Tag: Bengali news

Bengali news

  • Santiniketan: পৌষমেলার দাবিতে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বিশ্বভারতীর গেট ভাঙলেন বিক্ষোভকারীরা!

    Santiniketan: পৌষমেলার দাবিতে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বিশ্বভারতীর গেট ভাঙলেন বিক্ষোভকারীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক ছিল ছোট করে হলেও পৌষমেলা হবে। কিন্তু, সময় কম থাকার কারণে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন (Santiniketan) ট্রাস্ট যৌথ ভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, এবারও হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। এবার সেই পৌষমেলার দাবিতে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা বিক্ষোভ দেখানোর নামে কার্যত তাণ্ডব চালালেন।

    বিশ্বভারতীর গেট ভেঙে ঢোকেন বিক্ষোভকারীরা (Santiniketan)

    ২০১৯ সালে শেষ বার শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ ছিল মেলা। কিন্তু, পরবর্তীতে ২০২১ ও ২০২২ সালে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পৌষমেলা বন্ধ করে দেন। যা নিয়ে শান্তিনিকেতন জুড়ে বিক্ষোভ হয়। ৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তাই বোলপুর-শান্তিনিকেতনবাসী আশা করেছিলেন, এবার হয়তো পৌষমেলা হবে। কিন্তু, সময় কম থাকার কারণে এত বড় ঐতিহ্যবাহী মেলা করা সম্ভব নয় বলেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেলা বাতিল করে দেয়। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে। বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকার প্রথম বলাকা গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও, কার্যালয়ে নেই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সহ কর্মসচিব। পৌষমেলা করতে হবে এই দাবিতে চলে বিক্ষোভ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চর পক্ষ থেকে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমরা এবার আশা করেছিলাম পৌষমেলা হবে। আচমকা এভাবে মেলা বন্ধ করা ঠিক নয়। মেলা করতে হবে। কেন বন্ধ করা হল মেলা? আমাদের সঙ্গে কেন উপাচার্য কথা বলছেন না? এই মেলা আমাদের সবার আবেগ। ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। আমরা চুপচাপ বসে থাকব না। মেলার দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: সরকারি শিবিরে বস্তাপিছু ৬ কেজি করে ধান কম! সরব চাষিরা, প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    Egra: সরকারি শিবিরে বস্তাপিছু ৬ কেজি করে ধান কম! সরব চাষিরা, প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মালদায় সরকারি শিবিরে ধান বিক্রি করতে এসে অনেক চাষি ফিরে যেতে বাধ্য হন। এই ঘটনায় চাষিরা প্রকাশ্যেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনায় কারচুপি করার অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা-১ (Egra) ব্লক কৃষক বাজারে। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাষিরা রীতিমতো বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মহকুমা শাসক উদ্যোগী হন। এগরার মহকুমাশাসক মনজিৎকুমার যাদব বলেন, কৃষক বাজারে ওজন নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

    প্রতি বস্তা পিছু প্রায় ৬ কেজি করে ধান কম (Egra)  

    রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একাধিক ব্লকে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনা শুরু হয়েছে। অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার পর নিয়ম মেনে চাষিরা এগরা-১ (Egra) কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করতে যান। কৃষক বাজারে খাদ্য দফতরের উদ্যোগে সরকারি সহায়ক মূল্যে কৃষকদের থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। এগরা, কুদি-সহ অন্য এলাকার চাষিরা ধান নিয়ে বাজারে যান। যদিও চাষিরা বাজারে যাওয়ার আগে থেকেই ধানের বস্তা ওজন করে আনেন। পরে কৃষক বাজারেও সরকারি ডিজিটাল যন্ত্রে ধানের বস্তা ওজন করা হয়। দেখা যায়, সেই যন্ত্রে ধান ওজন করার সময় বস্তা পিছু প্রায় ৬ কেজি করে ধান কম দেখাচ্ছে। চাষিদের সন্দেহ হয়। বাইরে থেকে নতুন একটি যন্ত্রে ধান ওজন করতেই গন্ডগোলের বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপরই কৃষক বাজারের যন্ত্রে কারচুপির অভিযোগে কৃষকেরা বিক্ষোভ দেখান। খাদ্য দফতরের এক কর্মীকে অফিসের মধ্যে আটকে রাখা হয়।

    চাষিরা কী বললেন?

    চাষিদের বক্তব্য, বাড়ি থেকে প্রত্যেকে আমরা ধান ওজন করে কৃষক বাজারে নিয়ে এসেছি। এখানে সেই ধান ওজনে কমে যাচ্ছে। সরকারি যন্ত্রে কেন ওজনে কমছে, তা জানতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভের জেরে ধান বিক্রি বন্ধ হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে আসে এগরা থানার পুলিশ। পরে, কৃষক বাজারের অদূরে থাকা মহকুমাশাসকের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানান চাষিরা। এগরা (Egra) মহকুমাশাসকের নির্দেশে মহকুমা খাদ্য আধিকারিক এবং অন্য কর্মীরা কৃষক বাজারে যান। নতুন যন্ত্রে ওজন করে ফের ধান বিক্রি শুরু হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে অনির্দিষ্টকাল ব্যবসা বন‍্ধের ডাক, প্রশাসনের অপদার্থতায় ক্ষোভ

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে অনির্দিষ্টকাল ব্যবসা বন‍্ধের ডাক, প্রশাসনের অপদার্থতায় ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগেই বন‍্ধের ডাক দিলেও সকলের অনুরোধে পিছিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু পুজোর মরশুম পার হতেই আন্দোলনে নামলেন বালুরঘাট তহবাজারের ব্যবসায়ীরা (Dakshin Dinajpur)। আগামিকাল ৬ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকাল ব্যবসা বন‍্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাটের তহবাজারের পুরো ব্যবসার পাশাপাশি বালুরঘাট শহর ও আশপাশ এলাকার সবজি ব্যবসাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার শহর জুড়ে মাইকে এই বন‍্ধের কথা প্রচার করা হয়।

    কেন বিদ্রোহ ঘোষণা ব্যবসায়ীদের? (Dakshin Dinajpur)

    মূলত সবজির খুচরো ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে কৃষকদের নজিরবিহীন লড়াইয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ না থাকার অভিযোগেই এই বিদ্রোহ ঘোষণা বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। যা আগামী দিনে বালুরঘাটবাসীকে নাজেহাল করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, করোনা কালে তহবাজার থেকে আলাদা হয়েছিল কৃষক বাজার। প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতেই গত সেপ্টেম্বরে হওয়া বৈঠকে খুচরো ব্যবসায়ীরা লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ওই কৃষকদের মূল বাজারে ফিরে আসার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা ইতিমধ্যেই পার হয়ে যাওয়ার পরেও, কৃষকরা তহবাজারে না ফিরে আসায় বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির (Dakshin Dinajpur) পক্ষে আগামিকাল ৬ ডিসেমবর থেকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। আবার মূল বাজারে ফিরতে যদি প্রশাসন জোর করে, তবে তাঁরাও ধর্মঘটের পথে যেতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক সংগঠনের নেতারা। এমতাবস্থায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কীভাবে মেলবন্ধন করে বালুরঘাটকে স্বাভাবিক রাখা যাবে, তার সমাধানসূত্র বের করতে নাজেহাল প্রশাসনিক কর্তারা।

    কী করে তৈরি হল সমস্যা?

    বালুরঘাট শহরের তহবাজার এলাকায় কাঁচামাল অর্থাৎ সবজি এবং মাছের ব্যবসার জন্য পৃথক জায়গা করা রয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরে ওই এলাকাতেই কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা ও জেলার বাইরের কৃষকরা এই বাজারে এসেই পাইকারদের কাছে তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে যেতেন। ওই বাজার থেকেই পাইকারদের কাছ থেকে সবজি সহ অন্যান্য ফসলগুলি খুচরো ব্যবসায়ীরা কিনে গ্রাম বা শহরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যেতেন। কিন্তু ছন্দ কাটে করোনা কালে। ওই সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে খুচরা ব্যবসায়ীদের ওই ঘিঞ্জি বাজার থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হাই স্কুল মাঠে। আর কৃষক বা পাইকারদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আন্দোলন সেতুর পাশে রাস্তাতে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই খুচরো সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ফের তহবাজারে ফিরে যান। কিন্তু কৃষক বা পাইকাররা আর ওই রাস্তা থেকে উঠে ফেরত যাননি তহবাজারে (Dakshin Dinajpur)। বরং দিন দিন ওই সকালবেলার প্রায় দু’ঘণ্টার এই রাস্তার অস্থায়ী বাজারে কৃষক বা পাইকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিযোগ, ধীরে ধীরে বালুরঘাটবাসীও তহবাজারের ওই ঘিঞ্জি পরিবেশে বাজার করতে না গিয়ে ফাঁকা রাস্তা থেকেই ওই বাজার করতে শুরু করে দেন। এতে যেমন তহবাজার ব্যবসায়ীরা মার খেতে শুরু করেন, তেমনি তাঁদেরও দোকান ছেড়ে এসে এই এলাকা থেকে সামগ্রী কিনতে আসতে হচ্ছে। তাই অবিলম্বে ওই কৃষক ও পাইকারদের তহবাজারে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের সহযোগিতায় একাধিকবার বৈঠক করেও এই সমস্যা মেটানো যায়নি। ফলে এবার একে অপরের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহর পথে দুই পক্ষই। প্রশাসনকে বাদ দিয়েই এবার দুপক্ষই দফায় দফায় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে।

    কে কী বলছেন?

    বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির (Dakshin Dinajpur) সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, প্রশাসনও বেশ কয়েকবার বৈঠক করে ওই কৃষকদের তহবাজারে ফিরে আসার জন্য বলেছে। আমাদেরও আন্দোলনে না নামতে সময় চেয়ে নিয়েছে। কিন্তু বারবার সময় পেরিয়ে গেলেও ওই আন্দোলন সেতুর বাজার তহবাজারে ফিরে আসেনি। তাই এবার আমরা চরম পথে যেতে বাধ্য হচ্ছি। তহবাজার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা গোপাল সাহা বলেন, কৃষকরা আমাদের বাজারে না থাকায় ব্যবসা অনেক কমে গিয়েছে। ওরা রাস্তা দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ প্রশাসন বারবার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে। তাই আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। আগামী ৬ তারিখ থেকে বালুরঘাট শহর ও আশপাশ এলাকার সমস্ত সবজি বাজার বন্ধ। তহবাজারের সমস্ত রকম ব্যবসা বন্ধ। কৃষক সংগঠনের নেতা সঞ্জয়কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উৎপাদিত ফসল নিয়ে বালুরঘাটে আসি। আগে তহবাজারে আমাদের বসার জন্য ছাউনি, ওজন যন্ত্র ইত্যাদি দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু করোনাকালে আমাদের রাস্তাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তখন আমরা কয়েকজন মাত্র কৃষক ছিলাম, এখন সেই সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই সময় তহবাজারে ফিরে গেলে জায়গার অভাব হবে। তাই আমরা ওই বাজারে আর ফিরে যেতে চাইছি না। আমাদের এই রাস্তা থেকে সরিয়ে আশেপাশেই কোথাও জায়গা করে দিক প্রশাসন। জোড়াজুড়ি করলে বা আমাদের  অন্যান্যা দাবি পূরণ না হলে, আমরাও দুধ, ডিম, সবজি সহ নানা কাঁচামালের কৃষকরা ধর্মঘটের পথে যেতে বাধ্য হব।

    বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, আমরা দুপক্ষের সাথেই কথা চালিয়ে যাচ্ছি। সমাধানসূত্র আশা করি বের হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jamuria: বিরোধীদের সুরে মাফিয়া-রাজ, সিন্ডিকেট-রাজ নিয়ে সরব তৃণমূল বিধায়ক

    Jamuria: বিরোধীদের সুরে মাফিয়া-রাজ, সিন্ডিকেট-রাজ নিয়ে সরব তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ কয়লার কারবার, গরু পাচার, সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। বিরোধীরা এই অভিযোগ মাঝেমধ্যেই করেন। ইতিমধ্যেই জেলায় এসে এসব নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এবার পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার (Jamuria) তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিংয়ের গলায় বিরোধীদের সুর শোনা গেল। তিনি দলেরই নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে কয়লার অবৈধ কারবারকে কেন্দ্র করে ‘সিন্ডিকেট ও মাফিয়া-রাজের’ অভিযোগ তুললেন। আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (Jamuria)

    কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে জামুড়িয়ায় (Jamuria) একটি মিছিলের পরে পথসভা করে তৃণমূল। থানা মোড়ের ওই সভা থেকেই তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, ‘কিছু নেতা গোলমাল করছেন। ওঁদের দল থেকে বার করতে হবে। জামুড়িয়ায় যাঁরা মাফিয়া-রাজ, সিন্ডিকেট-রাজ চালাচ্ছেন, তাঁরা বিজেপি বা তৃণমূল, যে দলেরই হোক, রেয়াত করা যাবে না। কিছু দিন  কয়লা চুরি বন্ধ হয়েছিল। আবার তা শুরু হয়েছে। এমনকী জামুড়িয়া বিধানসভায় নদী থেকে কিছু গরিব লোক সামান্য বালি নিয়ে বিক্রি করছিলেন। প্রশাসন সেটা বন্ধ করে দিয়েছে। ভালো উদ্যোগ। অথচ, অন্য বিধানসভায় অবৈধ বালির রমরমা। সেখানে পুলিশ প্রশাসন কী করছে? আমি পুলিশকে বলতে চাই, অবৈধ কারবার যদি চালাতে হয়, তাতে সব গরিব মানুষকে সামিল করতে হবে।’

    বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বক্তব্য, এতদিন আমরা বলছিলাম, অবৈধ বালি ও কয়লার সিন্ডিকেট চালাচ্ছে তৃণমূল। এখন তৃণমূলের বিধায়কই সে কথা বলছেন। তবে, উনি নিজে বখরা পাচ্ছেন না বলেই কি এমন মন্তব্য করছেন? বিরোধীদের অভিযোগে আমল দেননি তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, হরেরাম কী বলেছেন, ওঁর সঙ্গে কথা বলে জেনে নেব। তার আগে মন্তব্য করব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indonesia: ইন্দোনেশিয়ায় ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত, ১১ জন পর্বতারোহী মৃত, আরও ১২ নিখোঁজ

    Indonesia: ইন্দোনেশিয়ায় ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত, ১১ জন পর্বতারোহী মৃত, আরও ১২ নিখোঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) জাভাতে ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত। আর তাতেই মৃত্যু হল ১১ জন পর্বতারোহীর। সোমবার ভোররাতের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি ১২ জন পর্বতারোহীর। ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দল আশঙ্কা করছে যে ওই ১২ জন যাঁদের সন্ধান মেলেনি, তাঁরাও খুব সম্ভবত মারা গিয়েছেন।

    ৭৫ জন পর্বতারোহীর দল গিয়েছিলেন মাউন্ট মেরাপিতে 

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ভয়াবহ ভূমিকম্পতে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। রবিবারই মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। জানা গিয়েছে, আগ্নেয়গিরির লাভা প্রায় তিন কিলোমিটার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এসময় প্রশাসনের তরফে আগ্নেয়গিরির আশেপাশে থাকা মানুষজনদেরকে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। একই সঙ্গে উদ্ধার কাজ চলতে থাকে পর্বতারোহীদেরও। এরই মধ্যে খবর আসে ১১ জনের মৃত্যুর। ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) উদ্ধারকারী দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবারই ৭৫ জন পর্বতারোহীর দল মাউন্ট মেরাপিতে গিয়েছিলেন। তিন ডিসেম্বর থেকেই আগ্নেয়গিরিতে লাভা বের হতে থাকে। প্রায় তিন হাজার মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আকাশে ছড়িয়ে পড়ে আগ্নেয়গিরির ছাইভস্ম। আশেপাশের গ্রামে গিয়েও পড়ে এই ছাই। এর ফলেই আটকে যায় পর্বতারোহীর দলটি।

    ১৩০টি আগ্নেয়গিরির দেশ ইন্দোনেশিয়া

    জানা গিয়েছে উদ্ধার কাজ শুরু হওয়া মাত্রই ৫৪ জনকে সেখান থেকে সরাতে সমর্থ হয় উদ্ধারকারী দল। কিন্তু আগ্নেয়গিরির কাছ থেকে ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও তিনজনকে সেখান থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। উদ্ধারকারী দলের তরফে আরও জানানো হয়েছে যাদেরকে উদ্ধার করা গিয়েছে তাদের শরীরের ৫০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। জখমদের মধ্যেও বেশ কয়েকজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়াকে (Indonesia) দেশকে রিং অফ ফায়ারের অন্যতম দেশ বলা হয়। ১৩০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে এখানে। ১৫৪৮ সাল থেকেই এখানে নিয়মিত অগ্নুৎপাত হয়ে আসছে বলে জানা যায়। ১৯৬৯ সালে মাউন্ট মেরাপিতে এক ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাতে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INDIA Bloc Meet: মমতা-নীতীশদের অনুপস্থিতির জের! শরিক-ঘোঁটে ভেস্তে গেল ইন্ডি-জোটের বৈঠক?

    INDIA Bloc Meet: মমতা-নীতীশদের অনুপস্থিতির জের! শরিক-ঘোঁটে ভেস্তে গেল ইন্ডি-জোটের বৈঠক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। মাত্র একটি রাজ্যে জয় পেয়ে কোনওভাবে মুখ রক্ষা করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। এহেন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের উপায় কী, তা স্থির করতে ইন্ডি জোটের বৈঠক (I.N.D.I.A Bloc Meet) ডাকা হয়েছিল ৬ ডিসেম্বর, বুধবার। সেই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব গরহাজির থাকতে পারেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। তার পরেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। তবে ওই বৈঠক কবে হবে, তা এখনও জানা যায়নি।

    পিছল ইন্ডি জোটের বৈঠক

    তিন রাজ্যে গৈরিক নিশান ওড়ায় ছত্রখান বিরোধী জোট! ইন্ডি জোটের অন্দরে ক্রমেই চওড়া হতে শুরু করেছে ফাটল। সোমবার জোটের অন্যতম অংশীদার তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিনি ওই বৈঠকে (I.N.D.I.A Bloc Meet) থাকছেন না। এর পর আজ মঙ্গলবার, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবও ৬ ডিসেম্বর ইন্ডি জোটের বৈঠকে গরহাজির থাকতে পারেন বলে খবর পান উদ্যোক্তারা। তার পরেই পিছিয়ে দেওয়া হয় বৈঠক। নতুন বছরের মার্চ-এপ্রিলে হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির দিল্লির তখতে ফেরা রুখতে ইন্ডি জোট গড়ে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। শুরু থেকেই অশান্তির চোরাস্রোত বইছে ইন্ডির অন্দরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধরেছে ফাটল। সম্প্রতি চওড়া হয়েছে সেই ফাটল।

    জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন

    রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে কংগ্রেসকে গোহারা হারিয়ে গৈরিক নিশান উড়িয়েছে বিজেপি। ভোটে হারের কারণ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী রণনীতি আলোচনা করতে বুধবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাসভবনে বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছিল। এখন তিন দলের প্রধান উপস্থিত থাকবেন না জেনে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বৈঠক (I.N.D.I.A Bloc Meet)। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও আমন্ত্রণ পাননি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও জানিয়েছেন, বৈঠকে যাচ্ছেন না তিনি। গরহাজির থাকছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও। প্রত্যাশিতভাবেই ইন্ডি জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। 

    আরও পড়ুুন: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র দিনেই প্রাইমারি টেট! ক্ষোভ জমছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও

    তিন রাজ্যে কংগ্রেস কুপোকাত হতেই হারের দায় ঝাড়তে উঠেপড়ে লেগেছেন ইন্ডি জোটের নেতাদের একাংশ। মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “এটা কংগ্রেসের পরাজয়, মানুষের নয়। আসন সমঝোতা হলে এই ফল হত না।” ইন্ডি জোটের (I.N.D.I.A Bloc Meet) আর এক শরিক কাশ্মীরের ওমর আবদুল্লা বলেন, “রাজ্যগুলির নির্বাচনে ইন্ডি জোটের যা অবস্থা, ভবিষ্যতেও যদি একই রকম চলতে থাকে, তাহলে আমরা নিজেদের বাঁচাতে পারব না।” তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতি বুঝতে পারেনি কংগ্রেস।” রাজনৈতিক মহলের মতে, ইন্ডি জোটের প্রধান শক্তি কংগ্রেস। কারণ একমাত্র এই দলটিরই অস্তিত্ব রয়েছে গোটা দেশে। সেই কংগ্রেসকেও দুষছেন জেডিইউ মুখপাত্র কেসি ত্যাগী। তিনি বলেন, “এটা কংগ্রেসের পরাজয়। ওরা জোটের কোনও দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, সাহায্য চায়নি। ওরা নিজেদের ক্ষমতায় বিজেপিকে হারানোর চেষ্টা করেছিল। যা আসলে ছিল দিবাস্বপ্ন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: সারের কালোবাজারির পর এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমা! মাথায় হাত চাষিদের

    Jalpaiguri: সারের কালোবাজারির পর এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমা! মাথায় হাত চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলাজুড়ে এতদিন সারের কালোবাজারিতে চাষিরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। বস্তায় যে দাম লেখা থাকত, তার দ্বিগুণ দামে চাষিরা সার কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রশাসনের তৎপতায় কিছুটা লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। সারের কালোবাজারির জের মিটতে না মিটতেই এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এলাকায়।  

    ঠিক কী অভিযোগ? (Jalpaiguri)

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি জুড়েই ভেজাল আলুবীজ কারবারিদের রমরমা চলছে। তার জেরে সমস্যায় পড়ছেন গরিব কৃষকরা। খেটে আলুবীজ রোপণ করছেন, তবে সেই বীজ পচছে মাটির তলাতেই। এরপরই অভিযানে নামে কৃষি দফতর। দোকানে দোকানে অভিযান চালিয়ে খতিয়ে দেখা হয় দোকানিদের কাগজপত্র। তাতে প্রমাণও পান কৃষি আধিকারিকরা। ধূপগুড়ি হাইস্কুল লাগোয়া এক আলুবীজ বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে নামী কোম্পানির নামে নিম্নমানের আলুর বীজ বিক্রির। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামেন তাঁরা। সিল করে দেওয়া হয় সেই দোকান। যদি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অমৃতকুমার সরকার বলেন, এক আলু ব্যবসায়ী আমার কাছে আলুবীজগুলি রেখে যান। এরপর আর তিনি আসেননি। এরপরই কৃষি দফতরের দল এসে আমার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

    ভেজাল আলু বীজের রমরমা নিয়ে সরব চাষিরা

    চাষিদের বক্তব্য, এতদিন সারের কালোবাজারির জন্য দ্বিগুণ দামে সার কিনতে বাধ্য হয়েছি। বহুবার অভিযোগ করার পর প্রশাসনের টনক নড়েছিল। তবে, এখনও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কালোবাজারি চলছেই। এর সঙ্গে এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমা শুরু হয়েছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এসব করছে। প্রশাসনের কোনও নজর নেই। আমরা দাম দিয়ে ভেজাল বীজ কিনে চাষ করে শেষ হয়ে যাচ্ছি।

    ধূপগুড়ি কৃষি অধিকর্তা কী বললেন?

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মনের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ আলু ব্যবসায়ী সমিতি এবং একটি আলুবীজ সংস্থার তরফে অভিযোগ পাই। খারাপ মানের আলুবীজ বিক্রির অভিযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে প্রয়োজন হলে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lakhbir Singh Rode: পাকিস্তানে মৃত ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খালিস্তানি জঙ্গি নেতা লখবীর সিং রোড

    Lakhbir Singh Rode: পাকিস্তানে মৃত ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খালিস্তানি জঙ্গি নেতা লখবীর সিং রোড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা লখবীর সিং রোডের (Lakhbir Singh Rode) মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের ভাই জশবীর সিং রোড আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছেন। ৭২ বছর বয়সী জঙ্গি নেতা লখবীর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশন’ এই দুটি সংগঠনকে পরিচালনা করতেন বলে জানা গিয়েছে। 

    ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা ছিলেন লখবীর

    পাকিস্তানের বসেই এই জঙ্গি নেতা (Lakhbir Singh Rode) সে দেশের সরকারের মদতে, ভারত বিরোধী নানা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল। লখবীর (Lakhbir Singh Rode) ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকাতেও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা যায়, প্রথমে এই জঙ্গি নেতা ভারত ছাড়ার পরে দুবাইতে আশ্রয় নেন এবং পরবর্তীকালে তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন। সেখানে বসেই চলতে থাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজ। জানা যায়, ‘অপারেশন ব্লু স্টার’-এর সময় নিহত জঙ্গিনেতা ভিন্দ্রেলওয়ালের সম্পর্কে তিনি ভাইপো হতেন।

    লখবীরের সম্পর্কে আরও বেশ কিছু তথ্য

    ১) ভারত-নেপাল সীমান্তে খালিস্তান জিন্দাবাদ সেলকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন লখবীর। ভারতের অভ্যন্তরে খালিস্তানপন্থীদের সমর্থন বাড়ানো ও সম্প্রীতির পরিবেশ বিনষ্ট করতে এই সেল কাজ করত বলে জানা যায়।

    ২) জানা যায় লখবীর সিং রোড (Lakhbir Singh Rode) একাধিকবার পাকিস্তানি সরকারের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন এবং ভারতের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। পাকিস্তানি এই জঙ্গি নেতা একবার কুড়ি কেজি আরডিএক্স সমেত গ্রেফতারও হয়েছিলেন। তখন তিনি বলেন যে, এই আরডিএক্স তাঁকে পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে দেওয়া হয়েছে।

    ৩) ভারতে থাকা বিভিন্ন ভিভিআইপিদের টার্গেট করতে অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে লখবীরের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি নানা বেআইনি পাচার কাজে লখবীরের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

    ৪) মৃত জঙ্গিনেতার ছেলে ভাগ্গু ব্রার বসবাস করেন কানাডায়। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য, অপহরণ ও খুনের হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা!

    Siliguri: মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য, অপহরণ ও খুনের হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) মা এবং মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতার। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া ঘর থেকেই সুইসাইড নোট মেলে। তাতেই তৃণমূল নেতার নাম পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

    সুইসাইড নোটে কী রয়েছে? (Siliguri)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিলিগুড়ি (Siliguri) শান্তিনগর এলাকায় একই বাড়ি থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার হয়। শোওয়ার ঘরের বিছানার উপর এক তরুণীর দেহ মেলে। মায়ের দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। ঘটনার তদন্তে নেমে সুইসাইড নোট পায় পুলিশ। সেখানে আত্মহত্যার কারণ হিসাবে রয়েছে জমি সংক্রান্ত সমস্যার কথা। সেখানে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটির অন্যতম সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কর্মী সুনীল দাস, সুজিতকুমার ঘোষ, সুভাষ দাস, প্রদীপকুমার চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই চিঠির উপর ভিত্তি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

    বাড়িতে লোক পাঠিয়ে হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা, সরব মৃতের স্বামী

    মৃতের স্বামী সাধন সরকারের অভিযোগ, বছরখানেক আগে প্রসেনজিতের কাছ থেকে একটি জমি কিনেছিলাম। সেই জমি প্রসেনজিৎ নিজেই ডিসপুট ল্যান্ড তৈরি করে আরও টাকা চান আমার কাছে। এ নিয়ে সমস্যা চলছিল। অনেক দিন ধরে প্রসেনজিৎ তাঁর দলবলকে ওই বাড়িতে পাঠাতেন। ওই লোকজনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকত। বার বার টাকার চাপ দেওয়া হয়। দেওয়া হয় প্রাণে মারার হুমকিও। বাড়িতে বিবাহযোগ্য মেয়ে ছিল। এ নিয়ে আমার স্ত্রী বেশ কয়ে কয়েক মাস ধরেই চিন্তিত ছিল। মাঝে আমাকে আমার স্ত্রীকে অপহরণ বা তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হবে বলে হুমকি দেওয়া হত। এগুলো সহ্য করতে না পেরে ওরা নিজেদের শেষ করে দিয়েছে। আর প্রসেনজিতের মতো বড় নেতার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা আমার নেই। থানায় জানিয়েছি ঠিকই। কিন্তু, আদৌ কোনও লাভ হবে কি না জানা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Health Mission: কোনও শর্তই মানছে না রাজ্য! স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি কেন্দ্রের, বন্ধ হচ্ছে টাকা?

    National Health Mission: কোনও শর্তই মানছে না রাজ্য! স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি কেন্দ্রের, বন্ধ হচ্ছে টাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয়। ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’কে এর আগেই তারা ‘বাংলার আবাস যোজনা’ বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার ‘রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশন’-এর ক্ষেত্রে (National Health Mission) কেন্দ্রীয় শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, এই মর্মে খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে চিঠি আসতে চলেছে রাজ্য সরকারের কাছে। কেন্দ্রের অভিযোগ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনের রং এবং নাম নিয়ে। জানা গিয়েছে, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের (National Health Mission) রং হওয়ার কথা ছিল হলুদ, কিন্তু শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতে তাঁর পছন্দের রং, নীল-সাদা করা হয়েছে।

    কেন্দ্রের প্রকল্প নিজের নামে চালাচ্ছে রাজ্য 

    অন্যদিকে সুস্বাস্থ্য ভবনগুলির (National Health Mission) নাম বাংলাতে কেন্দ্র ঠিক করে দিয়েছিল ‘আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির’ এবং ইংরেজিতে তা হওয়ার কথা ছিল ‘আয়ুষ্মান ভারত হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’। তবে এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গা-জোয়ারি মনোভাব দেখিয়ে ভবনগুলির নাম ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ করেছে বাংলাতে এবং ইংরেজিতে করেছে ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’। অর্থাৎ প্রতিটা ক্ষেত্রে পদে পদে কেন্দ্রের দেওয়া শব্দ ‘আয়ুষ্মান’কে বাদ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার কখনই নাগরিকদের কাছে এই বার্তা দিতে রাজি নয় যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি রাজ্যে চলছে! কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে যে সমঝোতাপত্র সই হয়েছিল, সেখানে ব্র্যান্ডিং গাইডলাইন সংক্রান্ত বেশ কিছু শর্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের আরও বক্তব্য, যে সমস্ত রাজ্য এই শর্ত মেনেছে, সেখানে কোথাও তাদের টাকা আটকে রাখা হয়নি (National Health Mission)। অন্যদিকে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র মতো কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি যোগও দেয়নি।

    কী বলছেন শুভেন্দু?

    প্রসঙ্গত, ব্র্যান্ডিং-এর গাইডলাইন কেন্দ্র সরকার জারি করেছিল ২০১৮ সালে। তখন বাংলা সহ সমস্ত রাজ্য তাতে সই করেছিল। গাইডলাইন রূপায়ণের (National Health Mission) তারিখ ছিল ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রের নির্দেশিকা মানেনি রাজ্য। এরপরে চলতি বছরে গাইডলাইন (National Health Mission) মানার জন্য ১১ এপ্রিল ও ৩ নভেম্বর চিঠি দেয় কেন্দ্র সরকার। সেখানেও রাজ্য সরকার কোনও উত্তর দেয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আগেই সরব হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘দেওয়া হবে না টাকা। আবার বলছি, দেওয়া হবে না। যা চুরি করেছে কোভিডে, সেই চুরির হিসেব দিক আগে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share