Tag: Bengali news

Bengali news

  • Bankura: জন্মের পর থেকেই কন্যাসন্তান রোগগ্রস্ত, অবসাদে হাসপাতালেই আত্মঘাতী মা

    Bankura: জন্মের পর থেকেই কন্যাসন্তান রোগগ্রস্ত, অবসাদে হাসপাতালেই আত্মঘাতী মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মের পর থেকেই রোগে আক্রান্ত নিজের সন্তান। এই কারণে মায়ের মন সব সময় উৎকণ্ঠায় থাকে। আরোগ্যের কোনও রকম আশার আলো দেখতে পাচ্ছিলেন না। আর সেই সময় থেকেই সন্তানের জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মা। অবশেষে উপায় না পেয়ে হাসপাতালের মধ্যেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    হাসপাতাল সূত্রে খবর (Bankura)

    হাসপাতাল (Bankura) সূত্রে খবর, মৃতার নাম পায়েল সিংহ। পুরুলিয়ার আদ্রার কাছে বেঁকো গ্রামে বাড়ি। ২০ ডিসেম্বর তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানেই একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্ম দেওয়ার পর থেকেই শিশুটিকে সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট বিভাগে পাঠানো হয়। এরপর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে সদ্যোজাতকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। কিন্তু মৃতার মানসিক স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো ছিল না। তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে খবর ছিল।

    তিনতলার ছাদে উদ্ধার দেহ

    সোমাবার সকালে পায়েল নিজের মাকে হাসপাতালের (Bankura) গেটের বাইরে এক আত্মীয়কে আনতে যেতে বলেন। মা হাসপাতলের বাইরে গিয়ে আবার ফিরে এলে পায়েলকে বেডে দেখতে পান না। এরপর এদিক-ওদিকে খোঁজ করেন। অগত্যা না পেয়ে ওয়ার্ডে মাইকিং করা হয়। অবশেষে প্রসূতি বিভাগের তিনতলায় সিঁড়িতে ওঠার শেষ ধাপে রেলিংয়ে দেখা যায় গালায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে পায়েলের নিথর দেহ।

    পুলিশের তদন্ত

    এরপর জানাজানি হতেই বাঁকুড়া (Bankura) সদর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে মানসিক অবসাদের কারণেই তিনি আত্ম্যহত্যা করেছেন। পুলিশ এরপর অস্বাভাবিক একটি মামলা রুজু করে মৃত্যুর তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে।

    পরিবারের বক্তব্য

    এই আত্মহত্যার ঘটনায় হাসপাতালের (Bankura) নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে। কিন্তু সিসিটিভি, নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। মৃতার স্বামী বিজয় সর্দার বলেন, “কারও সঙ্গে কোনও ঝগড়া হয়নি। প্রসবের পর থেকেই আমার স্ত্রী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। হাসপাতালের নজরদারি ঠিক থাকলে আজ আমার স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে হত না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: দোকানে হামলা, ভাঙচুর, তৃণমূল নেতা-ঘনিষ্ঠ ডাম্পারের তোলাবাজিতে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা

    Khardah: দোকানে হামলা, ভাঙচুর, তৃণমূল নেতা-ঘনিষ্ঠ ডাম্পারের তোলাবাজিতে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলার টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। এমনকী দোকানে ভাঙচুরও করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা (Khardah) থানার কল্যাণনগর এলাকায়। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে খড়দার রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীসহ দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর নাম ডাম্পার। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোপাল সাহার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গোপালবাবু খড়দা (Khardah) শহর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। গোপালের ছায়াসঙ্গী হচ্ছেন তোলাবাজিতে অভিযুক্ত ডাম্পার। তাঁর মাথায় তৃণমূল নেতার হাত থাকায় এলাকায় রমরমিয়ে তোলাবাজি করেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, খড়দার কল্যাণনগর এলাকায় রাস্তার উপরে দীপু সাহার দোকান রয়েছে। রবিবার রাতে তৃণমূল কর্মী ডাম্পার দলবল নিয়ে এসে ওই ব্যবসায়ীর দোকানে চড়াও হন। প্রথমে তিনি প্রায় পাঁচ হাজার টাকা তোলা চান বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ী তোলার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায়, তাঁর দোকানের ভিতরে ঢুকে মারধর করা হয়। দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। ব্যবসায়ী দীপু সাহা বলেন, দাদা আর আমি দোকানে ছিলাম। ওরা এসে প্রথমে টাকা দাবি করে। অতগুলো টাকা একসঙ্গে দিতে রাজি ছিলাম না। এরপরই আমার উপর চড়াও হয়। আমার দাদাকে দোকানের মধ্যে ঢুকে মারধর করে। আমার জামা ছিড়ে দেয়। দোকানের আসবাবপত্র নষ্ট করে। আমার দাদাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। এই ঘটনা পর আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছে। আমাদের দাবি যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যেন পুলিশ প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে, আমরা ব্যবসা চালাতে পারব না। পুলিশ প্রশাসনের অবশ্যই দেখা দরকার।

    পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কী বললেন?

    খড়দা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন মজুমদার বলেন, গোপাল একসময় সিপিএমের কর্মী ছিলেন। এখন আমাদের দলে ঢুকেছেন। এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে তিনি যুক্ত। তার জন্য এলাকা অশান্ত রয়েছে। এই ঘটনার জন্য দলের মুখ পুড়ছে। এই ঘটনার পর দলের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে মৌমাছি চাষের উদ্যোগ নিল বিএসএফ

    BSF: অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে মৌমাছি চাষের উদ্যোগ নিল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে মৌমাছি চাষের উদ্যোগ নিল বিএসএফ (BSF)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচার, অপরাধ ও চোরাচালান ঠেকাতে মৌমাছিকে পাহারাদার হিসেবে ব্যবহার করবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে বিএসএফ।

    কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? (BSF)

    বিএসএফের (BSF) সঙ্গে সীমান্ত পাহারায় মৌমাছিও থাকবে। এতে যেমন সীমান্ত সুরক্ষার কাজ হবে, তেমনি স্থানীয়দের জীবিকার সংস্থান হবে। প্রাথমিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় বিএসএফের ৩২ ব্যাটালিয়ন এই উদ্যোগ নিয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মানুষের মৃত্যুর সংবাদ প্রায়ই পাওয়া যায়। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকার ও সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ ও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিএসএফকে। ধারণা করা হচ্ছে, এমন বদনাম থেকে রেহাই পেতে বিকল্প পথ হিসেবে এ ধরনের পরিকল্পনা বেছে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষামূলকভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে মৌমাছিদের বাহিনী। বিএসএফের এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে হাত বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশনায় ‘ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ প্রোগ্রামের’ আওতায় সীমান্তবর্তী এলাকায় মৌমাছি পালন এবং মধুর গুণগত মান পরীক্ষাকে একটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নিয়েছে ভারত সরকার। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর অর্থনৈতিক বিকাশ ও সার্বিক উন্নয়নে এই প্রকল্পকে কৌশলগতভাবে ব্যবহারের সুযোগ হিসেবে দেখছে বিএসএফ।

    কী বললেন বিএসএফের কর্তা?

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় মৌমাছির ২০টি বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা সেই মৌমাছির দেখভালের পাশাপাশি মধু সংগ্রহ করবেন। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন গ্রামবাসীরাই। এই বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের বিএসএফের জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি একে আর্য্য বলেন, এই প্রকল্প সফল হলে আগামী দিনে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তজুড়ে কাঁটাতারে মৌমাছির বাক্স স্থাপন করা হবে। তবে, এই মুহূর্তে ২০০টি বাক্স স্থাপনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। যার খরচ সরকার বহন করবে। এই প্রকল্পের আওতায় সীমান্তের বেড়ার কাছে কৌশলগতভাবে মৌমাছির বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্ত বেড়ার কাছে মৌমাছির বাক্সগুলি মাটির সামান্য উপরে রেখে, তার কাছাকাছি মৌমাছি-বান্ধব ফল ও ফুলের গাছ স্থাপন করা হয়। বাক্সগুলোকে প্রাকৃতিক ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে মৌমাছিদের আকর্ষণের একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। আর সীমান্তে যেখানে এই বাক্স লাগানো হয়েছে, সেখানে চোরাচালান সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Picnic: পিকনিক বা বনভোজনের উদ্ভব কীভাবে? এর মূল উদ্দেশ্যই বা কী?

    Picnic: পিকনিক বা বনভোজনের উদ্ভব কীভাবে? এর মূল উদ্দেশ্যই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের মরশুম শুরু হতে না হতেই মানুষের পিকনিক (Picnic) করার ধুম পড়ে যায়। বছরের এই সময়টার জন্যই যেন সবাই অপেক্ষা করে থাকে। বাড়ি থেকে দূরে নিরিবিলি, প্রাকৃতিক পরিবেশে পিকনিক করার মজাই আলাদা। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই পিকনিক বা বনভোজনের উদ্ভব কীভাবে? বনভোজন বা পিকনিক শব্দটির উৎপত্তি ফরাসি শব্দ ‘Pique-nique’ থেকে। এই বনভোজনের মূল উদ্দেশ্য প্রকৃতির মাঝে বসে মনকে ভালো রাখা ও ভালো খাবার খাওয়া। এই পিকনিকের উদ্ভবের আছে কিছু ইতিহাস, যা আজও বর্তমানে সেই ধারা বয়ে নিয়ে চলেছে। মূলত শীতপ্রধান দেশে গরমকালকে পিকনিকের মূল সময় হিসাবে বেছে নেওয়া হয় অর্থাৎ জুন মাসকে। এই মাসের ১৮ জুনকে আন্তর্জাতিক পিকনিক দিবসের মর্যাদাও দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে ভারতের মতো উষ্ণতার দেশগুলিতে প্রধানত শীতকালকেই পিকনিকের মোক্ষম সময় হিসাবে বেছে নেওয়া হয়।

    বনভোজনের উদ্ভব হল কীভাবে? (Picnic)

    বিভিন্ন ঐতিহাসিকের বিভিন্ন মত আছে এই বনভোজন বা পিকনিকের উদ্ভব নিয়ে। কিছু ঐতিহাসিক বলেন, ১৭৯৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের শেষের দিকে এই পিকনিকের উদ্ভব হয়। এই সময় অর্থাৎ ফরাসি বিপ্লবের আগে সেখানকার স্থানীয় পার্কগুলিতে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারতেন না। পরবর্তীতে ফরাসি বিপ্লবের শেষে এই পার্কগুলি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর এই সময় মানুষ সেই পার্কে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া, সময় কাটানো ইত্যাদি করতে শুরু করেন। আর এই সময় থেকেই ইতিহাসবিদরা মনে করেন এই পিকনিকের (Picnic) উদ্ভব হয়।
    কিন্তু কিছু ঐতিহাসিক এই মতবাদকে মানেন না। তাঁদের মতে, এই পিকনিকের উদ্ভব ভিক্টোরিয়ান যুগেও হতে পারে। কারণ এই ভিক্টোরিয়ান যুগে অনেক মানুষ বাইরে সময় কাটাতে এবং বাইরে খাওয়াদাওয়া করতে ভালোবাসতেন। আবার কিছু ঐতিহাসিকের মতে, বাংলায় গুপ্ত যুগের পুণ্ড্র নগরে সর্বপ্রথম বনভোজনের আয়োজন করা হয়। সেই থেকেই বর্তমানে এই বনভোজনের রীতি চলে আসছে।

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় বনভোজন (Picnic)

    ২০০৯ সালে পর্তুগালের লিসবনে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বনভোজনের আয়োজন করা হয়। এই বনভোজনে প্রায় ২২ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। যেটি এখনও পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ডের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে আছে। অস্ট্রেলিয়াতে অগাস্ট মাসের প্রথম সোমবারকে পিকনিক দিবস হিসাবে পালন করা হয়, যেটি ‘অস্ট্রেলিয়ান নর্দান টেরিটরি’ নামে পরিচিত (Picnic)।

    পিকনিকের অর্থ কী? (Picnic)

    যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজ বিশ্ব অভিধানে বলা হয়েছে, যখন কোনও উদ্দেশ্য ছাড়াই মানুষ বাইরে খেতে, ঘুরতে যান, সেটিই পিকনিক নামে পরিচিত। বনভোজন এমন একটি আয়োজন যা মানুষের কর্মব্যস্ততা, মানসিক চাপ প্রভৃতিকে ভুলিয়ে একদিনের জন্য আনন্দ উপভোগ করায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে! হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    Barrackpore: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে! হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অর্জুন সিংকে এবার প্রার্থী করা হবে, না তাঁর জায়গায় নতুন কাউকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে নিয়ে দলের অন্দরে জোর জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন অর্জুনের বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্জুনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।

    হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন সোমনাথ? (Barrackpore)

    বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের ভাটপা়ড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের ভাইপো গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। বিধায়ক এবং সাংসদ একে পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দাগেন। এমনকী মধ্যমগ্রামে জেলা পার্টি অফিসের বৈঠকে সোমনাথ হাজির হতেই মিটিঁং ছেড়ে চলে যান অর্জুন। এবার সেই অর্জুনের উদ্দেশে সোমনাথ বলেন, ‘আমার কাছে একটা হলুদ ফাইল আছে, সেটা আমি খুলব। তাতে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া-সহ নানা দুর্নীতির তথ্য আছে। সেই ফাইল খুললে পালাবার পথ পাবেন না অর্জুন সিংহ। সাদ্দাম হুসেনের মতো লুকনোর জায়গা পাবেন না।’ সাংসদের উদ্দেশে বিধায়কের আরও প্রশ্ন, ‘আপনার থেকে বড় চোর কে আছে? চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা, পরীক্ষার্থীদের টাকা, ভাটপাড়া পুরসভাকে দেউলিয়া করেছেন আপনি। কত মানুষের গ্র্যাচুইটির টাকা চলে গেল আপনার পেটে! এত টাকার হিসাব দিতে হবে। জবাব দিতে হলে পদত্যাগ করে আসুন, আমিও আসব। সামনাসামনি কথা হবে। তখন দৌড় করাব আমি।’

    কী বললেন অর্জুন?

    এমনিতেই সোমনাথের আচরণে বেজায় চটেছেন অর্জুন। দুদিন আগে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়টি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। তাই, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব। আর এবার সোমনাথের হলুদ ফাইল প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, একজন লোহা চোর কী বলছে, তার জবাব আমি দেব না। দলের উচ্চ নেতৃত্ব দেখছেন বিষয়টি। যা বলার, তাঁরাই বলবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: একটা ঘর ১ লক্ষ! রামমন্দির উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যায় হোটেল-হাহাকার

    Ayodhya Ram Mandir: একটা ঘর ১ লক্ষ! রামমন্দির উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যায় হোটেল-হাহাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামমন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যায় এখন থেকেই মহার্ঘ হোটেলের ঘর। হোটেলের এক-একটি ঘরের ভাড়া এখন আকাশছোঁয়া। 

    ভিআইপিদের সংখ্যাই হাজারে!

    কাশী থেকে অযোধ্যা, সর্বত্র তীর্থযাত্রীরা আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত ট্রেন, বিমানের টিকিট বুকিং করে ফেলেছেন। উল্লেখ্য, সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, একমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিরাই থাকার জায়গা পাবেন। সব মিলিয়ে সংখ্যা হবে আট হাজার। এর মধ্যে ভিআইপিদের সংখ্যা হল এক হাজার। ফলে ভিআইপিদের জায়গা দিতে আদিত্যনাথ প্রশাসন সাধারণের জন্য হোটেলের বুকিং বাতিল করতে নির্দেশ দেওয়ার পর ঘরের জন্য হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন যে একটি ঘরের ভাড়া হাঁকা হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। সাধারণ হোটেলের ঘরভাড়া এখন কার্যত পাল্লা দিচ্ছে তাজ-ওবেরয়ের সঙ্গে!

    চড়া হোটেল ভাড়া (Ayodhya Ram Mandir)

    সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনকে ঘিরে অযোধ্যায় এখন হোটেল ঘরের চাহিদা তুঙ্গে। চাহিদার সঙ্গে ভাড়াও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার সরকারি নির্দেশের পর সেই দর আরও বেড়ে গিয়েছে। কোনও কোনও হোটেলের ঘর ভাড়ার দর ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। এক সময় যে হোটেলগুলির ভাড়া সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে থাকতো, এখন প্রতিদিনের ভাড়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার টাকা। বিভিন্ন হোটেল-বুকিং ওয়েবসাইটে ঘরের মূল্য অন্য সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সাধারণ মানের হোটেলেও দৈনিক রুম ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ফলে মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে যে কোনও পাঁচতারা হোটেলকেও হার মানাচ্ছে এই সাধারণ হোটেলগুলির ভাড়া। অনেকেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। 

    তিন থেকে পাঁচ লক্ষ ভক্ত আসবেন

    সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারিতে রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধন করা হবে। মন্দিরে প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় সারাদেশ থেকে ৩ থেকে ৫ লক্ষ ভক্ত অযোধ্যায় পৌঁছবেন। তবে সংখ্যার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মন্দিরকে ঘিরে শহরের বেশির ভাগ হোটেল ইতিমধ্যেই বুকিং হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দিরকে ঘিরে আগামীদিনে পর্যটনের একটি বিরাট ক্ষেত্র নির্মিত হবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। ফলে হোটেল এবং পর্যটন ব্যবসার কথা ভেবে বড় বড় সংস্থা, কোম্পানিগুলি বিনিয়োগের কথা ভাবছে বলে জানা গিয়েছে।

    মন্দিরকে ঘিরে তীব্র উন্মাদনা

    মন্দিরকে (Ayodhya Ram Mandir) ঘিরে এখন তীব্র উন্মাদনা চলছে অযোধ্যায়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গত সপ্তাহে গিয়েছিলেন অযোধ্যায়। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: দলীয় কর্মীকেই ধান তুলতে বাধা! তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ফতোয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    Paschim Medinipur: দলীয় কর্মীকেই ধান তুলতে বাধা! তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ফতোয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঠেই পড়ে রয়েছে পাঁচ বিঘা জমির ধান। সেই ধান কাটা যাবে না তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির অনুমতি ছাড়া! এবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি  ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur)  শালবনি ব্লকের শালবনি ৩ নম্বর অঞ্চলের সিদাডিহি গ্রামে। তৃণমূল কর্মীকে তৃণমূল নেতারই ফতোয়া দেওয়ার ঘটনায় দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি (Paschim Medinipur) 

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) সিদাডিহি গ্রামে বাড়ি কৃষক তথা তৃণমূলের আদি কর্মী চিরঞ্জীব খানের। তিনি বলেন, প্রায় এক মাস বিঘা পাঁচেক জমির ধান কাটতেই দিচ্ছেন না দলেরই নেতা তথা অঞ্চল সভাপতি অসিত ঘোষ। ধান কাটার জন্য আগে অনুমতি নিতে হবে, তবেই ঘরে উঠবে ধান। ফলে মাঠের ধান পেকে গেলেও তা মাঠেই পড়ে রয়েছে। বারবার আমি ধান কাটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেই হুমকি দিচ্ছেন অঞ্চল সভাপতি। জেলা নেতৃত্ব থেকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। ব্লক নেতৃত্ব নেপাল সিংহ সরাসরি ঘটনা স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি সঠিক কী ঘটেছে জানা নেই, তবে আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরেই উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। শুনেছি তিনি কিছু ধান বাড়িতে তুলেছেন। বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।’ অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অসিত ঘোষ বলেন, এই ধরনের ফতোয়া কাউকে দেওয়া হয়নি। তিনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আমি চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।

    জেলা তৃণমূলের সভাপতি কী বললেন?

    পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে তিনি জেলা কার্যালয়ে এসে অভিযোগ জানান। আমাদের দল বা আমাদের নেত্রী এমন দলবিরোধী কাজে বিশ্বাসী নয়। তিনি যে দলেরই কর্মী হোন না কেন অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। ওই ব্যক্তি তাঁর চাষের ধান যাতে বাড়িতে তুলতে পারেন আমরা তাঁর ব্যবস্থা করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Corona Update: করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হতেই বিতর্কে রাজ্য! পরীক্ষা নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ!

    Corona Update: করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হতেই বিতর্কে রাজ্য! পরীক্ষা নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে ফের চোখ রাঙানি! করোনা সংক্রমণ (Corona Update) নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। কয়েক দিন‌ আগেই কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল। সতর্ক হয়েছিল গোটা দেশ। কিন্তু করোনার গ্রাফ বাড়তেই ফের বিতর্কে পশ্চিমবঙ্গ। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, ডেঙ্গি হোক বা করোনা‌, যে কোনও ধরনের সংক্রামক রোগ সামলাতেই বারবার রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। কবে ঠিক হবে পরিস্থিতি?

    কী অভিযোগ উঠছে? (Corona Update)

    রাজ্যের একাধিক জায়গায় খোদ চিকিৎসকদের একাংশ অভিযোগ করছেন, করোনা‌ পরীক্ষা নিয়ে অনাবশ্যক জটিলতা তৈরি হচ্ছে।‌ জ্বর, সর্দি,‌ কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বহু রোগী, যাদের ডায়বেটিস, হৃদরোগ কিংবা কিডনির মতো সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য করোনা পরীক্ষা দ্রুত হওয়া উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষা করানো নিয়ে গড়িমসি হচ্ছে। পাশপাশি কোথায় করোনা পরীক্ষা করা হবে, সে নিয়েও রোগী ও পরিজনকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।‌ অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে জানা যাচ্ছে, করোনা (Corona Update) পরীক্ষা করার নমুনা সংগ্রহের উপকরণ নেই। তাই পরীক্ষা করা যাবে না।‌ রোগী এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে ঘুরতে বাধ্য হচ্ছেন।

    সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় কেন প্রশ্নের মুখে রাজ্য?

    সংক্রামক রোগে বারবার প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। বছরভর ডেঙ্গি পরীক্ষা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষার পাশপাশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে নানান বিতর্ক তৈরি হয়। কেন্দ্রের কাছে তথ্য না পাঠানো, এমনকী সঠিক তথ্য প্রকাশ না করার মতো অভিযোগ ওঠে বারবার।‌ এবার করোনা পরীক্ষা নিয়েও গড়িমসির অভিযোগ।‌ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা পরীক্ষা সময়মতো করতে না পারলে বিপদ বাড়বে। রাজ্যবাসীকেই ভুগতে হবে। কারণ, রোগ সময়মতো নির্ণয় করতে না পারলে, নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। যে কোনও সংক্রামক রোগ প্রথম থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, বিপদ বাড়বে। তাই করোনা (Corona Update) পরীক্ষা করার সুযোগ সব জায়গায় রাখতে হবে। তবেই করোনার এই‌ নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে।

    কী বলছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা?

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য কোনও রকম গড়িমসির অভিযোগ মানতে নারাজ। এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, দিন কয়েক আগেই করোনা (Corona Update) পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চস্তরের বৈঠক‌‌ হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহল করোনা পরিস্থিতিতে নজর রাখছে। গড়িমসির প্রশ্নই নেই। তবে, কোথাও কোনও সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট মহল দ্রুত পদক্ষেপ করছে। করোনা পরিস্থিতি এ রাজ্যে উদ্বেগজনক নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: মিষ্টির দোকানে গ্যাস লিক করে মৃত্যু দুজনের, জখম ৬

    Durgapur: মিষ্টির দোকানে গ্যাস লিক করে মৃত্যু দুজনের, জখম ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের সকালে দুর্গাপুরে (Durgapur) উৎসবের আবহে নেমে এল বিষাদের সুর। ঘুমের ঘোরে মিষ্টি তৈরির কারখানার ভিতরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা দোকানের কারিগর ছিলেন। এছাড়া ৬ জন জখম হয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের বি-জোনের উইলিয়াম কেরি মোড়ের সামনে একটি মিষ্টির দোকানে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম অতনু রইদাস এবং বিধান বাউরি। তাঁদের বাড়ি বাঁকুড়া জেলায়।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Durgapur)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিষ্টির দোকানের পিছনে গোডাউন রয়েছে। সেখানে মিষ্টি তৈরি হয়। সেখানে আট কারিগর ও কর্মী রাতে ঘুমোছিলেন। ভোর রাতে এক কারিগরের ফোন পেয়ে দোকানের মালিক ছুটে আসেন। এরপরই সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দুজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর (Durgapur) থানার পুলিশ। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার লিক, না মিষ্টির দোকানের উনুনের ভাটির গ্যাস থেকে এই বিপত্তি হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৬ জন কারিগর ও কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের দুর্গাপুরের শোভাপুরে একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকলের বাড়ি বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এলাকায়।

    দোকানের মালিক কী বললেন?

    দোকানের মালিকের নাম মিলন মণ্ডল। তিনি দোকানটি অন্য একজনকে ভাড়া দিয়েছিলেন। মিলনবাবু বলেন, দোকানের কারিগর ও কর্মীরা গোডাউনে প্রতিদিনের মতো শুয়ে থাকেন। আর শীতের কারণে দরজা, জানলা সবই বন্ধ ছিল। ঘরের মধ্যে কী হয়েছে তা জানা সম্ভব নয়। অসুস্থরা কিছুটা সুস্থ হলে বিষয়টি জানা যাবে। ভোরের দিকে অতনু নামে এক মিষ্টির কারিগর ফোন করে দুর্ঘটনার কথা বলেন। আমি শুনে সঙ্গে সঙ্গে দোকানে যাই। এসে দেখি সকলেই অচৈতন্য হয়ে রয়েছে। সকলকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। রাস্তাতেই যে অতনু আমাকে ফোন করেছিলেন, তাঁর মৃত্যু হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Protein Deficiency: শহুরে বাসিন্দাদের ৭৩ শতাংশ ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে! কোন রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে?

    Protein Deficiency: শহুরে বাসিন্দাদের ৭৩ শতাংশ ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে! কোন রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিরিয়ানি হোক কিংবা বার্গার, চটজলদি হাজির হয়ে যায় নানান পদ। তারপরেও প্রোটিনের অভাবে (Protein Deficiency) ভুগছেন‌ বেশিরভাগ মানুষ। শিশু থেকে প্রবীণ, অধিকাংশ শহুরে বাসিন্দার খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকছে না। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় গবেষণায় উঠে আসছে এমনই তথ্য। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত প্রোটিন না থাকার জেরেই শরীরে বাসা বাঁধছে নানান‌ রোগ। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, খাবারের মেনুতে ব্যালান্স না থাকলে বিপদ বাড়বে।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য? (Protein Deficiency)

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতে শহুরে বাসিন্দাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ প্রোটিনের অভাবে ভুগছেন‌। গর্ভবতীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ জানেন না, গর্ভাবস্থায় কতখানি প্রোটিন জরুরি। তার প্রভাব তাঁদের খাবারে পড়ে। ফলে, তাঁরা প্রোটিনের অভাবে ভোগেন। ওই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ ছেলেমেয়ে প্রোটিনের অভাবে ভুগছে। কর্মরত মহিলাদের মধ্যে প্রোটিনের অভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রায় ৭২ শতাংশ কর্মরত মহিলা প্রোটিনের অভাবে ভুগছেন‌।

    প্রোটিনের অভাব কোন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে? (Protein Deficiency)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রোটিনের অভাব নানান‌ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হাড়ের সমস্যার অন্যতম কারণ প্রোটিনের অভাব।‌ দেহে পর্যাপ্ত প্রোটিন না‌ থাকলে সহজেই হাড় ভাঙতে পারে। তাছাড়া পেশির একাধিক সমস্যার কারণ প্রোটিনের অভাব (Protein Deficiency)। বিশেষত বয়স্কদের মধ্যে নানান সমস্যা হয়। পেশি দূর্বল হলে নিয়মিত জীবন‌যাপন, হাঁটাচলায় সমস্যা হয়। প্রোটিন পর্যাপ্ত না থাকলে পেশির এই সমস্যা বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। প্রোটিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়।‌ তবে, প্রোটিনের অভাবে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় লিভারে।‌ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন শরীরে পর্যাপ্ত না থাকলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে। এমনকী লিভারে ঘা হয়ে যায়। ফলে, বড় বিপদ ঘটতে পারে।‌

    কেন প্রোটিনের অভাব শহরে বেশি?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রোটিনের অভাবের (Protein Deficiency) অন্যতম কারণ অসচেতনতা। পুষ্টিবিদদের মতে, অধিকাংশ শহুরে‌‌ বাসিন্দা চটজলদি প্রসেসড খাবারে অভ্যস্ত। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।‌ তাই আরও সমস্যা বাড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন‌ সোয়াবিন, পনির, দুধ নিয়মিত খাওয়া হয় না। আবার মাছ, মাংস, ডিম খেলেও, সেটা হয়তো বার্গার, পিৎজার মতো চটজলদি খাবারের মাধ্যমে খাওয়া হচ্ছে। ফলে, শরীর পুষ্টি পাচ্ছে না। আবার পুষ্টি নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণাও শহুরে বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। ওই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ২০ শতাংশের বেশি শহুরে বাসিন্দার ধারণা, প্রোটিন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। ফলে, অনেকেই ফি-দিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিন বাদ রাখেন।‌‌ যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সবকিছুই শরীরে জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাই বাড়ির তৈরি সহজপাচ্য খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। যাতে প্রত্যেক উপাদান শরীরে শক্তি জোগাতে পারে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share