Tag: Bengali news

Bengali news

  • RG Kar Medical College: দুর্নীতির আখড়া আর জি কর হাসপাতাল! হাইকোর্টে মামলা সুকান্তর

    RG Kar Medical College: দুর্নীতির আখড়া আর জি কর হাসপাতাল! হাইকোর্টে মামলা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ এবং রেশন দুর্নীতির অভিযোগ আগেই উঠেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী মন্ত্রীরা গ্রেফতারও হয়েছেন এই মামলাগুলিতে। বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন বিষয়গুলি। এবার স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ তুলল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। কলকাতার সরকারি হাসপাতাল আর জি করের (RG Kar Medical College) পরিষেবা নিয়ে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। সোমবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। 

    কেন এই মামলা দায়ের করলেন সুকান্ত মজুমদার?

    বালুরঘাটের সাংসদের অভিযোগ, কলকাতার অন্যতম সরকারি হাসপাতাল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Medical College) দুর্নীতির আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার উদাহরণ হিসেবে টেনে আনেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের নাম। বঙ্গ বিজেপির প্রধানের দাবি, এই কলেজের প্রিন্সিপাল যাবতীয় দুর্নীতির পরেও, এমনকী তাঁর পদ থেকে বারবার বদলি হওয়া সত্ত্বেও ফিরে আসছেন। অন্যদিকে সুকান্তর আরও অভিযোগ, মৃতদেহগুলি এই হাসপাতালে বেআইনিভাবে ব্যবহার হয়। মৃতদের পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তাতে কাটাছেঁড়া করা হয়। হাসপাতালের (RG Kar Medical College) বর্জ্য পদার্থও বেআইনিভাবে খোলাবাজারে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ সুকান্তর। হাসপাতালের বর্জ্য পদার্থ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ কার্যত নজিরবিহীন। বালুরঘাটের সাংসদের মতে, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সেগুলি পুনর্ব্যবহার করেন।

    কাটমানি নেওয়া হয় টেন্ডার পাশ করতে

    রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাও যে কাটমানির অপসংস্কৃতির বাইরে নয়, তা সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগেই স্পষ্ট। সুকান্তর দাবি, আর জি করে টেন্ডার পাশ করাতে গেলে লাগে মোটা অঙ্কের কাটমানি। এর পাশাপাশি ছাত্রদের জন্য আসা অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয় যা বেআইনি। পরিকাঠামো উন্নয়নের দ্বিগুণ খরচ দেখানো হয় আবার কম দামি যন্ত্রপাতি বেশি দামে কেনা হয় বলেও অভিযোগ বালুরঘাটের সাংসদের। এর পাশাপাশি বেশিরভাগ কাজের বরাত পায় একটি বিশেষ সংস্থা। এই গোটা দুর্নীতি চক্র কাজ করছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের (RG Kar Medical College) নির্দেশে। এমনটাই অভিযোগ সুকান্তর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: সরকারি বাংলো এখনও খালি করেননি কেন? মহুয়াকে শো-কজ নোটিশ কেন্দ্রের

    Mahua Moitra: সরকারি বাংলো এখনও খালি করেননি কেন? মহুয়াকে শো-কজ নোটিশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে তিনি প্রশ্ন করতেন। তাঁর এই ‘কীর্তি’ সামনে আসতেই সাংসদ পদ খারিজ হয় তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra)। ছাড়তে বলা হয় দিল্লির সরকারি বাংলো। তবে এখনও সরকারি বাংলো খালি করেননি মহুয়া। সোমবার ঠিক এই কারণেই তাঁকে শো-কজ নোটিশ পাঠাল কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)। কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে বিষয়টি সামনে এসেছে। লোকসভায় প্রশ্ন করার বিনিময়ে শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির থেকে ঘুষ নিতেন তিনি। এই অভিযোগে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন মহুয়া। সংসদের ওয়েবসাইটের আইডি, পাসওয়ার্ড দুবাইকেন্দ্রিক ব্যবসায়ী হিরানন্দানিকে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে।

    ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো খালি করার কথা ছিল

    প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর সাংসদ পদ খারিজ হয় মহুয়ার (Mahua Moitra)। তখনই তাঁকে বলা হয়েছিল, ৭ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করে দিতে হবে। কেন এখনও তিনি খালি করেননি বাংলো, তা তিনদিনের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে তাঁকে। মহুয়ার দাবি ছিল, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর তিনি দিল্লির বাংলো খালি করবেন। যদিও সেটা সম্ভব ছিল না। কারণ সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পরে সরকারি ওই বাংলোতে থাকা যায় না। এই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করা একদা সাংসদ।

    দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে মহুয়ার দাবি 

    মহুয়ার (Mahua Moitra) আইনজীবী জানিয়েছিলেন, যদি তাঁর মক্কেলকে সংশ্লিষ্ট সময়ের জন্য বাংলোয় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে বর্ধিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য যে কোনও খরচ দিতেও প্রস্তুত। তবে কার্যত মহুয়ার আবেদন খারিজ করে দেয় কোর্ট। বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, সরকারি আবাসনে থাকার জন্য ডিওই-র কাছেই আবেদন করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়ে আইন মেনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত কিছু করতে পারবে না।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার ০৯/০১/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার ০৯/০১/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মদক্ষতায় চাকরির স্থানে সুনাম অর্জন করতে পারবেন।

    ২) বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে সংসারে অশান্তি। 

    বৃষ

    ১) আর্থিক ব্যাপারে ভাল সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    মিথুন

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে। 

    কর্কট

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও কোনও ভাল জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ। 

    সিংহ

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে আত্মত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন। 

    কন্যা

    ১) ধর্মালোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) মাত্রাছাড়া আবেগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। 

    তুলা

    ১) সসম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে। 

    বৃশ্চিক

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ধনু

    ১) ব্যবসায় লাভ হলেও অর্থ অপচয়ের সম্ভাবনাও আছে।

    ২) ছাত্রছাত্রীরা বহুমুখী প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন। 

    মকর

    ১) কুচিন্তা থেকে দূরে থাকুন।

    ২) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভাল। 

    কুম্ভ

    ১) কোনও আধ্যাত্মিক কাজ করতে হতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে কেউ  আপনাকে ঠকাতে পারে। 

    মীন

    ১) বিদেশযাত্রার ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: শাহজাহানকেই ধরতে পারল না পুলিশ, ডিজি নাকি কড়া ব্যবস্থা নেবেন!

    Sheikh Shahjahan: শাহজাহানকেই ধরতে পারল না পুলিশ, ডিজি নাকি কড়া ব্যবস্থা নেবেন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ডেরায় রেশন দুর্নীতি তদন্তে হানা দিয়েছিল ইডি। শাহজাহানের বাহিনীর হাতে ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হন। রাজ্যে প্রথম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে এভাবে বাধার মুখে পড়তে হয়। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। শাহজাহান সুন্দরবন এলাকাতেই ঘাপটি মেরে রয়েছেন। ঘটনার পর প্রায় চারদিন হতে চলল পুলিশ তাঁর টিকি ছুঁতে পারেননি। এতদিন পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। ঘটনার চারদিন পর ডিজি রাজীব কুমার যা বললেন তা শাহজাহান কবে গ্রেফতার হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন ডিজি?

    সোমবার গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে যান ডিজি রাজীব কুমার। সন্দেশখালিতে ইডি-র হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে বা যাঁরা আইনভঙ্গ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এমনিতেই শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে ইডি। বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতেই এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন তিনি। তারপরও গত চারদিন হতে চলল তাঁকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি পুলিশ। এতদিন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে মনে হয় না। তবে, চারদিন পর অভিযুক্ত শাহজাহানকে গ্রেফতার করে এভাবে প্রকাশ্যে ডিজি মুখ খুললে ভালো হত, এমনই মনে করছে বিরোধীরা।

    ঠিক কী হয়েছিল সন্দেশখালিতে? (Sheikh Shahjahan)

    ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে রেশন দুর্নীতি মামলার সূত্রে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বেনজির হামলার শিকার হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন ইডি আধিকারিক। তারপর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই শেখ শাহজাহানের একটি অডিও টেপ সামনে আসে। সেখানে সিবিআই বা ইডিকে যাতে সন্দেশখালি তথা তাঁর অনুগামীরা ভয় না পান, সেই হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শেখ শাহজাহান সন্দেশখালির এক তৃণমূল নেতার বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু। ঘটনা হল, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিমানবন্দরকে এ-ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনওমতেই যাতে তৃণমূল নেতা পালাতে না পারেন। রবিবার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ইডি-র হামলার নিন্দা করেছেন। শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি তা পুলিশ প্রশাসনের কাছে জবাব তলব করেছেন। এরপরই ডিজিপি মুখ খুললেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: রাজ্যে ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতা, ডাইনি অপবাদে ঘর পোড়াল দুষ্কৃতীরা

    Uttar Dinajpur: রাজ্যে ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতা, ডাইনি অপবাদে ঘর পোড়াল দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতার চিত্র ধরা পড়ল। ডাইনি অপবাদ দিয়ে এক আদিবাসী দম্পতির ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত পানিশালা এলাকার ধোঁয়াবিশুয়া গ্রামে। উল্লেখ্য, আগেও দুই মহিলকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল মালদা জেলায়। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    স্থানীয় (Uttar Dinajpur) সূত্রে জানা গিয়েছে, আদিবাসী ওই দম্পতির নাম সোম মার্ডি ও সাংজু মুর্মু। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদেরকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে কিছু দুষ্কৃতী প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রামের মাতব্বরদের জানালে এক দফা সালিশি সভাও হয়। সেখানে কোনও মীমাংসা না হুওয়ায় হুমকি অব্যাহত ছিল। এরপরেই গত ৬ জানুয়ারি রাতে তাঁদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা৷

    কোনও মতে প্রাণে রক্ষা দম্পতির

    তাঁদের বাড়িতে (Uttar Dinajpur) আগুন ধরিয়ে দিলে চিৎকারে ছুটে আসে পাড়া-প্রতিবেশীরা। কোনও মতে প্রাণে রক্ষা পান ওই দম্পতি। কিন্তু আগুনে বসতভিটে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার সঙ্গে নগদ ২০ হাজার টাকাও পুড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে এই তীব্র শীতে বাড়িঘর খুইয়ে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছে আদিবাসী পরিবারটি।

    থানায় অভিযোগ দায়ের

    কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা স্পষ্ট জানা না গেলেও আক্রান্ত দম্পতি বেশ কয়েকজনের নামে রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদের নাম মংলু মার্ডি, বুধু মার্ডি, সুপ্রণ মার্ডি, জেঠা মার্ডি৷ রাতের অন্ধকারে ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার জন্যই এই ঘটনা পরিকল্পনা করে ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ আক্রান্ত দম্পতির। যদিও ঘটনার পরেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা।

    আদিবাসী দম্পতির বক্তব্য

    উত্তর দিনাজপুরের পেশায় কৃষক সোম মার্ডি বলেন, “মাস দুয়েক হল ডাইনি অপবাদ দিয়ে ঘরছাড়া করার চেষ্টা চালাচ্ছে আমাদের কয়েকজন আত্মীয়। একাধিকবার আমাকে প্রাণে মারার হুমকিও এসেছে। এবারে বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে ওরা। কীভাবে পরিবার নিয়ে বসবাস করব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে।” আবার সোম মার্ডির স্ত্রী সাংজু মুর্মু বলেন, “রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা এসে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। সোনা-গয়না, নগদ টাকা, জরুরি কাগজপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কীভাবে আমরা এলাকায় বাস করব, তা চিন্তা করেই কুলকিনারা পাচ্ছি না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: খেলার মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Khardah: খেলার মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে কামারহাটি এলাকায় দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অবাধেই আগ্নেয়াস্ত্র ঘোরাফেরা করছে দুষ্কৃতী থেকে সাধারণ যুবকদের হাতে। খড়দার (Khardah) খেলার মাঠে গন্ডগোলের ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দা (Khardah) পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে শিবমন্দির এলাকায় রবিবার রাতে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা চলছিল। সেখানে অনেক দর্শকও ছিল। খেলার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আচমকা দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। গন্ডগোলের কারণে মাঝপথেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। খেলোয়াড়রা ব্যাট, বল ছেড়ে একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। অভিযোগ, সেই সময় খেলোয়াড়দের এক পক্ষের হয়ে বাইর থেকে দলবল নিয়ে খেলার মাঠে হাজির হয়। অন্যপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন বিকাশ রাজভর নামে এক খেলোয়াড়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে বিকাশ রাজভর নামে ওই খেলোয়াড়ের উপর চড়াও হন। বন্দুকের বাঁট দিয়ে বিকাশের মাথায় আঘাত করা হয়। হামলার জেরে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় খড়দা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ওয়ান শটার বন্দুক উদ্ধার করে। যদিও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, খেলার মাঠে কোনও বিষয় নিয়ে গন্ডগোল হতেই পারে, তার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালাতে হবে? সেখানে প্রচুর দর্শক ছিল। গুলি চললে বড় বিপদ হতে পারত। পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি অভাবের কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। নাহলে এই ধরনের ঘটনা আগামীদিনে আরও অনেক বাড়বে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ সরকারি অবহেলায় আজ ভুতুড়ে বাড়ি! কোয়ার্টার তৃণমূলের দখলে

    South 24 Parganas: ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ সরকারি অবহেলায় আজ ভুতুড়ে বাড়ি! কোয়ার্টার তৃণমূলের দখলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় ১০ শয্যার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধনী ফলক পড়ে রয়েছে মাঠে। ভাঙা জানালা, ভেতরে নেই কোনও সরঞ্জাম, দেওয়াল জুড়ে আগাছা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে বাড়িতে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সরকারি কোয়ার্টারগুলি পরিণত হয়েছে গোয়ালঘর ও মুরগির খামারে। এমনই বেহাল অবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার মোহনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

    দীর্ঘদিন বেহাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র (South 24 Parganas)

    জানা যায়, প্রায় পাঁচ বিঘা জমির উপর অবস্থিত মোহনপুর (South 24 Parganas) প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এলাকার মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ২০১১ সালে ১০ শয্যাবিশিষ্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয়। এলাকার বাসিন্দা ভীম হালদার বলেন, “নামেই উদ্বোধন হয়েছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির। কিন্তু কখনও পরিষেবা চালু হয়নি। মোহনপুর এলাকাসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য কোনও হাসপাতাল নেই। ইমারজেন্সি রোগীদের নিয়ে যেতে হয় ২০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে। এনিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বেশি শয্যাবিশিষ্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করার জন্য প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দরবার করা হলেও দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।

    ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলে চিকিৎসা

    বর্তমানে শুধুমাত্র আউটডোর পরিষেবা পাওয়া যায় মোহনপুর (South 24 Parganas) সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। তাও সপ্তাহে মাত্র দুদিন চিকিৎসক আসেন, আর বাকি দিনগুলো ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলে চিকিৎসা পরিষেবা। তাতেও অনিয়মিত পরিষেবা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন এলাকার বাসিন্দারা। এবিষয়ে মোহনপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট দেবাশীষ রাউত বলেন, “মগরাহাট দু নম্বর ব্লকে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে, তাই সপ্তাহে দুদিন চিকিৎসক আসেন। এমনকী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল অবস্থার কথাও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজও একই অবস্থাতে রয়েছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (South 24 Parganas) বেহাল অবস্থা নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রচ্ছন্ন ভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা চালু করতে হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টারগুলি তৃণমূলের লোকজন দখল করে রয়েছে।

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য

    ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার (South 24 Parganas) মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার জয়ন্ত সুকুল বলেন, “মোহনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রতে খুব শীঘ্রই পরিষেবা চালু করা হবে। তবে মগরাহাট দু’নম্বর ব্লকে চিকিৎসকের ঘাটতি থাকায় সপ্তাহে দুদিন আউটডোর পরিষেবাতে চিকিৎসক যান।” অবশ্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান জুলফিকার আলি মণ্ডল জানান, “এলাকার বেশ কিছু মানুষ সরকারি কোয়ার্টার দখল করে রয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু ঠিক করার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: তৃণমূলের দাদাগিরি! সেমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারলেন না মেডিক্যাল পড়ুয়ারা

    Kamarhati: তৃণমূলের দাদাগিরি! সেমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারলেন না মেডিক্যাল পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটির (Kamarhati) সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাদাগিরি। তৃণমূলের ছাত্র নেতাদের হুমকির জেরে প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থীরা সেমেস্টার পরীক্ষায় বসতে পারলেন না। বলা ভালো, তৃণমূলের বাধায় সেমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারলেন না পড়ুয়ারা। যা নিয়ে জোর আলোড়ন তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kamarhati)

    গত ৫ই জানুয়ারি কামারহাটির (Kamarhati) সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রথম বর্ষের ছাত্রদের সেমেস্টার পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আগাম তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো পড়ুয়ারা প্রস্তুতি শুরু করেন। কিন্তু, ৩ জানুয়ারি থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে ছাত্রদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পরীক্ষা দিতে না যাওয়ার জন্য ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে পরীক্ষার দিন সকালে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের হস্টেলের ডর্মেটরিতে এসে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়। আর এটা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়। ফলে, ১২৫ জন মেডিক্যাল পড়ুয়া কেউ সেমেস্টারের পরীক্ষা দেননি।

    প্রতিবাদে বাম ছাত্র সংগঠন

    তৃণমূল ছাত্র নেতাদের এই দাদাগিরির বিরোধিতা করেছে সর্বভারতীয় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের (এআইডিএসও) সদস্যরা। এদিন সর্বভারতীয় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের সদস্য বিক্রম মণ্ডল, সায়ন দাসেরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে লিফলেট বিলি করেন। তাঁদের বক্তব্য, মেডিক্যাল কলেজে এই ধরনের দাদাগিরি মেনে নেওয়া যায় না।

    তৃণমূল ছাত্র নেতা কী সাফাই দিলেন?

    কামারহাটি (Kamarhati) সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র প্রামাণিক বলেন, এই অভিযোগ একেবারে মিথ্যে। ছাত্ররা যদি পরীক্ষা দিতে না চান তার দায় আমাদের নয়। শুধু একটা মেসেজ এসেছিল সেটা ফরওয়ার্ড করেছি। তার মানে তো এটা নয় যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ওই মেসেজ করেছে। আসলে বাংলার শাসক দলের নাম বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গৌড়বঙ্গে নেট পরীক্ষার সেন্টারের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: গৌড়বঙ্গে নেট পরীক্ষার সেন্টারের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট বা নেট পরীক্ষার সেন্টার মালদায় করার দাবিতে সরব হয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar) উদ্যোগ নিয়েছেন। এনিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে লিখিতভাবে জানাতে চলেছেন।

    দুবছর আগেও মালদার সেন্টারে হত নেট পরীক্ষা

    কলেজে অধ্যাপনা ও উচ্চশিক্ষার জন্য নেট পরীক্ষা আবশ্যক। বছরে দু’বার করে এই পরীক্ষা হয়। দু’বছর আগেও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, মালদা ও শিলিগুড়িতে নেট পরীক্ষা নেওয়া হত। গৌড়বঙ্গের পরীক্ষার্থীদের জন্য মালদার একটি পরীক্ষার কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হত। তবে, ২০২২ সালের পর থেকে গৌড়বঙ্গে আর কোনওরকম পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়নি। শুধুমাত্র গৌড়বঙ্গ নয়, মুর্শিদাবাদেও কোনওরকম পরীক্ষা কেন্দ্র নেই। বর্তমানে কলকাতা ও শিলিগুড়িতে নেট পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। গৌড়বঙ্গে তিন জেলা মিলিয়ে প্রায় ১৫-২০ হাজার পরীক্ষার্থী নেট পরীক্ষায় বসেন। মালদায় পরীক্ষা কেন্দ্র হলে দুই দিনাজপুর ও মালদার পরীক্ষার্থীদের সুবিধা হত। গত দুবছর ধরে তা বন্ধ রয়েছে। ফলে, গৌড়বঙ্গের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয় কলকাতা অথবা শিলিগুড়িতে যেতে হচ্ছে। পরীক্ষার দু-তিন দিন আগে পরীক্ষা কেন্দ্র জানানো হয়। যার ফলে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়। পরীক্ষা দিতে গিয়ে থাকা খাওয়া ও যাওয়াটা ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। তাই, পড়ুয়ারা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দ্বারস্থ হয়েছেন।

    পরীক্ষার্থীদের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে বালুরঘাটের নেট পরীক্ষার্থী প্রদ্যুৎ মণ্ডল বলেন, বালুরঘাট থেকে কলকাতা বা শিলিগুড়িতে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়াটা অনেকটাই ব্যয়বহুল। আগের মতো মালদাতে যদি একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাহলে পরে আমাদের জেলার পরীক্ষার্থীদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে নেট পরীক্ষার্থী অসীম বর্মন বলেন, বছরে দুবার করে নেট পরীক্ষা হয়। একটা সময় মালদায় পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল। এখন আর মালদায় পরীক্ষা হয় না। গৌড়বঙ্গে যদি পরীক্ষার কেন্দ্র হয়, তাহলে আমাদের মতো সকলের সুবিধা হবে।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি কী বললেন? (Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। গৌড়বঙ্গের পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার যে কোনও একটিতে যাতে পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দেব। প্রয়োজনে এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cancer: মুক্তি পেয়ে সমাজের মূল স্রোতে, ক্যান্সারজয়ীদের গান-আবৃত্তিতে মুখর প্রেক্ষাগৃহ

    Cancer: মুক্তি পেয়ে সমাজের মূল স্রোতে, ক্যান্সারজয়ীদের গান-আবৃত্তিতে মুখর প্রেক্ষাগৃহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাপে কামড়ালে বিষে যতজনের না মৃত্যু হয়, তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হয় আতঙ্কে। ক্যান্সার (Cancer) নামটা শুনলেও আতঙ্কে অর্ধমৃত হয়ে যান আক্রান্তরা, এমনকী তাঁদের বাড়ির লোকজনও। কিন্তু ক্যান্সারের আরোগ্য শুধু যে সম্ভব তা নয়, এই রোগ থেকে সেরে ওঠার পরে একেবারে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাও সম্ভব। সেটা দেখাতেই অনুষ্ঠান হয়ে গেল কলকাতার মহাজাতি সদনে। নতুন বছরের প্রথম রবিবার, ৭ জানুয়ারির অনুষ্ঠান মনে করিয়ে দিল রবীন্দ্রনাথের সেই অবিস্মরণীয় পংক্তি-“যত বড়ো হও, তুমি তো মৃত্যুর চেয়ে বড়ো নও। আমি মৃত্যু-চেয়ে বড়ো”।

    গান গাইলেন হৃদয় দিয়ে (Cancer)

    ক্যান্সার (Cancer) জটিল রোগ হলেও এখন যে আর মারণ রোগ নয়, সেকথা শোনালেন এই রোগ থেকে যাঁরা মুক্তি পেয়েছেন, তাঁরা, নিজের মুখে। দুবেলা মরার আগে না মরে তাঁরা যে শুধু মৃত্যুকে জয় করেছেন তা নয়, সযত্নে লালন করেছেন মননকেও। তাই গান-আবৃত্তিতে মুখর প্রেক্ষাগৃহ শুনল তাঁদের হৃদয়ের গান, হৃদয়ের ছন্দ। মনে করিয়ে দিল মান্না দে’র কণ্ঠে গাওয়া সেই অমর গান-“হদয়ের গান শিখে তো গায় তো সবাই/ ক’জনা হৃদয় দিয়ে গাইতে পারে?” অনুষ্ঠানে হৃদয় দিয়ে গান গাইলেন ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া মানুষজন।

    স্বাভাবিক জীবনেও ফেরা যায় (Cancer)

    রক্তের বিবিধ রোগ, বিশেষ করে ব্লাড ক্যান্সারের (Cancer) মতো মারণ রোগও রুখে দেওয়া যায় প্রকৃত চিকিৎসার মাধ্যমে। জটিল ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসা ক্যান্সারজয়ীরা শোনালেন তাঁদের ক্যান্সার জয়ের কাহিনি। রবিবার কলকাতার মহাজাতি সদনে ‘উজ্জীবন’ নামে এক অনুষ্ঠানে তাঁরা জানান, ক্যান্সারের আরোগ্য শুধু যে সম্ভব তাই নয়, এই রোগ থেকে সেরে ওঠার পরে একেবারে স্বাভাবিক জীবনেও ফেরা যায়।

    বার্ষিক মিলন উৎসব

    বিগত কয়েক বছর ধরে উপযুক্ত চিকিৎসায় ক্যান্সার রোগীদের সারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছেন যিনি, সেই বিশিষ্ট রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌম্য ভট্টাচার্য-র ডাকে কয়েকশো ক্যান্সার সারভাইভার রবিবার এসেছিলেন এই বার্ষিক মিলন উৎসবে। এখানে তাঁরা নিজেদের ক্যান্সার জয়ের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। অনেকেই জানান, দেশ-বিদেশে চিকিৎসা করিয়েও যখন তাঁদের ক্যান্সার রোগ সারছিল না, তখন সৌমবাবুর সান্নিধ্যে এসে চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁরা ধীরে ধীরে ক্যান্সারকে জয় করেছেন। সৌম্য ভট্টাচার্য বলেন, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে যে জটিল থেকে শুরু করে জটিলতর ক্যান্সার (Cancer) রোগকেও সারিয়ে তোলা যায়, এই ক্যান্সারজয়ীরাই তার উদাহরণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share