Tag: Bengali news

Bengali news

  • Udayan Guha: তৃণমূলের এ কী অবস্থা! মন্ত্রী উদয়নের ডাকে সাড়া নেই নেতাদের

    Udayan Guha: তৃণমূলের এ কী অবস্থা! মন্ত্রী উদয়নের ডাকে সাড়া নেই নেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে আরও মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। বিশেষ করে কোচবিহার জেলায় শাসক দলের ছন্নছাড়া অবস্থা। গত কয়েকদিনে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এরইমধ্যে মন্ত্রী উদয়ন গুহর  (Udayan Guha) নেতৃত্বের ডাকা কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা হাজির হন না বলে অভিযোগ। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Udayan Guha)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূলের কোচবিহার দিনহাটা থানা ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। কিন্তু, মন্ত্রীর ডাকা কর্মসূচিতেই দেখা মেলেনি এলাকার অনেক বড় বড় তৃণমূল নেতাকেই। নেতাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি যে তাঁর নজর এড়ায়নি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী নিজেই। ৫ জানুয়ারি নিজের ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন, কোন কোন অঞ্চলের নেতারা আসেননি দলের কর্মসূচিতে। প্রত্যেকের নাম তিনি লিখে দিয়েছেন ফেসবুকে। উদয়ন গুহর এই পোস্টকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চাপানউতর শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। তাহলে কি তৃণমূল দল সম্পর্কে মোহভঙ্গ হচ্ছে নেতা কর্মীদের? সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবে দলের অবস্থা তুলে ধরায় দলের অন্দরে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    দলীয় কর্মসূচিতে স্থানীয় একাধিক নেতা না আসায় সোশ্যায় মিডিয়া উদয়ন গুহ (Udayan Guha) উষ্মা প্রকাশ করলেও তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, এই বিষয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সকলের সব সময় সময় হয় না। তাই হয়তো আসেননি। সেটা নিয়ে রাজনীতি করার কোনও মানে হয় না। এসব বিরোধীদের অভিযোগ। এখানে অন্য কোনও বিষয় নেই।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, এবার নির্বাচনে দিনহাটায় ব্যাপকভাবে হারবে তৃণমূল। মানুষ বীতশ্রদ্ধ। দলীয় নেতার নির্দেশ কর্মীরা মানছেন না। দলটার শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনে লোকসভা ভোটে তা প্রমাণ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Boycott Maldives: মালদ্বীপের মন্ত্রীর ভারত সম্পর্কে কু-মন্তব্য, দলে দলে ভারতীয়রা ট্যুর বাতিল করছেন

    Boycott Maldives: মালদ্বীপের মন্ত্রীর ভারত সম্পর্কে কু-মন্তব্য, দলে দলে ভারতীয়রা ট্যুর বাতিল করছেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি বেশ ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে লাক্ষাদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে দেখা যায় এবং এর পাশাপাশি সমুদ্রের তলদেশে ডুবুরিদের সঙ্গেও নামতে দেখা যায়। এরপরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন মালদ্বীপের এক মন্ত্রী ভারতকে উদ্দেশ্য করে ট্যুইট করেন এবং সেখানে তিনি বলেন যে ভারত উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মালদ্বীপকে (Boycott Maldives) লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে এবং সমুদ্র সৈকতে পর্যটনে তাদের (মালদ্বীপ) দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারত এঁটে উঠতে পারছে না বলেই এই কাজ করছে।

    নেট নাগরিকদের ট্যুইট

    এরপর থেকেই নেট নাগরিকরা সোশ্যাল মিডিয়াতে মালদ্বীপের (Boycott Maldives) বিরুদ্ধে পোস্ট করতে থাকেন এবং অনেকেই নিজেদের মালদ্বীপ ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিলও করেন। সেখানে বিভিন্ন নেট-নাগরিকদের কমেন্ট করতেও দেখা যাচ্ছে। এই সমস্ত পোস্টগুলিতে বয়কট মালদ্বীপ ট্যাগও ব্যবহার করা হচ্ছে।

    ডক্টর ফালাক জোশিপুরা নামের একজন এক্স হ্যান্ডেল এ পোস্ট করে লিখছেন, ‘‘চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তাঁর মালদ্বীপ ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ট্রিপ চূড়ান্তও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করলাম মালদ্বীপের মন্ত্রী টুইটের জন্য।’’

    অন্যদিকে অক্ষিত সিং লিখছেন, ‘‘দুঃখিত মালদ্বীপ আমাদের নিজেদের লাক্ষাদ্বীপ আছে। আমরা আত্মনির্ভর।’’

    রুসিক রাওয়াল নামের একজন লিখছেন, ‘‘তিন সপ্তাহের জন্য বুকিং করেছিলাম মালদ্বীপে (Boycott Maldives) পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে। ঘর ট্যুর শুরু হতো ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সাল থেকে। কিন্তু মালদ্বীপের মন্ত্রী ট্যুইট দেখে তা বয়কট করলাম।’’

    চিনের দিকে ঝুঁকেছে মালদ্বীপ

    এ বিতর্ক  প্রথম নয়! গত বছরের নভেম্বর মাসেই সে দেশের মসনদে বসেন মহম্মদ মুইজু। তখনই মালদ্বীপের (Boycott Maldives) নীতির বদল আনেন তিনি। চিনের কাছাকাছি আসার সংকেত দেন। এবং ভারত থেকে দূরত্ব বাড়ানোর কথা বলেন। প্রসঙ্গত, এই বিতর্কের মাঝেই মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি আগামী সোমবার থেকেই চিন সফরের কথা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পরিচয় জানতেই মেডিক্যাল পড়ুয়াকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীর স্বামী

    North 24 Parganas: পরিচয় জানতেই মেডিক্যাল পড়ুয়াকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীর স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের ক্যান্টিনে আক্রান্ত হলেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসত মেডিক্যাল কলেজে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা পারমিতা ঘোষের স্বামী। পঞ্চায়েত সদস্যা ক্যান্টিন চালানোর দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর স্বামী মেডিক্যাল পড়ুয়াদের গায়ে হাত তুলেছেন। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত মেডিক্যাল পড়ুয়ারা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে, এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। রবিবার হামলাকারীর গ্রেফতারের দাবিতে প়ড়ুয়ারা রাত থেকে অনশন-বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    স্থানীয় ও হস্টেল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিন চালানোর দায়িত্ব পান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা পারমিতা ঘোষ। তিনি ক্যান্টিন চালান। শনিবার রাতে ক্যান্টিনে বসে ল্যাপটপ চালাচ্ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের এক মেডিক্যাল ছাত্র। তাঁর পিছনেই বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রীর স্বামী। যদিও এর আগে ক্যান্টিনে ওই ব্যক্তিকে দেখেন না। ফলে, বহিরাগত ভেবে ক্যান্টিনে দেখে তাঁর পরিচয় জানতে চান মেডিক্যাল পড়ুয়া। আর সেটা জানতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। ওই তৃণমূল নেত্রীর স্বামী নিজেকে বিএসএফ কর্মী পরিচয় দিয়ে ছাত্রদের ওপর চড়াও হন তিনি। পড়ুয়াদের মারধর করা হয়। হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনা নিয়ে হামলাকারী বা তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পরে, রবিবার দুপুরের পর সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার এসে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিলে মেডিক্যাল পড়ুয়ারা অনশন বিক্ষোভ তুলে নেন। তৃণমূল নেত্রীকে ক্যান্টিন থেকে সরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ।

    আক্রান্ত পড়ুয়াদের কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত পড়ুয়াদের বক্তব্য, ক্যান্টিনে বহিরাগতরা কেউ ঢুকতে পারে না। কিন্তু, হামলাকারী ব্যক্তি ছিলেন। আমরা আপত্তি জানাতেই চড়া হয়। আমাদের যে মোবাইল ছিল সেই মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এমনিতেই এই ক্যান্টিনে নিম্নমনের খাবার দেওয়া হয়। বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। এবার বহিরাগতরা এসে হামলা চালাল। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। কারণ, হামলাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরও বড় কোনও ঘটনা ঘটতেই পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: মন্দির উদ্বোধনে তিরুপতি থেকে অযোধ্যায় পৌঁছাবে ১ লক্ষ লাড্ডু প্রসাদ

    Ayodhya Ram Temple: মন্দির উদ্বোধনে তিরুপতি থেকে অযোধ্যায় পৌঁছাবে ১ লক্ষ লাড্ডু প্রসাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির উদ্বোধনে ভক্তদের জন্য অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Temple) বিশেষ প্রসাদ পাঠাবে তিরুপতি মন্দির ট্রাস্ট। প্রভু শ্রীরামের মন্দিরে রামলালার মূর্তিতে যখন প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রস্তুতিপর্ব চূড়ান্ত ব্যস্ততার মুখে, ঠিক সেই সময় দক্ষিণ ভারতের তিরুপতি মন্দিরধামও রামভক্তদের জন্য প্রসাদ পাঠানোর বার্তা দিল। দক্ষিণের এই মন্দির ট্রাস্ট জানিয়েছে, উদ্বোধনের দিনে আগত ভক্তদের জন্য লাড্ডু প্রসাদ পাঠানো হবে।

    ১ লক্ষ লাড্ডু পাঠানো হবে (Ayodhya Ram Temple)

    আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় শ্রীরামের মন্দির (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধন হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠান কাজ সম্পন্ন করবেন। আসবেন সারা দেশের ৭ হাজার বিশিষ্ট অতিথি। তাই রামনগরীতে সাজো সাজো রব। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতির ব্যস্ততাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। এই অনুষ্ঠানে প্রসাদ থাকবে লাড্ডু, যা তিরুপতি থেকে পাঠানো হবে অযোধ্যার রামভক্তদের কাছে। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিরুমালা তিরুপতি দেবাস্থানামস।

    কী জানিয়েছে তিরুপতি মন্দিরের ট্রাস্ট

    তিরুপতি মন্দির ট্রাস্টের কার্যকরী অধিকর্তা এভি রেড্ডি বলেছেন, “ভাগবান বেঙ্কটেশ্বর এবং ভগবান রাম-উভয়ই মহা বিষ্ণুর অবতার। মন্দির উদ্বোধনের অপেক্ষায় সমস্ত দেশ। ভক্তদের জন্য আমরা মন্দিরের তরফ থেকে লাড্ডু বিতরণ করব। সমস্ত রামভক্ত এবং বিশিষ্ট অতিথিদের জন্য সৌজন্যের নিদর্শন হবে এই প্রসাদ।” সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ তিরুপতি মন্দিরে ১৭০ গ্রাম ওজনের লাড্ডু প্রসাদ হিসাবে ভক্তদের বিতরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Temple) যেহেতু এক লক্ষ লাড্ডু পাঠানো হবে, তাই প্রতি প্রসাদ লাড্ডুর ওজন হবে ২৫ গ্রাম।

    উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্টরা

    দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধনে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের নেতা, বলি তারকা, খেলোয়াড় এবং বিদেশের কূটনীতিকরাও থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের সাধুসন্ত, সন্ন্যাসীরা উপস্থিত থাকবেন। মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই দিন সাধারণ ভক্তদের মন্দির চত্বরে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। কেবলমাত্র বিশিষ্টরাই যোগদান করবেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, আতঙ্ক

    Murshidabad: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়া, আমডাঙার পর এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabd)  দাপুটে তৃণমূল নেতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর থানার চালতিয়া এলাকায়। দিনের বেলায় প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীরা এসে তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সত্যেন চৌধুরী। তিনি তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabd)  

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যেনবাবু তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ (Murshidabd) জেলার সাধারণ সম্পাদক হলেও সক্রিয় রাজনীতি ইদানিং করতেন না। নিজের ব্যবসার কাজে তিনি বেশি যুক্ত থাকতেন। চালতিয়া এলাকায় নিজের পাড়াতেই একটি আবাসন তৈরি করছিলেন। সেখানেই তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় বাইকে করে তিনজন তাঁর কাছে আসে। খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে জনবহুল এলাকা দিয়ে জোরে বাইক চালিয়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের কেউ ধরতে পারেননি। সত্যেনবাবুর হাতে, ঘাড়ে গুলি লাগে। মাটিতে তিনি লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা কী বললেন?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যেনবাবু এক সময় কংগ্রেস করতেন। অধীর চৌধুরীর তিনি ছায়াসঙ্গী ছিলেন। বহরমপুর এলাকায় সত্যেনের এক সময় বিশাল বাহিনী ছিল। তাঁর দাপটে কারও কথা বলার সাহস ছিল না। পরবর্তীকালে অধীরের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয়। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি নিজের এলাকায় বিশাল কালীপুজো করতেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে তাঁকে রাখা হলেও দলের মিটিং-মিছিলে তাঁকে আর খুব বেশি দেখা যেত না। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ঘটনার এক মিনিট আগে আমি সত্যেনদার সঙ্গেই ছিলাম। কিছুক্ষণ গল্প করে বাড়িতে সবে খেতে বসব। তারপরই এই ঘটনা শুনলাম। ছুটে গিয়ে দেখি দাদা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Lalla: মূর্তি নির্মাণে নেওয়া হয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ! জানালেন মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক  

    Ram Lalla: মূর্তি নির্মাণে নেওয়া হয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ! জানালেন মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। গর্ভগৃহে প্রভু শ্রী রামলালার (Ram Lalla) বিগ্রহ বসানো হবে। প্রভু রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই সঙ্গে বৈদিকমন্ত্রে হবে রামলালার অভিষেক। রাম মন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই মন্দিরের মূর্তি প্রসঙ্গে বলেছেন, “মূর্তি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শে তৈরি করা হয়েছে।”

    মূর্তি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে (Ram Lalla)?

    অযোধ্যার রাম মন্দিরে মূর্তি (Ram Lalla) স্থাপনার জন্য কর্ণাটকের বিখ্যাত শিল্পী ভাস্কার অরুণ যোগীরাজের খোদাই করা মূর্তিকে নির্বাচন করা হয়েছে। মূর্তি সম্পর্কে চম্পত রাই বলেন, “মূর্তির পা থেকে মাথা পর্যন্ত দৈর্ঘ্য হল ৫১ ইঞ্চি। ওজন ১.৫ টন। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লাপক্ষের রাম নবমীর দিনে ঠিক দুপর ১২ টার সময় মন্দিরের এই মূর্তির কাপালে এসে পড়বে সূর্যের আলো। জল, দুধ এই মূর্তির তেমন কোনও ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। মূর্তির উচ্চতা এবং গর্ভগৃহের কেমন মাপ হবে সেই বিষয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।”

    মূর্তি দখতে কেমন হয়েছে?

    ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক রাই আরও জানান, “গাঢ় বর্ণের পাথর দিয়ে এই রামলালার (Ram Lalla) মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে। ভগবান বিষ্ণুর দেবত্ব এবং রাজপুত্রের তেজ রয়েছে। মূর্তির মুখ দেখতে ৫ বছরের শিশুর মতো নিষ্পাপ। মূর্তির মধ্যে শিশুসুলভ সারল্য, স্নিগ্ধতা, হাসি এবং শরীরের গঠন দেখে নির্বাচন করা হয়েছে। মূর্তির পাথর হল গ্রানাইট। সূর্য, জল, আলো, বাতাসে ক্ষয় হবে না। আর্দ্রতা শোষণ করে নেবে পাথর। তবে মূর্তি তৈরিতে কোনও কংক্রিট ব্যবহার করা হয়নি।

    গত ৩০০ বছরের মধ্যে বিরল মন্দির

    আপাতত গর্ভগৃহে কেবলমাত্র রামের মূর্তি (Ram Lalla) বসানো হবে। মন্দির সম্পূর্ণ নির্মাণ হলে প্রথম তলে লক্ষ্মণ, সীতা, হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হবে। মন্দির চত্বরে থাকবে মহর্ষি বাল্মীকি, মহর্ষি বশিষ্ঠ, মহর্ষি বিশ্বামিত্র, মহর্ষি অগস্ত্য, নিষাদ রাজ, মাতা শবরী, দেবী অহল্যার মন্দির। ইতিমধ্যে মন্দির চত্বরের কুবের টিলায় জটায়ুর মূর্তি স্থাপনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ৩০০ বছরের মধ্যে এটি বিরল মন্দির হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: গরিবের ত্রিপলও লুট করেছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! প্রমাণ মিলল গ্যারাজে

    Sandeshkhali: গরিবের ত্রিপলও লুট করেছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! প্রমাণ মিলল গ্যারাজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে তোলাবাজি, দখলদারি, বিজেপি কর্মীদের খুনের অভিযোগ ছিল। রেশন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় বালু ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতার। সেই দুর্নীতির তদন্তে ইডি তাঁর ডেরায় হানা দিতেই হামলার মুখে পড়ে। শাহজাহানের বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। ঘটনার পর থেকে উধাও শাহজাহান। গরিবের জন্য বরাদ্দ ত্রিপল লুট করার অভিযোগ সামনে এসেছে তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়ি। সবমিলিয়ে তাঁর পাঁচটি বাড়়ি। একটি বাড়িতে মা থাকেন। বাকি চারটি বাড়িতে শাহজাহান ও তাঁর তিন ভাই থাকেন। শাহজাহানের দুধ সাদা রংয়ের দোতলা বাড়ি। অট্টালিকা বললেই ভাল। গ্রামের মধ্যে এরকম বাড়ি আর দুটি নেই। এই বাড়িতে যাওয়ার রাস্তার ডানদিকে একটি গ্যারাজ রয়েছে। সেই গ্যারাজের চারিদিক ইটের দেওয়াল। উপরে অ্যাসবেসটার্সের ছাউনি রয়েছে। তার ঠিক নীচেই রয়েছে রাজ্য সরকারের দেওয়া ত্রিপল। বন্যার সময় গরিব মানুষদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রিপল দেওয়া হয়, সেই ত্রিপল দিয়ে তৃণমূলের এই নেতা নিজের গ্যারাজের ছাউনি করেছেন। এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আমফানের সময় সরকারের বিলি করা ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠেছিল। বিরোধীরা বার বার সরব হয়েছিল সেই বিষয়ে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও আমফানের সময় ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠে এসেছিল।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন?

    শাহজাহানের প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে, সেখানে গরিব, দুর্গত মানুষদের সাহায্যের জন্য বিলি করার ত্রিপল কী করছে? বিপর্যয়ে দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ ত্রিপল দিয়ে নির্মীয়মান গ্যারেজের ছাউনি গড়তে হল? স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, তৃণমূলের শেষ কথা। সরকারি ত্রিপল নিয়ে ঘরে মজুত করে রাখলেও কারও তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই। পুলিশ প্রশাসন জেনেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Sheikh Hasina: “আমরা ভাগ্যবান যে ভারতের মতো বন্ধুরাষ্ট্র পেয়েছি”, ভোটের দিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হাসিনার

    PM Sheikh Hasina: “আমরা ভাগ্যবান যে ভারতের মতো বন্ধুরাষ্ট্র পেয়েছি”, ভোটের দিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার বাংলাদেশের জাতীয় সাধারণ নির্বাচন। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪ টে পর্যন্ত ভোট গ্রহণ। ভোটের আগের দিন দেশের নানা জায়গায় অশান্তির খবর আসলেও ভোটের দিন সকাল থেকেই অশান্তির তেমন কোনও খবর এখনও পর্যন্ত আসেনি। নির্বাচনের দিনেই আওয়ামী লিগের নেত্রী তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina) ভারতের ব্যাপক প্রশংসা করলেন। তিনি বললেন, “আমরা খুব ভাগ্যবান যে ভারতের মতো নির্ভরযোগ্য একটি বন্ধুরাষ্ট্র পেয়েছি।”

    কী বললেন হাসিনা (PM Sheikh Hasina)?

    নির্বাচনের দিন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা (PM Sheikh Hasina) বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের সমর্থন করেছিল। ১৯৭৫ সালেই আমার পরিবারকে হারিয়েছিলাম। সেই সময় ভারত একমাত্র আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। ভারতের নাগরিকদের আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানাই।” ভোট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে বদ্ধপরিকর। দেশের নাগরিককে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জনগণের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, নৌকা অবশ্যই জয়ী হবে।”

    গতকাল ১৬ ঘণ্টায় ১৪ টি জায়গায় অশান্তি হয়

    বাংলাদেশের মোট ভোটার হল ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। মোট আসন ২৯৯। নওগাঁ আসনের প্রার্থীর আকস্মিক মৃত্যু হলে ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল হয়। শনিবার গতকাল ১৬ ঘণ্টায় ১৪ টি জায়গায় অশান্তি হওয়ার খবর মিলেছে। দেশের চত্তগাঁও, গাজীপুরের দুটি স্কুলে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। অশান্তির কারণে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ অফিসারের। হাসিনা (PM Sheikh Hasina) অবশ্য নির্বাচন নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।

    সকাল থেকেই ফাঁকা ভোটকেন্দ্র

    রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ঢাকা সহ জেলাগুলিতে ভোটেকেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি নেই বললেই চলে। অনেকের মতে বিএনপির ডাকা বন্ধের কারণে বিচ্ছিন্নভাবে চট্টগ্রাম, বরিশাল সহ নানান জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমাদের কাজ হল শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন করা। ভোটারের উপস্থিতি আমাদের দেখার কাজ নয়।” নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়তে পারে।

    আজ সকালে ঢাকার সিটি কলেজে ভোট প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা (PM Sheikh Hasina)। তাঁর সঙ্গে ভোট দিতে যান বিশিষ্ট অভিনেতা ফিরদৌস। সেই সঙ্গে ছিলেন শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, বোন শেখ রেহানা এবং তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব। আজ মাগুরা কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লিগের প্রার্থী ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Siddiqullah Chowdhury: শাহজাহান দলের ক্যান্সার-জন্ডিস, শাস্তি হওয়া দরকার, তোপ সিদ্দিকুল্লার

    Siddiqullah Chowdhury: শাহজাহান দলের ক্যান্সার-জন্ডিস, শাস্তি হওয়া দরকার, তোপ সিদ্দিকুল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার পর সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ফের রাতারাতি খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি বেপাত্তা। তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    শাহজাহানের মতো অপরাধীর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন (Siddiqullah Chowdhury)

    শনিবার হুগলির জাঙ্গিপাড়া গ্রন্থমেলায় যোগ দিতে এসে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘ শেখ শাহজাহান দলের জন্ডিস- ক্যান্সার। তবে, ক্যান্সার(Siddiqullah Chowdhury)তো দুরারোগ্য, মরে যাবে, আর জন্ডিস সারবে না, জন্ডিস না সারলে সে মরবে আর দশজন মরবে, ওরা দলের জন্ডিস। পাশাপাশি মন্ত্রী বলেন, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রায় লক্ষাধিক টাকার ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলাম, সেই সময় এই শাহজাহান আমাকে পুলিশের সামনে হেনস্থা করেছিলেন। শাহজাহান সিপিএম-এর জমানায় হার্মাদ বাহিনী থেকে এই দলে এসেছে। সেই বদ রক্তের কারণে ক্ষতিটা আরও বেশি হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি চাই এরকম অপরাধীদের শাস্তি হোক, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে ভালো মানুষেরা দল করতে পারেন।’

    ইডি-র আধিকারিকদের ওপর হামলা করা ঠিক হয়নি

    ইডি-র হামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) বলেন, আমি বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি, এই হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল না। শাহজাহান নিজের শক্তির বড়াই দেখাতে গিয়ে ফেঁসেছে। দল দলের জায়গায় কাজ করুক, দল তাঁর সঙ্গে নেই। কেউ যদি মনে করে আমি আইনের ঊর্ধ্বে, তবে তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে। মারধর করে অন্যায় করেছে। আর এসবের জন্য তৃণমূল দল দায়ী নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক দায়ী নন, যে করেছেন তিনি দায়ী। ইডি আধিকারিকদের ঘেরাও পর্যন্ত চলতে পারতো। অফিসারদের এইভাবে মারধর করা বৈধ কাজ নয়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: তোলাবাজিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের চেয়ারম্যান! দাবি ভাইস চেয়ারম্যানের

    Uttar Dinajpur: তোলাবাজিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের চেয়ারম্যান! দাবি ভাইস চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এল। সরাসরি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করলেন ভাইস চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ডালখোলা পুরসভা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ভাইস চেয়ারম্যান ঠিক কী অভিযোগ করেছেন? (Uttar Dinajpur)

    উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ডালখোলা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ ফিরোজ আহমেদ বলেন, দীর্ঘ আট মাস থেকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথাবার্তা নেই। কোনও কথা বললে শোনেন না। কাজের ব্যাপারে বলতে গেলে উল্টে ঝেড়ে দেন। রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে আছে। অন্যান্য কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সব কাজের জন্য ১৫ শতাংশ টাকা করে তিনি নেন। নিজের ইচ্ছেমতো পুরসভা চালাচ্ছেন। হিসাব চাইলে দেন না। সব টাকা নিজের কাছেই রেখে দেন। স্থানীয় ঠিকাদারদের কাজ দেন না। কাটমানি নিয়ে বাইরের ঠিকাদারদের কাজ দেন। আমি প্রতিবাদ করি বলে আমার ওয়ার্ডে কোনও কাজ হচ্ছে না। সমস্ত ঘটনা বিধায়ককে জানিয়েছি। আমাদেরকে নিয়ে বসার সময় নেই বিধায়কের কাছে। দলের শহর সভাপতিকেও জানিয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ভোটে এর প্রভাব পড়বে।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    পুরসভার চেয়ারম্যান স্বদেশ চন্দ্র সরকার বলেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। সবই ভাইস চেয়ারম্যানের মনগড়া কথা। তিনি পুরসভার কাজ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। পুরসভা কাজ করছে, কি করছে না তা ডালখোলার মানুষ বলবে। তিনি বঞ্চিত আছেন, কি নেই তা তিনি বলতে পারবেন। ১৬ জন কাউন্সিলরদের নিয়ে চলতে হয়। বোর্ড মিটিং এ সই আছে সবার। এখন এ সমস্ত কথা বলে লাভ নেই। আইনে যেটা বলা আছে, বিওসি করে বোর্ড মিটিং-এ সব সিদ্ধান্ত নিয়েই কাজ করি। কারও ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া থাকলে তা আমার জানার বিষয় নয়। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপারই নেই।

    ভাইস চেয়ারম্যানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব

    এ বিষয়ে ডালখোলা শহর তৃণমূল সভাপতি গোপাল রায় বলেন, এগুলো সব ভিত্তিহীন কথা। পুরসভা স্বচ্ছ ভাবেই চলছে। সবাইকে সমানভাবেই দেখা হয়। যেটা অভিযোগ হয়েছে তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। একটি টেন্ডারের কাজের টাকা পাবেন ভাইস চেয়ারম্যানের পরিচিত একজন ঠিকাদার। কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু টাকা পাবে। এই কারণেই এই সমস্যা চলছে। জেলা সভাপতিকে সমস্তটা জানানো হয়েছে। বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা বিষয়টি বসে মিটিয়ে নেব।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুভাষ গোস্বামী বলেন, এটা হওয়ারই ছিল। নতুন কিছু নয়। এরা কাজ করতে এসেছে নাকি, এরা চুরি করতে, লুঠ করতে এসেছে। উন্নয়ন পুরোপুরি বন্ধ। টেবিলে বসে টাকা গোনা হয়। সব ভাগাভাগি চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share