Tag: Bengali news

Bengali news

  • Cooch Behar: পাচারে যুক্ত পুলিশ! ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী

    Cooch Behar: পাচারে যুক্ত পুলিশ! ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের হাতেই পুলিশকর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ব্রাউন সুগার সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল কোচবিহারের (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। যার মধ্যে একজন পুলিশ কনস্টেবল রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কনস্টেবলের নাম শেখ আজিজুল। অন্য জনের নাম শেখ শাহবাজ। দু’জনের বাড়ি মালদহের রতুয়ার বাহারাল-সাহাপুরে। শাহবাজ সম্পর্কে আজিজুলের শ্যালক। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে একশো গ্রামের বেশি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য দেড় লক্ষ টাকার মতো।

    পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ ছিল? (Cooch Behar)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ আজিজুল বছর তিরিশের যুবক। বছর চারেক আগে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পান তিনি। এক বছর আগে, কোচবিহার ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্য করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, তারপর থেকেই একাধিক অভিযান ব্যর্থ হতে শুরু করে ক্রাইম ব্রাঞ্চের। তার মধ্যে সবগুলিই ‘ব্রাউন সুগার’ সম্পর্কিত ঘটনা। বেশ কয়েকটি ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করা হয়। ওই অভিযানের প্রত্যেকটিতে শামিল ছিলেন আজিজুল। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর আগেই দেখা যায়, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। তাদের মোবাইলও বন্ধ। এক পুলিশ অফিসার বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহক সেজে অভিযান করি। কিন্তু দেখা যায়, আগে থেকেই সব জেনে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তখনই আমাদের সন্দেহ দানা বাঁধে, পুলিশকর্মীদের মধ্যে থেকেই পাচার করে দেওয়া হচ্ছে অভিযানের তথ্য। তদন্তে নেমে আজিজুলকে সন্দেহ করা হয়। তাঁর মোবাইলে ফাঁদ পাততেই উঠে আসে একের পরে এক তথ্য। জানা গিয়েছে, আশ্রমঘাটে ফাঁদ পাতে কোচবিহারের (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। রতুয়ায় বেশ অবস্থাপন্ন আজিজুলের পরিবার। বেশ কিছু জমিজমাও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু আজিজুল ব্রাউন সুগারের কারবারের সঙ্গে জড়িত তা বিশ্বাস করতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।

    জেলা পুলিশ সুপার কী বললেন?

    কোচবিহারের (Cooch Behar) পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাতে আরও নতুন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shah Rukh Khan Wife: শাহরুখ খানের স্ত্রীকে ইডির তলব! সোশ্যাল মিডিয়াতে জোর জল্পনা

    Shah Rukh Khan Wife: শাহরুখ খানের স্ত্রীকে ইডির তলব! সোশ্যাল মিডিয়াতে জোর জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল একটি খবর, শাহরুখ খানের স্ত্রীকে (Shah Rukh Khan Wife) তলব করছে ইডি। মুহূর্তেই এই খবর চারদিকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ‘ডাঙ্কি’ মুক্তির আগে এই খবরে রীতিমতো সঙ্কট তৈরি হয়ে গিয়েছিল পরিবারে। অবশেষে এই সব অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করল ইডি। বিবৃতি দিয়ে তারা এমনটা জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভক্তদের অনুমান, এর পিছনে শাহরুখ খানকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

    কী খবরে গুজব ছড়ায় (Shah Rukh Khan Wife)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত পোহালেই মুক্তি পাবে শাহরুখ খানের ডাঙ্কি। কিন্তু আগেই বিপত্তি নেমে এসেছিল। এই বলিউড অভিনেতার পত্নী গৌরি খানকে (Shah Rukh Khan Wife) ইডি তলব করছে বলে জানা গিয়েছিল। এমনকি তাঁকে নাকি আর্থিক দুর্নীতির মামলায় নোটিশ পাঠানো হয়। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই এই খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। আরও বলা হয় ১৯ ডিসেম্বর তাঁকে ইডির পক্ষ থেকে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এই গুজব সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অবশেষে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বক্তব্য প্রকাশ করে ঘটনার সত্যতা নিয়ে মন্তব্য করে।

    ইডির বক্তব্য

    উল্লেখ্য, গৌরী খান (Shah Rukh Khan Wife) ছিলেন তুলসিয়ান গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। ২০১৫ সাল থেকে ছিলেন তিনি এই পদে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছ, এই কোম্পানির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত সকল অভিযুক্তদের জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে। প্রায় ৩০ কোটির বেশি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে দুর্নীতির বিষয়ে কোম্পানির অর্থ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এখনও কোনও মন্তব্য করেননি বলে জানা গিয়েছে। গৌরী খানের নামে গুজব ছড়ালে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইডি নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করে। এরপর থেকেই শাহরুখ খান অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন বলে মনে করছেন ভক্তরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IAF Pilot: মোদির ভারতে এও এক অভিমন্যুর গল্প, শুনবেন?

    IAF Pilot: মোদির ভারতে এও এক অভিমন্যুর গল্প, শুনবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নাম অভিমন্যু। মহাভারতের চরিত্র। অর্জুন-পুত্র অভিমন্যু। আজ আমরা জানব মহান ভারতের আর এক অভিমন্যুর (IAF Pilot) কথা। যিনি একটা গ্রাম বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন বলি দিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বছর তেত্রিশের এই পাইলটের বাড়ি দেরাদুনে।

    অভিমন্যুর গল্প

    হায়দরাবাদে এয়ারফোর্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে উড়িয়েছিলেন জেট বিমান। ওড়ানোর পরে পরেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় বিমানে। বিপদ বুঝে বিমানটিকে উড়িয়ে নিয়ে যান একটি ফাঁকা জায়গায়। কারণ পড়শি গ্রামে বিমান ভেঙে পড়লে প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। সেই কারণেই বিমানটি উড়িয়ে নিয়ে তিনি যান ফাঁকা জায়গায়। সেখানেই গোত্তা খেয়ে পড়ে বিমান। দাউ দাউ করে জ্বলে যায় আস্ত বিমান। পুড়ে খাক হয়ে যায় স্কোয়াড্রন লিডারের শরীর (IAF Pilot)। অভিমন্যু রাইয়ের স্ত্রীও এয়ারফোর্সে কর্মরত। তাঁরও পোস্টিং হায়দরাবাদে। তিনি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত। নাম অক্ষয়িতা রাই।

    অভিমন্যুর পরিবার মিলিটারিতে

    অভিমন্যুর পুরো পরিবারই জড়িয়ে রয়েছে মিলিটারির পরতে পরতে। তাঁর বাবা ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের গ্রুপ ক্যাপ্টেন ছিলেন। তাঁর শ্বশুর ইন্ডিয়ান নেভির ভাইস অ্যাডমিরাল। অভিমন্যুর বৃহত্তর পরিবারের প্রায় ৪০ জনই মিলিটারির সঙ্গে যুক্ত। কেউ চাকরি করছেন এখনও। কেউ আবার অবসরপ্রাপ্ত। তাঁরাই অভিমন্যুর সহকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছেন তাঁর নায়কোচিত কাজের কথা। কীভাবে পড়শি গ্রামের বাসিন্দাদের বাঁচাতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েছিলেন অভিমন্যু। কীভাবে নিরীহ গ্রামবাসীদের বাঁচাতে নিজের জীবন বলি দিয়েছেন এই ভারতের অভিমন্যু। বিমান বাহিনীতে সবে ন’ বছর হয়েছে অভিমন্যুর। তাঁর বাবা অমিতাভ রাই শোনাচ্ছিলেন কীভাবে অভিমন্যু বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন। কীভাবে বিভিন্ন ধরনের একের পর এক বিমান ওড়ানো শিখেছিলেন তাঁর ছেলে।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন লঙ্গরখানা খুলবেন রসুলপুর, কেন জানেন?

    তিনিই জানান, অভিমন্যু সব মিলিয়ে ছ’ ধরনের বিমান চালাতে পারতেন। এটা সহজ কথা নয়। অমায়িক ব্যবহার ও ভালো ব্যবহারের জন্য সহকর্মী ও জুনিয়রদের কাছেও ভালোবাসার পাত্র ছিলেন অভিমন্যু। অভিমন্যুর মা বলেন, “জীবন বাঁচাতে অভিমন্যু লাফ দিয়ে পালাতে পারত। কিন্তু গ্রামবাসীদের বাঁচাতে তিনি তা করেননি। মহাভারতের অভিমন্যুর মতোই নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা আমার ছেলে করেনি।” তিনি বলেন, “আমার ছেলে জুনিয়রদের বলত, জীবন অনিশ্চিত। তাই যতদিন বাঁচ, ঠিকঠাক করেই বাঁচ (IAF Pilot)।”

    মোদির ভারতে এও এক অভিমন্যুর গল্প!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Drinking Water: ৭৫ বছরের বৃদ্ধা, টানা ৫০ বছর দিব্যি বেঁচে আছেন চিনি মেশানো জল খেয়ে!

    Drinking Water: ৭৫ বছরের বৃদ্ধা, টানা ৫০ বছর দিব্যি বেঁচে আছেন চিনি মেশানো জল খেয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জলই জীবন”। প্রাণী জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা হল জল (Drinking Water)। কিন্তু আপনি কি সারা জীবন শুধু জল খেয়েই কাটাতে পারবেন? উত্তর অবশ্যই, না। আর শুধু জল খেয়ে মানুষের বাঁচার মেয়াদই বা কতদিন হতে পারে! কিন্তু যদি এমনটা হয়, শুধুমাত্র জল খেয়েই ৫০ বছর বেঁচে আছেন একজন? এমনটাই ঘটেছে বাস্তবে। জানা গিয়েছে, বুই তি লোই নামক বছর ৭৫ এর ভিয়েতনামের এক মহিলা বিগত ৫০ বছর ধরে শুধুমাত্র জল খেয়েই জীবন যাপন করছেন। আর এই খবর সম্প্রতি নেট দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়তেই উত্তাল গোটা বিশ্ব। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিগত ৫০ বছর তিনি কোনও খাবারই মুখে দেননি। কিন্তু কোনও খাবার ছাড়া তিনি কীভাবে বেঁচে আছেন, এই প্রশ্ন সবাইকে ভাবাচ্ছে। কারণ, তাঁর শারীরিক কোনও পরিবর্তন বা রোগজ্বালাও নেই।

    কেন এমন সিদ্ধান্ত তাঁর? (Drinking Water)

    ১৯৬৩ সালে ভিয়েতনামে এক যুদ্ধের সময় স্থানীয় অন্যান্য মহিলা সৈন্যদের সঙ্গে চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য তিনিও পাহাড়ে ওঠেন। কিন্তু এর পরে শুরু হয় বিপত্তি। হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হওয়াতে তিনি সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন ও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও বাড়তে থাকে, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তাঁদের পাহাড়ের ওপর আটকে থাকতে হয়। পরে জ্ঞান ফিরলেও তিনি এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে ভুলিয়ে রাখতে পারেননি। তিনি জানান, সেই মুহূর্তে জ্ঞান ফেরার পর থেকেই কিছু খেতে পারতেন না। তখন এক বন্ধু তাঁকে মিষ্টি পানীয় খাওয়াতে শুরু করেন। এর কিছু দিন পর আস্তে আস্তে তিনি অন্যান্য খাবারও খেতে শুরু করেন। কিন্তু খাওয়ার পর তাঁর শারীরিক অসুস্থতা আরও বাড়ছিল। এমনকী খাবারের গন্ধ নাকে এলে বমি পর্যন্ত আসছিল বুইয়ের। এরপর ১৯৭০ সাল থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি আর খাবার খাবেন না। আর নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তিনি সম্পূর্ণ পানীয়ের ওপর নির্ভরশীল হন। চিনি যুক্ত পানীয় (Drinking Water) তিনি খেতে শুরু করেন। যার ফলে এর থেকেই তাঁর শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়।

    ঘর ভর্তি শুধু পানীয়ের বোতল (Drinking Water)

    বুইয়ের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, তাঁর বাড়ির বিভিন্ন প্রান্তে এবং রান্নাঘরে নানা রকম পানীয়ের (Drinking Water) বোতল। এমনকী ফ্রিজের ভিতর পানীয় বোতল ছাড়া আর কিছু থাকে না। বর্তমানে বুইয়ের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার সূত্রে বাইরে থাকেন। বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। তাই রান্না করারও কোনও প্রয়োজন পড়ে না বলেই তিনি জানান। তাই গোটা ঘর ভর্তি পানীয়ের বোতলই তাঁর বেঁচে থাকার একমাত্র রসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pirates of Somalia: ভারতীয় নৌসেনার বিরাট সাফল্য, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার এক নাবিক

    Pirates of Somalia: ভারতীয় নৌসেনার বিরাট সাফল্য, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার এক নাবিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমালি জলদস্যুদের (Pirates of Somalia) হাতে অপহরণের শিকার হয়েছেন জাহাজের নাবিকরা, রীতিমতো লড়াই করে আহতও হয়েছেন। পরে তাঁদের মধ্যে একজন নাবিককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। তাদের এই সাফল্যে শোরগোল পড়েছে দেশে। গত ১৪ ডিসেম্বর এমভি রুয়েন নামক একটি জাহাজ থেকে সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠানো হয় ভারতীয় নৌসেনার কাছে। সেখানে বলা হয়, ছ’জন জলদস্যু অবৈধ ভাবে দখল করেছে জাহাজকে। এরপর ভারতীয় নৌসেনার পক্ষ থেকে ওই নাবিককে উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    কী ঘটেছিল ঘটনা (Pirates of Somalia)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, আরব সাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের (Pirates of Somalia) কবলে আটকে পড়া পণ্যবাহী জাহাজ উদ্ধারে কাজ করে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। এমভি রুয়েন নামে ওই মালটার পণ্যবাহী জাহাজটি অপহরণের শিকার হয়েছিল। তাতে ১৮ জন নাবিক ছিলেন। এর মধ্যে একজনকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। একটি হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে বর্তমানে ওমানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কীভাবে উদ্ধার করা হল?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার অপহরণের পর জলদস্যুরা (Pirates of Somalia) জাহাজটিকে সোমালিয়ার তটের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় খবর পেয়ে এডেন উপসাগরে টহলরত ভারতের নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ এবং একটি বিমান সেখানে পৌঁছে যায়। ভারতের সরকারি একটি সূত্রে বলা হয়, জলদস্যুরা মিলে জাহাজকে সোমালিয়ার সীমানার দিকে নিয়ে যেতেই ভারতীয় নৌবাহিনী আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর শুরু হয় দস্যুদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ। সংঘর্ষে বেকায়দায় পরে দস্যুরা এক আহত নাবিককে মুক্তি দিতে সম্মত হয়।

    উল্লেখ্য, জলদস্যুদের কারণে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই ক্ষেত্রে দস্যুরা জাহাজ অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ উঠে আসে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই জলদস্যুদের প্রভাব কম থাকলেও বর্তমানে তারা বেশ সক্রিয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় ভারতের উপকূলগুলিতে সমুদ্র সীমান্তে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    Cooch Behar: পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে শাসকদলের দলদাস সহ নানা অভিযোগ করে বিরোধীরা। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের কোচবিহার (Cooch Behar) পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শুধু পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খুলে তিনি চুপ থেকেছেন তা নয়, তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে কোচবিহার পুরসভার বোর্ড মিটিং করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    কেন পুলিশের বিরুদ্ধে চটলেন তৃণমূল নেতা? (Cooch Behar)

    কোচবিহার (Cooch Behar) রাসমেলার আয়োজন করে পুরসভা। মেলার সূচনা ও সমাপ্তি- দুই পর্বই পুরসভা ঘোষণা করে। সেখানে মেলা শেষ হওয়ার তিন দিন আগে থেকেই মেলার সমাপ্তির কথা জানিয়ে মাইকে প্রচার করে পুলিশ। ২৭ নভেম্বর এ বার মেলা শুরু হয়। কুড়ি দিনের মেলা শেষ হয় ১৬ ডিসেম্বর। ব্যবসায়ীরা মেলার মেয়াদবৃদ্ধির দাবি করলেও, তা মানা হয়নি। অভিযোগ, ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর থেকে পুলিশ দোকান ভেঙে নিতে ব্যবসায়ীদের উপরে চাপ তৈরি করে। ঐতিহ্যবাহী রাসমেলার শেষ মুহূর্তে ব্যবসায়ী ও পুরকর্মীদের উপরে অত্যাচার করেছে পুলিশ। তা নিয়ে দু’দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মীরা। তাতে শহর জুড়ে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাসমেলার মাঠ, ভবানীগঞ্জ বাজারে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় শহরে মিছিল করে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান পুরকর্মীরা। পরে, পুরসভার চেয়ারম্যান তাঁদের কাছে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন করেন। চেয়ারম্যানের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে নালিশ জানান পুরকর্মীরা। এরপরই তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার চেয়ারম্যান পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এ বারের রাসমেলায় পুলিশের একটি অংশের ভূমিকা মোটেই ভাল ছিল না। নিরীহ ব্যবসায়ীদের মারধর করা হয়েছে। তাঁদের জিনিসপত্র নিয়ে দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাব।

    জেলা পুলিশের এক কর্তা কী বললেন?

    কোচবিহার জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, মেলা শেষ হওয়ার পরেও একটি অংশ আটকে কেনাবেচা করা হচ্ছিল। তাতে ভিড় বাড়ছিল। সে জন্যেই সবাইকে দোকান ভেঙে নিতে বলা হয়েছে। পুরকর্মীরা যে অভিযোগ করছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত স্থান ঘিরে এখন পার্কিং জোন, প্লেট ঢেকেছে মুহুরিদের প্লাস্টিকে

    Howrah: স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত স্থান ঘিরে এখন পার্কিং জোন, প্লেট ঢেকেছে মুহুরিদের প্লাস্টিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার যে রেজিস্ট্রি অফিসে বেলুড় মঠের জমি রেজিস্ট্রি করতে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ স্বয়ং, সেই জায়গা এখন হয়ে উঠেছে পার্কিং জোন। ভবনের সামনের অংশে একটা প্লেট দেওয়া আছে ঠিকই, কিন্তু তা ঢেকে গিয়েছে মুহুরিদের টাঙানো প্লাস্টিকে। মহাপুরুষরা যেখানে যেখানে যান বা গিয়েছেন, তার প্রতিটি জায়গা হেরিটেজ বলে ঘোষণা করা সম্ভব নয়। কিন্তু যে সব জায়গায় মহাপুরুষদের স্মৃতি আছে, সেখানে একটা ফলক বসিয়ে দিলেই কি যথেষ্ট শ্রদ্ধা দেখানো হয় যায়? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অনেকের মনেই। তাছাড়া যেভাবে দায়সারা করে একটি মূর্তি বসিয়ে তার নীচে ফলক দেওয়া হয়েছেে, তাতে এই জায়গায় ঐতিহাসিক গুরুত্ব পথচারীরা জানতে পারছেন কিনা, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তাছাড়া নাগরিক সমস্যাও রয়েছে।

    দুর্ঘটনা এখানে লেগেই থাকে

    বিবেকানন্দের মূর্তি ফুটপাতের যেখানে বসানো হয়েছে, তার দুপাশ ঘেরা। ফলে পথচারীরা এই ফুটপাত দিয়ে চলাফেরা করতে পারেন না। সামনে আবার সার সার গাড়ি দাঁড়িয়ে। বাধ্য হয়েই এখানে ফুটপাতের বদলে রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে হয়। রেজিস্ট্রি অফিস, হাওড়া আদালত, হাওড়া পুরসভা ও জেলা পরিষদে আসা লোকজনের ভিড় থাকে প্রতিদিনই। কোর্ট ও রেজিস্ট্রি অফিসেও নিত্যদিনের ভিড় যথেষ্ট। হাটের দিন আবার দশগুণ ভিড় হয়। ফলে ছোট ও মাঝারি দুর্ঘটনা এখানে লেগেই থাকে। উল্টো দিকেই হাওড়া জেলাশাসকের অফিস, কাছেই হাওড়া থানা ও পুলিশ কমিশনারের অফিস। তাও এই জায়গার চরম অব্যবস্থা কেন কারও চোখে পড়ে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আদালতে প্রায়ই যাঁরা নানা কাজে আসেন তাঁরা। হাওড়ার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এই জায়গায় নিত্য আসতেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কোথায় সেই ফলক রয়েছে, তা বলে না দিলে কেউ খুঁজেও পাবে না। সময়ের সঙ্গে এই জায়গার ব্যস্ততা বেড়েছে। ভিড় বেড়েছে। ভবনের সংস্কার হয়েছে, কাছাকাছির মধ্যে নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু ঐতিহ্যকে যে অবহেলা করে সেসব করা হয়েছে, তা সাধারণের চোখে এমনিতেই ধরা পড়ে যায়। আর নানা রকম কর্মকাণ্ড হলেও পথচারীদের নিরাপত্তাকে যে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তাও স্পষ্ট।

    পরিকল্পনার অভাব

    এই জায়গায় নতুন করে কিছু করা এই মুহূর্তে সম্ভব না হলেও, বঙ্কিম সেতু ও জি টি রোডের সংযোগস্থলে যেখানে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড গজিয়ে উঠেছে, হাওড়া ময়দান মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলাকালীন সেখানে কেন পার্কিং লট বানানো হল হল না, সেই প্রশ্নও উঠছে। এই এলাকায় ছবি গত দশ বছরে পুরো বদলে গিয়েছে। কিন্ত যা হয়েছে তার কিছুই যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে করা হয়নি তা স্পষ্ট। এখনও মেট্রো রেল চালু হয়নি। এখনই সরকারি স্তরে উদ্যোগ শুরু হলে নিউ মার্কেটের মতো এখানেও মাটির নিচে পার্কিং লট তৈরি করে রাস্তা ও ফুটপাত সাধারণের চলাচলের উপযোগী করা যায়।

    পুরসভা অন্ধকারে

    অন্যদিকে হাওড়া আদালতের সামনে হাওড়া পুরসভা অনুমোদিত যে পার্কিং জোন রয়েছে, তার আয়তন কতটা, তার সঠিক তথ্য নেই পুরসভার কাছেই। ফলে পার্কিং ফি নেওয়ার দায়িত্ব যে এজেন্সির কাছে, তারা যথেচ্ছ ভাবে ডবল লাইন করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের অনুমতি দেয়। আর এর ফলেই যানজট এবং মাঝেমধ্যেই পার্কিংকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল লাগে এখানে। কয়েক বছর আগে ডবল লাইনে পার্কিংকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের সঙ্গে গন্ডগোলে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাওড়া ময়দান এলাকা। এমনকী র‍্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, হাওড়া আদালতের সামনে পার্কিং ঠিক কতটা জায়গা জুড়ে রয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। যদি রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে পার্কিংয়ের অনুমতি না থাকে তাহলে সেখান থেকে পার্কিং তুলে দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অকল্যাণকর’কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ জোটের রাজনৈতিক দলগুলির সাংসদরা। মঙ্গলবারই উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের স্বর নকল করেছিলেন কল্যাণ। উপরাষ্ট্রপতির উদ্দেশে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এদিন রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএর ১০৯ জন সাংসদ।

    কী বললেন তৃণমূল নেত্রী?

    ঘটনাচক্রে এদিন দিল্লিতেই ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের মিমিক্রির দায় যে তিনি নেবেন না, তা তাঁর বয়ানেই স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “ওই বিষয়টি (কল্যাণের মিমিক্রি)দেখার জন্য সাংসদরা রয়েছেন। যা বলার, তাঁরাই বলবেন। আমি ও আমার দলের সাংসদরা সবাইকে সম্মান করেন।” মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বসেছিলেন বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। সেখানে কল্যাণকে ধনখড়ের স্বর নকল (Kalyan Banerjees Mimicry) করতে দেখা যায়। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেন। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কল্যাণের মিমিক্রি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন উপস্থিত সাংসদরা। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই কল্যাণকে ‘মুর্খো কি সর্দার’ আখ্যা দিয়েছেন নেট নাগরিকরা।

    উপরাষ্ট্রপতির পাশে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী

    ঘটনায় উপরাষ্ট্রপতিকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করে একজন সাংসদ উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করেছেন ও বাকি সাংসদরা যেভাবে তাতে প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাতে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রীও। ঘটনায় (Kalyan Banerjees Mimicry) সমব্যথী প্রধানমন্ত্রী। আমায় উনি বললেন ২০ বছর উনিও এরকম অপমান সহ্য করেছেন। তবে সংসদ চত্বরে এধরনের আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে সংসদ চত্বরে এই অপমান দুর্ভাগ্যজনক বলেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    কল্যাণকাণ্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। ধনখড়ের অপমান আদতে জাঠ সম্প্রদায়ের অপমান বলে মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায়ের ভাই ও বোনেদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, বাংলার মানুষও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত একজন সাংসদের অসম্মানজনক ও সম্পূর্ণ লজ্জাজনক আচরণে বিরক্ত। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Kalyan Banerjees Mimicry) একজন কৃষকের পুত্র এবং সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। তিনি সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি, কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গে তাঁর শাসনকালে সাংবিধানিক মূল্যবোধ, নিয়ম ও নিয়মাবলী সমুন্নত রেখেছিলেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেস (যা পরিবার ভিত্তিক দল) সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি শুধুমাত্র ভারতের মাননীয় উপরাষ্ট্রপতিকে বিদ্রুপ করেননি। সাংসদ প্রাঙ্গনে যখন অন্য সাংসদরা নির্লজ্জভাবে হাতহাতি দিচ্ছেন এবং উল্লাস করছেন তখন তাঁকে নকল করা কাম্য নয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার জনগণ অবশ্যই এই কাজের জন্য সাংসদ ও তাঁর আঞ্চলিক পরিবারভিত্তিক দলকে শিক্ষা দেবে।” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!” নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!” নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ ডিসেম্বর নবান্নের ১৪ তলায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে হাজির হননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়। উল্লেখ্য এই দিনেই শুভেন্দু হঠাৎ নবান্নে পৌঁছে যান। তিনি নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!”। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, চন্দনা বাউরি সহ আরও দুই বিধায়ক।

    কখন পৌঁছালেন নবান্নে (Suvendu Adhikari)?

    এদিন বেলা ১১ টা ৫০ মিনিট নাগাদ পৌঁছে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নবান্নে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে নবান্নে নিরাপত্তা বলয় কম ছিল। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নবান্নে পৌঁছালে দ্রুত নিরাপত্তা বলয় বৃদ্ধি করা হয়। একদিকে আজ যখন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বকেয়া নিয়ে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করছিলেন, ঠিক সেই সময় শুভেন্দু, মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে কেন বঞ্চনা করা হচ্ছে, তাই জানতে চেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    নবান্ন থেকে বের হয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিজেপির সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রের আবাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যুক্তি ও তথ্য দিয়ে আমরা রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বলে গেলাম। মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেছি। আইন মেনে আমরা মোট পাঁচ জন এসেছি। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট লুট হয়েছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে দিল্লিতে ড্রামা করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শৌচালয়ের টাকা পায়নি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাই আজ এখানে প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম।”

    শুভেন্দুর হাতে পোস্টার

    সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) নিজের হাতে একটি পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন নবান্নের সামনে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা, আবাস যোজনার টাকার কথা লেখা ছিল। মোদির সময়ে যত বেশি পরিমাণে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই হিসাবও এদিন লিখে আনেন শুভেন্দু পোস্টারে। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের করা সকল অভিযোগকে খারিজ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিগত কংগ্রেস সরকারের আমল থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অনেক বেশি আর্থিক বরাদ্দ করেছ বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। পালাটা রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ করেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    Nadia: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে গ্যাসের কেওয়াইসি করানোর অভিযোগ। মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ গ্রাহকদের। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে (Nadia)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    আধার লিংক করাতে ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে! (Nadia)

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা কৃষ্ণনগর (Nadia) দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাসের স্ত্রীর নামে গ্যাসের ডিলারশিপ রয়েছে। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী গোটা দেশ জুড়ে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক করানোর কাজ। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিভিন্ন গ্যাসের ডিলারের অফিস থেকে এই কেওয়াইসি করার নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। সেই মতো বিভিন্ন জায়গায় গ্রাহকরা গিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাঁদের আধার লিঙ্ক করিয়ে আনছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের স্ত্রী সোমা বিশ্বাস গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে বলা হচ্ছে এখানে কেওয়াইসি করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সোমা বিশ্বাস এবং তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে। মূলত এই অভিযোগ তুলেই একাধিক গ্রাহক মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রাহকদের বক্তব্য, কেন ২০০ টাকার বিনিময়ে আমরা কেওয়াইসি করব, যেখানে সরকারি নির্দেশ রয়েছে সম্পন্ন বিনামূল্যে এই কাজ করা যাবে। কৃষ্ণনগরে অন্য গ্যাস অফিসে কোথাও নেওয়া হচ্ছে না।

    মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    যদিও গ্রাহকদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল মন্ত্রীর স্ত্রী সোমা বিশ্বাস। তিনি বলেন, কেওয়াইসির বিনিময়ে কোনও টাকা নেওয়া হচ্ছে না। গ্যাসের যে পাইপ লাইন রয়েছে সেই পাইপ দেওয়ার বিনিময়ে ওই ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু আমার এখানে নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন গ্যাসের ডিলাররা একই নিয়মে কাজ করছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, গোটা দেশজুড়ে একই নিয়ম চলছে। আর আমরা তো দেশের বাইরে নই। যার সমস্যা হবে সে আসবে না।

    গ্যাসেও কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূল

    এ বিষয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সন্দীপ মজুমদার বলেন, কোথাও নিয়ম নেই পাইপ না নিলে কেওয়াইসি করা যাবে না। এটা সম্পূর্ণ জোড়পূর্বক করা হচ্ছে। গ্যাসেও কাটমানি খাওয়ার ধান্দা। তৃণমূলের এটাই পরিচয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share