Tag: Bengali news

Bengali news

  • Malnutrition: নাবালিকা মায়ের জন্য অপুষ্টিতে শিশুমৃত্যু? কন্যাশ্রী আর আশাকর্মীরা কোথায়?

    Malnutrition: নাবালিকা মায়ের জন্য অপুষ্টিতে শিশুমৃত্যু? কন্যাশ্রী আর আশাকর্মীরা কোথায়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যে একাধিক শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।‌ বিশেষত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল ‌কলেজে পর পর সদ্যোজাত শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। তার জেরেই একাধিক প্রশ্ন উঠছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ খোদ জানিয়েছেন, জেলায় বাড়ছে নাবালিকা মায়ের সংখ্যা।‌ তার জেরেই শিশুমৃত্যু। আবার স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, প্রয়োজনের তুলনায় কম ওজনের শিশুর জন্ম হচ্ছে (Malnutrition)। আর তার জেরেই নবজাতকের দেহে নানান জটিলতা দেখা দিচ্ছে।‌ মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। আর এর পরেই রাজ্য জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

    কোন তিন প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে? (Malnutrition) 

    শিশুমৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, নাবালিকা মায়ের সংখ্যা বাড়ছে কেন? আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নাবালিকা মায়ের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু রাজ্যের যুক্তি, নাবালিকা বিয়ে কমছে। কন্যাশ্রী রুখে দিয়েছে নাবালিকা বিয়ের সমস্যা। কিন্তু মুর্শিদাবাদে পর পর শিশু মৃত্যুর ঘটনার পরে খোদ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, জেলা জুড়ে বাড়ছে নাবালিকা মায়ের সংখ্যা। তাই শিশুমৃত্যু বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছেন, এই সমস্যা শুধু মুর্শিদাবাদ জেলার নয়। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মালদা সহ একাধিক জেলায় নাবালিকা মায়ের সংখ্যা বাড়ছে। তাহলে প্রশ্ন, কন্যাশ্রী কি আদৌও কার্যকর হয়েছে?
    স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রয়োজনের তুলনায় কম ওজন (Malnutrition) নিয়ে নবজাতকের সংখ্যা রাজ্যে বাড়ছে। তাই শিশুমৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি রাজ্য সরকার আশাকর্মীদের ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারছে না? 
    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছেন, গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। গর্ভাবস্থায় মা যাতে পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতেও একাধিক প্রকল্প রয়েছে। গর্ভবতীর বাড়ি গিয়ে আয়রন ট্যাবলেট ও ফলিক অ্যাসিড পৌঁছে দেওয়ার কথা প্রশাসনের।‌ আর এই কাজগুলোর দায়িত্বে থাকেন আশাকর্মীরা।‌ তাহলে মায়েরা ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন না কেন? কেন প্রয়োজনের তুলনায় কম ওজনের শিশুর জন্ম হচ্ছে (Malnutrition)? তাহলে প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব কি এর কারণ? 
    আবার প্রশাসনের অন্দরেই জানা যাচ্ছে, অসুস্থ নবজাতকদের অনেক ক্ষেত্রেই এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে।‌ দূরত্বের ধকল সহ্য করতে পারছে না একরত্তি। ফলে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে বাধ্য হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, কবে রেফার রোগ থেকে মুক্তি পাবে সরকারি হাসপাতাল? জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ‌ খোলার পরেও‌ কেন‌ অসুস্থ শিশুকে নিয়ে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিতে হচ্ছে?

    কী বলছেন প্রশাসনের কর্তারা? (Malnutrition)

    নাবালিকা মায়ের প্রসঙ্গে প্রশাসনের কর্তারা জানাচ্ছেন, এই সমস্যা সামাজিক, রাতারাতি মিটবে না। তাই এখনও নাবালিকা মায়েরা রয়েছেন। তবে, কন্যাশ্রী এই সমস্যা মোকাবিলা করতে সব চেয়ে বড় অস্ত্র। 
    আশাকর্মীরা‌ যথেষ্ট‌ সক্রিয় বলে সাফ জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁরা জানাচ্ছেন,‌ ডেঙ্গি হোক কিংবা গর্ভবতীদের বাড়িতে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড পৌঁছে দেওয়ার কাজ, যথেষ্ট সক্রিয় ভাবেই আশাকর্মীরা তা করছেন। সেই কাজে নজরদারিও রয়েছে। কিন্ত তার পরেও কেন বাড়ছে শিশুমৃত্যু, সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি (Malnutrition)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purbo Bardhaman: বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে বিপত্তি, মৃত ৩, জখম বহু, ব্যাহত ট্রেন চলাচল

    Purbo Bardhaman: বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে বিপত্তি, মৃত ৩, জখম বহু, ব্যাহত ট্রেন চলাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক বছর আগে বর্ধমান (Purbo Bardhaman) স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজে যাত্রীদের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে বহু যাত্রী জখম হয়েছিলেন। এমনকী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। এরপর ২০২০ সালে এই বর্ধমান রেল স্টেশনেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল একটি পুরনো বারান্দা। এতে দু’জন আহত হয়েছিলেন। এই সব ঘটনার স্মৃতি উসকে দিল বুধবার দুপুরে বর্ধমান রেল স্টেশনে আস্ত একটি জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে যাওয়ার ঘটনা। জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে আরপিএফ এবং দমকল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। জখমদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Purbo Bardhaman)

    স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ বর্ধমান (Purbo Bardhaman) স্টেশনের দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে একটি ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। সেই সময় দু’টি প্ল্যাটফর্মেই গাদাগাদি ভিড়। আচমকা ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় মুহূর্তে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, ওই প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের বসার একটি শেড ছিল। জলের ট্যাঙ্কটি হুড়মুড় করে সেই শেডের উপর পড়ে যায়। তাতেই বিপত্তি। তিনজনের মৃত্যু হয়। জখম হন বেশ কয়েকজন। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমরা সবাই প্ল্যাটফর্মের কাছে শেডের নিচে বসেছিলাম। সেই সময় আচমকাই বিকট শব্দে শেডের উপর ভেঙে পড়ে জলের ট্যাঙ্কটি। আমরা যে দিকে পারি, ছুটে পালানোর চেষ্টা করি। প্রচণ্ড হুড়োহুড়ির মধ্যে কয়েক জনকে মাটিতে পড়ে যেতেও দেখি। কী করে আচমকা জলের ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়ল তা বুঝতে পারছি না।

    রেল আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন,’ কী করে ঘটল তা এখনও পরিষ্কার নয়। আহতদের দ্রুত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে ট্রেন চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: রেলের ওয়াগন চুরির অভিযোগে জেলও খেটেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলি!

    Asansol: রেলের ওয়াগন চুরির অভিযোগে জেলও খেটেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলির বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সোহরাবের স্ত্রী আবার আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের কাউন্সিলর। এর পাশাপাশি বার্নপুরের এক প্রোমোটার ইমতিয়াজ আলির বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। তবে, ঠিক কী কারণে তল্লাশি অভিযান চলছে, তল্লাশি চালিয়ে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা কী পেলেন তা জানা যায়নি।

    কে এই সোহরাব আলি? (Asansol)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের (Asansol) হীরাপুরের শেখ আলির ছেলে সোহরাব আলি। শেখ আলি পেশায় গাড়ির চালক হলেও তাঁর মূল ব্যবসা ছিল লোহার। সেই সূত্র ধরেই সোহরাব আলি লোহার কারবারে নামেন। তবে, সেই ব্যবসার আড়ালে ধরমপুরে বেআইনি ব্যবসা-সহ বার্নপুরে রেল ওয়াগন ভাঙা, ইস্কো কারখানায় লোহার স্ক্র্যাপের বেআইনি ব্যবসা-সহ নানা অভিযোগ ছিল সোহরাবের বিরুদ্ধে। আবার রাজনীতিতেও সোহরাবের ‘উত্থান’ চমকপ্রদ। লোকসভা ভোটে কখনও নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, কখনও লালুপ্রসাদের হাত ধরে আরজেডিতে নাম লিখিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এক সময় পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হয়ে সিপিএমের তাহের হুসেনকে হারিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। পরে আরএসপিতে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সালে আরপিএফ একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। কুড়ি বছর ধরে মামলা চলেছিল। ২০১১ সালে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে রানিগঞ্জের বিধায়ক হন। অভিযোগ উঠেছিল, রেলের ওয়াগন চুরি করেছেন সোহরাব। সেই মামলায় ২০১৫ সালে সাজা পান তিনি। তবে বিধায়ক থাকার জন্য একদিনেই জামিনে মুক্তি মেলে তাঁর। এরপর আর টিকিট পাননি সোহরাব। পরবর্তীকালে প্রোমোটারি ব্যবসা শুরু করেন তিনি। তাঁর এই আর্থিক প্রতিপত্তির হিসাব নিকেশ দেখতেই গোয়েন্দাদের হানা বলে মনে করা হচ্ছে।

    প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও প্রিন্টার মেশিন নিয়ে ঢোকেন আধিকারিকরা

    লোহা ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আলমের হিসাব রক্ষক পঙ্কজ আগরওয়ালের বাড়ি এবং রেশন দোকানে হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। এই মুহূর্তে প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলির বাড়িতে আধিকারিকরা কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও প্রিন্টার মেশিন নিয়ে ঢোকেন। তবে, কী কারণে এই সব নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আলমের ঘনিষ্ঠ সুজিত সিং-এর বাড়ি এবং আর এক ব্যবসায়ী মহেন্দ্র শর্মার অফিসে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: বিজেপির ৩ মুখ্যমন্ত্রীই আরএসএস-এর স্বয়ংসেবক

    RSS: বিজেপির ৩ মুখ্যমন্ত্রীই আরএসএস-এর স্বয়ংসেবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার রাজ্যে বিধানসভার ফল ঘোষণা হয়েছে গত ৩ ডিসেম্বর। রাজস্থান, ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটি সাধারণ মিল। তা হল, প্রত্যেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক। ১৯২৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয় আরএসএস-এর। সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক এই সংগঠন ব্যক্তি নির্মাণের মাধ্যমে রাষ্ট্রনির্মাণ নীতিতে বিশ্বাস রাখে। ১৯৫১ সালে জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার পরে বা ১৯৮০ সালে বিজেপির প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে বহু আরএসএস প্রচারক বসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও আরএসএস-এর প্রচারক। তিনিও ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন। এছাড়া হরিয়ানার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরও সঙ্ঘের প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। এবার ৩ রাজ্যে বসলেন আরএসএস-এর ৩ কর্মী।

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত আরএসএস-এর সঙ্গে

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলা ভজনলাল শর্মা দীর্ঘদিন ধরেই করেছেন আরএসএস-এর কাজ (RSS)। তিনি ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯০ সালে কাশ্মীর থেকে পণ্ডিতদের বিতাড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে এবিভিপি। সক্রিয় ছিলেন ভজনলাল। কাশ্মীর আন্দোলনে সামনের সারিতেই দেখা যায় তাঁকে। ১৯৯২ সালের রামজন্মভূমি আন্দোলনেও তিনি ছিলেন।

    মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীও আরএসএস-এর কর্মী

    মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) আদর্শে বড় হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি ছিলেন সে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই-এর নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা হতেই তিনি হাজির হন ছত্তিসগড় রাজ্যের আরএসএস-এর সদর কার্যালয়ে। জানা যায়, বিষ্ণু দেও সাই-এর পুরো পরিবারই আরএসএস ঘনিষ্ঠ। তাঁর বাবাও ছিলেন দীর্ঘদিন ভারতীয় জনসঙ্ঘের বিধায়ক। আবার ১৯৭৭ সালে তাঁর বাবা জনতা পার্টির টিকিটে সাংসদও হন। আদিবাসী সমাজের অন্যতম মুখ তথা এই আরএসএস-এর স্বয়ংসেবককে এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয় বিজেপি।

    আরও পড়ুন: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সাতসকালেই ইডি-র হানা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সাত সকালেই আয়কর হানা

    ED: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সাত সকালেই আয়কর হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলির বাড়িতে বুধবার সকালেই আয়কর দফতর হানা দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট নটি গাড়িতে করে বুধবার ভোর পাঁচটা নাগাদ আয়কর দফতরের আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে পৌঁছান। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন। সূত্রের খবর, আয়কর সংক্রান্ত এই অভিযান চলছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এখান থেকেও কি মিলবে টাকার পাহাড়, জানতে উৎসুক সাধারণ মানুষ।

    বিধায়কের দুটি বাড়িতে চলছে অভিযান

    স্থানীয় সূত্রের খবর, রানিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলির রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কিছুদিনের জন্য লালুপ্রসাদের আরজেডি’তে যোগ দেন। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে আসানসোল (Asansol) পুরসভার কাউন্সিলার ও পরে রানিগঞ্জ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হিসাবে জয়লাভ করেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী নার্গিস বানু আসানসোল পৌর নিগমের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার। রানিগঞ্জের প্রাক্তন এই বিধায়কের বার্নপুরের রহমতনগরে দুটি বাড়িতে অভিযান চলছে। ভোর ৫টা থেকে তাঁর বাড়ির বাইরে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রচুর মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে সোহরাবের বাড়ির বাইরে। তবে ঠিক কোন কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই অভিযান চালাচ্ছে, তা কিন্তু স্পষ্ট নয় স্থানীয়দের কাছে। সোহরাব ছাড়াও বার্নপুরের আর এক লোহা কারবারি এবং প্রোমোটার ইমতিয়াজ আহমেদ খানের অফিস এবং বাড়িতে, আসানসোলের এক লোহা এবং বালির কারবারির বাড়িতেও সকাল থেকে আয়কর হানা চলছে। 

    রাজ্যে ৩৫ জায়গায় আয়কর হানা চলছে!

    পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল (Asansol), রানিগঞ্জ থেকে কলকাতা-একাধিক জায়গায় আয়কর দফতরের অভিযান চলছে। এছাড়া বার্নপুরের ধরমপুরে একাধিক বাড়িতে আয়কর হানা চলছে। একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মূলত বালি এবং লোহা কারবারিদের বাড়িতে এই অভিযান হচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজে ৩৫ জায়গায় একই সঙ্গে আয়কর হানা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhajanlal Sharma: বসেছিলেন বৈঠকের শেষ সারিতে! তার পরেই ভজনলালকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা

    Bhajanlal Sharma: বসেছিলেন বৈঠকের শেষ সারিতে! তার পরেই ভজনলালকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই বিজেপি ঘোষণা করেছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভজনলাল শর্মার (Bhajanlal Sharma) নাম। প্রথমবার বিধায়ক হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাচ্ছেন ভজনলাল। যদি বাকি দুটি রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা যায় ছত্তিসগড় অথবা মধ্যপ্রদেশ, সেখানে দেখা যাবে মোহন যাদব অথবা বিষ্ণু দেও সাই-দুজনেই প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছেন। মোহন যাদব মধ্যপ্রদেশের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন এবং বিষ্ণু দেও সাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সেদিক থেকে ভজনলাল শর্মা একেবারেই আনকোরা।

    কোনও আভাস পায়নি কেউ-ই

    ভজনলালকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করে বিজেপি সব বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞকে পাঁচ গোল দিয়ে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যে পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পরে যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে ভজনলাল শর্মাকে (Bhajanlal Sharma) দেখা যাচ্ছে একেবারে শেষের সারিতে তিনি বসে রয়েছেন। এই ছবি ভাইরাল হয়েছে। খবরে প্রকাশ, মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম নির্বাচনের বৈঠকেও একেবারে শেষের সারিতে বসেছিলেন ভজনলাল। সেই সময় তিনি কোনও আভাসই পাননি যে, কিছুক্ষণের মধ্য়েই তাঁর জীবন আমূল পাল্টাতে চলেছে…!

    পরিবারবাদে বিশ্বাস রাখে না বিজেপি

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আসলে এটাই বিজেপি। বিজেপি একটি সাংগঠনিক দল। শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। কখনই পরিবারবাদে বিশ্বাস রাখে না। রাজস্থান সহ তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে সেই নীতিরই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। এখানে যে কোন কর্মীও সর্বোচ্চ পদপ্রাপ্তির কথা ভাবতে পারেন। তাঁকে নির্দিষ্ট কোনও পরিবার থেকে আসতে হয় না। ব্যক্তি প্রাধান্য এখানে দেখা যায় না। নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সূচনা অবশ্য ছাত্র রাজনীতি থেকে করেছিলেন ভজনলাল শর্মা (Bhajanlal Sharma)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভজনলালের সাংগঠনিক যাত্রা।

    ভজনলাল শর্মা ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে

    তাঁকে মনোনীত করার জন্য ভজনলাল শর্মা ইতিমধ্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। ভজনলাল শর্মা (Bhajanlal Sharma) জিতেছেন সানগানের আসনটি থেকে। কিন্তু তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা নন, ভরতপুরের বাসিন্দা। সানগানের আসনটি বিজেপির একটি শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির শক্তিশালী ভোট ব্যাঙ্ক সেখানে রয়েছে। কখনই সেখানে ৫০ শতাংশের নিচে ভোট নামে না গেরুয়া শিবিরের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের আয়ের উৎস কী? ইডির কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি সিনহা

    Calcutta High Court: অভিষেকের আয়ের উৎস কী? ইডির কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নথি জমা করেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁর আয়ের উৎস ঠিক কী? আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৪ সালের পর থেকে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অভিষেকের।

    কী বললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা?

    মঙ্গলবার ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির ৫,৫০০ পাতার নথি জমা পড়েছে। তাঁরা তা খতিয়ে দেখছেন। সেকশন ৫০ অনুযায়ী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বয়ানও রেকর্ড করেছে ইডি। ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘যে নথি এসেছে তা থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোনও কিছুই গোপন না করে তদন্তের আরও অগ্রগতি হবে।’’ এর পরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনাদের কথা মতো যে পরিমাণ নথি জমা পড়েছে, তা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। যদি সম্পত্তির পরিমাণ কম হত, তা হলে এই নথি আসত না। এটা ঠিক তো?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই নথি অনুযায়ী যে সম্পত্তি কেনা বা লেনদেন যা হয়েছে, তাতে করে আপনারা কি খুঁজে দেখেছেন এর আয়ের উৎস কী?’’  ইডির আইনজীবী এদিন আরও জানিয়েছেন, প্রচুর নথি জমা পড়েছে। অনেক নথি বলছে টাকা এসেছে। ওই কোম্পানির কত উৎপাদন হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) বলেন, ‘‘আদালত যা জানতে চাইছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন? আয়ের উৎস কী? আইন আপনাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে। বলা ভালো, এটাই আপনাদের তদন্তের মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত।’’ তার পরেই আইনজীবী জানান, আয়ের উৎস নিয়ে তাঁরা অপরাধ উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করছেন।

    শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়েছে অভিষেকের আর্জি

    প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ এবং সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court) তদন্তে তদারকি করছে বলে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে আইনজীবী। অভিষেকের আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, আদালত তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে ১০ বছর আগের নথি চাওয়া হচ্ছে। শীর্ষ আদালত অবশ্য অভিষেকের আইনজীবীর আনা এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। ইডি তদন্তের স্বার্থে এমন নথি চাইতে পারে বলেই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এখনও পর্যন্ত লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষবারের মতো ইডি দফতরে তিনি হাজিরা দিয়েছেন চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার ১৩/১২/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার ১৩/১২/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মনের মতো পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন খুব ভাল কাটতে পারে। 

    বৃষ

    ১) সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন।

    ২) ব্যবসায় ভাল লাভের সময়। 

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান। 

    কর্কট

    ১) অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে।

    ২) আয়ের দিক থেকে দিনটি ভাল। 

    সিংহ

    ১) কোনও ভাল কাজ না হওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) নতুন চাকরির চেষ্টা করতে পারেন।

    কন্যা

    ১) রাজনীতির লোকেদের জন্য ভাল খবর আসতে পারে।

    ২) সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে। 

    তুলা

    ১) কাজ নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) পাওনা আদায় নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) কীটপতঙ্গ থেকে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে ব্যয় কমানোর আলোচনা।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে শরীরে আঘাত লাগতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে শান্তি পেতে পারেন। 

    মকর

    ১) কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ২) দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) অতিরিক্ত কথায় বাড়িতে বিবাদ।

    ২) শরীরে কষ্ট বাড়তে পারে।

    মীন

    ১) শরীরে যন্ত্রণা হতে পারে।

    ২) প্রেমে বিরহ দেখা দিতে পারে। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: ইসিএলের জমিতে বাড়ি তৈরি করতেও টাকা নিচ্ছেন তৃণমূল কাউন্সিলার! সরব বিধায়ক

    Asansol: ইসিএলের জমিতে বাড়ি তৈরি করতেও টাকা নিচ্ছেন তৃণমূল কাউন্সিলার! সরব বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) পুর নিগমের জামুরিয়া এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার বৈশাখী বাউড়ি-র বিরুদ্ধে বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। এলাকার মানুষ ওই কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিংয়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Asansol)

    আসানসোল (Asansol) পৌর নিগমের জামুরিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বৈশাখী বাউড়ির বিরুদ্ধে স্থানীয়রা অভিযোগ আনেন, এলাকায় ইসিএল এর জমিতে বাড়ি তৈরির জন্য অনুমতি দেওয়ার নাম করে টাকা দাবি করছেন স্থানীয় কাউন্সিলার। দলীয় একটি কর্মসূচিতে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিংকে সামনে পেয়ে এই অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিধায়ক হরেরাম সিং স্থানীয়দের কাছে এই অভিযোগ শোনার পরে স্থানীয়দেরকে লিখিত অভিযোগ করার নিদান দেন বিধায়ক হরেরাম সিং। এই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা গেছে ( ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। তাতে বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন,  ইসিএলের জমিতে বাড়ি তৈরি করতে কাউকে কোনও টাকা দিতে হবে না। কাউন্সিলার আপনাদের ভোটে জয়ী হয়েছেন। এখন এলাকায় গুন্ডাগিরি করে টাকা চাইছেন, কোনও টাকা দেবেন না। যারা কাউন্সিলারকে টাকা দিয়েছেন, তারা অভিযোগ জানান, আমি থানায় এফআইআর করব।

    অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার বৈশাখী বাউড়ি বলেন, আসানসোল (Asansol) পৌরসভা থেকে নির্দেশ রয়েছে যদি এলাকায় কোন অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ হয় তার খবর পৌরসভায় পৌঁছে দিতে হবে। আমরা কাউন্সিলার হিসাবে সেই কাজ করেছি। কোনও টাকা পয়সা চাইনি। ওরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল দলটি কাটমানি আর গোষ্ঠী কোন্দলে ভরে গিয়েছে। মানুষ ওদের ভোট দিয়ে এখন বুঝতে পারছে। মানুষের ক্ষোভ সামাল দিতে তৃণমূলের নেতারা এখন নাটক করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘দলের ব্লক সভাপতি লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেছে’, অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির

    Murshidabad: ‘দলের ব্লক সভাপতি লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেছে’, অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন সদস্য এবং তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। পঞ্চায়েত অফিসের স্থান পরিবর্তন করা নিয়ে এবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। পঞ্চায়েত অফিসের সামনে প্রধানের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুরের তালগ্রাম পঞ্চায়েতে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর ব্লকের দেচাপড়া গ্রাম থেকে তালগ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই গ্রাম থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের গয়সাবাদ গ্রামে। মূলত অভিযোগ, পঞ্চায়েতের নতুন ভবন তৈরির জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি সরকারিভাবে। সরকারি কাজের জন্য বরাদ্দ টাকা ব্যয় করে নতুন ভবন করা হচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধেই ওই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে কিছু পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব। যদিও পরে ভরতপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তালগ্রামের প্রধান। পঞ্চায়েত অফিসের স্থান পরিবর্তন নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের মুর্শিদাবাদে ঘাসফুল শিবিরের কোন্দল প্রকাশ্যে।

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে পঞ্চায়েতটি দেচাপড়া গ্রামে রয়েছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এই পঞ্চায়েতে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেছেন। এখন পঞ্চায়েতটি নিজের বাড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে আরও বেশি করে দুর্নীতি করতে চাইছেন। আমরা এসব করতে দেব না। তাই, এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছি। দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    তালগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তালগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতাজ বিবি বলেন, আমাদের ২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছে। এরমধ্যে ১৯ জন সদস্য পঞ্চায়েত ভবন সরানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন। কারণ, গয়সাবাদটি এই পঞ্চায়েত এলাকার মাঝে অবস্থিত। আর দেচাপড়া এককোণের একটি জায়গা। তাই, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মত নিয়ে আমরা ভবন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চায়েতটি গয়সাবাদে হলে ১৩টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। অধিকাংশ জনপ্রতিনিধির মত নিয়ে করা হচ্ছে। আর আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share