Tag: Bengali news

Bengali news

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের জমানায় চালু হওয়া স্কুলে ১০ বছরেই বন্ধ হল ঝাঁপ! কেন জানেন?

    South 24 Parganas: তৃণমূলের জমানায় চালু হওয়া স্কুলে ১০ বছরেই বন্ধ হল ঝাঁপ! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঘটা করে স্কুলের উদ্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু, স্কুলে কোনও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করেনি রাজ্য সরকার। আর তার জেরেই এবার আর কোনও পড়ুয়া স্কুলে ভর্তি হল না। অবশেষে লালবাতি জ্বলল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ শিবগঞ্জ জুনিয়র হাই স্কুলে।

    এবছর স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) দক্ষিণ শিবগঞ্জ জুনিয়র হাইস্কুলটি ২০১৩ সালে চালু করা হয়েছিল। অবসরপ্রাপ্ত দুজন শিক্ষককে অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে স্কুলটি চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে এলাকার চারজন শিক্ষিত যুবককে আংশিক সময়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তখন ছাত্র সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। পরবর্তীকালে অতিথি শিক্ষক দুজন অবসর নেন। আর একজন যুবককে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে স্কুল চালানো শুরু হয়। কিন্তু, স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় মিড ডে মিল থেকে আরম্ভ করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা। ২০২৩ সালে পড়ুয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ১৭ জন। আর ২০২৪-এ এসে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শূন্য। কারণ, এবার পরিকাঠামোহীন এই স্কুলে কেউ আর ভর্তি হননি। ফলে, স্কুলটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেল।

    অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    অভিভাবকদের বক্তব্য, এলাকায় কোনও স্কুল ছিল না। তাই, স্কুলটির প্রয়োজন ছিল। এলাকার মানুষের দাবি মেনে স্কুল শুরু করার পর আমাদের আশা ছিল, স্কুলের উন্নয়নের বিষয়ে উদ্যোগী হবে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, কিছুই ব্যবস্থা নেয়নি। কোনও স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় এই অবস্থা। আর তার জন্য দায়ী সরকার। অতিসত্বর  শিক্ষক নিয়োগ করে  স্কুল চালু করার দরকার। বিরোধীদের বক্তব্য, দশ বছর ধরে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নেই। শিক্ষকের অভাবেই ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ওই স্কুলে কোনও ছাত্রই ভর্তি হল না। আর সেটাই হল কাল, পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে গেল স্কুল। এটা তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতা। একটি স্কুলকে ঘটা করে চালু করে টিকিয়ে রাখতে পারল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: নিজে হাতে মন্দির সাফ করলেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় যুব দিবসে শোনালেন বিবেক বাণী

    Narendra Modi: নিজে হাতে মন্দির সাফ করলেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় যুব দিবসে শোনালেন বিবেক বাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জাতীয় যুব দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) জঞ্জাল সাফাই করতে দেখা গেল। মহারাষ্ট্রের কলারাম মন্দির প্রাঙ্গণ এদিন নিজের হাতেই সাফ করতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত শুক্রবার সকালেই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে ১১ দিন নিজের ব্রত পালনের কথা বলেন মোদি। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে আবেগপ্রবণ হয়ে  অডিও বার্তা দেন তিনি। করেন ট্যুইটও। জাতীয় যুব দিবসে নাসিকে বক্তব্যও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। শোনান বিবেক বাণীও।

    রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে দেশের ধর্মস্থানগুলিকে পরিষ্কার রাখার আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) দেশবাসীর কাছে আর্জি রেখেছিলেন, রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে দেশের সমস্ত মন্দির প্রাঙ্গণ এবং তীর্থস্থান পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এর জন্য বিশেষভাবে স্বচ্ছতা অভিযানে নামার অনুরোধও করেন তিনি দেশের মানুষকে। সেই মতো শুক্রবার নিজেই শুরু করলেন ধর্মস্থান স্বচ্ছতা অভিযান। নাসিকের কলারাম মন্দিরে এদিন প্রথমে  তিনি মারাঠি সন্ত একনাথের ভবার্থ রামায়ণ গাঁথা শোনেন। তারপর ওই মন্দিরেই ঝাঁটা, বালতি হাতে নেমে পড়েন নমো। সাফাই অভিযানের ছবি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়।

    জাতীয় যুব দিবসে বিবেকানন্দ স্মরণ

    শুক্রবার তিনি ভারতের দীর্ঘতম অটল সেতুরও উদ্বোধনও করবেন। তার আগে যুব দিবসে সকালে নাসিকের যুব সমাজের উদ্দেশ্যে বক্তব্যও রাখেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, ‘‘মহর্ষি অরবিন্দ এবং স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন যে তরুণদের স্বাধীন চিন্তা ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম উন্নয়ন ও উত্তরাধিকার দুটোই চায়। আজকের তরুণ প্রজন্ম দাসত্বের প্রভাব থেকে মুক্ত।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ইডি-র ওপর হামলার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার দুই, খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের

    ED: ইডি-র ওপর হামলার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার দুই, খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ইডি-র (ED) ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় এক সপ্তাহ পর টনক নড়ল পুলিশের। ওই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নবান্নে রিপোর্ট তলব করেছিল। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এই হামলার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। এসবের পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজ্য পুলিশের ডিজি গঙ্গাসাগরে গিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিলেন। তারপরও পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন করেন। তারপরই হুঁশ ফিরল পুলিশের। চাপে পড়ে পুলিশ বিজেপির আন্দোলনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মেহবুব মোল্লা, সুকমল সর্দার। তবে, হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান এখনও ফেরার। তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ।

     ইডি-র (ED) ওপর হামলার ফুটেজ দেখে গ্রেফতার

    সন্দেশখালিতে গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। ইডির দাবি, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। ইডি (ED) আধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে ফেলে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। ইডি আধিকারিকরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডিকে। তিন জন আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তিও করাতে হয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুজনকে পুলিশ চিহ্নিত করে। ঘটনার পর তারা গাঢাকা দিয়েছিল। দু’জনই ভেড়ি এলাকায় লুকিয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি সরবেরিয়া এলাকায়। ইডির উপর হামলার ঘটনায় তাঁরা জড়িয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের খোঁজ মিলেছে। ন্যাজাট থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। যদিও ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    ইডি-র হামলার ঘটনায় তিনটি এফআইআর

    সন্দেশখালিতে ইডি (ED) অভিযানের সময় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় এক হাজার অনুগামী। এই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় পর পর তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। হামলার পর ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। একটি এফআইআর করা হয় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে। এ ছাড়া, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে একটি এফআইআর দায়ের হয় একই থানায়। মার খাওয়া আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মামলায় ইডির বিরুদ্ধে এফআইআরটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali Kirtan: বাংলা কীর্তনের হারানো গরিমা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ শুরু কলকাতায়

    Bengali Kirtan: বাংলা কীর্তনের হারানো গরিমা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ শুরু কলকাতায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার পদাবলি ‘কীর্তন’ (Bengali Kirtan) ভারতীয় সংগীতের এমন একটি অধ্যায়, যার সাংগীতিক উপাদান, ভাষা, দর্শন এবং নান্দনিক আবেদন সবই অভিজাত শ্রেণির। বর্তমানে বাংলা সংগীতের এই সুবিশাল সম্পদ সঠিক সংরক্ষণ ও চর্চার অভাবে শিক্ষিত ও রুচিশীল গুণগ্রাহীদের কদর পায় না। সেই সব হারিয়ে যাওয়া, অপ্রচলিত উচ্চাঙ্গের কীর্তনকে জনসমক্ষে ফিরিয়ে আনার এক অভিনব উদ্যোগ শুরু হল, যার পোশাকি নাম ‘দরবারি পদাবলি’।

    নানা ধারায় বিকশিত বাংলা কীর্তন (Bengali Kirtan)

    মধ্যযুগের কবি জয়দেব রাজা লক্ষ্মণ সেনের দরবারে যে ‘গীত গোবিন্দম্’-এর পরিবেশনা করতেন, তার সুর-তাল ও কাঠামোর ভিত্তি ছিল প্রাচীন রাগ-রাগিনী ও গান্ধর্ব সংগীত থেকে জাত বিভিন্ন প্রবন্ধ গীতে ব্যবহৃত তাল। দরবার থেকেই যে সংগীতের পথ চলা শুরু, সেই গান মঠ-মন্দিরে আশ্রয় পায় বিদেশি আক্রমণের ঘাত-প্রতিঘাতে। আবার সেই গান পথে নেমে এসে আপামর বাঙালির সঙ্গী হয়ে ওঠে চৈতন্যদেবের গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারের সময়। নানা ধারায় বাংলা কীর্তন (Bengali Kirtan) বিকশিত হয়ে বঙ্গ সমাজের অঙ্গ হয়ে ওঠে।

    প্রাচীন আভিজাত্য আর চোখে পড়ে না

    তবু আজ ফিরে তাকালে, কীর্তনের সেই প্রাচীন আভিজাত্য আর চোখে পড়ে না। কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্র ছাড়া সেই ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে ক্রমেই  কীর্তনের সাংগীতিক উৎকর্ষতা লঘু হয়ে পড়েছে। কীর্তনের বিভিন্ন অঙ্গ ও বিষয়বস্তু রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে বহু বাঙালি সুরকার ও সাহিত্যিকের সৃষ্টির অংশ হয়েছে ঠিকই। তবু  অনেক ক্ষেত্রেই কীর্তনকে লোকগান, ধর্মীয় বা লোকাচারের বিষয় মনে করা হয়েছে, এমনকী ব্যঙ্গও করা হয়েছে। এই ভ্রান্তি দূর করে কীর্তনের (Bengali Kirtan) ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও নান্দনিক দিকটি আজকের প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই ‘দরবারি পদাবলি’র উদ্দেশ্য।

    হতে চলেছে অভিনব অনুষ্ঠান (Bengali Kirtan)

    আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী পণ্ডিত শ্যামকক সুন্দর গোস্বামীর সারা জীবনের গবেষণা এবং তাঁর শিষ্যা শ্রীমতী দেবলীনা ঘোষের অনুসন্ধানের নির্যাস প্রকাশ পাবে এই অনুষ্ঠানে। গুরু-শিষ্য পরম্পরার এক অনন্য নিবেদন রচনা হবে বাংলার দর্শকের দরবারে। দেবুস দরবার ও হিন্দুস্থান রেকর্ডের উদ্যোগে এই ‘দরবারি পদাবলি, রূপ অপরূপ’ বিষয়ে এক অভিনব অনুষ্ঠান (Bengali Kirtan) হতে চলেছে কলকাতার বিড়লা আকাদেমি সভাঘরে, আগামী ১৯ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। সহযোগিতায় ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: ‘জামাল কুদু’ গানে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে তৃণমূল নেতার চটুল নাচ

    Panihati: ‘জামাল কুদু’ গানে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে তৃণমূল নেতার চটুল নাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার ‘জামাল কুদু’ গান এখন সুপারহিট। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে এই গান। অনেকেই মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে সেই নাচের ছবি আপলোডও করছেন। কয়েকদিন আগে পরিচালক শ্রীজিত মুখোপাধ্যায়কে একটি পার্টিতে এই গানের তালে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে নাচ করতে দেখা গিয়েছিল। যদিও শেষে সেই গ্লাস মাথা থেকে নীচে পড়ে বিপত্তি বেধে যায়। এই খবর নিয়ে টলিউডে বেশ চর্চা হয়েছিল। এবার সেই বিখ্যাত জামাল কুদু-র গানের তালে মদের গ্লাস নিয়ে নাচ করতে দেখা গেল পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি বাবু পালকে। ভিডিও ঘুরছে লোকজনের ফোনে ফোনে। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। পানিহাটি জুড়ে তৃণমূল নেতার এই চটুল নাচ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল, কী বললেন দলীয় কাউন্সিলর? (Panihati)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি বাবু পাল। সঙ্গে ছিলেন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী। বার্ষিক অনুষ্ঠানের মধ্যেই শুরু হয় হিন্দি গান। আর ‘জামাল কুদু’ গান বাজতেই সেই অনুষ্ঠানের ভাইরাল ভিডিওতে মাথায় মদের গ্লাস নিয়ে নাচতে দেখা গিয়েছে বাবু পালকে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কাউন্সিলর সুভাষ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তা ঠিক মতোই হয়েছে। কেউ হয়তো এটা করে ফেলেছে। তবে, এটা ঠিক হয়নি, অন্যায় করেছে। আমি দেখব এই মানুষগুলো যেন পার্টির সামনে না আসে। যদিও ঘটনায় বাবু পালের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, এই দলটাই তো জামাল কুদুর দল। সেই দলের কর্মীরা মদের গ্লাস নিয়ে নাচবে না তো কী করবে! দলটাই তো চলছে মাতালদের নিয়ে। দলের ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital Infection: হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়েই সংক্রমণ, ফি-বছর বাড়ছে মৃত্যু!

    Hospital Infection: হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়েই সংক্রমণ, ফি-বছর বাড়ছে মৃত্যু!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কয়েক দিন আগেই উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খাঁ-র মৃত্যু ফের প্রশ্ন তুলল। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন সেখান থেকেই সংক্রমণ (Hospital Infection), আর তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে এই বিশিষ্ট সংগীত শিল্পীর। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা‌। তবে, রশিদ খাঁ-র ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে কয়েক হাজার মানুষ এইভাবেই মারা যান। আর এই রোগের নাম হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন।

    হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন কী? (Hospital Infection) 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হাসপাতালে কোনও কোনও রোগীকে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন ভর্তি থাকতে হয়। দেখা যায়, হাসপাতালে থাকার জন্য রোগীর দেহে নানা সংক্রমণ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে‌। একেই বলে হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন রোগী (Hospital Infection)। যেসব রোগীকে দীর্ঘ সময় ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা করতে হয়, তাঁরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। অনেক সময়েই দেখা যায়, ভেন্টিলেশনে থাকার জেরে ফুসফুসে জল জমে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্লাড স্ট্রিম ইনফেকশন হয়। দীর্ঘ সময়ে রোগীর দেহে নানা ধরনের সাপোর্ট সিস্টেম দেওয়া থাকলে, সেখান থেকে এই ব্লাড স্ট্রিম ইনফেকশন হতে পারে। আবার ইউরিনারি ট্র্যাকেও ইনফেকশন হয় হাসপাতাল থেকে। রোগী দীর্ঘ সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকলে ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয়। সেখান থেকেই মূত্রনালীতে সংক্রমণ ঘটতে পারে।
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘ সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকলে রোগীকে নানা যন্ত্র দেওয়া হয়। যেমন অক্সিজেন, স্যালাইন, ক্যাথেটার, এছাড়াও নানান জীবনদায়ী যন্ত্র। আর লাগাতার এই কৃত্রিম পরিবেশে থাকার জেরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। তাছাড়া হাসপাতালে বিভিন্ন রোগীরা থাকেন।‌ বাতাসেও থাকে জীবাণুর দাপট। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।‌ তাই এক রোগের চিকিৎসা করাতে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকলে, হাসপাতাল থেকেই আর এক সংক্রমণ রোগের শিকার হতে পারে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন।‌

    এই রোগের প্রকোপে মৃত্যুহার কত? (Hospital Infection) 

    বিশ্ব‌জুড়ে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, প্রতি বছর আমেরিকায় ৯৯ হাজার মানুষ হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশনে আক্রান্ত হন। যার একটি বড় অংশ মারাও যান। আমেরিকার মতো এই সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতীয় চিকিৎসক মহল। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, এ দেশে হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশনের হার গত কয়েক বছরে ক্রমশ বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে এই সংক্রমণের হার ২.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪ শতাংশ।‌ করোনা মহামারির সমস্যার পরে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও‌ মূলত প্রবীণ রোগীদের এই ধরনের ঝুঁকি (Hospital Infection) বেশি দেখা যেত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, কম বয়সীরাও এই সমস্যায় ভুগছেন। 

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? (Hospital Infection) 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চিকিৎসকদের পাশপাশি স্বাস্থ্য কর্মীদের এই সমস্যা নিয়ে আরও সতর্ক থাকতে হবে। তাঁঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয় না। তাই এই ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন (Hospital Infection) রোধ করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হাত পরিষ্কার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর্মীদের এই অভ্যাস যেন‌ থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। পাশপাশি মাস্ক পরা এবং এয়ার পিউরিফায়ারের দিকে নজরদারি জরুরি। কারণ, হাসপাতালে একাধিক রোগী‌ একসঙ্গে থাকে। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া যে কোনও জীবনদায়ী যন্ত্র রোগীকে দেওয়ার আগে তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calendar: ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি কীভাবে? ইংরেজি বছরের মাসের নামকরণের কারণ জানেন?

    Calendar: ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি কীভাবে? ইংরেজি বছরের মাসের নামকরণের কারণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের হিসেব যেমন রাখা জরুরি, ঠিক তেমনই সারা বছরে দিন ও মাসের হিসেব রাখতে হয়। আর এই হিসেব জানতে আমাদের চোখ রাখতে হয় ক্যালেন্ডারের দিকে। সেই ক্যালেন্ডারে (Calendar) চোখ রাখলেই আমাদের নজরে আসে বারোটি মাসের নাম। কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এই বারোটি মাসের নামের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে? প্রত্যেক বাড়িতে বা অফিসে যে ক্যালেন্ডার আমাদের চোখে পড়ে, তা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত। এখানে বছরের শুরু হয় জানুয়ারি মাস থেকে। বছরের হিসেব এই জানুয়ারির ১ তারিখ থেকেই ধরা হয়। এছাড়াও গোটা বিশ্বে আরও অনেক ধরনের ক্যালেন্ডার আছে। কিন্তু সমস্ত ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে এই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়।

    কী এর ইতিহাস? (Calendar)

    এই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি হয় ১৫৮২ সালে। রাশিয়ার জুলিয়ান নামক ক্যালেন্ডার (Calendar) সারা বিশ্বে প্রচলিত ছিল, যেখানে দশ মাসে এক বছর ধরা হত, যেখানে বড়দিনের জন্য নির্দিষ্ট কোনও দিন নির্ধারিত ছিল না। পরবর্তী ক্ষেত্রে আমেরিকার আলোসিয়াস লিলিয়াস ১৫৮২ সালের ১৫ অক্টোবরকে বড়দিনের জন্য বেছে নেন। এর পরে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার আসার পর থেকে ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে বড়দিন হিসেবে উদযাপিত করা শুরু হয়। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, বাকি মাসের নামগুলির উৎপত্তি কীভাবেে হল? আসুন সেগুলি দেখে নেওয়া যাক।

    কীভাবে নামকরণ হয় প্রত্যেক মাসের? (Calendar)

    বছরের প্রত্যেকটি মাসের নামকরণের পিছনে আছে আলাদা আলাদা কারণ। আসুন দেখে নিই সেই কারণগুলি।

    জানুয়ারি: এই মাসের নামকরণ করা হয়েছিল রোমান দেবতা জানুসের নাম অনুসারে। যাকে ল্যাটিন ভাষায় জেনারিস বলে সম্বোধন করা হত। আর এই জেনারিস থেকেই জানুয়ারি নামের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।

    ফেব্রুয়ারি: বছরের দ্বিতীয় মাস হল ফেব্রুয়ারি যা ল্যাটিন শব্দ ফ্যাবরা থেকে এসেছে। আবার অনেকের মতে, ফেব্রুয়ারি মাসের নামকরণ হয়েছে রোমান দেবী ফেব্রুয়ারিয়ার নাম অনুসারে।

    মার্চ: বছরের তৃতীয় মাস হল মার্চ। মনে করা হয়, রোমান দেবতা মাস্র-এর নাম অনুসারে এই মাসের নামকরণ করা হয়। আর রোমানে বছরের শুরু হয় এই মার্চ মাস থেকেই। 

    এপ্রিল: বছরের চতুর্থ মাস হল এপ্রিল, ল্যাটিন শব্দ অ্যাপিরিয়ার থেকে এপ্রিল মাসের উৎপত্তি। এই অ্যাপিরিয়ার শব্দের অর্থ হল ফুলের কুঁড়ি। রোমে বসন্ত ঋতু সূচনা হয় এই মাসেই, যেখানে ফুল ও ফুলের কুঁড়ি ফুটতে দেখা যায়।

    মে: রোমান দেবতা মার্কারির নাম অনুসারে বছরের পঞ্চম মাস মে মাসের উৎপত্তি হয়েছে।

    জুন: রুমের শ্রেষ্ঠ দেবতা জিউস-এর স্ত্রীর নাম ছিল জুনো। তা এই জুন মাসের উৎপত্তি হয়েছে (Calendar)।

    জুলাই: রোমান সাম্রাজ্যের এক শ্রেষ্ঠ শাসক জনপ্রিয় জুলিয়াস সিজারের নাম থেকেই জুলাই মাসের নামকরণ করা হয়। এই মাসেই জুলিয়াস সিজারের জন্ম ও মৃত্যু হয় বলে কথিত আছে।

    অগাস্ট: সেন্ট অগাস্টাস সিজারের নাম থেকে অগাস্ট মাসের উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়।

    সেপ্টেম্বর: ল্যাটিন শব্দ সেপ্টম থেকে সেপ্টেম্বর মাসের উৎপত্তি।

    অক্টোবর: ল্যাটিন শব্দ অক্টো থেকে অক্টোবর মাসের নামকরণ করা হয়।

    নভেম্বর: ল্যাটিন শব্দ নবম থেকে নভেম্বর শব্দটি আসে। 

    ডিসেম্বর: শব্দ ডিসেম থেকে উৎপত্তি হয় ডিসেম্বর নামের (Calendar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sarnath: গৌতম বুদ্ধ প্রথম উপদেশ দিয়েছিলেন এখানেই, পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা সারনাথ

    Sarnath: গৌতম বুদ্ধ প্রথম উপদেশ দিয়েছিলেন এখানেই, পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা সারনাথ

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, সারনাথ থেকে ফিরে: পাহাড়, সমুদ্র ছাড়া ইতিহাসের টানেও ভ্রমণপ্রিয় মানুষ ঘুরতে যায়। একে শিক্ষামূলক ভ্রমণও বলা যেতে পারে। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভ্রমণের গুরুত্ব যে কতটা, তা চাক্ষুষ করলাম সারনাথে পা রেখে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সারনাথে যখন পৌঁছালাম তখন দুপুর গড়িয়েছে। নেপালের রাজপুত্র সিদ্ধার্থ, গৌতম বুদ্ধ হয়ে তাঁর প্রথম উপদেশ সারনাথে (Sarnath) প্রদান করেছিলেন। তাই দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ভিড়ে থিক থিক করছে সারনাথ। বৌদ্ধ বিহার, স্তূপগুলির দেওয়ালজুড়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী এবং জীবনী নজরে পড়বে। সারনাথের মূল আকর্ষণ ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’ স্থান। এখানেই পাঁচ শিষ্যকে উপদেশ দান করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। ব্যাখ্যা করেছিলেন জীবনে দুঃখ-কষ্টের কারণ ও তার সমাধান নিয়ে।

    শিক্ষামূলক ভ্রমণে হাজির কলেজ পড়ুয়ারাও

    আগে থেকেই আমাদের জন্য ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল মহাবোধি সোসাইটির গেস্ট হাউস (Sarnath)। গেস্ট হাউসের অবস্থান ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’-এর স্থানের সামনেই। মহাবোধি সোসাইটি বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে কাজ করে। গেস্ট হাউস সংলগ্ন স্থানে চলছে মহাবোধি সোসাইটির স্কুলও। শিশু ও কিশোর বয়সের ছাত্ররা বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর বেশে সেখানে শিক্ষাগ্রহণ করছে। অরুণাচল প্রদেশ থেকে আসা এমন একাধিক ছাত্রর সঙ্গে কথা হল। এরপর আমরা বেরিয়ে পড়লাম ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’-এর  স্থানের দিকে। ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’-এর স্থান তখন ভিড়ে ঠাসা (Sarnath)। স্থানীয় কলেজগুলি থেকে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী সেদিন এসেছিলেন শিক্ষামূলক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। যে জায়গায় বসে গৌতমবুদ্ধ উপদেশ দিয়েছিলেন, সেখানে রয়েছে তাঁর মূর্তি। গোল করে বুদ্ধ মূর্তি ঘিরে আরও পাঁচ মূর্তি, এঁরা গৌতম বুদ্ধের প্রথম পাঁচ শিষ্য।

    কী বললেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী?

    জার্মানি থেকেও বেশ কয়েকজন পর্যটক এসেছেন দেখলাম। কথা হল তাঁদের মধ্যে একজনের সঙ্গে। বিদেশি পর্যটক জানালেন, ভারতের সংস্কৃতি তাঁকে টানে। গৌতম বুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান দর্শন করতেই তাঁর আসা। ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’-এর স্থানের মাহাত্ম্য আমাদের সামনে ব্যাখ্যা করলেন এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। বললেন, ‘‘তাঁর (গৌতম বুদ্ধ) গোটা জীবনজুড়েই অরণ্য। জন্মস্থান, তপস্যা স্থান এবং প্রথম উপদেশ স্থান, তিনটেই অরণ্যে।’’ আমাদের সঙ্গে থাকা চিত্র সাংবাদিক শ্যামল দত্ত তাঁর গোটা বক্তব্য রেকর্ড করলেন। ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’-এর (Sarnath) ঠিক পাশেই রয়েছে গৌতম বুদ্ধের বড় মন্দির। বাকি অংশ সবুজ ঘাষে মোড়া। শীতের সন্ধ্যায়, আলো-আবছায়াতে এক আলাদাই অনুভূতি মেলে সারনাথে। এখান থেকে বারাণসী যা ভারতের আধ্যাত্মিক রাজধানী বলে পরিচিত মাত্র আধঘণ্টায় পৌঁছানো যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সুবোধের বাড়িতে অভিযানের সময় হাজির দমদম থানার আইসি, ঢুকতেই দিল না ইডি

    ED: সুবোধের বাড়িতে অভিযানের সময় হাজির দমদম থানার আইসি, ঢুকতেই দিল না ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সাত সকালে বিশাল বাহিনী নিয়ে উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটিতে হানা দেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। অভিযান চলার সময় স্থানীয় দমদম থানার আইসি তৃণমূল নেতার বাড়ির ভিতরে ঢুকতে যান। কিন্তু, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে ঢুকতে দেননি। ইডি-র অভিযান চলার সময় রাজ্য পুলিশের সেখানে নাক গলানোর চেষ্টার ঘটনা প্রথম বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। ইডি-র অভিযানের সময় থানার আইসি কেন ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    থানার আইসিকে ঢুকতে বাধা ইডি-র (ED)  

    সাত সকালে ইডির তল্লাশি অভিযানের খবর পেয়ে দমদমের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিন নম্বর খলিসাকোটা পল্লিতে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতে পৌঁছেছিলেন দমদম থানার আইসি বঙ্কিম বিশ্বাস। সুবোধবাবুর বাড়ির চারদিকে তখন গিজগিজ করছেন জওয়ানরা। দমদম থানার আইসি নিজের পরিচয় দিয়ে এগিয়ে যান। খবর পেয়ে সুবোধবাবুর বাড়ির ভিতর থেকে দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন ইডির এক আধিকারিক। তাঁকে নিজের পরিচয়ও দেন বঙ্কিমবাবু। কিন্তু, ইডির (ED) কর্তা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার কোনও অনুমতি নেই। পরে, এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে দমদম থানার আইসি বঙ্কিম বিশ্বাস বলেন, ‘এটা আমার এরিয়া। সেই কারণেই আমি এখানে এসেছিলাম। আমার জানার অধিকার রয়েছে ভিতরে কী হচ্ছে।’ যদিও ইডির তরফে ভিতরে ঢোকার অনুমতি না মেলায় হতাশ হয়ে সেখান থেকে ফিরে যান আইসি।

    অয়ন শীলের বাড়িতে পাওয়া ফাইলে নাম ছিল সুবোধের!

    এদিন ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বিরাটির খলিসাকোটা পল্লির বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে সুবোধবাবুর বিরুদ্ধে। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রভাব খাটিয়েই নিজের ছেলেমেয়েকে পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন কিনা, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে ইডি (ED)। গত বছর অক্টোবর মাসে সিবিআই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। পাশাপাশি রাজ্যের ১২টি জায়গায় হানা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের বাড়ি থেকে প্রথম নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। ইডি সূত্রের খবর, সেখানে একটি ফাইল পাওয়া গিয়েছিল। ফাইলে ছিল একটি নামের তালিকা। তাতেই সুবোধ চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। আর সেই সূত্র ধরেই এদিন ইডি হানা দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কোটালের জল ঢুকল গঙ্গাসাগর মেলায়, প্লাবিত একাধিক দোকান-ক্যাম্প

    Gangasagar: কোটালের জল ঢুকল গঙ্গাসাগর মেলায়, প্লাবিত একাধিক দোকান-ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) পুণ্যস্নানের আগে বড়সড় বিপত্তি! অমাবস্যার কোটালে সমুদ্রের জলে প্লাবিত হল বেশ কয়েকটি দোকান সহ অস্থায়ী ক্যাম্প। চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারণ, মেলা চত্বরে সাগরের জল যাতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোটি কোটি খরচ করে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। সেই বাঁধের একটি অংশ ভেঙে যায়। জলে চলে যায় কোটি কোটি টাকা।

    কত দোকান প্লাবিত হল? (Gangasagar)  

    মূলত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অমাবস্যার কোটালের কারণে সাগরের জলে গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) প্লাবিত হয়ে যায় ৫ নম্বর ঘাট সংলগ্ন দোকান ও অস্থায়ী স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্প। সব মিলিয়ে ২০টি দোকানে জল ঢুকে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাঁচটি স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্প। তৎক্ষণাৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরিয়ে আনা হয় সেখানকার মানুষজনকে। তবে, পুণ্যস্নানের আগে দোকানে জল ঢুকে যাওয়ায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সমুদ্র এগিয়ে আসছে শুনেছিলাম। তবে, এভাবে দোকানে জল ঢুকে যাবে তা ভাবতে পারিনি।  

    গতবারের তুলনায় সাগর ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে

    বিপজ্জনক অবস্থায় গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম (Gangasagar)। সাগর ক্রমশ এগিয়ে আসায় এই বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গতবারের মেলায় সাগরের যা দূরত্ব ছিল, এবার এই দূরত্ব ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সাগরের আগ্রাসন ঠেকাতে পাঁচ ফুটের শালবল্লা, জিও ব্যাগ, ইট-বালি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সাগরপাড়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধের কাজ করা স্থানীয় ঠিকাদার কর্মী মানিক খাঁড়া বলেন, যেভাবে সমুদ্র এগিয়ে আসছে, তাতে আগামী দিনে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। আগে আরও একটি মন্দির (Gangasagar) সমুদ্রগর্ভে চলে গিয়েছে। এবার কি এটাও যাবে? বৃহস্পতিবারের ঘটনা সেই আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    সব টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে গিয়েছে, কটাক্ষ বিজেপি-র

    এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপি-র মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য যা খরচ করা হয়েছে, তা বিন্দুমাত্র কাজে লাগেনি। কাজও ঠিকমতো হয়নি। সমস্তটাই তৃণমূল নেতাদের পকেটে গিয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে মানুষ। না হলে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share