভিড় থাকলে প্রয়োজনে রাম মন্দির যাত্রা পিছিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বালক রামের মাথায় শোভা পাচ্ছে রত্নখচিত সোনার মুকুট, কত দাম জানেন?

    Ram Mandir: বালক রামের মাথায় শোভা পাচ্ছে রত্নখচিত সোনার মুকুট, কত দাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাম মন্দিরে অধিষ্ঠিত হয়েছেন রামলালা। বালক রামের (Ram Mandir) জন্য ১১ কোটি মূল্যের সোনা, হীরে ও অন্যান্য জহরত দিয়ে তৈরি মুকুট উপহার দিলেন এক ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে, গুজরাটের সুরাটের হীরে ব্যবসায়ী জনৈক মুকেশ প্যাটেল রত্নখচিত ওই মুকুটটি উপহার স্বরূপ রাম মন্দির ট্রাস্টের হাতে তুলে দেন। প্রসঙ্গত, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে এবং তার আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী, কিছু না কিছু উপহার তুলে দিচ্ছেন। এবার সুরাটের গ্রিনল্যাব ডায়মন্ড কোম্পানির মালিক মুকেশ প্যাটেল ৬ কেজি ওজনের এই মুকুটটি উপহার দিলেন।

    মুকুটটির বিশেষত্ব

    জানা গিয়েছে, মুকেশ প্যাটেলের সংস্থার তরফে সোনা, হীরে, নীলা-সহ নানান রত্ন দিয়ে এই মুকুটটি তৈরি করা হয়েছে। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনেই ওই মুকুটটি রাম মন্দির (Ram Mandir) তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ মুকুটটির বিশেষত্ব হল, এটি সোনার উপর হীরে ও অন্যান্য রত্ন দিয়ে খচিত৷ ৬ কেজি ওজনের মুকুটে সাড়ে চার কেজি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ ওই মুকুটে রয়েছে মোট দেড় কেজি ওজনের হিরে, মুক্ত, নীলকান্তমণি ও অন্যান্য মূল্যবান ছোট-বড় রত্ন।

    কী বলছেন মুকেশ প্যাটেল?

    জানা গিয়েছে, সুরাট থেকে মুকেশবাবুর সংস্থার দুই কর্মী অযোধ্যায় এসেছিলেন। সেখানেই প্রথমে রামের মূর্তির (Ram Mandir) মাপ নেওয়া হয়। পরে গিয়ে মুকুটটি সেই মতো তৈরি করা হয়েছে৷ এবিষয়ে মুকেশ প্যাটেল বলেন, ‘‘ভগবান রাম সব দিয়েছেন৷ ঈশ্বর বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করছিলেন। এখন তিনি ঋণ শোধ করার সুযোগ দিয়েছেন ৷ কিন্তু, এটা তাঁরই দেওয়া দান৷ আমি অযোধ্যায় আছি এবং দর্শন করতে এসেছি ৷ এটা আমার জন্য একটি অসাধারণ মুহূর্ত ৷ মনে হচ্ছে জীবন সফল হয়ে গিয়েছে৷’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karpoori Thakur: মরণোত্তর ভারতরত্ন পাচ্ছেন বিহারের জননায়ক কর্পূরী ঠাকুর

    Karpoori Thakur: মরণোত্তর ভারতরত্ন পাচ্ছেন বিহারের জননায়ক কর্পূরী ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে মরণোত্তর ভারতরত্ন পাচ্ছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুর (Karpoori Thakur)। মঙ্গলবারই একথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সাল হল কর্পূরী ঠাকুরের জন্মশতবর্ষ। যিনি বিহারে জননায়ক নামেও পরিচিত ছিলেন। তাঁকে জনগণের নেতা বলা হত। জন আন্দোলন, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের মর্যাদা এবং সম্মানের দাবিতে তাঁর লড়াই, তাঁকে বিহারের জনগণের নেতা বানিয়ে তুলেছিল।

    সংক্ষিপ্ত জীবনী

    ১৯২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন কর্পূরী ঠাকুর (Karpoori Thakur)। তিনি প্রয়াত হন ১৯৮৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। বিহারের পিছিয়ে পড়া মানুষের নেতা হিসেবে উঠে আসেন তিনি। বিহারের পিতাউনঝিয়া যা বর্তমানে পরিচিত কর্পূরী গ্রাম নামে। বিহারের সমস্তিপুর জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তিনি জেলও খেটেছেন। স্বাধীন ভারতে ১৯৫২ সালে তিনি প্রথমবারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি নির্বাচিত বিধায়ক পদেই ছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি সাংসদ হন। একমাত্র ১৯৮৪ সালেই তিনি নির্বাচনে পরাস্ত হন। কারণ সেবার ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে সহানুভূতির হাওয়া তৈরি হয়। ১৯৬৭ সালের ৫ মার্চ থেকে ১৯৬৮ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন কর্পূরী ঠাকুর। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির। কিন্তু ছয় মাসের মাথায় সরকারের পতন হয়। পরবর্তীকালে ১৯৭৭ সালে জুন মাসে তিনি আবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন।

    কর্পূরী ঠাকুরের জনস্বার্থ নীতি

    বিহারে দীর্ঘদিন প্রশাসক থাকার সুবাদে তিনি অনেক রকমের নীতি গ্রহণ করেছিলেন। যেমন ইংরেজিকে বাধ্যতামূলক বিষয় থেকে বাদ দেন মাধ্যমিক পরীক্ষায়। মদ্যপানের উপর প্রতিবন্ধকতা লাগানো তাঁর কৃতিত্ব ছিল। সে সময় বিহারের বেকার ইঞ্জিনিয়াররা আন্দোলন শুরু করলে তিনি তাদের দাবিকে মান্যতা দেন এবং আট হাজার জন চাকরি পান। তাঁর আমলে বিহার সরকার ১৯৭০ সালে নিয়োগ করে মুঙ্গেরিলাল কমিশন। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১২৮ টি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করে নামকরণ করা হয়। যাদের মধ্যে ৯৪টি ছিল অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়। জনতা পার্টির সরকারের আমলে কর্পূরী ঠাকুর (Karpoori Thakur) সংরক্ষণ নীতি আনেন। যা কর্পূরী ঠাকুর ফর্মুলা নামে পরিচিত। এখানে ২৬ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়। যেখানে ওবিসিরা পায় ১২ শতাংশ সংরক্ষণ, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ওবিসিরা পায় ৮ শতাংশ সংরক্ষণ, মহিলাদের দেওয়া হয় ৩ শতাংশ সংরক্ষণ এবং উচ্চ বর্ণের জন্য থাকে ৩ শতাংশ সংরক্ষণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা, শাহজাহান কোথায়?

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা, শাহজাহান কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাকভোরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা ইডির। বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর শতাধিক জওয়ানকে নিয়ে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানকার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ির তালা ভেঙে ঢুকে পড়েন তদন্তকারীরা। এর আগের দিন ইডির তদন্তে বাধা দিয়েছিল যারা, তৃণমূলের সেই বীরপুঙ্গবরা এদিন যেন উধাও হয়ে গিয়েছে কর্পূরের মতো। ইডি কর্তারা নির্বিঘ্নেই তল্লাশি চালাচ্ছেন শাহজাহানের বাড়িতে। সন্দেশখালিকাণ্ডের পর থেকে অবশ্য গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূলের এই নেতা। দলীয় নেতৃত্বই তাঁকে পালক চাপা দিয়ে রেখেছেন, নাকি পগার পেরিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে জনতার ভিড়ে মিশে গিয়েছেন, তা জানা যায়নি।

    ইডির ওপর হামলা

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডের তদন্তে গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডির তদন্তকারীরা। শাহজাহানের মোবাইলের টাওয়ার জানান দিচ্ছিল তৃণমূলের এই নেতা ছিলেন বাড়িতেই। যদিও দরজার তালা না খোলায় ঘরে ঢুকতে পারেননি ইডির আধিকারিকরা। এই সময় তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী (এরা শাহজাহানের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত) হামলা চালায় ইডির ওপর। দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে ইডির দুই কর্তার পাশাপাশি জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। আধিকারিকদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় ল্যাপটপ, মোবাইল, নগদ টাকা।

    আটঘাট বেঁধে তদন্তে ইডি

    সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন ২৫টি গাড়িতে করে ১২৫ জনেরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিয়ে ইডির আধিকারিকরা পৌঁছান শাহজাহানের বাড়িতে। হেলমেট, হাতে গার্ড নিয়ে পজিশন নিয়ে নেন জওয়ানরা। এদিনও যথারীতি শাহজাহানের বাড়ির তালা খুলতে অস্বীকার করেন বাড়িতে থাকা একজন। পরে তালা ভেঙেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: “নেতাজির চিন্তার সঙ্গে আমাদের ভাবনার কোনও পার্থক্য নেই”, সাফ জানালেন ভাগবত

    এবার আটঘাট বেঁধেই শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। ইডির তরফে নিয়ে আসা হয়েছে তিনজন সাক্ষী। সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে স্থানীয় দুজনকেও। এই পাঁচ সাক্ষীর উপস্থিতিতেই চলছে তল্লাশি। তল্লাশির পুরো পর্বটি ভিডিওগ্রাফি করে (Sandeshkhali) রাখছেন ইডির নিয়ে আসা ভিডিওগ্রাফাররা।  

    প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতার করা হয়েছে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকেও। তৃণমূল নেতা শাহজাহান এই দুজনেরই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় ইডি। তখনই হামলা হয় ইডির ওপর। ইডি পিছু হঠলে, প্রায় বুদবুদের মতো মিলিয়ে যান তৃণমূলের শাহজাহান। এখনও পর্যন্ত টিকি পর্যন্ত দেখা যায়নি তাঁর।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share