Tag: Bengali news

Bengali news

  • Subhash Chandra Bose: নোয়াপাড়ায় ব্রিটিশদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন নেতাজি

    Subhash Chandra Bose: নোয়াপাড়ায় ব্রিটিশদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন নেতাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুটমিলের শ্রমিকদের সম্মেলনে যোগ দিতে বারাকপুরের শ্যামনগরে এসে ব্রিটিশদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Subhash Chandra Bose)। ৯৩ বছর আগের সেই স্মৃতি আজও অমলিন। নেতাজির স্মরণে একটি নেতাজি স্মৃতি গ্রন্থাগার তৈরি করা হয়েছে। যেখানে নেতাজির উপরে নানা বই রয়েছে। বসানো হয়েছে নেতাজির পূর্ণবয়াব মূর্তি। মঙ্গলবার দিনভর নোয়াপাড়া থানায় নেতাজির ১২৮ তম জন্মদিন সাড়ম্বরে পালিত হয়। নেতাজির জন্মের সময় সোয়া ১২ টায় বাজানো হয় সাইরেন।

    ব্রিটিশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন নেতাজি (Subhash Chandra Bose)

    ১৯৩১ সালের ১১ অক্টোবর ভাটপাড়ার গোলঘরে জুট মিল শ্রমিকদের সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Subhash Chandra Bose)। শ্যামনগরের চৌরঙ্গী কালীবাড়ির সামনে তাঁর পথ আটকে দাঁড়ালেন নোয়াপাড়া থানার তৎকালীন ওসি মিস্টার ম্যাকেনজি। নেতাজিকে আর গোলঘরের ওই সম্মেলনে যেতে দেওয়া হল না। তাঁকে নিয়ে আসা হয় নোয়াপাড়া থানার লক আপে। সেখানেই কয়েক ঘণ্টা কাটাতে হয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে। তিনি পুলিশের দেওয়া এক কাপ চাও খাননি। আশপাশের বাড়ি থেকে চা দিলে, তিনি তা খান। সেই কাপ-প্লেট আজও সংরক্ষিত রয়েছে। সেদিন থানার বাইরে কাতারে কাতারে মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। পরে তাঁর দাদা শরৎচন্দ্র বসু ব্যক্তিগত জামিনে ছাড়িয়ে নিয়ে যান নেতাজিকে। শর্ত ছিল আগামী দুমাস তিনি নোয়াপাড়া, ভাটপাড়া আসতে পারবেন না। আর এই ঐতিহাসিক ঘটনার জন্যই নোয়াপাড়া থানাকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। থানার নতুন বিল্ডিং তৈরি হলেও নেতাজির ইতিহাস বিজড়িত ওই লক আপ প্রায় একই রকম রয়ে গিয়েছে। যা নেতাজি স্মৃতি কক্ষ নামে পরিচিত। তবে, গারদের লোহার চাদর সরিয়ে কাঠের দরজা তৈরি করা হয়েছে। ঘরের ভিতরে রয়েছে নেতাজির ছবি। ফুল দিয়ে সাজানো রয়েছে। সেখানেই প্রতিদিন মাল্যদান করা হয়। নোয়াপাড়া থানার পুলিস কর্মীদের উদ্যোগে প্রতিদিন জ্বালানো হয় প্রদীপ।

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক কী বললেন?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ব্রিটিশ পুলিশ ভেবেছিল, নেতাজির কথা শুনলে শ্রমিকরা ব্রিটিশ শাসনের উপরে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবেন। ফলে, নেতাজির সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই ব্রিটিশ পুলিশ প্রস্তুত ছিল। শ্যামনগর চৌরঙ্গী কালীবাড়ির সামনে নেতাজির পথ আটকান তৎকালীন নোয়াপাড়া থানার ইনস্পেক্টর ম্যাকেঞ্জি। সুভাষচন্দ্রকে (Subhash Chandra Bose) নিয়ে আসা হয় নোয়াপাড়়া থানায়। আটকে রাখা হয় একটি ঘরে।

    নেতাজির স্মৃতিতে নোয়াপাড়া থানায় দিনভর অনুষ্ঠান

    স্বাধীনতার পর বহু বছর নোয়াপাড়া থানার নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত সেই ঘরটি ভগ্নদশায় পড়েছিল। ২০১১ সালে ঘরটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে দিনের বেহাল ঘর এখন সাদা টাইলস ও রঙে মুড়ে ফেলা হয়েছে। প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি এই ঘরটিতে সুভাষচন্দ্রের (Subhash Chandra Bose) ছবিতে ফুল-মালা দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়। থানা প্রাঙ্গণে নেতাজির পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান বারাকপুর পুলিস কমিশনার অলক রাজোরিয়া সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্য ও স্কুলের কচিকাঁচারা। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্ধ্যা আরতির পর আত্রেয়ী নদীর ধারে স্বচ্ছতা অভিযানে নামলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: সন্ধ্যা আরতির পর আত্রেয়ী নদীর ধারে স্বচ্ছতা অভিযানে নামলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সাত সকালে আত্রেয়ীর ঘাটে ঝাডু নিয়ে হাজির বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর ধারে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যা আরতির অনুষ্ঠান করা হয়। বালুরঘাট শহরের বিজেপি কর্মী-সমর্থক সহ সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখ পড়ার মতো। এরকম অনুষ্ঠান কোনওদিন দেখেননি বালুরঘাটবাসী। সোমবার সন্ধ্যায় আত্রেয়ী নদীর পাড় আলোয় ঝলমল করে। হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নদীর পাড়ে এসে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাম নাম স্লোগান দেন। সোমবার অনুষ্ঠান শেষ হলেও আত্রেয়ী নদীর ধার পরিষ্কার করতে ভোলেননি বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই কারণে এদিন সাত সকালে তিনি ঝাড়ু নিয়ে হাজির হন আত্রেয়ী নদীর ধারে। নিজে হাতেই নদীর ঘাট পরিষ্কার করেন।

    আত্রেয়ী নদীর ধারে স্বচ্ছতা অভিযানে নামেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    পাশাপাশি নেতাজির জন্মদিন পালন করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপির জেলা কার্যালয়ে নেতাজির ছবিতে মাল্যদান করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, সোমবার রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আমরা বালুরঘাট আত্রেয়ীর ঘাটে ১ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়েছিলাম। সেই জন্য আমি ও আমার দলীয় নেতৃত্বরা নদীর ঘাটে এসে পরিষ্কার করি। প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারতের কথা বলেন। আমরা আত্রেয়ী নদীর ধারে স্বচ্ছতা অভিযানে নেমেছি। স্বচ্ছ ঘাট করছি আমরা। এছাড়া এদিন বিজেপির জেলা কার্যালয়ে নেতাজির জন্মদিবস পালন করা হয়।

    রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা বিজেপির লক্ষ্য

    রামকে হাতিয়ার করে ভোটে জেতা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, রাম বিজেপির হাতিয়ার না, রাম হচ্ছে বিজেপির আদর্শ, রাম হচ্ছে বিজেপির চালনা শক্তি। রামকে হাতিয়ার করার কথা তারা ভাবে, যারা রামের বিরোধী। আমরা রামকে হাতিয়ার করতে চাই না। রাম আমাদের ভেতরে আছেন, অন্তরে আছেন। সেই রামকে নিয়ে এগোতে চাই। রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে বিজেপির লক্ষ্য। রাম রাজ্যে কেউ বঞ্চিত হবেন না। পাশাপাশি ডিএ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ডিএ নিয়ে কর্মচারীরা যারা আন্দোলনে আছে, তাদের পাশে আমরা আছি। আমরা তাদেরকে সবরকমভাবে সাহায্য করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বিজেপি নেতাকে ‘রাজনৈতিক সমাধি’ দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা

    North 24 Parganas: বিজেপি নেতাকে ‘রাজনৈতিক সমাধি’ দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সভা থেকে বিজেপি নেতাকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁয় সংহতি মিছিল করে তৃণমূল। পরে সভা হয়। সেই সভা থেকে তৃণমূলের দুই নেতা প্রকাশ্যে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলকে হুঁশিয়ারি দেন।

    কী হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতারা? (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁয় দলীয় সভা থেকে যুব তৃণমূল নেতা পাপাই রাহার বিজেপি নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এপ্রিল মাসের পর পাপ্পুকে (দেবদাস) রাজনৈতিক সমাধি দিয়ে দেব। পাপ্পুকে আর দেখা যাবে না। পাশাপাশি একটি ফ্ল্যাটের ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, সেটি দিল্লিতে দেবদাসের ফ্ল্যাট। দাম পাঁচ কোটি। সেই টাকা দেবদাস কোথায় পেয়েছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন। যুব তৃণমূল নেতার অভিযোগ, বাম আমলে মতিগঞ্জে দেবদাসকে কেউ হিসসা না দিয়ে জমি-বাড়ি কিনতে পারতেন না। একই কর্মসূচিতে দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বিজেপি নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যত দূর হাত যায়, চুলকান। আগামী দিনে কোনও অঘটন ঘটলে তৃণমূল দায়ী থাকবে না। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা নারায়ণ ঘোষও দেবদাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একই অভিযোগ তোলেন।

    বিজেপি নেতা কী বললেন?

    বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললেই পরিষ্কার হয়ে যাবে আমি জমি-বাড়ি লুট করেছিলাম কি না! তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর সঙ্গে আমার যে ছবি দেখানো হয়েছে, সেখানে নারায়ণের ছবিও ছিল। সেটা বাদ দিয়েছে। ২০১৫ সালে আমরা একসঙ্গে অমরনাথ গিয়েছিলাম। এ দিন বনগাঁ শহরে একই জায়গা থেকে আলাদা সময়ে তৃণমূলের দু’টি আলাদা মিছিল বের হয়। একটির নেতৃত্ব দেন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ। অন্যটির পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। দেবদাসের অভিযোগ, দু’টি মিছিল থেকে পরিষ্কার, এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কোন পর্যায়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Subhash Chandra Bose: নেতাজিকে পুজো করেন পূর্বস্থলীর রায় পরিবারের সদস্যরা

    Subhash Chandra Bose: নেতাজিকে পুজো করেন পূর্বস্থলীর রায় পরিবারের সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Subhash Chandra Bose) পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর রায় পরিবারে ‘কুলদেবতা’। শুধু তাই নয়, জন্মবার্ষিকীতে সেই দেবতাকে ফি বছর পুজো করা হয়। তাঁর উদ্দেশে নিবেদন করা হয় সিঙারা ভোগও।

    পূর্বস্থলীর রায়বাড়িতে এসেছিলেন নেতাজি (Subhash Chandra Bose)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৩২ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামী রমেশচন্দ্র রায় ও তাঁর ভাই সুরেশচন্দ্র রায়ের কাছে সুভাষচন্দ্র বসু (Subhash Chandra Bose) এসেছিলেন। সেই সময় রমেশবাবুর স্ত্রী শিবভাবিনী দেবী ছিলেন জেলা মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী। কাষ্ঠশালি থেকে মেড়তলায় যাওয়ার আগে নেতাজি পূর্বস্থলীর রায়বাড়িতে এসেছিলেন। ওই বাড়িতে যে চেয়ারে তিনি বসেছিলেন, আজও তা সংরক্ষিত রয়েছে। সেই সময় শিবভাবিনী দেবী নেতাজিকে সিঙারা তৈরি করে খাইয়েছিলেন। আজও সেই সুভাষচন্দ্র বসুকে পুজো করে ভোগ নিবেদন করা হয়। পরিবারের সদস্য গৌতম রায়, তপন রায়রা বলেন, ‘নেতাজি আমাদের বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলেন। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের। নেতাজি আমাদের বাড়িতে আসার পরের বছর থেকেই বাড়িতে তাঁর জন্মদিন পালন করার রেওয়াজ চলে আসছে। এবছরও আমরা নিয়ম করে তাঁর ছবিতে মালা দিয়ে পুজো করে সিঙারা ভোগ দিয়েছি।’

    কালনার মঠে এসেছিলেন নেতাজি

    অন্যদিকে, ধর্মচর্চার পাশাপাশি বিপ্লবীদের আখড়া হয়ে উঠেছিল কালনার জ্ঞানানন্দ মঠ। ১৯৩০ সালে কালনা শহর সংলগ্ন নেপপাড়ার এই মঠে এসেছিলেন নেতাজি। এখানে দু’দিন-দু’রাত কাটিয়ে আন্দোলনের রূপরেখাও তৈরি করেছিলেন তিনি। এমনই এক ঐতিহাসিক স্থানে ফি বছর সুভাষচন্দ্র বসুর (Subhash Chandra Bose) জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন মন্ত্রী থেকে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। জানা গিয়েছে, আগের বছর এই জ্ঞানানন্দ মঠে ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তোরণ’ উদ্বোধন করেছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এবারও সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এই মঠে। মঠের নিত্যপ্রেমানন্দ অবধূত মহারাজ বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এই বছরও বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা-সহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: ভোর ৩টে থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন! জনসাধারণের জন্য খুলে গেল রাম মন্দির

    Ayodhya Ram Mandir: ভোর ৩টে থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন! জনসাধারণের জন্য খুলে গেল রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরদিন থেকেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) দরজা। আজ, মঙ্গলবার থেকেই রামলালাকে দর্শন (Ramlala Darshan) করতে পারবেন ভক্তরা। এই প্রেক্ষিতে, মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় ও দর্শনের নিয়ম নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। 

    সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় রামলালার প্রাণ-প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টা ২৯ মিনিটে ‘অভিজিৎ মুহূর্তে’ রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। একাধিক ধর্মীয় নিয়মবিধি মেনে গর্ভগৃহে রামলালার পুজো করেন ‘প্রধান যজমান’ নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    আজ থেকে সাধারণ দর্শনের জন্য খুলল মন্দির

    সোমবার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর অভ্যাগত অতিথি ও বিশিষ্টজনেরা রামলালার দর্শন করে একে একে চলে যান। তার পর থেকেই অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir) কার্যত মানুষের ঢল নামে। সকলের গন্তব্য রামলালা দর্শন (Ramlala Darshan)। যদিও, গতকাল অতিথিদের ছাড়া, কাউকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। মন্দির কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ ভোর ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দিরের দরজা। রামলালাকে ভোগ নিবেদনের পরে আবার বেলা ২টো থেকে খুলবে মন্দির। সন্ধে ৭টা অবধি দর্শন করা যাবে। দুপুর ১টা নাগাদ ভোগ দেওয়ার পরে বিশ্রাম নেবেন রামলালা। আবার ২টো থেকে দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। সন্ধে ৭টা নাগাদ আরতি হবে মন্দিরে।

    ভোর ৩টে থেকেই ভক্তদের লাইন

    তবে, রামলালা দর্শন (Ramlala Darshan) নিয়ে জনমানসে এতটাই উন্মাদনা রয়েছে যে, ভোররাত ৩টে থেকেই লম্বা লাইন পড়ে যায়। ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তা আধিকারিকদের। মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই অনেক আগে থেকে রামলালা দর্শনের এই সময় ঘোষিত হয়েছে। পরবর্তীকালে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সময় বদল হতে পারে। দর্শনের সময়ের পাশাপাশি, পুজোর নিয়ম নিয়েও বিধি জারি করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। রীতি অনুযায়ী, সকালে ঘুম থেকে তোলার পর রামলালাকে লাল চন্দন আর মধুতে স্নান করানো হবে। দুপুরে বিশ্রাম, সন্ধ্যার ভোগ ও আরতির পর শয়ন দেওয়ার আগে ১৬ মন্ত্র প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। দিনে পাঁচবার আরতি হবে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে হবে মন্ত্রপাঠ, শাস্ত্র আলোচনা। রাম ভজন হবে রোজই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: শ্যামও রাখলেন, কুলও রাখলেন! তৃণমূল বিধায়কের এক হাতে দলের, অন্য হাতে রামের পতাকা

    TMC: শ্যামও রাখলেন, কুলও রাখলেন! তৃণমূল বিধায়কের এক হাতে দলের, অন্য হাতে রামের পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই স্লোগান কে সামনে রেখে এক হাতে দলীয় পতাকা আর অপর হাতে ধর্মীয় (রামের) পতাকা নিয়ে রায়গঞ্জে সংহতি যাত্রা করলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিধায়কের এক হাতে দলীয় পতাকা, অন্যহাতে রামের পতাকা! (TMC)

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে সংহতি যাত্রা করেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক। পাশাপাশি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবসও পালন করলেন তাঁরা। যদিও রায়গঞ্জের বিধায়কের  “এক হাতে দলীয় পতাকা তো অন্যহাতে ধর্মীয়(রামের) পতাকা” নিয়ে রায়গঞ্জে সংহতি যাত্রাকে মেনে নিতে পারছেন না জেলা তৃণমূল কংগ্রেসও। পাল্টা রায়গঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সংহতি যাত্রা করা হয় রায়গঞ্জের রাজপথে। অপরদিকে, বিধায়কের এই যাত্রাকে তাদের শুভ বোধোদয় বলে মন্তব্য করেছেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। বিধায়কের এই যাত্রাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক।

    শহর তৃণমূল এবং বিধায়কের উদ্যোগে পৃথক দুটি সংহতি মিছিল

    রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সারা রাজ্যের পাশাপাশি রায়গঞ্জেও তৃণমূলের নেতৃত্বে সংহতি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।  তবে, বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ও শহর তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতৃত্ব দুটি পৃথক মিছিলের আয়োজন করে। তবে, বিধায়কের মিছিল রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ এলাকার ভিএনসি মোড় থেকে শুরু হয়ে রায়গঞ্জ এনএস রোডে অবস্থিত বিধায়কের দফতরে এসে শেষ হয়। এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তৃণমূলের দলীয় পতাকার পাশাপাশি শ্রী রামচন্দ্রের ধর্মীয় গেরুয়া পতাকায় সুসজ্জিত এই মিছিলে গ্রাম ও শহরের প্রচুর মানুষ অংশগ্রহণ করেন। যাকে ঘিরেই তৃণমূলের দলীয় স্তরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এদিন শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে অপর একটি সংহতি যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। রায়গঞ্জ পুরসভার পুর প্রশাসক তথা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস, উপ পুরপ্রশাসক তথা জেলা সহ-সভাপতি অরিন্দম সরকার, অন্যান্য পুর কো-অর্ডিনেটর সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা পা মেলান। এ মিছিল রায়গঞ্জের বিদ্রোহী মোড়ে অবস্থিত গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে এনএস রোডে অবস্থিত নেতাজি মূর্তির সামনে এসে শেষ হয়। তবে এ মিছিলে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছাড়া অন্য কোনও পতাকা লক্ষ্য করা যায়নি। যদিও এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার ২৩/০১/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার ২৩/০১/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) দূর দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    ২) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। 

    মিথুন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে। 

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন। 

    সিংহ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন। 

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে। 

    তুলা

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ। 

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ। 

    ধনু

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। 

    মকর

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ। 

    কুম্ভ

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যা আরতি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যা আরতি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে গোটা দেশ জুড়ে চলছে উৎসবের মেজাজ। কোথাও অযোধ্যায় রাম মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে রাম মন্দির,আবার কোথাও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে বালুরঘাট শহরের একাধিক জায়গায় রাম পুজোতে অংশগ্রহণ, কোথাও আবার খিচুড়ি রান্নাতে হাত দিতে দেখা গেল বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। সোমবার সকাল থেকেই প্রথমে যুবশ্রী মোড়, উত্তামশা এলাকা,পাওয়ার হাউস এলাকা সহ শহরের একাধিক জায়গায় তিনি রাম পুজোতে অংশগ্রহণ করেন। শুধু বালুরঘাট শহর নয় দিনভর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রামপুজোতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। পাশাপাশি বালুরঘাটে নতুন সাংসদ অফিসের উদ্বোধন করেন তিনি।

    দিনভর কর্মসূচিতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে গোটা দেশ জুড়ে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রতিটি ব্লকেও একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর গঙ্গারামপুর কালীতলা এলাকায় যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর তপন করদহ এলাকায় বনার্ঢ্য র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। এদিন সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরের সদর ঘাটে আত্রেয়ী নদীর তিরে এক লক্ষ  প্রদীপ জ্বালিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের রামমূর্তির প্রবেশ ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসব উদযাপন করা  হয়। হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় হয়েছে নদীর তিরে। সুকান্ত মজুমদার নদীর তিরে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন। সন্ধ্যা আরতি করে রামের উদ্দেশ্যে তা নিবেদন করা হয়।

    আত্রেয়ী নদীতে লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যারতি সুকান্তর

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দিনভর জেলায় প্রচুর মানুষ রাম জন্মভূমির এই উৎসবকে ঘিরে আনন্দে মেতেছে। জাতি,ধর্ম রাজনৈতিক উর্দ্ধে উঠে মানুষ আজকের দিনটাকে উৎযাপন করছে। এদিন আমরা বালুরঘাট সদরঘাটে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যা আরতি করে দিনটিকে উদযাপন করলাম। শাসক দলের কর্মসূচি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন,কর্মসূচি শুধু উস্কানিমূলক কর্মসূচি। এতে প্রকৃতি হিন্দু যারা তারা কেউ যোগ দেবে না। যারা হিন্দু সেজে থাকে, যারা জালি হিন্দু তারাই যোগদান করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “রাম সকলের”, বিজেপির শোভাযাত্রায় গেরুয়া পোশাকে লাল তিলক কেটে তৃণমূল নেতারাও!

    Malda: “রাম সকলের”, বিজেপির শোভাযাত্রায় গেরুয়া পোশাকে লাল তিলক কেটে তৃণমূল নেতারাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনে গেরুয়া পোশাক পরে বিজেপির সঙ্গে শোভাযাত্রায় পা মেলালেন তৃণমূল কর্মীরাও। এমনই ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে। সেখানকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে আরও তৃণমূল নেতা নিজে থেকেই যোগদান করেন শোভাযাত্রায়। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। রাজ্যে যেখানে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনে তৃণমূল সুপ্রিমো বিজেপিকে লক্ষ্য করে পাল্টা সংহতি যাত্রা করেছেন, সেখানে তাঁরই দলের সাংসদ, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সদস্য এবং কর্মীরা রাম মন্দির উদ্বোধনের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেন! দলের মধ্যেই এখন তাই চরম অস্বস্তি।

    তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য

    প্রায় ৫০০ বছর অপেক্ষার পর আজ অযোধ্যায় শ্রীরামের জন্মস্থানেই নবনির্মিত গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ হিন্দু সমাজের কাছে উচ্ছ্বাসের দিন। তাই এদিন বিজেপির মিছিলে যোগদান করে মালদার (Malda) তৃণমূলের কর্মীরা বলেন, “রামলালাকে ঘিরে মানুষের আবেগকে অস্বীকার করা যাবে না। আমরা হিন্দু, এখানে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। সকলে আমরা রামভক্ত। রাম সকলের, কোনও দলের সঙ্গে যোগ নেই শ্রীরামের। আমরা আমাদের মতো সমাজের জন্য কাজ করব।”

    বিজেপির গৈরিক পতাকার নীচে তৃণমূল (Malda)

    মালদায় (Malda) বিজেপির সঙ্গে গৈরিক পতাকার নীচে তৃণমূলের কর্মীরা। একই সঙ্গে পরনে গেরুয়া বস্ত্র, গেরুয়া উত্তরীয়, কপালে লাল তিলক, মাথায় গেরুয়া কাপড় বাঁধা। একই সঙ্গে হাত উঁচু করে কণ্ঠে ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি’ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে মিছিল করেছেন। এই মিছিলে যোগ দিয়েছেন এলাকার শত শত হিন্দু ধর্মের মানুষ।

    পুজোর স্থান কোথায় ছিল?

    আজ যখন অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে, ঠিক তেমনি বাংলার জেলায় জেলায় হিন্দু সমাজের মন্দিরে মন্দিরে পুজো-অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। আজ একই ভাবে মালাদার হরিশ্চন্দ্রপুরের কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে একটি অস্থায়ী মন্দির বানিয়ে প্রভু রামের একটি মূর্তি নির্মাণ করে তাতেই পুজো করা হয়। এরপর একটি বিরাট শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) থেকে এলাকার গড়াগড়ি পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সম্পন্ন করা হয়। এই শোভাযাত্রার শুরু এবং শেষ স্থানে ব্যাপক রামভক্তদের সমাগম হয়। একই ভাবে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে যোগদান করেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: কৃত্তিবাসের ভিটেতে রাম-সীতা মন্দিরে পুজোয় মাতলেন সাংসদ জগন্নাথ

    Ram Mandir: কৃত্তিবাসের ভিটেতে রাম-সীতা মন্দিরে পুজোয় মাতলেন সাংসদ জগন্নাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার উপলক্ষে সারা দেশজুড়ে চলছে নাম যজ্ঞ। লক্ষ লক্ষ ভক্ত এদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরে উপস্থিত হয়েছেন। সারা দেশের মানুষ সাড়ম্বরে পালন করছেন এই শুভ দিনটি। গোটা ভারতবর্ষের এক বিশেষ দিন। সনাতন ধর্মের সাফল্যের দিন। সোমবার শান্তিপুরের ফুলিয়ায় কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থানে উপস্থিত হয়ে এমনটাই জানালেন নদিয়ার রানাঘাটের  বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। নাম সংকীর্তনের মধ্য দিয়ে মেতে ওঠেন তিনি।

    ভারতের সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে রাষ্ট্র বিরোধী দল! (Ram Mandir)

    রামায়ণ বাংলায় রচনা করেছিলেন কৃত্তিবাস ওঝা। এদিন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়ায় কৃত্তিবাসের রামসীতা মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এদিন সেই মন্দিরে হাজির হন সাংসদ সহ একাধিক বিজেপি কর্মীরা। সেখানে বিশেয পুজো হয়। বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি বহু ভক্ত পুজো দিতে সেই মন্দিরে সামিল হন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি সাংসদ হাজির হন। তিনি বলেন, গোটা দেশজুড়ে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) রামলালার জয়জয়কার হচ্ছে। রামময় জগৎ, রামময় ভারত। রাম আমাদের আত্মা, রাম আমাদের স্বরূপ। রামের যে নীতি সেই নীতিতেই চলে গোটা জগৎ। রামচন্দ্রের আদর্শ মেনেই আমরা চলি। আর ভারতের যে সংস্কৃতি যে ধর্ম তাকে নষ্ট করার জন্য  উঠে পড়ে লেগেছে এক রাষ্ট্রবিরোধী দল। এই শুভদিনে সেই নাম করছি না। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর গোটা ভারতবর্ষ এক গৌরবময় দেশ হয়ে উঠবে। আরও উন্নয়ন ঘটবে এই দেশের। রামচন্দ্র সব হিংসা দূর করে মানুষের মধ্যে শুভ বোধ জাগ্রত করবে।

    কৃষ্ণনগরে বিশেষ ষজ্ঞের আয়োজন

    এক মাস ধরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে নানান অনুষ্ঠান চলছে। এদিন মহাসাড়ম্বরে সেই শুভ দিন পালিত হচ্ছে। সারা দেশের সঙ্গে সারা রাজ্যের মানুষ রাম নামে মেতে উঠেছেন। নাম সংকীর্তন করছেন মানুষ। এদিন ফুলিয়ার কৃত্তিবাসে রাম সীতা মন্দিরে দাঁড়িয়ে সাংসদ এবং আরও বিজেপি কর্মীরা সকলে রামের নামে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের নৃসিংহদেবতলা মন্দিরে ১০৮টি ধুনুচি এবং ১০০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তারা কয়েক হাজার ভক্তের জন্য ভোগের ব্যবস্থা করেন। যজ্ঞ শেষে ভোগ বিতরণ করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share