Tag: Bengali news

Bengali news

  • Kalyan Banerjees Mimicry: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    Kalyan Banerjees Mimicry: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সাংসদ। তা সত্ত্বেও তিনি করেছেন ‘অসংসদীয়’ আচরণ। দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের স্বর নকল করেছেন। উপরাষ্ট্রপতির উদ্দেশে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেছেন। এহেন সাংসদ তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjees Mimicry) সমালোচনায় মুখর বিজেপি। মঙ্গলবারই তৃণমূলের এই সাংসদকে ‘মুর্খো কি সর্দার’ বলে অভিহিত করেছেন নেটিজেনরা।

    কল্যাণের ‘অকল্যাণকর’কাণ্ড

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বসেছিলেন বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। সেখানে কল্যাণকে ধনখড়ের স্বর নকল করতে দেখা যায়। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেন। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কল্যাণের মিমিক্রি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন উপস্থিত সাংসদরা। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ‘মুর্খো কি সর্দার’ তকমা পেয়েছেন কল্যাণ। ঘটনায় উপরাষ্ট্রপতিকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করে একজন সাংসদ উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করেছেন ও বাকি সাংসদরা যেভাবে তাতে প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাতে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রীও। ঘটনায় (Kalyan Banerjees Mimicry) সমব্যথী প্রধানমন্ত্রী। আমায় উনি বললেন বিগত ২০ বছর উনিও এ ধরনের অপমান সহ্য করেছেন। তবে সংসদ চত্বরে এধরনের আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে সংসদ চত্বরে এই অপমান দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”

    ধনখড়কে প্রধানমন্ত্রী ফোনে বলেন, “মন থেকে আমি মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনও অপমানের কাছে আমি মাথা নোয়াব না। কোনও অপমানই আমার পথ পরিবর্তন করতে পারবে না। এঁরা সংবিধান রক্ষায় আমায় রুখতে পারবে না।”

    কল্যাণকাণ্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “সংসদ চত্বরে আমাদের শ্রদ্ধেয় উপরাষ্ট্রপতিকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তা দেখে আমি হতাশ হয়েছি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। তবে তাঁদের অভিব্যক্তি মর্যাদা ও সৌজন্যের নিয়মের মধ্যে হওয়া উচিত। যে সংসদীয় ঐতিহ্যের জন্য (Kalyan Banerjees Mimicry) আমরা গর্বিত ও যা ভারতের জনগণ আশা করে, সেটি বজায় থাকা উচিত।”

    আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ট্রাম্প, রায় মার্কিন আদালতের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে ‘শোকসভা’ বলে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে ‘শোকসভা’ বলে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারে দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের ‘মেগা বৈঠক’কে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বললেন, “দিল্লির বৈঠক শোকসভা। ছত্তিসগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ-এই তিন রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলের পর ওরা সেমি ফাইনালে পরাজিত হয়েছে। সেই নীরবতা পালনের জন্য এই বৈঠক।” অপর দিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন যে বিজেপির বিরুদ্ধে একা লড়াই করা সম্ভবপর নয়। তাই জোটের কথা বার বার বলছেন।”

    উল্লেখ্য, পাওনা টাকার দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে গতকাল সংসদে বিরোধী দলের শতাধিক সাংসদের অভব্য আচরণের জন্য সাসপেন্ড করার ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে। সেই সঙ্গে এই সপ্তাহতেই আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের নেতারা সব চোর। জোটের সমস্ত নেতারা দুর্নীতিগ্রস্থ। ওরা যা ইচ্ছে করুক। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৪০০ আসন অতিক্রম করবে। ওরা শুধু দেখবে, জ্বলবে আর লুচির মতো ফুলবে।” উল্লেখ্য, দিল্লীতে গিয়ে বিরোধী জোট প্রসঙ্গ নিয়ে মমতা বলেছেন, “বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতেই হবে। বাম-কংগ্রেস যদি ঠিক মনে করেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। লোকসভার ভোটে জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রীকে হবেন তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে লোকসভা নির্বাচনের পরেই।” এরপর থেকেই রাজ্যের প্রেক্ষাপটে মমতা এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বাক্যবাণে বঙ্গের রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সুর মিলিয়ে বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “শাসক যখন শক্তিশালী হয় তখন দেশে এই রকম হয়। বিরোধীরা একজোট হওয়ার চেষ্টা করেন। আগামী লোকসভার ভোটকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: মহিলাদের বাড়ছে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি! গর্ভাবস্থায় দেখভালের অভাবই কি‌ এর কারণ? 

    Heart Disease: মহিলাদের বাড়ছে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি! গর্ভাবস্থায় দেখভালের অভাবই কি‌ এর কারণ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হৃদরোগের (Heart Disease) সমস্যা‌ বাড়ছে। বিশ্বের একাধিক দেশের পাশপাশি ভারতেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকের পাশপাশি হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমছে। ফলে, হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকিও‌ বাড়ছে।‌ কলকাতায় সম্প্রতি কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হল। সেখানেই একাধিক আলোচনায় উঠে আসছে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও মহিলাদের হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ছে। সতর্ক হতে না পারলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? (Heart Disease) 

    সম্প্রতি কলকাতায় কার্ডিওলজিক্যাল সোস্যাইটি অব ইন্ডিয়ার এক সম্মেলনে ‌হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হার্ট ফেলিওর অর্থাৎ হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমতে থাকছে।‌ ধীরে ধীরে হৃদপিণ্ড কাজ করতে পারছে না।‌ হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ ছাড়াও হার্ট ফেলিওরের জেরে যে কোনও রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের ঝুঁকি বাড়বে। ফলে, রোগ মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠবে। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহিলাদের হার্ট ফেলিওরের (Heart Disease) ঝুঁকি বাড়ছে। গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো যত্নের অভাবেই এই ঝুঁকি বাড়ছে।

    কেন গর্ভাবস্থার জন্য ঝুঁকি বাড়ছে? 

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের শরীরের গঠন গর্ভাবস্থায় অনেকটাই বদলে যায়।‌ শুধু বাইরের গঠন নয়। গর্ভাবস্থায় শরীরে নানান উপাদানের পরিবর্তন হয়। যার প্রভাব পরবর্তী পর্বেও থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করতে না পারলে পরবর্তীতে বড় বিপদ ঘটতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়। বিশেষত, প্লাজমা প্রোটিনকে ইস্ট্রোজেন হরমোন অনেকটাই প্রভাবিত করে। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় শরীরে জলের পরিমাণের অনেকটাই বদল হয়।‌ রক্তচাপের পরিবর্তন ঘটে। হৃদপিণ্ড (Heart Disease) থেকে রক্ত শরীরে পৌঁছনোর ক্ষেত্রেও গতির পরিবর্তন হয়। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ে। যা শরীরে অনেকটাই পরিবর্তন আনে।‌ বিশেষত লিভারের কার্যক্ষমতায় পরিবর্তন আনে।‌ পাশপাশি, মল-মূত্রত্যাগের নালীতেও পরিবর্তন হয়। আর এই সব হৃদযন্ত্রে প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের এই একাধিক পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে হৃদপিণ্ডে। এর জেরেই হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতায় পরিবর্তন ঘটে। অনেকক্ষেত্রেই তৈরি হয় হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের হৃদরোগ (Heart Disease) বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সাধারণ মানুষের পাশপাশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই গর্ভবতীর শুধুমাত্র রক্তচাপ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বোঝার জন্য শুধুমাত্র রক্তচাপের পরীক্ষা যথেষ্ট নয়। তাই প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। হৃদযন্ত্র কাজ করতে সক্ষম কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত না হলে পরবর্তীতেও বড় বিপদ ঘটতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: আগুনে পুড়ে ছাই শতাধিক বাড়ি, শীতে খোলা আকাশের নীচে বাসিন্দারা

    Howrah: আগুনে পুড়ে ছাই শতাধিক বাড়ি, শীতে খোলা আকাশের নীচে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেল হাওড়ার (Howrah) ব্যাটরা থানার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাছে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের ধারে একটি বস্তি।  প্রায় শতাধিক ঝুপড়ি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে। যার জেরে সর্বহারা হলেন কয়েকশো মানুষ। এই কনকনে শীতের মধ্যে মাথার ছাদ টুকু চলে গেল সবার। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে, দমকলের প্রাথমিক অনুমান গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন লাগতে পারে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)  

    মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাৎ করেই হাওড়ার (Howrah) ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের ওই  ঝুপড়ির একটি বাড়িতে আগুন লাগে। তারপর সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ঝুপড়ি বাড়ি গুলিতে। কাঁথা কম্বল থেকে শুরু করে কাঠ, বাঁশের বেড়া, চাঁচের ঘর এই সব থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তা দেখে ঝুপড়ির বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। তারপর বস্তির ঘরে  থাকা গ্যাস সিলিন্ডার গুলিতেও আগুন লেগে বিস্ফোরণ হতে থাকে। আগুন আরও ভয়াবহ আকার নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে নিজেরাই ঘরের মধ্যে যা জল ছিল এবং পাশে একটি ঝিল থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাতেও আগুন নেভানো যায়নি। তারপর তারা ব্যাটার থানায় এবং পরে দমকলে খবর দেন। হাওড়া ময়দান দমকল কেন্দ্র থেকে দমকলের ছটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে, আরও চারটি ইঞ্জিন আসেন। মোট ১০টি ইঞ্জিন একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে বস্তির কোনও কিছুই আস্ত পাওয়া যায়নি। আসবাব থেকে বস্তির বেড়া পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, রান্নার থালা, গ্লাস, বাটি আগুনে দুমড়ে মুচড়ে দলা পাকিয়ে গেছে।

    বস্তিবাসীদের কী বক্তব্য?

    কল্যাণী অধিকারী নামে এক বাসিন্দা বলেন, হঠাৎ করেই দেখলাম ঘর থেকে ধোঁয়া উড়ছে। ঘর বের হতেই সম্পূর্ণ বাড়িটা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। কোনও কিছুই ঘর থেকে বের করতে পারলাম না। এখন এই ঠান্ডায় পরিবার নিয়ে কোথায় যাব, কোথায় রাত কাটাবো, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। অসীমা দলুই নামে এক বাসিন্দা বলেন, এমনিতেই অভাবের সংসার। কোনও রকমে রিকশা টেনে সংসার চলে। এই বস্তিতে মাথা গোঁজার আশ্রয় নিয়েছিলাম। আগুনে পুড়ে সেটাও চলে গেল। এখন কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

    দমকলমন্ত্রী কী বললেন?

    হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, কী করে আগুন লাগলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে, যাদের বাড়ি পুড়েছে তাদের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টাকায় তাঁদের বাড়িগুলি তৈরি করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী!

    PM Modi: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ব্রিগেডে হবে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই তিনিই থাকছেন না অনুষ্ঠানে। উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে প্রচার করছিলেন। তবে বিশেষ কারণবশত: তিনি আসছেন না বলেই খবর প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে। ব্রিগেডের এই অনুষ্ঠানের আয়োজক অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ। পরিষদের কর্তারা জানাচ্ছেন, এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না তাঁরা। তবে বাকি কর্মসূচি হবে, পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই।

    কী বললেন সুকান্ত?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিল হতে পারে বলে আমিও শুনেছি।” আয়োজক সংগঠনের সহ সভাপতি নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী বলেন, “আমাদের কাছে এখনও এ রকম কোনও খবর নেই। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দফতর থেকে কোনও কিছু জানানো হয়নি। তবে আমাদের যেমন কর্মসূচি রয়েছে, তেমনই হবে। লক্ষ মানুষের সমাগমেই হবে গীতাপাঠ। নজরুলগীতি থেকে শঙ্খবাদন কোনও কিছুই বাদ যাবে না।”

    কী বললেন শুভেন্দু? 

    লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। রাজ্য সরকারের তরফে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার করা যাবে না জানার পরে বাতিল হয়েছে রাষ্ট্রপতির সফর। এবার বাতিল হয়ে গেল অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ প্রধানমন্ত্রীর সফরও। গীতাপাঠের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গীতাপাঠের অনুষ্ঠান হবে। গত বছর মায়াপুরে পাঁচ হাজার সনাতনী গীতা পাঠ করে ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরা আগামী ২৩ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী পালন করবেন। ২৩ তারিখ শনিবার হওয়ার কারণে ওই কর্মসূচি পালন করা হবে ২৪ ডিসেম্বর।”

    আরও পড়ুন: সাত সকালে বিধায়ক বাইরনের বাড়িতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    তিনি বলেন, “এই কর্মসূচি সাধু-সন্তদের। আমরা দলের লোকেরা শুধু স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করব। মঞ্চে সাধু-সন্ত ছাড়া আর কাউকে দেখা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির প্রায় সাড়ে তিন হাজার মঠ ও আশ্রমের সাধু-সন্ন্যাসী ওই দিন উপস্থিত থাকবেন।” প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি অনেককেই এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁরা আসার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত জরুরি একটি কাজ রয়েছে বলে তিনি আসতে পারবেন না। তাঁর দফতর থেকে সাধু সমাজকে তিনি যে আসতে পারবেন না, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁদের কাছ থেকেই জানতে পেরেছি।” প্রসঙ্গত, ব্রিগেডে ঘণ্টা তিনেকের ওই অনুষ্ঠানে গীতার বাছাই করা পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করবেন লক্ষ মানুষ। এই অনুষ্ঠানেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Bayron Biswas: সাত সকালে বিধায়ক বাইরনের বাড়িতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    Bayron Biswas: সাত সকালে বিধায়ক বাইরনের বাড়িতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে আয়কর দফতর হানা দিয়েছিল। পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও অভিযান চালানোর খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার মুর্শিদাবাদের সাঘরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) বাড়িতে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বুধবার সকালে বিধায়কের শামসেরগঞ্জের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। আয়কর ফাঁকির অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বাইরনের বাড়িতে হানা দিয়েছে আয়কর বিভাগ। মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের একাধিক এলাকাতেও আয়কর হানা চলছে। বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি কর ফাঁকি দিয়েছেন। সেই কারণেই বাইরনের বাড়িতে হানা দিয়েছেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা।

    বিধায়কের বাড়ি ছাড়াও আর কোথায় কোথায় তল্লাশি চালানো হয়? (Bayron Biswas)

    সাত সকালে মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জের ধূলিয়ানের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল হানা দেয়। যে বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল হানা দিয়েছে সেটি অবশ্য বাইরন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) বাবা বাবর আলির নামে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বাড়িতে বিধায়ক আছে কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। বাবর আলির এই বাড়িতে বিড়ির কারখানা রয়েছে। শুধু এক জায়গায় নয় শামসেরগঞ্জের পাশাপাশি সাগরদিঘির বাড়িতেও বিধায়কের বিড়ির কারখানা, হাসপাতাল, চা কোম্পানি এবং ডাকবাংলার বাড়িতেও আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, বাইরন বিশ্বাস উপনির্বাচনে দাঁড়াবার আগে নির্বাচন কমিশনে তাঁর আয়ের যে তথ্য দিয়েছিলেন তাতে দেখা যাচ্ছে যে তিনি বিড়ির ব্যবসা শুরু করেই অন্যান্য ব্যবসা শুরু করেন। তাঁর নামে একাধিক নার্সিংহোম, রাসায়নিক ফ্যাক্টরি রয়েছে।

    অভিষেকের হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাইরন

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে মারা যান সাগরদিঘির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘির উপনির্বাচন হয়। ২ মার্চ উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন (Bayron Biswas)। কিন্তু, জুন মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রা ঘাটালে পৌঁছলে সেখানে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: স্বামী-সন্তানকে নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন মহিলা! লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত অনেকেই

    Fraud: স্বামী-সন্তানকে নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন মহিলা! লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত অনেকেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইনে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটছে। এবার সহানুভূতি কিংবা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোন্নগর এলাকায়। প্রতারিতরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কীভাবে প্রতারণা করতেন দম্পতি? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকদের নাম সোমা কর, তাঁর স্বামী গৌতম কর ও তাঁর ছেলে কৌশিক কর। তাঁদের বাড়ি কোন্নগর পঞ্চাননতলা এলাকায়। মোটা টাকা ঋণ করিয়ে দেওয়ার নাম করে এক ব্যক্তির কাছে থেকে কয়েক ধাপে প্রায় আট লক্ষ টাকা নিয়েছেন তাঁরা। ঋণ না পেয়ে প্রতারিত ব্যক্তি টাকা ফেরত চাইলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। যে টাকা নেওয়া হয়েছে তার সমস্ত কাগজপত্র আছে। কিন্তু, টাকা কিছুতেই ফেরত দিতে চায়নি বলে শেষে প্রতারিত ব্যক্তি উত্তরপাড়া থানার দ্বারস্থ হন। আরেক প্রতারিত লিলি বোস বলেন, ওই কর দম্পতি আমার বাড়িতে এসে আর্থিক সমস্যার কথা বলে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। কিন্তু অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাই। প্রতারণার খবর জানাজানি হওয়ার পরেই পলাতক তিন অভিযুক্ত। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে, তাঁদের বাড়িতে ঝুলছে তালা। অভিযুক্তকে ফোন করা হলেও সঠিক উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। কখনও বলছেন তাঁরা বাড়িতে নেই, আবার কখনও বলছেন, এটা ভুল নম্বর। জানা গিয়েছে, এক বা দুজন নয়, এই এলাকায় বহু মানুষের থেকে নানা কৌশল করে তাঁরা প্রতারণা (Fraud) করে টাকা নিয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। না হলে তাঁরা এই ধরনের কারবার আরও চালাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মানিকচকে পুকুরপাড় থেকে শতাধিক রেশন কার্ড উদ্ধার! দুর্নীতির আরও এক চক্র?

    Malda: মানিকচকে পুকুরপাড় থেকে শতাধিক রেশন কার্ড উদ্ধার! দুর্নীতির আরও এক চক্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) মানিকচকে পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার শতাধিক রেশন কার্ড! ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের সংলগ্ন পুকুরে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়। উদ্ধার হয়েছে ১০৫টি রেশন কার্ড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিডিও। কীভাবে এই কার্ড এলো, তারই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূলের বর্তমান বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং মন্ত্রীঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ফের রেশন কার্ড উদ্ধার হওয়া প্রশাসন প্রশ্নের মুখে। অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে, এটা রেশন দুর্নীতির আরও এক চক্র নয়তো? 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Malda)?

    মঙ্গলবার সকালেই হঠাৎ মানিকচকের (Malda) পঞ্চায়েত দফতরের পাশে পুকুরের পাড়ে প্রচুর রেশন কার্ড উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। পাশপাশি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিডিও। এরপর এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    মানিকচকের (Malda) স্থানীয় মানুষ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “এই রেশন কার্ড উদ্ধার ব্যাপক চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হয়েছেন। আবার অপর দিকে এই ভাবে রেশন কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। পুরোটাই দুর্নীতির অংশ।”

    বিডিওর বক্তব্য

    মানিকচকের (Malda) বিডিও কারমবীর কেশব বলেন, “এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটি খতিয়ে দেখবে কার্ডগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কি না। যতদূর মনে হচ্ছে এই কার্ডগুলি ২০১৩ এবং ২০১৫ সালের। হয়তো নতুন কার্ড ইস্যু হয়েছে, তাই পুরাতন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। কোনও বড় পরিকল্পনা রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে সন্ধান করে দেখা হচ্ছে। এক্সেল শিট তৈরি করে সব কার্ডের নাম মিলিয়ে দেখা হবে। ব্লকের তরফ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: চিকিৎসা তো নেই-ই, কনকনে শীতে মেডিক্যাল কলেজে জুটছে না কম্বলও

    Cooch Behar: চিকিৎসা তো নেই-ই, কনকনে শীতে মেডিক্যাল কলেজে জুটছে না কম্বলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিষেবার হাল কেমন তা জানতে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু, রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি যা শুনলেন তা হতবাক হওয়ার মতো। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কনকনে শীতেও হাসপাতালে মিলছে না কম্বল! (Cooch Behar)

    কোচবিহার (Cooch Behar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উপরে জেলার কয়েক লক্ষ মানুষ নির্ভরশীল। প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগী ওই হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে হাজির হন। তাঁদের মধ্যে অনেককেই ভর্তি করে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সব সময় প্রায় পাঁচশো জনের উপরে রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। তার মধ্যে যেমন সদ্যোজাত শিশু রয়েছে, তেমনই রয়েছে প্রবীণ মানুষেরাও। মেডিক্যাল কলেজ হওয়ার পর থেকেই ওই হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু, শীতের মধ্যে রোগীদের কম্বল দেওয়া হচ্ছে না। প্রবীণ এক রোগী বলেন, ঠান্ডায় আমার খুব অসুবিধা হচ্ছিল। সে জন্য আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কম্বল চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমাকে কম্বল দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে বাড়ির লোককে বলে কম্বল নিয়ে এসেছি। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জানতে আসায় হাসপাতালের কী হাল তা সব জানিয়েছি।

     মুখ খুললেন রোগী কল্যাণের চেয়ারম্যান

    রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত কম্বল রয়েছে মেডিক্যাল কলেজে। তার পরেও তা কেন দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে আলোচনা করব। শীঘ্রই বৈঠক ডাকা হবে।  দ্রুত রোগীদের যাতে কম্বল দেওয়া হয়, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। কারও গাফিলতি থাকলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    হাসপাতালের সুপার কী সাফাই দিলেন?

    কোচবিহার (Cooch Behar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ বলেন, এমন হওয়ার কথা নয়। প্রত্যেক রোগীর জন্য কম্বল রয়েছে। নির্দিষ্ট এক-দুটি ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রেই ওজনে কারচুপি, ১৫ কুইন্টাল ধানে ৬০ কেজি হাপিশ!

    Jalpaiguri: সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রেই ওজনে কারচুপি, ১৫ কুইন্টাল ধানে ৬০ কেজি হাপিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাষিরা ধান বিক্রি করতে গিয়ে ফের বিপাকে! তাঁদের অভিযোগ, কুইন্টাল প্রতি চার-পাঁচ শতাংশ ধান ওজন থেকে বাদ দিয়ে কেনা হচ্ছে। একে বর্ষার সময় অতিবৃষ্টি, তারপর ফসল তোলার আগে শীতের বৃষ্টি, চাষিদের বিরাট বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে। কিন্তু সারা বছরের পরিশ্রমের ফসল বিক্রি করে যখন সামান্য লাভের আশা দেখবেন, ঠিক সেই সময় সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে কেউ যাচ্ছেন না বললেই চলে। এমন ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সন্ন্যাসীহাটে। কৃষকদের অভিযোগ, সরকারি বিক্রয় কেন্দ্রে চলছে ধান কেনায় ওজনে কারচুপি। তাই কেউ ওই মুখো হতে চাইছেন না।

    চাষিদের অভিযোগ (Jalpaiguri)

    সন্ন্যাসীহাটের (Jalpaiguri) এক কৃষক দুলালচন্দ্র রায় বলেন, “বিক্রয় কেন্দ্রে ১৫ কুইন্টাল ধান নিয়ে এসেছিলাম। চার শতাংশ ধান বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি মোট ৬০ কেজি ধানের দাম পেলাম না। খোলা বাজারে বিক্রি করলে অন্তত আটশো টাকা বেশি পেতাম। সরকারি কেন্দ্রে গিয়ে আমার সবটাই ক্ষতি হয়েছে।” আবার আর এক চাষি করেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “সরকারি কেন্দ্রে গেলে সারা দিন চলে যায়। প্রচুর সময় নষ্ট হয়। ওজনে ধানের পরিমাণ বাদ দিয়ে মূল্য কম দেওয়া হয়। তাই খোলা বাজারে বিক্রি করলেই আমাদের ভালো।”

    কেন ঘটছে ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সোমাবার সন্ন্যাসীহাটের (Jalpaiguri) সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে এসেছিলেন মাত্র ৬ জন। উল্লেখ্য এই কেন্দ্রে গত দুই মাসে মোট ২৮ টন ধান কেনা হয়েছে । অথচ গোটা জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লক্ষ ২১ হাজার টন। নভেম্বর পেরিয়ে গিয়ে এখন ডিসেম্বর। কিন্তু মাত্র কেনা হয়েছে ১০ হাজার টন। লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগের এক ভাগও কিনতে পারেনি সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রগুলি। গত বছর ৭০ হাজার কৃষক ধান বিক্রি করেছিল জেলার কেন্দ্রগুলিতে। এই বছর মাত্র ২১ হাজার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সব কিছুর কারণ হল চাষিদের বিক্রয় করা ধানের ওজন এবং মূল্যে চুরি করা হচ্ছে। সবটাই সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে হচ্ছে বলে চাষিদের অভিযোগ।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জেলার (Jalpaiguri) প্রশাসন থেকে জেলা খাদ্য নিয়ামক বলেন, “ওজন থেকে বাদ দেওয়ার তেমন নিয়ম নেই। এই বছর ধান বিক্রির প্রবণতা অনেক কম। সবে ডিসেম্বর, আরও সময় রয়েছে। ঝাড়াই, মাড়াই করার পর হয়তো আরও ধান বিক্রয় কেন্দ্র আসবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share