Tag: Bengali news

Bengali news

  • Sheikh Shahjahan: সুন্দরবনে ঘন ঘন বদলাচ্ছে শাহজাহানের লোকেশন, বাংলাদেশ পালানোর ছক?

    Sheikh Shahjahan: সুন্দরবনে ঘন ঘন বদলাচ্ছে শাহজাহানের লোকেশন, বাংলাদেশ পালানোর ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ঠিক কোথায় রয়েছেন? বিগত কয়েকদিন ধরে এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যবাসীর মনে। ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্য পুলিশকে তাঁর প্রশ্ন, কেন এখনও শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার হল না? অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলেছেন যে, তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতেই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন শাহজাহান। তবে তাঁর খোঁজে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে গোয়েন্দাদের হাতে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ অথবা মায়ানমারে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছেন সন্দেশখালির এই নেতা।

    নজরদারি রাখছে বাংলাদেশের প্রশাসনও

    ইতিমধ্যে আগেই তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, ওই লুক আউট সার্কুলার জারি হওয়ার পরেই শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) পক্ষে সীমান্ত পার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, শাহজাহানের উপরে নজরদারি রাখছে বাংলাদেশের প্রশাসনও, কারণ সন্দেশখালির এই তৃণমূল নেতা আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে বলেই জানা গিয়েছে। সন্দেশখালিতে কান পাতলে এখনও শোনা যায় যে শেখ শাহজাহান বাংলাদেশ থেকে উঠে এসেছেন।

    সুন্দরবনেই ঘুরপাক খাচ্ছেন শাহজাহান

    তবে গোয়েন্দাদের হাতে যে নতুন তথ্য এসেছে তাতে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, সুন্দরবনেই ঘুরপাক খাচ্ছেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এবং একের পর এক তাঁর অবস্থান বদল করছেন। অন্তত মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এখন নাকি একটি মাত্র মোবাইল ব্যবহার করছেন শাহজাহান। সেই সিমের লোকেশন অনুযায়ী তদন্তকারীদের কাছে এই তথ্য মিলছে। তবে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে শাহজাহানের ফোন অন্য জনের কাছে রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশ পালানোটা কঠিন হলেও অন্ততপক্ষে গোপনে নদী পেরিয়ে সেখানে যাওয়ারই পরিকল্পনা করছেন শাহজাহান।

    শাহজাহানের লোকেশন

    ইডি সূত্রে খবর মিলেছে, শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) প্রথম লোকেশন সরবেড়িয়া গ্রামে পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন বলেই অনুমান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। দ্বিতীয় লোকেশন পাওয়া যায় সন্দেশখালিতে। এরপরে হিঙ্গলগঞ্জে কয়েক ঘণ্টা ছিলেন শাহজাহান। তারপরে আবার বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। রবিবার তাঁর লোকেশন পাওয়া যায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসন্তীর কুমড়োখালি এলাকায়। ইতিমধ্যে ভোটের ফলাফল বেরিয়েছে বাংলাদেশের। সে দেশে আবার তৈরি হচ্ছে আওয়ামী লিগের সরকার। গোয়েন্দাদের অনুমান, এবার জলপথে বাংলাদেশ পালিয়ে যেতে চান শাহজাহান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: কালী মন্দিরের মূল মন্ত্র ‘বন্দে মাতরম’, দেবী পূজিত হন ভারতমাতা রূপে

    Durgapur: কালী মন্দিরের মূল মন্ত্র ‘বন্দে মাতরম’, দেবী পূজিত হন ভারতমাতা রূপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রে দেবদেবীর সংখ্যা অসংখ্য। তার মধ্যে প্রায় গোটা ভারতবর্ষে দেবী কালী পূজিত হয়ে আসছেন অনেক রাজ্যেই। আর এই দেবী কালী যে এক রূপেই বিরাজ করেন, তা কিন্তু নয়। কালীর আছে অসংখ্য রূপ। হিন্দু পুরাণ মতে, দেবী কালীর বিভিন্ন রূপ যেমন: দক্ষিণাকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, মহাকালী ইত্যাদি। কিন্তু পুরান শাস্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে এই মা কালীর আরও একটি রূপ আছে, যা গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের শিল্পনগরী দুর্গাপুরেই (Durgapur) দেখা যায়। এখানে ভবনী পাঠকের আরাধ্য দেবী কালী পূজিত হন ভারতমাতা রূপে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আর এমনটাই হয়ে আসছে দীর্ঘ কয়েকশো বছর আগে থেকে। যা অনেক ইতিহাস বহন করে নিয়ে আসছে।

    কোথায় অবস্থিত এই মন্দির? কী এর ইতিহাস? (Durgapur)

    পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে অবস্থিত এই মন্দির ভবানী মাতার মন্দির নামেই পরিচিত। এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত দেবী কালি ভারতমাতা রূপে পূজিত হয়ে আসছেন দীর্ঘ সময় থেকে। পুজোর সময় মূল মন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় ‘বন্দে মাতরম, জয় জয় ভারতবর্ষম। ঐক্যং শরণম গচ্ছামি। সত্যম শরণম গচ্ছামি। স্বরাজম শরণম গচ্ছামি’। এই মন্ত্র একদম ব্যতিক্রমী। এমনকী মন্দির খোলা এবং বন্ধের সময় ঠিক এই মন্ত্রই জপ করা হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আগে এই মন্দির ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একটি বড় আখড়া। মন্দিরের পুরোহিতদের কাছ থেকে জানা যায়, বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। মন্দিরের পরিবেশ নির্জন হওয়ায় অনেক সময় অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী এই মন্দিরে এসে আশ্রয় নিতেন। এমনকী ব্রিটিশ সৈন্যদের পরাস্ত করার জন্য বিভিন্ন প্ল্যানের নকশা (ব্লু প্রিন্ট) এখানে বসেই তৈরি করা হত। এই সময় ভারতমাতা রূপে কালীকে প্রণাম করেই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তাঁদের উদ্দেশ্যের পথে রওনা দিতেন। এমনকী কথিত আছেে, দেশ ছাড়ার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই মন্দিরে (Durgapur) এসে রাত্রিযাপন করেছিলেন।

    ইতিহাস বিশেষজ্ঞরা কী জানাচ্ছেন?

    বিভিন্ন ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিভিন্ন বিপ্লবীরা এই কালীকে ভারতমাতা রূপে পুজো করার সিদ্ধান্ত প্রথম নিয়েছিলেন। সংগ্রামীরা মনে করতেন দেবী কালী যা ভারতমাতা রূপে পূজিত হন, সেই দেবী সব সময় সংগ্রামীদের রক্ষা করবেন, সঙ্গে দেশবাসীকেও মাতৃরূপে রক্ষা করবেন। ঠিক আবার তেমনি মহাকালী রূপে শত্রুদের দমনও করবেন তিনিই। সেই সময় থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেবী কালীর (Durgapur) আরাধনা করতেন। 
    ইতিহাসবিদদের মতে, এই মন্দিরের দেবী মূর্তির পিছনে একটি অখণ্ড ভারতবর্ষের মানচিত্র ছিল। যে মানচিত্র বর্তমানে আর নেই। কিন্তু বিপ্লবীরা যেভাবে দেবীকে পুজো করে এসেছেন, এখনও সেই রীতি মেনেই পুজো করা হয় এই কালীকে। এমনকী দেবীর বেদীতে এখনও পর্যন্ত বন্দে মাতরম লেখা আছে (Durgapur)। মন্দিরে প্রবেশ করলেই দেখা যায় ভারতমাতার জপমন্ত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই আবহের মধ্যেই তৃণমূলের দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি! (Sheikh Shahjahan) 

    বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বাংলা সংবাদ মাধ্যমের একটি বিতর্কসভায় যোগ দিয়ে বলেন, আমি বসিরহাটের বিজেপির দায়িত্বে আছি। সন্দেশখালিতে কাজ করি। আমি যেটা দেখেছি, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ২০২১ সালের পরে অবিচারে হিন্দুদের সম্পত্তি ১ টাকা দরে জোর করে গান পয়েন্টে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে নিয়েছেন। তিনটি ট্রাস্ট-সুমাইয়া আবেদা ট্রাস্ট, হাবু আবু সিদ্দিকি ট্রাস্ট এবং বাসন্তী এডুকেশন্যাল ট্রাস্ট তৈরি করে রোহিঙ্গা কলোনি গড়েছেন। হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের কাছ থেকে প্রায় ১৩৯ একর জমি কেড়ে নিয়ে রোহিঙ্গা কলোনি ও তিনটি ট্রাস্ট গড়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার উপরে। তিনি আরও বলেন, ওই জমিগুলি কোনও মুল্য না দিয়েই গায়ের জোরে তিনি দখল করেছেন।

    বাম আমল থেকে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট (Sheikh Shahjahan)  

    বাম আমলে মূলত সন্দেশখালি এলাকায় তোলাবাজির মুখ্য ভূমিকা ছিল শাহজাহান শেখের (Sheikh Shahjahan)। তৃণমূলে আসার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হতেই তাঁর বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। মেছোভেড়ি থেকে ইটভাটা, এমনকী মাটি বেচাকেনাতেও তোলা দিতে হত এই শাজাহানকে। এলাকায় কোনও ভেড়ি থেকে বিঘা প্রতি তোলা আদায়ের রেট চার্ট তৈরি হত তাঁরই তত্ত্বাবধানে। সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তিনি আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: শীতের রাত ১০টা, অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই!

    Ram Mandir: শীতের রাত ১০টা, অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই!

    রামনগরী অযোধ্যা-ছয়

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: প্রভু রামের মন্দিরে ফেরা ২২ জানুয়ারি। তার আগেই অযোধ্যার উৎসবের ঢেউ গিয়ে পড়ছে আসমুদ্র হিমাচলে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী হোক, অথবা গুজরাট থেকে গুয়াহাটি। সর্বত্রই রামভক্তরা এখন থেকেই আনন্দে মেতেছেন। কেউ হায়দরাবাদ থেকে সোনার জুতো নিয়ে রামনগরীতে (Ram Mandir) পৌঁছাচ্ছেন, তো কোথা থেকে আসছে রামের রথ। তবে ভগবান রামের সব থেকে বড় শিষ্য রাম জন্মভূমির অদূরে তাঁর নিজের মন্দিরেই দীর্ঘকাল বিরাজমান রয়েছেন। অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরও ভক্তদের অন্যতম তীর্থস্থল হিসেবে পরিচিত। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে যখন মন্দির চত্বরে পৌঁছালাম, ঘড়ির কাঁটা তখন রাত ১০টা ছুঁয়েছে। শীতের রাতেও মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই। ভক্তদের বিশ্বাস, প্রভু রামচন্দ্রের জন্মস্থানেই থাকেন বজরঙ্গবলী। হনুমানগড়ি মন্দির যেতে রামপথের ওপর দিয়ে সোজা হাঁটতে হবে ঠিক রাম মন্দিরের দিকে। তারপরেই ডানদিকে ভেঙে যাচ্ছে রামপথ। সেখানেই রয়েছে হনুমানগড়ি মন্দির। রাম মন্দিরের মতোই এখানেও ২৪ ঘণ্টাই পুলিশি ব্যারিকেড রয়েছে।

    টিলার ওপর বিরাজ করছেন বালক বজরঙ্গবলী (Ram Mandir)

    টিলার ওপর বিরাজ করছেন বালক বজরঙ্গবলী। হনুমানের দর্শন পেতে তাই ভাঙতে হবে ৭৬টি সিঁড়ি। হলুদ ধুতি পরা তরুণ পুরোহিতরা ভক্তদের পুজো পৌঁছে দিচ্ছেন হনুমানের চরণতলে। কপালে তিলকও এঁকে দিচ্ছেন তাঁরা। হনুমানের দর্শন পেতে সে কী হুড়োহুড়ি! বোঝাই গেল রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে হনুমানগড়িতে যদি এত ভিড় হয়, তাহলে ২২ জানুয়ারির পর ঠিক কী হতে চলেছে। ভগবান রামের পাশাপাশি অযোধ্য়ার উদ্দেশে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের গন্তব্য যে হনুমানগড়ি হবে, একথা বলাই যায়। বিরাট মন্দিরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চারপাশে অনেক ছোট-বড় ব্যবসায়ী দোকান তৈরি করেছেন, বেশ কিছু নতুন দোকানও তৈরি হচ্ছে দেখা গেল। বোঝাই যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরাও আশায় বুক বাঁধছেন রাম মন্দির উদ্বোধনের। মন্দিরের ডানদিক বরাবর সোজা গেলে পড়বে দশরথ ভবন। এই রাস্তাতেই পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। গোটা রামায়ণ যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে অযোধ্যার (Ram Mandir) কোনায় কোনায়, পথে পথে, সরযূর জলে।

    হনুমানগড়ির পৌরাণিক কথা (Ram Mandir)

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, অযোধ্যায় রামের দর্শনের (Ram Mandir) আগে তাঁর প্রিয় ভক্ত বজরঙ্গবলীর দর্শন ও আজ্ঞা নেওয়া জরুরি। হনুমানগড়ি মন্দির অযোধ্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। এই মন্দিরে ৬ ইঞ্চির বালক বজরঙ্গবলীর প্রতিমা রয়েছে। হনুমানের সঙ্গে তাঁর মা অঞ্জনীও আছেন এই মন্দিরে। মন্দির পরিসরে অঞ্জনীর কোলে দেখা যায় হনুমানকে। মন্দিরের চারপাশের দেওয়ালে হনুমান চালিশার পংক্তি লেখা রয়েছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, হনুমানগড়িতে রাজা হিসেবে বজরঙ্গবলীর রাজতিলক করেন রাম। একটি গুহায় বসবাস করে বজরংবলী রামজন্মভূমি ও অযোধ্যাকে রক্ষা করেন। বজরঙ্গবলীর সেবা ও ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে রাম বলেন, যাঁরা অযোধ্যায় আমার দর্শনের জন্য আসবেন, তাঁদের সবার আগে হনুমানের দর্শন, পুজো ও অনুমতি নিতে হবে। হনুমানের অনুমতি না-নিয়ে ও পুজো না-করে রামের দর্শন ও পুজোর ফল পাওয়া যায় না। রামচরিত মানসের সুন্দরকাণ্ডে বলা হয়েছে, বজরংবলী রামের সবচেয়ে প্রিয় ভক্ত। তাই রামের দর্শন ও আশীর্বাদ লাভের জন্য বজরংবলীর দর্শন ও আশীর্বাদ নিতে হয়। এ কারণে হনুমানগড়িতে বজরঙ্গবলীর পুজোর পর রামের দর্শনের পরম্পরা প্রচলিত। রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বপ্রথম হনুমানগড়িতেই পুজো দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: সজলধারা প্রকল্পের নামে সরকারি জায়গা নিয়ে হচ্ছে ব্যক্তিগত বাড়ি! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    Arambagh: সজলধারা প্রকল্পের নামে সরকারি জায়গা নিয়ে হচ্ছে ব্যক্তিগত বাড়ি! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার মদতে সরকারি জায়গা দখল করার অভিযোগ। আর সেই জায়গা দখল করেই চলেছে পাকা বাড়ি তৈরির কাজ। আর কেউ প্রতিবাদ করলেই জুটছে হুমকি। আরামবাগের (Arambagh) কাষ্টদহী এলাকায় এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ (Arambagh) মহকুমার মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের কাষ্টদহী এলাকা। সেখানেই গ্রামের পাকা রাস্তার মোড়ে হঠাৎ করেই দেখা যায়, রাস্তার ধারে রাতের অন্ধকারে সরকারি জায়গা দখল করে শুরু হয় পাকা বাড়ি তৈরির কাজ। অভিযোগ, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শান্তিরাম মালিক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেই অন্যের নামে এই বাড়ি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকী কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও ঘটনার খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই সরকারি জায়গা দেখিয়ে সজলধারা প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজের পরিবর্তে রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে সেখানেই তৈরি হচ্ছে নেতার দোকান ঘর। যা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তাই আমরা একজোট হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অন্যদিকে, সরকারি সম্পত্তি দখল প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শান্তিরাম মালিক বলেন, আমি পেশায় রাজমিস্ত্রী। ওই এলাকার এক ব্যক্তি আমার থেকে জমি বিক্রির টাকা পেত। সেই টাকার পরিবর্তে আমি তাঁকে বাড়ি করে দিচ্ছি। সরকারি জমি দখল করে কেন বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিজের নামে আমি কোনও জায়গা দখল করিনি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একটা জায়গাকে তিনবার বিক্রি করা, সরকারি সম্পত্তি দখল করা এটা তৃণমূল নেতাদের বৈশিষ্ট্য। আগামী আর কয়েক মাসের মধ্যে তৃণমূল দলটা আর থাকবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদ থেকে চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী (৬৪) আট হাজার কিলোমিটার তীর্থযাত্রা করে অযোধ্যা পৌঁছাতে চলেছেন দিন কয়েকের মধ্যেই। ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রামের পাদুকা নিয়ে তিনি পৌঁছাবেন রামনগরীতে (Ram Mandir)। ওই পাদুকা দুটি রুপোর তৈরি এবং সোনা দিয়ে মোড়া বলে জানা গিয়েছে। এক একটির ওজন ১২ কেজি। এর আগে, রাম জন্মভূমিতে (Ram Mandir) আড়াই কোজি ওজনের পাঁচটি রুপোর ইট প্রদান করেছিলেন শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই অবশ্য অযোধ্যা পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর (শাস্ত্রী)।

    রামের বনবাসে যাওয়ার পথেই হাঁটছেন শাস্ত্রী

    জানা গিয়েছে, অযোধ্যা-রামেশ্বরমের পথেই হাঁটছেন শ্রীনিবাস শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত এটাই হল রামচন্দ্রের বনবাসের পথ। তবে তিনি (শাস্ত্রী) দক্ষিণ থেকে উত্তরে আসছেন, এটাই পার্থক্য। গত বছরের ২০ জুলাই এই তীর্থযাত্রা শুরু করেন শাস্ত্রী। তীর্থপথের মাঝখানে প্রসিদ্ধ স্থান, যেখানে রামচন্দ্র শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের, সেখানেও গিয়েছেন তিনি। ওড়িশা রাজ্যের পুরী, মহারাষ্ট্রের ত্রিম্বক, গুজরাটের দ্বারকা এই সমস্ত তীর্থভূমি ঘুরে তিনি অযোধ্যার খুব কাছেই চলে এসেছেন। প্রতিদিন ৩৮ কিলোমিটার করে পথ হাঁটছেন।

    কী বলছেন চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী?

    শাস্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে রামের পাদুকা (Ram Mandir) ছাড়াও পঞ্চধাতুর রামের মূর্তি। নিজের মাথায় তিনি তা বয়ে চলেছেন। পঞ্চধাতুর মূর্তি তিনি প্রদান করতে চান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। প্রসঙ্গত, তাঁর এই যাত্রার বিষয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘আমার বাবাও অযোধ্যাতে করসেবায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ভগবান হনুমানের ভক্ত ছিলেন। তাঁরও স্বপ্ন ছিল অযোধ্যার ভূমিতে রাম মন্দির দেখে যাওয়া। কিন্তু তিনি বর্তমানে বেঁচে নেই। তাই আমি স্থির করলাম তাঁর স্বপ্নকে পূরণ করার।’’ বর্তমানে তিনি চিত্রকোটে রয়েছেন, যেখান থেকে অযোধ্যা দূরত্ব ২৭২ কিলোমিটার। শাস্ত্রীর সঙ্গে আরও পাঁচজন রয়েছেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে তীর্থযাত্রা করছেন। তবে প্রথমে তাঁর সঙ্গে যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন ২০ জন। তাঁরা ফিরে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে অযোধ্যাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান শাস্ত্রী এবং সেখানে একটি বাড়িও নির্মাণ করতে চাইছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে শাহজাহান! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে শাহজাহান! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান কোথায় আত্মগোপন করে রয়েছেন, তা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলে যে-কথা শোনা যাচ্ছিল ইডির একটি সূত্রে, রবিবার তা উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দুর দাবি, মোটেও বাংলাদেশে পালিয়ে যাননি শাহজাহান। তিনি সন্দেশখালিতেই আস্তানা গেড়েছেন।

    শেখ শাহজাহান নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রবিবার নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদ দিবস কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর শাহজাহান প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘সন্দেশখালিতেই রয়েছেন শাহজাহান। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক জাহান মোল্লার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন। লুকআউট নোটিশ জারি থাকায় ঢুকতে পারেননি বাংলাদেশে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক করেছে। একইসঙ্গে রাজ্যে সন্দেশখালির ঘটনার সূত্রে ৩৫৫ ধারা জারি করার আওয়াজও তুললেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘৩৫৫ ধারা জারি হলেই সব টাইট হয়ে যাবে।’

    ঠিক কী হয়েছিল সন্দেশখালিতে?

    ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে রেশন-দুর্নীতি মামলার সূত্রে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বেনজির হামলার শিকার হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন ইডি আধিকারিক। তারপর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই শেখ শাহজাহানের একটি অডিও টেপ সামনে আসে। সেখানে সিবিআই বা ইডিকে যাতে সন্দেশখালি তথা তাঁর অনুগামীরা ভয় না পান, সেই হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শেখ শাহজাহান সন্দেশখালির এক তৃণমূল নেতার বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু। ঘটনা হল, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিমানবন্দরকে এ-ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনওমতেই যাতে তৃণমূল নেতা পালাতে না পারেন।

    ৩৫৫ ধারার দাবি তুললেন শুভেন্দু

    এদিকে রবিবার নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। সন্দেশখালির বেনজির ঘটনার কথা তুলে ধরে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমি রাজ্যপালকে বলব, রাজ্যের ৩০ থেকে ৪০টি থানাকে চিহ্নিত করে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করুন। তাহলেই সব টাইট হয়ে যাবে।’ সন্দেশখালিতে ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে তারা সদা তৎপর।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: ‘পুলিশকে কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে’, শাহজাহান ইস্যুতে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    CV Anand Bose: ‘পুলিশকে কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে’, শাহজাহান ইস্যুতে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ফের একবার ক্ষোভপ্রকাশ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। শুক্রবার তিনি সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। রবিবার সিআরপিএফের আইজির সঙ্গে তাঁর বৈঠক সম্পন্ন হয় রাজভবনে। প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহানের ঘটনা নিয়ে ইডি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। সেই বৈঠকের পরই রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। রাজ্য পুলিশের প্রতি রাজ্যপালের হুঁশিয়ারি, “চোর-পুলিশ খেলা বন্ধ করুন। পুলিশকে কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে।”

    কেন গ্রেফতার হল না শেখ শাহজাহান

    এখানে সরকারের উদ্দেশে রাজভবন জানতে চায় যে কেন এখনও শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়নি? তৃণমূলের এই দুষ্কৃতীনেতা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন, নাকি অন্য কোনও দেশে চলে গিয়েছেন—সেই বিষয়েও সরকারের অবস্থানকে স্পষ্ট করতে বলেছেন তিনি। রবিবার আরও একবার রাজ্য-প্রশাসনকে রাজভবন মনে করিয়ে দিয়েছে যে, তারা আইন-শৃঙ্খলাজনিত ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। রাজ্যপাল বোসের (CV Anand Bose) কড়া বার্তা, “শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে না পারার ব্যর্থতা কোন পুলিশ অফিসারদের? তাঁদের শাস্তি দিন।”

    লুকিয়ে থেকে হুমকিবার্তা শাহজাহানের

    এদিকে, অজ্ঞাত ডেরা থেকে লুকিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছেন শেখ শাহজাহান। শনিবার রাতেই এই হুমকি প্রকাশ্যে আসে। অডিওবার্তায় তিনি বলেছেন, ‘‘ইডি-সিবিআইকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ বুঝতে পারছে পুরোটাই চক্রান্ত। আমি শেখ শাহজাহান বলছি। দোষ করলে মাথা কেটে ফেলুন।’’ এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল নেতা যদি সত্যিই নিরপরাধ হন, তবে ইডির তদন্ত মোকাবিলা করতে তাঁর এত ভয় কিসের? কেনই বা বাড়িতে তল্লাশি করতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে?

    সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন করেছিলেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে তাঁকে করা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। বর্তমানেও ওই পদে রয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Bangladesh Election: বাংলাদেশে ফের ক্ষমতায় আওয়ামী লিগ, রেকর্ড ভোটে জয়ী হাসিনা

    Bangladesh Election: বাংলাদেশে ফের ক্ষমতায় আওয়ামী লিগ, রেকর্ড ভোটে জয়ী হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে (Bangladesh Election) নিজের কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ফের একবার মসনদে হাসিনার দল আওয়ামী লিগ। বাংলাদেশের ২৯৯টি আসনে ভোট হয়, এর মধ্যে হাসিনার দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ২১৭টি আসনে। এর মধ্যে ১৬৪ আসনেই জয়ী হয়েছে হাসিনার দল (Bangladesh Election)। উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশের মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লিগের টিকিটে লড়াই করে জয়ী হলেন ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান।

    আড়াই লাখ ভোটে জয় হাসিনার

    মুজিবকন্যা তথা বাংলাদেশের (Bangladesh Election) প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঢাকা প্রশাসনিক বিভাগের অন্তর্গত গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের ভূমিকন্যা। ১৯৯১ সাল থেকেই এই কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়ান তিনি। প্রতিবারই জয়ী হয়েছেন। তবে এবারের তাঁর জয় যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। তাঁর প্রাপ্ত ভোট নয়া রেকর্ড তৈরি করেছে। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯০ হাজার ৩০০ জন। এর মধ্যে হাসিনা একাই পেয়েছেন ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট। তাঁর ‘নিকটতম’ প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপি দলের শেখ আবুল কালাম পেয়েছেন ৪৬০টি ভোট। অন্যদিকে ৪২৫টি ভোট পেয়ে এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থী মাহাবুর মোল্লা।

    রবিবার ছিল বাংলাদেশের দ্বাদশ নির্বাচন

    বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। সকাল ৮টা থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। উৎসবের মেজাজে চলতে থাকে ভোট। ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টেয়। মোট ৩০০টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নওগাঁ-২ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল হয়। ভোট শেষ হলে সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় গণনার প্রক্রিয়া। রবিবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ বেসরকারি ভাবে হাসিনার জয়ের খবর প্রকাশ্যে আনে বাংলাদেশের (Bangladesh Election) একটি সংবাদমাধ্যম। বাংলাদেশের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল ২৮টি রাজনৈতিক দল। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১,৯৬৯ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন।

    ভোট বয়কট করেছিল বিএনপি

    তবে, এই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা আগেই করেছিল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি। ভোট বয়কটের পথে হেঁটেছিল আরও একাধিক রাজনৈতিক দল। ভোটের আগের দিন শনিবার থেকে দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাকও দেয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। তাদের দাবি ছিল, এই ভোট একতরফা ভাবে করা হচ্ছে। যদিও, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী তথা আওয়ামী লিগ নেতা এ কে আব্দুল মোমেন বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার ০৮/০১/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার ০৮/০১/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কাজের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।

    ২) সামাজিক সম্মান পাবেন। 

    বৃষ

    ১) গানবাজনার প্রতি আগ্রহ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আত্মীয়কে নিয়ে বিবাদ হতে পারে। 

    মিথুন

    ১) রক্তচাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) অশান্তির থেকে দূরে থাকুন। 

    কর্কট

    ১) চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে।

    ২) সঙ্গীতে সাফল্য পেতে পারেন। 

    সিংহ

    ১) গাড়ি একটু সাবধানে চালান।

    ২) অর্শ-জাতীয় রোগ বাড়তে পারে।

    কন্যা

    ১) কুসঙ্গ থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে। 

    তুলা

    ১) সকাল থেকে বাতের যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) কাজের ব্যাপারে খুব ভাল যোগাযোগ হতে পারে। 

    বৃশ্চিক

    ১) ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) উঁচু স্থান থেকে পড়ে যেতে পারেন। 

    ধনু

    ১) বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন।

    ২) দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা। 

    মকর

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক হতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজের সময় নষ্ট।

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকা দরকার। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share