Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ram Mandir: প্রায় সম্পূর্ণ রামমন্দিরের কাজ, চলছে ফিনিশিং টাচ, ছবি এল প্রকাশ্যে

    Ram Mandir: প্রায় সম্পূর্ণ রামমন্দিরের কাজ, চলছে ফিনিশিং টাচ, ছবি এল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রামমন্দিরের (Ram Mandir)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঐদিন প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন রামমূর্তিতে। সেদিন রামলালাকে কোলে নিয়ে প্রায় পাঁচশো মিটার পথ হেঁটে গর্ভগৃহে মূর্তি স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে দেশজুড়ে ভক্তদের মধ্যে প্রবল উন্মাদনা রয়েছে। চলছে ফিনিশিং টাচ। অযোধ্যা যে পৃথিবীর হিন্দুদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র তীর্থস্থান হয়ে উঠতে চলেছে তার প্রমাণ মিলেছে থাইল্যান্ডে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে। সেখানে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রতিটি দেশেই রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে এবং দেশ-বিদেশের রাম ভক্তরা তারপরে ধাপে ধাপে আসতে থাকবেন রামমন্দির দর্শনে। রামমন্দিরের সিংহদুয়ারের কাছে যে মেঝে রয়েছে সেখানেও দেখা যাচ্ছে শিল্পীরা নকশাগুলি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ জানিয়েছে, উৎসবের কারণেই ভাস্কর্যের কাজ বেশ কিছুটা মন্থরভাবে চলছে বর্তমানে। রামলালার তিনটি মূর্তি তৈরীর কাজ বর্তমানে চলছে এবং পাথর আনা হয়েছে কর্ণাটক ও রাজস্থান থেকে।  রামলালার মূর্তি তৈরীর কাজ করে চলেছেন গণেশ ভাট, অরুণ যোগীরাজ এবং সত্যনারায়ণ পান্ডে। জানা গিয়েছে, উপরের অংশের ৭০টি পিলারের ভাস্কর্যের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। দক্ষিণ দিকের বেসমেন্টের কাজ বর্তমানে শেষ হয়েছে। জানা গিয়েছে, রামলালা অবস্থান করবেন গর্ভগৃহে। সেই গর্ভগৃহ নির্মাণের কাজও ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আবার সমগ্র রাম মন্দির জুড়ে থাকবে আলোর মালা, সেই আলোকসজ্জার কাজও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।

    রামভক্তদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিমানবন্দরও

    দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে অযোধ্যাতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাচ্ছে বিমানবন্দর নির্মাণেরও কাজও। দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে মন্দিরের প্রথম তলে নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে এবং চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে, রামমন্দিরের ফিনিশিং টাচের ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। রামমন্দিরের (Ram Mandir) ফ্লোরে অপূর্ব নকশাও নজরে পড়ছে। রাম মন্দিরের পূর্ব দিকে চলছে দোতলার কাজ। জানা গিয়েছে এই কাজ একুশে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।

    উদ্বোধনের দিন আমন্ত্রিত ৪ হাজার অতিথি

    এই মন্দির এমন ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে সেটি যুগ যুগ ধরে অক্ষত থাকে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চার হাজার সাধুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া ৫০টি দেশ থেকে এক একজন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। বলিউড থেকে ক্রীড়াজগত, শিল্পপতিদেরও থাকার কথা রয়েছে অনুষ্ঠানে। রামমন্দির (Ram Mandir) তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চম্পত রাইয়ের মতে, ‘‘রাম জন্মভূমি মন্দিরে ভগবান রামের পাঁচ বছরের বালক রূপের চার ফুট তিন ইঞ্চির পাথরের মূর্তি বসবে। এই মূর্তি তৈরি হয়েছে অযোধ্যার তিনটি স্থানে। তিনজন কারিগর তিনটি আলাদা আলাদা পাথর দিয়ে মূর্তি তৈরি করেছেন। মূর্তির কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘নির্বাচনে জিততে হলে জনগণের হৃদয় জেতা খুব জরুরি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘নির্বাচনে জিততে হলে জনগণের হৃদয় জেতা খুব জরুরি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কীভাবে জিততে হয়, তা তাঁর থেকে বেশি কেই বা জানেন! ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসেও অপ্রতিরোধ্য মোদি (PM Modi)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৪ সালেও মসনদ পাকা করে ফেলেছেন তিনি ইতিমধ্যেই। দীর্ঘ ২২ বছরের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা, একের পর এক নির্বাচন সামলাতে হয়েছে তাঁকে। ২২ বছর ধরেই জিতেছেন। কীভাবে জিততে হয় নির্বাচন? শনিবার এ নিয়েই প্রথম মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং জানালেন, কীভাবে জিততে হয় নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে জিততে হলে জনগণের হৃদয় জেতা খুব জরুরি। নির্বাচনে জেতার জন্য মানুষের মধ্যে যাওয়া খুব জরুরি এবং কখনই মানুষের জ্ঞানকে হেয় করে দেখতে নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছনোও সম্ভব নয়।’’

    সম্প্রতি ৩ রাজ্যেই বিপুল ভোটে জিতেছে বিজেপি

    শনিবারই ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি যে মানুষ গ্রহণ করেনি, তাও এদিন নিজের ভাষণে জানান মোদি (PM Modi)। ২০২৩ সালে ৩ রাজ্যের নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে এবং সেখানে বিপুল ভোটে জিতেছে বিজেপি। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে চালু হয়েছে নতুন ক্যাপশন ‘মোদির গ্যারান্টি’। এদিন এনিয়েও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি বলেন, ‘‘জনগণ এটা বিশ্বাস করেছে যে মোদির গ্যারান্টি মানে হল সমস্ত গ্যারান্টিকে পূরণ করা।’’

    আমার কাছে প্রত্যেক গরিব ভিআইপি

    প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘আমরা দেশের মানুষের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করেছি। কেন্দ্রীয় সরকার এবং দেশের জনগণের মধ্যে হৃদয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমাদের সরকার ‘মা-বাপ’ নয়। কিন্তু বাবা-মায়েদের সেবা করে। একই ভাবে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সেবায় নিযুক্ত।’’ এর পরই তিনি বলেছেন, ‘‘মোদি (PM Modi) গরিবের খেয়াল রাখে। যার কেউ নেই তাঁর জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকে। আমার কাছে প্রত্যেক গরিব ভিআইপি। প্রত্যেক মা, বোন, মেয়ে ভিআইপি। প্রত্যেক যুব ভিআইপি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার ১০/১২/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার ১০/১২/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) দূর দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    ২) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    মিথুন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে। 

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    সিংহ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন। 

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    তুলা

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ। 

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ধনু

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    মকর

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    কুম্ভ

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির সময়।

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন বাঁচার জন্য!” মমতাকে কটাক্ষ লকেটের

    BJP: “উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন বাঁচার জন্য!” মমতাকে কটাক্ষ লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় চাওয়ার কথা শুনিয়েছেন। এবার এ নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির (BJP) সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে বর্ধমানের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নাটক করছেন। সব সময় উনাকে প্রধানমন্ত্রী সময় দেবেন কেন? উনি দিল্লি গিয়ে নাটক করেন। কয়েকদিন আগে তাঁর দলবল নাটক করতে দিল্লি গিয়েছিল। আসলে উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন সিবিআই, ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্য। দিল্লি সফরের আগে বরাদ্দ বঞ্চনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপেক্ষিতেও সরব হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রকল্পের নাম বদল করা হচ্ছে। প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। মিড ডে মিলে বড় ঘাবলা হয়েছে। চালে পোকা, কাঁকড় পাওয়া যাচ্ছে। এসব এড়িয়ে বঞ্চনার নাটক করা হচ্ছে।

    ধর্নামঞ্চে কুণাল (BJP)

    গান্ধীমূর্তির সামনে SLST-র  ধর্নামঞ্চে কুণাল ঘোষের উপস্থিতি নিয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, এখন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে যাচ্ছেন। ১২ বছর ধরে চলছে। এক হাজার দিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছে। এখন মনে পড়েছে! সামনে ভোট আছে, তাই ধর্না মঞ্চে গেছেন। ভোট পার হলে সব ভুলে যাবে। আবার ২৬ সালে মনে পড়বে। ২৪ নির্বাচনে এর জবাব পাবে সরকার। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী অথচ মহিলারা ধর্নায় বসে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন? এটা অন্যায় নয়?

    মহুয়া মৈত্রের আইনি পরামর্শ (BJP)

    অন্যদিকে মহুয়া মৈত্রের আইনি পরামর্শ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় (BJP) বলেন, অনেকেই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কালীঘাটের কাকু। এঁরা সবাই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাবে। বড় বড় কংগ্রেসের আইনজীবীরা মোটা টাকার বিনিময়ে মামলা লড়বে। বাংলা থেকে দেশের সুরক্ষার জন্য যে সাংসদকে পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে, সেখানে তিনি গোপন পাসওয়ার্ড অন্য জনকে শেয়ার করেছেন। এটা দেশের সুরক্ষা ব্যাপার। মহুয়া মৈত্র দেশদ্রোহী। আইন আইনের পথে চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গল! দেখা মেলে ময়ূরেরও

    Paschim Bardhaman: শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গল! দেখা মেলে ময়ূরেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার এই জঙ্গল ‘গড় জঙ্গল’ নামে খ্যাত হলেও এর অন্য পরিচিতি ‘কাঁকসার জঙ্গল’ নামে। না, এই জঙ্গলের নেই কোনও অভয়ারণ্য, ন্যাশনাল পার্ক বা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঙচুয়ারির স্বীকৃতি। তবে আছে অরন্যের শিহরণ, প্রাচীন ইতিহাসের গন্ধ। একই সঙ্গে রয়েছে ধর্মের যোগ। শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গলে দেখা মেলে হরেক রং-এর হরেক প্রজাতির পাখির। মাঝে মাঝেই দেখা মেলে ময়ূরের। ঘন জঙ্গলের বুক চিরে ইতিউতি চলে গেছে রাঙা মাটির বনপথ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ।

    উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও

    বলা হয় এই গড় জঙ্গল (Paschim Bardhaman) হল ভারতের অন্যতম প্রাচীন স্থান। গড় জঙ্গলের কথা উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও। সুপ্রাচীন কালে এই জঙ্গলে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মেধস মুনি। শ্রী শ্রী চণ্ডীপুরাণ মতে, রাজা সুরথ এই মেধস ঋষির আশ্রমে মিলিত হন বৈশ্য সমাধির সঙ্গে। রাজা সুরথ এই জঙ্গলে তিনটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ১) মহাকালী মন্দির ২) মহা সরস্বতী মন্দির এবং ৩) মহালক্ষ্মী মন্দির। বর্তমানে এখানে রয়েছে মেধস মুনির আশ্রম, মহাকাল ভৈরবীর মন্দির। এক সময় এখানে ১৬ টি মন্দির ছিল। এর মধ্যে শ্যামরূপা মন্দির এবং শিব মন্দির দুটি এখনও পর্যন্ত অবশিষ্ট আছে।

    দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তোপধ্বনি?

    চণ্ডী পুরাণ এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণ মতে, রাজা সুরথ এখানেই (Paschim Bardhaman) করেছিলেন দুর্গাপুজো। তিনি এখানে দুর্গাপুজো করেছিলেন বসন্তকালে। বলা হয় রাজা সুরথের করা সেই দুর্গাপুজোই পৃথিবীর প্রথম দুর্গাপুজো। দ্বাদশ শতকে নির্মিত এই শ্যামরূপা মন্দিরটিতে বহু ভক্ত আজও পুজো দিতে আসেন। এও শোনা যায়, এখনও এখানে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তোপধ্বনি শোনা যায়। গড় জঙ্গল থেকে সামান্য দূরে অজয় নদ। প্রায় নদের তীরেই রয়েছে আর একটি দারুণ সুন্দর দ্রষ্টব্য। সেটি হল বহু লোককথা এবং প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে দাঁড়িয়ে থাকা “ইছাই ঘোষের দেউল”।

    দুর্গাপুরের কাছেই

    এক কথায় বলা চলে, অরণ্য, নদ, ধর্ম, ইতিহাস-সব মিলিয়ে একটা দুটো দিন বেড়িয়ে আসার জন্য এক অন্যতম আদর্শ স্থান এই ‘গড় জঙ্গল’ (Paschim Bardhaman)। গড় জঙ্গল যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে দুর্গাপুর। হাওড়া থেকে প্রচুর ট্রেন আসছে সরাসরি দূর্গাপুর। আবার কলকাতার ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড থেকে বহু বাস আসছে সরাসরি দুর্গাপুর। দুর্গাপুর থেকে গাড়ি নিয়ে ঘুরে নিতে হবে গড় জঙ্গল।
    দুর্গাপুরে থাকার ও খাওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন দামের ও বিভিন্ন মানের প্রচুর হোটেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মেরও! উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল

    Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মেরও! উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তিরিশের চৌকাঠ পার করেনি। বন্ধুদের সঙ্গে কলকাতার এক রেস্তোরাঁয় চলছিল খানাপিনা। হঠাৎ বুকে ব্যথা (Heart Attack) অনুভব করেন বছর আঠাশের যুবক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে ওই তরুণ মারা গিয়েছেন। যদিও ওই তরুণের ডায়বেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা ছিল না।
    সদ্য মাস ছয়েক মা হয়েছিলেন বছর পঁচিশের তরুণী। গর্ভাবস্থায় একাধিক শারীরিক পরীক্ষায় কোনও ত্রুটি ধরা পরেনি। কিন্তু হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওই তরুণী। 
    এই ঘটনাগুলি একেবারেই ব্যতিক্রম নয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ছে। তিরিশ বছর পেরনোর আগেই হৃদযন্ত্র হঠাৎ বিকল হওয়ার মতো ঘটনা বেড়েছে। বিশেষত করোনা পরবর্তীতে এই ধরনের ঘটনা‌ আরও বাড়ছে। আবার দেখা যাচ্ছে, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অন্য কোনও শারীরিক জটিলতা বা কোমর্বিডিটি না থাকলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।‌ তার জন্য উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। 
    সম্প্রতি কলকাতায় চলছে কার্ডিওলজিকাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সম্মেলন। সেখানেই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার নতুন একাধিক কারণ দেখা দিচ্ছে। সতর্ক না হলে‌ আরও বিপদ বাড়বে।

    কোমর্বিডিটি না থাকলেও কেন হৃদরোগ বাড়ছে?(Heart Attack) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতার মতো‌ সমস্যা হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্ত সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দূষণ হৃদরোগের ঝুঁকি মারাত্মক বাড়াচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ছে, কারণ, দূষণ বাড়ছে। ধূমপান হৃদরোগের অন্যতম কারণ। কিন্তু যে হারে বায়ুদূষণ বাড়ছে, তাতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও একজন মানুষ ধূমপায়ীর মতোই ভুক্তভোগী হচ্ছেন।‌ 
    ওই সম্মেলনে চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, সম্প্রতি কলকাতা ও‌ তার আশপাশের এলাকায় দীপাবলি উপলক্ষে যে‌ হারে আতস বাজি পোড়ানো হয়েছে, তাতে বায়ুদূষণ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। আর এর প্রভাব সরাসরি ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ডে পড়ছে। যার জেরে বাড়ছে হৃদরোগ।

    কী পরামর্শ‌ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? (Heart Attack)

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দূষণ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।‌ বায়ুদূষণে‌ লাগাম টানতে না পারলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়বে। প্রশাসনকেও সক্রিয় হতে হবে। না হলে যে হারে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    তবে, প্রত্যেকের দিনের কিছুটা সময় খোলা‌ মাঠে কিংবা পার্কে‌ কাটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন‌ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খোলা মাঠে হাঁটা কিংবা পার্কে ‌শারীরিক কসরত করলে, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তবে, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই মত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের।‌ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ার অন্যতম কারণ মানসিক চাপ। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা অত্যন্ত জরুরি। 
    পাশপাশি খাবারের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই তেল-মশলা যুক্ত খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। পাশপাশি সহজপাচ্য খাবার রোজদিনের মেনুতে রাখতে হবে। কারণ, তাতেই শরীর সুস্থ থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri News: খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা! কর্মসূচির দিন মাঠের অদূরে ধর্নায় বসছেন বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri News: খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা! কর্মসূচির দিন মাঠের অদূরে ধর্নায় বসছেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের মাঠ! এই অভিযোগে ফের একবার সরব হলেন শিলিগুড়ির (Siliguri News) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এর প্রতিবাদে মাঠের অদূরে ধর্নায় বসার কর্মসূচিও ঘোষণা করলেন বিধায়ক। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির (Siliguri News) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রশাসন। আসলে নামেই প্রশাসনিক সভা, আদতে তা তৃণমূলের দলীয় সভাই হয়ে ওঠে শেষ পর্যন্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ির ‘সুপার ডিভিশন লিগ’ও। মাঠ তো খেলার জন্য। যে কোনও সরকারি বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের কারণে সেই খেলা বন্ধ হওয়া মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়, এমনটাই মত রয়েছে শিলিগুড়ির নাগরিক মহলের একাংশের।

    কী বলছেন শঙ্কর ঘোষ?

    শুক্রবার শিলিগুড়ির (Siliguri News) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন শঙ্করবাবু। এই সময়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘মাঠে তো ঢুকতেই পারলাম না। দুর্গ তৈরি করে তার ভিতর সাজসজ্জা চলছে। মাঠের অন্তর্জলি যাত্রা হচ্ছে, সেটাই দেখলাম। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আগামী ১১ তারিখ বিকেল ৪টে থেকে ১২ তারিখ সকাল পর্যন্ত খেলোয়াড় এবং ক্রীড়াপ্রেমীদের নিয়ে ধর্নায় বসব।’’ উত্তরবঙ্গের এই বিজেপি বিধায়কের আরও অভিযোগ, ‘‘খেলার জন্য স্টেডিয়াম। সেটা বন্ধ করে রাজনৈতিক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গা-জোয়ারি সিদ্ধান্ত। এটা হল, আমি যা ইচ্ছা তা করব ব্যাপার।’’

    দীর্ঘ এক দশক ধরে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে

    বিধায়কের আরও সংযোজন, ‘‘এই স্টেডিয়ামে (Siliguri News) সর্বশেষ যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল, সেটা স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংহের। ব্যক্তিগত ভাবে সে দিন প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। ব্যক্তিগত ভাবে অরিজিৎ সিংহের ফ্যান হওয়ার সত্ত্বেও এবং আয়োজকদের আমন্ত্রণ পেয়েও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই সভায় যাইনি। এখন আবার মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে শিলিগুড়ির সুপার ডিভিশন লিগের টুর্নামেন্ট বন্ধ করা হল!’’ শঙ্করবাবুর মতে, দীর্ঘ এক দশক ধরে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে শ্মশান করার চেষ্টা চলছে। আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর সভার সময় ধর্নায় বসব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “আপনার দল কি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে?” ধীরজ সাহু ইস্যুতে মমতাকে প্রশ্নবাণ সুকান্তর

    BJP: “আপনার দল কি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে?” ধীরজ সাহু ইস্যুতে মমতাকে প্রশ্নবাণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার কংগ্রেসের ধীরজপ্রসাদ সাহু। ঝাড়খণ্ডের এই সাংসদের ডিস্টিলারি সংস্থায় হানা দিয়ে আয়কর দফতর এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করেছে নগদ ২৫০ কোটি টাকা। এই ইস্যুতে এবার শুধু কংগ্রেস নয়, নতুন ‘ইন্ডি’ জোটকেই নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে নয়া ওই জোটের মুখ বলে প্রচারিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন সুকান্ত? (BJP)

    তিনি বলেন, “কংগ্রেস বলতে মনে রাখবেন কংগ্রেস কিন্তু একা নয়। মোদি বিরোধী যে একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে, যারা নিজেদেরকে I.N.D.I.A বলছে, তাদের লিডার হচ্ছে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতানেত্রী। এরা বাংলায় বিজেপির (BJP) বিরোধিতা করে বড় বড় কথা বলে, দেশ নাকি আম্বানি-আদানিদের বিক্রি করে দিয়েছে। আর ৬ই ডিসেম্বর থেকে যে কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে আইটি রেড চলছে, তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্যাশ উদ্ধার হয়েছে। আলমারির থাকে থাকে সাজানো টাকা। ৬ই ডিসেম্বর ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে রেড চলেছে। বিভিন্ন লোকেশনে তাঁর সম্পত্তি রাখা ছিল। ৪০ জনের আইটি অফিসারের টিম রেড করে এবং এই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এর আগে এই রকম রেড করে এত টাকা উদ্ধার খুব কম উদ্ধার হয়েছে। ২০০ কোটি টাকা পার হয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত। আরও টাকা উদ্ধার হবে। তাহলে কি এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই রাহুল গান্ধী-সোনিয়া গান্ধী মহুয়া মৈত্র মহুয়া মৈত্র করছেন?”

    নিশানায় মমতা

    সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, “এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজ তাঁর জোটের কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকারও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী ২০০ কোটি টাকাকে এক লক্ষ টাকার থেকে কম মনে করছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার সার্টিফিকেট দেবেন পার্থ চ্যাটার্জির মতো, উনি চুরি করেননি, সৎ মানুষ, ওনাকে ফাঁসানো হয়েছে। আজকে তাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বাংলা থেকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি এক সময় বঙ্গারু লক্ষণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে (যদিও সেটা প্রমাণও হয়নি) NDA ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজকে এই ২০০ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার হওয়া ধীরাজ সাহু সম্পর্কে আপনার মত কী? আপনার দল কি পাশে দাঁড়াবে, নাকি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে? এই প্রশ্নের জবাব আপনারা দেবেন। এই প্রশ্ন জনগণের সামনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে রয়েছে। রাজনীতি মানেই কি টাকা নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়া? পরিবার-পরিজন-আত্মীয়-স্বজনকে দিনকে দিন বড়লোক করা? এই যদি রাজনীতি হয়, তবে কংগ্রেস সহ তার বিভিন্ন সহযোগী রাজনৈতিক দলকে গোটা দেশের মানুষ যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, আগামী দিনে বাংলার জনগণও তৃণমূলের চোর সরকারকে প্রত্যাখ্যান করবে।”

    চাকরিপ্রার্থীদের ধরনার ১০০০ তম দিন

    এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, এসএলএসটি’র এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্য। এঁদের চাকরি পাওয়া উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তাঁরা চাকরি পাননি। এঁরা চাকরি পাবেনও না, কারণ এই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নিজেই জানেন না ভ্যাকান্সি কত রয়েছে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কখনও বলছেন লক্ষাধিক, কখনও বলছেন ৭০০। যখন কোনও শিক্ষামন্ত্রী তাঁর মত ও অবস্থান বারবার কিছুদিন পরপর পরিবর্তন করেন, আমার মনে হয়, তাঁদের কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। এসএসসির কথা মানুষকে ভুলে যেতে হবে। ৫০০ টাকা ও হাজার টাকার উপঢৌকন নিয়ে চুপ করে বসে থাকতে হবে।

    টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান

    তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিজেপির নেতানেত্রী, সহকর্মীদের টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, তৃণমূল কংগ্রেস মানে ভাগাড়।তারা মুখ খুললে গন্ধ তো বেরোবে, এটাই স্বাভাবিক। এখানে তো চন্দনের গন্ধ আশা করা যায় না। জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছি, উনার বিরুদ্ধে এফআইআর করবার জন্য। কত মানুষকে স্তব্ধ করতে পারবেন, সেটাই দেখতে চাই। রহিম বক্সী সাহেবের দম দেখতে চাই, তিনি কত বিজেপি কর্মীদের লাঠিপেটা করতে পারেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: মাঠেই নষ্ট আলু, অবসাদে আত্মঘাতী কৃষক, দ্বিতীয় ঘটনাতেও নির্বিকার সরকার

    Purba Bardhaman: মাঠেই নষ্ট আলু, অবসাদে আত্মঘাতী কৃষক, দ্বিতীয় ঘটনাতেও নির্বিকার সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই ধীরে ধীরে সত্যি হচ্ছে। শীতের মরশুমের শুরুতেই অকাল বৃষ্টিতে হাহাকার পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়ে নিয়ে যখন প্রশাসন শশব্যস্ত, ঠিক তখনই রাজ্যের কোণায় কোণায় উঠেছে কান্নার রোল। একদিকে মাঠে পাকা ধান বৃষ্টির জলে নষ্ট, পাশাপাশি আলু চাষ করে যে নতুন স্বপ্ন দেখবেন, সে ভাতেও ছাই দিয়েছে অসময়ের বৃষ্টি। অনেকেই ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কিন্তু সেই ঋণ শোধ করবেন কী করে? দিশাহারা এই অবস্থায় জীবনের চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। খানাকুলে এক কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনার পর এবার একই ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীতে। মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকা এক কৃষক আম গাছে ঝুলে নিজের জীবনেই ইতি টেনে দিলেন। দিকে দিকে ক্ষতিপূরণের দাবি উঠছে। কিন্তু খেলা, মেলা, বিয়ে নিয়ে মেতে থাকা সরকারের কবে এদিকে নজর পড়ে, সেটাই এখন দেখার।

    কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার (Purba Bardhaman)

    পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কৃষকের নাম রূপ সনাতন ঘোষ, বয়স আনুমানিক ৪৭। পূর্বস্থলী দু নম্বর ব্লকের নিমদহ পঞ্চায়েত এলাকার ছাতনি উত্তরপাড়ায় তাঁর বাড়ি। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, বাজার থেকে টাকা ধার করে মাঠে আলু বসিয়েছিলেন। বড় আশা ছিল, আলু উঠলে মোটা টাকা ঘরে আসবে, আর তা দিয়েই সুদ সহ ধার মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু টানা বৃষ্টি সেই আশার কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে। সব আলু নষ্ট। অগত্যা ঘুরে দাঁড়ানোর সব পথও যেন অবরুদ্ধ। তাই আমগাছে গলায় দড়ি দিয়ে শেষ করে দিলেন যাবতীয় আশা। স্বাভাবিকভাবেই আচমকা এই দৃশ্য দেখে হতবাক গোটা পরিবার। চাষের এই বিপর্যয়ের কথা বাড়িতে তিনি বলতেন। তা বলে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত? ভেবে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। মৃতের ভাই অমল ঘোষ (Purba Bardhaman) বলেন, দাদা বাজার থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ শুরু করেছিল। দুদিনের বৃষ্টিতে আলুর জমি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আর নতুন করে চাষ করার তার সামর্থ্য নেই। সেই চিন্তায় মনমরা হয়ে পড়ে। তারপরই এই ঘটনা

    দ্বিতীয় ঘটনা (Purba Bardhaman)

    উল্লেখ্য, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজ্যে এটি এ ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা (Purba Bardhaman)। একদিন আগেই হুগলি জেলার খানাকুলে একই ভাবে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছিলেন তরুণ পালুই (৩৭) নামে এক কৃষক। খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের পিলখাঁ এলাকায় তাঁর বাড়ি। কারণ সেই একই, মানসিক অবসাদ। প্রশাসন অবশ্য এদিকে এখনও নজর দিয়ে উঠতে পারেনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে তোপ দেগেছেন। কতজন কৃষকের মৃত্যুর পর টনক নড়ে, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Violence: মোষ তাড়ানোর মতো বিজেপি কর্মীদের লাঠিপেটা করার হুমকি, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    TMC Violence: মোষ তাড়ানোর মতো বিজেপি কর্মীদের লাঠিপেটা করার হুমকি, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের সন্ত্রাস চলছেই। কখনও বোমা-বারুদের দিয়ে কখনও বা ভাষা সন্ত্রাসের মাধ্যমে (TMC Violence)। এবার বিজেপি কর্মীদের মোষ তাড়ানোর মতো লাঠিপেটা করার নিদান দিতে শোনা গেল মালদা তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সীর গলায়। শুক্রবার বিকালে মালদা শহরে তৃণমূলের তরফে একটি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কালো পোশাক পরে তাতে যোগ দেন তৃণমূল কর্মীরা। সেখানেই বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “রেডি আছি আমরা। যেভাবে কোনও ধানের জমিতে মোষ ঢুকে গেলে, সেই মোষকে লাঠি (TMC Violence) দিয়ে তাড়াতে হয়, সেভাবে লাঠিপেটা করে এখান থেকে বিশ্বাসঘাতক বঙ্গ বিজেপিকে তাড়াব আমরা।”

    আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীকেও!

    তবে এখানেই শেষ নয় সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রধান, প্রধানমন্ত্রীকেও অত্যন্ত কুরুচিকর (TMC Violence) ভাষায় এদিন আক্রমণ করেন মালদা তৃণমূলের জেলা সভাপতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিগত লোকসভা ভোট থেকেই মালদা জেলার পায়ের তলায় জমি হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তাদের নেতারা বাজার গরম করা কথা বলে এবং কুরুচিকর মন্তব্য করে কর্মীদের উজ্জীবিত করতে চাইছেন। তবে এটাই নতুন বা প্রথম নয়, এর আগেও আব্দুর রহিম বক্সী তাঁর হুমকির কারণে বারবার থেকেছেন বিতর্কের কেন্দ্রে। একাধিকবার তাঁর গলায় হুঁশিয়ারি এবং হুমকি শোনা গিয়েছে বিরোধীদের উদ্দেশে। সম্প্রতি মালদা দক্ষিণের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উদ্দেশ্যে তিনি জিভ টেনে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

    গণতন্ত্র নেই রাজ্যে

    এধরনের ভাষা সন্ত্রাসই (TMC Violence) বলে দিচ্ছে রাজ্যের গণতন্ত্রের প্রকৃত চেহারা, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তৃণমূলের জেলা সভাপতির এহেন হুমকির পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির মালদা জেলা সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “রাজনীতির ময়দান হোক বা অন্যক্ষেত্রে, সব জায়গাতেই তৃণমূলের অপসংস্কৃতি মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কে কাকে তাড়াবে, সেটা সামনের ভোটেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। কুকথা বলা ও দুর্নীতি সবেতেই শিরোপা পেয়েছে তৃণমূল, এটা মানুষের কাছে ক্রমশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share